Last Updated on 09/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রনালয়
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ
শাখা-৪
প্রজ্ঞাপন
তারিখ, ২৯ শ্রাবণ, ১৪০৮ বাং/ ১৩ আগস্ট, ২০০১ ইং
এস,আর,ও নং ২২২/অম/অসবি-৪/২/৯৭ (স্ট্যাম্প)- Stamp Duties (Additional Modes of Payment) Ordinance, 1974 (LXXI of 1974) এর Section 3 তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা-
১। বিধিমালার নাম ও প্রবর্তন-
- এই বিধিমালা স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে।
- ইহা ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে বলবত হইবে।
২। সংজ্ঞা- বিষয় বা প্রসংগের প্রয়োজনে ভিন্নরূপ না হইলে, এই বিধিমালায়-
- “ট্রেজারী কর্মকর্তা” বলিতে ট্রেজারীর দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ ব্যাংক বা কোন তফসিলী ব্যাংকের কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
- “তফসিল” অর্থ এই বিধিমালার তফসিল;
- কোন দলিলের ক্ষেত্রে “নিবন্ধন” অর্থ Registration Act, 1908 (XVI of 1908) অনুসারে সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে উক্ত দলিলের নিবন্ধন এবং তদানুসারে “নিবন্ধনযোগ্য” শব্দটি ব্যাখ্যা করিতে হইবে;
- “স্ট্যাম্প শুল্ক” অর্থ কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য Stamp Act, 1899 (II of 1899) এর অধীন প্রদেয় Stamp Duty;
- “স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার” অর্থ তফসিল ২ –এ বর্ণিত স্টাম্প শুল্ক রেজিস্টার।
৩। নগদে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ পদ্ধতি-
- কোন দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি Stamp Act, 1899 (II of 1899) এর Section 2 (a) অনুসারে, স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ নগদে অনধিক টাকা ৩০০ (তিনশত মাত্র) পরিশোধ করিলে সাব-রেজিস্ট্রার তাহাকে তফসিল ১ –এ বর্ণিত ফরমে একটি রশিদ দিবেন।
- উপ-বিধি (১) এর অধীনে নগদে পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্ক সম্পর্কিত তথ্যাদি সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েলের ১ নং পরিশিষ্টের ২৪ নং ফরমে এবং ততসংক্রান্ত ক্যাশ বহি তফসিল ২ –এ বর্ণিত রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিবেন।
- স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ আদায়কৃত নগদ টাকা পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীর পক্ষে সাব-রেজিস্ট্রার স্থানীয় ট্রেজারীতে “১/১১০১/০০২০/১৩১১ – স্ট্যাম্প প্রশাসন নন-জুডিশিয়াল” খাতে জমা প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।
- আদায়কৃত অর্থ উপ-বিধি (৩) –এ বর্ণিত পদ্ধতিতে জমা না হওয়া পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্রার ব্যক্তিগতভাবে উহার নিরাপদ হেফাজতের জন্য দায়ী থাকবেন।
৪। ১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখ হইতে ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকার অতিরিক্ত স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি-
(১) ১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে বা উহার পরে কোন নিবন্ধনযোগ্য দলিলের উপর প্রদেয় স্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকার অতিরিক্ত হইলে উক্ত অতিরিক্ত শুল্ক শুধুমাত্র দলিল সম্পাদিতব্য এলাকার কোন তফসিলী ব্যাংক হইতে ইস্যুকৃত একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার বা একাউন্টপেয়ী ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধ করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা- “একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার বা একাউন্টপেয়ী ব্যাংক ড্রাফট” অর্থ “১/১১০১/০০২০/১৩১১” – স্ট্যাম্প প্রশাসন নন-জুডিশিয়াল” খাতের উল্লেখক্রমে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট।
(২) ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকা পর্যন্ত স্ট্যাম্প শুল্ক সাধারণত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ক্রয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাইবে, তবে নিবন্ধনযোগ্য দলিল লিখনের ক্ষেত্রে একশত টাকা বা তদনিম্ন মূল্যমানের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করিতে হইবে; অতিরিক্ত স্ট্যাম্পের সমপরিমাণ শুল্ক উপ-বিধি (১) –বর্ণিত পদ্ধতিতে পরিশোধ করা যাইবে। প্রদেয় স্ট্যাম্প শুল্ক অনধিক ৩০০ (তিনশত) টাকা হইলে উহা বিধি ৩ অনুসারে নগদেও পরিশোধ করা যাইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিবন্ধনযোগ্য দলিল লিখনের ক্ষেত্রে, বিধি ১১ এর বিধান সাপেক্ষে, দলিলের সংশ্লিষ্ট পক্ষ যে কোন মূল্যমানের যে কোন সংখ্যক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক কার্টিজ পেপার ব্যবহার করিয়া দলিলের সম্পূর্ণ মূল্যের জন্য প্রদেয় অবশিষ্ট স্ট্যাম্প শুল্ক উপ-বিধি (১) –এ বর্ণিত পদ্ধতিতে পরিশোধ করিতে হইবে।
(৪) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে অতিরিক্ত স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হইবে না, তবে উক্ত অতিরিক্ত শুল্ক উক্তরূপে পরিশোধ করা হইলে সংশ্লিষ্ট দলিল দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের সময় উক্তরূপে শুল্ক পরিশোধের সমর্থনে এই বিধিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করিতে হইবে।
৫। পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি-
(১) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের উদ্দেশ্যে উক্ত শুল্কের সমপরিমাণ অর্থ দলিল সম্পাদিতব্য এলাকার কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা দিয়া উক্ত ব্যাংক হইতে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূল কপি এবং উহার বাবদ স্ট্যাম্প পরিশোধকারীর নাম ও তারিখ সম্বলিত রশিদ সংগ্রহ করিতে হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের সময় দলিলের সহিত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূলকপি, উহার একটি ফটোকপি এবং উক্ত রশিদের ফটোকপি সংযুক্ত করিতে হইবে।
(২) তফসিলী ব্যাংক উপ-বিধি (১) এর অধীনে ততকর্তৃক ইস্যুকৃত প্রতিটি পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটে পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ “১/১১০১/০০২০/১৩১১ – স্ট্যাম্প প্রশাসন নন-জুডিশিয়াল” খাতের নাম এবং পরিশোধকারীর নাম উল্লেখ করিবে এবং ততসম্পর্কে টাকা জমাদানকারীকে একটি রশিদ প্রদান করিবে।
(৩) উপ-বিধি (১) এর অধীনে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট প্রাপ্ত হওয়ার পর, সাব-রেজিস্ট্রার-
(ক) বিধি ৭ অনুসারে সংশ্লিষ্ট দলিলে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূলকপি ও ফটোকপির অপর পৃষ্টায় তাহার নাম সম্বলিত সীল ও দস্তখত দিবেন;
(খ) উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্ক সংক্রান্ত তথ্যাদি তফসিল ২ অনুসারে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন;
(গ) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে প্রাপ্ত স্ট্যাম্প শুল্ক স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকে অথবা উহার পক্ষে ট্রেজারী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত তফসিলী ব্যাংকে একই দিনে অথবা পরবর্তী কার্য দিবসে চালানের মাধ্যমে জমা প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন; এবং ট্রেজারীতে জমা প্রদত্ত পে-অর্ডার অথবা ব্যাংক ড্রাফট সংক্রান্ত তথ্যাদি তফসিল ২ অনুসারে বিধৃত রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করতঃ ট্রেজারীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক উহাদের প্রাপ্তিস্বীকার উল্লেখসহ তাহার দস্তখত ও সীলযুক্ত করাইবেন;
(ঘ) উক্ত জমা প্রদত্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট মারফত পরিশোধিত শুল্কের অর্থ ট্রেজারী কর্তৃক আদায় হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে তফসিল ২ এ বর্ণিত রেজিস্টারটি প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একবার সংশ্লিষ্ট ট্রেজারী কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা রেজিস্টারের সংশ্লিষ্ট কলামে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের বিপরীতে “নগদায়িত” শব্দটির উল্লেখসহ তাহার নাম সম্বলিত সীল ও দস্তখত দিবেন।
(৪) উপ-বিধি (৩) (গ) এর অধীনে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ট্রেজারীতে জমাকরনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নগদায়ন না হইলে ট্রেজারীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-
(ক) উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ইস্যুকারী ব্যাংককে লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন যে, উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নগদায়ন হওয়া না হওয়া সম্পর্কে যেন ট্রেজারীকে অবহিত করা হয় এবং তদানুসারে উক্ত ব্যাংক প্রয়োজনীয় তথ্য অবহিত করিতে বাধ্য থাকিবেন;
(খ) দফা (ক) এর অধীন অনুরোধ পত্রের একটি কপি সাব-রেজিস্ট্রারের অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন এবং সাব-রেজিস্ট্রার দলিলের ১ নং গ্রহীতার নিকট উহার একটি অনুলিপি প্রেরণ করতঃ উল্লেখ করিবেন যে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়িত না হইলে দলিলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হইবে;
(গ) দফা (৪) অনুসারে অনুরোধপত্র প্রেরণের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়িত না হইলে উহা অস্বীকৃত (dishonored) হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিবেন এবং উপ-বিধি (৫) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৫) কোন পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের নগদায়ন অস্বীকৃত (dishonored) হইলে বা উপ-বিধি (৪) (গ) অনুসারে অস্বীকৃতি বলিয়া গণ্য হইলে ট্রেজারী কর্মকর্তা বিষয়টি রেজিস্টার এর মন্তব্য কলামে উল্লেখ করিবেন এবং উহা সাব-রেজিস্ট্রারকে ফেরত দিবেন, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলকরতঃ উহা দলিলের ১ নং গ্রহীতাকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেন।
(৬) এই বিধি বাস্তবায়নের জন্য সাব-রেজিস্ট্রার বা তাহার ক্ষমতা প্রদত্ত বা তাহার অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারী কর্মকর্তা সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
৬। স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে রশিদ- (১) স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের উদ্দেশ্যে বিধি ৩ অনুযায়ী নগদ টাকা প্রদান করা হইলে বা বিধি ৫ অনুযায়ী পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট উপস্থাপিত হইলে, সাব-রেজিস্ট্রার তফসিল ১ -এ বর্ণিত ফরমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীকে বা তাহার প্রতিনিধিকে একটি রশিদ প্রদান করিবেন এবং একই ফরমে উক্ত রসিদের একটি মুড়ি (Counterfoil) সংরক্ষণ করিবেন।
(২) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীকে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রিকৃত মূল দলিল সরবরাহ করিবেন না, তবে নগদায়নের শর্ত সাপেক্ষে মূল দলিলের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ সরবরাহকৃত কপির প্রথম পৃষ্ঠায় এই মর্মে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন যে, পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধিত শুল্ক নগদায়ন সাপেক্ষে ইস্যু করা হইল, নগদায়ন না হইলে দলিলটির রেজিস্ট্রেশন বাতিলযোগ্য।
৭। স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ সম্পর্কে দলিলে পৃষ্টাঙ্কন- স্ট্যাম্প শুল্ক বিধি ৩ অনুযায়ী নগদে বা বিধি ৫ অনুসারে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট প্রদত্ত হইলে সাব-রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিলের প্রথম পৃষ্টায় উপরিভাগে লাল কালিতে স্পষ্ট অক্ষরে উক্ত শুল্ক পরিশোধ সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধপূর্বক তাহার নাম, দস্তখত ও উহাতে সীলযুক্ত করিয়া পৃষ্টাঙ্কন করিবেন, যথা-
………সনের স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টারের………….নং ক্রমিকে………. নং পৃষ্ঠায় উল্লিখিত এই দলিল এর উপর প্রদেয় স্ট্যাম্প বাবদ নগদ………………… টাকা/…………………. টাকার পে-অর্ডার/ ব্যাংক ড্রাফট যাহা…………..….. ব্যাংক……………. শাখা কর্তৃক………………….ইং তারিখে ইস্যুকৃত এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধিত।
তারিখঃ
সাব-রেজিস্ট্রার
নাম, দস্তখত ও সীল
ব্যাখ্যাঃ- স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টারের উল্লিখিত কোন দলিলের ক্রমিক নম্বর উক্ত দলিলের নিবন্ধন নম্বর হিসাবে গণ্য হইবে না।
৮। স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার-
(১) এই বিধিমালার অধীনে পরিশোধিত সকল স্ট্যাম্প শুল্ক এবং নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ক্রয়ের মাধ্যমে পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্ক বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার তফসিল ২ –এ বর্ণিত ফরমে স্ট্যাম্প শুল্ক আদায়ের রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) উল্লিখিত রেজিস্টার সরকারি মুদ্রণ কর্তৃক মুদ্রিত ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে; কোন সময় এইরূপ ফরম না পাওয়া গেলে তফসিল ২ অনুসারে সাব-রেজিস্ট্রার উক্ত রেজিস্ট্রার প্রস্তুত করিয়া লইবেন।
৯। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ-
(১) নিবন্ধনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপিত সকল দলিলের উপর প্রদত্ত বা প্রদেয় সকল স্ট্যাম্প (নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ) সম্পর্কে একটি মাসিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট মাসের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) এইরূপ মাসিক বিবরণীতে সংশ্লিষ্ট মাসে নগদে আদায়কৃত বা পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্কের মোট পরিমাণ তিনি নিশ্চিত হইয়াছেন মর্মে উল্লেখ করিবেন।
১০। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ- বিধি ৯ এর অধীনে জেলার সাব-রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক প্রেরিত মাসিক বিবরণীর ভিত্তিতে জেলা রেজিস্ট্রার একটি মাসিক বিবরণী প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট মাসের পরবর্তী ২৫ (পঁচিশ) দিনের মধ্যে উক্ত বিবরনীর একটি করিয়া কপি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, নিবিন্ধন পরিদপ্তর এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক –এর দপ্তরে প্রেরণ করিবেন।
১১। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সম্পর্কিত বিধান- কোন দলিল লিখনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময় সময় মুদ্রিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের উপর দলিলের বিষয়বস্তু লেখা যাইবে, তবে এইরূপ দলিল নিবন্ধনযোগ্য হইলে ১০০ (একশত) টাকার বেশী মূল্যমানের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সীট ব্যবহার করা যাইবে না।
১২। নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা- এই বিধিমালা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সরকার, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং জেলা রেজিস্ট্রার প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারী করিতে পারিবেন।
রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
১৩। পরিদর্শন।- এই বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার ও সাব-রেজিস্ট্রারের দপ্তর পরিদর্শন করিতে পারিবেন; তবে নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতি চার মাসে ন্যূনপক্ষে একবার এই পরিদর্শন করিবেন।
১৪। রহিতকরণ।-
(১) এতদ্বারা স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০০ রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও
- রহিত বিধিমালার অধীনে গৃহীত কার্যক্রম ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে অনিম্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করা যাইবে, যেন উক্ত বিধিমালা রহিত হয় নাই; বা তৎপূর্বে গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল এইরূপ কোন কার্যক্রম উক্ত তারিখের পরও শুরু ও নিষ্পত্তি করা যাইবে;
- রহিত বিধিমালার অধীনে প্রণীত প্রতিবেদন বা প্রস্তুতকৃত বা সংরক্ষিত রেজিস্টার সরকারের ভিন্নরূপ নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে।
Add comment