আই জি আর ইন্সট্রাকশন দশম অধ্যায়

Last Updated on 08/05/2025 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

অধ্যায় ১০

নিবন্ধন-ভুক্তির জন্য দলিল গ্রাহ্য-পরবর্তী পদ্ধতি

১০৭। নকলকরণের ক্রম।- (ক) ধারা ৫২ এর বিধান অনুযায়ী দলিলসমূহ যে ক্রমানুসারে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছে, সেই ক্রমানুসারে নকল করিতে হইবে।

(খ) রেজিস্টার বহির ভূক্তিসমূহ পরীক্ষাকরণ।- (১) নকলনবিসগণ দিনের কাজ শুরু করিবার পূর্বে নিশ্চিত হইবেন যে, পূর্ববর্তী দিবসের সকল ভুক্তিসমূহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইয়াছে এবং পঙক্তির মধ্যবর্তী লিখন, ঘষামাজা ইত্যাদি সম্পর্কিত টীকা যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ এবং সত্যায়িত হইয়াছে। এই বিষয়ে কোন কিছু বাদ পড়িয়া থাকিলে উহাও অবিলম্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার গােচরে আনিতে হইবে।।

(২) রেজিস্টার বহিতে কোন দলিলের নকলে স্বাক্ষর প্রদান করিবার পূর্বে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। নিশ্চিত হইবেন যে, বিধি ৬৭ অনুসারে নকলটি নকলকারী, তুলনাকারী এবং পাঠকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইয়াছে।

(গ) দলিলের নম্বর ও সন রেজিস্টার বহির প্রতি পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কোন দলিলের নকল রেজিস্টার বহির একাধিক পৃষ্ঠায় ব্যাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে দলিলটির ক্রমিক নম্বর, কার্যালয়ের নাম এবং সন রেজিস্টার বহির প্রতি পাতার বাম মার্জিনে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, যাহাতে কোন একটি পাতা ছিড়িয়া গেলে বা ভুল জায়গায় রাখা হইলে দলিলের নম্বরটি সন্ধান করা যায়।

(ঘ) দলিলের ছকবদ্ধ বিবরণসমূহ রেজিস্টার বহিতে নকল করিবার পদ্ধতি। দলিলে ছকবদ্ধ বিবরণ। পাওয়া গেলে, নিবন্ধন প্রত্যাশী পক্ষগণের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে, বর্ধিত আকারে বিন্যাসের পরিবর্তে, প্রাপ্ত বিন্যাস অনুসারেই নকল করিতে হইবে, যাহাতে দলিলটির যথাযথ অর্থ ব্যাহত না হয়। নকলনবিসগণের পারিশ্রমিক ছকবদ্ধ ফরমে নকলকৃত প্রকৃত শব্দ সংখ্যা দৃষ্টে হিসাব করিতে হইবে, ছক দ্বারা আবদ্ধ লাইনসমূহের প্রতিটি লাইন ১৫ (পনের) শব্দ-বিশিষ্ট ১ (এক) লাইন হিসাবে নহে।।

(ঙ) দলিলে সম্পাদনকারী ও সাক্ষীগণের স্বাক্ষর একাধিকবার দৃষ্ট হইলে উহা নকল করিবার পদ্ধতি – কোন দলিলে সম্পাদনকারী, সাক্ষী ও লেখকের স্বাক্ষর যতবার দলিলে দৃষ্টিগােচর হইবে, রেজিস্টার বহিতে ততবার উহা নকল করিতে হইবে।

(চ) রেজিস্টার বহিতে দলিলের পৃষ্ঠাচিহ্ন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।- ১, ৩ ও ৪ নং রেজিস্টার বহিতে দলিল নকল করাকালে যেখানে উহার ১ম, ২য় বা ৩য় পৃষ্ঠা শেষ হয় এবং পরবর্তী পৃষ্ঠা শুরু হয় সেখানে তাহা নির্দেশ করিবার জন্য মূল দলিলের পৃষ্ঠা সংখ্যা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(ছ) একটি দলিল রেজিস্টার বহির একাধিক ভলিয়মে নকল করা হইলে সূত্র-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। সাধারণত একটি দলিলের নকলকরণ যে বহিতে আরম্ভ করা হয় সেই বহিতে উহা নকলপূর্বক সমাপ্ত করিতে হইবে। বিষয়টি নিশ্চিত করিবার জন্য একটি দলিলের নকল কার্য শুরু করিবার পূর্বে রেজিস্টার বহির কতটি পৃষ্ঠায় ইহা সংকুলান হইতে পারে সেই বিষয়ে সতর্কতার সহিত একটি হিসাব করিতে হইবে, এবং যদি চলতি রেজিস্টার বহির খালি পৃষ্ঠা সংখ্যা, নকলের জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা সংখ্যার তুলনায়, কম হয়, তাহা হইলে একটি নূতন বহি খুলিতে হইবে, এবং দলিলটি উহাতে নকল করিতে হইবে। দলিল অস্বাভাবিক দীর্ঘ হইলে যদি উহা নকল করিতে একাধিক পূর্ণ বহির প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে যত সংখ্যক বহিতে নকল করিবার প্রয়োজন হইবে তত সংখ্যক বহিতে উহার নকলকাজ সম্পন্ন করিতে হইবে।

এইরূপ ক্ষেত্রে বা যেক্ষেত্রে নকলনবিস কর্তৃক অপ্রণিধানবশত একটি দলিল একাধিক বহিতে নকল করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে নিম্নরূপ সূত্র-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে:

(১) পূর্ববর্তী বহিটির শেষ পৃষ্ঠায় –…. সনের ….. নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠায় অনুবর্তিত

(২) পরবর্তী বহিটির প্রথম পৃষ্ঠায় – ….. সনের … নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠা হইতে অনুবর্তিত।”

(জ) দুই বা ততােধিক পষ্ঠায় লিখিত দলিল।- যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক স্ট্যাম্প কাগজে একটি দলিল লেখা হয়, সেইক্ষেত্রে বিধি ৪ অনুসারে স্ট্যাম্পের মূল্য সংক্রান্ত ভুক্তি দ্বারা ফর্দ সংখ্যা এবং উহাদের স্ব-স্ব মূল্য নির্দেশ করিতে হইবে।

(ঝ) ঘষামাজা ইত্যাদি সংবলিত দলিল।- একটি দলিলের যে জায়গায় পঙক্তির মধ্যবর্তী লিখন, শুন্যস্থান বা ঘষামাজা ইত্যাদি বিদ্যমান, রেজিস্টার বহিতে উহার প্রতিলিপিতে একটি চিহ্ন বা সংখ্যা। দ্বারা তাহা নির্দেশ করিতে হইবে।

(ঞ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বোধগম্য নহে এমন ভাষায় দলিলে প্রদত্ত স্বাক্ষর।- যদি একটি দলিলে এমন কোন বর্ণে স্বাক্ষর থাকে যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা তাহার কোন কর্মচারীর বোধগম্য নহে, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কোন বর্ণে ইহা স্বাক্ষরিত হইয়াছে, পক্ষগণের নিকট হইতে তাহা। নিশ্চিত করিবেন এবং দলিলে উক্ত স্বাক্ষরের নীচে পেন্সিল দিয়া তৎসম্পর্কে একটি টীকা লিপিবদ্ধ। করিবেন। যখন দলিলটি রেজিস্টার বহিতে নকল করা হয়, তখন স্বাক্ষরটি ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং ইহার নিচে বন্ধনীর ভিতর টীকাটি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা – “মূল দলিলে ….. ভাষায় স্বাক্ষরিত”।

(ট) পৃষ্ঠাঙ্কনের আদলে সম্পাদিত দলিল।- যেক্ষেত্রে পূর্বে নিবন্ধিত কোন দলিলে আড়াআড়ি বা নীচে বা পিছনে পৃষ্ঠাঙ্কনের আদলে কোন দলিল, যেমন : ইজারা বরাদ্দপত্র, স্বার্থ হস্তান্তর পত্র, প্রাপ্তিস্বীকার পত্র, বা পণের টাকা প্রাপ্তি স্বীকারান্তে মুক্তকরণের নির্দেশপত্র বা নিবন্ধিত দলিলে টাকা পরিশােধের নিশ্চয়তাপত্র ইত্যাদি সম্পাদিত হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ পৃষ্ঠাঙ্কন নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইলে ইহা একটি ভিন্ন দলিল গণ্যে নম্বরযুক্তক্রমে নিবন্ধন করা হইবে এবং নিম্নের নিদর্শে রেজিস্টার বহিতে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে :

“… কার্যালয়ের ….. সনের …. নং বহির …. নং বালামে …. পৃষ্ঠা হইতে …. পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ । …. নং দলিলে আড়াআড়িভাবে (বা নিচে বা পিছনে) লিখিত।” (ঠ) মদিত বহিতে সম্পত্তির বিবরণ।- যেক্ষেত্রে বিধি ৭৩ এর অধীন মুদ্রিত বিশেষ বহিতে এই। উদ্দেশ্যে অভিপ্রেত পরিসরে সম্পত্তির বিবরণ সংকুচিতক্রমে লিপিবদ্ধ করা না যায়, সেইক্ষেত্রে উক্ত। বিবরণ মুদ্রিত বহির পরবর্তী পৃষ্ঠাসমূহে অনুবর্তিত হইবে এবং অব্যবহৃত মুদ্রিত অংশটুকু নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অনুস্বাক্ষরে কর্তন করা হইবে।


 

 

পুনঃনিবন্ধন।

১০৮। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিল পুনঃনিবন্ধন।– (ক) একটি দলিল ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সম্পাদিত হইলে উহা প্রথম নিবন্ধনের পর পুনঃনিবন্ধন করা হবে। এইরূপ ক্ষেত্রে ধারা ২৪ এবং ৩৪ এর অধীন নির্ধারিত সময়সীমা, পরবর্তী প্রতিটি সম্পাদনের তারিখ হইতে গণনা করিতে হইবে। অতএব প্রত্যেক সম্পাদনকারীর সম্পাদনের তারিখ তাহার দ্বারাই লিখত হইবে। প্রতিবার এইরূপ নিবন্ধনের সময় নির্ধারিত ফিস আদায় করা হইবে এবং একটি নূতন ক্রমিক নম্বরসহ দলিলটি ফি বহিতে জমা করিতে হইবে।

(খ) আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধনের আদেশ প্রদত্ত দলিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি।- (১) নিবন্ধীকরণ সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্যকৃত কিন্তু পরবর্তীতে ধারা ৭১ বা ধারা ৭৫ বা ধারা ৭৭ এর অধীন নিবন্ধনের নির্দেশ প্রদত্ত দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইলে পুনরায় নির্ধারিত ফিস আদায় করিতে হইবে। এবং উহাকে একটি নূতন ক্রমিক নম্বরের অধীন ফি বহিতে জমা করিতে হইবে।

(২) প্রথমবার আংশিক অগ্রাহ্যকত এবং ধারা ৭২ বা ধারা ৭৫ বা ধারা ৭৭ এর অধান পুনঃনিব। পশলের ক্ষেত্রে কোন নতুন ফিস আদায় করা হইবে না, কিন্তু দলিলটি একটি নতুন ক্রমিক নম্বরের।

অধীন ফি বহিতে জমা করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে দলিলটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিজ এলাকায় সমীপে অবস্থিত নহে এইরূপ, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হয়, সেইক্ষেত্রে প্রথমবার আংশিক নিবন্ধন। করাকালে দফা ‘ড’ এর অধীন নকল বা, ক্ষেত্রমত, স্মারকলিপি প্রেরণের জন্য ফিস আদায় করা সত্ত্বেও উক্ত দফার অধীন নতুন ফিস আদায় করিতে হইবে। বিধি ৬৫ অনুসারে দলিলটি রেজিস্টার বাহতে পুনঃ নকল করিতে হইবে। এই উভয় ক্ষেত্রে দাখিলকরণের জন্য ধারা ৫২ এর অধীন নির্ধারিত পৃষ্ঠাঙ্কনের ক্ষেত্রে (ফরম নং ২. পরিশিষ্ট ২) “দাখিলকৃত” শব্দের স্থলে “পুনঃদাখিলকৃত” শব্দাবলি লিখিতে হইবে এবং বিধি ৪৫ এর। অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনের ক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ২ এর ১২ নং ফরম ব্যবহৃত হইবে।


                                      

কতিপয় সাধারণ উপদেশ          

১০৯। উইল ইত্যাদির সংজ্ঞা।- (ক) (১) সর্বদা লক্ষ্য করিতে হইবে যে, উইলের সংজ্ঞার আওতাধীন। নহে, অর্থাৎ মৃত্যুর পর কার্যকরী হওয়ার শর্তে সম্পত্তি বন্টনের যে কোন দলিল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র অর্থাৎ মৃত্যুর পর দত্তক পুত্র গ্রহণের জন্য স্বামীর পক্ষ হইতে স্ত্রীকে লিখিত ক্ষমতাপত্র ব্যতীত অন্য কোন দলিল যাহাতে ৩ নং রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধন করা না হয়। দানপত্র দলিলকে। উইল, কিংবা দত্তকগ্রহণের চুক্তিপত্রকে দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র বলিয়া ভুল করা যাইবে না।

(২) যে দলিল কেবল দত্তক পুত্র গ্রহণের ঘোষণা প্রদান করে, তাহা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নহে, তবে নিবন্ধনযোগ্য দত্তকগ্রহণের দলিল ৪ নং বহিতে বা যদি তদ্বারা স্থাবর সম্পত্তিতে কোন অধিকার সৃষ্টি করা হয়, তাহা হইলে ১ নং বহিতে নিবন্ধনযোগ্য। (৩) দত্তকগ্রহণ একটি কার্য, যদ্বারা কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সন্তানকে তাহার উত্তরাধিকারী হিসাবে নিয়োগ করে। (৪) ‘ক’ কর্তৃক তাহার পুত্রকে দত্তকগ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করিয়া ‘খ’ এর অনুকলে সম্পাদিত দলিল, দত্তকগ্রহণের দলিল নহে, কারণ ইহা দত্তকগ্রহণ নির্দেশ করে না বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে না, তবে, ইহা অপর ব্যক্তি কর্তৃক তাহার সন্তানকে দত্তকগ্রহণের বিষয়ে পিতার সম্মতি মাত্র।

(খ) স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত ক্ষতিনিষ্কতিপত্র।- (১) যেক্ষেত্রে কোন ক্ষতিনিষ্কৃতিপত্র স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় সংক্রান্ত সম্পূরক লেনদেন সম্পর্কিত হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ধারা ৫১(২) এর অধীন। ইহা ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে সম্পত্তি চিহ্নিত করিবার জন্য সম্পত্তির প্রয়োজনীয় বিবরণাদি অবশ্যই উল্লেখ করিতে হইবে।

(২) খোয়াড় চাষীদের কবুলিয়ত ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।- খোয়াড় চাষীদের। কবুলিয়তকে স্থাবর সম্পত্তির ইজারা হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।

(৩) বন্ধকী ডিক্রির সমর্পণপত্ৰ ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।- বন্ধকী ডিক্রিতে স্বার্থের সমর্পণপত্র স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিধায় নিবন্ধন আইনের ধারা ৫১(২) এর অধীন ইহা ১ নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে, যদিও এই ডিক্রি খোদ কোন স্থাবর সম্পত্তি নহে। ধারা ২১ এর আবশ্যকতা অনুযায়ী ডিক্রিভূক্ত সম্পত্তির একটি বিবরণ দলিলে প্রদান করিতে হইবে।

(গ) [বিলুপ্ত]।

(ঘ) নকলবিহীন দলিল নিবন্ধীকরণ।- যেক্ষেত্রে প্রতারণা, ভ্রান্তি বা অন্য কোন প্রকারে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত কোন দলিল রেজিস্টার বহিতে নকলবিহীন সত্ত্বেও নিবন্ধিত বলিয়া প্রত্যায়ন করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনের প্রত্যায়নটি বাতিলপূর্বক পূর্ববর্তী অলীক প্রত্যায়নের স্থলে ধারা ৬০ এর অধীন নিবন্ধনের একটি নূতন প্রত্যায়ন দলিলে পৃষ্ঠাঙ্কিত করিয়া দলিলটি যথাযথ বহিতে নকল করিবার জন্য রেজিস্ট্রার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন। যদি ইতোমধ্যে দলিলটি সূচিবদ্ধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে সূচি বহিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে হইবে। ফি বহির ১২ এবং ১৩ নং কলামেও প্রয়োজনীয়। সংশোধন করিতে হইবে।

(ঙ) কোন দলিলকে একটি রেজিস্টার বহি হইতে অপর একটি রেজিস্টার বহিতে স্থানান্তরের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের প্রত্যায়ন।- যেক্ষেত্রে কোন দলিল অনুপযুক্ত রেজিস্টার বহি হইতে সঠিক রেজিস্টার বহিতে স্থানান্তরিত হয়, সেইক্ষেত্রে মূল দলিলটি সংগ্রহ করা না গেলেও নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৭০(২) অনুসারে নিবন্ধনের প্রত্যায়ন পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য নির্ধারিত, রেজিস্টার বহির বাম মার্জিনে লিপিবদ্ধ করা। হইবে।।

(চ) মুদ্রিত, ইত্যাদি দলিলে দফা ‘ঢ’ এর অধীন ফিস ধার্যকরণ।- যেক্ষেত্রে বিধি ৭৩ এর অধীন মুদ্রিত বা লিথোগ্রাফিক ছাপানো দলিলের নিবন্ধন সংক্রান্ত নকলের কাজের পরিমাণ স্বল্প হয়, এবং হস্তলিখিত ভুক্তিসমূহ প্রকৃতপক্ষে রেজিস্টার বহির ২ (দুই) পৃষ্ঠার অধিক না হয়, সেইক্ষেত্রে ফিসের তালিকার দফা (ঢ) এর অধীন কোন ফিস ধার্য করা হইবে না। অতিরিক্ত ফি ছাপানো কাগজের উপর নহে, বরং নিবন্ধন বিভাগীয় প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারী বা নকলনবিস কর্তৃক ফরমের শূন্যস্থানে প্রকৃতপক্ষে নকলকৃত শব্দের ভিত্তিতে গণনা করিতে হইবে।

(ছ) যদি বিশেষ অবস্থাধীন কোন দলিল যে বৎসর নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছিল উহার পরবর্তী বৎসর সমাপ্ত করিতে হয়, তাহা হইলে উহা যে বৎসর গ্রাহ্য করা হইয়াছিল সেই বৎসরের সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বহিতে নকল করিতে হইবে। অতএব, কোন একটি বৎসরে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্যকৃত সকল দলিল নকলকৃত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বৎসরের চলতি বহিসমূহে বিধি ১৫ এর অধীন সমাপ্তির প্রত্যায়ন সংযুক্ত করা যাইবে না।


 

১১০। দলিল সমাপ্তকরণ।- ফরম ও রেজিস্টার বহিসমহের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে একটি দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবার তারিখ হইতে ন্যুনতম ১৫ (পনের) দিন এবং সর্বাধিক ১ (এক) মাসের মধ্যে নকলকরণের ও নিবন্ধীকরণের কার্য সমাপ্তকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখিতে হইবে।


 

১১১। রসিদ ও দলিল বিলিকরণ।- (ক) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং পক্ষগণের নিকট রসিদ ও দলিল। বিলি করিবেন, কিন্তু ব্যস্ত মৌসুমে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং ইহা করিতে অসমর্থ হইলে, দলিল ফেরত প্রদানের জন্য তাহার লিখিত নির্দেশে একজন সহকারী বা মোহরারকে নিয়োগ করা যাইতে। পারে কিন্তু, সেইক্ষেত্রে সহকারী বা মােহরার নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে দলিল বিলি করিবেন। নিবন্ধন আইনের অধীন ফিসের তালিকার ‘ণ’ এবং ‘ত’ দফা অনুসারে ফিস আদায়ের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত। নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বিলির সময় দলিল ফেরত গ্রহণের জন্য তাহাদের নিকট দাখিলকৃত, ধারা ৫২ এর অধীন, রসিদের পৃষ্ঠে তারিখের সিলমােহরটি যুক্ত করিবেন, যাহাতে একবার প্রদত্ত তারিখটি সহজে বিনষ্ট বা প্রতারণামূলকভাবে পরিবর্তন করা না যায়। (খ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ধারা ৬১ এর অধীন রসিদের অনুমোদন পরীক্ষাকরণ।- কোন দলিলের নিবন্ধন কার্য সমাপ্তির পর ইহা দাখিলকারী অথবা ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত রসিদে। দাখিলকারী কর্তৃক তাহার পক্ষে ধারা ৬১ এর অধীন মোননীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট (যদি থাকে)। ফেরত প্রদান করিতে হইবে। কিন্তু দলিলটি ফেরত দেওয়ার পূর্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ব্যক্তি রসিদের অপর পৃষ্ঠার দস্তখতটি পরীক্ষা করিবেন এবং লক্ষ্য করিবেন যে, ইহার সহিত দলিলের দস্তখতটির সাদৃশ্য রহিয়াছে কিনা এবং ধারা ৬১ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে লিখিত বরাতের নির্দেশটি যথাযথ আছে কিনা। যেক্ষেত্রে দাখিলকারী লিখিতে পারেন, সেইক্ষেত্রে, সাধারণত সমুদয় বরাত তাহার দ্বারা লিখাইতে হইবে। যদি তিনি অশিক্ষিত হন, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহাকে পরামর্শ দিবেন যে, তাহার নিজ স্বার্থে রসিদের অপর পৃষ্ঠার সমুদয় বরাত যে ব্যক্তি দলিলে তাহার নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন তাহার দ্বারা লিখিত হওয়া উচিত। যাহা হউক, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি নিশ্চিত হন যে, রসিদটি দাখিলকারীর নিকট হইতে গোপনে প্রাপ্ত নহে বা তাহার সহিত কোন প্রতারণা করা হয় নাই, তাহা হইলে দলিলটির ফেরতপ্রদান স্থগিত রাখা যাইবে না। বিষয়টি অনেকাংশেই ইচ্ছাধীন বিধায় আশা করা যায়। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ বুদ্ধিমত্তার সহিত ইহা চর্চা করিবেন।। (গ) বৈধ প্রতিনিধির নিকট নিবন্ধিত দলিল ফেরত প্রদান।- যেক্ষেত্রে কোন দলিলের দাখিলকারী। নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (১) এর (খ) দফার অধীন প্রদত্ত রসিদ কাহারও পক্ষে বরাত প্রদান না করিয়া মৃত্যুবরণ করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি নিশ্চিত হন যে, উহাতে। প্রতারণার সন্দেহ নাই, তাহা হইলে, রসিদ দাখিল করা হইলে, মৃত ব্যক্তির বৈধ প্রতিনিধির নিকট দলিলটি ফেরত দেওয়া যাইতে পারে, যদিও সর্বাধিক নিরাপদ ব্যবস্থা হইল দেওয়ানি আদালত হইতে আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিকট দলিলটি ফেরত প্রদান করা। (ঘ) মৃত মনোনীত ব্যক্তির প্রতিনিধির নিকট দলিল ফেরত প্রদান।- যেক্ষেত্রে দাখিলকারী দলিল নিবন্ধনের পর উহা ফেরত গ্রহণের জন্য অপর কাহাকেও মনােনীত করিয়া থাকেন এবং এইরূপ মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যুতে তাহার প্রতিনিধি দলিলটি দাবি করেন, সেইক্ষেত্রে, দাখিলকারীর লিখিত সম্মতি ব্যতীত, দলিলটি তাহার নিকট ফেরত দেওয়া যাইবে না।।

(ঙ) দেওয়ানি আদালতের নিষেধাজ্ঞা।- নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিল, দাখিলকারী বা তাহার দ্বারা রসিদে মনোনীত ব্যক্তির নিকট ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার আইনগত বাধ্যবাধকতা, দেওয়ানি আদালতের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করিবার বাধ্যবাধকতার নিকট গৌণ।

(চ) রসিদ হারাইয়া গেলে কার্যপদ্ধতি।

(১) রসিদ হারানোর অভিযোগ সহকারে দলিল ফেরত প্রদানের অনুরোধ সংবলিত প্রতিটি আবেদন লিখিত এবং মূল রসিদ যাহার নিকট প্রদান করা হইয়াছিল তাহার দ্বারা দাখিলকৃত হইবে। এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দাখিলকারীকে সনাক্তক্রমে রসিদ হারানোর বিষয়টি প্রমাণিত করাইয়া লইবেন। যেক্ষেত্রে দাখিলকারী গ্রহীতা নহেন, সেইক্ষেত্রে প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসহ একটি নোটিস গ্রহীতার নিকট প্রেরণ করা হইবে (যাহার খরচ আবেদনকারী বহন করিবেন) এবং রসিদ। হারানোর বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাহাকে যুক্তিসংগত সময় প্রদান করা হইবে। দলিলটি নিবন্ধিত না হইয়া থাকিলে, সাদা কাগজে রসিদের একটি প্রতিলিপি দেওয়া যাইবে; পক্ষান্তরে যদি দলিলটি নিবন্ধিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে দলিলটি ফেরত দেওয়া যাইবে। হারানো রসিদটির পরিবর্তে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এক খণ্ড সাদা কাগজের প্রথম পৃষ্ঠায় নিম্নের প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করিয়া মুড়িপত্রে লাগাইয়া রাখিবার ব্যবস্থা করিবেন :“প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, মূল রসিদ হারানোর বিষয়টি আমার নিকট প্রমাণিত হইয়াছে বিধায় দাখিলকারীকে যথাযথরূপে সনাক্তক্রমে অপর পৃষ্ঠায় প্রাপকের স্বাক্ষর অনুয়ায়ী দলিলটি ফেরত দেওয়া হইল।

তারিখ……………………..                                                                                                         নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা।”

(২) যেক্ষেত্রে আবেদনকারী দলিল দাখিলকারী নহেন, সেইক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

(অ) গ্রহীতা কর্তৃক রসিদ হারানোর অভিযোগ সহকারে দলিল ফেরত প্রদানের অনুরোধ সংবলিত লিখিত আবেদন দাখিলকৃত হইবে। (আ) আবেদনের সহিত স্থানীয় থানায় রসিদ হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির

ফটোকপি, আবেদনকারীর সাম্প্রতিক তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট আকারের। ফটো, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্ম। নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সংলগ্নি আকারে প্রদান করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, গ্রহীতা সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, তফসিলভুক্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রহীতা হইলে সেইক্ষেত্রে উল্লিখিত

সংলগ্নির প্রয়োজন হইবে না। (ই) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্ত হইয়া গ্রহীতার পরিচয় সম্পর্কে স্বয়ং সন্তুষ্ট হইবেন এবং ক্ষেত্রমত, দলিলের সহিত সংযুক্ত ফটো এবং জাতীয়। পরিচয়পত্রের নম্বর বা পাসপাের্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদের সহিত যাচাই করিবেন। এবং দলিলে সংগৃহীত স্বাক্ষরের সহিত আবেদনে প্রদত্ত স্বাক্ষর মিলাইবেন।। (ঈ) রসিদ হারানোর বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট হাজির হইয়া সাক্ষ্য প্রদানের। নিমিত্ত যুক্তিসঙ্গত সময় প্রদান করিয়া আবেদনকারীর ব্যয়ে দলিলের দাখিলকারী

এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য গ্রহীতাগণের বরাবর এত বাকারপত্রসহ বেছি ডাকযোগে একটি নােটিস প্রেরিত হইবে। (উ) দলিলের দাখিলকারী বা অন্যান্য গ্রহীতা হাজির হইলে বা নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হইলে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দফা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতি, যতদূর প্রযোজ্য। অনুসরণ করিবেন এবং দলিলটির নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হইয়া। থাকিলে রসিদ হারানো সংক্রান্ত নিমরূপ প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন: “প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, মল রসিদ হারানোর বিষয়টি আমার নিকট প্রমাণিত হইয়াছে বিধায় দলিলের গ্রহীতাকে যথাযথরূপে সনাক্তক্রমে অপর পৃষ্ঠায় প্রাপকের স্বাক্ষর অনুয়ায়ী দলিলটি ফেরত প্রদান করা হইল।

তারিখ………………………….                                                                                                     নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা।”

(৩) ফিসের তালিকার দফা ‘চ(১)(অ) বা (আ) এর অধীন তল্লাশি ফিস আদায় করিতে হইবে এবং সাদা কাগজে উপযুক্ত (১) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, কিন্তু অপেক্ষমান বা অসম্পূর্ণ দলিলের ক্ষেত্রে দফা ‘চ(২) এর অধীন পরিদর্শন ফিস আদায় করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে তল্লাশী বা পরিদর্শন ফিস আদায়যােগ্য সেইক্ষেত্রে, নির্ধারিত ফরমে, আবেদনপত্র প্রযোজ্য। (ছ) রসিদ হারানোর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর টিপছাপ গ্রহণ করিতে হইবে।- রসিদ হারানোর অভিযোগে দলিল ফেরত প্রদানের আবেদনের ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ভিন্ন টিপছাপ রেজিস্টারে। আবেদনকারীর টিপছাপ গ্রহণ করিতে হইবে। রেজিস্টারের ২ নং কলামের শিরােনামের স্থলে “আবেদনকারীর নাম, স্বাক্ষর ও দলিলে বর্ণিত তাহার সামাজিক বা পেশাগত অবস্থান” হাতে লিখিয়া পরিবর্তন করিতে হইবে।

দলিলটি ফেরত দেওয়ার পূর্বে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলে বিদ্যমান পূর্বের টিপছাপের সহিত, যদি থাকে, বর্তমানে গৃহীত টিপছাপের তুলনা করিয়া স্বয়ং সন্তুষ্ট হইবেন যে, এইরূপ ক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।


 

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

Add comment

error: Content is protected !!