Last Updated on 07/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
নিম্নলিখিত উপায়ে জাল দলিল সনাক্ত করা যেতে পারেঃ
১। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখতে হবে যে, দলিলটির রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হয়েছে কি-না অর্থাৎ বালাম বহিতে নকলকরন কাজ শেষ হয়েছে কি-না। রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ না হয়ে থাকলে দলিলটি সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে বা জেলা সদরের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা বালাম বহির সাথে দলিলটি মিলিয়ে দেখতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট ফিস প্রদান করে দলিলটি ‘তল্লাশ ও পরিদর্শনের’ জন্য নির্দিষ্ট আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হবে।
২। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট দলিলে উল্লিখিত জমির মিউটেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। নামজারিতে ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না, পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সি,এস, খতিয়ানকে ভিত্তি হিসেবে ধরতে হবে। সি,এস, খতিয়ানের সঙ্গে বিক্রেতার নামজারি খতিয়ানের কোনো গরমিল থাকলে জাল-জালিয়াতি আছে মর্মে ধরে নিতে হবে।
জমি-জমা ও দলিল রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত সকল তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
৩। সংশ্লিষ্ট দলিলে উল্লিখিত জমির মাঠপর্চাও যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ফিস প্রদান করে আবেদনের মাধ্যমে মাঠপর্চা উঠিয়ে যাচাই করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জমির মাঠপর্চা অন্য ব্যক্তির নামে হলে সেখানে জাল-জালিয়াতি আছে মর্মে ধরে নিতে হবে।
৪। দলিলটি “হেবার ঘোষণাপত্র” বা “দানের ঘোষণাপত্র” হলে সেক্ষেত্রে দাতা-গ্রহিতার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পরীক্ষা করতে হবে। এ ধরনের দলিল নির্দিষ্ট কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে হয়ে থাকে। যথা- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে, পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে, আপন ভাই-বোনের মধ্যে, নানা-নানী ও নাতি-নাতনীর মধ্যে, দাদা-দাদী ও নাতি-নাতনীর মধ্যে। এ কয়েকটি সম্পর্কের বাইরে এ দুই ধরনের দলিল রেজিস্ট্রি হলে তা সঠিক নয় এবং এ ধরনের দলিল মুলে প্রাপ্ত জমি ক্রয় করা যাবে না।
৫। মূল মালিকের স্বাক্ষর নকল করে জাল দলিল তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করতে হবে।
৬। রেজিস্ট্রি অফিসের সীল জাল করে জাল দলিল তৈরি হলে প্রয়োজনে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন সীল পরীক্ষা করতে হবে।
৭। সম্প্রতি রেজিস্ট্রি করা কোন দলিলের সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখককে জিজ্ঞাসা করেও জাল দলিল সনাক্ত করা যেতে পারে।
৮। দলিলটি সাম্প্রতিক রেজিস্ট্রিকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল হলে সেটি নির্দিষ্ট ফরমেটে প্রস্তুত কিনা যাচাই করুন। কারন বর্তমানে ১৯ টি কলামে দলিলটি প্রস্তুতের বিধান রয়েছে।
৯। আইন ও বিধি সম্মতভাবে পাওয়ারদাতা কর্তৃক পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দলিল বাতিল করার পরও পাওয়ার গ্রহিতা বা অ্যাটর্নি কর্তৃক কোন দলিল সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রি করালে দলিলটি জাল বলে গন্য হবে।
১০। সি,এস, জরিপ পরবর্তী সময়ে জমিটি যতবার বিক্রি বা অন্যভাবে হস্তান্তর হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি-না, তা যাচাই করুন।
১১। দলিলে ব্যবহৃত নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প সাধারনত সনদপ্রাপ্ত কোন স্টাম্প-ভেন্ডারের কাছ থেকে কেনা হয়। স্টাম্প-ভেন্ডারগণ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রেজিস্টার বহিতে স্টাম্প ক্রেতার নাম লিখে রাখেন এবং স্টাম্পে নির্দিষ্ট নম্বর ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে স্টাম্প ভেণ্ডারের মাধ্যমে স্টাম্প ক্রেতার নাম ও ব্যবহৃত নম্বর পরীক্ষা করে জাল দলিল সনাক্ত করা যায়।
এখানে ক্লিক করে জেনে নিন, দলিল জাল হলে কি করবেন? কিভাবে তা বাতিল করবেন?
এখানে ক্লিক করে জেনে নিন, রেজিস্ট্রি অফিসে কিভাবে জাল দলিল সৃষ্টি হতে পারে।
বালাম বহি তল্লাশ ও দলিলের নকল প্রাপ্তির পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
সকল দলিলের রেজিস্ট্রি খরচসহ অন্যান্য তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন।
সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কিত সকল দলিলের নমুনা ফরমেট পেতে এখানে ক্লিক করুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের
পাওয়্যার এর্টনি দলিল করার পর যদি দাতা মারা যায় তবে কি দলিল বাতিল হয়ে যায়
mdhasan215360@gamil
জাল দলিল অনলাইনে দেখুন
বেলায়েত হোসেন, পিতা: শাহাজাহান হোসেন, নোয়াখালী ৬ , হাতিয়া , বুডিরচর মৌজা
এই দলিল টা আমি চাই।
আমার নাম পিপুল বা নেএকোনা কেন্দুয়া পাঁচহার আমার নামে কতো শতাংশ জমি দেওয়া আছে তা জানতে চাই
আমার নাম পিপুল নেএকোনা কেন্দুয়া পাঁচহার আমার নামে কতো শতাংশ জমি দেওয়া আছে তা জানতে চাই
Land register
আর এস খথিয়ান আমার নানার নামে কিন্তু বি এস জালি আথি করে নিয়েছ করনিও কি