ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩

Last Updated on 24/05/2024 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

 

ঢাকা, ৩ আশ্বিন, ১৪৩০ / ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৩ আশ্বিন, ১৪৩০ মোতাবেক ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে: —

২০২৩ সনের ৩৬ নং আইন

ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের স্বীয় মালিকানাধীন ভূমিতে দখল ও প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে ভূমি সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রয়োজনীয় প্রতিকারের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ সুসংহত বিধান করা প্রয়োজন; এবং যেহেতু ভূমি বিরোধ দ্রুত নিরসন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :—

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন: – (১) এই আইন ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

 

২। সংজ্ঞা। (১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে

(১) “এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 6 এর sub-section (2) এর clause (b) এ বর্ণিত Executive Magistrate,

(২) “কর্তৃপক্ষ” অর্থে জেলা প্রশাসক, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ক্ষমতাপ্রাপ্ত আদালত বা অন্য কোনো কর্মকর্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩) “জেলা প্রশাসক” অর্থে জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা, ক্ষেত্রমত, জেলা প্রশাসক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

(৪) “জেলা ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 10 এ বর্ণিত District Magistrate;

(৫) “দলিল” অর্থে ভূমির মালিকানা হস্তান্তর বা বণ্টনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত বা কৃত যে কোনো দলিল, বায়না দলিল, রসিদ, আম মোক্তারনামা, নকশা, ক্ষেচ, ম্যাপ, হাত নকশা, খতিয়ান, ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা, বরাদ্দপত্র ছাড়পত্র, অনাপত্তিপত্র, এফিডেভিট এবং এতদসংক্রান্ত অন্য কোনো দলিলও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৬) “ফৌজদারি আদালত” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর অধীন পরিচালিত যে কোনো শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত;

(৭) “ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);

(৮) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৯) “ব্যক্তি” অর্থে যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, কোম্পানি, অংশীদারি কারবার, ফার্ম, সমিতি বা সংঘও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১০) “ভূমি” অর্থ State Acquisition and Tenancy Act, 1950 (Act No. XXVIII of 1951) এর section 2(16) এ সংজ্ঞায়িত Land,

(১১) “সরকারি স্বার্থযুক্ত ভূমি” অর্থ এইরূপ ভূমি যাহাতে, সরকার, জেলা প্রশাসক বা অন্য কোনো সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের স্বত্ব বা স্বার্থ রহিয়াছে।

(২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই, সেই সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি, ক্ষেত্রমত, Survey Act, 1875 (Act No. V of 1875), Transfer of Property Act, 1882 (Act No. IV of 1882), Non-Agricultural Tenancy Act, 1949 (Act No. XXIII of 1949) এবং State Acquisition and Tenancy Act, 1950 (Act No. XXVIII of 1950) এ যেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে।

 

৩। এই আইনের বিধানাবলির অতিরিক্ততা। এই আইনের বিধানাবলি অন্যান্য আইনের কোনো বিধানের ব্যত্যয় না হইয়া উহার অতিরিক্ত হইবে।

 

৪। ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড।— (১) ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেকর্ড হালনাগাদকরণ বা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিম্নবর্ণিত কোনো কার্য ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) অন্যের মালিকানাধীন ভূমি স্বীয় মালিকানাধীন ভূমি হিসাবে প্রচার করা;

(খ) তথ্য গোপন করিয়া কোনো ভূমি, সম্পূর্ণ বা উহার অংশবিশেষ, কোনো ব্যক্তি বরাবর হস্তান্তর বা সমর্পণ করা;

(গ) স্বীয় মালিকানাধীন ভূমির অতিরিক্ত ভূমি বা অন্যের মালিকানাধীন ভূমি, তকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া, কোনো ব্যক্তি বরাবর হস্তান্তর বা সমর্পণ করা;

(ঘ) কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তি বলিয়া মিথ্যা পরিচয় প্রদান করিয়া বা জ্ঞাতসারে এক ব্যক্তিকে অপর ব্যক্তিরূপে প্রতিস্থাপিত করিয়া কোনো ভূমি সম্পূর্ণ বা উহার অংশবিশেষ হস্তান্তর বা সমর্পণ করা:

(ঙ) মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিল স্বাক্ষর বা সম্পাদন করা;

(চ) কর্তৃপক্ষের নিকট মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করা; এবং

(ছ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো কার্য সম্পাদন।

(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে তজ্জন্য তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

৫। ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড। (১) ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেকর্ড হালনাগাদকরণ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নিম্নবর্ণিত কোনো কার্য ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) কোনো ব্যক্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট সাধন করিবার বা কোনো দাবি বা অধিকার সমর্থন করিবার অথবা কোনো ব্যক্তিকে কোনো সম্পত্তি পরিত্যাগ বা চুক্তি সম্পাদন করিতে বাধ্য করিবার অথবা প্রতারণা করা যাইতে পারে এইরূপ অভিপ্রায়ে কোনো মিথ্যা দলিল বা কোনো মিথ্যা দলিলের অংশবিশেষ প্রস্তুতকরণ;

(খ) কোনো দলিল বা উহার অংশবিশেষ এইরূপ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক বা তাহার কর্তৃত্ববলে প্রস্তুত, স্বাক্ষরিত, সিলমোহরকৃত বা সম্পাদিত বলিয়া বিশ্বাস করিবার অভিপ্রায়ে, যে ব্যক্তি কর্তৃক বা যে ব্যক্তির কর্তৃত্ববলে উহা প্রস্তুত, স্বাক্ষরিত, সিলমোহরকৃত বা সম্পাদিত হয় নাই বলিয়া সে জ্ঞাত বা অবগত, অথবা এইরূপ কোনো সময়, যে সময় উহা প্রস্তুত, স্বাক্ষরিত, সিলমোহরকৃত বা সম্পাদিত হয় নাই বলিয়া সে জ্ঞাত বা অবগত, অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে অনুরূপ দলিল বা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুত, স্বাক্ষর, সিলমোহর বা সম্পাদন;

(গ) কোনো দলিল সম্পাদিত হইবার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে, অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে, উহার কোনো অংশ কর্তন করা বা অন্য কোনোভাবে উহার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশের পরিবর্তন;

(ঘ) সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুতকরণ;

(ঙ) অসাধু বা প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিল স্বাক্ষর, সিলমোহর, সম্পাদনা বা পরিবর্তন করিতে বাধ্য করা।

(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

৬। ভূমি বিষয়ক প্রতারণা ও জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ রোধে ব্যবস্থা ।— (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলায় কোনো দলিল প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত বা প্রস্তুতকৃত মর্মে প্রমাণিত হইলে, সংশ্লিষ্ট আদালত উক্ত মামলার রায় বা আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করিয়া উহা প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত বা প্রস্তুতকৃত মর্মে সংশ্লিষ্ট নথি, রেজিস্টার বা রেকর্ডপত্রে লিপিবদ্ধ করিবার আদেশ প্রদান করিবেন।

(২) ভূমি হস্তান্তর, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন, রেকর্ড হালনাগাদকরণ বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে প্রদর্শিত বা উপস্থাপিত কোনো দলিল বা তথ্য ভূমি বিষয়ক প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হইয়াছে মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করিয়া উহা বিচারার্থ উপযুক্ত ফৌজদারি আদালতে প্রেরণ করিবে।

(৩) কোনো ব্যক্তির নামে ভূমির State Acquisition and Tenancy Act, 1950 (Act No. XXVIII of 1951) এর section 143 বা 144 এর অধীন প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকিলে এবং অনুরূপ খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণক প্রদর্শনে ব্যর্থ হইলে, তিনি উক্ত ভূমি বিক্রয়, দান, হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল রেজিস্ট্রেশন করিতে পারিবেন না;

তবে, শর্ত থাকে যে, এই ধারার বিধানাবলি দ্বারা কোনো ভাবেই (Registration Act, 1908 (Act No. XVI of 1908) বিধানাবলি খর্ব করিবে না।

 

৭। অবৈধ দখল প্রতিরোধ ও দণ্ড। ( ১ ) State Acquisition and Tenancy Act, 1950 (Act No. XXVIII of 1951) এর section 143 বা 144 এর অধীন প্রণীত হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান মালিক অথবা তাহার নিকট হইতে উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকার প্রাপ্ত না হইলে, কোনো ব্যক্তি উক্ত ভূমি স্বীয় দখলে রাখিতে পারিবেন না।

(২) আইনানুগভাবে দখলের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তাহার দখলীয় ভূমি হইতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা যাইবে না এবং তাহাকে উক্ত ভূমির দখল বা উহাতে প্রবেশে বাধা প্রদান করা যাইবে না।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধান লংঘন করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তরের মাধ্যমে মালিকানাপ্রাপ্ত ভূমির দখলদার ব্যক্তি রেকর্ড সংশোধন বা স্বীয় স্বত্ব ঘোষণার দাবিতে মামলা বা অন্য কোনো কার্যধারা দায়ের করিয়া থাকিলে তাহার উক্ত কার্য এই ধারার অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।

 

৮। অবৈধভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার । – (১) কোনো ব্যক্তিকে উপযুক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষের আদেশ ব্যতীত তাহার দখলীয় ভূমি হইতে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হইলে, তিনি দখল পুনরুদ্ধার করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনানুগ প্রক্রিয়া ব্যতীত উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করা হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, তাহাকে তাহার পূর্ব-দখলীয় ভূমিতে দখল পুনর্বহাল করিবার নিমিত্ত যথাযথ আদেশ প্রদান ও এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য, উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ ও সরেজমিন তদন্ত করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যথাযথভাবে নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কোনো পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকিলে সরেজমিনে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করিবার পর লিখিত আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদন প্রাপ্তির পর হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহার নিষ্পত্তি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দখল পুনরুদ্ধার করিতে হইবে এবং কোনো কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ উহাতে অসহযোগিতা বা অবহেলা করিলে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি নিজে বা তদকর্তৃক নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করিতে পারিবেন।

(৬) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংশ্লিষ্ট জেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন বা অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া আদেশ জারি করিতে পারিবেন।

(৭) কোনো দেওয়ানি আদালতে দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে একই বিষয়ে এই ধারার অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদালত তাহার নিকট দায়েরকৃত বা বিচারাধীন কোনো মামলা উহার কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে বা স্বীয় বিবেচনায় এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।

(৮) এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের অন্যান্য পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৪৫ এর বিধান অনুসরণ করিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

 

৯। ক্রেতা বরাবর বিক্রিত ভূমির দখল হস্তান্তর না করিবার দণ্ড।– বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত মূল্যের সম্পূর্ণ অর্থ বিক্রেতা বরাবর পরিশোধ করা সত্ত্বেও যদি তিনি, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, ক্রেতা বরাবর উক্ত ভূমির দখল হস্তান্তর না করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১০। সীমানা বা ভূমির ক্ষতিসাধনের দণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির আইনানুগভাবে দখলকৃত ভূমির সীমানা বা সীমানা চিহ্নের ক্ষতিসাধন করেন অথবা এইরূপ কোনো কার্য করেন যাহাতে উক্ত ভূমি অথবা উহাতে অবস্থিত স্থাপনা, বৃক্ষ, ফসলের কোনো ক্ষতি সাধিত হয়, তাহা হইলে অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১১। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির অবৈধ দখল, প্রবেশ বা কোনো কাঠামো নির্মাণ বা ক্ষতিসাধনের দণ্ড।— যদি কোনো ব্যক্তি সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থযুক্ত বা জনসাধারণের ব্যবহার্য কোনো ভূমি অবৈধ উপায়ে দখল বা উহাতে প্রবেশ করেন বা কোনো স্থাপনা বা কাঠামো নির্মাণ করেন অথবা উক্ত ভূমি বা উহার কোনো স্থাপনা, বৃক্ষ বা সীমানা চিহ্নের কোনো ক্ষতিসাধন করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১২। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থযুক্ত বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধ ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন, ইত্যাদির দণ্ড।- যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থযুক্ত বা জনসাধারণের ব্যবহার্য কোনো ভূমি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ভরাট করিয়া উহার শ্রেণি বা প্রকৃতি পরিবর্তন করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো কার্য দ্বারা স্থায়ীভাবে পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হইলে উহা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১নং আইন) অনুযায়ী বিচারযোগ্য হইবে।

 

১৩। মাটির উপরি-র কর্তন ও ভরাটের দণ্ড।— যদি কোনো ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিরেকে আবাদযোগ্য বা কর্ষণীয় জমির উপরি-স্তর কর্তন করেন অথবা জমির রেকর্ডীয় মালিকের বিনা অনুমতিতে জমিতে বালু বা মাটি দ্বারা ভরাট করেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ব্যক্তি তাহার বসতবাড়ি নির্মাণ বা স্বীয় প্রয়োজনে স্বীয় মালিকানাধীন ভূমি হইতে সীমিত পরিসরে, জমির উর্বরতার ক্ষতিসাধন না করিয়া, ভূমি কর্তন বা উত্তোলন করিলে উহা এই ধারার অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।

 

১৪। অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা । – (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১১, ১২ বা ১৩ এ বর্ণিত অপরাধমূলক কোনো কার্য করেন, তাহা হইলে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট ভূমি হইতে বেআইনী দখল, স্থাপনা, প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করিতে এবং উক্ত ভূমিকে উহার পূর্বের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে যথাযথ আদেশ প্রদান ও এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

(২) এই ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত Government and Local Authority Lands and Buildings (Recovery of Possession) Ordinance, 1970 (Ordinance No. XXIV of 1970) এর বিধান অনুসরণ করিয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।

 

১৫। আদেশ অমান্যে দণ্ড।- যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য বা লঙ্ঘন করেন বা উহা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন, তাহা হইলে উক্তরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১৬। অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনার দণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনে বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনা প্রদান করেন তাহা হইলে উক্তরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি প্রকৃত অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১৭। অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড।- এই আইনের কোনো ধারার অধীন কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়া সাজাপ্রাপ্ত হইলে এবং পরবর্তীতে একই অপরাধ পুনঃসংঘটন করিলে তিনি যে ধারায় ইতিপূর্বে দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন উক্ত ধারায় নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ পরিমাণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

১৮। কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি কোনো কোম্পানি বা ফার্ম হইলে, তাহা বাংলাদেশে নিগমিত (incorporated) হউক বা না হউক, উক্ত কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উহা রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।

 

১৯। অপরাধের বিচার।– (১) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, আমলযোগ্য (cognizable), ধারা ৪ ও ৫ এ বর্ণিত অপরাধ অ-জামিনযোগ্য (non-bailable), অন্যান্য ধারায় বর্ণিত অপরাধ জামিনযোগ্য এবং আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে।

(২) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।

(৩) এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে সমাপ্ত করিতে হইবে।

(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন অপরাধের বিচার ও আপিলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

 

২০। ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার।- (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের বিচারকালে যদি কোনো ফৌজদারি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে দখল অর্পণ করা আবশ্যক, তাহার হইলে আদালত তদ্‌উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে।

(২) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের বিচারকারী ফৌজদারি আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয়। যে, সংঘটিত অপরাধের ফলশ্রুতিতে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত অপরাধীর নিকট হইতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে ও এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

২১। সাক্ষীর সুরক্ষা।— ফৌজদারি আদালত সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিত্তে বা স্থীয় বিবেচনায় বিচারাধীন মামলার বাদী বা কোনো সাক্ষীকে নিরাপত্তা বা সুরক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

২২। মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য।এই আইনের ধারা ৪, ৫, ১৫ ও ১৭ এ বর্ণিত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হইবে ।

 

২৩। ভূমির তথ্য সম্বলিত সমন্বিত ডাটাবেজ প্রস্তুতকরণ ।— (১) সরকার, সরকারি স্বার্থযুক্ত. দেওয়ানি মোকদ্দমাভুক্ত, ফৌজদারি মামলা ও সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বা দায়বদ্ধ জমির তথ্য এবং ভূমি হস্তান্তর নিবন্ধন, জরিপ, রেজিস্ট্রেশন ও রেকর্ড হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি ও যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে আন্তঃব্যবহারযোগ্য সমন্বিত ডাটাবেজ প্রস্তুত করিবে।

(২) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষসমূহ উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।

 

২৪। সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা।— (১) এই আইনের অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবে।

(২) কর্তৃপক্ষ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনবোধে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি বা কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে এক বা একাধিক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিয়োগের উদ্দেশ্যে আবশ্যকীয় খরচের পরিমাণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে, যাতা প্রতিকার প্রার্থী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থা অথবা প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় হইবে।

 

২৫। অস্পষ্টতা দূরীকরণ।এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, আইনের অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

২৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।— এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, তবে বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার আদেশ দ্বারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

২৭। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ ।— (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞান দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

 

কে, এম, আব্দুস সালাম

সিনিয়র সচিব।

 

তথ্যসূত্রঃ ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩

 

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

Add comment

error: Content is protected !!