আই জি আর ইন্সট্রাকশন ১৮ তম অধ্যায় ও ১৯ তম অধ্যায়

Last Updated on 24/06/2025 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

অধ্যায় ১৮ 

কার্যালয়ের কার্যপ্রণালী


১৯১। উপস্থিতির সময়সূচি।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এবং তাহার কার্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ, সময় সময়, সরকার নির্ধারিত সকল কার্যদিবসেও সময়ে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকিবেন।


১৯২। শ্রমসাধ্য কাজ আয়ত্তকরণের ব্যবস্থা।– নিবন্ধন কার্যালয়ে নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজের পরিমাণ বৎসরব্যাপী একরূপ না হওয়ায় বৎসরের ব্যস্ততম সময় সাব-রেজিস্ট্রার তাহার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীবৃন্দসহ কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে উপস্থিত হইবেন এবং পরে শেষ করিবেন। এইরূপ কাজ আয়ত্তে রাখিবার জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীবৃন্দের প্রত্যেককে সকাল এবং বিকাল দুই বেলাতেই কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজ করিতে হইবে। সহকারী অনুপস্থিত থাকিলে সাবরেজিস্ট্রার কর্তৃক নিয়ােজিত কোন স্থায়ী মােহরারের সম্মুখে অতিরিক্ত নকলনবিসগণ কাজ করিবেন। সহকারী মােহরারের নিকট দলিল সরবরাহ করিবেন এবং পরবর্তী দিন তিনি মােহরারের নিকট হইতে পূর্বে প্রদত্ত দলিলগুলি গণনা করিয়া বুঝিয়া লইবেন এবং কোন পরিবর্তন করা হইয়াছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য দলিলগুলি পরীক্ষা করিবেন।


১৯৩। চাবির তত্ত্বাবধান।- রেকর্ডরুমের চাবি এবং রেকর্ডপত্র যে সকল আলমারিতে রক্ষিত হয় সেই সকল আলমারির চাবি, কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের পরে বা ছুটির দিনে, যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না সেইরূপক্ষেত্রে রেকর্ডকিপার বা সহকারীর নিকট অর্পণ করা যাইবে না। যে লােহার সিন্ধুকে সরকারি অর্থ রাখা হয় উহার চাবি স্বয়ং সাবরেজিস্ট্রার কর্তৃক রক্ষিত হইবে।


১৯৪। সাব-রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে রেজিস্টার বহি নামানাে-উঠানাে।- যদি সাব-রেজিস্ট্রার স্বয়ং কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকেন তাহা হইলে, কোন রেজিস্টার বহি উঠানাে-নামানাে যাইবে না, রেকর্ডরুম বা রেকর্ড রাখিবার অন্য কোন আলমারি খােলা যাইবে না, কিন্তু মাঝে মধ্যে যেক্ষেত্রে কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকিতে বাধ্য হন বা নৈমিত্তিক ছুটি। বা অন্য কোন কারণে অনুপস্থিত থাকেন, সেইক্ষেত্রে চলতি ১ ও ৪ নং রেজিস্টার বহি এবং চলতি সূচিবহি সহকারীর তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা যাইতে পারে, যাহাতে সাব-রেজিস্ট্রারের এইরূপ অনুপস্থিতির সময় সহকারীর ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে নকল ও সূচির কাজ অব্যাহত থাকে। সাব-রেজিস্ট্রারের। প্রত্যাবর্তনের পর, তাহার অনুপস্থিতির সময় কৃত নকল ও সূচির কাজ তিনি স্বয়ং এলােপাতাড়িভাবে পরীক্ষা করিবেন।


১৯৫। যে সকল বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করিতে হইবে।- প্রতিটি নিবন্ধন কার্যালয়ের দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে যেখানে জনসাধারণের সহজ প্রবেশাধিকার রহিয়াছে, সেখানে নিম্নবর্ণিত বিজ্ঞপ্তিসমূহ প্রদর্শন করিতে হইবে ।

(১) নিবন্ধন ফিসের বিস্তারিত তালিকা (ধারা ৭৯)।

(২) দলিল দাখিলের সময়-সূচির বিজ্ঞপ্তি (বিধি ১১৩)।/

(৩) রেজিস্ট্রার কর্তৃক অনুমােদিত দুরত্ব-তালিকা (উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ৫৭)।

(৪) সমাপ্তকৃত দলিলের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি (বিধি ১১৪)।

(৫) সকল প্রকার আবেদন সরাসরি সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সম্পাদনকারীগণ কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইলে সনাক্তকরণ পদ্ধতি সম্বন্ধে উপদেশাবলি, দলিল প্রস্তুতকরণ ও সঠিক স্ট্যাম্প শুল্কের বিষয়ে বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান করিবেন – এই মর্মে একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি (ফরম নং ৩, পরিশিষ্ট ৭ দ্রষ্টব্য)।

(৬) পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবলিত বিজ্ঞপ্তি (ফরম নং ৪, পরিশিষ্ট ৭ দ্রষ্টব্য)।

(৭) প্রত্যাহৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির তালিকা।

(৮) উইল ব্যতীত অন্য সকল প্রকার দলিল যাহা দুই বৎসরের অধিককাল যাবত দাবিবিহীন অবস্থায়। নিবন্ধন কার্যালয়ে রহিয়াছে উহা বিনষ্টযােগ্য- এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি [উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ২৫(গ)]।

(৯) সাধারণত যে সময়ে তল্লাশ এবং নকলের আবেদন গ্রহণ করা হইবে উহা উল্লেখ করিয়া বিজ্ঞপ্তি। [উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ২৩৬(৪)]।

(১০) সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকগণের তালিকা [ দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা, ২০১৪ এর বিধি ৬]।

(১১) নাগরিক সেবার বিবরণ (Citizen Charter), অর্থাৎ নিবন্ধন কার্যালয় কর্তৃক যে সকল সেবা প্রদান করা হইয়া থাকে তৎসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি। [ দ্রষ্টব্য : নিবন্ধন। পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিধি/২০৫(৬১) তারিখ: ০৬.০১.২০০৮ইং ]


১৯৬। সমাপ্তকরণের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি।- (ক) সমাপ্তকরণের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি বাংলাভাষায় প্রদান করিতে হইবে। জেলা সদর কার্যালয়সমূহে ইহা হইবে ইংরেজি ও বাংলাভাষায়। প্রতিদিন, পূর্ববর্তী দিনের বিজ্ঞপ্তিটি অপসারণ করিতে হইবে এবং যত্ন সহকারে নথিভুক্ত করিতে হইবে। দৈনিক নােটিশসমুহ পঞ্জিকা বৎসর অনুসারে নম্বরযুক্ত হইবে, যাহা পরিদর্শন নির্বিশেষে অব্যাহত থাকিবে অর্থাৎ প্রতি পরিদর্শনের পর কোন নতুন নম্বর অনুবৃত্ত হইবে না। (খ) দৈনন্দিন নিবন্ধনের জন্য গৃহীত দলিলের নিবন্ধন কার্য সমাপ্ত করিতে যে সময় লাগিয়াছে, উহা প্রদর্শন করিয়া পরিশিষ্ট ৬ এর ফরম নং ৯ অনুযায়ী একটি বিবরণী সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে রাখিতে হইবে। প্রতি মাস শেষে বিভিন্ন কলামসমূহ যােগ করিতে হইবে।


১৯৭। প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ কর্তৃক নিয়মবহির্ভূত তথ্য সরবরাহকরণ নিষিদ্ধ।- প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ, প্রয়ােজনীয় তল্লাশ ফিস পরিশােধ ব্যতীত, যাহাতে সাধারণের নিকট কোন প্রকার তথ্য সরবরাহ না করে সেই বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ যত্নবান হইবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের পূর্বানুমােদন ব্যতীত, কার্যালয়ের রেকর্ড হইতে তথ্য সরবরাহের কারণে কোন সদস্য দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।


১৯৮। করণিকগণ কর্তৃক সমাপ্তকৃত রেজিস্টার বহি হইতে তথ্য সংগ্রহ নিষিদ্ধ।- রেজিস্টার বহিসমূহ, বিশেষ করিয়া তল্লাশি কিংবা নকল প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বাহির করিয়া দেওয়া ব্যতীত তালাবদ্ধ অবস্থায় রক্ষিত সম্পূর্ণ ও সমাপ্তকৃত বহিসমূহ হইতে করণিক/সহকারীগণকে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া যাইবে না।


১৯৯। নিরক্ষর সম্পাদনকারীদের নিকট দলিলের ব্যাখ্যাকরণ।- যে সকল সম্পাদনকারী লিখিতে বা পড়িতে পারেন না, তাহাদিগকে লেখক বা সাক্ষীগণ দ্বারা দলিলের ব্যাখ্যা করাইয়া লইবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উপদেশ দিবেন। উক্ত লেখক বা সাক্ষীগণ দলিলে নিম্নরূপ প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন:

“হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মূল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিল মুসাবিদা করিয়াছি/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগণকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি। দলিলটি … ফর্দে লিখিত।

কখ

লেখক/সাক্ষী”

যাহা হউক, এইরূপ প্রত্যায়নের অভাবে কোন দলিল অগ্রাহ্য করা যাইবে না বা উহা উচিত হইবে না।


২০০। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক সূচি পরীক্ষাকরণ ও নকল তুলনাকরণ।– প্রত্যেক নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার, মূল দলিলের সহিত রেজিস্টার বহিতে নকলকৃত নকলসমূহ তুলনা করিবেন, সুচির কাজ পরীক্ষা করিবেন এবং যে সকল দলিল তিনি তুলনা করিবেন বা যে সূচিভুক্তি পরীক্ষা করিবেন সেইগুলির নম্বর তাহার দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেন।


২০১। কোন কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণকালে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডপত্র পরীক্ষাকরণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ পরিশিষ্ট ৫ এর ২৪ নং ফরমে নির্ধারিত প্রত্যায়নপত্রকে নিছক ফরম হিসাবে গণ্য করিবেন না, কারণ প্রায়শ, দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মকর্তা সঠিক পরীক্ষা ব্যতীত, দায়িত্ব গ্রহণের প্রত্যায়নে স্বাক্ষর প্রদান করিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে একদিকে তালিকা বহি এবং ফি বহির সহিত, অপর দিকে বিদ্যমান রেকর্ডপত্রের অমিল পাওয়া গেলে দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ত্বরিত তাহা রেজিস্ট্রারের গােচরীভূত করিতে হইবে এবং, যথাশীঘ্র । সম্ভব, অমিলের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে হইবে। যদি এমন কোন বহি বা দলিল কার্যালয়ে পাওয়া। যায়, যাহা যথাক্রমে ফি বহিতে বা তালিকা বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই, বা যদি কোন বহি বা দলিল। যথাক্রমে তালিকা বহি ও ফি বহিতে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে, অথচ কার্যালয়ে পাওয়া যায় না, তাহা হইলে দায়িত্ব অর্পণকারী কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে এই অমিলের ব্যাখ্যা প্রদান করিবেন এবং তাহার প্রদত্ত ব্যাখ্যা দায়িত্ব গ্রহণ/অর্পণ প্রতিবেদনের সহিত জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করা। হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার তখন দায়িত্বপত্রটি তাহার মন্তব্য, যদি থাকে, সহকারে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয়ে প্রেরণ করিবেন।

অমিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রাপ্তির পর দায়িত্বপত্রটি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয়ে প্রেরণের পূর্বে জেলা রেজিস্ট্রার স্বয়ং ঘটনাস্থলে গমনকরত বিষয়টি তদন্ত করিবেন।


২০২। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ ব্যক্তিগতভাবে সকল ফিস গ্রহণ করিবেন।- দলিল নিবন্ধন সম্পর্কিত পরিশোধযােগ্য যাবতীয় ফিস ও জরিমানা, এবং উপরন্তু সিলমােহরযুক্ত খামে সংরক্ষিত উইল জমা অত্যাহার বা উন্মুক্তকরণের জন্য প্রদেয় ফিসসহ তলাশ এবং নকলের ফিস, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। কতৃক ব্যক্তিগতভাবে গৃহীত হইবে এবং তাহার দ্বারাই রসিদ মঞ্জুর করা হইবে। নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৪৪(১) দ্বারা প্রত্যাশিত এই গুরুত্বপর্ণ কর্তব্যটি অত্যধিক পরিমাণে দলিল দাখিলের ক্ষেত্রে মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী সদস্যের নিকট অর্পণ করা। যাইবে না এবং নগদে বা অন্যভাবে গৃহীত অর্থ ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি বা ব্যাংকে (যাহা প্রযােজ্য) জমা হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ উহার নিরাপত্তা বা কোন প্রকার ঘাটতি বা ক্ষতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন।


২০৩। চালানমূলে নিবন্ধন ফিস প্রেরণ। – যেক্ষেত্রে পিয়নের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিস ট্রেজারি সার ট্রেজারি বা সােনালী ব্যাংকে প্রেরণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে অর্থ প্রেরণের সহিত ৩ (তিন) ফদ চালান। সংযুক্ত করিতে হইবে। এই চালানের একটি অংশ ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি বা ব্যাংক (যাহা প্রযােজ্য), রাখিয়া দিবে এবং অপর দুইটি অংশ সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট ফেরত দেওয়া হইবে। ফেরতপ্রাপ্ত দুইটি অংশের এক অংশ সাব-রেজিস্টার সদর নিবন্ধন কার্যালয়ে সাপ্তাহিক অথ প্রেরণ বিবরণীর সহিত প্রতিপাদনের জন্য প্রেরণ করিবেন এবং অবশিষ্ট অংশটি পরিদর্শনকারী কর্মকর্তার নিরীক্ষার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার তাহার কার্যালয়ে রাখিয়া দিবেন।


২০৪। সাপ্তাহিক অর্থ প্রেরণের বিবরণী নিয়মিত দাখিলকরণ ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় কর্তৃক উহাদের পরীক্ষাকরণ।- (ক) অর্থ প্রেরণকারী কর্মকর্তাগণ সাপ্তাহিক বিবরণীর ফরমের (ফরম নং ৩, পরিশিষ্ট ৬) ১ম ও ২য় কলামে নিবন্ধন ফিস প্রেরণের নম্বর ও চালানের তারিখ লিপিবদ্ধ করিবেন। ক্যাশ বহিতেও অর্থ প্রেরণের বিপরীতে এইগুলি প্রদর্শিত হইবে।

(খ) রেজিস্ট্রারের নিবন্ধন কার্যালয় ট্রেজারি হইতে জ্ঞাপন-পত্র (advice list) পাওয়ার পর উহার সহিত এবং যেক্ষেত্রে পিয়নের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করা হয় সেইক্ষেত্রে চালানের সহিত সাপ্তাহিক বিবরণীতে প্রদর্শিত নিবন্ধন ফিস বাবদ প্রেরিত অর্থ পরীক্ষা করিবেন। স্থিতির পরিমাণ অধিক হইলে, যদি বিবরণীতে কোন ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ না থাকে (যাহা সর্বদা থাকা উচিত), তাহা হইলে, জেলা কার্যালয় কর্তৃক প্রেরণকারী কর্মকর্তার নিকট হইতে অবিলম্বে ব্যাখ্যা তলব করা হইবে।


২০৫। অর্থ আত্মসাতের প্রতিবেদন।- বিভাগীয় রাজস্ব বা প্রাপ্ত-অর্থের আত্মসাৎ বা ক্ষতির বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার কর্তৃক অবিলম্বে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতিবেদন পাঠাইতে হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর এবং প্রয়ােজনবশত, উপযুক্ত তদন্ত সম্পন্নের পর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ বরাবর। প্রেরণ করিবেন।


২০৬। পত্র যােগাযােগ।- পত্র-যােগাযােগের ক্ষেত্রে, পত্র-প্রাপক কর্মকর্তার নাম ও পদবি পত্রের শীর্ষে। উলেখ করিতে হইবে। সদর দফতরে থাকাকালীন সময়ে রেজিস্ট্রারগণের পত্রসমূহ তাহাদের নিজ স্বাক্ষরযুক্ত হইবে। যেক্ষেত্রে কোন রেজিস্ট্রার পরিদর্শনরত বা নৈমিত্তিক ছুটিরত থাকাবস্থায় কোন পত্রের খসড়া অনুমােদন করেন এবং উক্ত পত্র যদি সদর কার্যালয় হইতে প্রেরিত হয়, সেইক্ষেত্রে, রেজিস্ট্রারের নির্দেশ অনুসারে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সদর সাব-রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রারের পক্ষে পত্রটির পরিচ্ছন্ন কপিতে স্বাক্ষর প্রদান করিবেন।


২০৭। পত্র যােগাযােগ সংরক্ষণ পদ্ধতি।- (ক) সদর কার্যালয়ের চিঠি-পত্র, যতদূর প্রযােজ্য, নিম্নে উদ্ধৃত ১৯৪৩ সনের বেঙ্গল রেকর্ড ম্যানুয়েলের বিধানানুসারে সংরক্ষণ করিতে হইবে, এবং, যতদূর সম্ভব, পরিশিষ্ট ৭ এর ৭ নং ফরমে উল্লিখিত সংকলন অনুসারে বিন্যাস করিতে হইবে।

(খ) অধীনস্থ কার্যালয়সমূহে চিঠি-পত্র তিনটি সংকলনে বিন্যাস করা যাইতে পারে, যথা: (১) সাধারণ, (২) হিসাব এবং (৩) পরিসংখ্যান। সাধারণ সংকলনের অধীন চিঠি-পত্ৰসমূহ তিনটি উপ-সংকলনে বিন্যাস করা যাইতে পারে, যথা: (১) সরকার, (২) মহা-পরিদর্শক নিবন্ধন ও (৩) জেলা রেজিস্ট্রার। | গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্রসমূহের জন্য একটি নিরাপত্তা নথি সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(গ) সকল কার্যালয়ে কালানুক্রমিকভাবে বিন্যস্ত একটি স্বতন্ত্র নথিতে পরিদর্শন স্মারকসমূহ সংরক্ষণ করিতে হইবে।


রেকর্ড ম্যানুয়েল, ১৯৪৩ এর উদ্ধৃতাংশ।

প্রথম অধ্যায়।


ক- চলতি পত্রালাপ সম্পর্কিত

১। নিম্নবর্ণিত বিধানসমূহ একটি কার্যালয়ের চিঠি-পত্র শ্রেণি বিন্যাসকরণ, নিবন্ধন ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে সবিস্তারে ব্যবস্থা প্রদান করে। প্রথমত : বিভাগ (Departments) দ্বারা। দ্বিতীয়ত, প্রতি বিভাগে কাগজপত্রের সংকলন (Collections) দ্বারা, প্রতি সংকলন ইহার

পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা এবং স্বাতন্ত্র্যসূচক শিরােনাম দ্বারা। | তৃতীয়ত : প্রত্যেক সংকলনস্থিত নথিসমূহ (Files) দ্বারা, সংকলনের মধ্যে প্রতিটি নথি ইহার পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা এবং ইহার বিষয়বস্তু যাহার দ্বারা স্পষ্টভাবে আখ্যায়িত হয়। প্রত্যেক নথিস্থিত কাগজ সাধারণত ফুলস্কেপ আয়তন-বিশিষ্ট এবং উন্নত মানের হইবে। এই আয়তনের না হইয়া ফুলস্ক্যাপ কাগজের তুলনায় আকারে বড় হইলে একই পরিসরে খাপ খাওয়ানাের জন্য এইগুলিকে ভাজ করিতে হইবে, পক্ষান্তরে, ছােট হইলে ফুলস্কেপ কাগজের ফর্দের সহিত আঠা দিয়া লাগাইতে হইবে।

২। একই বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক পত্র আদান-প্রদান চলাকালে প্রাপ্ত প্রতিটি চিঠি এবং প্রেরিত কোন চিঠি বা স্মারকলিপির প্রতিটি খসড়া সহকারে একটি একক নথি গঠিত হইবে। প্রতিটি কাগজ সােজাসুজিভাবে কালানুক্রমিক বিন্যাসে রাখিতে হইবে, অর্থাৎ, প্রেরিত বা প্রাপ্ত প্রথম পত্রটি সর্বনিমে, পরবর্তীটি ইহার উপরে এবং ইত্যাকার, সর্বশেষ তারিখের পত্রটি শীর্ষে থাকিবে।

৩। (১) পত্ৰসমূহ যে নথিতে অন্তর্ভুক্ত, সেই নথির মধ্যে প্রতিটি পত্রে ‘ক্রমিক সংখ্যা শিরােনামে। একটি সংখ্যা বরাদ্দ করা হইবে, যাহা এই উদ্দেশ্যে আদর্শ নমুনা অনুসারে রক্ষিত পরিসরে বড়। আকারে সন্নিবিষ্ট হইবে।।

(২) বিধি ২২৭ এ উল্লিখিত বিধান মােতাবেক পত্রের সহিত প্রাপ্ত অন্যান্য কাগজপত্রে ক্রমিক সংখ্যার সঙ্গে বর্ণানুক্রমিক চিহ্ন প্রদান করিতে হইবে, যথা : কোন পত্রের ক্রমিক সংখ্যা ১২ হইলে উহার সঙ্গে প্রাপ্ত অন্যান্য কাগজপত্রে ১২(ক), ১২(খ), ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় চিহ্ন প্রদান করিতে হইবে।


১৯। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয় একটি জবাবের খসড়া তৈয়ার করিবেন, নতুবা আবশ্যক নির্দেশ প্রদান করিবেন। খসড়া জবাবটি ফুলস্কেপ আয়তনের ভিন্ন কাগজে হইবে, খােদ চিঠিটির উপর নহে, বা পরবর্তীকালে কার্যালয় কর্তৃক ভিন্ন কাগজে নকলকৃত হইবে। যদি নির্দেশটি পৃথক কাগজে লিখিত হয়, তাহা হইলে কাগজটি ফুলস্কেপ আকার বিশিষ্ট হইবে এবং উপরে বর্ণিত বিধি ৪ অনুসারে চিঠির সহিত গাঁথিয়া রাখিতে হইবে। যদি নির্দেশটি সংক্ষিপ্ত হয়, তাহা হইলে ইহা চিঠির বাম মার্জিনের খালি অংশে লেখা যাইতে পারে এবং চিঠিটির শেষভাগের খালি জায়গায় চলমান রাখা যাইতে পারে। অবশ্য চিঠিটির উপরে কিছুই লেখা যাইবে না এবং অবশ্যই যত্ন নিতে হইবে যাহাতে এই ধরনের নির্দেশ বা মন্তব্য নিয়মিত পরম্পরায় অপরটিকে অনুসরণ করে, একটি অপরটির নীচে এবং শেষ পর্যন্ত প্রয়ােজনে পত্রটির সহিত সংযুক্ত ফুলস্কেপ কাগজে অনুবর্তিত হইবে।

২১। প্রাপ্ত তাগিদপত্রকে নূতন চিঠি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, তবে যে চিঠির বিপরীতে উহা পাওয়া গিয়াছে, প্রাপ্ত চিঠি-পত্রের রেজিস্টারে ৫ম কলামে উহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এইগুলিকে। ‘গ’ শ্রেণির কাগজ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

২২। পত্রের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নূতন পত্র হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, বরং ইহা ইস্যু রেজিস্টারে সংশ্লিষ্ট পত্রের ৮ম কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ইস্যু করা। হয়, সেইক্ষেত্রে উহা প্রাপ্তি রেজিস্টারের শেষ কলামে একইভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ইহা ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত কাগজ হিসাবে গণ্য হইবে।

গ- প্রেরিত উত্তর সম্পর্কিত

২৩। একটি খসড়া লিখিত বা অনুমােদিত হইলে খসড়ার সকল পৃষ্ঠা, যদি একাধিক হয়, একত্রিত করিয়া উপরে বাম প্রান্তে সেলাই করিতে হইবে। খসড়ার সহিত সংলগ্নি থাকিলে ইহা খসড়ার সহিত রাখিতে হইবে এবং ইহাতে পৃথক ক্রমিক সংখ্যা দেওয়া হইবে না। যদি খসড়াটি পূর্বে গঠিত কোন নথির অন্তর্ভুক্ত না হয়, কিন্তু নূতন আদান-প্রদান সূচনা করে, তাহা হইলে ইহা একটি নতুন নথির মূল আধার গঠন করিবে, যাহাতে উক্ত সংকলনের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ক্রমিক নথি সংখ্যা বরাদ্দ করা হইবে এবং ইহা যে সংকলনের অন্তর্গত উহার অধীন সূচি রেজিস্টারে তৎক্ষণাৎ নথিটি তালিকাভুক্ত করিয়া একটি সঠিক বিষয় বা শিরােনাম উদ্ভাবন করিতে হইবে। প্রেরণের জন্য পরিচ্ছন্ন অনুলিপিটি নকলকারী নির্ধারিত ফরমে, যদি থাকে, প্রস্তুত করিবেন এবং স্বাক্ষরকরণের জন্য দাখিল করিবেন।। ২৪। প্রেরিতব্য পত্রটি চিঠি-পত্র প্রেরণ রেজিস্টার বহির ১ হইতে ৭ নং কলাম পূরণপূর্বক অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং যদি আবশ্যক হয়, ৯ ও ১০ নং ঘরে তাগিদ সংক্রান্ত বিষয় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২৫। কার্যালয়ে রক্ষিত খসড়া পত্রে রেজিস্টারের সংখ্যা, সংগ্রহ সংখ্যা এবং পত্রটি যে নথির অন্তর্ভুক্ত উহার সংখ্যাসহ তারিখ প্রদান করিতে হইবে।


ঘ- তাগিদপত্র সম্পর্কিত।

৩৯। তাগিদপত্র প্রেরণকালে সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে যাহাতে প্রার্থিত বিষয়বস্তু বা কোন। তদন্তের বিষয়ে ইপ্সিত জবাব আবশ্যিকভাবে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদত্ত হয়, যাহাতে। পত্রগ্রহণকারী কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রসংগ ব্যতিরেকেই তৎক্ষণাৎ জানিতে পারেন কি চাওয়া হইয়াছে।

৪১। কোন জবাবের প্রয়ােজন না হইয়েল গেঠিত চিঠি-পত্র রেজিস্টার বাহির ৭ম কলামে ‘জ, না’। (জৰাৰ নাই) দ্বারা ইহা ব্যক্ত করিতে হইবে।


ছ- নথি বিন্যাস এবং পত্রাদি সংগ্রহ সম্পর্কিত

৬২। প্রতিটি নথির শুরুতে ৰা শেষে একটি সাদা পষ্ঠা রাখিতে হইবে অর্থাৎ যে চিঠিপত্র নথিটি গঠন করে উহাদের তালিকা, যেভাবে প্রতিটি চিঠি গ্রহণ এবং প্রেরণ করা হয়, সেইভাবে পূর্বের নির্দেশানুসারে এই তালিকাটির একটি সংযােজনী তৈয়ার করিতে হইবে।

৬৩। ইংরেজি চিঠিপত্র যােগাযােগের সাদা পৃষ্ঠাটি শক্ত কাগজে মুদ্রিত করিতে হইবে। ইহা। তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ করিৰে কোন নথিতে কোন প্রয়ােজনীয় কাগজ পাওয়া যাইবে বা ইহা বিনষ্ট করা হইয়াছে।


ঝ- রেকর্ডের শ্রেণিবিন্যাস, সংরক্ষণ এবং বিনষ্টিকরণ সম্পর্কিত

৯০। ইংরেজি রেকর্ডপত্র বাংলাভাষার কাগজপত্রের ন্যায় একই নিয়মে শ্রেণিবদ্ধ করা হইবে। “ক” | শ্রেণি স্থায়িভাবে সংরক্ষণীয় কাগজপত্র, ‘খ’ শ্রেণি বার বৎসর পর বিনষ্টযােগ্য কাগজপত্র এবং ‘গ’ শ্রেণি যে সকল কাগজপত্র দুই বৎসরের অধিককাল রাখিবার প্রয়ােজন নাই, সেই সকল কাগজপত্র ধারণ করিবে। কোন শ্রেণিতে একটি পত্র অন্তর্ভুক্ত হইবে, সাধারণভাবে তাহা তৎক্ষণাৎ নির্ধারণ করা সম্ভব। এতদ্ব্যতীত অযথা পুঞ্জীভূত করা এবং এই কাজের প্রতি অবহেলা প্রতিরােধ করিবার জন্য সকল চিঠি-পত্র তৎক্ষণাৎ ‘ক’, ‘খ’ বা ‘গ’ শ্রেণিতে পৃথক করা এবং উহাদিগকে সুস্পষ্টভাবে ক, খ। এবং গ ইত্যাদি মােহর দ্বারা চিহ্নিত করা বাঞ্ছনীয়।

৯৭। ইংরেজি চিঠি-পত্র আদান প্রদানের প্রাপ্তি এবং প্রেরণ রেজিস্টার ভবিষ্যতে স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করা হইবে।


২০৮। সরকারি কার্যসংক্রান্ত আবেদন-নিবেদনের পদ্ধতি।- সরকারের নিকট আপিল এবং আবেদননিবেদন দাখিল, প্রাপ্তি ও প্রেরণের পদ্ধতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত যে সকল। আদেশ-নির্দেশ রহিয়াছে, উহা এই বিভাগের সকল কর্মচারীকে অনুসরণ করিতে হইবে।


২০৯। কোর্ট ফি স্ট্যাম্প বাতিলকরণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ (১৮৭০ সনের ৭ নং আইন) এর ধারা ৩০ এ বিধৃত অনুবিধি অনুসরণপূর্বক উক্ত আইনের অধীন ব্যবহৃত। স্ট্যাম্পসমূহ বাতিল করিবেন। উক্তরূপ স্ট্যাম্প যথাযথভাবে বাতিলের বিষয়টি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করিবেন।


২১০। বিশেষ ছুটির দিন।- জেলায় পালিত স্থানীয় ছুটির দিবসসমূহে জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে নিবন্ধন কাযালয় বন্ধ রাখা যাইতে পারে যাহার একটি তালিকা সদর কার্যালয় হইতে সংগ্রহ করা যাইতে পারে।


 

অধ্যায় ১৯

ধারা ৭২ এর অধীন আপিল, ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন এবং ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্ত।

২১১। আপিল বা আবেদন দাখিলকরণ।- যে অগ্রাহ্যের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে সেই আদেশের নকল ও যে দলিলের বিষয়ে অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদান করা হইয়াছে সেই মূল দলিলসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অগ্রাহ্যের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রার বা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ এর অধীন আপিল বা ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন লিখিতভাবে দাখিল করিতে হইবে। মূল দলিল অনকলকৃত থাকিলে, উহার অবিকল নকল এতদুদ্দেশ্যে দাখিল করা যাইবে।


২১২। দলিল উপস্থাপন সাপেক্ষে আপিল বা আবেদন গ্রহণ।- যদি কোন দলিল, আপিলকারী বা আবেদনকারী ব্যতীত অন্য কাহারও অধিকারে আছে বলিয়া উল্লেখ হয় এবং শেষােক্তজন উহা সংগ্রহ করিয়া উপস্থাপন করিতে বা উপস্থাপনের জন্য সমন জারির পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে সময়ের আবেদন। করেন, তাহা হইলে অনুরােধটি রক্ষা করা যাইতে পারে এবং দলিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আপিল বা আবেদনটি গ্রহণ করা যাইতে পারে।


২১৩। ধারা ৭২ এর অধীন আপিল এবং ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন নথিভুক্ত করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ।- (১) ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন আবেদনকারী বা ধারা ৩৩ দ্বারা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিবলে তাহার এজেন্ট কর্তৃক দাখিল করা যাইবে। (২) ধারা ৭২ এর অধীন আপিল সম্পাদনকারী বা গ্রহীতা বা তাহাদের যে কোন একজনের মনােনীত এজেন্ট কর্তৃক দাখিল করা যাইবে। (৩) কোন আপিল বা আবেদন ডাকযােগে প্রেরিত হইলে উহা গৃহীত হইবে না বা উহার উপর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।


২১৪। আপিল, আবেদন বা তদন্তে অনাদিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি।- নিবন্ধন আইনের ধারা ৪১(২) এর। অধীন উইল বা দত্তক গ্রহণের ক্ষমতাপত্রের সহিত সম্পৃক্ত কোন তদন্তে বা ধারা ৭২ এর অধীন কোন। আপিল বা ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন বা ধারা ৭৪ এর অধীন কোন মূল তদন্তে, লিগাল। প্র্যাকটিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ (Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972) এর অধীন গ্রহণযােগ্য নহে এমন ব্যক্তিদেরকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া। যাইবে না। অবশ্য যথাযথরূপে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিবলে প্রাধিকৃত হইলে এইরূপ। ব্যক্তিদেরকে এজেন্ট হিসাবে কার্য করা হইতে বিরত রাখা যাইবে না।


২১৫। ধারা ৭৩ ও ৭৪ এর অধীন আবেদনসমূহ তুরিত নিষ্পত্তিকরণ।- যে সকল সাব-রেজিস্ট্রার। নিবন্ধন আইনের ধারা ৭(২) এর অধীন রেজিস্ট্রারের কার্য সম্পাদন করিবার জন্য সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত হইয়াছেন, তাহাদিগকে নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৩ ও ৭৪ এর অধীন মামলাসমূহ তুরিত নিষ্পন্নকরণের প্রয়ােজনীয়তা স্মরণ রাখিতে হইবে। এই সকল ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হইল, দলিলটি কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে কি না উহা নির্ধারণের জন্য সাক্ষীগণকে পরীক্ষা করিতে হইবে এবং যদি গ্রহীতা কর্তৃক উপস্থাপিত কোন প্রমাণ থাকে, তাহা হইলে, এই বিষয়ে প্রতিপক্ষকে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করিয়া অবিলম্বে উহা গ্রহণ করিতে হইবে কি । তদন্তকারী কর্মকর্তা সম্পাদনের বিষয়ে। সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আইনত বাধ্য (নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৫) এবং অহেতুক বিলম্ব না। করিয়া হয় দলিলটি নিবন্ধীকরণের আদেশ দিবেন নতুবা উক্তরূপ নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন। অপর্যাপ্ত কারণের জন্য বারংবার মুলতবিকরণ অনুচিত। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে অবিলম্বে এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইবে যে, যে পক্ষ কর্তৃক দলিলটি কথিতরূপে সম্পাদিত মর্মে দাবি করা হইয়াছে, তাহার দ্বারা যথাযথরূপে উহা সম্পাদিত হইয়াছে কিনা বা হয় নাই। তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ ধারা ৭৩। ও ৭৪ এর অধীন রেকর্ডপত্র যত্ন সহকারে পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন যে মামলা নিষ্পত্তিতে অপ্রয়ােজনীয় বিলম্ব হইয়াছে কিনা। ভ্রমণজনিত কারণে সদর দফতরে জেলা রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিকালীন সময়ে যাহাতে পক্ষগণের এবং তাহাদের সাক্ষীগণের সাক্ষ্য প্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ স্থগিত না হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য কোন মােকদ্দমার শুনানীর তারিখ অগ্রবর্তী ভুক্তি হিসাবে তাহার দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং জেলা রেজিস্ট্রারের ভ্রমণসূচি প্রস্তুত করিবার সময় উহা বিবেচনা করিতে হইবে।


২১৬। কেবল অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন বাদ দেওয়া যাইবে না।- (ক) পক্ষগণের অনুপস্থিতির কারণে নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক খারিজ করা যাইবে না। ধারা ৭৩ এর অধীন মামলায় আবেদনকারীর হাজির হইতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার নিজ উদ্যোগে স্থগিত না করিলে, প্রদেয়। সঠিক আদেশ হইবে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা।

(খ) পুনর্বিবেচনার আদেশ ।- (১) আবেদনকারীর ত্রুটির কারণে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন। কোন দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশ রেজিস্ট্রার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা এবং মামলাটি তাহার নথিতে পুনর্বহাল করা যাইবে না। (২) বিজ্ঞপ্তি জারির পর উপস্থিত হইতে ব্যর্থ প্রতিপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন কোন দলিলের নিবন্ধীকরণের নির্দেশ প্রদান করিয়া প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং মােকদ্দমাটি পুনর্বহাল করা যাইবে না।


২১৭। কেবল অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭২ এর অধীন আপিল।- সম্পাদনকারীর শুধু অনুপস্থিতির কারণে নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশের বিরুদ্ধে ধারা ৭২ এর অধীন কোন আপিলে, রেজিস্ট্রার কেবল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করিতে পারেন। ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদনের ন্যায় তিনি সম্পাদন সংক্রান্ত ঘটনার বাহ্যিক প্রমাণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না, কিন্তু, যদি সম্পাদনকারী রেজিস্ট্রারের সম্মুখে হাজির হন এবং সংবিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট অনুপস্থিতির জন্য প্রদর্শিত কারণ গৃহীত হয়, তাহা হইলে রেজিস্ট্রার সম্পাদনকারীর সম্পাদন। স্বীকার রেকর্ডভুক্ত করিতে পারেন এবং দলিলটি নিবন্ধনের নির্দেশ দিতে পারেন।


২১৮। আপিল মােকাদ্দমায় স্বেচ্ছায় উপস্থাপিত বা অন্য প্রকারে লভ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ।- ধারা ৭২ এর। অধীন আপিল মােকদ্দমায় দমনমূলক পদ্ধতিতে সাক্ষীগণের উপস্থিতি কার্যকর করা হইতে জেলা রেজিস্ট্রারকে নিবারিত করা হইয়াছে, তবে সাক্ষ্য পাওয়া গেলে বা পক্ষগণ কর্তৃক স্বেচ্ছায় উপস্থাপিত হইলে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে কোন বাধা নাই।


২১৯। নাবালকতু, নির্বুদ্ধিতা বা পাগলামি মিথ্যা প্রতিপাদিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত।- সম্পাদনকারী নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদ এই অজুহাতে প্রদত্ত অগ্রাহ্য-আদেশের বিরুদ্ধে ধারা ৭২ এর অধীন। আপিলে আনীত অভিযােগে যদি রেজিস্ট্রার অবগত হন যে, সম্পাদনকারী সাবালক বা, ক্ষেত্রমত, সুস্থ মনের অধিকারী, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলিলটির সম্পাদনের ঘটনা তদন্ত করিবেন। যদি সম্পাদন স্বীকৃত হয়, তাহা হইলে তিনি উহা নিবন্ধীকরণের নির্দেশ দিবেন, পক্ষান্তরে যদি তাহা না হয়, তাহা হইলে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে।


২২০। কার্যত সম্পাদন অস্বীকার।- যেক্ষেত্রে সম্পাদনকারী নিবন্ধন পরিহার করিবার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে দৃষ্টির অগােচরে থাকে, বা কোন দুরবর্তী স্থানে চলিয়া যায় এবং সম্পাদন স্বীকার । করিবার জন্য প্রত্যাবর্তনের কোন সম্ভাবনা না থাকার কারণে তাহার অনুপস্থিতিকে সম্পাদন অস্বীকৃতির। শামিল গণ্যে কোন অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদত্ত হয়, সেইক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্ট্রার কর্তৃক আবেদনটি গ্রহণ করা যাইতে পারে, এবং সম্পাদনের ঘটনাটি এইভাবে তদন্ত করা হইবে যেন সম্পাদন সুনির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করা হইয়াছে।


২২১। [ বাতিলকৃত ]।


২২২। ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ পদ্ধতি।- (ক) ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্তে রেজিস্ট্রার, যদি সাক্ষীগণকে পরীক্ষা করেন, তাহা হইলে তিনি দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এ। বর্ণিত পদ্ধতিতে তাহাদের সাক্ষ্য প্রমাণ লিপিবদ্ধ করিবেন। (খ) কোন সাক্ষীকে কমিশনে পরীক্ষা করিবার প্রয়ােজন হইলে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ ২৬ এ নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।


২২৩। ধারা ৭২ ও ৭৩ এর অধীন সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ।- জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বয়ং অগ্রাহ্যকত আদেশ হইতে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন উদ্ভূত মােকদ্দমায় কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা । জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ অবৈধ।


২২৪। ধারা ৭৫ এর অধীন ব্যয়।- ধারা ৭৫ এর অধীন রেজিস্ট্রারের আদেশবলে ডিক্রি প্রদত্ত ব্যয়। কালেক্টরেট সংস্থাপন কর্তৃক আদায় করা হইবে। এইরূপক্ষেত্রে প্রেরিত পরােয়ানায় রেজিস্ট্রারের পদবি। ব্যবহার করিবার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে। আদায় হওয়ার পর, উক্ত ব্যয় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পরিশােধ করিতে হইবে কিংবা রাজস্ব জমা হিসাবে ট্রেজারিতে প্রেরণ করিতে হইবে।


১২৫। ধারা ৭২, ধারা ৭৩, ধারা ৭৫ ও ধারা ৭৭ এ ব্যবহৃত আদেশ প্রদান’ অভিব্যক্তির তাৎপর্য ও উহাতে সম্পৃক্ত কার্য পদ্ধতি।- (ক) নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৭ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবহৃত ‘আদেশ প্রদান’ অভিব্যক্তিটি দ্বারা “কেবলমাত্র লিখিত আকারে রেকর্ডভুক্ত করাকেই বুঝায় না, বরং সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ইহা অবহিত করানােও বুঝায় যাহাতে ইহা দ্বারা তাহাকে আবদ্ধ করা যায়, কারণ কোন আদেশ আদেশরূপে গণ্য হয় না, যদি না আদেশপ্রদানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক যে ব্যক্তির প্রতি আদেশ প্রদান করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির চেতনায় এবং গােচরে আনিবার নিমিত্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা” বুঝানাে হয়।

(খ) “আদেশ প্রদান” এইরূপ একই অভিব্যক্তি নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৭৩ এর উপ-ধারা (১) ও ধারা ৭৫ এর উপ-ধারা (২) এ দুষ্ট হয় এবং ২২৫(ক) অনুচ্ছেদেবর্ণিত পদ্ধতিতে এইগুলি ব্যাখ্যা করিতে হইবে।

(গ) রেজিস্টার বা অর্পিত ক্ষমতাবলে সাব-রেজিস্ট্রারগণ ধারা ৭২, ধারা ৭৫ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা। ৭৬(খ) এর অধীন নিবন্ধীকরণ বা অগ্রাহ্যকরণের আদেশ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে অবহিত করিবেন এবং নিবন্ধনের আদেশ অবহিতকরণের তারিখ লেখ্যপ্রমাণে সংযুক্ত আদেশপত্রে এবং অগ্রাহ্যের আদেশ অবহিতকরণের তারিখ তাহাদের ২ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন। একই সংগে তাহারা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে উক্ত আদেশ অবহিতকরণের তারিখ উল্লেখপূর্বক দলিল নিবন্ধন বা অগ্রাহ্যকরণের নির্দেশনা সম্বলিত আদেশ যে সাব-রেজিস্ট্রার উহা নিবন্ধন করিবেন তাহাকে ডাকে প্রেরণের প্রত্যায়নপত্রের অধীন অবহিত করিবেন। যদি ঘটনাক্রমে আদেশটির। নকলে কোন পরিবর্তন সংঘটিত হইয়া থাকে তাহা হইলে তিনি ইহার দ্বারা যে ৩০ (ত্রিশ) দিন। সময়ের মধ্যে দলিলটি দাখিল করিতে হইবে উহা পরীক্ষা করিতে সক্ষম হইবেন।


২২৬। ধারা ৭২ এর আপিল যেভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে।- ধারা ৭২ এর অধীন আপিলের মূল। স্মারকলিপির স্ট্যাম্পশুল্ক কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ এর তফসিল ২ এর অধীন দফা ৯ অনুসারে ধার্য করা হইবে।


২২৭। ধারা ৭৩ এর আবেদন স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে না।- ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিলকৃত আবেদনে কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ এর তফসিল ২ এর অধীন দফা ১(খ) অনুসারে বা একই আইনের তফসিল ২ এর অধীন দফা ৯ অনুসারে স্ট্যাম্প শুল্ক আরােপযােগ্য নহে। অতএব, কেবল সাদা কাগজে এইরূপ আবেদন করিতে হইবে।


২২৮। অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল পাইতে আবশ্যক সময় বাদ দেওয়া যাইবে না।- একটি দলিল নিবন্ধন করাইয়া লইবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ ও ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্টারের নিকট যে ৩০ (ত্রিশ) দিন সময়ের মধ্যে আবেদন করিতে হয়, সেই সময় গণনায়। অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল পাইতে যে সময় প্রয়ােজন, উহা বাদ দেওয়া যাইবে না। অতএব, এইরূপ নকল প্রদানের ক্ষেত্রে অযথা কোন প্রকার বিলম্ব করা যাইবে না।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

Add comment

error: Content is protected !!