রক্তসম্পর্কের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা নয়টিঃ
যথা: মা, বোন, মেয়ে, দাদী, নানী, খালা, ফুফু, ভাতিজী, ভাগ্নী|
দুগ্ধপানের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞাঃ
কোন ছেলেসন্তান জন্মের প্রথম দু’বছরের মধ্যে আপন মা ছাড়া রক্তসম্পর্কের বাইরে যদি কোন মহিলার স্তন্যদুগ্ধ পান করে থাকে, তবে তাকে ঐ ছেলে সন্তানের দুধমাতা বলা হয়| বিবাহের ক্ষেত্রে আপন মায়ের মত ঐ মহিলার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তাই একজন পুরুষের জন্য তার দুধমাতার সঙ্গে এবং দুধমাতার বোন ও মেয়ের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ।
বিবাহের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞাঃ
১। সৎ-মা, সৎ-দাদি, সৎ-নানী
২। কোন না কোন সময় সহবাস করেছে এমন স্ত্রীর কন্যা
৩। শাশুড়ি, নানী-শাশুড়ি, দাদি-শাশুড়ি
৪। ছেলের বউ, নাতির বউ
৫। স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকা অবস্থায় তার বোন, খালা, ফুফু, স্ত্রীর ভাইয়ের অথবা বোনের কন্যা।
ধর্মের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞাঃ
একজন মুসলিম পুরুষ কোন মুশরিক (মূর্তিপূজারী) বা কাফির (অবিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে করতে পারবে না, শুধুমাত্র কোন মুসলিম নারী এবং পাশাপাশি কোন ইহুদি বা খ্রিষ্টান নারীকেও বিয়ে করতে পারবে। অপরদিকে একজন মুসলিম নারী শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষকেই বিয়ে করতে পারবে।
অর্থাৎ যাদের সাথে বিয়ে নিষিদ্ধঃ
পুরুষের জন্যঃ মা, সৎমা, বোন, সৎবোন, দাদী, বড়দাদী এবং তাদের মাতৃসম্পকের পূর্বসূরী নারীগণ, নানী, বড়নানী এবং তাদের মাতৃসম্পর্কের পূর্বসূরীগণ, কন্যাসন্তান, নাতনী, নাতনীর কন্যাসন্তান এবং জন্মসূত্রে পরবর্তী প্রজন্মসমূহের নারীগুণ (উদাহরণঃ নাতনীর কন্যার কন্যা ও তার কন্যা ইত্যাদি), ফুফু, খালা, সৎমেয়ে, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা, দুধবোন, দুধমায়ের বোন, আপন পুত্রের স্ত্রী, শাশুড়ী, সমলিঙ্গের সকল ব্যক্তি অর্থাৎ সকল পুরুষ এবং জৈবিকভাবে নারী ব্যতীত অন্য যে কোন লিঙ্গের ব্যক্তি, মুর্তিপুজারী বা মুশরিক বা বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী নারী (নারীদের জন্য সকল অমুসলিম পুরুষ), আপন দুই বোনকে একসাথে বিয়ে করা, (নিজ স্ত্রীর সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর অথবা তাঁর মৃত্যুর পর অপর বোনকে বিয়ে করতে পারবে। ইসলামে নারীদের জন্য বহুবিবাহ অর্থাৎ একই সময়ে একের অধিক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকার অনুমতি না থাকায় বিপরীতভাবে নারীদের জন্য এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না।)
বিঃদ্রঃ নারীর জন্যেও লিঙ্গীয় বিবেচনায় বিপরীতভাবে উপর্যুক্ত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
Add comment