আই জি আর ইন্সট্রাকশন এর ১১ তম অধ্যায় ও ১২ তম অধ্যায়

Last Updated on 24/06/2025 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

অধ্যায় ১১

দলিলের নকল, স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট, আদেশ এবং নিদর্শনপত্র।

১১২। ধারা ৬৪ ও ৬৫ এর বিধানসমূহ কঠোরভাবে পালন করিতে হইবে।– নকল এবং স্মারকলিপি। প্রস্তুতকরণ এবং প্রেরণ সংক্রান্ত ধারা ৬৪ ও ৬৫ এর অধীন বিধানসমূহ কঠোরভাবে পালন করিতে । হইবে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখিতে হইবে যাহাতে কোন অবস্থায়ই অন্যান্য কার্যালয়ে এইরূপ কোন নকল এবং স্মারকলিপি প্রেরণ বাদ না পড়ে।


১১৩। নকল, ইত্যাদি প্রমাণীকরণ।- নকল এবং স্মারকলিপি নকলনবিস, তুলনাকারী এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রমাণীকৃত হইবে, এবং যে কার্যালয়ে প্রস্তুত করা হইয়াছে সেই কার্যালয়ের সিলমোহর দ্বারা মোহরাঙ্কিত হইবে।


১১৪। নকল, ইত্যাদি দ্রুত প্রেরণ।- (ক) যেক্ষেত্রে একটি দলিলের বহু সংখ্যক নকল প্রস্তুত করিতে হয়, সেক্ষেত্রে সব কয়টি নকল সম্পূর্ণ হইবার জন্য অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই, বরং প্রতিটি নকল প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেরণ করিতে হইবে।

(খ) যাহার দ্বারা ড(খ) ফিস আদায় করা হইবে।- যে সকল দলিলের নকল অন্য জেলায় প্রেরণ করা আবশ্যক, সেই সকল দলিলে ফিসের তালিকায় দফা ড(খ) এর অধীন ফিস নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। কর্তৃক আদায় করা হইবে।

(গ) বিধি ৭৭(১) এর অধীন কোন কার্যালয়ে প্রাপ্ত নকল বা নকলসমূহের বিষয়ে স্মারকলিপি প্রস্তুতকরণ সহজ করিবার জন্য সম্পত্তির নাম এবং বিবরণ সম্বলিত নকলের যে অংশ যে জেলায়। পাঠাইতে হইবে উহা নকলটির মার্জিনে লাল কালি দিয়া স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করিতে হইবে, যাহাতে উহা। অনায়াসে স্মারকলিপি প্রস্তুতকারী সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে। যাহা হউক, ইহা নকলটিকে সার্বিকভাবে মনােযােগের সহিত পরীক্ষা করিবার বিষয়ে স্মারকলিপি প্রস্তুতকারী সহকারীর দায়িত্ব ক্ষুন্ন। করিবে না।


১১৫। স্মারকলিপি প্রস্তুতকরণ।- স্মারকলিপি প্রস্তুতকালে নিম্নের নির্দেশনা অনুসরণ করিতে হইবে। (পরিশিষ্ট ১, ফরম নং ৬)।

(ক) ১ নং কলামে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে :

(১) দলিলের প্রকার অর্থাৎ বিক্রয়, বন্ধক ইত্যাদি।

(২) দলিল দাখিলের তারিখ।

(৩) নিবন্ধন সংক্রান্ত পৃষ্ঠাঙ্কনের নকল।

(খ) ২ এবং ৩ নং কলাম দুইটি স্বব্যাখ্যাত।

(গ) ৪ নম্বর কলাম দলিলে উল্লিখিত সম্পত্তির সাধারণ বিবরণাদি, অর্থাৎ জমিদারি, পত্তনি তালুক, নীল কারখানা ইত্যাদিসহ জমির অবস্থান, হস্তান্তরিত স্বার্থের পরিমাণ এবং অন্য কোন সংক্ষিপ্ত নাম যাহার দ্বারা সাধারণভাবে সম্পত্তিটি পরিচিত, ইত্যাদি বিষয় লিপিবদ্ধকরণের জন্য নির্দিষ্টকৃত। কালেক্টরেটের নামসহ তৌজি নম্বর ও সার্ভে নম্বর এবং যেক্ষেত্রে সম্ভব জরিপী দাগ নম্বরও দিতে হইবে, শহরের বাড়ি-ঘরের ক্ষেত্রে রাস্তার নাম এবং বাড়ির নম্বর দিতে হইবে।

(ঘ) যেক্ষেত্রে কোন রাজস্ব প্রদানকারী সম্পত্তি হস্তান্তরিত হয়, সেইক্ষেত্রে, সম্ভব হইলে, খাজনার পরিমাণ এবং সমুদয় সম্পত্তি হস্তান্তরিত হইয়াছে, না উহার অংশবিশেষ, তাহা উল্লেখ করিতে হইবে। এবং স্থায়ী স্বত্বের ক্ষেত্রে স্বত্বের প্রকার বর্ণনা করিতে হইবে; বন্ধকী দলিলের ক্ষেত্রে উহা খাইখালাসি, অন্য প্রকার, ইত্যাদি উল্লেখ করিতে হইবে।


১১৬। সংক্ষিপ্ত টীকা প্রেরণ।- যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবার তারিখে কোন দলিলের নকল প্রেরণ করিতে অসমর্থ হন, সেইক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ৫ এর ১৯ নং ফরমে একই দিন একটি সংক্ষিপ্ত টীকা প্রেরণ করিবেন। গ্রহণকারী কর্মকর্তা পরিশিষ্ট ১ এর ১২ নং ফরমে ইহার প্রাপ্তি। স্বীকার করিবেন।


১১৭। ডাক খরচ।- নকল এবং স্মারকলিপি প্রেরণের ডাক খরচ পক্ষগণের উপর ধার্য করা যাইবে না। খরচটি নিবন্ধন ফিস তালিকার ‘ড’ দফার অধীন একীভূত ফিস হইতে সংকুলানকৃত বিধায় আনুষঙ্গিক খরচ হিসাবে সরকার কর্তৃক নির্বাহিত হইবে।


১১৮। নকল, স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রেরণ পদ্ধতি।- (ক) অন্যান্য কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য নকল এবং স্মারকলিপি প্রস্তুতকালে, বিধি ৭৬(২) এ উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসৃত হইবে। (খ) অন্যান্য কার্যালয়ে প্রেরিত সকল নকল ও স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে (ফরম নং ২৬, পরিশিষ্ট ১)।


১১৯। নকল, স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রাপ্তির পর কার্যপদ্ধতি।- (ক) ধারা ৮৯ এর অধীন আদালত এবং রাজস্ব কার্যালয় হইতে প্রেরিত নিলাম বিক্রয়ের সার্টিফিকেট ও নিদর্শনপত্রের নকল ও আদেশের অনুলিপি এবং ধারা ৬৪ হইতে ধারা ৬৬ এর অধীন অন্যান্য নিবন্ধন কার্যালয় হইতে প্রেরিত নকল ও স্মারকলিপি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে গৃহীত, অনুস্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে। অতঃপর, বিধি ৬(৫) এ নিহিত পদ্ধতিতে সেইগুলি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ক্রমানুসারে নম্বরযুক্ত, পৃষ্ঠা সংখ্যা চিহ্নিত, সুচিকরণ অন্তে নথিভুক্ত করা হইবে। এই সকল ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ৪ নং ফরমে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক নিবন্ধিত’ শব্দটির পরিবর্তে নথিভুক্ত (Filed)’ শব্দটি লিখিতে হইবে। (খ) নকল ও স্মারকলিপির প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ফেরৎ প্রাপ্তির পর, উহারা যে দলিল সম্পর্কিত সেই দলিলের ক্রমিক নম্বর অনুসারে নথিভুক্ত করিতে হইবে।


১২০। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি।- (ক) প্রতিটি মামলা গৃহীত হওয়ার শ্রেণি অনুযায়ী সকল। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপিতে বিক্রীত সম্পত্তির সঠিক বর্ণনা ও উহা সনাক্তকরণের নিমিত্ত পর্যাপ্ত তথ্য সন্নিবিষ্ট করিবার জন্য দেওয়ানি আদালতসমূহ হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত হইয়াছে। নিলামক্রেতার পূর্ণ পরিচিতি [ নিবন্ধন আইনের ধারা ২(১) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ] এবং যে সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের এলাকায় সম্পত্তির অংশসমূহ অবস্থিত উহাদের প্রত্যেকটির নাম আদালত কর্তৃক প্রত্যেক ক্ষেত্রে সন্নিবেশিত হইবে। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি যান্ত্রিকভাবে তৈরি মিডিয়াম কাগজে লিখিত হইবে। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি নিয়মিত প্রেরণে বা উপযুক্ত নির্দেশসমূহ প্রতিপালনে দেওয়ানি : আদালতের ত্রুটিসমূহের বিষয় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ জেলা রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবেন। (খ) বক্ষাদি বিক্রয়ের নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি।- দেওয়ানি আদালত কর্তৃক প্রেরিত। বৃক্ষাদি বিক্রয়ের নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি ১ নং রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে, এই সকল ক্ষেত্রে অনুমান করিতে হইবে যে, দেওয়ানি আদালত বৃক্ষাদিকে স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।


১২১। যুগ কার্যালয়ের ক্ষেত্রে নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেট, ইত্যাদি প্রেরণ পদ্ধতি।- (ক) নিবন্ধন। আইনের ধারা ৮৯ এর অধীন বিক্রয় সার্টিফিকেট বা আদেশ বা নিদর্শনপত্রের অনুলিপিতে অন্তর্ভুক্ত। স্থাবর সম্পত্তির সাকুল্য বা কোন অংশ যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার এলাকায় অবস্থিত তাহার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, তাহার এলাকায় অবস্থিত নহে, এইরূপ স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত কোন বিক্রয় সার্টিফিকেট কোন আদালত হইতে প্রাপ্ত হন, সেইক্ষেত্রে তিনি

উহা সরাসরি উপযুক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবার অনুরােধসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে ফেরত পাঠাইবেন। যদি একই নিবন্ধন অধিক্ষেত্রে একযােগে চলমান যুগ্ম-কার্যালয় অবস্থিত থাকে। তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আদালত বা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বিক্রয় সার্টিফিকেট বা আদেশ বা নিদর্শনপত্রের অনুলিপি বিধি ৭৭(৪) এর অধীন জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক নির্দেশিত যুগ সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে।

(খ) একই নিবন্ধন অধিক্ষেত্রে একযোগে চলমান যুগ্ম কার্যালয়সমূহের ক্ষেত্রে বিধি ৭৭(৪) এর অধীন। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত বিক্রয় সার্টিফিকেট প্রেরণ সংক্রান্ত আদেশ জেলার অন্তর্গত সকল দেওয়ানি ও রাজস্ব আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে। সাধারণত, যে থানা বা ফাড়ির অধীন। স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট, আদেশ বা নিদর্শনপত্র-সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত, সেই থানা বা ফাড়ির এলাকায় অবস্থিত যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি এবং বিক্রয় সার্টিফিকেট প্রেরণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার আদেশ প্রদান করিবেন।। (গ) যেক্ষেত্রে একই থানাধীন অধিক্ষেত্রে একাধিক যুগ্ম-কার্যালয় অবস্থিত হয়, সেইক্ষেত্রে সাধারণত রেজিস্ট্রার যে কার্যালয়ে বৎসরে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক দলিল নিবন্ধন হয়, সেই নির্দিষ্ট কার্যালয়ে আদেশ এবং বয়নামা, ইত্যাদির নকল প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।


১২২। নকল এবং স্মারকলিপির ভ্রম সংশোধনের পদ্ধতি।- (ক) অন্য কার্যালয় হইতে কোন স্মারকলিপির অনুলিপি পাওয়া গেলে ইহা নথিভুক্ত করিবার পূর্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি তাহার এলাকায় অবস্থিত কিনা এবং সঠিকভাবে বর্ণিত হইয়াছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য ইহা পরীক্ষা করিবেন। তিনি আরও লক্ষ্য করিবেন যে, সকল সংশোধনী (যদি থাকে) সত্যায়িত হইয়াছে কিনা। অবশ্য, যদি কোন বিচ্যুতি বা ত্রুটি উদ্ঘাটিত হয়, তাহা হইলে তিনি উহা সংশোধন করিবার নিমিত্ত প্রেরণকারী কর্মকর্তার নিকট ফেরত পাঠাইবেন।।

(খ) প্রাপ্ত সকল নকল এবং স্মারকলিপি (ধারা ৬৪ হইতে ৬৬) এবং বিক্রয় সার্টিফিকেটের সকল অনুলিপি (ধারা ৮৯) ইত্যাদি, প্রত্যেক শ্রেণিতে ক্রমান্বয়ে নম্বরযুক্ত হওয়ার পর দলিলের নকল ও স্মারকলিপির রেজিস্টারে (ফরম নং ৩১, পরিশিষ্ট ১) অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। এইগুলি ধারাবাহিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। ৯ নম্বর কলামের ভুক্তি প্রতিটি দলিল পৃষ্ঠাযুক্ত এবং সূচিবদ্ধ হওয়ার পর পূরণ করা হইবে।


১২৩। স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত উইল।- উইল ব্যতীত অন্য প্রকার দলিল হইল নিবন্ধন আইনের ধারা ৬৪ হইতে ধারা ৬৬ এর কেবলমাত্র উপজীব্য বিষয়। অতএব, যেক্ষেত্রে কোন উইল-সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি। যে জেলায় বা উপ-জেলায় অবস্থিত উক্ত জেলা বা উপ-জেলা ব্যতীত অন্যত্র নিবন্ধিত হয়, সেইক্ষেত্রে। এইরূপ উইলের কোন নকল বা স্মারকলিপি উক্ত জেলা বা উপজেলার নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে না।।


 

 

অধ্যায় ১২

সূচিকরণ।

১২৪। সূচিকাজ ত্বরিৎ সম্পন্ন করিতে হইবে।- (ক) একটি দলিল রেজিস্টার বহিতে নকলকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্টার বহির বিষয়বস্তু সচিভক্ত করিতে হইবে এবং মূল সূচিসমূহ কোনভাবেই বকেয়া পাড়তে দেওয়া যাইবে না। নকল, স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট ইত্যাদি সম্ভব হইলে, প্রাপ্তির দিনেই সূচিভুক্ত করিতে হইবে এবং সচিভক্ত করিবার পর্বে উহাদিগকে নথিভুক্ত করা যাইবে না।

(খ) অতএব, সুচিভুক্তির কাজ বকেয়া রাখা যাইবে না। যেক্ষেত্রে নিবন্ধন কার্যের ব্যাপক চাপের দরুন সহকারী উক্ত কাজ কুলাইতে পারেন না, সেইক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মী নিয়ােগের অনুমতি প্রার্থনা করিয়া যথাসময়ে রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানাইতে হইবে।

(গ) যেক্ষেত্রে কোন দলিল যে সনে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছিল সেই সনের পরবর্তী সনে। সমাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে ইহা যে সনে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইয়াছিল সেই সনের সূচিবহিতে সূচিভুক্ত করিতে হইবে।


১২৫। নাম সূচিকরণের বিশেষ নিয়ম।- (ক) কোন দলিল সরকারের পক্ষে বা অনুকলে সম্পাদিত ২২লে ১ নং সূচি “জি” (G) গভর্ণমেন্ট- এর অধীন সচিবদ্ধ করিতে হইবে, সম্পাদনকারী কর্মকর্তার নাম ২ নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যদি প্রতিপাল্য আদালতের (কোর্ট অব ওয়ার্ডস) পক্ষে বা অনুকূলে হয়, তবে “ডব্লিউ” (W) ওয়ার্ডস, কোর্ট অব- এর অধীন এবং অন্য কোন আদালতের ক্ষেত্রে “সি” (C) কোর্ট- এর অধীন সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। কোম্পানিসমূহের নাম যেভাবে গঠিত, সেইভাবে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, কেবলমাত্র ইংরেজি ‘দি’ আর্টিকেলটি বাদ যাইবে, যথা- দি ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, “এল” (L) এর অধীন, দি মেঘনা ষ্টিম নেভিগেশন। কোম্পানি লিমিটেড “এম” (M) এর অধীন। সমবায় সমিতিসমূহকে তাহাদের নিবন্ধিত নামানুসারে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, যথা- দি কালিয়াকৈর কো-অপারেটিভ সােসাইটি “সিও” (Co) এর পরিবর্তে “কে” (K) এর অধীন সূচিবদ্ধ হইবে।

(খ) যেক্ষেত্রে কোন দলিল এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বা রিসিভার, ট্রাস্টি শেরিফ কর্তৃক সম্পাদিত হয়, সেইক্ষেত্রে ১ নং সূচি এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ইত্যাদির অধীন সূচিবদ্ধ হইবে। (গ) কোন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুকূলে নিবন্ধিত দলিলসমূহ “Ca” (Chairman, … Zilla Parishad) এবং  “Ma” (Mayor, … City Corporation/ Pourashava) এর অধীন সূচিবদ্ধ হইবে, চেয়ারম্যান বা মেয়রের নাম ২ নং কলামে লিপিবদ্ধ করিতে। হইবে।


১২৬। সূচির পদসমূহ।- (ক) নিম্নবর্ণিত পদগুলি ১ নং সূচিবহির ৩ নম্বর কলামে ব্যবহার করিতে হইবে:

ইজারার ক্ষেত্রে- ইজারাদাতা “Lessor” এবং ইজারাদার (ইজারাগ্রহীতা) “Lessee”; পাট্টা সম্পাদনকারী- ইজারাদাতা “Lessor”, পাট্টা গ্রহীতা- ইজারাদার “Lessee”; কবুলিয়ত সম্পাদনকারী ইজারাদার “Lessee”, কবুলিয়ত গ্রহীতা- ইজারাদাতা “Lessor”;

এই সকল দলিলের প্রকৃতি ‘পি (P- Pattah)’ এবং ‘কে (K- Kabuliyat)’ উপসর্গ দ্বারা চিহ্নিত হইবে এবং স্থায়ী, অনির্দিষ্ট এবং মেয়াদি ইজারার জন্য ‘P (Perpetual) বা স্থায়ী, T’ (Indefinite) বা অনির্দিষ্ট এবং T’ (Term) বা মেয়াদি ইত্যাদি উপসর্গ ব্যবহার করিতে হইবে।

বিক্রয়ের ক্ষেত্রে- বিক্রেতা “Vendor” এবং ক্রেতা “Vendee”; বন্ধকের ক্ষেত্রে- বন্ধক দাতা “Mortgagor” এবং বন্ধক গ্রহীতা “Mortgagee”; খাইখালাসি বন্ধকের ক্ষেত্রে ‘U’ (Usufructuary) উপসর্গ সংযুক্ত করিতে হইবে। পুনঃহস্তান্তরপত্রের ক্ষেত্রে – পুনঃহস্তান্তরকারী “Reconveyor” এবং পুনঃহস্তান্তর

agot “Reconveyee”; মুক্তিপত্র বা নাদাবিপত্রের ক্ষেত্রে – দাতা “Releasor” এবং গ্রহীতা “Releasee”;} দানপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”; হেবা বা দানের ঘোষণার ক্ষেত্রে- হেবা বা দানের ঘোষণার দাতা “Donor of declarartion of heba or gift” এবং হেবা বা দানের ঘােষণার গ্রহীতার “Donee ofdeclarartion of heba or gift”;: বন্দোবস্তপত্রের ক্ষেত্রে- বন্দোবস্তপত্রের দাতা “Donor of Settlement” এবং

বন্দোবস্তপত্রের গ্রহীতা “Donee of Settlement”; বণ্টননামা দলিলের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বণ্টনকারী “Partitioner”; স্বত্ব-নিয়ােগপত্রের ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী “Assignor” এবং নিয়ােগপ্রাপ্ত

“Assignee”; – ডিক্রি এবং বয়নামার ক্ষেত্রে- ডিক্রিদার “Decree holder”, ডিক্রির দেনাদার

“Judgment debtor” 978

নিলাম খরিদ্দার “auction purchaser”; সমর্পণ দলিলের ক্ষেত্রে সমর্পণকারী “Surrenderer” এবং সমর্পণ দলিলের গ্রহীতা

“Surrenderee”; রােয়েদাদের ক্ষেত্রে- মধ্যস্থতাকারী “Arbitrator” এবং রােয়েদাদের পক্ষ “Party to

the Award”; পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে – পাওয়ারদাতা “Principal” এবং অ্যাটর্নি

“Attorney”. প্রতিনিধি বা অভিভাবকের ক্ষেত্রে- ইজারাপ-দাতা বা দানপত্র-দাতার প্রতিনিধি

“Representative” বা অভিভাবক। “Guardian” ইত্যাদি পদ ব্যবহার করিতে।

হইবে। (খ) ৩ নং সূচিবহির ৩ নং কলামে নিম্নবর্ণিত পদগুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে। উইলের ক্ষেত্রে উইল দাতা “Testator”, উইল দাত্রী “testatrix”, উইল জমাকারী।

“depositor”,

উইল দলিলের কার্যনির্বাহক “executor” উইল দলিলের কার্যনির্বাহিকা “executrix” শব্দগুলি কালাে কালিতে লিখিতে হইবে; দাবিদার “Claimant” এবং উত্তর দায়-গ্রাহক “Legatee” শব্দগুলি লাল কালি দিয়া লিখিতে হইবে। দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”.

(গ) ৪ নং সূচিবহির ৩ নং কলামে নিম্নবর্ণিত পদগুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে:

বন্ড বা তমসুকের ক্ষেত্রে- বন্ডদাতা “Obligor” এবং বন্ড গ্রহীতা “Obligee”; এই পদগুলি কিস্তিখতের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়;

বিক্রয়ের ক্ষেত্রে- বিক্রেতা “Vendor” এবং ক্রেতা “Vendee”; রসিদের ক্ষেত্রে- অধমর্ণ “Debtor” এবং উত্তমর্ণ “Creditor”; দানপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”; স্বত্বনিয়ােগপত্রের ক্ষেত্রে- নিয়ােগকারী “Assignor” এবং নিয়ােগপ্রাপ্ত “Assignee”; বিমাপত্রের ক্ষেত্রে- বিমাকারী “Insurer’ এবং বিমা গ্রহীতা “Insured”; বিনিময় বিল এবং প্রমিসরি নােট বা প্রত্যর্থপত্রের ক্ষেত্রে- বরাতপত্র দাতা “Drawer”, বরাতপত্র গ্রহীতা “drawee” এবং সত্যায়নকারী “endorser”; ডিক্রির ক্ষেত্রে- ডিক্রিদার “Decree holder” এবং ডিক্রির দেনাদার “Judgment

me debtor”; তালাকনামার ক্ষেত্রে- তালাক প্রদানকারী স্বামী/স্ত্রী “Divorcer” এবং তালাকপ্রাপ্ত

স্বামী/স্ত্রী “Divorcee”; ব্যক্তিগত চাকরির চুক্তিপত্রের ক্ষেত্রে- মনিব “Master” এবং ভৃত্য “Servant”; মুক্তি বা নাদাবিপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Releasor” এবং গ্রহীতা “Releasee”; দত্তকগ্রহণের ক্ষেত্রে- দত্তক গ্রহীতা পিতা/মাতা “Adopter” এবং দত্তক বা দত্তক

গৃহীত পুত্র/কন্যা “Adopted”; প্রতিনিধি বা অভিভাবকের ক্ষেত্রে ১ নং সূচির অনুরূপ। (ঘ) উপরে সংস্থান হয় নাই এইরূপ অন্যান্য দলিলের সম্পাদনকারীর ক্ষেত্রে ৩ নং কলামে “ .. এর সম্পাদনকারী” (“executant of …… “) এবং গ্রহীতার ক্ষেত্রে “ …… অধীন গ্রহীতা” (“claimant under …… “) শব্দাবলি ব্যবহার করিতে হইবে। “এর” এবং “অধীন” শব্দ দুইটির পূর্বে দলিলের প্রকার লিখিতে হইবে।


১২৭। ২ নং সূচি বহিতে সম্পত্তি সূচিকরণ পদ্ধতি।- (ক) যদি কোন স্থাবর সম্পত্তির প্রতিটি তফসিলের নিজস্ব কোন স্বাতন্ত্র-সূচক নাম না থাকে, তাহা হইলে ২ নং সূচির ১ম কলামে মৌজার। নাম লিখিতে হইবে, এবং অন্য আরও কোন বর্ণনা থাকিলে তাহাও যুক্ত করিতে হইবে, যথা“ … কালেক্টরেটের অধীন দুই আনা হিস্যার ৫২১ নং তৌজি রসুলপুরের অন্তর্গত গাজীপুর মৌজার। ….. নং দাগে ৩০ বিঘা।”

(খ) সম্ভব হইলে ২ নং সূচির ১ম কলামের সংশ্লিষ্ট জমি তালুক, মধ্যস্বত্ব বা জোত কিনা এবং ইহা রাজস্ব বা খাজনাপ্রাপক, নাকি নিষ্কর তাহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে। নিবন্ধিত দলিলমূলে যে সকল অধিকার ক্ষুন্ন হইয়াছে, উহা, যতদূর সম্ভব, একই কলামে উল্লেখ করিতে হইবে। ১ম কলামে গবাদি পশুর খোঁয়াড় কবুলিয়ত সংক্রান্ত ভুক্তির ক্ষেত্রে খেয়াড়টি যে নামে পরিচিত সেই নামটি অন্তর্ভুক্ত হইবে। এইরূপ দলিল শুল্ক ধার্যের অধিকার প্রদান করে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই যে। জমিতে খোঁয়াড়টি সাময়িকভাবে অবস্থিত তাহার সহিত কোন সম্পর্ক বুঝায় না।

(গ) ১ম কলামে জমির জরিপি নম্বরও লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। একাধিক ভূমি খণ্ড বা দাগ থাকিলে সকল দাগ নম্বর লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে সমুদয় দাগ নম্বর ধারাবাহিকভাবে থাকে, যেমন : ১০৫৩, ১০৫৪, ১০৫৫, ১০৫৬, ১০৫৭, ১০৫৮, ১০৫৯ ও ১০৬০, সেইক্ষেত্রে নিম্নরূপভাবে সবকয়টি দাগ প্রদর্শন করা সুবিধাজনক হইবে, যথাদাগ নং ১০৫৩ হইতে ১০৬০ পর্যন্ত। (ঘ) জমির পরিমাণ বা জায়গার বিস্তৃতি ১ নং কলামে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।


১২৮। ৩ নং সূচিবহিতে উইলকারী, কার্যনির্বাহক, জমাকারী ও গ্রহীতার নাম সূচিকরণ পদ্ধতি।– নিবন্ধন আইনের ধারা ৫৫ এর উপ-ধারা (৪) এবং বিধি ৮৬ এ ৩ নং সূচি প্রস্তুতকরণের পদ্ধতি বর্ণিত আছে। নিম্নবর্ণিত নির্দেশসমূহ যত্নসহকারে পালন করিতে হইবে :(ক) সিলমােহরযুক্ত খামভুক্ত উইলের জমাকারীর নাম কাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : জমাকারী অর্থ উইলকারী, যাহার উইল তিনি স্বয়ং জমা করেন বা এজেন্টের মাধ্যমে জমা করা। হয়। এজেন্টের নাম আলাদাভাবে সূচিবদ্ধ করিবার প্রয়ােজন নাই।। (খ) উইলকারী জীবিত থাকাকালীন উইলটি নিবন্ধন করা হইলে (ধারা ৪১(১)], কেবলমাত্র । উইলকারী এবং যদি উক্ত উইলের অধীন কার্য নির্বাহক কেহ নিযুক্ত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে।

কার্যনির্বাহকের নাম সূচিবদ্ধ হইবে, এবং ভুক্তিসমূহ কাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। | (গ) যদি উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলটি নিবন্ধন করা হয় [ধারা ৪১(২)], অথবা যদি একটি

সিলমােহরযুক্ত খাম উন্মুক্ত করা হয় এবং ৩ নং বহিতে নকল করা হয় [ধারা ৪৫(১) ও ৪৬], অথবা যদি উইলটি ৪৬ ধারার অধীন নিবন্ধন করা হয়, যাহা অবশ্যই উইলকারীর মৃত্যুর পর হইবে, তাহা হইলে, উইলকারীর এবং যদি উইলের অধীন কেহ নিযুক্ত হইয়া থাকেন উক্ত কার্যনির্বাহকের নাম, উপরন্তু উইলের গ্রহীতাগণের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, এবং উইলকারী। ও কার্যনির্বাহকের ভুক্তিসমূহ কাল কালিতে এবং গ্রহীতাগণের নাম লাল কালিতে সচিবদ্ধ।

করিতে হইবে। (ঘ) অনুরূপভাবে, জীবিত অবস্থায় দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধন করা হইলে (ধারা ৪১(১)]

কেবলমাত্র দাতার নাম লাল কালিতে সূচিবদ্ধ হইবে।। যদি দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রটি দাতার মৃত্যুর পর নিবন্ধন করা হয় [ধারা ৪১(২)], তাহা হইলে তাহার নাম কাল কালিতে সূচিবদ্ধ হইবে এবং দলিলটির অধীন দাবিদারগণ অর্থাৎ গ্রহীতা এবং দত্তকপুত্রের নাম লাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।


১২৯। নকল ও স্মারকলিপি সচিকরণ।- (ক) দলিলের নকল এবং স্মারকলিপি সংক্রান্ত ভক্তিসমত লিপিবদ্ধ করিবার ক্ষেত্রে যে কার্যালয়ে নকল বা স্মারকলিপিটি নথিভুক্ত হইয়াছে সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে নিবন্ধিত হইয়াছে” শিরােনামযুক্ত কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

সভ করিতে হইবে। যে কার্যালয়ে মূল দলিলটি নিবন্ধন করা হইয়াছে তাহাও বন্ধনীর ভিতর লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। (খ) বিক্রয় সার্টিফিকেট, ইত্যাদির সূচিকরণ।- ধারা ৮৯ এর অধীন

* পাকা ৮৯ এর অধীন গৃহীত বিক্রয় সার্টিফিকেট, নিদর্শনপত্র বা আদেশের নকল সুচিকরণের ক্ষেত্রে বন্ধনীর মধ্যে প্রেরণকারী আদালতের নাম ও কর্মকর্তার পদবিসহ যে কার্যালয়ে নথিভুক্ত হইয়াছে, সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে

য নথিভক্ত হইয়াছে সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে নিবন্ধিত হইয়াছে” শিরােনামযুক্ত কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।


১৩০। নাবালক, ইত্যাদির সহিত অভিভাবকের নাম সুচিকরণ।- (ক) পাওয়ার অব অ্যাটনিদাতার।

” ৭১, বা নাবালকের পক্ষে অভিভাবক বা নির্বোধ বা উনাদের পক্ষে কমিটি বা তত্তাবধায়ক (curator) কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের ক্ষেত্রে পাওয়ারদাতা, অভিভাবক, কমিটি, ইত্যাদির নাম, অধিকন্তু এজেন্ট, নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে ১ম কলামের ভুক্তিসমূহ নিম্নরূপ হইবে :আ (A)- আবদুল হালিম : পাওয়ারদাতা বা নাবালক নিয়াজ আহমেদ এর এজেন্ট বা

অভিভাবক। ন (N)- নিয়াজ আহমেদ : পাওয়ারদাতা বা নাবালক … , তাহার এজেন্ট বা অভিভাবক।

আব্দুল হালিম দ্বারা। (খ) নামহীন নাবালক।- যেক্ষেত্রে নামহীন কোন নাবালক কোন দলিলের পক্ষ হয়, সেইক্ষেত্রে তাহার। অভিভাবকের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, নাবালক যে নামহীন এই বিষয়টিও লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ১৩১। প্রতিলিপিসহ দলিল সূচিকরণ।- বিধি ৬২ এর অধীন কোন দলিল দ্বিলিপি, ত্রিলিপি ইত্যাদি পর্যন্ত নিবন্ধিত হইলে মূল দলিলটির সূচি সবিস্তারে সম্পন্ন করিতে হইবে, কিন্তু দ্বিলিপি, ত্রিলিপি বা অন্যান্য প্রতিলিপির ক্ষেত্রে ১ নং সূচির ১ম হইতে ৪র্থ কলাম, ২ নং সূচির ১ম হইতে ৫ম কলাম এবং ৪ নং সূচির ১ম হইতে ৩য় কলাম পূরণ করিতে হইবে না- “দ্বিলিপি”, “ত্রিলিপি” ইত্যাদি, যেখানে। যেমনটি প্রযােজ্য, ইহাদের উপর আড়াআড়িভাবে লিখিতে হইবে। শেষােক্ত প্রতিটি দলিলের ক্রমিক নম্বর, বহি নম্বর এবং যে পৃষ্ঠায় নকল করা হইয়াছে সেই পৃষ্ঠা নম্বর, অধিকন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রে মূল দলিলের ভুক্তিসমূহের নিম্নভাগে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।


১৩২। যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়াছে তাহাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে না।- একাধিক সম্পাদনকারীর মধ্যে কোন একজনের ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইলে, যাহার পক্ষে। নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়াছে তাহার নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে না।


১৩৩। পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রে সূচি।- কোন দলিল পুনঃনিবন্ধন করা হইলে কেবলমাত্র পনঃনিবন্ধনের সহিত সম্পৃক্তদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।


১৩৪। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতায় সম্পাদনকারী ব্যক্তি।- কোন ব্যক্তি নিজের পক্ষে এবং প্রতিনিধি হিসাবে অন্য কাহারও পক্ষে কোন দলিল সম্পাদন করিলে সমিকরণের ক্ষেত্রে তাহার নাম দুইবার লিপিবদ্ধ। করিতে হইবে, একবার সম্পাদনকারী হিসাবে এবং অন্যবার অন্য কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে।


১৩৫। ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীন রােয়েদাদ।- ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীন রােয়েদাদের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভাগ (কেবলমাত্র সরকার নহে) যাহাদের সুবিধার্থে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়, গ্রহীতা হিসাবে তাহাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।


১৩৬। বন্ধকী দলিলের পৃষ্ঠাঙ্কন।- বন্ধকী বা তমসুক, ইত্যাদি দলিলের পৃষ্ঠে লিখিত রসিদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রসিদে উল্লিখিত পরিশােধকারী এবং প্রাপকের নাম সুচিবদ্ধ করিতে হইবে, প্রথমােক্ত ব্যক্তি। গ্রহীতা হিসাবে এবং শেষােক্ত ব্যক্তি সম্পাদনকারী হিসাবে।


১৩৭। সূচিবহি রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিখুঁতকরণ।- (ক) কোন বৎসরের জন্য আবশ্যক সূচিবহিসমূহের ব্যবহার শুরু করিবার পূর্বে, পূর্ববর্তী বৎসরের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করিয়া চলতি বৎসরে প্রতিটি বর্ণের অধীন সূচিভুক্তির জন্য কত সংখ্যক পৃষ্ঠা আবশ্যক হইতে পারে তাহার। একটি আনুমানিক হিসাব তৈয়ার করিতে হইবে। তদনুসারে প্রতিটি বর্ণের জন্য (A হইতে Z পর্যন্ত) বহির পৃষ্ঠাসমূহ বা সূচিবহিসমূহ আলাদা করিতে হইবে। বহির শেষে বা যেক্ষেত্রে একাধিক বহি ব্যবহৃত হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ বহির শেষটিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক খালি পৃষ্ঠা সংরক্ষণ করিতে হইবে। যদি হিসাবে কম পড়িবার কারণে কোন একটি বর্ণের জন্য আলাদাকৃত পৃষ্ঠাসমূহ অপর্যাপ্ত হয়, তাহা। হইলে অতিরিক্ত প্রয়ােজনে অপর একটি আনুমানিক হিসাব তৈয়ার করিতে হইবে এবং উক্ত বর্ণের। ভুক্তির জন্য আবশ্যক সংখ্যক পৃষ্ঠা সংরক্ষিত বহি হইতে সংকুলান করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে। বহির এক অংশের সহিত অন্য অংশের নিম্নরূপ একটি প্রসঙ্গ-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে:”(১) শেষ পৃষ্ঠার নিম্নভাগে যেখান হইতে ভুক্তিসমূহ অসমাপ্ত: “ এই বর্ণের অধীন আরও ভুক্তির

জন্য …… পৃষ্ঠা দেখুন। ” (২) প্রথম পৃষ্ঠার শীর্ষভাগে যেখান হইতে এই বর্ণের অধীন আরও ভুক্তিসমূহ আরম্ভ হয়:

…… পৃষ্ঠা হইতে চলমান। ” (খ) বিধি ১৫ এর অধীন নির্ধারিত প্রত্যায়নসমূহ, যতদূর প্রযােজ্য, সূচিবহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। (গ) সূচিসমূহ যে সন সম্পর্কিত সেই সনটি এই উদ্দেশ্যে প্রতিটি পৃষ্ঠার শীর্ষে সংরক্ষিত স্থানে অবশ্যই লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(ঘ) সূচিকরণের ক্ষেত্রে সকল সংশােধনী এই কার্যে নিয়ােজিত সহকারী কর্তৃক সূচিভুক্ত করিবার সময় অনুস্বাক্ষরিত হইবে। (ঙ) বৎসর সমাপনান্তে প্রতিটি বর্ণের ভুক্তির অধীন সুনির্দিষ্ট পৃষ্ঠা প্রদর্শনপূর্বক পরিচ্ছন্নভাবে একটি তালিকা তৈয়ার করিতে হইবে এবং উক্ত সনের সূচিবহির প্রথম পৃষ্ঠায় আঠা দিয়া উক্ত তালিকা। লাগাইয়া রাখিতে হইবে।

তালিকাটি নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে প্রস্তুত করিতে হইবে:

…………………………..সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ১, ২, ৩ বা ৪ নং সূচি

……………………..সনের জন্য

সূচিপত্র

বর্ণের অধীন ভূক্তিসমূহ

যে বহিতে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে

পৃষ্ঠাসমূহ

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এই তালিকার যথার্থতার বিষয় সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবেন এবং উক্ত মর্মে ইহার নীচে একটি প্রত্যায়ন রেকর্ডভুক্ত করিবেন। প্রত্যায়নটি তাহার দ্বারা পূর্ণ স্বাক্ষরযুক্ত ও তারিখযুক্ত হইবে।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী পিএএ

Add comment

error: Content is protected !!