গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
অর্থ মন্ত্রণালয়
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ
শাখা-৪
প্রজ্ঞাপন
তারিখ, ২৯ শ্রাবণ, ১৪০৮ বাং/১৩ আগস্ট, ২০০১ ইং
এস. আর. ও নং- ২২২/অম/অসবি-৪/২/৯৭ (স্টাম্প)- Stamp Duties (Additional Modes of Payment) Ordinance, 1974 (LXXI of 1974) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথাঃ
১। বিধিমালার নাম ও প্রবর্তন।- (১) এই বিধিমালা ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে বলবৎ হইবে।
২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসংগের প্রয়োজন ভিন্নরূপ না হইলে, এই বিধিমালায়-
- “ট্রেজারী কর্মকর্তা” বলিতে ট্রেজারীর দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ ব্যাংক বা কোন তফসিলী ব্যাংকের কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত।
- “তফসিল” এই বিধিমালার তফসিল।
- কোন দলিলের ক্ষেত্রে “নিবন্ধন” অর্থ Registration Act, 1908 (XVI of 1908) অনুসারে সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসে উক্ত দলিলের নিবন্ধন এবং তদনুসারে “নিবন্ধনযোগ্য” শব্দটি ব্যাখ্যা করিতে হইবে।
- “স্ট্যাম্প শুল্ক” অর্থ কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য Stamp Act, 1899 (II of 1899) এর অধীন প্রদেয় Stamp Duty.
- “স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার” অর্থ তফসিল-২ এ বর্ণিত স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার।
৩। নগদে স্টাম্প শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি।- (১) কোন দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি Stamp Act, 1899 (II of 1899) এর Section 2(a) অনুসারে স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ নগদে অনধিক টাকা ৩০০ (তিনশত মাত্র) পরিশোধ করিলে সাব-রেজিস্ট্রার তাহাকে তফসিল-১ এ বর্ণিত ফরমে একটি রশিদ দিবেন।
(২) উপ-বিধি (১) এর অধীনে নগদে পরিশোধিত স্ট্যাম্প শুল্ক সম্পর্কিত তথ্যাদি সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েলের ১নং পরিশিষ্টের ২৪ নং ফরমে এবং তৎসংক্রান্ত ক্যাশবহি তফসিল-২ এ বর্ণিত রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিবেন।
(৩) স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ আদায়কৃত নগদ টাকা পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীর পক্ষে সাব-রেজিস্ট্রার স্থানীয় ট্রেজারীতে “১/১১০১/০০২০/১৩১১”- স্ট্যাম্প প্রশাসন, নন-জুডিশিয়াল” খাতে জমা প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।
(৪) আদায়কৃত অর্থ উপ-বিধি (৩)- এ বর্ণিত পদ্ধতিতে জমা না হওয়া পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্রার ব্যক্তিগতভাবে নিরাপদ হেফাজতের জন্য দায়ী থাকিবেন।
৪। ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখ হইতে ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকার অতিরিক্ত স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ পদ্ধতি।-
(১) ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে বা উহার পরে কোন নিবন্ধনযোগ্য দলিলের উপর প্রদেয় ষ্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকার অতিরিক্ত হইলে উক্ত অতিরিক্ত শুল্ক শুধুমাত্র দলিল সম্পাদিতব্য এলাকার কোন তফসিলী ব্যাংক হইতে ইস্যুকৃত একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার বা একাউন্টপেয়ী ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধ করিতে হইবে।
ব্যাখ্যা- “একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার বা একাউন্টপেয়ী ব্যাংক ড্রাফট অর্থ “১/১১০১/০০২০/১৩১১- স্ট্যাম্প প্রশাসন-নন-জুডিশিয়াল” খাতের উল্লেখক্রমে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট।
(২) ১২০০ (এক হাজার দুইশত) টাকা পর্যন্ত ষ্ট্যাম্প শুল্ক সাধারণতঃ নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প ক্রয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাইবে, তবে নিবন্ধনযোগ্য দলিল লিখনের ক্ষেত্রে একশত টাকা বা তদনিম্ন মূল্যমানের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ব্যবহার করিতে হইবে; অতিরিক্ত ষ্ট্যাম্পের সমপরিমাণ শুল্ক উপ-বিধি (১)-এ বর্ণিত পদ্ধতিতে পরিশোধ করা যাইবে। প্রদেয় ষ্ট্যাম্প শুল্ক অনধিক ৩০০ (তিনশত) টাকা হইলে উহা বিধি ৩ অনুসারে নগদেও পরিশোধ করা যাইবে।
(৩) উপ-বিধি (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিবন্ধনযোগ্য দলিল লিখনের ক্ষেত্রে বিধি ১১ এর বিধান সাপেক্ষে, যে কোনো মূল্যমানের যে কোনো সংখ্যক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক কার্টিজ পেপার ব্যবহার করিয়া দলিলের সম্পূর্ণ মূল্যের জন্য প্রদেয় অবশিষ্ট ষ্ট্যাম্প উপ-বিধি (১)- এ পদ্ধতিতে পরিশোধ করিতে পারিবে।
(৪) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হইবে না, তবে উক্ত অতিরিক্ত শুল্ক উক্তরূপে পরিশোধ করা হইলে সংশ্লিষ্ট দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে সাব রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের সময় উক্তরূপ শুল্ক পরিশোধের সমর্থনে এই বিধিমালা অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করিতে হইবে।
৫। পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের পদ্ধতি।- (১) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের উদ্দেশ্যে উক্ত শুল্কের সমপরিমাণ অর্থ দলিল সম্পাদিতব্য এলাকার কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা দিয়া উক্ত ব্যাংক হইতে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূলকপি এবং উহার বাবদ ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীর নাম ও তারিখ সম্বলিত রশিদ সংগ্রহ করিতে হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের সময় দলিলের সহিত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূলকপি, উহার একটি ফটোকপি এবং উক্ত রশিদের ফটোকপি সংযুক্ত করিতে হইবে।
(২) তফসিলী ব্যাংক উপ-বিধি (১) এর অধীনে তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত প্রতিটি পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটে পরিশোধিত ষ্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ, “১/১১০১/০০২০/১৩১১- স্টাম্প প্রশাসন নন-জুডিশিয়াল” খাতের নাম এবং পরিশোধকারীর নাম উল্লেখ করিবে এবং তৎসম্পর্কে টাকা জমাকারীকে একটি রশিদ প্রদান করিবে।
(৩) উপ-বিধি (১) এর অধীনে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট প্রাপ্ত হওয়ার পর, সাব-রেজিস্ট্রার-
(ক) বিধি ৭ অনুসারে সংশ্লিষ্ট দলিলে ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মূলকপি ও ফটোকপির অপর পৃষ্ঠায় তাহার নাম সম্বলিত সীল ও দস্তখত দিবেন;
(খ) উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধিত ষ্ট্যাম্প শুল্ক সংক্রান্ত তথ্যাদি তফসিল ২ অনুসারে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন;
(গ) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ষ্ট্যাম্প শুল্ক স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকে অথবা উহার পক্ষে ট্রেজারী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত তফসিলী ব্যাংকে একই দিনে অথবা পরবর্তী কার্যদিবসে চালানের মাধ্যমে জমা প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন; এবং ট্রেজারীতে জমা প্রদত্ত পে-অর্ডার অথবা ব্যাংক ড্রাফট সংক্রান্ত তথ্যাদি তফসিল ২ অনুসারে বিধৃত রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করতঃ ট্রেজারীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক উহাদের প্রাপ্তিস্বীকার উল্লেখসহ তাহার দস্তখতও শীলযুক্ত করাইবেন;
(ঘ) উক্ত জমা প্রদত্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট মারফত পরিশোধিত শুল্কের অর্থ ট্রেজারী কর্তৃক আদায় হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে তফসিল ২ এ বর্ণিত রেজিস্টারটি প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একবার সংশ্লিষ্ট ট্রেজারী কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা রেজিস্টারের সংশ্লিষ্ট কলামে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর বিপরীতে “নগদায়িত” শব্দটি উল্লেখসহ তাহার নাম সম্বলিত সীল ও দস্তখত দিবেন।
(৪) উপ-বিধি (৩)(গ) এর অধীনে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ট্রেজারীতে জমাকরণের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নগদায়ন না হইলে ট্রেজারীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-
(ক) উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট ইস্যুকারী ব্যাংককে লিখিতভাবে অনুরোধ করিবেন যে, উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নগদায়ন হওয়া না হওয়া সম্পর্কে যেন ট্রেজারীকে অবহিত করা হয় এবং তদানুসারে উক্ত ব্যাংক প্রয়োজনীয় তথ্য অবহিত করিতে বাধ্য থাকিবেন;
(খ) দফা (ক) এর অধীন অনুরোধপত্রের একটি কপি সাব-রেজিস্ট্রারের অবগতির জন্য প্রেরণ করিবেন এবং সাব-রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিলের ১ নং গ্রহীতার নিকট উহার একটি অনুলিপি প্রেরণ করতঃ উল্লেখ করিবেন যে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়িত না হইলে দলিলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হইবে;
(গ) দফা (৪) অনুসারে অনুরোধপত্র প্রেরণের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়িত না হইলে উহা অস্বীকৃত (Dishonoured) হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিবেন এবং উপ-বিধি (৫) অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৫) কোন পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের নগদায়ন অস্বীকৃত (Dishonoured) হইলে বা উপ-বিধি (৪)(গ) অনুসারে অস্বীকৃত বলিয়া গণ্য হইলে ট্রেজারী কর্মকর্তা বিষয়টি রেজিষ্ট্রির মন্তব্য কলামে উল্লেখ করিবেন এবং উহা সাব-রেজিস্ট্রারকে ফেরত দিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে সাব-রেজিষ্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতঃ উহা দলিলের ১ নং গ্রহীতাকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেন।
(৬) এই বিধি বাস্তবায়নের জন্য সাব-রেজিষ্ট্রার বা তাহার ক্ষমতা প্রদত্ত বা তাহার অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারী কর্মকর্তা সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করিবেন।
৬। স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে রশিদ।- (১) ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধের উদ্দেশ্যে বিধি ৩ অনুযায়ী নগদ টাকা প্রদান করা হইলে বা বিধি ৫ অনুযায়ী পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট উপস্থাপিত হইলে, সাব-রেজিস্ট্রার তফসিল ১-এ বর্ণিত ফরমে ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীকে বা তাহার প্রতিনিধিকে একটি রশিদ প্রদান করিবেন এবং একই ফরমে উক্ত রশিদের একটি মুড়ি (Counter foil) সংরক্ষণ করিবেন।
(২) পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীকে উক্ত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্রার রেজিস্ট্রিকৃত মূল দলিল সরবরাহ করিবেন না; তবে নগদায়নের শর্ত সাপেক্ষে মূল দলিলের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করিতে পারিবেন এবং এইরূপে সরবরাহকৃত কপির প্রথম পৃষ্ঠায় এই মর্মে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন যে, পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিশোধিত শুল্ক নগদায়ন সাপেক্ষে ইস্যু করা হইল, নগদায়ন না হইলে দলিলটির রেজিস্ট্রেশন বাতিলযোগ্য।
৭। স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ সম্পর্কে দলিলে পৃষ্ঠাঙ্কন।- ষ্ট্যাম্প শুল্ক বিধি ৩ অনুযায়ী নগদে বা বিধি ৫ অনুসারে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটে প্রদত্ত হইলে সাব-রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিলের প্রথম পৃষ্ঠার উপরিভাগে লাল কালিতে স্পষ্ট অক্ষরে উক্ত শুল্ক পরিশোধ সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি লিপিবদ্ধপূর্বক তাহার নাম, দস্তখত এবং উহাতে শীলযুক্ত করিয়া পৃষ্ঠাঙ্কন করিবেন, যথাঃ-
………………….সনের স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্ট্রারের……………… নং ক্রমিকে………………… নং পৃষ্ঠায় উল্লিখিত এই দলিল এর উপর প্রদেয় ষ্ট্যাম্প বাবদ নগদ………………………….. টাকা/…………………………. টাকার পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট, যাহা………………………….. ব্যাংক…………………….. শাখা কর্তৃক…………………………ইং তারিখে ইস্যুকৃত, এর মাধ্যমে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধিত।
তারিখঃ
সাব-রেজিস্ট্রার
নাম, দস্তখত ও সীল
ব্যাখ্যাঃ- ষ্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টারে উল্লেখিত কোন দলিলের ক্রমিক নম্বর উক্ত দলিলের নিবন্ধন নম্বর হিসাবে গণ্য হইবে না।
৮। স্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার।- (১) এই বিধিমালার অধীনে পরিশোধিত সকল ষ্ট্যাম্প শুল্ক এবং নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ক্রয়ের মাধ্যমে পরিশোধিত ষ্ট্যাম্প শুল্ক বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার তফসিল ২-এ বর্ণিত ফরমে ষ্ট্যাম্প শুল্ক আদায়ের রেজিস্টার সংরক্ষণ করিবেন।
(২) উপ-বিধি (১)-এ উল্লিখিত রেজিস্টার সরকারী মুদ্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মুদ্রিত ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে; কোন সময় এইরূপ ফরম না পাওয়া গেলে তফসিল ২ অনুসারে সাব-রেজিস্ট্রার উক্ত রেজিস্টার প্রস্তুত করিয়া লইবেন।
৯। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ।- (১) নিবন্ধনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উপস্থাপিত সকল দলিলের উপর প্রদত্ত বা প্রদেয় সকল স্টাম্প (নন-জুড়িশিয়াল ষ্ট্যাম্পসহ) সম্পর্কে একটি মাসিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট মাসের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) এইরূপ মাসিক বিবরণীতে সংশ্লিষ্ট মাসে নগদে আদায়কৃত বা পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ পরিশোধিত ষ্ট্যাম্প শুল্কের মোট পরিমান তিনি নিশ্চিত হইয়াছেন মর্মে উল্লেখ করিবেন।
১০। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ।- বিধি ৯ এর অধীনে জেলার সাব-রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক প্রেরিত মাসিক বিবরণীর ভিত্তিতে জেলা রেজিষ্ট্রার একটি মাসিক বিবরণী প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট মাসের পরবর্তী ২৫ (পঁচিশ) দিনের মধ্যে উক্ত বিবরণীর একটি করিয়া কপি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, নিবন্ধন পরিদপ্তর এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর দপ্তরে প্রেরণ করিবেন।
১১। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সম্পর্কিত বিধান।- কোন দলিল লিখনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক সময় সময় মুদ্রিত নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের উপর দলিলের বিষয়বস্তু লেখা যাইবে, তবে এইরূপ দলিল নিবন্ধনযোগ্য হইলে ১০০ (একশত) টাকার বেশি মূল্যমানের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সীট ব্যবহার করা যাইবে না।
১২। নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা।- এই বিধিমালা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সরকার, নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক এবং জেলা রেজিস্ট্রার প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারী করিতে পারিবেন।
১৩। পরিদর্শন।- এই বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ষ্ট্যাম্প শুল্ক রেজিস্টার ও সাব-রেজিস্ট্রারের দপ্তর পরিদর্শন করিতে পারিবেন; তবে নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতি চার মাসে ন্যূনতম একবার এই পরিদর্শন করিবেন।
১৪। রহিতকরণ।-
(১) এতদ্বারা ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০০ রহিত করা হইল। (২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও –
(ক) রহিত বিধিমালার অধীনে গৃহীত কার্যক্রম ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০১ ইং তারিখে অনিষ্পন্ন থাকিলে ইহা এইরূপ নিষ্পন্ন করা যাইবে, যেন উক্ত বিধিমালা রহিত হয় নাই; বা তৎপূর্বে গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল এরূপ কোন কার্যক্রম উক্ত তারিখের পরও শুরু ও নিষ্পত্তি করা যাইবে।
(খ) রহিত বিধিমালার অধীনে প্রণীত প্রতিবেদন বা প্রস্তুতকৃত বা সংরক্ষিত রেজিস্টার সরকারের ভিন্নরূপ নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে।
তফসিল-১
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
নিবন্ধন পরিদপ্তর
……………………সাব রেজিস্ট্রি অফিস
ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০১
(বিধি ৭ দ্রষ্টব্য)
নগদ/পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট প্রাপ্তি রশিদ
রশিদ নং……………….
জনাব/বেগম…………………(ষ্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধকারীর নাম উল্লেখ করুন) পিতা/স্বামী……………………….. ঠিকানা- (গ্রাম/শহর/মহল্লা)……………………..ডাকঘর…………………………… থানা……………………….. এর নিকট হইতে ষ্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ নগদে………………………… টাকা/………………………..টাকার একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার/একাউন্টপেয়ী ব্যাংক ড্রাফট নং………………………..তারিখ……………………… যাহা……………………….ব্যাংক হইতে ইস্যুকৃত, বুঝিয়া পাইলাম।
তারিখঃ
……………………..
নাম
সাব-রেজিষ্ট্রার
…………….সাব-রেজিস্ট্রি অফিস
বিঃদ্রঃ-
- যথাযথ তথ্যাদি রাখিয়া বাকীগুলি কাটিয়া দিন। টাকার পরিমাণ অংকে এবং কথায় স্পষ্টভাবে লিখিতে হইবে। একাউন্টপেয়ী পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট এর ক্ষেত্রে ইস্যুকারী ব্যাংকের নাম ও শাখার নাম উল্লেখ করিতে হইবে।
- এই রশিদ পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হইতে নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে প্রদান করা হইল।
তফসিল- ২
স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০১
(বিধি ৮ দ্রষ্টব্য)
অফিসের নাম………………………
…………………………..সাব-রেজিস্ট্রার
……………… সন হইতে…………………. সন
ষ্ট্যাম্প শুল্ক আদায়ের রেজিস্টার
মোট……………..পৃষ্ঠা এর………………. নং পৃষ্ঠা…………………
ক্রমিক নং | দলিল উপস্থাপনের তারিখ | ষ্ট্যাম্প শুল্ক দাতার নাম/ঠিকানা | দলিলের ধরণ | দলিল নং (যদি থাকে) | দলিলে উল্লিখিত সম্পত্তির মূল্য | নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প মূলে পরিশোধিত ষ্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ | নগদে/পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে প্রদত্ত ষ্ট্যাম্প শুল্কের পরিমাণ | ষ্ট্যাম্প শুল্কের মোট পরিমাণ (৭+৮) | পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের নম্বর, তারিখ ও ইস্যুকারী ব্যাংকের নাম | নগদায়ন সম্পর্কে ট্রেজারী/ব্যাংকের প্রত্যয়ন | মন্তব্য | |
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে
ড। শোয়েব আহমেদ
ভারপ্রাপ্ত সচিব
Add comment