Last Updated on 09/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
কমিশনে ও ভিজিটে দলিল রেজিস্ট্রি পদ্ধতি:
কমিশনে দলিল রেজিস্ট্রি পদ্ধতিঃ রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৩৮ (১) ধারায় উল্লিখিত কারণে দলিলের দাতা বা পক্ষগণ কর্তৃক সম্পাদিত দলিল গ্রহীতার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করে দাতার সম্পাদন স্বীকৃতি গ্রহনের জন্য উক্ত দলিলের গ্রহীতা কর্তৃক আবেদন গ্রহনের পর সাব-রেজিস্ট্রার নিজে অথবা তাঁর অফিসের অফিস সহকারী বা মোহরার কর্তৃক আবেদনে বর্ণিত ঠিকানায় গিয়ে দলিল দাতার স্বীকৃতি আদায় ও রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ করাকে কমিশনে দলিল রেজিস্ট্রি বলা হয়। উক্ত আইনের ৩৮(২) ধারায় সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক আবেদনকৃত ঠিকানায় গমণ অথবা তাঁর কর্মচারী বরাবর কমিশন ইস্যু করার কথা বলা হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ৩৮(১) ধারায় বলা হয়েছে যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে রেজিস্ট্রি অফিসে সশরীরে উপস্থিত হইতে হইবে না, যথা-
- যিনি শারীরিক অক্ষমতা জনিত কারণে ঝুঁকি বা মারাত্মক অসুবিধা ব্যতীত রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হইতে অসমর্থ; বা
- যিনি দেওয়ানি বা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন কারাগারে আটক; এবং
- যিনি আইন দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হইতে অব্যাহতি পাইয়াছেন, এবং যাহাকে অতঃপর অন্তর্ভুক্ত পরবর্তী বিধান না থাকিলে ব্যক্তিগতভাবে রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হইতে হইত।
এই ধারার টীকায় বলা হয়েছে,
(১) আদালতে উপস্থিত হইতে আইন দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ হইলেনঃ
- পর্দানশীল স্ত্রীলোক, এবং
- আদালতে উপস্থিতি হইতে সরকার কর্তৃক অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ। (দেওয়ানি কার্যবিধি ১৯০৮ এর ধারা ১৩২, ১৩৩ দ্রষ্টব্য)
(২) সরকারি কর্মকর্তাগণও উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। (রেজিস্ট্রেশন আইনের ৮৮ ধারা দ্রষ্টব্য)
কমিশনের ফিসঃ রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩২ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে যে, রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৩৩ ঈর উপ-ধারা (৩), বা ৩৮ এর উপধারা (২) এর অধীন, কমিশন ইস্যুর সকল আবেদনের সহিত ধার্য ফি বা ফিসাদিসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা কমিশনার কর্তৃক দাবিযোগ্য ভ্রমনভাতার অর্থ জমা করিতে হইবে, এবং বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে (পরিশিষ্ট ১, ফরম নং ৯) লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। আবেদনকারী কর্তৃক উক্ত ফি বা ফিসাদি এবং ভ্রমনভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন কমিশন ইস্যু করা যাইবে না।
২ ডিসেম্বর, ২০১৪ খিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এস .আর. ও. নং ২৭৭-আইন/২০১৪ এর মাধ্যমে কমিশনের ফি পূনঃনির্ধারিত হয়, যা ১৬ নভেম্বর, ২০১৪ খিস্টাব্দ তারিখে কার্যকর করা হয়।
উক্ত প্রজ্ঞাপনের ‘ট’ নং ক্রমিকে বলা হয়েছে যে-
(১) রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ধারা ৩৩ এর উপধারা (৩) এর বিধান অনুযায়ী কোন কমিশন ইস্যু করিবার পূর্বে অথবা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সম্পাদন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত কি না তদবিষয়ে সাক্ষ্যাদি গ্রহণের নিমিত্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যক্তিগতভাবে কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে বা জেলখানায় গমনের পূর্বে, এবং ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান অনুযায়ী কোন কমিশন ইস্যু করিবার পূর্বে, অথবা কোন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যক্তিগতভাবে কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে বা জেলখানায় গমনের পূর্বে, উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের বাবদ নিম্নবর্ণিত ফি প্রদেয়ঃ-
- শারীরিক দৌর্বল্যের কারণে রেহাইপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি, জেলখানায় আবদ্ধ প্রত্যেক ব্যক্তি এবং আইনানুগভাবে আদালতে উপস্থিত হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রত্যেক পর্দানশীল মহিলার জন্য- ২০০ (দুইশত) টাকা;
- পর্দানশীল মহিলা ব্যতীত আইনানুগভাবে আদালতে উপস্থিত হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য- ১০০ (একশত) টাকা পরিশোধ করিতে হইবে।
(২) উক্ত ফিসের অতিরিক্ত হিসেবে রেজিস্ট্রি অফিস হইতে কমিশন স্থলের দূরত্ব এক কিলোমিটারের অধিক হইলে ভ্রমণভাতা বাবদ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে ভ্রমণের প্রকৃত দূরত্বের হিসাবে কিলোমিটার প্রতি ১০ (দশ) টাকা হারে, তবে সর্বনিম্ন ১০০ (একশত) টাকা এবং সঙ্গীয় পিয়নকে ৬ (ছয়) টাকা হারে, তবে সর্বনিম্ন ৬০ (ষাট) টাকা প্রদান করিতে হইবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ‘ট(১)’ এবং ‘ট(২)’ দফার ফি যথাক্রমে k(1), k(2) নামেও পরিচিত।
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল পৌর শহরে গাড়ি বা যানবাহন ভাড়ায় পাওয়া যায়, সেই সকল স্থানে ভ্রমণকৃত দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম বা বেশি হউক না কেন, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে ভ্রমণ ভাতার পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত ভাড়ার হারে যাতায়াত ভাতা প্রদান করিতে হইবে। সরকারের অনুমোদনক্রমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন ভাড়ার হার নির্ধারণ করিবেন।
দ্রষ্টব্যঃ (১) কমিশনে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাবদ ‘ট(২)’ দফায় উল্লিখিত ভ্রমণভাতা সমবায় সমিতিসমূহ, উহাদের কর্মকর্তা বা সদস্যগণের নিকট হইতে আদায়যোগ্য। (মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র নং ১০ তারিখঃ ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ।)
(২) যানবাহন ভাড়ার সাময়িক হার নিম্নরূপঃ-
- মেট্রোপলিটন শহরে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা।
- বিভাগীয় শহরে ৪০০ (চারশত) টাকা।
- জেলা শহরে ৩০০ টাকা এবং
- দেশের অন্যান্য পৌর এলাকায় ২০০ (দুইশত) টাকা।
‘ট’ দফার ফিস সংক্রান্ত টীকাঃ
(১) যদি একই পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত একই দলিলের দুই বা ততোধিক প্রতিলিপি একই সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করা হয়, তবে প্রতিটি প্রতিলিপির বাবদ একটি সাধারণ ফিস প্রদেয়, কিন্তু ঐ একই দলিলের যতগুলি প্রতিলিপিই রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করা হউক না কেন ‘ট’ দফার অধীন পরিশোধযোগ্য বাড়তি বা অতিরিক্ত ফিস শুধুমাত্র একটি দলিলের ক্ষেত্রেই ধার্য হইবে।
(২) যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একই লেনদেন সম্পর্কিত একই প্রকারের এক বা একাধিক দলিল সম্পাদনপূর্বক উহা বা উহাদের প্রতিলিপি নিবন্ধনের জন্য একই সময়ে দাখিল করেন এবং যেক্ষেত্রে নিবন্ধন কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেট ধারা ৩৩ বা ধারা ৩৮ এর অধীন উল্লিখিত দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে একই সময়ে পরীক্ষা করেন বা ক্ষেত্রমত, পরীক্ষা করিবার জন্য কমিশন ইস্যু করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার উপস্থিতির জন্য উক্ত ব্যক্তিগণের বাবদ ‘ট’ দফায় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি বা, ক্ষেত্রমত, কমিশন ইস্যুকরণের জন্য কেবলমাত্র একটি ফি প্রদেয় হইবে।
কোন ব্যক্তি বরাবর কমিশন ইস্যু করতে হবেঃ-
কাহার নিকট কমিশন ইস্যু করিতে হইবে সে বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩৫ বিধিতে আলোচনা করা হয়েছে, এখানে বলা হয়েছে,
- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী মোহরারের নিম্ন পদধারী নহেন এমন কোন বেতনভোগী সদস্য বরাবরে কমিশন ইস্যু করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হইবে তিনি যদি অন্য জেলা বা উপজেলায় বসবাস করেন, তাহা হইলে সংশ্লষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট কমিশন ইস্যু করা যাইবে। কমিশন প্রাপ্তির পর, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, যদি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হইতে না পারেন, তাহা হইলে তৎকর্তৃক বিধি ৩৪ এ উল্লিখিত পৃষ্ঠাঙ্কন ব্যবহারপূর্বক কমিশনটি সম্পন্ন করিবার জন্য তাহার কার্যালয়ের একজন বেতনভোগী সদস্যকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।
- উপ-বিধি (১) এর শর্তানুযায়ী যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা অপর কোন কর্মকর্তা বরাবর কমিশন প্রেরণ করেন, সেইক্ষেত্রে তিনি একই সঙ্গে কমিশন বাবদ প্রাপ্ত ভ্রমণভাতাও (যদি থাকে) প্রেরণ করিবেন, অবশ্য কমিশন ফিস তাহার নিজ কার্যালয়ের হিসাবে জমা করিবেন। ভ্রমনভাতা প্রেরণের খরচ আবেদনকারী বহন করিবে।
- ভিন্ন জেলা বা উপজেলায় বসবাসকারী ব্যক্তিকে পরীক্ষাকরণের জন্য, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক জেলা রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি গ্রহণপূর্বক তাহার স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের সহকারী বা মোহরারের বরাবর কমিশন ইস্যু করা যাইবে।
একই বিধিমালার ৩৬ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে যে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার কার্যালয়ে নিযুক্ত কমিশনারকে, কমিশন সম্পর্কিত কর্তব্য পালনের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয়ে, এবং বিশেষ করিয়া দলিলের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত স্বীকারোক্তির বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
কমিশন সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী কার্যক্রমঃ
রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩৭ নম্বর বিধিতে কমিশন সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে,
(১) কোন কমিশন সম্পন্ন হওয়ার পর তৎসম্পর্কিত দলিলটি, কমিশনার, পরিশিষ্ট ২ এর ফরম নং ৬ এ বর্ণিত পৃষ্ঠাঙ্কন, এবং যে সকল ক্ষেত্রে সম্পাদনকারীকে পাওয়া যায় না, বা তিনি কোন বক্তব্য প্রদান এড়াইয়া যান, সেই সকল ক্ষেত্রে উক্ত পৃষ্টাঙ্কন প্রয়োজনীয় পরিবর্তনক্রমে, প্রতিবেদন আকারে দলিলে লিপিবদ্ধ করিয়া, ইস্যুকারী কার্যালয়ে ফেরত প্রদান করিবেন।
(২) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, উক্ত প্রতিবেদনের নিম্নভাগে পরিশিষ্ট ২ এর ৭ নং ফরম অনুযায়ী একটি পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিবেন।
কমিশন ইস্যু করার ফরমঃ
রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩৪ নম্বর বিধিতে কমিশনের পৃষ্ঠাঙ্কনের ফরম সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক কমিশন পরিশিষ্ট ২ এর ৫ নম্বর ফরম অনুসারে ইস্যু হইবে, এবং যে দলিল সম্পর্কে ইস্যু করা হইয়াছে সেই দলিলে পৃষ্ঠাঙ্কিত হইবে।
কমিশন ইস্যু করিবার পৃষ্ঠাঙ্কনঃ
[ফরম নং ৫]
[বিধি ৩৪ দ্রষ্টব্য]
এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (বা দলিল) ‘কখ’ পিতা ‘গঘ’ সাকিন/নিবাস……… থানা/উপজেলা……….. জেলা…….. পেশা………. ধর্ম……….দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া দাবি করা হইতেছে বিধায় তৎকর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে কিনা তাহা অনুসন্ধান করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) [বা ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) এর] অধীন……….. ( কর্মকর্তার নাম ও পদবি) বরাবর এতদদ্বারা একটি কমিশন ইস্যু করা হইল।
নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও পদবি
তারিখ……………
দ্রষ্টব্য: অন্য কার্যালয়ের নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট কমিশন ইস্যু করা হইলে তাহার নাম লিখিবার প্রয়োজন নাই।
কমিশন নির্বাহ করার পর কমিশনার কর্তৃক পৃষ্ঠাঙ্কনঃ
[ফরম নং ৬]
[বিধি ৩৭(১) দ্রষ্টব্য]
‘কখ’ পিতা ‘গঘ’ সাকিন/নিবাস………. থানা/উপজেলা………. জেলা…………. পেশা………… এর আবাসস্থলে গমন করিয়া অদ্য আমি উক্ত ‘কখ’ কে পরীক্ষা করিয়াছি যিনি ‘ঙচ’ পিতা ‘ছজ’ সাকিন/নিবাস………… থানা/উপজেলা ………….. জেলা…………. পেশা…………. কর্তৃক আমার সন্তুষ্টিক্রমে সনাক্তকৃত হইয়াছে এবং উক্ত ‘কখ’ এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির (বা দলিলের) সম্পাদন স্বীকার (অস্বীকার) করিয়াছেন।
সম্পাদনকারীর স্বাক্ষর
সনাক্তকারীর স্বাক্ষর
কমিশনারের স্বাক্ষর
বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং পরিদর্শন করিলেও একই নিদর্শ ব্যবহৃত হইবে।
কমিশনারের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক পৃষ্ঠাঙ্কনঃ-
[ফরম নং ৭]
[বিধি ৩৭(২) ও ৯২ দ্রষ্টব্য]
উপরিউক্ত প্রতিবেদন দৃষ্টে আমি সন্তুষ্ট (সন্তুষ্ট নহি) যে, এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (বা দলিল) উক্ত ‘কখ’ কর্তৃক (পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায়) সম্পাদিত হইয়াছে এবং সেইমত আমি ১৯০৮ সনের ১৬ নং আইনের ৩৩ ধারার অধীন ইহার (পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে) প্রমাণীকরণ করি এবং ইহাকে ২০…… সনের…….. নম্বর হিসাবে রেকর্ডভুক্ত করি; অথবা (দলিলের ক্ষেত্রে) ইহাকে নিবন্ধনভুক্ত করি বা করিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করি বা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে) প্রমাণীকরণে অস্বীকার জ্ঞাপন করি।
নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও পদবি
তারিখ…………………….
ভিজিটে দলিল রেজিস্ট্রি পদ্ধতিঃ-
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ৩১ ধারার বিধান অনুসারে, কোন বিশেষ কারণ বশত দাতা, গ্রহীতা কিংবা দলিলের সম্পাদনকারী কোন পক্ষ রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল দাখিল করতে না পারলে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক উল্লিখিত দাতা বা সম্পাদনকারীর ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রির জন্য দলিল দাখিল গ্রহণ করাই হচ্ছে ভিজিট।
দলিল সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন
রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ৩১ ধারায় “ব্যক্তিগত আবাসস্থলে নিবন্ধন’ বিষয়ে বলা হয়েছে যে, এই আইনের অধীন দলিলপত্র দাখিলকরণ, নিবন্ধন ও জমাকরণ সাধারণত উক্ত দলিল নিবন্ধীকরণ বা জমা গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্পন্ন হইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, বিশেষ কারণ দর্শাইতে পারিলে উক্ত কর্মকর্তা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন দলিলদাখিল করিতে বা উইল জমা করিতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে গমন করিতে পারিবেন এবং রেজিস্ট্রেশন বা জমাকরণের জন্য উক্তরূপ দলিল বা উইল গ্রহণ করিতে পারিবেন।
রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়াল ২০১৪ তে উক্ত ধারার টীকায় বলা হয়েছে যে,
- “বিশেষ কারণ (Special cause”- ইহা ৩৮ ধারার (১) উপ-ধারার (ক), (খ) ও (গ) দফায় প্রদত্ত কারণসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে, তবে “বিশেষ কারণ” শুধু উক্ত কারণগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নহে। আবেদনকারী কর্তৃক প্রদর্শিত কারণসমূহের পর্যাপ্ততা বিচার করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা হইলেন উওম বিচারক এবং যদি তিনি সন্তুষ্ট হন, তা হইলে তাহার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের ক্ষমতা দেওয়ানি আদালতের নাই। -১৮৮১,৬ বোম্বাই ৯৬।
- এই ধারা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, অস্বাভাবিক জরুরি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনবশত অন্য যে কোন স্থানে, যেমনঃ আদালত ভবন, রেলওয়ে স্টেশন বা যেখানে উক্ত প্রত্যাশী দাখিলকারীর উপস্থিত থাকিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, সেখানে পরিদর্শন করিতে বাধা নাই। -১৯২০ অযোধ্যা ১৬০; ৫৮ আই. সি ৯০৬।
- পরিদর্শনের বিষয়টি অপরিহার্য করিবার মতো গ্রহণযোগ্য কারণ, যেমন; অসুস্থতা, পর্দানশীলতা, কারাগারে আটকাবস্থা বা এইরূপ অন্য কোন কারণ না থাকিলে পরিদর্শন করা যাইবে না। আবেদনকারীর সামাজিক অবস্থা, বা গোত্র, বা সম্পদ বিবেচনায় না নিয়া উক্ত কারণের যথার্থতা বিচার করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাই উত্তম বিচারক। কোন ধনী ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আবেদনটি প্রত্যাখান করিতে হইবে, যদি পরিদর্শনের একমাত্র উদ্দেশ্য বিত্ত প্রদর্শন করা হইয়া থাকে।
- “দলিল দাখিল করিতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি”- এই শব্দগুলি যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের অনুকূলে দলিল সম্পাদিত হইয়াছে শুধু তাহাদিগকেই অন্তর্ভুক্ত করে না, বরং যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দলিল সম্পাদন করেন তাহাদিগকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
- বাস্তবিকপক্ষে দলিলের “সম্পাদনকারী বা গ্রহণকারী” ব্যতীত অপর কেহ ৩১ ধারার অধীন কমিশনের আবেদন দাখিল করিলে দলিলের নিবন্ধন অবৈধ হয় না।- ১ বি.এস.সি.ডি. ২৫৯।
ভিজিটের ফিসঃ-
রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩২ নম্বর বিধিতে ‘ভিজিটের আবেদনের সহিত ফিস পরিশোধ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৩১ এর শর্তাংশ, ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩), বা ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) এর এর বিধান অনুযায়ী ভিজিটের সকল আবেদনের সহিত ধার্য ফি বা ফিসাদিসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাবিযোগ্য ভ্রমনভাতার অর্থ জমা করিতে হইবে, এবং বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত রেজিস্টারে (পরিশিষ্ট ১, ফরম নং ৯) লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। আবেদনকারী কর্তৃক উক্ত ফি বা ফিসাদি এবং ভ্রমনভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন ভিজিট সম্পন্ন করা যাইবে না।
২ ডিসেম্বর, ২০১৪ খিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এস .আর. ও. নং ২৭৭-আইন/২০১৪ এর মাধ্যমে ভিজিটের ফি পূনঃনির্ধারিত হয়, যা ১৬ নভেম্বর, ২০১৪ খিস্টাব্দ তারিখে কার্যকর করা হয়। উক্ত প্রজ্ঞাপনের (ঞ) নম্বর ক্রমিকে বলা হয়েছে,
- কোন দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে গ্রহণকরিবার জন্য বা সম্পাদনের স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধক্রমে কোন দলিল গ্রহণ করিতে বা কোন উইল দলিল জমার জন্য গ্রহণ করিতে রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৩১ এর বিধান অনুযায়ী যদি কোন কর্মকর্তাকে কোন ব্যক্তির আবাসস্থলে গমন করিতে হয়, তাহা হইলে প্রদেয় ফি- ৩০০ (তিনশত) টাকা।
- রেজিস্ট্রি অফিস হইতে কমিশন স্থলের দূরত্ব এক কিলোমিটারের অধিক হইলে পূর্বোক্ত ঞ(১) ফিস ব্যতীত ভ্রমণ ভাতা বাবদ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে ভ্রমণের প্রকৃত দূরত্বের হিসাবে কিলোমিটার প্রতি ১০ (দশ) টাকা হারে, তবে সর্বনিম্ন ১০০ (একশত) টাকা এবং সঙ্গীয় পিয়নকে ৬ (ছয়) টাকা হারে, তবে সর্বনিম্ন ৬০ (ষাট) টাকা প্রদান করিতে হইবে। [এখানে উল্লেখ্য যে, ‘ঞ(১)’ এবং ‘ঞ(২)’ দফার ফি যথাক্রমে j(1), j(2) নামেও পরিচিত।]
তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল পৌর শহরে গাড়ি বা যানবাহন ভাড়ায় পাওয়া যায়, সেই সকল স্থানে ভ্রমণকৃত দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম বা বেশি হউক না কেন, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে ভ্রমণ ভাতার পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত ভাড়ার হারে যাতায়াত ভাতা প্রদান করিতে হইবে। সরকারের অনুমোদনক্রমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন ভাড়ার হার নির্ধারণ করিবেন।
দ্রষ্টব্যঃ
- কমিশনে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল বাবদ ‘ট(২)’ দফায় উল্লিখিত ভ্রমণভাতা সমবায় সমিতিসমূহ, উহাদের কর্মকর্তা বা সদস্যগণের নিকট হইতে আদায়যোগ্য। (মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র নং ১০ তারিখঃ ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ।)
- যানবাহন ভাড়ার সাময়িক হার নিম্নরূপঃ-
- মেট্রোপলিটন শহরে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা।
- বিভাগীয় শহরে ৪০০ (চারশত) টাকা।
- জেলা শহরে ৩০০ টাকা এবং
- দেশের অন্যান্য পৌর এলাকায় ২০০ (দুইশত) টাকা।
‘ঞ’ দফার ফিস সংক্রান্ত টীকাঃ
- যদি একই পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত একই দলিলের দুই বা ততোধিক প্রতিলিপি একই সময়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করা হয়, তবে প্রতিটি প্রতিলিপির বাবদ একটি সাধারণ ফিস প্রদেয়, কিন্তু ঐ একই দলিলের যতগুলি প্রতিলিপিই রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করা হউক না কেন ‘ঞ’ দফার অধীন পরিশোধযোগ্য বাড়তি বা অতিরিক্ত ফিস শুধুমাত্র একটি দলিলের ক্ষেত্রেই ধার্য হইবে।
- যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একই লেনদেন সম্পর্কিত একই প্রকারের এক বা একাধিক দলিল সম্পাদনপূর্বক উহা বা উহাদের প্রতিলিপি নিবন্ধনের জন্য একই সময়ে দাখিল করিবার উদ্দেশ্যে ধারা ৩১ এর অধীন আবাসে দাখিল লইবার জন্য আবেদন করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার উপস্থিতির জন্য উক্ত ব্যক্তিগণের বাবদ ‘ঞ’ দফায় কেবলমাত্র একটি ফি প্রদেয় হইবে।
রেজিস্ট্রেশন বিধিমালার ৩৩ বিধিতে ‘ধারা ৩১ বা ধারা ৩৩ এর অধীন ভিজিট বাবদ প্রদেয় অর্থের জন্য রশিদ প্রদান’ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ধারা ৩১ এর শর্তাংশ, বা ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন, ভিজিট বাবদ বিধি ৩২ এ উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করা হইলে, উহার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা পরিশিষ্ট ১ এর ১০ নম্বর ফরমে একটি রশিদ প্রদান করিবেন।
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) নিম্নরূপঃ-
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সম্পাদন সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রার বা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেট, পাওয়ার দাতা বলিয়া কথিত ব্যক্তির আবাসস্থলে বা যে কারাগারে তিনি আটক রহিয়াছেন, সেই কারাগারে স্বয়ং গমন করিতে পারিবেন, এবং তাহাকে পরীক্ষা করিতে পারিবেন, বা তাহাকে পরীক্ষা করিবার জন্য কমিশন ইস্যু করিতে পারিবেন।
ভিজিট বাবদ প্রদেয় অর্থের জন্য রশিদঃ-
পরিশিষ্ট ১
ফরম নং ১০
বিবিধ রশিদ
[বিধি ৭, ২৪(৪), ২৮(৩) ও ৩৩ দ্রষ্টব্য]
১। ক্রমিক নং……………………………………………………………………………………
২। পরিশোধকারীর নাম………………………………………………………………………
৩। যে দলিল সম্পর্কিত ফিস উহার নম্বর…………………………………………………
দফা পরিমাণ
৪। পরিশোধকৃত ফিস…………………………………………………………………………
৫। অন্যান্য প্রাপ্তি……………………………………………………………………………….
নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা
বিঃদ্রঃ- দলিল দাখিলের পরবর্তী কোন তারিখে ফিস আদায়ের ক্ষেত্রে, কলাম (৩) পূরণ করিতে হইবে।
Add comment