নামজারি/খারিজ বিষয়ক পরামর্শঃ
১। ক্রয়মূলে বা অন্য কোন দলিলের মাধ্যমে জমি প্রাপ্তির পর মূল দলিল পেতে দেরি হলে উক্ত দলিলের নকল (সার্টিফাইড কপি) সংগ্রহ করে দ্রুত নামজারির আবেদন করুন।
২। জমির মূল মালিকের মৃত্যুর পর সকল ওয়ারিশ একত্রে রেজিস্ট্রি অফিসে বাটোয়ারা/বন্টননামা দলিল রেজিস্ট্রি করুন এবং প্রত্যেকে পৃথকভাবে নামজারির আবেদন করুন।
৩। নামজারি খতিয়ান এবং ডিসিআর প্রাপ্তির সাথে সাথে আপনার নামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হিসাব খোলা নিশ্চিত করুন এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করে দাখিলা নিন।
৪। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও যে কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।
৫। ভূমি অফিসের নির্ধারিত ফরমে অথবা এখানে ক্লিক করে অনলাইনে জমি খারিজ/নামজারির আবেদন করুন।
খারিজ/নামজারির আবেদন না-মঞ্জুর হলে কি করবেন?
সম্পত্তিতে আপনার মালিকানা সম্পর্কিত ত্রুটি অথবা দলিল বা অন্যান্য কাগজপত্রে কোন ত্রুটির কারণে বা অন্য যে কোনো কারণেই খারিজ/মিউটেশন/নামজারির আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগও রয়েছে। নামজারিতে আপনার অধিকার ক্ষুন্ন হলে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে তার যথাযথ প্রতিকার না পেলে আপীল, রিভিশন বা রিভিউ এর মাধ্যমে প্রতিকার পেতে পারেনঃ
১। নামজারির বিষয়ে কোন ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের নিকট আপিল করতে হবে, জেলা প্রশাসক কর্তৃক আদেশের বিরুদ্ধে ৬০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করতে হবে এবং বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যে ভূমি আপিল বোর্ডে আপিল করতে হবে।
২। এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। অসন্তুষ্ট ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে কিংবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন।
৩। যদি আপিল বা রিভিশন না করা হয়, তবে রিভিউ এর পথ খোলা থাকবে। রিভিউ মানে হচ্ছে পুনর্বিবেচনা করা। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরে রিভিউ এর জন্য আবেদন করতে হবে। আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ এর জন্য আবেদন করতে হয়।
awesome. may allah give blessed the person who made this….Ameen
Thank you, ameen.