অবৈধভাবে ভূমি দখল করলে করণীয় কি জানুন।

অবৈধভাবে ভূমি দখল করলে করণীয় কি জানুন।

Last Updated on 24/05/2024 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

 

কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তার দখলীয় ভূমি হতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হলে, তিনি দখল পুনরুদ্ধার করার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৮ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন। নিম্নে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর ৮ ধারা তুলে ধরা হলো-

ধারা ৮। অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার । – (১) কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তাহার দখলীয় ভূমি হইতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হইলে, তিনি দখল পুনরুদ্ধার করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনানুগ প্রক্রিয়া ব্যতীত উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, তাহাকে তাহার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করিবার নিমিত্ত যথাযথ আদেশ প্রদান ও এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য, উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ ও সরেজমিন তদন্ত করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথভাবে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কোনো পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকিলে সরেজমিনে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করিবার পর লিখিত আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদন প্রাপ্তির পর হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহার নিষ্পত্তি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দখল পুনরুদ্ধার করিতে হইবে এবং কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ উহাতে অসহযোগিতা বা অবহেলা করিলে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নিজে বা তদকর্তৃক নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন।

(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন বা অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া আদেশ জারি করিতে পারিবেন।

(৭) কোনো দেওয়ানি আদালতে দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে একই বিষয়ে এই ধারার অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালত তাহার নিকট দায়েরকৃত বা বিচারাধীন কোনো মামলা উহার কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে বা স্বীয় বিবেচনায় এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।

(৮) এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের অন্যান্য পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৪৫ এর বিধান অনুসরণ করিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

 

তথ্যসূত্রঃ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩

 

 

ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা।– Procedure where dispute concerning land, etc., is likely to cause breach of peach

  1. (1) Whenever a District Magistrate, or an Executive Magistrate specially empowered by the Government in this behalf is satisfied from a police-report or other information that a dispute likely to cause a breach of the peace exists concerning any land or water of the boundaries thereof, within the local limits of his jurisdiction, he shall make an order in writing, stating the grounds of his being so satisfied, and requiring the parties concerned in such dispute to attend his Court in person or by pleader, within a time to be fixed by such Magistrate, and to put in written statements of their respective claims as respects the fact of actual possession of the subject of dispute.

(2) For the purposes of this section the expression “land or water” includes buildings, markets, fisheries, crops or other produce of land, and the rents or profits of any such property.

(3) A copy of the order shall be served in manner provided by this Code for the service of a summons upon such person or persons as the Magistrate may direct, and at least one copy shall be published by being affixed to some conspicuous place at or near the subject of dispute.

 

 

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

Add comment

error: Content is protected !!