Last Updated on 08/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলঃ- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর ২ (১) ধারা অনুসারে, “পাওয়ার অব অ্যাটর্নি” অর্থ এমন কোন দলিল যাহার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি তাহার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্ণিত কার্য-সম্পাদনের জন্য আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ক্ষমতা অর্পণ করেন।”
মনে রাখবেন, এই দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না। তাই দলিল গ্রহিতা তার নিজ নামে সম্পত্তি নামজারি বা খারিজ করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই দলিলমূলে কেউ সম্পত্তির মালিকানা দাবী করতে পারেন না, দলিল গ্রহিতা কেবল দাতার পক্ষে দলিলে উল্লিখিত কার্য সম্পাদন করতে পারেন।
অনেকেই এই দলিলকে “আমমোক্তারনামা দলিল” বলে থাকেন। কিন্তু আইন ও বিধিমালার কোথাও “আমমোক্তারনামা” শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। তাই বাংলায় “পাওয়ার অব অ্যাটর্নি” কিংবা ইংরেজিতে “Power of Attorney” লেখাই যুক্তিযুক্ত।
অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নিঃ- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর ২ (৪) ধারা অনুসারে, “অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি” অর্থ স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে, বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের বা ঋণ গ্রহণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তির বন্ধক প্রদানের জন্য প্রদত্ত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অথবা স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে পণ মূল্য গ্রহণের বিনিময়ে ভূমি উন্নয়নসহ উক্ত দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা প্রদান সম্পর্কিত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।
বিঃদ্রঃ
১। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর ৬ (৫) ধারা অনুসারে, পাওয়ারদাতা বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করিলে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল সম্পাদনের সময় পাওয়ারদাতা উপ-ধারা (৩) এর অধীন সংযুক্তকৃত পাওয়ার গ্রহীতার ছবি, স্বাক্ষরপূর্বক সনাক্ত করিবেন।
২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর ৬ (৭) ধারার বলা হয়েছে, উপ-ধারা (৬) এর অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি স্ট্যাম্পযুক্ত হওয়ার পর উহার একটি কপি কালেক্টর কর্তৃক সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং উক্তরূপে কোন কপি প্রেরণ করা হইলে উহা, রেজিস্ট্রেশন আইনের section 89 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার ১ নং বহিতে নথিভুক্ত করিয়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
৩। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর ১০ নম্বর বিধি অনুসারে, বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।―(১) বাংলাদেশের বাহিরে বিশেষ, সাধারণ বা অপ্রত্যাহারযোগ্য প্রত্যেক পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল, এই বিধিমালার তফসিল ক এর ফরম–৩ অনুসরণক্রমে, দুই প্রস্থে, মূল ও প্রতিলিপি আকারে, প্রস্তুত করিতে হইবে।
(২) উক্তরূপ দলিলে পাওয়ারদাতা এবং পাওয়ারগ্রহীতা উভয়ের পাসপোর্ট আকারের (সাদা পটভূমিতে সম্প্রতি গৃহীত) রঙ্গীন ছবি সংযুক্তক্রমে উভয় ছবি সনাক্তপূর্বক পাওয়ারদাতাকে আড়াআড়িভাবে দস্তখত ও টিপসহি প্রদান করিতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি পাওয়ারদাতা নাম স্বাক্ষর করিতে অক্ষম হন বা টিপসহি প্রদানে অসমর্থ হন, তাহা হইলে তাহার পরিচিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিষয়ে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক মন্তব্যসহ উভয় ছবি সনাক্তপূর্বক পাওয়ারদাতার নাম বকলমে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৩) উপ–বিধি (১) এর অধীন প্রস্তুতকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মূল ও প্রতিলিপি, প্রমাণীকরণের জন্য উপযুক্ত কর্মকর্তার নিকট পাওয়ারদাতা কর্তৃক দাখিলপূর্বক তাহার সম্মুখে সম্পাদন করিতে হইবে, অথবা যদি উহা পূর্বেই পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে উপযুক্ত কর্মকর্তার সম্মুখে তাহাকে উক্তরূপ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মূল ও প্রতিলিপি পুনঃ সম্পাদন করিতে হইবে।
(৪) উপ–বিধি (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে উক্তরূপ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলে পাওয়ারদাতার পাসপোর্টের বিবরণসহ বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের ক্ষেত্রে বিধি ৭ এর উপ–বিধি (৪), সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের ক্ষেত্রে বিধি ৮ এর উপ–বিধি (৩) এবং অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের ক্ষেত্রে বিধি ৯ এর উপ–বিধি (৩) এ বর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত বা, ক্ষেত্রমত, কাগজ–পত্র সংযুক্ত করিতে হইবে।
(৫) পাওয়ারগ্রহীতা, উক্তরূপ প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও উহার প্রতিলিপি বাংলাদেশে প্রথম প্রবেশের পর,
(ক) ২ (দুই) মাসের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন উপযুক্ত কর্মকর্তার নিকট দাখিলপূর্বক উক্ত কর্মকর্তা দ্বারা উল্লিখিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও উহার প্রতিলিপির সত্যায়ন কার্য সম্পন্ন করাইয়া লইবেন;
(খ) ৩ (তিন) মাসের মধ্যে স্ট্যাম্প আইনের বিধান অনুসারে স্ট্যাম্পযুক্তকরণের, বা ক্ষেত্রমত, Stamp Duties (Additional Modes Mode of Payment) Act, 1974 (Act no LXXI of 1974) অনুসারে স্ট্যাম্পশুল্ক পরিশোধের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন এবং উক্তক্ষেত্রে স্ট্যাম্প আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে;
(গ) ৪ (চার) মাসের মধ্যে উক্ত মূল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে যথাযথ ফিসহ সংশ্লিষ্ট সাব–রেজিস্ট্রার এর নিকট দাখিল করিবেন এবং উক্তক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
অতি চমৎকার প্রশ্ন উত্তর পর্ব। অনেক কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ সেবা বিনামূল্যে দেয়ার জন্য।
রিয়াজুল ফকির, পিতা মৃত মোঃ শাহজাহান ফকির, পাসপোর্ট নং 0831044, পাওয়ার অফ এটোনি এষ্টম্প সইমহর তারিখ ১৭/১০/২০১৮, জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৯৫৪৩৪৩৪৮৭৪, ফোন নম্বর ০১৯০৭৭৮৩২০০,