খারিজ বা নামজারী (Mutation) কি কেন করবেন

খারিজ বা নামজারী (Mutation) কি? কেন করবেন?

Last Updated on 08/02/2023 by Asif

খারিজ/নামজারি (Mutation) এর সংজ্ঞাঃ

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৪৩ ধারা মোতাবেক কোন ব্যক্তি কোন জমির মালিকানা লাভ করার পর, পূর্ব মালিকের নামের পরিবর্তে নতুন মালিকের নাম সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত করা বা তার নিজ নামে নতুন খতিয়ান খোলার বা রেকর্ড হালনাগাদকরনের যে কার্যক্রম তাকে খারিজ/নামজারি বা মিউটেশন (Mutation) বলে ।

সাধারণত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জরিপ বিভাগ কর্তৃক ভূমি জরিপের মাধ্যমে রেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। ফলে জরিপ বিভাগ কর্তৃক দুই জরিপের মধ্যবর্তী সময়ে কোন খতিয়ানের মালিকের মৃত্যুর ফলে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে, আদালতের আদেশ বলে, খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার ফলে, সিকস্তি-পয়স্তির কারনে কিংবা দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে জমি হস্তান্তরের ফলে ভূমি মালিকানার পরিবর্তনে খতিয়ান হালনাগাদকরন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পরে। এক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) খারিজ/নামজারি বা মিউটেশনের মাধ্যমে খতিয়ান হালকরনের কাজ করে থাকে। 

আপনি কেন খারিজ/নামজারি/নিউটেশন করবেন?

  • যে কোনো সময় জমি বিক্রয় করা যাবে (রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৫২এ ধারা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫৩সি ধারা অনুসারে, উত্তরাধিকার ব্যতিত অন্য কোন ভাবে প্রাপ্ত জমির নামজারি খতিয়ান না থাকলে সে জমি বিক্রয় করা যায় না)।
  • ভূমির মালিকানা হালনাগাদ হবে।
  • ভূমি উন্নয়ন কর আদায়/প্রদান করা সহজ হবে।
  • খতিয়ান হালনাগাদ থাকার ফলে জরিপ কাজে সুবিধা হবে।
  • সরকারের খাস জমি সংরক্ষণে সুবিধা হবে।
  • নদী পয়স্তিজনিত কারনে রেকর্ড সংশোধন হবে।
  • মূল ভূমি মালিকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকারগণের মালিকানার নির্দিষ্ট অংশ সম্বলিত খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
  • রেজিস্ট্রিকৃত দলিলমূলে জমি হস্তান্তরের কারণে ক্রেতা বা গ্রহিতার নামে খতিয়ান প্রস্তুত হবে।
  • মামলা-মোকদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  •  বিক্রেতা আপনার ক্রয়কৃত জমি দ্বিতীয়বার বিক্রি করতে পারবে না।

সর্বোপরি যে কোন বিতর্কের সময় মালিকানা বা দখল প্রমাণের ক্ষেত্রে নামজারি সংক্রান্ত কাগজাপত্রাদি গুরুত্বপূর্ন কাগজ হিসাবে বিবেচিত হবে।


সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

4 comments

error: Content is protected !!