আই জি আর ইন্সট্রাকশন ১৩তম অধ্যায় ও ১৪ তম অধ্যায়

Last Updated on 24/06/2025 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

অধ্যায় ১৩

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পর্কে বিশেষ বিধান।

১৩৮। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন ও প্রমাণীকরণের মধ্যে পার্থক্য।– অন্যান্য দলিলের মত যে কোন। বর্ণনার পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন করা যাইতে পারে, কিন্তু ধারা ৩৩ এর অধীন প্রমাণীকৃত না হওয়া পর্যন্ত পাওয়ারদাতা কর্তৃক বা তাহার অনুকূলে সম্পাদিত দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে দাখিল করা হইলে ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। সুতরাং যদি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিল করা হয়, যিনি সম্ভবত নিবন্ধন এবং প্রমাণীকরণের মধ্যে পার্থক্য অনুধাবন করিতে পারেন না এবং যদি ইহা এমন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি না হয় যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রমাণীকরণ করিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি তাহা নিবন্ধন করিবেন। যদি একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন ও প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে আনীত হয় তাহা হইলে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রথমে ইহা প্রমাণীকরণ করিবেন, অতঃপর স্বাভাবিক নিয়মে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবেন, দুইটি কর্মপদ্ধতি ভিন্ন লেনদেন হিসাবে গণ্য হইবে এবং প্রত্যেকটির জন্য প্রচলিত ফিসাদি ধার্য করা হইবে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে ফি বহিতে জমা করা হইবে।

স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যতীত সকল পাওয়ার ৪নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত পাওয়ার ১ নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে।


১৩৯। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন।- (ক) প্রমাণীকরণের জন্য প্রতিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩(১)(ক) এর অধীন অবশ্যই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত হইতে হইবে। এই বিধানের একমাত্র ব্যতিক্রম হইল উক্ত ধারার বিধানের অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের জন্য নিবন্ধন কার্যালয়ে উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার। (খ) নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১)(ক) এর প্রয়ােজনে দাখিল প্রদানের পূর্বে সম্পাদিত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে পুনঃ সম্পাদনের মাধ্যমে বহাল থাকিবে।।


১৪০। দলিল সম্পাদন ও দাখিল করিবার ক্ষমতাযুক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- দলিল সম্পাদন এবং নিবন্ধনের জন্য দাখিল করিবার ও সম্পাদন স্বীকার করিবার ক্ষমতাযুক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল, আইন অনুযায়ী প্রমাণীকরণের আবশ্যক নাই। এইরূপ পাওয়ার প্রমাণীকরণ করা হইবে না, কিন্তু পক্ষগণ চাহিলে নিবন্ধন করা যাইতে পারে।।


১৪১। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনকারীগণের টিপছাপ গ্রহণ।– সম্পাদনকারীগণের সনাক্তকরণ এবং তাহাদের টিপছাপ গ্রহণ সংক্রান্ত বিধি ৪৬ এবং বিধি ৪৮ এর বিধান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য হইবে।।


১৪২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে পক্ষগণের পূর্ণ বিবরণ আবশ্যক।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়ে দাখিলকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল পক্ষগণের পূর্ণ তথ্যাদি (ঠিকানা, পেশা, জীবিকা ইত্যাদি) কিংবা তাহাদের সনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত বিবরণ সংবলিত হইতে হইবে। (খ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ এইরূপ তথ্য বা বিবরণবিহীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসমূহে বিচ্যুতি সরবরাহ করিবার জন্য পক্ষগণের নিকট ফেরত প্রদান করিবেন।


১৪৩। বাংলাদেশে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- (ক) যেক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের সময় পাওয়ারদাতা বাংলাদেশের যে কোন অংশে বসবাস করেন যেখানে এই আইন বলবৎ, সেইক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত হইতে হইবে, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান ক্ষেত্রমত, প্রযােজ্য হইবে। যদি এইরূপ পাওয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয়, তাহা হইলে, ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে, ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। (খ) যদি পাওয়ারদাতা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের সময় বাংলাদেশের কোন অংশে বসবাস করেন, যেখানে এই আইন বলবৎ নহে, যথা- পার্বত্য চট্রগ্রাম, তাহা হইলে, এইরূপ পাওয়ার অবশ্যই কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত হইতে হইবে, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান ক্ষেত্রমত, প্রযােজ্য হইবে, অন্যথায় ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। (গ) বাংলাদেশের বাহিরে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত কোন কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান। ক্ষেত্রমত, প্রতিপালিত না হওয়া পর্যন্ত ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে, গ্রাহ্য করা হইবে না। যে সকল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পাওয়ারদাতার অনুপস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের হলফনামার উপর নােটারী। পাবলিক কর্তৃক প্রমাণীকৃত, তাহা নিবন্ধনের প্রয়ােজনে গ্রাহ্য করা হইবে না।


১৪৪। একটি দলিলে কতিপয় ক্ষমতা।– (ক) স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে, একই পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে কতিপয় ক্ষমতা সংযােজনে কোন আপত্তি নাই।।

(খ) দলিল সম্পাদন ও নিবন্ধনের জন্য দাখিলকরণ, স্ট্যাম্প শুল্কের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি লেনদেন। সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে যে, পাওয়ার অব অ্যাটনির স্ট্যাম্প শুল্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে দলিল। সম্পাদন এবং নিবন্ধনের জন্য উহা দাখিলকরণ একটি লেনদেন হিসাবে গণ্য হইবে।


১৪৫। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের জন্য দাখিল করিতে হইবে।- কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সম্পাদন স্বতঃস্ফূর্তভাবে হইয়াছে কিনা, সেই বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের নিমিত্ত, নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন, ভিজিট বা কমিশনের আবেদন লিখিত হইতে হইবে, এবং, সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তির পক্ষে ইহা দাখিলকত তাহার দ্বারা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে। যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কমিশন ইস্য করিতে চাহেন, সেইক্ষেত্রে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৬৯ এর অধীন নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৩৪ এর বিধান অনুযায়ী পরিশিষ্ট ২ এর ৫ নং ফরমে কমিশনটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে রেকর্ডভক্ত করিতে হইবে। অতএব, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য ভিজিট বা কমিশনের আবেদনের সহিত সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি তাহার। সম্মুখে দাখিল করিতে হইবে, যাহাতে তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটিতে শুধু কমিশনের পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ *মতে সমর্থ হবেন, তাহা নহে বরং ইহার বিষয়বস্তু অবগত হইয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। “, “ধান আইনের ধারা ৩২ বা ধারা ৩৪ এর প্রয়ােজনে প্রকতপক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটনিটির প্রমাণীকরণ আবশ্যক কিনা।

যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হন যে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটির প্রমাণীকরণ আবশ্যক এবং কামশন ইস্যু করিবার পরিবর্তে স্বয়ং ভিজিট প্রদান করিতে মনস্থির করেন, তাহা হইলে তিনি ভিজিটে গমনের সময় পাওয়ার দলিলটি অবশ্যই সাথে নিবেন। অতএব, সাধারণভাবে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন ভিজিট বা কমিশনের প্রতিটি আবেদনের সহিত প্রমাণীকরণযােগ্য মূল পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি সংযুক্ত করিতে হইবে। স্ট্যাম্পের প্রত্যায়ন এবং দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটিতে যথাযথ পরিবর্তনসহ রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে। ফি বহিতে প্রয়ােজনীয় ভূক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। বিধি ৪৪ এ নির্ধারিত মতে পরিশিষ্ট ১ এর ৮ নং ফরমে একটি রসিদ প্রদান করিতে হইবে।

যাহা হউক, এমন ঘটনাও ঘটিতে পারে যেক্ষেত্রে ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন উপস্থিতি। হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিগত আবাসস্থলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে পারেন এবং ভিজিটের সময় উক্ত ব্যক্তি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি সম্পাদন করিতে পারেন। ধারা ৩৩ এর অধীন বিধানটি এইরূপ কোন ঘটনার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে প্রত্যাশা করে না, কিন্তু পাশাপাশি এইরূপ সম্ভাবনা বাতিলও করে না। অধিকন্তু যেক্ষেত্রে, ইতােমধ্যে সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির স্বতঃপ্রবৃত্ত সম্পাদনের বিষয়ে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বয়ং সন্তুষ্ট হওয়া এবং এইরূপ সন্তুষ্টির সহিত ইহার প্রমাণীকরণ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে তিনি আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সেইক্ষেত্রে প্রকৃতই তাহার সম্মুখে সম্পাদিত হইলে তিনি ভজিটের সময় অধিকতর প্রত্যয়ের সহিত ইহার প্রমাণীকরণ সম্পন্ন করিতে পারিবেন; কারণ সম্পাদনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে এই ঘটনার চাইতে অধিকতর ভাল প্রমাণ আর হইতে পারে না; এবং এই সকল ব্যতিক্রমধর্মী ক্ষেত্রে ভিজিটের আবেদন গ্রহণে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ তাহাদের স্বীয় বিচক্ষণ ক্ষমতা প্রয়ােগ করিবেন। অবশ্য এই সকল ক্ষেত্রে বর্তমান বিধানের অধীন কোন কমিশন ইস্য করা যাইবে না। এইক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ২ এর ৮ নং ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন করিতে হইবে, ভিজিটের স্থানটি পৃষ্ঠাঙ্কনে যুক্ত করিতে হইবে।


১৪৬। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ প্রস্তুতকরণ।- পাওয়ারদাতা, তাহার এজেন্ট এবং সনাক্তকারীর নাম এবং পূর্ণ পরিচিতি (ঠিকানা, পেশা, জীবিকা ইত্যাদি), প্রমাণীকরণের তারিখ এবং এজেন্টকে প্রদত্ত কতিপয় ক্ষমতার সার-সংক্ষেপ ইত্যাদি, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি প্রমাণীকরণের সঙ্গে সঙ্গে, বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত পরিশিষ্ট ১ এর ১৭ নং ফরমে, রক্ষিত রেজিস্টারের যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টারে ভুক্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করিবার সময় নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ সতর্কতার সহিত অনুসরণ করিতে হইবে :

(ক) প্রতিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপের উপরিভাগে পরিশােধকৃত স্ট্যাম্প শুল্ক লাল কালিতে লিখিতে হইবে।

(খ) সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ এজেন্টকে প্রদত্ত বিভিন্ন ক্ষমতার একটি সুস্পষ্ট সার সংকলন সংবলিত হইবে।

(গ) সম্পাদিতব্য বা নিবন্ধিতব্য কোন দলিল বা দলিলসমূহের বিবরণী, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে

যাহার উল্লেখ আছে (এবং এজেন্টকে প্রদত্ত স্বতন্ত্র ক্ষমতা যদি থাকে, উহার সার-সংকলনও)

বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ ধারণ করিবে।

(ঘ) পূর্ববর্তী কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহারকরণের কোন শর্ত থাকিলে, সার-সংক্ষেপে তাহা

লিখিতে হইবে।

(ঙ) বিধি ৯১ এ নির্ধারিত টীকা প্রতিক্ষেত্রে রেজিস্টারে নকল করিতে হইবে।

রেজিস্টারের প্রতিটি সার-সংক্ষেপ প্রমাণীকরণের দিন বা যথাশীঘ্র সম্ভব প্রস্তুত করিতে হইবে। এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে, এবং তিনি রেজিস্টারের প্রতি কলামে ভুক্তির নিম্নভাগে তাহার অনুস্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

(ছ) সকল পাওয়ারদাতা এবং অ্যাটর্নিগণের নামের সূচিপত্র একই রেজিস্টারে বৎসরান্তে উক্ত সনের সর্বশেষ ভুক্তির পর নিম্নে প্রদত্ত ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে :

নাম ঠিকানা, জাতীয়তা, পেশা ইত্যাদি লেনদেনে স্বার্থ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি যে পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে

১৪৭। পাওয়ার প্রত্যাহারকরণ।- কোন পাওয়ারদাতা কোন প্রমাণীকৃত পাওয়ার প্রত্যাহার করিতে। চাহিলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি, যদি উহা পাওয়া যায়, বাতিলকরণের নিমিত্ত একটি আবেদনপত্রসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থাপন করিবেন। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহারকরণ নথির ….. পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য” শব্দাবলি প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টারের মূল ভুক্তির উপরে এবং পাওয়ার দলিলেও, যদি উহা আবেদনপত্রের সহিত দাখিল করা হইয়া থাকে, লাল কালি দিয়া লিপিবদ্ধ করিবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও তারিখ অবশ্যই প্রদান করিতে হইবে।


১৪৮। পাওয়ার প্রত্যাহারকরণের আবেদন বা বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করিবার পদ্ধতি।- প্রত্যেক নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, তাহার কার্যালয়েই হউক বা অন্য কোন কার্যালয়ে, প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, প্রত্যাহারকরণের আবেদন বা বিজ্ঞপ্তি একটি নথিতে সংরক্ষণ করিবেন। বিজ্ঞপ্তির উপর আড়াআড়িভাবে উহা গ্রহণের তারিখ এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে এবং কার্যালয়ের নােটিশ বাের্ডে আবেদন বা বিজ্ঞপ্তির একটি অনুলিপি প্রদর্শন করিতে হইবে। কোন পাওয়ার অকার্যকর হইয়াছে কি না, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হইবার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসঙ্গ-নির্দেশের জন্য সকল প্রত্যাহৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির একটি তালিকা তাহার সম্মুখে রাখিতে পারিবেন।।


১৪৯। দ্বিলিপি বা ত্রিলিপি বিশিষ্ট পাওয়ার।- (ক) প্রমাণীকরণের জন্য দাখিলকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দ্বিলিপি বা ত্রিলিপিকে ভিন্ন পাওয়ার হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং ইহার জন্য ভিন্ন। প্রমাণীকরণ ফিস ধার্য করিতে হইবে, কিন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নির রেজিস্টারে একাধিকবার ইহার সারসংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করিবার প্রয়ােজন হইবে না। সংশ্লিষ্ট দ্বিলিপি বা ত্রিলিপির স্ট্যাম্পের মূল্যসহ উহাদের নম্বর যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, একই সঙ্গে সার-সংক্ষেপের কলামে নিম্নবর্ণিত ফরমে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

“ইহা ….. নং পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দ্বিলিপি, ত্রিলিপি বা ….. লিপি, যাহার সার-সংক্ষেপ ….. নং পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ রহিয়াছে।”

(খ) একাধিক পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত বলিয়া প্রতীয়মান পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দাতাগণ, যাহারা ভিন্ন ভিন্ন সময় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হন এবং যাহাদের বাবদ ফিসের তালিকার (ঠ) দফার অধীন এইরূপ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের জন্য ভিন্ন ফিস ধার্য করা হয়, সেই সকল পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে যতজন পাওয়ারদাতা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে। উপস্থিত হইবেন এবং পরীক্ষিত হইবেন, পাওয়ারটিতে ততটি নম্বর যুক্ত হইবে। তবে, পাওয়ার অব। অ্যাটর্নি রেজিস্টারে একাধিকবার ইহার সার-সংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা আবশ্যক হইবে না।


১৫০। জেলা রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক পাওয়ার প্রমাণীকরণ।- জেলা রেজিস্ট্রারের অধিক্ষেত্রাধীন জেলার যে কোন অংশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জেলা রেজিস্ট্রার প্রমাণীকরণ করিতে পারিবেন। অতএব, একজন সাব-রেজিস্ট্রার তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে। রেজিস্ট্রার হিসাবে এইরূপ পাওয়ার প্রমাণীকরণ করিতে পারিবেন।।


১৫১। মৃত সম্পাদনকারীর পক্ষে এজেন্ট সম্পাদন স্বীকার করিতে অধিকারপ্রাপ্ত নহে।- যেক্ষেত্রে কোন এজেন্ট কোন দলিলের সম্পাদন স্বীকার করিবার জন্য উপস্থিত হন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এজেন্টকে জিজ্ঞাসা করিয়া সন্তুষ্ট হইবেন যে, সম্পাদনকারী জীবিত আছেন। অধিকন্তু, যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, পাওয়ারদাতা মৃত, তাহা হইলে তিনি একটি জবানবন্দি রেকর্ডভুক্ত করিবেন, এবং যদি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, তিনি মৃত, তাহা হইলে মৃতের প্রতিনিধি বা মনােনীত ব্যক্তি উপস্থিত হইয়া সম্পাদন স্বীকার না করা পর্যন্ত তিনি দলিলটি নিবন্ধন করিবেন না।


১৫২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণে অসম্মতি।- যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপধারা (৩) এর অধীন পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির। স্বতঃপ্রবৃত্ত সম্পাদনের বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তাহার আবাসস্থলে উপস্থিত হইয়া নিশ্চিত হইতে।

পারেন না যে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি প্রকৃত পাওয়ারদাতা কর্তৃক স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। বা যেক্ষেত্রে তাহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, পাওয়ারদাতা নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদ, সেইক্ষেত্রে। প্রমাণীকরণে তাহার অস্বীকৃতির বিষয়টি তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে রেকর্ডভক্ত করিবেন : “তাহার বাসস্থান পরিদর্শন এবং তাহাকে পরীক্ষা ইত্যাদি, করিয়া আমি নিশ্চিত নহি যে, এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তাহার দ্বারা স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে (বা আমার মতে পাওয়ারদাতা আনুমানিক ….. বৎসর বয়সের নাবালক বা নির্বোধ বা উন্মাদ) এবং তদনুসারে আমি ইহার প্রমাণীকরণে আমার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতেছি।” দলিলটি অবিলম্বে ফেরত প্রদান করিতে হইবে এবং ভিজিট ও কমিশন রেজিস্টারের মন্তব্যের কলামে। নিম্নবর্ণিত ফরমে টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: “সম্পাদনকারীর সম্পাদন অস্বীকার, নাবালকত্ব, নির্বুদ্ধিতা বা, ক্ষেত্রমত, উন্মাদগ্রস্ততার কারণে। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রমাণীকরণ অগ্রাহ্য করা হইল।”


১৫৩। [ বাতিলকৃত]।


 

 

অধ্যায় ১৪

উইল এবং দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রের বিষয়ে পদ্ধতি

১৫৪। উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের পদ্ধতি।- নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৫ এ নির্ধারিত পদ্ধতি উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। নহে। ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২), এইরূপে দাখিলকৃত উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের বিষয় সম্পর্কিত।


১৫৫। উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিলকরণ।- যদি উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর কোন উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, তাহা হইলে, যে ব্যক্তি এইরূপ উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিল করেন তিনি অবশ্যই, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করিবেন যে, উইলকারী বা দাতা মৃত এবং উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রটি উইলকারী বা, ক্ষেত্রমত, দাতা কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছিল এবং তিনি উহা দাখিল করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বিশেষ ক্ষেত্রে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন অভিপ্রেত। অনুসন্ধানের জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য করিতে পারিবেন।


১৫৬। বিধি ৪২ক এর অধীন গ্রহণযােগ্যতার প্রত্যায়নপত্র।- উইলের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদেয় নহে। বিধায় বিধি ৪২ক এর অধীন গ্রহণযােগ্যতার প্রত্যায়ন নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে :“বিধি ২০ এর অধীন গ্রহণযােগ্য। ১৮৯৯ সনের স্ট্যাম্প আইনের অধীন স্ট্যাম্প শুল্কের আবশ্যকতা।


১৫৭। উইল ও সিলমােহরযুক্ত খাম উনাক্তকরণ।- ধারা ৪৫ এর অধীন উন্মুক্তকৃত উইলসহ সকল।- সিলমােহরযুক্ত খাম ক্ষয়-ক্ষতি বা অনিষ্ট হইতে সুরক্ষার জন্য শক্ত খামের অভ্যন্তরে রাখিতে হইবে। ধারা ৪২ এর অধীন জমাকৃত উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খামসমূহ নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ১০০

এর বিধান প্রতিপালনের নিমিত্ত প্রতিমাসে পরীক্ষা করিতে হইবে, এবং এইরূপ পরীক্ষকরণের বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারের দিনপঞ্জির “মন্তব্য” কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। সিলমােহরযুক্ত খামসমূহ এইরূপ পরীক্ষাকরণের পর দুষ্ট অবস্থা বিবরণী ‘ক’ এর বিবৃতি ‘ঘ’ এর নিম্ন

ভবতি ‘ঘ’ এর নিম্নভাগে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।


১৫৮। সিলমােহরযুক্ত খাম সংক্রান্ত পত্র যােগাযােগ।- সিলমােহরযুক্ত খাম সম্পর্কিত যােগাযােগ সংক্রান্ত পত্রাদি এবং প্রত্যাহৃত বা আদালতে প্রেরিত খামের প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসমূহ যত্নের সহিত

ক্ত করিতে হইবে এবং লােহার সিন্ধকে রাখিতে হইবে, যাহাতে প্রয়ােজনের সময় এইগুলি অনায়াসে পেশ করা যায়। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসমহ ৫ নং রেজিস্টার বহিতে আঠা দ্বারা লাগাইতে হইবে। , তবে, সংশ্লিষ্ট ভুক্তিটির বিপরীতে, একটি টীকা লিপিবদ্ধ করা যাইবে।


১৫৯। নিবন্ধিত এবং অগ্রাহ্যকত দাবিবিহীন উইল।- নিবন্ধিত এবং অগ্রাহ্যকত দাবিবিহীন উহলসমূহ। অন্যান্য দাবিবিহীন দলিল হইতে পথক করিয়া রাখিতে হইবে এবং উহাদের নিবন্ধন বা, ক্ষেত্রমত, অগ্রাহ্যকরণ হওয়ার তারিখ হইতে ১ (দুই) বৎসর পর জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ কাম যিনি উহা সংশিষ্ট সদর কার্যালয়ে সংরক্ষণের নিমিত্ত প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এইম। ‘ প্রাপ্তির পর, সদর রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অবিলম্বে সদর কার্যালয়ে রক্ষিত দাবাবহান উইলের রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে।


১৬০। উইল উনাক্তকরণের সময় পৃষ্ঠাঙ্কন।- (ক) যেক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৫ এর অধীন উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খাম উনাক্ত করা হয়, সেইক্ষেত্রে বিধি ৯৮(১) অনুযায়ী ৫ নং রেজিস্টার। বহিতে আবশ্যকীয় টীকার অতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

“উইলকারীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হইয়া অদ্য ২০ … সনের ….. মাসের …. তারিখ ….. এর (নাম ও ঠিকানা) আবেদনের প্রেক্ষিতে তাহার সম্মুখে এই উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খামটি উন্মুক্ত করা ইহল।

আবেদনকারীর স্বাক্ষর

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর।

সিল ও তারিখ

(খ) আদালতের আদেশে কোন উইল-সংবলিত কর্তৃক সিলমােহরযুক্ত খাম উন্মুক্ত করা হইলে উইলের। উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: ৫ আদালতের ….. তারিখের ….. নং আদেশ অনুসারে ….. সনের ….. নং খাম ….. তারিখে। উন্মুক্ত করা হইল।”

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর।

সিল ও তারিখ।

উক্ত পৃষ্ঠাঙ্কনসহ উইলটি নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৬ এর অধীন ৩ নং রেজিস্টার বহিতে নকল করিতে হইবে, এবং বিষয়টি ৫ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, অধিকন্তু উইলের উপর নিম্নরূপ। পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: * ২০ ….. সনের ….. নং হিসাবে ৩ নং বহির ….. নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠায় নকলকৃত।”

রেজিস্ট্রার, ৩ নং বহিতে উইলটির অবিকল নকল স্বাক্ষর করিবার পর, উইলের উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিবেন:

” ….. আদালতের … তারিখের … নং আদেশ অনুসারে ….. আদালতে প্রেরণ করা হইল।”

উইলের উপর লিপিবদ্ধ সকল পৃষ্ঠাঙ্কন রেজিস্ট্রার কর্তৃক সিলমােহরযুক্ত, স্বাক্ষরিত এবং তারিখযুক্ত হইবে। অনুরূপভাবে উইলের প্রতিটি পৃষ্ঠা রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং সিলমােহরযুক্ত হইবে। ৫ নং রেজিস্টার বহির কলামসমূহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সতর্কতার সহিত পূরণ করা হইবে।।


১৬১। সিলমােহরযুক্ত উন্মুক্ত খাম সংরক্ষণ।- যে সকল কার্যালয় কর্তৃক জমাকারীর উপরিলেখ এবং রেজিস্ট্রারের পৃষ্ঠাঙ্কন সংবলিত খাম উইলের সহিত আদালতে প্রেরিত হয় নাই, সে সকল কার্যালয়ে। উক্ত খামসমূহ যত্নের সহিত ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে।


১৬২। উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলের অধীন নাবালক গ্রহীতার অভিভাবক কর্তৃক দাখিলকরণ।– অভিভাবক তাহার হেফাজতে থাকা নাবালকের উপকারার্থে যাবতীয় কার্য করিতে পারেন, আইনের এই সাধারণ নিয়মের অধীন উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলের অধীন গ্রহীতা দাবিদার নাবালক হইলে তাহার অভিভাবকের নিকট হইতে উইল নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করা যাইতে পারে।


১৬৩। উইলকারীর এজেন্টকে ক্ষমতাযুক্ত করিবার পদ্ধতি।-  যেক্ষেত্রে কোন উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খাম জমাকরণের জন্য ধারা ৪৩ এর অধীন দাখিল করা হয়, বা কোন সিলমােহরযুক্ত খাম প্রত্যাহার করিবার জন্য ধারা ৪৪ এর অধীন উইলকারীর এজেন্ট কর্তৃক আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে এজেন্টকে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইতে হইবে অর্থাৎ সাধারণ আইন অনুসারে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইতে হইবে, ধারা ৩৩ ধারায় সন্নিবিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার আবশ্যকতা নাই।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

Add comment

error: Content is protected !!