মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক প্রচারিত বিভাগীয় উপদেশ ও আদেশাবলী

মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক প্রচারিত বিভাগীয় উপদেশ ও আদেশাবলী

Last Updated on 12/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

মহা-পরিদর্শকনিবন্ধন কর্তৃক প্রচারিত বিভাগী উপদেশ আদেশাবলী

টীকা: বিষয় ও প্রসঙ্গে পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই  সকল উপদেশ ও আদেশাবলিতে-

  •  ‘‘আইন অর্থে নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ১৬ নং আইন) কে বুঝাইবে ।
  •  ‘‘বিধি” অর্থে আইনের অধীনে প্রণীত এবং আপাতত বলবৎ কোন বিধিকে বুঝাইবে।
  • “মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন” অর্থে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বাংলাদেশ-কে বুঝাইবে ।
  • “পরিদর্শক ’’ অর্থে নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শক কে-বুঝাইবে ।
  •  “নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ’’ অর্থে রেজিস্ট্রারর এবং সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় উভয়কেই অন্তভুক্ত করিবে।
  • “নিবন্ধন কার্যালয়’’ অর্থে  রেজিস্ট্রারর এবং সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় উভয়কেই অন্তভুক্ত করিবে।

অধ্যায় ১

নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্টার বহি, কাগজ এবং দলিলাদির রক্ষনাবেক্ষণ, তত্ত্বাবধান ও বিনাশসাধন

 সকল কার্যালয়ে সংরক্ষনযোগ্য রেজিস্টার ও বহিসমূহ

১। সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে সংরক্ষণের নিমিত্ত অতিরিক্ত বহি। সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে বিধি ৭ নির্দেশিত বহিসমূহ ও তদতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত রেজিস্টার ও বহিসমূহ সংরক্ষণ করিতে হইবেঃ

  1. প্রকৃত নিবন্ধন কার্য সম্পর্কিত:-
    • ধারা ৬২ এর অধীনে  নথিভুক্ত নকল এবং অনুবাদের নথি ,এবং
    • পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহারের নথি।
  2.  হিসাব সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত-
    • মহা হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ কর্তৃক নির্ধারিত চুক্তিবদ্ধ অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের রেজিস্টার,
    • মহা হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ কর্তৃক নির্ধারিত চুক্তিবদ্ধ অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের রেজিস্টার,
    • সরকারি ডাকটিকিটের হিসাব (ফরম নং ৬ পরিশিষ্ট ৫); এবং
    • বিল রেজিস্টার ।
  3.  প্রাতিষ্ঠানিক ও কার্যালয়ের সাধারণ কার্যক্রম সম্পর্কিত-
  • নিধারিত ফরমে বেতন বিতরণ বহি;
  • মুদিত ফরমের প্রাপ্তি ও বিতারণ রেজিস্টার (ফরম নং ১৩,পরিশিষ্ট);
  • প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকুরিবহি ও চাকরির খতিয়ানসমূহ;
  • মনিহারি দ্রব্য জমার বহি (ফরম নং ১৪,পরিশিষ্ট ৫);
  • ত্রুটি সংশোধন রেজিস্টার (ফরম নং ১১,পরিশিষ্ট ৫);
  • সাব-রেজিস্ট্রারগণের দিনপঞ্জি (ফরম নং ১,পরিশিষ্ট ৫);
  • হাজিরা বহি (ফরম নং ২,পরিশিষ্ট ৫);
  • অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের রেজিস্টার (ফরম নং ৪,পরিশিষ্ট ৫);
  • নৈমিত্তিক ছুটির রেজিস্টার (ফরম নং ৩,পরিশিষ্ট ৫);
  • জামিননামার রেজিস্টার (ফরম নং ১৫,পরিশিষ্ট ৫);
  • কর্মকর্তাগণের ক্রমায়ন তালিকা (ফরম নং ২৯,পরিশিষ্ট ৫);
  • সমাপ্তি রেজিস্টার (ফরম নং ৯,পরিশিষ্ট ৬);
  • টীকা বহি (ফরম নং ১৫৮৩);
  •  ‘সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০১০’ এর অধীনে প্রস্তুতকৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তির মৌজা-ওয়ারি বাৎসরিক বাজার মূল্য তালিকার রেজিস্টার; এবং
  • পে- অর্ডারের মাধ্যমে নিবন্ধন ফি আদায়ের রেজিস্টার।

২। জেলা কার্যালয়ে সংরক্ষণযোগ্য অন্যান্য বহি।– সকল রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিম্নবর্ণিত অতিরিক্ত বহিসমূহ সংরক্ষণ করিতে হইবে :

  • কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অর্জিত স্থাবরর সম্পক্তির রেজিস্টার (রেজিস্টার (ফরম নং ৮,পরিশিষ্ট ৫);
  • বিল বহি (ফরম নং ১০,পরিশিষ্ট ৫);
  • অতিরিক্ত ও অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানের বিল রেজিস্টার (ফরম নং৭,পরিশিষ্ট ৫);
  • পত্র যোগাযোগের সূচিবহি রেজিস্টার (ফরম নং৭,পরিশিষ্ট ৫);
  • গৃহ নিমার্ন অগ্রিম সংক্রান্ত বন্ধকী ও স্বত্বের দলিল সম্পর্কিত রেজিস্টার;
  • তালা চাবির রেজিস্টার;
  • আদালত কর্তৃক তলর্কৃত রেকর্ডপত্রের রেজিস্টার (ফরম নং৩২,পরিশিষ্ট ৫);
  • রেকর্ড পরিস্কার-পরিচ্ছন করিবার তারিখ প্রদর্শন সম্বলিত (রেজিস্টার (ফরম নং ৩১,পরিশিষ্ট ৫);
  • বাধাঁইয়ের জন্য রেকর্ড-রুমের বাহিরে রেজিস্টার;
  • বিভাগীয় ভবন ও ভূ-সম্পক্তির রেজিস্টার (ফরম নং১২,পরিশিষ্ট ৫);
  • পরিদর্শন বহি ;
  •  চৃড়ান্ত (peremtory)ক্যাশ বহি (সাক্ষীগণের খরচাদি);
  • সহকারী ,মোহরার এবং পিয়নদের ক্রমায়ন তালিকা;
  • জন্ম প্রত্যায়ন বহি (১৮৮৬ সনের জন্ম ,মৃত্যু এবং বিবাহ নিবন্ধন আইন,৬ এর অধীন);
  • মৃত্যু প্রত্যায়ন বহি;
  • বিবাহ প্রত্যায়ন বহি (১৮৭২ সনের বিশেষ বিবাহ আইন ,৩ এর অধীন);
  • বিবাহির বিজ্ঞপ্তি বহি (১৮৭২ সনের বিশেষ বিবাহ আইন ,৩ এর অধীন);
  • ঘোষনাপত্র বহি (১৮৭২ সনের বিশেষ বিবাহ আইন ,৩ এর অধীন);
  • সকল নিবন্ধন কার্যালয় হইতে প্রাপ্ত রেজিস্টার বহিসমূহের নিরীক্ষা বহি;
  • সাপ্তাহিক বিবরনী নিরীক্ষা রেজিস্টার;
  • সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূ্ল্য নির্ধারণ বিধিমালা , ২০১০’ এর অধীনে প্রস্তুতকৃত ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তির মৌজা-ওয়ারি বাৎসরিক বাজার মূল্য তালিকার রেজিস্টার;
  • মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন ) আইন, ১৯৭৪ এর ধারা ১২ এর অধীন রেকর্ডসমূহ; এবং
  • হিন্দৃ বিবাহ নিবন্ধন  আইন, ২০১২ এর ধারা ১১ উপ-ধারা এর অধীন রেকর্ডসমূহ।

কতিপয় বহি এবং রেজিস্ট্রা রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি

৩। রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালিকাবহি সংরক্ষণ।– প্র্রত্যেক রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুই প্রকারের তালিকাবহি রাখিতে হইবে, যথা-

  • খসড়া তালিকাবহি; এবং
  • পরিচ্ছন্ন তালিকাবহি

৪। খসড়া তালিকাবহি।– সকল নিবন্ধন কার্যালয় হইতে প্রাপ্ত বহিসমূহ এবং সদর কার্যালয় হইতে রেকর্ডরুমে প্রেরিত রেকর্ডপত্র খসড়া তালিকাবহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ফিবহি ব্যতীত সদর কার্যালয়ের প্রতিটি রেকর্ড সমাপ্ত হওয়া মাত্র রেকর্ডরুমে প্রেরণ করিতে হইবে। রশিদ বহি এবং সচরাচর ব্যবহৃত চলতি বৎসরের অন্য কতিপয় রেকর্ড বৎসর সমাপ্ত হওয়ার পর রেকর্ডরুমে প্রেরণ করিতে হইবে।

৫। পরিচ্ছন তালিকাবহি ।

  1.   পরিচ্ছন তালিকাবহিটিকে চারি খন্ডে পুনঃবিভক্ত করিতে হইবে ,যথা:
    • স্থায়িভাবে সংরক্ষনযোগ্য বহি বা রেজিস্টারসমূহ ১ম খন্ডে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
    • নিবন্ধন আইনের অধীন রক্ষিত এবং সংবিধিবদ্ধ আদেশের অনুচ্ছেদ ১০(২)এর অধীন নির্ধারিত সময় –কাল ব্যবধান বিনষ্টযোগ্য বহি এবং রেজিস্ট্রারসমূহ ২য় খন্ডে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
    • বঙ্গীর মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৮৭৬(১৮৭৬ সনের ১নং আইন);
    • জন্ম-মৃত্যু এবং বিবাহ নিবন্ধন আইন ১৮৮৫ (১৮৭৫ সনের ৩ নং আইন) ওবিশেষ বিবাহ আইন ১৮৭২ (১৮৭২সনের ৩ নং আইন)এর অধীন রক্ষিত রেকর্ডসমূহ ৩য় খন্ডে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
    • যাবতীয় তথ্য নির্দেশ, মুদ্রিত প্রতিবেদন এবং বিভাগীয় প্রকাশনাসমূহ ৪থ খন্ডে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  2. সকল কার্যালয় হইত বহি পা্ওয়ার পর খসড়া তালিকার বহিসমূহকে সতকতার সহিত অফিস-ওয়ারি বিন্যাস করিতে হইবে পরিচ্ছন তালিকা-বহির সঠিক অংশে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

৬। রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালিকা বহি সংরক্ষণ পদ্ধতি।– তালিকা বহি সংরক্ষণের পদ্ধতি নিম্নরুপ হইবে :-

  • বিধি ৭ অনুসারে তালিকা বহিসমূহ সংরক্ষণ করিতে হইবে । খসড়া তালিকা বহির ১ হইতে ৫ নম্বর কলাম কোন বহি খোলার সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করিতে হইবে ।কোন কার্যালয় হইতে বহি পাও্য়া গেলে তৎক্ষনাৎ উহা খসড়া তালিহা বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  • পরিচ্ছন তালিকা বহির ভুত্তিসমূহ কালানুক্রমিকাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রদত্ত নম্বর সন-ওয়ারি চলমান থাকিবে।তথ্য নিদের্শের সুবিধার্থে খসড়া তালিকায় কোন নির্দিষ্ট ভুত্তির জন্য বরাদ্দকৃত নম্বরটি পুনঃ-লিখনের সময় পরিচ্ছন তালিকার ক্রমিক নম্বরের নিচে লাল কালিতে উদ্ধৃত করা যাইতে পারে। অনুরুপেভাবে পরিচ্ছন তালিকার কোন ভুক্তির জন্য বরাদ্দকৃত নম্বরটি খসড়া তালিকার নম্বরের নিচে লাল কালিতে উদ্ধৃত করা যাইতে পারে। খসড়া তালিকা ক্ষেত্রে ,১ নং কালামের নম্বরটি প্রতিবৎসর ভিন্ন ক্রমিকে হইবে ।
  • খসড়া বহির অন্তর্গত ৩ নম্বর কলামে বহি খোলা তারিখ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  • একটি বহি একাধিক বৎসরের জন্য চলমান থাকিবে উক্ত বিষয়ে পূববর্তী বৎসর বা বৎসরসমূহের ভুক্তির সহিত দ্বিতীয় তালিকাভুক্তির প্রয়োজন নাই, কিন্তু এইরুপে বহিতে বরাদ্দকৃত নতুন ভলিয়ম নম্বরটি এবং যে সনের জন্য চালু রাখা হইয়াছে সেই সনটি তালিকা বহির মূলভুক্তির বিপরীতে ৩ এবং ৫নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করা যাইতে পারে।
  • কোন বহি এক কার্যালয় হইতে অন্য কার্যালয়ে হইতে অন্য কার্যালয়ে প্রেরণ ও প্রাপ্তির যথাক্রমে ১০ ও ১১ কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  • ৮নম্বর কলামে ক্ষতিগ্রস্ত বাতিলকৃত বা শূণ্য  প্রষ্ঠাসমূহের (যদি থাকে) নম্বর নথিভুক্ত করিতে হইবে ।মন্তব্যের কলামে বহি বিনাশকরণের তারিখ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং বিনাশকরণের টীকটি নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক  অনুস্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে ।
  • ১২ এবং ১৩ নম্বর কলামে যথাক্রমে কার্যালয়ের কক্ষ ও র‌্যাকের ক্রমিক নম্বর সংক্ষিপ্ত আকারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে,যেমন-১,৩ নির্দেশ করিবে যে বহিটি ১ নম্বর কক্ষের ৩ নম্বরর র‌্যাক সংরক্ষিত আছে।র‌্যাকের তাকের নম্বর তালিকা –বহির যথাযথ ঘরে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  • পরিচ্ছন তালিকা –বহিতে নথিভুক্ত করিবার সময় মুদ্রিত বার্ষিক প্রতিবেদনে যেভাবে প্রকাশিত আছে কার্যালয়ের নামে সেই ভাবে বা অন্য কোন সুবিধাজনক বিন্যাস উল্লিখিত হইবে , তবে শর্ত্ থাকে যে, যে নিয়মটি অবলম্বন করা হইয়াছে তাহা যেন আগাগোড়া অনুসৃত হয়।

তালিকাবহির প্রষ্ঠাসমূহ পর্যায়ক্রমিকভাবে নম্বরযুক্ত করিতে হইবে এবং প্রথম ওশেষ প্রষ্ঠার যথাক্রমে মোট প্রষ্ঠা সংখ্যা ও লিখিত পৃষ্ঠা  সংখ্যা প্রদশন করিয়া বহি খোলার সমাপ্তি প্রত্যায়নপত্র লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

৭। অধীনস্থ কার্যালয়সমূহে তালিকা-বহি সংরক্ষণ পদ্ধতি ।-সদর কার্যালয়সমূহ প্রতিটি নিবন্ধন কার্যালয়ে সবপ্রতার রেকডপ্রকার রেকডপত্রের জন্য একটি মাত্র তালিকা-বহি সংরক্ষণ করা হইবে এই তালিকা-বহিটি অনুচ্ছেদ ৫ ‍উল্লখিত খন্ডসমূহের বিভক্ত করিবার প্রয়োজন নাই ।

উক্ত তালিকা বহি সংরক্ষনের পদ্ধতি, যতদূর সম্ভব,৬ নং অনুচ্ছেদ নিহীত উপদেশ অনুসারে হইবে উহার ১ নম্বর কলামের পর্যায়ক্রমিক নম্বরটি বৎসরের পর বৎসর চলমান থাকিবে।

৮। নিবন্ধন বিভাগের কমকর্তা –কমচারীগণের অর্জিত সম্পত্তির রেজিস্টার।–

  1. প্রত্যেক সরকারী কমকর্তা-কমকারীকে সরকারি চাকুরিতে হইবে এবং প্রতি পাচঁ বৎসর অন্তর ,ডিসেম্বর মাসে, সরকারের নিকট প্রচলিত মাধ্যমে ,সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সময় প্রদর্শিত কিংবা বিগত পাঁচ বৎসরের রিটার্নে প্রদর্শিত সম্পত্তির হ্রাস বা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সম্পদের রির্টান দাখিল করিতে হইবে । সূত্র: সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ের সার্কুলার নং –সম  (বিধি-৪)- শৃঃআঃ ৪১/২০০৭-২১৫ তারিখ : ১০ ডিসেম্বর ২০০৭ খ্রিঃ} ।
  2. সরকারি কমকর্তা-কমচারীগণ নিম্নে নিদের্শিত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর তাহাদের ঘোষণাপত্র দাখিল করিবেন:
    • ক্যাডার/নন-ক্যাডার ১ম শেনির গেজেটেড-নিয়ন্ত্রকারী কমকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কমকর্তা… প্রশাসনিকড মন্ত্রণালয়ের সচিব ।
    • ২য় শেনির গেজেটেড-কমকর্তা ……………. নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ।
    • মন্ত্রনালয় বিভাগ এবং অধীনস্থ অফিস/ প্রতিষ্ঠানের ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেনীর কমকর্তা……… নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ।
  3. পরিশিষ্ট ৫ এর ফরম নং ৮ অনুযারী সাব –রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক অর্জিত সম্পত্তির একটি রেজিস্টার নিবন্ধন পরিদপ্তরে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত ঘোষনাপত্র ও বিবরনী ফরম নং ৩৪ এবং ৩৫ পরিশিষ্ট ৫ অনুযারী প্রস্তুত করিতে হইবে ।

৯। ফি বহির ভুক্তি যাহার দ্বারা সম্পন্ন করিতে হইবে ।- বিধি ৭ এ নিধারিত ফি বহির ভুক্তিসমূহ স্থায়ী কমচারীদের দ্বারা লিখিত হইবে ।ফি বহিতে লিখিত প্রতিটি ভুক্তি যাহাতে নির্ভুল হয় সেই বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করিতে হইবে । দৃষ্টান্তস্বরুপ,কোন দলিল সর্বতোভাবে সমাপ্ত না হওয়া ১২ নং কলামটি কখনও পূরণ করা হইবে  না ।নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক প্রতিদিনের ভুত্তিসমূহের যোগফল নির্ণয়করত স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে ।নিবন্ধকারী কমকর্তা এই মর্মে একটি প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিবেন যে, তাহার দ্বারার গৃহিত ফিস সঠিক ফি বহিতে জমা করা হইয়াছে ।

১০।  ফি বহি সংরক্ষণ পদ্ধতি ।- ফি বহি নিম্নবণির্ত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে :-

  •  অনুপযক্ত কার্যালয়ে দাখিলকৃত হওয়ার বিধি ২৬ এর অধীন ফেরত প্রদত্ত, বিধি ২৪ এর উপ-বিধি (২) এর অধীনে জরিমান বহিভুক্ত, বিধি ২৭ এর উপ-বিধি (১) এর অধীনে আটককৃত এবং বিধি ২১ এর অধীন গ্রহণ করিতে অস্বীকৃত দলিল ব্যতীত অন্য যে কোন দলিল দাখিল হওয়া মাত্র ফি বহির ১ হইতে ৯ ও ১৫ নং কালাম পূরণ করিতে হইবে; কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ ও ১১ নং কলাম পূরণ করিতে হইবে ;১২ হইতে ১৪ নং কালাম দলিলটি ফেরত দেওয়া মাত্র এবং ১৬ নং কলামটি নকল বা স্মারকলিপি প্রেরণের পর পর পূরণ করিতে হইবে ।
  • ১ নম্বর কলামটি প্রতিটি দলিল ক্রমানুসারে ধারাবাহিক নম্বরযুক্ত হইবে।প্রমানীকরণের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও জমার জন্য সিলমোহরকৃত খামে দাখিলকৃত উইলসহ সকল দলিল একটি ধারাবাহিক ক্রমিকে নম্বর ক্রমিকে নম্বরযুক্ত হইবে ।অপেক্ষামান দলিলসমূহ উহাদের ক্রমিক নম্বরের সহিত লাল কালিতে ‘পি’ (Pটি অর্থে Pending) বর্ণ সংযোজনক্রমে ১ নম্বর কলামে চিহ্নিত করিতে হইবে এবং প্রদও ক্রমিক নম্বরসমূহই পেন্সিল দ্বারা দলিলে লিখিতে হইবে।
  • পরিশেষে নিবন্ধিন বা অগ্রাহ্যকৃত দলিল ,জমাকৃত সিলমোহরকৃত খাম এবং প্রমাণকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির নম্বরটি ১১নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ হইবে ।সুতরাং ১,২,৩,৪ ও৫ নং রেজিস্টার বহি এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্ট্রারের ক্রমিক নম্বরসমূহই কেবল মাত্র ১১ নং কলামে প্রদর্শিত হইবে ।
  • নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যে তারিখে রেজিস্টার বহিতে অবিকল নকলের  প্রত্যায়নপত্রের স্বাক্ষর প্রদান করিবেন ,উহাই দলিল সমাপ্তকরণের তারিখ হিসাবে ফি বহির ১২ নং কলামে লিপিবদ্ধ হইবে ।
  • ১৩ নং কলামটি কেবলমাত্র রেজিস্টার বহি এবং কলাম নম্বরই প্রদর্শন করিবে না বরং ,যে পৃষ্টায় দলিলটি নিবন্ধিত হইয়াছে তাহাও নির্দেশ করিবে ।যেমন :১,৫,২৯৩-৯৫ অর্থে বহি নং ১,বালাম নং ৫ ও পৃস্ঠা নং ২৯৩ হইবে ২৯৫ পর্যন্ত নির্দেশ করিবে।
  • ১৫ নং কলামে নকল এবং স্মারকলিপিসমূহ উহার প্রতিনিধিত্বকারী সংখ্যার সহিত সি (C অর্থে copy) (M অর্থে Memorandum) বর্ণ সংযোজন করিয়া চিহ্নিত করিতে হইবে ।
  • ইজারা বা পাট্টাকে পি (P অর্থে Patta) বর্ণ দ্বারা এবং কবুলিয়তকে ‘কে’ (k অর্থেয়া Kabuliyat)বর্ দ্বারা নির্দেশ করিতে হইবে এবং যে মেয়াদ কালের জন্য ইজারা দেওয়া হইয়াছে তাহা অবশ্যই লিপিবদ্ধ হইবে ।
  • মন্তব্যের কলামে সম্পত্তিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই উপজেলা বা থানা বা পুলিশ স্টেশনের নাম লিপিবদ্ধ হইবে ।
  • কোন দাখিলকৃত দলিল যদি নিবন্ধনের অপেক্ষামান থাকে তবে ফি বহির ১-৯ নং ঘরসমূহ তৎক্ষনাৎ পূরণ করিতে হইব।যদি এইরুপে দলিলের নিবন্ধীকরণ পরিশেষে অগ্রাহ্য হয় ,তবে অগ্রাহ্যের তারিখটি দলিলটি তারিখে যে কলামে রেকর্ডভুক্ত হইয়াছিল তাহার বিপরীত ১০ নং কলামে লিপিবদ্ধ  করিতে হইবে এবং  ‘‘অগ্রাহ্যকৃত (Refused) শব্দটি মন্তব্যর কলামে লিখিতে হইবে; যদি শেষ পর্যন্ত দলিলটি নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হয় ,তবে ,নিবন্ধনের তারিখে এবং রেজিস্টার বহির নম্বর দলিলটি দাখিলের তারিখে যে কলামে রেকর্ডভুক্ত হইয়াছিল তাহার বিপরীত ১০ ও ১১ কলামে লিখিত হইবে , এবং অবশিষ্ট ১২-১৬ নং কলামগুলি শূন্য থাকিবে । একই সঙ্গে ফি বহির ১১ নং কলামে প্রদর্শিত নিবন্ধিত দলিলের ক্রমিক নম্বর অনুসারে যথাস্থানে দলিলটির দ্বিতীয় ভুক্তি করিতে হইবে । এই দ্বিতীয় ভুক্তিতে ১ ও২ নং কলামের ক্রমিক নম্বর এবং তারিখ,পূববর্তী ভুক্তির ন্যায় একই নম্বর ও তারিখযুক্ত হইবে তবে , এইগুলি বন্ধনী ভিতর প্রদর্শন করিতে হইবে ।৩ হইবে ৯ নং কলাম শূন্য থাকিবে,কিন্তু ১০ হইবে ১৬ নং কলামসমূহ যথারীতি পূরণ করা হইবে ।

উদাহরণ : একটি দলিল ২রা এপ্রিল দাখিল করা হয় ।দাখিলের ক্রমানুসারে ১ণং কলামে ইহার ক্রমিক নম্বর ৫৪১।সম্পাদন স্বীকার করিবার নিমিত্ত সম্পাদনকারীগণ উপস্থিত নাই,১৫ই এপ্রিল তাহাদের উপস্থিত হওয়া পযর্ন্ত দলিলটি অপেক্ষমান রাখিয়া দলিলটিতে ১ নং বহির ৯২৬ নম্বর প্রদানপূবক নিবন্ধিত হয় ।২রা এপ্রিল ১-৯ নং কলামসমূহ পূরণ করিতে ১নং কলামে প্রদত্ত নম্বর হইবে৫৪১ পি উক্ত ভুমি বিপরীতে ১৫ইএপিল ১০ও১১ নং কলামদ্বয়ও পূরণ হইবে  ,ভুত্তিদ্বয় হইবে যথাক্রমে ১৫ ই এপ্রিল এবং ‘৯২৬’ একই সংগে ইহার যথাস্থানে ১১ নং কলামের ক্রমিক নম্বর অনুসারে ১৫ ই এপ্রিলের ভুক্তিসমূহের সঙ্গে নতুন একটি ভুক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।(অর্থাৎ ১নং বহির ‘৯২৫’ নম্বর দলিলের ভুক্তির নিচে)কিন্তু এই ভুক্তিতে ১নং কলামে ২রা এপ্রিল লিখা হইবে ।ভমিদ্বয়কে ১৫ই এপ্রিলের ভুক্তি হইতে পৃথকভাবে চিহ্নিত করিবার নিমিত্ত বন্ধনীর ভিতর রাখিতে হইবে। ৩-৯ নং কলামসমূহ শূন্য থাকিবে।

  • দাখিলের তারিখের পরবর্তীতে পরিশোধকৃত ফিস ।যেক্ষেত্রে দলিল দাখিলের তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ ফিস তালিকার দফা ‘ঢ’ বা ‘ন’এর অধীন কোন অতিরিক্ত ফিস পরিশোধ করা হয় ,সেইক্ষেত্রে ১ও২ নম্বর ঘরে বন্ধনীর ভিতর উদ্ধৃত করিতে হইবে।একই সঙ্গে পরিশোধকৃতর্ ফিসের পরিমাণ এবং পরিশোধের তারিখ দলিলটি দাখিলের তারিখে লিপিবদ্ধ পূববর্তী ভুত্তির বিপরীত মন্তব্যের ঘরে লিখিতে হইবে ।এইরুপ টীকা নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইবে ।
  • যেক্ষেত্রে কোন সিলমোহরযুক্ত খাম প্রত্যাহার করা হয়, সেইক্ষেত্রে জমার সময়  উহাতে প্রদও ক্রমিক নম্বর এবং জমার তারিখ ১ও২ নম্বর ঘরে বন্ধনীর মধ্যে উদ্ধৃত করিতে হইবে ।
  •  অনির্দিষ্ট কালের বা দশ বৎসরের অধিক কালের বা চিরস্থায়ী ইজারার যথাযথ নিবন্ধন ফিস নির্ধারণের জন্য (ফিস তালিকা দফা ‘ক(২),এর ব্যাখা অংশের দফা (২),(৩)(ক) অনুসারে)সংশ্লিষ্ট অধিকার ,স্বত্ব ও স্বার্থের মূলকে দুই বৎসরের খাজনার সমপরিমাণ বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে এবং ফি বহির ৩ নম্বর ঘরে ২টি বার্ষিক খাজনা টাকার অংকে প্রদর্শন করিতে হইবে ,ভগ্নাংশকে পূর্ণ টাকা হিসাবে গন্য করিতে হইবে ।
  • তল্লাশ,পরিদশন এবং নকলের দরখাস্তসমূহ ফি বহিতে জমা করিতে হইবে না ,কিন্তু পরিশিষ্ট ১ এর ১৮ নং ফরমের রক্ষিত তল্লাশ ও নকলের দরখাস্তের রেজিস্টার হইতে এইরুপ দরখাস্তেরর উপর আদায়কৃত মোট টাকার সংক্ষিত হিসাব কষিতে হইবে এবং নিম্মের পদ্ধতিতে ফি বহির ৭ নম্বর কলামে জমা করিতে হইবে- তল্লাশ এবং নকলের  রেজিস্টার মোতাবেক :
    • চ (১) টা-
    • চ (২) টা-
    • ছ (ক) টা-
    • ছ (খ) টা-

১১। নিবন্ধনে জন্য অপেক্ষমান দলিলের রেজিস্টার সংরক্ষণ পদ্ধতি ।- ফি বহি হইতে প্রয়োজনীয় বিবরনাদি সংগ্রহপূবক নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান দলিলের রেজিস্টারের (ফরম নং ২৭,পরিশিষ্ট১) ১ হইতে ৭ নম্বর কলামসূহ দিনান্তে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।দাখিলের দিন দ্বিতীয় পৃষ্ঠাস্কন সম্পূর্ণরুপে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই ।এমন প্রতিটি দলিল অপেক্ষমান দলিলের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং প্রতিটির ক্ষেত্রে দলিলটি অপেক্ষমান রাখিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।অবশ্য যে সকল দলিলের নিবন্ধন তাৎক্ষণিকভাবে অগ্রাহ্য করা হইয়াছে বা যে সকল দলিল ২৬ বিধির অধীন পক্ষগণের নিকট ফেরত প্রদান করা হইয়াছে,সেই সকল দলিলের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোগ্য হইবে না ।পরিশেষে যখন দলিলটি নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইবে তখন ৮ ও ৯ নম্বর কলাম এবং ফি বহিতেও প্রয়োজনীয় ভুক্তি প্রদান করিতে হইবে। অপরদিকে ,যদি নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হয় ,তবে ২নং বহির তারিখ ও নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এবং ফিস ফেরত প্রদানের পর ১১ নম্বর কলাম পূরণ করা হইবে।

১২। ক্যাশ বহি সংরক্ষন পদ্ধতি।– বিধি ৭ এ নিধার্রিত ক্যাশ বহি (ফরম নং২৪,পরিশিষ্ট ১) নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে:-

  • ফি বহি এবং তল্লাশ ও নকলের আবেদনের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ প্রাপ্তিসমূহ বিস্তারিভাবে ক্যাশ বহি লিখিবার প্রয়োজন নাই ; উহার দৈনিক মোট পরিমাণ উল্লেখ করাই যথেষ্ট। কিন্তু অন্যান্য প্রাপ্তি এবং খরচ যত প্রকারই হউক বিস্তারিতভাবে ক্যাশ বহিতে লিখিতে হইবে ।কোন অবস্থাতেই কোন অথ হিসাবের বাহিরে রাখা যাইবে না । যখন জেলা রেজিস্টারেএবং  সাব- রেজিস্ট্রোরগণ তাহাদের বেতন বিল এবং ভ্রমণ ভাতা বিল তাহাদের নিজ দায়িত্বে তাহাদের পিয়ন বা দূত মারফত নগদ গ্রহণ করেন ,তখন উক্ত উত্তোলিত টাকা ক্যাশ বহিতে লিখিবার প্রয়োজন নাই ।ডাকটিকিট খাতে প্রাপ্তি এবং কোট খাতে প্রাপ্তি এবং কোট ফি আকারে পরোয়ানা ফিস প্রতিদিনের নগদ লেনদেনের সহিত মিলানো যাইবে না, কিন্তু ভিন্নভাবে ক্যাশ বহির ২ ও৭ নম্বর ঘরের শূন্যস্থানে হিসাবভুক্ত করিতে হইবে।ফিস প্রেরণের প্রতিটি চালানের নম্বর ও তারিখ ৭ নম্বর ঘরে প্রদর্শন করিতে হইবে। ক্যাশ বহিতে প্রতিদিনের প্রদর্শন করিতে হইবে এবং নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।স্বাক্ষর প্রদানের পূর্বে তিনি প্রতিটি ভুক্তি সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবেন হাতে থাকা প্রকৃত নগদ ,পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধৃত ফি ,হাতে থাকা কোর্ট ফি এবং ডাকটিকিটের সহিত প্রদর্শিত সমাপ্তি জের তুলনা করিতে হইবে,এবং  এবং নিবন্ধনকারী কমকর্তা নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি একটি প্রত্যায়নপত লিপিবদ্ধ করিবেন।– ‘‘হস্তস্হিত নগদ…..টাকা ও পে-অর্ডারে….. টাকা ,কোর্ট ফি স্ট্যাম্পে …. টাকা এবং পোস্টেজ স্ট্যামের মিল আছে’’।
  • ক্যাশ বহিতে দৈনিক স্থিতির পূর্ণ বিবরন প্রদান করিতে হইবে যাহা পরবর্তী দিনের প্রারম্ভিক স্থিতি হিসাবে জের টানা হইবে।  সমাপ্তি জেহের পূর্ণ বিবরণ ১২ নম্বর কলামে প্রদর্শিত হইবে ।
  • সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে সাব-রেজিস্ট্রার স্বয়ং নগদ অর্থের জন্য দায়ী হইবেন,সুতরাং ক্যাশ বহিটি সহকারী কর্তৃক লিখিত হইবে। বহির স্থিতি অবশ্যই হাতে থাকা প্রকৃত নগদের সহিত দৈনিক প্রতিপাদন করিতে হইবে।

১৩। ফেরত প্রদানের রেজিস্টার সংরক্ষণ পদ্ধতি ।-

ফেরত প্রদানের রেজিস্টারে নিম্নবর্ণিত অর্থাদি অন্তুর্ভূক্ত হইবে :

  • নিবন্ধনের জন্য গৃহীত,এবং পরবর্তীতে নিবন্ধন অগ্রাহ্যকৃত দলিলে নির্ধারিতঢ ফিসের তালিকার অধীনে আদায়কৃত সকল প্রকার ফিস।
  • নিবন্ধিত দলিল নিবন্ধন আইনের অধীন যথাযথ ফিসের অতিরিক্ত পরিমাণ আদায়কৃত অর্থ ।
  • পরিদর্শন করিবার বা কমিশন  নির্বাহ করিবার পূর্বে পরিদর্শনের বা কমিশনের দরখাস্ত প্রত্যাহার করা হইবে পরিদর্শন বা কমিশনের ফিস এবং ভ্রমণভাতা ।
  • আবেদনকারীর নিকট রেকর্ডপত্র প্রদান করিবার পূর্বে তল্লাশির আবেদন প্রত্যাহারের লিখিত অনুরোধ করা হইবে তল্লাশেরর্ ফিস ফেরত প্রদান করা যাইতে পারে।অনুরুপভাবে নকল প্রস্তুতকরণ শুরু করিবার পূর্বে নকলের আবেদন প্রত্যাহার করা হইবে নকলের ফিসও ফেরত দেওয়া যাইতে পারে।

ফেরত প্রদানের রেজিস্টারে বার্ষিক বিবরনী লিপিবদ্ধকরণ:

অগ্রাহ্যকৃত দলিলেরর্ ফিস এবং ফিসের তালিকার চ,ছ,ঞ, এবং ট, দফার অধীন ফেরতযোগ্য ফিসের স্থিতি নির্ণয় ও বিবরনীর সহিত পরীক্ষার জন্য সকল নিবন্ধনকারী কমকর্তাকে ফেরত প্রদানের রেজিস্টারে প্রত্যেক বৎসর অন্তে লাল কালিতে নিম্নের ফরমে ফেরতযোগ্য অর্থের মোট স্থিতি প্রদর্শন করিতে হইবে:-

  • পূর্ববর্তী বৎসরসমূহের অগ্রাহ্যকৃত দলিলের ফেরতযোগ্য ফিসের স্থিতি।
  • চলতি বৎসরে অগ্রাহ্যকৃত দলিলে আদায়কৃত ফেরতযোগ্য ফিস।
  • মোট
  • অগ্রাহ্যকৃত দলিলের ফিস বাবদ চলতি বৎসরে ফেরত প্রদও অর্থের পরিমাণ বাদ দিতে হইবে
  • বৎসরব্যাপী অবলোপনকৃত()অর্থ বাদ দিতে হইবে। ফিস অবলোপন অনুমোদন সম্পর্কিত মহা-পরিদর্শক ,নিবন্ধন কর্তৃক প্রদও আদেশের উল্লেখ করিতে হইবে ।
  •  স্থিতি

অতিরিক্ত আদায়কৃত ফিস এবং ফিস তালিকার চ,ছ,ঞ, এবং ট, দফার অধীন ফেরতযোগ্য ফিসের বিষয়েও পৃর্থকভাবে অনুরুপ ভুক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

প্রতিটি  প্রত্যপর্ণ সমন্বিত হওয়ার তারিখ মন্তব্যের ঘরে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

১৪। আটককৃত দলিলের রেজিস্টার।- বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত আটককৃত দলিলের রেজিস্টারের (ফরম নং ৭, পরিশিষ্ট ১) ৬ নম্বর কলামে দাখিলকারীর ঠিকানা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ঘাটতি স্ট্যাম্প শুল্ক যাহা কালেক্টর আদায় করিয়া থাকেন, কেবলমাত্র উহা নহে, বরং পূর্ণ স্ট্যাম্প শুল্ক যাহা দলিলে প্রদেয় হিসাবে কালেক্টর সিদ্ধান্ত দেন, তাহা ১২ নম্বর কলামে প্রদর্শন করিতে হইবে ।

স্ট্যাম্প শুল্ক ঘাটতি থাকিবার কারণে আরোপিত জরিমানা জমা করিবার জন্য ১৩ নম্বর কলাম সংরক্ষিত আছে ।

১৫। ত্রুটি সংশোধনী বহি।– পরিদর্শনকালে চিহ্নিত ক্রটিসমূহ নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রমে ত্রুটি সংশোধন বহিতে(ফরম নং ১১,পরিশিষ্ট ৫) লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।উক্ত বহির ৪ নম্বর কলামের ভুক্তিসমূহ নিবন্ধনকারী কমকর্তা স্বয়ং লিপিবদ্ধ করিবেন।

১৬। নকল ও স্মারকলিপি প্রেরণ রেজিস্টার।– অন্যান্য কার্যালয়ে প্রেরণ নকল ও স্মারকলিপির রেজিস্টার(ফরম নং২৬,পরিশিষ্ট ), যাহা বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত, উহার ১ নম্বর কলামে নকলর ও স্মারকলিপির সহিত সংশ্লিষ্ট দলিলের ১ নং বহির ক্রমিক নম্বর ও যে বালামে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে তাহা প্রদশন  করিতে হইবে। ১, ২, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর কলামের ভুক্তিসমূহ দলিলটির নিবন্ধন গ্রাহ্য করিবার তারিখে  বা ভুক্তিসমূহ যে নকল সম্পর্কিত উহার প্রাপ্তির তারিখে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে যাহাতে প্রেরিত  সংখ্যা ও একটি সময়ে বকেয়ার সংখ্যা এক নজরে লক্ষ্য করা যায়। নকল, স্মরকলিপি বা সংক্ষিপ্ত টীকা পেরণের পরপরই নিবন্ধনকারী কমকর্তা ১২ নম্বর কলামে তাহার অনুস্বাক্ষর প্রদান করিয়া বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিবেন। অন্যান্য কার্যালয় হইতে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রাপক কর্তৃক নকল ,স্মারকলিপি বা সংক্ষিপ্ত টীকা প্রাপ্তির তারিখটি ১১ নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।


১৭। নকল ও স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রাপ্তির রেজিস্টার।– অন্যান্য কার্যালয় হইতে প্রাপ্ত নকল ,স্মারকলিপি,বিক্রয় সার্টিফিকেট ইত্যাদি রেজিস্টার(ফরম নং ৩১,পরিশিষ্ট ১),যাহা বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত,উহাতে নকল ,স্মারকলিপি ,বিক্রয় সার্টিফিকেট এবং বিধি ৬ ধারা নির্ধারিত দলিলাদি ও বিধি ৭৮ দ্বারা নির্দেশিত সংক্ষিপ্ত টীকা ইত্যাদি সংখ্যা অন্যান্য কার্যালয় বা আদালত হইতে প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।কোন দলিল সূচিবদ্ধ হওয়ার পর ৯ নম্বর কলামে ভুক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।অবশ্য সংক্ষিপ্ত টীকার ক্ষেত্রে এই কলামটি খালি থাকিবে।

১-৭ নম্বর কলাম পূরণ হওয়ার তারিখে অর্থাৎ দলিলাদি প্রাপ্তির তারিখে নিবন্ধনকারী কমকর্তা ৮ নম্বর কলামে তাহার অনুস্বাক্ষর প্রদান করিবেন।তিনি ৯ নম্বর কলাম পূরণ হওয়ার তারিখে অর্থাৎ নথিভুক্তির তারিখে ১০ নম্বর কলামে তাহার অনুস্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

১৮। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টার সংরক্ষণ পদ্ধতি ।- বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টার (ফরম নং ১৭,পরিশিষ্ট১) নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণত করিতে হইবে :

  1. পাওয়ার  অব অ্যাটর্নিতে প্রদও পাওয়ারদাতা ,পাওয়ারগ্রহিতা এবং সনাক্তকারীগণের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা অপরিবর্তিতভাবে উদ্ধৃত হইবে। সম্ভব হইলে সাক্ষীগণের পূর্ণ ঠিকানাও রেজিস্টারের যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  2. প্রতিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের তারিখ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  3. প্রতিটি পাওয়ার  অব অ্যাটর্নির সারসংক্ষেপের উপর পরিশোধকৃত স্ট্যাম্প-শুল্ক লাল কালিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  4. সাধারণ  পাওয়ার  অব অ্যাটর্নির সারসংক্ষেপে এজেন্টকে প্রদত্ত পৃথক পৃথক ক্ষমতার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরনী থাকিবে হইবে।
  5. বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সারসংক্ষেপে সম্পাদিতব্য বা নিবন্ধিতব্য দলিল সম্বন্ধে পাওয়ার  অব অ্যাটর্নিতে উল্লেখিত বিবরনাদি এবং এজেন্টকে প্রদও পৃথক পৃথক ক্ষমতার একটি সারাংশ লিপিবদ্ধ থাকিবে  ।
  6. পূর্ববর্তী পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহার সংক্রান্ত কোন বিধান থাকিবে ‍উহা সারসংক্ষেপের কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  7.  বিধি ৯১ মোতাবেক আবশ্যকীয় টীকা ,প্রতিক্ষেত্রে ,রেজিস্টারে নকল করিতে হইবে।
  8.  রেজিস্টারের প্রতিটি সারসংক্ষেপ নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।

সকল পাওয়ারদাতা এবং  অ্যাটর্নিগণের নামের একটি সূচি প্রতি বৎসর উক্ত সনের শেষ ভুক্তির পর নিম্নবর্ণিত ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে ।

নামঠিকানাসহ পূরণ পরিচিতলেনদেনে স্বার্থনম্বরপৃষ্ঠা
     

১৯। স্ট্যাম্প  আইনের ১ নং তফসিলের দফা ৪৮ এ ব্যবহৃত ‘‘নিবন্ধন ” শব্দটির তাৎপর্য ।-পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টারে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসমূহের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতকালে স্ট্যাম্প আইনের ১নং তফসিলের দফা ৪৮ এ ব্যবহ্নত অর্থে ‘‘ নিবন্ধন ’’ শব্দটি ব্যব্হার করিতে হইবে।,যাহা নিবন্ধীকরণে আনুষঙ্গিক প্রতিটি কার্যক্রমকে অন্তর্ভূক্ত করে যেমন-‘‘ নিবন্ধনের নিমিত্ত দাখিল করা’’ ‘‘সম্পাদন স্বীকার করা” পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কাযক্রম সম্পন্ন করা ’’ বা পাওয়ার দাতার অনুকুলে দলিল নিবন্ধন করাইয়া লইবার জন্য যাবতীয় কাযক্রম সম্পন্ন করা ’’ বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দাতা কর্তৃক এইরুপ ক্ষমতা প্রদত্ত হইয়া থাকে।কিন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি যখন কেবলমা্ত্র দলিল দাখিল করা বা কোন দলিলের সম্পাদন স্বীকার করা,ইত্যাদি ক্ষমতা সম্বলিত হয়, তাহা হইলে এইরুপে ক্ষমতা সুষ্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

২০। তল্পাশ বহি সংররক্ষণ পদ্ধতি ।- বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত তল্লাশ এবং নকলের আবেদনের রেজিস্টার (ফরম১৮) ,পরিশিষ্ট) নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে ।

  • সূচি বহি তল্লাশ,রেজিস্টার বহি বা অন্য রেকড পরিদর্শন বা নকলের জন্য সকল প্রকার আবেদন গ্রহণের ক্রমানুসারে অন্তৃর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
  • সদর কার্যায়ের ক্ষেত্রে তল্লাশ ও নকলের রেজিস্টারটি রেকর্ড কিপার কর্তৃক সংরক্ষণ করা যাইতে পারে ,তবে অন্যান্য কার্যালয়ের ক্ষেত্রে উক্ত রেজিস্টারচট স্বয়ং সাব- রেজিস্টার কর্তৃক সংরক্ষিত হইবে ।
  •  ১২,১৩,ও১৪ নম্বর কলামসমূহের সমষ্টি দৈনিক নির্ণয় করিতে হইবে ,এবং নিবন্ধকারী কমকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং ১২ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে মোট পরিমাণ ক্যাশ বহিতে স্থানান্তর করিতে হইবে।

২১। চাকুরির খতিয়ান।–সরকারি কমচারীগণের চাকরির খতিয়ান সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ন্ক্রণ সম্পর্কিত সরকার কর্তৃক প্রনীত বিধিমালা, বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালার ১ম খন্ডের পরিশিষ্ট ৮ এর ৪থ অংশে অন্তভুক্ত রহিয়াছে। নিবন্ধনকারী কমকর্তাগণ উক্ত বিধিমালা অনুসরণ করিবেণ।

২২। যে সকল রেকর্ড স্থায়িভাবে সংরক্ষন করিতে হইবে ।- বিধি ১১ ও ১২ দ্বারা নিধারিত রেকর্ডপত্রের অতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত রেকর্ড স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে ।

  • কার্যালয়ের বিলাপসাধন;
  • ভূমি অধিগ্রহণ;
  • ভবণ নিমার্ন ,সমপ্রাসারণ ও পরিবর্তন;
  • মহা-পরিদর্শন ,নিবন্ধনের পরিপত্র ওসাধারণ আদেশাবলি;
  • সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের চলমান নোটশিট;
  • নিয়ন্ত্রক কার্যালয়কে যুগ্ন কার্যালয়ে এবং তদ্বিপরীতভাবে পরিবর্তন;
  • রেকর্ডপত্রের ক্ষয়ক্ষতি;
  • বিনামুল্যে প্রাপ্ত ভুমির দানপত্র
  • আইন বা পদ্ধতি সম্পর্কিত উপদেশ বা প্রসঙ্গ-নিদের্শ;
  • পত্র যোগাযোগের সূচি রেজিস্টার;
  • অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত বিষাদি;
  • কার্যালয়েসমূহের অবস্থান বা প্রদান কার্যালয়ের পরিবর্তন
  • নতুন কার্যালয়ের উদ্ধোধন
  •  সরকার ও মহা-হিসাবরক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ আদেশ ও বিজ্ঞপ্তিসমূহ
  • স্থায়ী অগ্রিম অনুমোদন বা বৃদ্ধিকরন
  • বার্ষিক ও ত্রৈমাসিক মুদ্রিত প্রতিবেদন;
  • ধারা ৭২ ও ৭৩ এর অধীনে নথিপত্র :
    • আরজি;
    • সাব-রেজিস্ট্রারের অগ্রাহ্যকরণের কারণ সম্বলিত নকল;
    • আদেশপত্র ওরায়;
  •  বিভাগীর ভুমি এবং ভবনাদির রেজিস্টার ;
  • সাব-রেজিস্ট্রার এবং সহকারূীগণের অর্জিত স্থাবর সম্পতির রেজিস্ট্রার;
  • নিবন্ধন ফিস সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত সমূহ;
  • স্ট্যাম্প শুক সম্পর্কিত সিদ্ধান্তসমূহ;
  • স্থায়ী আদেশ বহি; এবং
  • আসবাবপত্র জমার বহি।

২৩। রেকর্ডপত্র বিনষ্টকরণের পদ্ধতি।– প্রতি বৎসরের শুরুতে রেকর্ডপত্র বাছাই করিতে হইবে

এবং  মহা-পরিদর্শন ,নিবন্ধনের অনুমোদনক্রমে ১০(২) নং সংবিধিবদ্ধ আদেশের অধীনে প্রদও তালিকা অনুসারে বিনষ্ট করিতে হইবে ।বঙ্গীর সরকারের বিজ্ঞপ্তি নং ৮৩৩ –টি ,আর তারিখ:২৬-৬-১৯১৭ ইং।

২৪। ১৮৭৬ সনের ১নং আইনের ধারা ২২ এর অধীনে প্রতিলিপিসমূহ বিনষ্টকরণের তালিকায় রেকর্ডরুমের কমকর্তা কর্তৃক প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিতে হইবে।- ১৮৭৬ সনের ১ নং আইন এর ধারা ২২এর অধীনে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিলকৃত ক,খ,গ,ঘ রেজিস্টারসমূহ িএবং তৎসহ সূচিবহির ভুক্তিসমূহের প্রতিলিপি বিনষ্টকরনের প্রস্তাবকালে রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা অবশ্যই এই মর্মে প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিবেন যে, প্রতিলিপিসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারেবহির সমাপ্তকৃত ভলিময় এবং বহিসমূহর রেকর্ডরুমে জমার জন্য গৃহিত হইয়াছে এবং ভুক্তি সমূহের  প্রতিলিপির গরুত্বপূণ বিষয়াবলির সাপেক্ষে রেজিস্টারের মূল ভুক্তিসমূহের মিল আছে ।

২৫। দাবিবিহীন দলিল ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র বিনষ্টকরণ।-

  • সকল নিবন্ধনকারী কমকর্তা প্রতি বৎসর জানুয়ারি মাসের প্রারম্ভে নির্ধারিত (ফরম নং ১৬ ও ১৭ ,পরিশিষ্ট৫) (১) প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসহ ,যদি খাকে,নিবন্ধন আিইনের ধারা ৮৫ এর অধীনে বিনষ্টযোগ্য দাবিবিহীন দলিলের তালিকা এবং (২) সংবিধিবদ্ধ আদেশ্যক নং ১০ (২)এর অধীন বিনষ্টযোগ্য বহি রেজিস্টার কিংবা অন্যান্য রেকর্ডপত্রের তালিকা প্রস্তুত করিবেন। উক্ত তালিকার দাপ্তরিক –প্রতিলিপি বাধানা ভলিয়মে প্রস্তুত করিতে হহবে
  • যদি সরকার কর্তৃক বা ;সরকারের অনুকূলে সম্পাদিত কোন দলিল খাকে, তবে নিবন্ধনকারী কমকর্তা দলিলটি তালিকাভূক্ত করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট কমকর্তার নিকট যাচাই করিয়া লইবেন যে ,দলিলটি আদৌ সরকারের আবশ্যক কিনা । এই অনুসন্ধানের জবাব উক্ত তালিকা দলিলটির ভুক্তির বিপরীত লিপিবদ্ধ করিতে হবে।
  • যদি দাখিলকারী দলিলটি ফেরত গ্রহণের দাবি করিয়া বকেয়া ফিস (যদি থাকে )পরিশোধ করিবার জন্য  এক মাসের মধ্যে উপস্থিত না হন, তবে উহা বিনষ্ট করা হইবে মর্মে দাবিবিহীন দলিলের তালিকার অনুলিপিসহ একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গাইল রাখিতে হইবে ।এই বিজ্ঞপ্তি অনুচে্ছদ ১৯৫ এর দফা (৮) এ নির্ধারিত সাধারণ বিজ্ঞপ্তির অতিরিক্ত।
  • নিবন্ধনকারী কমকর্তাগণ প্রতি বৎসর ৩১ শে জানুয়ারী বা উহার পূর্বে উক্তরুপ তালিকা জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবেন। বহিসমূহের তালিকায় লিপিবদ্ধ রেকর্ডপত্রসমূহের-তালিকা নম্বর   তালিকাটির(ফরম নং ১৭,পরিশিষ্ট৫) ৩ নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হবে।
  • জেলা রেজিস্ট্রার তাহার নিজ কার্যালয়ের এবং অধীনস্থ কার্যালয় সমূহের তালিকাগুলি পরীক্ষান্তে জেলার জন্য একটি একীভুত তালিকা প্রস্তুত করিবন এবং ২৮শে ফেরুয়ারি বা উহার পূর্বে তালিকাভুক্ত দলিল ও রেকর্ডপত্র বিনষ্টকরণের অনুমোদনরজন্য মহা-পরিদর্শক,নিবন্ধনের নিকট দাথিল করিবেন।
  • সংবিধিবদ্ধ আদেশ নং ১০(১) এর অধীন মহা-পরিদর্শক ,নিবন্ধনের অনুমোদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে (দাবিবিহীন দলিলের ক্ষেত্রে উপরে উপ-অনুচ্ছেদ‘গ’ এ নির্ধারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের একমাস অতিক্রান্ত হইবার পর,এই শর্তে) জেলা রেজিস্ট্রার বা ক্ষেত্রমত ,কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত  সাব-রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে দলিল এবং রেকর্ডপত্রাদি বিনষ্ট করিতে হইবে ।সাব-রেজিস্ট্রার রেকর্ড বিনষ্ট্রকরণের তারিখটি জেলা রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবেন এবং তিনি রেজিস্ট্রারসমূহেন বিধি ১৪ এর অধীন আবশ্যকীয় ভুক্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করিবেন।
  • নিবন্ধনকারী কমকর্তাগণ কর্তৃক তালিকা প্রস্তুত করণের কাজটি গতানুগতিক কাজ হিসাবে গন্য করা যাইবে না।তাহারা সতর্কতার পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তালিকাটি পরীক্ষা করিবেন এবং লক্ষ্য রাখিবেন যাহাতে বিনষ্টযোগ্য নহে বা নির্ধারিত কাল ‍উত্তীণ হয় নাই এইরুপে কোন দলিল বা রেকর্ডপত্র তালিকায় অন্তভুক্ত না হয় ।
  •  ছুটি সংক্রান্ত বিষয়টি বিনষ্টের প্রস্তাবকালে [সরকারি প্রজ্ঞাপন নং ১৯৪ –রেজিঃ তারিখ ১৭-৩-১৯৩৬ খ্রি এবং সংবিধিবদ্ধ আদের্শের ১০(২) নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ৩ বৎসরের জন্য সংরক্ষণযোগ্য রেকর্ডপত্রের তালিকা ৩৫ নং দফা অনুসারে] নিবন্ধনকারী –কমকর্তাগণ এই মর্মে প্রত্যায়ন করিবেন যে, প্রতিটি ছুটির কাল এবং প্রকার চাকরির খতিয়ান বহিতে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে ।
  • পত্র যোগাযোগের প্রাপ্তি এবং প্রেরণ রেজিস্টার ১২ বৎসর পর বিনষ্ট করা যাইবে,তবে শর্তে এই যে,সূচিবহিতে প্রতিটি ‘ক’ শ্রেণির কাগজের নম্বর, তারিখ ও ঠিকানা অর্থাৎ‘‘যাহার নিকট হইতে প্রাপ্ত ’’ বা ক্ষেত্রমত ,কাহার নিকট প্রেরিত ’’ ইত্যাদি বিষয় প্রদর্শন করিয়া প্রয়োজনীয় টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  • সম্ভাব্য খরচের বিষয়াদির (সরকারী প্রজ্ঞাপনের পরোক্ষভাবে উল্লেখিত ৩ বৎসরের জন্য সংরক্ষনীয় রেকর্ডপত্রের তালিকার ১৯ নং দফার ) মধ্যে বহি বাঁধাই,ভবনাদি মেরামত,আসবাবপত্র এবং রেকর্ডরুমে র‌্যাক সরবরাহ ইত্যাদি বিসয় অন্তভুক্ত বলিয়া ব্যাখ্যা করা যাইবে না , কারণ উহার জন্য পৃথক সংস্থান রহিয়াছে ।

২৬। বহি বা নথির অংশবিশেষ বিনষ্ট করা যাইবে না। সংরক্ষনের সময় গণনা।-

  • রেকর্ডপত্র বিনষ্টের তালিকা দাখিল করিবার সময় কোন বহির অংশবিশেষ বিনষ্টের প্রস্তাব করা যাইবে না ।
  • একটি বহিতে শেষ ভুক্তির তারিখের বরাতে ‍উহার সংরক্ষনের সময় গণনা করিতে হইবে।

২৭।  রেকর্ড বিনষ্টকরনের প্রত্যায়নপত্র।- নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক বিনষ্টকৃত দলিল ও রেকর্ডপত্রের তালিকার দাপ্তরিক কপিতে (বিধি ১১ এবং ১২ এর অধীনে যে তালিকা স্থায়ীভাবে সংরক্ষনযোগ্য উহাতে ) উহাতে এই মর্মে একটি প্রত্যায়নপত্র লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।উক্ত রেকর্ড তাহার সম্মুখে কার্যকরভাবে বিনষ্ট করা হইয়াছে ।তালিকা বহিতে বিনষ্টকৃত রেকর্ডসমূহের ভুক্তির বিপরীতে নিবন্ধনকারী কমকর্তার অনুস্বাক্ষরে বিনষ্টকরণের বিষয়ে একটি টিকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২৮। অগ্রাহ্যকৃত দলিল বিনষ্ট করিবার বিষয়ে ২ নং বহিতে টিকা লিপিবদ্ধকরণ।– দুই বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর ধারা ৮৫ এর অধীন দাবিবিহীন অগ্রাহ্যকৃত দলিল বিনষ্ট করিবার ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে ২ নং বহির যে স্থানে অগ্রাহ্যের আদেশ লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে সেইস্থানে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।

অধ্যায় ২

রেজিস্টার বহি ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র প্রমানীকরণ

২৯। ম্যাপ, প্লান বা নকলের বিষয়ে রেজিস্টার বহিতে প্রত্যায়ন প্রদান।–

  •  রেজিস্টার বহিতে ম্যাপ বা প্লান থাকিবে উহাদের মোট সংখ্যাসহ উহারা যে পৃষ্ঠার সংযুক্ত রহিয়াছে সেই পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ রেজিস্টার বহির প্রথম পৃষ্ঠার লিখিত অংশের শীর্ষে বিধি ১৫ অনুসারে প্রদয়  প্রত্যায়নপত্রের সহিত তদতিরিক্ত প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে ।
  • কোন রেজিস্টার বহি একধিক বৎসর চলমান থাকিলে বিধি ১৫ অনুসারে প্রদেয় প্রত্যায়নপত্রের প্রত্যেক বৎসরের প্রতিলিপির সংখ্যা পৃথকভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে।

৩০। রেজিস্টার বহি দৈনিক স্বাক্ষরকরণ ও দায়িত্ব অর্পণকালে উহা পরীক্ষাকরণ ।-

  • নিবন্ধনকারী কমকর্তা রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ রেকর্ড প্রত্যায়িত না হওয়া পর্যন্ত কোন দলিল ফেরত দেওয়া যাইবে না ।অধিকন্তু,কার্যালয়ের পদাধিকারে প্রত্যেকবার পরিবর্তনের সময় রেজিস্টার বহিসমূহ পরীক্ষা করা দায়িত্ব অর্পনকারী ও গ্রহনকারী উভয় কমকর্তার কর্তব্য হিসাবে বিবেচিত হইবে লক্ষ্য রাখিতে হইবে যে,বিধি ১৬ এবং ৬৮ তে নিহিত বিধান অনুযারী সকল ভুক্তিসমূহ যথাযথভা্বে হালনাগাদ প্রত্যায়ন করা হইয়াছে কিনা মহা-পরিদর্শন,নিবন্ধন রবাবরে দাখিলকৃত দায়িত্বঅর্পন প্রতিবেদনে এই মর্মে একটি টীকা সংযুক্ত করিতে হইবে ।
  • রেজিস্টার বহির ক্রটি সংশোধন।- কোন পুরাতন রেজিস্টার বহিতে রেকর্ডভুক্ত দলিলের নকল প্রত্যায়নের বিষয়ে এবং ভৃল –ভ্রন্তি ও পঙক্তির মধ্যবর্তী লিখন সত্যায়নের বিষয়ে ক্রটি পাওয়া গেলে অনিয়সমূহ সংশোধন এবং পড়া বিষয় সরবরাহ করিবার জন্য পদক্ষেণ গ্রহণ করিতে হইবে ।যে নিবন্ধনকারী কমকর্তার পদাধিকারকালে রেজিস্টার বহিসমূহ লিখিত হইয়াছিল ,তিনি ব্যতীত অন্য কাহারও দ্বারা ক্রটিসমূহ উদঘাটন করা হইয়া থাকিলে তিনি প্রয়োজনীয় আদেশ প্রার্থনা করিয়া জেলা রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অবহিত করাইবেন । রেজিস্ট্রার ত্রুটিসমূহের জন্য দায়ী নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে নিজ খরচে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গমনকরত ত্রুটিসমূহ সংশোধন করিবার জন্য নিদের্শ প্রদান করিতে পারিবেন ।যদি ক্রটিসমূহের জন্য দায়ী নিবন্ধনকারী কমকর্তাকে পাওয়া না যায় ,তবে, রেজিস্ট্রার বর্তমানে দায়িত্বরত নিবন্ধনকারী কমকর্তাকে ক্রটিসমূহ যথাসম্ভব সংশোধন করিয়া সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার-বহির প্রথম পৃষ্ঠায় নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবার জন্য পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন: ‘‘এই রেজিস্টার বহির /বহির …. পৃষ্ঠার তৎকালীন নিবন্ধনকারী কমকর্তার স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর না থাকায় জেলা রেজিস্ট্রারের …. তারিখের …. নং স্মারকাদেশ নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক অদ্য উক্ত বিচ্যুত স্বাক্ষর /অনুস্বাক্ষর সরবরাহ করা হইল ।নিবন্ধনকারী কমকর্তা’’ এই প্রত্যায়নটি নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে।
  • প্রতিটি সমাপ্তকৃত রেজিস্টার বহি সতকর্তার সহিত পরীক্ষিত হইবে এবং নিরাপদ সংরক্ষনের জন্য সদর কার্যালয়ে স্থানান্তরের পূর্বে ইহার সকল সংশোধনী নিবন্ধনকরী কমকর্তা কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইবে। রেজিস্ট্রার যখন রেকর্ডরুমের কর্মচারীগণের দ্বারা রেজিস্টার বহিসমূহ পরীক্ষা করাইবেন তখন। তাহারা তাহাদের পরীক্ষার ফলাফল এতদুদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিস্টার বহির ভুক্তিসমূহের অনুসন্ধান রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন। এইরূপে চিহ্নিত ত্রুটিসমূহ উক্ত ৩০(খ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত পদ্ধতিতে সংশাধোন করিতে হইবে।।

বিঃ দ্রঃ- “স্বাক্ষর”, “স্বাক্ষর করা” বা “স্বাক্ষরিত” এই শব্দসমষ্টি যখনই এই ম্যানুয়ালের কোথাও দৃষ্ট হইবে। তখনই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সচরাচর যেভাবে তাহার নাম স্বাক্ষর করিয়া থাকেন উহাকে “পূর্ণস্বাক্ষর” রূপে ধরিয়া লইতে হইবে। স্বাক্ষর প্রদানকালে অবশ্যই তারিখ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৩১। টিপছাপ বহিতে সমাপ্তির প্রত্যায়ন।- টিপছাপ বহিসমূহ সমাপ্ত হওয়ার পর উহাতে নিম্নের নমুনা অনুসারে একটি পৃথক প্রত্যায়ন সংযোজন করিতে হইবে।

“প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, এই বহিতে … টি টিপছাপ আছে” – যাহা টিপছাপ বহির প্রথম পৃষ্ঠার শীর্ষে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এই প্রত্যায়ন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে।

৩২। ফি বহি এবং ক্যাশবহিতে প্রত্যায়ন।- বিধি ১৫ এ নির্ধারিত প্রত্যায়ন কেবলমাত্র রেজিস্টার বহিতেই প্রদত্ত হইবে না অধিকন্তু খোলার সময় এবং সমাপ্ত করিবার সময় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনক্রমে অন্যান্য সকল বহি এবং রেজিস্টারেও প্রদান করিতে হইবে।

অধ্যায় ৩

যে সকল ভাষা বিভিন্ন জেলায় সাধারণভাবে প্রচলিত বলিয়া গণ্য হইবে

৩৩। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অপরিচিত ভাষায় লিখিত দলিল।- জেলায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় না এবং নিবন্ধন আইনের ধারা ১৯ এর অধীন যে দলিলে লিখিত ভাষা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট পরিচিত নহে, উহার একটি যথার্থ অনুবাদ এবং মূল দলিলের অবিকল নকল ব্যতীত দাখিল করা হইলে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে। বিধি ১৮ উল্লিখিত ধারায় বর্ণিত উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভিন্ন জেলায়। কোন কোন ভাষা সাধারণভাবে প্রচলিত বলিয়া বিবেচিত হইবে উহা নির্দেশ করে। অতএব, যেক্ষেত্রে | জেলায় প্রচলিত বলিয়া বিবেচিত কোন ভাষায় লিখিত, কিন্তু যাহার সম্পর্কে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কোন জ্ঞান নাই এইরূপ কোন দলিল সঠিক ইংরেজি অনুবাদ ব্যতীত নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়। সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উহার নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন না, বরং তিনি মূল দলিলের একটি অবিকল নকল পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষকে অনুরােধ করিবেন, এবং হয় তাহার নিকট হইতে যথাযথভাবে প্রত্যায়িত একটি ইংরেজি অনুবাদ গ্রহণ করিবেন যাহার জন্য ফিসের তালিকা অনুযায়ী কোন ফিস ধার্য করা হইবে না, অথবা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হইতে এইরূপ একটি অনুবাদ সংগ্রহকরত দলিলটি নিবন্ধনের দিন উহার বিষয়বস্তু তাহার নিকট ব্যাখ্যা করিয়া অনুবাদটির উপর এই মর্মে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন যে, তিনি এইরূপ করিয়াছেন। কেবল যেক্ষেত্রে দলিলটি জেলায়। প্রচলিত সাধারণ ভাষায় লিখিত নহে এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বোধগম্য নহে, এইরূপ যথার্থ অনুবাদ ও অবিকল নকল ব্যতীত দাখিল করা হয়, সেইক্ষেত্রে দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে, এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ধারা ৬২ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন।

অধ্যায় ৪

আঞ্চলিক বিভাগসমূহ

৩৪। দলিলে আঞ্চলিক বিভাগ উল্লেখে স্থাবর সম্পত্তির সঠিক ও যথাযথ বর্ণনা।- নিবন্ধনের জন্য গৃহীত দলিলসমূহে স্থাবর সম্পত্তি স্থাবর সম্পত্তি সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে যাহাতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ না থাকে তাহার জন্য ধারা ২১, বিধি ১৯ এবং সংবিধিবদ্ধ আদেশের অনুচ্ছেদ এর নির্দেশ মোতাবেক যথাযথভাবে এবং পর্যাপ্তরূপে বর্ণিত হইয়াছে কিনা তদ্বিষয়ে নিবন্ধনকার সজাগ দৃষ্টি রাখিতে হইবে।

যেক্ষেত্রে নিবন্ধনের জন্য দাখিলকত কোন দলিলে সম্পত্তির বিবরণ অপর্যাপ্ত বলিয়া দৃষ্ট হয়, সেইক্ষেত্রে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বিধি ২১ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন।

অধ্যায় ৫

নিবন্ধনের জন্য দলিল গ্রহণ-পূর্ব প্রক্রিয়া

৩৫। নিবন্ধনের জন্য দাখিল করিবার উদ্দেশ্যে দলিল লিখন।- নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত সকল পাশ কালি দ্বারা লিখিত, চামড়া সদৃশ, পার্চমেন্ট বা উদ্ভিজ্জ কাগজে লিখিত হইবে, যাহা ফুলস্কেপ কাগজের এক পার্শ্বের অর্ধেক শিটের কম নহে এমন পরিমাণ খালি জায়গা ধারণ করিবে অথবা এইরূপ খালি জায়গাসহ একটি কভারিং স্লিপে যুক্ত থাকিবে।

৩৬। ভিন্ন কালি, ইত্যাদি দ্বারা লিখিত দলিলে কৈফিয়ত।- যখন আংশিক বিভিন্ন কালি, কলম বা হস্তলিখিত কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, তখন বিষয়টি দলিলের পাদদেশে লিপিবদ্ধ। করিয়া স্বাক্ষর প্রদান করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দাখিলকারীকে পরামর্শ দিবেন। যদি দাখিলকারী উক্ত পরামর্শ পালনে অস্বীকার করেন তবে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা রেজিস্টার বহিতে ইহার নকলের স্থানে নিবন্ধন আইনের ধারা ২০ অনুসারে টীকা লিখিবার জন্য সংরক্ষিত মার্জিনে এতদ্বিষয়ে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন।

৩৭। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বাসভবনে দলিল গ্রহণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত বাসভবনে নিবন্ধনের জন্য দলিল গ্রহণ করা অবৈধ।

৩৮। দলিল দাখিল গ্রহণে অস্বীকারকরণের ক্ষেত্রে মহিলা, বয়স্ক বা পীড়িত ব্যক্তিগণের বিষয়ে। বিবেচনা করা।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ মহিলা, বয়স্ক, পীড়িত বা দূরবর্তী এলাকা হইতে আগত ব্যক্তিদের দ্বারা দিনের নির্ধারিত সময়ের শেষভাগে দাখিলকৃত দলিল গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিবার ক্ষেত্রে তাহাদের স্বীয় বিবেচনা প্রয়োগ করিবেন।

৩৯। সময়াভাবে ফেরত প্রদত্ত দলিলে টীকা লিপিবদ্ধকরণ।- যদি সাব-রেজিস্ট্রার কোনদিন সময়াভাবে। দলিল গ্রহণ করিতে অসমর্থ হন, তাহা হইলে তিনি দলিলটিতে পেন্সিল দ্বারা এই বিষয়ে তারিখসহ তাহার অনুস্বাক্ষরে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন যাহাতে পরবর্তীতে দাখিলকারী উপস্থিত হইলে তিনি দলিলটি প্রথমেই গ্রহণ করিতে পারেন। অবশ্য দাখিল করিবার নির্ধারিত সময়ের পর দাখিলকত দলিলের ক্ষেত্রে এইরূপ কোন টীকা লিপিবদ্ধ করিবার প্রয়োজন নাই। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এইরুপ ফেরত প্রদত্ত মোট দলিলের সংখ্যা তাহার দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিবেন।

৪০। যথাযথরূপে স্ট্যাম্পযুক্ত নহে বা প্রত্যায়িত নহে এমন দলিল নিবন্ধন করা যাইবে না।-

  • স্ট্যাম্প আইনের ধারা ৩৫ এর অধীন শুল্ক ধার্যযোগ্য কোন দলিল যথাযথরূপে স্ট্যাম্পযুক্ত না হইলে। উহা নিবন্ধন বা প্রমাণীকরণ করা যাইবে না। সম্পাদনের সময় যথাযথরূপে স্ট্যাম্পযুক্ত নহে এইরূপ। দলিল কেবলমাত্র উহাতে স্ট্যাম্প আইনের ধারা ৩২(৩) বা ধারা ৪২(১) অনুসারে নির্ধারিত প্রত্যয়নপত্র থাকিলেই নিবন্ধন করা যাইবে।।
  • যদি ত্রিশ পয়সা বা ষাট পয়সা শুল্ক আদায়যোগ্য কোন দলিল বা কোন বিনিময় বিল বা প্রমিসরি নোট যথাযথভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত নহে এমন কোন কাগজে প্রস্তুতপূর্বক দাখিল করা হয়, তাহা হইলে উহা নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইবে না, তবে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, উপযুক্ত মনে করিলে স্ট্যাম্প আইনের ধারা ৬৪ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উহা কালেক্টর বরাবরে প্রেরণ করিতে পারিবেন।।
  • কোন দলিলের দাখিলকারী বা সম্পাদনকারীর নাম স্ট্যাম্প বিক্রেতার প্রত্যায়নপত্রে না থাকিবার কারণে স্ট্যাম্পটি অবৈধভাবে প্রাপ্ত বা দলিলটি যথাযথভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত নহে মর্মে ধারণা পোষণ করা যুক্তিযুক্ত নহে। সেইহেতু, স্ট্যাম্প আইনের ধারা ৩৫ এর বিধানসমূহ এইরূপ দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োগের বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে বারিত করে না। অধিকন্তু নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, উপযুক্ত মনে করিলে, এইরূপ ঘটনা কালেক্টরকে অবহিত করিতে পারিবেন।
  • নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিল দ্বারা সূচিত সম্পত্তির মূল্য পরীক্ষাকরণের জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ আইনত দায়ী নহেন।- স্ট্যাম্প আইনের অধীন, কোন দলিলে ঘোষিত পণের টাকার উপর প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে মূল্যানুসারে শুল্ক প্রদেয়। অতএব, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণের কর্তব্য হইল। লক্ষ্য রাখা যে, দলিলটি উপযুক্ত বর্ণনার স্ট্যাম্প দ্বারা স্ট্যাম্পযুক্ত হইয়াছে যাহার মূল্য দলিলে উল্লিখিত পণের টাকাকে সংকুলান করিতে যথেষ্ট। যদি ইহা তাহার গোচরীভূত হয় যে, যথাযথ শুল্ক পরিশোধ পরিহার করিবার জন্য পণ অপর্যাপ্তভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে বা স্ট্যাম্প আইনের ২৭ ধারার অধীন। আবশ্যক কোন দলিলের শুল্ক ধার্যযোগ্যতাকে প্রভাবিত করে এমন বিষয় বা অবস্থা সম্পূর্ণরূপে বা সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উহা আটক করিতে পারিবেন না, কিন্তু কালেক্টরের বিবেচনামত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য বিষয়টি তাহাকে (কালেক্টরকে) অবহিত করিতে হইবে।

৪১। স্ট্যাম্প শুল্ক সম্পর্কিত পরামর্শ।- যদি কোন দলিলের সম্পাদনকারী বা গ্রহীতা দলিলটিতে। ধার্যযোগ্য সঠিক স্ট্যাম্প শুল্কের বিষয়ে নিশ্চিত না হন এবং দলিলটি নিয়মানুসারে দাখিল করিবার পূর্বে এই বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সহিত পরামর্শ করেন, তবে দলিলটি আটক (Impound) না করিয়া তাহাকে প্রয়ােজনীয় তথ্য প্রদান করা যাইতে পারে। একই সঙ্গে উক্ত ব্যক্তির নিকট ব্যাখ্যা করা। যাইতে পারে যে, যদি তিনি প্রামাণ্য মতামত চাহেন, তাহা হইলে তিনি স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ (১৮৯৯ সনের ২ নং আইন) এর ধারা ৩১ এর অধীন কালেক্টরের নিকট সিদ্ধান্ত চাহিয়া আবেদন করিতে। পারিবেন। কিন্তু অপর্যাপ্ত স্ট্যাম্পসহ কোন দলিল নিয়মানুসারে দাখিল করা হইলে উহা অবশ্যই আটক করিতে হইবে।

৪২। দলিল নিবন্ধীকরণে আপত্তি (Objection)।- আইন ও বিধির অধীন দলিলসমূহের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করা স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কর্তব্য। অতএব, নিবন্ধীকরণে আপত্তি। বিবেচনায় নেওয়া হইবে না তবে, যদি আপত্তির আবেদনপত্র দাখিল করা হইয়া থাকে তাহা হইলে, উহাতে ‘আপত্তিকারী যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন, সেইরূপ আইনসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন মর্মে পৃষ্ঠাঙ্কনসহ উক্ত আবেদনপত্র ফেরত প্রদান করিতে হইবে।

৪৩। সম্পাদনকারী এবং লেখক কর্তৃক দলিল সত্যায়ন।-

  • দলিলের প্রতিটি পৃষ্ঠা সম্পাদনকারী পক্ষের স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর দ্বারা সত্যায়িত হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং লেখককেও শেষ পৃষ্ঠার প্রান্তভাগে তাহার নাম স্বাক্ষর করিতে হইবে এবং আবাসস্থলের বিবরণ প্রদান করিতে হইবে।
  • নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যে সকল সম্পাদনকারী লিখিতে ও পড়িতে পারেন না তাহাদিগকে এই মর্মে উপদেশ দিবেন যে, তাহারা যেন দলিল লিখক বা সাক্ষীগণের দ্বারা দলিলটি ব্যাখ্যাপূর্বক বুঝিয়া নেন। দলিল লিখক বা সাক্ষী দলিলে নিমরূপ প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন: “ হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মূল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিল মুসাবিদা করিয়াছি/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগণকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি। দলিলটি ফর্দে লিখিত।

কখ
লেখক বা সাক্ষী”

যাহা হউক, এইরূপ প্রত্যায়নপত্রের অবর্তমানে কোন দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা যাইবে না এবং তাহা উচিতও হইবে না।

৪৪। দলিলের নিবন্ধনযোগ্যতার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কর্তব্য নহে।- কোন দলিলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক বা ঐচ্ছিক কিনা এই বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কর্তব্য নহে।

৪৫। সাক্ষীগণ কর্তৃক প্রতিপাদনের বিষয়ে দলিল পরীক্ষাকরণ।- যে আইন একটি দলিলের সম্পাদন নিয়ন্ত্রণ করে সেই আইনের বিধান অনুসারে আবশ্যক সাক্ষীগণ কর্তৃক দলিল-প্রতিপাদন প্রকৃতই সম্পন্ন। হইয়াছে কিনা তাহা পরীক্ষা করা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কর্তব্যের অংশ নহে।

৪৬। আংশিক উইল এবং আংশিক উইল ব্যতীত অন্য প্রকারের দলিল সম্পর্কে পরামর্শ ।- আংশিক উইল এবং আংশিক উইল ব্যতীত অন্য প্রকার দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইলে প্রত্যেক শ্রেণির একটি করিয়া ভিন্ন দুইটি দলিল সম্পাদন করিবার পরামর্শসহ দলিলটি দাখিলকারীর নিকট। ফেরত দিতে হইবে। এতৎসত্ত্বেও যদি দাখিলকারী দলিলটি গ্রহণ ও নিবন্ধন করিবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরােধ করেন, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উইল ব্যতীত অন্য প্রকার অংশের ক্ষেত্রে। এখতিয়ার থাকা সাপেক্ষে এইরূপ দলিলের প্রত্যেক অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফিস ধার্যপুর্বক বহি নং ১ ও বহি নং ৩, উভয় রেজিস্টারে, উক্ত দলিল নিবন্ধন করিবেন।

৪৭। দলিলের প্রতিলিপির অমিল সমন্বয়করণ।- যেক্ষেত্রে কোন দলিল দ্বিলিপি বা ত্রিলিপিসহ নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ২য় বা ৩য় প্রতিরিপিকে দ্বিলিপি বা ত্রিলিপি হিসাবে গণ্য করিবেন যদি উহারা মূল দলিলের অনুরূপ যথাযথ পুনঃপ্রস্তুতকৃত এবং একই তারিখযুক্ত হয়। যদি কোন অমিল ধরা পড়ে, তাহা হইলে দলিলটি নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হওয়ার পূর্বে দাখিলকারীকে উক্ত অমিল সমন্বয় করিতে হইবে। যদি মূল দলিলে ম্যাপ বা নকশা থাকে, তাহা হইলে। দ্বিলিপি বা ত্রিলিপির সহিত ইহার একটি প্রতিলিপি সংযুক্ত করিতে হইবে।

কোন দলিলের প্রতিপত্র ইহার মূল দলিলের অনুরূপ একই তারিখযুক্ত হওয়ার আবশ্যকতা নাই।

৪৮। গ্ৰহণ করিবার পূর্বে দলিল পরীক্ষাকরণ।- নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি দলিল গ্রহণ করিবার পূর্বে পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইতে হইবে যে, দাখিলকারী পক্ষের দলিল দাখিল করিবার অধিকার রহিয়াছে। এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার উহা নিবন্ধনের কর্তৃত্ব রহিয়াছে। অধিক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে দলিলসমূহকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যাইতে পারে, যথা:

  • ধারা ২৮(১) এ বর্ণিত উইল ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত অন্য প্রকার দলিল;
  • উইল এবং দত্তক গ্রহণের ক্ষমতাপত্র;
  • আদালতের রায় এবং আদেশের নকল; এবং
  • অন্যান্য সর্বপ্রকার দলিল

উল্লিখিত দলিলসমূহ সম্পর্কে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে:

  • প্রথম শ্রেণিতে উল্লিখিত দলিল কেবলমাত্র যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অধিক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বৃহত্তর অংশ অবস্থিত উক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইতে পারে।
  • দ্বিতীয় শ্রেণিতে উল্লিখিত দলিল যে কোন কার্যালয়ে নিবন্ধন করা যাইতে পারে।
  • স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত রায় বা আদেশের নকলের ক্ষেত্রে রায় প্রদানকারী মূল আদালত যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অধিক্ষেত্রে অবস্থিত সেই কর্মকর্তা কর্তক, বা যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অধিক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত সেই কর্মকর্তা কর্তৃক নিবন্ধন করিবার বিষয়টি ইচ্ছাধীন। যদি ইহা স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত না হয়, তাহা হইলে রায় বা আদেশের অধীন সকল গ্রহীতাগণ সরকারের অধীনস্থ যে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিবন্ধন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিবেন, সেই কার্যালয়ে উহা নিবন্ধন করা যাইতে পারে।
  • চতুর্থ শ্রেণিতে উল্লিখিত দলিল যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অধিক্ষেত্রে সম্পাদিত হইয়াছে, সেই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অথবা সরকারের অধীনস্থ অন্য যে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেখানে সকল সম্পাদনকারী ও গ্রহীতাগণ নিবন্ধন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিবেন, সেই কার্যালয়ে নিবন্ধন করা যাইতে পারে।
  • জেলা রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে দলিল গ্রহণ।- (বাতিল)।
  • আংশিক সম্পত্তি বাংলাদেশে অবস্থিত দলিলের নিবন্ধন।- যেক্ষেত্রে একটি দলিলে অন্তর্ভুক্ত। সম্পত্তি আংশিক বাংলাদেশে এবং আংশিক বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে। জেলায় বা থানায় আংশিক সম্পত্তি অবস্থিত সেই জেলায় বা থানায় এইরূপ দলিল নিবন্ধন করা। যাইবে। কিন্তু এইরূপ ক্ষেত্রে নিবন্ধনের প্রত্যায়নে এই মর্মে টীকা প্রদর্শিত হইতে হইবে যে, সম্পত্তির যে অংশ এই আইনের অধীন প্রযোজ্য উক্ত অংশের জন্য নিবন্ধন কার্যকর হইয়াছে। বাংলাদেশের। বাহিবে বা এই আইন যেখানে বলবৎ নহে, সেখানে কোন নকল বা স্মারকলিপি প্রেরণের প্রয়োজন নাই।
  • আংশিক পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত সম্পত্তির দানপত্র, বিক্রয় বা বন্ধকী দলিল গ্রহণ না করা। যেক্ষেত্রে কোন দানপত্র, বিক্রয় বা বন্ধকী দলিলে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তির আংশিক পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত সেইক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশাসনের জন্য বিদ্যমান বিধি-বিধানের অধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা। প্রশাসকের নিকট হইতে হস্তান্তর কার্যকর করিবার জন্য লিখিত অনুমতি সংযুক্ত না হওয়া পর বাংলাদেশে কোন সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট উক্ত দলিল নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইবে না।

৪৯। প্রতিনিধি, মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্ট কর্তক দাখিলকরণ।- কোন দলিল যদি কোন প্রতিনিধি মনোনীত ব্যক্তি দ্বারা দাখিল করা হয়, তাহা হইলে তাহাকে তাহার আইনানুগ পদমর্যাদার বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে সন্তুষ্ট করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে এজেন্ট কতৃক তাহাকে অবশ্যই নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এ নির্ধারিতরূপে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি উপস্থাপন করিতে হইবে। কিন্তু পাওয়ারদাতা কর্তক তাহার পক্ষে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এজেন্ট কর্তৃক সম্পাদিত দলিল এবং পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত ও তাহার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিল- এই দুইয়ের মধ্যে যাহাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে। একজন এজেন্ট যিনি কোন দলিলের প্রকৃত সম্পাদনকারী, তাহার। দলিল সম্পাদন করা বা দলিলের অন্তর্গত সম্পত্তি লেনদেন করা সম্পর্কে তাহার ক্ষমতার বিষয়ে। নিশ্চিত হওয়া নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার কর্তব্যের অংশ নহে। নিবন্ধনকারী কর্মকতা এইরূপ ক্ষমতার কোন নিশ্চিত প্রমাণ রেকর্ডভক্ত করেন না। তাহার কাজ হইল, যে ব্যক্তি দলিলটি সম্পাদন করিতে অভিপ্রেত তিনি বাস্তবিক উহা করিয়াছেন কিনা, তদ্বিষয়ে লক্ষ্য রাখা। তিনটি সম্ভাব্য ঘটনার উদ্ভব হইতে পারে, যথা

  • যেক্ষেত্রে প্রকৃত সম্পাদনকারী হাজির হন;
  • যেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি হাজির হন; এবং
  • যেক্ষেত্রে সম্পাদনকারীর এজেন্ট হাজির হন।

প্রথম ক্ষেত্রে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ব্যক্তি সম্পাদন স্বীকার করেন বা করেন না কেবলমাত্র। সেই সম্পর্কে এবং তাহার পরিচিতির বিষয়ে নিশ্চিত হইবেন। সম্পাদনকারী কোন ক্ষমতাবলে। দলিলটিতে স্বাক্ষর প্রদান করিয়াছেন সেই বিষয়ে তাহার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নাই।

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তির এইরূপে হাজির হওয়ার এবং সম্পাদন স্বীকার করিবার অধিকারের বিষয়ে নিশ্চিত হইবেন।

তৃতীয় ক্ষেত্রে, তাহাকে কেবলমাত্র লক্ষ্য রাখিতে হইবে যে, যে ব্যক্তি এজেন্ট হিসাবে উপস্থিত হইয়াছেন, তিনি ধারা ৩৩ এর বিধান অনুসারে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কিনা এবং সম্পাদন স্বীকার করিয়া পাওয়ারদাতা অর্থাৎ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সম্পাদনকারীকে আবদ্ধ করেন কিনা।

৫০। সরকারি কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিগণের নিবন্ধন কার্যালয়ে হাজির হওয়ার। আবশ্যকতা নাই।- (ক) (১) আইনের ধারা ৮৮(১) অনুসারে সুনির্দিষ্ট কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কোন সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিকে তাহার সরকারি পদ মর্যাদায় তাহার দ্বারা সম্পাদিত কোন দলিলের নিবন্ধনের সহিত সম্পৃক্ত কোন কার্য প্রসঙ্গে বা ধারা ৫৮ এ বর্ণিত মতে স্বাক্ষর প্রদানের জন্য। কোন নিবন্ধন কার্যালয়ে, ব্যক্তিগতভাবে বা এজেন্টের মাধ্যমে, হাজির হওয়ার আবশ্যকতা নাই।

(২) এগ্রিকালচারাল ডেটরস অ্যাক্ট, ১৯৩৫ এর ধারা ২৫ এর অধীন স্বাক্ষরিত মিমাংসাপত্র। (Award) বা ধারা ২১ বা ধারা ২২ এর উপধারা (৫) এর অধীন প্রদত্ত সার্টিফিকেট ধারা। ৪৭ এর উপধারা (১) অনুসারে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে উক্ত আইনের অধীন কোন বোর্ডের। সভাপতি নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৮৮ এর অধীন এইরূপ দলিল সম্পাদন কবিতার ক্ষমতা সম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে বিবেচিত হইবেন।

(৩) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং সচিব নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে ব্যক্তিগত হাজিরা হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত।

(8) সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এর ধারা ৭৭ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক কিংবা প্রাথমিক বা জাতীয় সমবায় সমিতির কোন সদস্য বা কর্মকর্তা, উল্লিখিত ব্যাংক বা সমবায় সমিতির পক্ষে দলিল সম্পাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হইলে তিনি নিবন্ধন কার্যালয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা হইতে অব্যাহতি প্রাপ্ত হইবেন, তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সম্পাদনের সঠিকতা সম্পর্কে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা মতামত গ্রহণ করিতে পারেন।

(খ) যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট এইরূপ কোন দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, তিনি ধারা ৮৮(২) এর অধীন সম্পাদনের বিষয়ে নিশ্চিত হইবেন এবং উপযুক্ত মনে করিলে, মতামত প্রদানের জন্য বিষয়টি উক্ত কর্মকর্তা বা সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন।

(গ) প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মকর্তা বা পদাধিকারীর নিকট মতামতের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা অবশ্যকরণীয় নহে, কিন্তু নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং সম্ভাব্য সর্বাধিক সুবিধাজনক উপায়ে, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরের যথার্থতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হইবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন সরকারি। কর্মকর্তা কর্তৃক ডাকযোগে বা দূত মারফত কোন দলিল তাহার দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছে এবং তিনি উহা নিবন্ধন করিতে চাহেন মর্মে অনুগমনপত্রসহ প্রেরিত হয়, তবে সাধারণভাবে উক্ত পত্রই যথেষ্ট। হইবে। ইহা ছাড়া, যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উক্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষরের সহিত পরিচিত, সেক্ষেত্রে। কোন মতামতের আবশ্যক হইবে না। যদি কোন দলিল কোন একজন গ্রহীতা বা তাহার প্রতিনিধি বা এজেন্ট দ্বারা দাখিল করা হয়, তাহা হইলে তাহার নিকট সংক্ষিপ্ত তথ্যানুসন্ধান করা যাইতে পারে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সন্তুষ্ট হওয়ার মত সুবিধাজনক কোন উপায় না থাকিলেই কেবলমাত্র বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট মতামত গ্রহণ করিবার প্রয়োজন হয়।

৫১। দাখিলকরণে বা হাজিরায় বিলম্বের জন্য এজেন্টের মাধ্যমে ব্যাখ্যা।- যেক্ষেত্রে কোন এজেন্ট একটি দলিল দাখিল করিবার জন্য বা ইহার সম্পাদন স্বীকার করিবার জন্য হাজির হন, সেইক্ষেত্রে পাওয়ারদাতার পক্ষে এজেন্টের নিকট হইতে ধারা ২৫ অনুসারে দাখিলকরণে বিলম্বের জন্য অথবা ধারা ৩৪ অনুসারে হাজিরায় বিলম্বের জন্য আবশ্যকীয় ব্যাখ্যা আহরণ করা যাইতে পারে।

অধ্যায় ৬

ভিজিট ও কমিশন

৫২। ব্যক্তিগত আবাসে দলিল গ্রহণের আবেদন।- ধারা ৩১ এর শর্তাংশ অনুসারে ব্যক্তিগত আবাসস্থলে নিবন্ধনের জন্য দলিল গ্রহণ বা, ক্ষেত্রমত সিলমােহরযুক্ত খামে উইল জমার জন্য সম্পাদনকারী বা উইলকারীর পক্ষে যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক আবেদন দাখিল করা যাইতে পারে। ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকারী বা সংশ্লিষ্ট দলিলের পক্ষগণের মধ্যে যে কেহ ভিজিট বা কমিশনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন পাওয়ারদাতার পক্ষে যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক আবেদন করা যাইবে।


৫৩। উপস্থিতির জন্য আবেদনের উপর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক টীকা লিপিবদ্ধকরণ।-

  • ব্যক্তিগত আবাসে উপস্থিতির আবেদনসমূহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং, তারিখ প্রদত্ত হওয়ার পর, ক্রমানুসারে একটি নথিতে রাখিতে হইবে।
  • উপস্থিতির মিলিত তারিখ ও সময় আবেদনের উপর লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং আবেদনকারীকে ইহা জাত করাইতে হইবে।
  • পরীক্ষাধীন ব্যক্তি পর্দানশিন মহিলা হইলে তাহার আনুমানিক বয়স আবেদনে উল্লেখ করিতে হইবে।
  • যেক্ষেত্রে উপস্থিতির স্থান পরীক্ষাধীন ব্যক্তির নিয়মিত আবাসস্থল নহে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে কেন অন্য স্থানে পরীক্ষা করিতে হইবে উহার বিস্তারিত কারণ আবেদনে বর্ণনা করিতে হইবে।
  • যেক্ষেত্রে উপস্থিতির তারিখ পরবর্তী কোন তারিখে পিছানো হয় বা ভিজিটের দরখাস্ত প্রত্যাহার করা হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ স্থগিত বা প্রত্যাহারের কারণ আবেদনে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  • নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি কোন কমিশন ইস্যু করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাহা হইলে কমিশন ইস্যুর তারিখ আবেদনে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৫৪। যেক্ষেত্রে কমিশন ইস্যু করা যাইবে।-

  • নিবন্ধন আইনের কেবলমাত্র ধারা ৩৩ এবং ধারা ৩৮ এর অধীন কমিশন ইস্যু করা যাইবে। নিজ আবাসস্থলে দলিল দাখিল বা উইল জমা করিতে ইচ্ছুক। ব্যক্তির আবাসস্থল নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার এলাকার বাহিরে অবস্থিত হইলেও ধারা ৩১ এর শর্তাংশ অনুসারে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং তথায় গমন করিবেন। ইহা বাঞ্ছনীয় যে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা অসুস্থ না হইলে এবং বিষয়টি তাহার রােগমুক্তি পর্যন্ত স্থগিত না রাখা গেলে, ধারা ৩৩ এবং ধারা ৩৮ এর অধীন প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং পরিদর্শনে যাইবেন। যেক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দাখিলকৃত কোন দলিলের সম্পাদনকারীকে পরীক্ষা করিবার জন্য কমিশন বা ভিজিটের আবেদন দাখিল করা হয় এবং যদি উক্ত ব্যক্তি অন্য উপ-জেলায় বসবাস করেন সেইক্ষেত্রে, বিধি ৩৫(১) এর শর্তাংশ। অনুসারে যে সাব-রেজিস্ট্রারের এলাকায় পরীক্ষাধীন ব্যক্তি বসবাস করেন সেই সাব-রেজিস্ট্রারের। নিকট কমিশন ইস্যু করিতে হইবে। অতএব, দেখা যাইতেছে যে, নিবন্ধন আইনের কেবলমাত্র ধারা ৩১ এর শর্তাংশের অধীন কোন সাবরেজিস্ট্রার তাহার অধিক্ষেত্রের বাহিরে ভিজিট প্রদান করিতে পারিবেন। এইরূপক্ষেত্রে, যাহা অবশ্যই অত্যন্ত বিরল, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা পক্ষকে প্রথমত সম্পাদনকারীর প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান করিয়া একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণ করাইয়া লইবার জন্য পরামর্শ দিবেন। যদি এইরূপ কোন বিরল ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে তাহার এলাকার বাহিরে গমন। করিতে হয়, তাহা হইলে তিনি অবশ্যই রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি লইবেন বা জরুরি ক্ষেত্রে কার্যালয়ে ফিরিয়া বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবেন।
  • নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ধারা ৩৩ বা ধারা ৩৮ এর অধীন ভিন্ন কর্মকর্তার নিকট কোন কমিশন। জারি করিবার সময় একই সঙ্গে দরখাস্তকারীর খরচে কমিশন বাবদ পরিশোধকৃত ভ্রমণ ভাতা (যদি থাকে) প্রেরণ করিবেন। যদি এইরূপে প্রেরিত ভ্রমণভাতা যে কার্যালয়ে কমিশন ইস্যু করা। হয় তথায় রক্ষিত দূরত্বের তালিকা মােতাবেক পরিশোধযোগ্য অর্থ অপেক্ষা পরিমাণে কম হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ কর্তৃক ঘাটতি টাকা শেষোক্ত কার্যালয়ে পরিশোধ করিতে হইবে। এই অঙ্কটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও তারিখ সহকারে দলিলে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।।

দলিলটি নিবন্ধিত ডাকযোগে কমিশন নির্বাহকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণের ও তাহার নিকট হইতে ফেরত প্রদানের খরচ বাবদ ডাক বিভাগীয় স্ট্যাম্প আবেদনকারী বহন করিবেন।

  • যেক্ষেত্রে অন্য কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত কোন কমিশন গৃহীত হয়, সেইক্ষেত্রে গ্রহণকারী কর্মকর্তা, কোন ক্রমিক নম্বর ব্যতীত, ইহা তাহার ভিজিট এবং কমিশন রেজিস্টারে লাল কালিতে লিপিবদ্ধ করিবেন।
  • (বিলুপ্ত)।

৫৫। সাধারণত কার্যালয়ের সময়- সূচির বাহিরে ব্যক্তিগত আবাসস্থলে গমন করিতে হইবে।- যাহাতে কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ ব্যাহত না হয় সেইজন্য কার্যালয়ের সময়-সূচি ব্যতীত অন্য সময়ে বা ছুটির দিনে ব্যক্তিগত আবাসস্থলে গমন করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে এইরূপ উপস্থিতি দূরবর্তী গ্রামে ভ্রমণসংশ্লিষ্ট হয়, সেইক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি হইলে কিংবা পরীক্ষাধীন ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হইলে সেই সকল ক্ষেত্র ব্যতীত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ছুটির দিন পর্যন্ত উপস্থিতি স্থগিত করিতে পারিবেন। যেক্ষেত্রে। কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ ব্যাহত না করিয়া ব্যক্তিগত উপস্থিতির ফরমায়েশ রক্ষা করা না যায়, সেইক্ষেত্রে, সম্ভব হইলে, এবং কোন আপত্তি না থাকিলে, কমিশন ইস্যু করিতে হইবে।

৫৬। কমিশন ফিস এবং ভ্রমণভাতা সংক্রান্ত ব্যয়।- (ক) নিবন্ধনযোগ্য প্রতিটি দলিলে বা পাওয়ার অব। অ্যাটর্নির সত্যায়ন করা আবশ্যক এমন প্রতিটি স্বাক্ষরের জন্য পৃথক কমিশন ফিস ধার্য করিতে হইবে, তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একই লেনদেন সংক্রান্ত এক বা একাধিক দলিল বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনপূর্বক একই স্থানে ও সময়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে হাজির হন, সেইক্ষেত্রে এইরূপ ব্যক্তিগণের জন্য একটি মাত্র কমিশন ফিস ধার্য করিতে হইবে। তবে, ভ্রমণের প্রকৃত দূরত্বের জন্য ভ্রমণভাতা ধার্য করিতে হইবে। ভ্রমণভাতা কেবলমাত্র প্রতি ভ্রমণের জন্য ধার্যযোগ্য, দলিল-প্রতি নহে।

(খ) যেক্ষেত্রে একাধিক দলিল বা, ক্ষেত্রমত, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন বা প্রমাণীকরণের জন্য একই ব্যক্তি বা বিভিন্ন ব্যক্তি দ্বারা একই সময়ে বা বিভিন্ন সময়ে সম্পাদনকারীগণ বা পাওয়ারদাতাগণকে তাহাদের আবাসস্থলে পরীক্ষা করিবার জন্য ধারা ৩১, ৩৩ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৩৮(১) এর অধীন দাখিল করা হয়, এবং যদি একই সময়ে ও একই সঙ্গে পরিদর্শন করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক একটি ভ্রমণভাতা আদায় করিতে হইবে এবং আবেদনকারীগণ কর্তৃক পরিশোযোগ্য একটি ভ্রমণের সমতুল্য অর্থ প্রত্যেক আবেদনকারীকে সম-পরিমাণ অংশ স্বরূপ বহন করিতে হইবে। যদি বিভিন্ন তারিখে আবেদন দাখিলের কারণে পক্ষগণের নিকট হইতে পৃথক পৃথক ভ্রমণভাতা আদায় করা হয় এবং এই সকল আবেদন বাবদ একটি মাত্র ভ্রমণ সম্পন্ন হয়, তাহা হইলে সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক একটি মাত্র ভ্রমণভাতা গৃহীত হইবে, এবং ভ্রমণভাতার অবশিষ্টাংশ সমানুপাতে পক্ষগণকে ফেরত দিতে হইবে। টীকা।- অনুচ্ছেদ ৫৬(ক) এ “একই লেনদেন সংক্রান্ত” অভিব্যক্তি মূল দলিলের প্রতিলিপি ও অনুলিপি এবং অন্যান্য দলিলকে নির্দেশ করে, যেগুলির একটিকে বাদ দিলে লেনদেন অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়।

৫৭। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক ভ্রমণভাতা গণনা।- যে দূরত্বের জন্য ফিসের তালিকার দফা “ঞ” বা। “ট” এর অধীন ভ্রমণভাতা ধার্য হয়, তাহা জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক অনুমোদিত দূরত্বের তালিকা দৃষ্টে স্বয়ং সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক গণনা করা হইবে। উক্ত দূরত্ব-তালিকায় গ্রামের নামসমূহ। বর্ণানুক্রমিকভাবে বিন্যাস করিতে হইবে। তালিকাটি পুরু মলাটযুক্ত ফুলস্কেপ সাইজের বহির আকারে প্রস্তুত করিতে হইবে।

যে সকল কার্যালয়ে এইরূপ তালিকা ইতোমধ্যে বিদ্যমান আছে, উহা সবশেষ অধিক্ষেত্র-তালিকায় প্রতি গ্রাম ও মৌজাসমূহ অন্তর্ভুক্তিক্রমে পুনঃলিখিত হওয়া আবশ্যক। যেক্ষেত্রে এখনও কোন তালিকা প্রস্তুত করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষর করাইয়া লইবেন।

৫৮। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, কমিশনার ও পিয়ন কর্তক ভ্রমণভাতা আহরণ।- ধারা ৩১, ধারা ৩৩ এবং ধারা ৩৮ এর অধীন পরিদর্শন বা কমিশন নির্বাহ করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা কমিশনার এবং তাহাদের সঙ্গীয় পিয়নকে ভ্রমণভাতা প্রদান করা হইবে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সফরসঙ্গী হইবার কারণে সহকারীকে কোন ভ্রমণভাতা প্রদান করা হইবে না।

৫৯। যে সকল ক্ষেত্রে “ঞ” ও “ট” দফার অধীন ফিস ধার্যযোগ্য নহে।- যেক্ষেত্রে পর্দানশীন মহিলা ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিগণ চক্রযান বা এইরূপ অন্যান্য যান যথা গরুর গাড়ি, নৌকা, পাল্কি বা ডুলি ইত্যাদিতে চড়িয়া, নিবন্ধন কার্যালয়ে আসেন এবং অবস্থার প্রেক্ষিতে কার্যালয়ের দরজার যত নিকটে আসা সম্ভব তত নিকটে আসেন সেইক্ষেত্রে তাহাদের পরীক্ষাকরণের জন্য দফা”ঞ এবং ৮ সন। অধীন কোন ফিস ধার্য করা হইবে না। এই সকল ক্ষেত্রে মহিলাগণ পর্দার আড়ালে থাকবেন, এবং তাহাদের আত্মীয় বা অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক সনাক্তকৃত হইবেন।

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে মনে রাখিতে হইবে যে, এইরূপ ব্যক্তিগণকে, যথাসম্ভব, সকল প্রকার সুবিধা প্রদান করিতে হইবে এবং অন্যদের চাইতে অগ্রাধিকার প্রদান করিতে হইবে। প্রয়োজনীয় সময়ের। অতিরিক্ত তাহাদিগকে বিলম্ব করানো যাইবে না।

৬০। ধারা ৩১ এর অধীন গৃহীত দলিলের পৃষ্ঠাঙ্কন।-

(ক) যেক্ষেত্রে ধারা ৩১ এর অধীন নিবন্ধনের। জন্য কোন দলিল ব্যক্তিগত আবাসস্থলে গৃহীত হয়, সেইক্ষেত্রে দাখিলের পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ২ নং ফরম অনুসারে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, কার্যালয়ের নামের পরিবর্তে যেস্থানে দাখিল করা হইয়াছে, সেই স্থানের নাম লিখিতে হইবে; সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ৩ নং ফরমে লিপিবদ্ধ। করিতে হইবে। ব্যক্তিগত আবাসস্থলে জমাকরণের জন্য গৃহীত উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খাম পরিশিষ্ট ২ এর ১০ নং ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন করিতে হইবে; কার্যালয়ের নামের পরিবর্তে যেস্থানে দাখিল করা হইয়াছে সেই স্থানের নাম লিখিতে হইবে।

(খ) যেক্ষেত্রে ধারা ৩১ এর অধীন গৃহীত দলিল অপর্যাপ্তভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত বা সংবিধিবদ্ধ সময় অতিক্ৰাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে পদ্ধতি ।- যেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আবাসস্থলে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত কোন দলিল অপর্যাপ্তভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত বা ধারা ১৭ক বা ধারা ২৩ এর অধীন সময় অতিক্রান্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ধারা ৫২ এবং ধারা ৫৮ এর অধীন। পৃষ্ঠাঙ্কনসমূহ রেকর্ডভুক্ত করিবেন এবং বিধি ২৪ বা, ক্ষেত্রমত, বিধি ২৭ এ নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে। অগ্রসর হইবেন।

৬১। আদালতে উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ।- দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর অধীন আইন দ্বারা ব্যক্তিগত উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ হইতেছেন-

(ক) মহিলা, যাহারা দেশীয় প্রথানুসারে সর্বসমক্ষে হাজির হন না; এবং

(খ) সরকার কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশেষভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ (ফরম নং ২ পরিশিষ্ট ৭ দ্রষ্টব্য)।

অধ্যায় ৭

ধারা ২৫(১) এবং ধারা ৩৪(১) এর অধীন জরিমানা আরোপ

৬২। “যথাযথ নিবন্ধন ফি” এর অর্থ।– নিবন্ধন আইনের ধারা ২৫ এবং ধারা ৩৪ এবং বিধি ৩৮ এ। উল্লিখিত “প্রকৃত নিবন্ধন ফি” শব্দসমষ্টি ফিসের তালিকার দফা “ক” হইতে “ও” এর অধীন আদায়যােগ্য কেবলমাত্র সাধারণ ফিসকে বুঝায় বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে। একই তালিকার অধীন বাড়তি বা অতিরিক্ত আদায়যোগ্য ফিস বাদ দিতে হইবে। এইরূপে একটি দলিলের ক্ষেত্রে যদি নিম্নবর্ণিত ফিসাদি আদায়যোগ্য হয় –

দফা                                      টাকা/পয়সা

ক………………………………………..ব

ঙ………………………………………..ভ

ড (অ) …………………………………ম

ঢ……………………………………….য

তাহা হইলে, “প্রকৃত নিবন্ধন ফি” যাহার ভিত্তিতে জরিমানা গণনা করিতে হইবে, উহা হইল, ক + ঙ অর্থাৎ (ব + ভ ) = টাকা, ফিসের তালিকায় ‘ক’ এবং ‘ঙ’ উভয়ই সাধারণ ফিসের অধীন, পক্ষান্তরে ‘ড’ এবং ‘ঢ’ দফার ফিস বাড়তি বা অতিরিক্ত বিধায় তাহা প্রকৃত নিবন্ধন ফি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নহে।

৬৩। ধারা ১৭ক এবং ধারা ২৩ হইতে ২৬ এর অধীন সময় গণনাকরণ।- ধারা ১৭ক এবং ধারা ২৩ হইতে ২৬ এর অধীন সময় গণনাকালে দলিল সম্পাদনের দিনটি বাদ দিতে হইবে [ জেনারেল ক্লজেস অ্যাক্ট, ১৮৯৭ (১৮৯৭ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৯(১) দ্রষ্টব্য ]।

৬৪। ফিস মওকুফকৃত দলিলে ধারা ২৫ এবং ধারা ৩৪ এর অধীন জরিমানা ধার্য করা যাইবে না।- নিবন্ধন ফিস মওকুফকৃত দলিলে ধারা ২৫ এবং ধারা ৩৪ এর অধীন জরিমানা আদায় করা যাইবে না।

৬৫। জরিমানা মওকুফ করিবার আবেদন।- জরিমানা মওকুফ করিবার জন্য প্রতিটি আবেদন জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের বরাবর দাখিল করিবার উদ্দেশ্যে প্রথমে যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ইহা ধার্য করিয়াছেন তাহার নিকট পেশ করিতে হইবে।

ধারা ৭০ এর অধীন জরিমানা মওকুফের আবেদন বিধি ৪১ এর উপ-বিধি (২) এর শর্তানুসারে রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণের সময় সাব-রেজিস্ট্রার দলিলটি সম্পাদনের তারিখ, দাখিলের তারিখ, সম্পাদন স্বীকারের তারিখ, প্রকৃত নিবন্ধন ফিসের পরিমাণ এবং ধারা ২৫ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৩৪ এর অধীন পরিশোধকৃত জরিমানার পরিমাণ বর্ণনা করিবেন। অনুরূপভাবে, রেজিস্ট্রার তাহার বরাতে এই সকল বিষয় মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে অবহিত করিবে

অধ্যায় ৮

নিবন্ধনের জন্য দলিল গ্রহণ-পরবর্তী পদ্ধতি

৬৬। নিবন্ধনের পূর্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ কর্তৃক পরীক্ষাকরণ।-

(ক) একটি দলিল নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ হইল, সম্পাদনকারী বা তাহার প্রতিনিধি, মনোনীত ব্যক্তি বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হইলে তাহাকে পরীক্ষা করা।

(খ) উপস্থিত হওয়ার পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৪(৩) এর অধীন (১) সম্পাদনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিবেন; (২) সম্পাদনকারী, তাহার প্রতিনিধি, মনােনীত ব্যক্তি বা ক্ষমতা প্রাপ্ত এজেন্ট (যাহা প্রযােজ্য) হিসাবে তাহার সম্মুখে উপস্থিত ব্যক্তির পরিচিতির বিষয়ে এবং (৩) সম্পাদনকারী, প্রতিনিধি, মনােনীত ব্যক্তি বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট হিসাবে উপস্থিত ব্যক্তির এইরূপে উপস্থিত হইবার অধিকার সম্পর্কে স্বয়ং সন্তুষ্ট হইবেন।

(গ) অশিক্ষিত সম্পাদনকারীর ক্ষেত্রে দলিলের শর্তসমূহের বিষয়ে তাহার জ্ঞান পরীক্ষা করিবার। উদ্দেশ্যে সাব-রেজিস্ট্রার সাধারণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে পারেন।

৬৭। মৃত সম্পাদনকারীগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা স্বীকারোক্তি।- সম্পাদনকারীর মৃত্যু হইলে তাহার। প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি সম্পাদন স্বীকার করিবার জন্য নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৫(১)(গ) এর। অধীন ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হইবেন। একাধিক প্রতিনিধি থাকিলে সকলকেই উপস্থিত হইতে হইবে। নাবালক প্রতিনিধির পক্ষে তাহার অভিবাবক উপস্থিত হইবেন।

এইরূপ ক্ষেত্রে দাখিলকারীকে সম্পাদনকারীর মৃত্যুর ঘটনা, মৃত্যুর তারিখ এবং সম্পাদনকারীর সকল প্রতিনিধির নাম বর্ণনা করিয়া নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে একটি আবেদন দাখিল করিবেন। দাখিলকৃত আবেদনের সমর্থনে ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে শপথকৃত একটি হলফনামাও অবশ্যই নথিভুক্ত করিতে হইবে।

৬৮। ছাপানো ফরমে সমবায়ী অঙ্গীকারনামা শুধুমাত্র মুখ্য দাতা কর্তৃক নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক।- প্রচলিত ছাপানো সমবায়ী ফরমে খাতক এবং তাহার দুইজন জামিনদার কর্তৃক সম্পাদিত অঙ্গীকারনামা (ফরম নং ৩০, পরিশিষ্ট ৫) কেবলমাত্র অঙ্গীকারনামাদাতা অর্থাৎ জমি বন্ধকদাতা খাতক কর্তৃক নিবন্ধিত হওয়া প্রয়োজন। এইরূপ দলিলের দুইটি বৈশিষ্ট্য রহিয়াছে, যথা: খাতকের ক্ষেত্রে ইহা একটি বন্ধকী অঙ্গীকারনামা এবং একই সঙ্গে জামিনদারগণ যাহারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন তাহাদের। ক্ষেত্রে ইহা একটি সরল অঙ্গীকারনামা এবং দলিলটি দ্বারা যেইরূপ জামিনদারগণ নিজদিগকে আবদ্ধ করেন উহার নিবন্ধন তদ্রুপ ঐচ্ছিক। অতএব, প্রতীয়মান হয় যে, জামিনদারগণ দলিল নিবন্ধন কার্যে অঙ্গীকারনামা-দাতার সহিত শামিল না হইলে দলিলের অপর পৃষ্ঠার শেষাংশ রেজিস্টার বহিতে নকল করা হইবে না।

৬৯। দাখিলকারীকে প্রদেয় রসিদ।- (ক) ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত রসিদটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সিলমােহর দ্বারা ছাপযুক্ত হইবে এবং ফেরত পাওয়ার পর অহেতুক বিলম্ব না করিয়া উহার মুড়িপত্রের সহিত লাগাইয়া রাখিতে হইবে। দলিলটি ফেরত প্রদানের তারিখ ইঙ্গিত করিবার জন্য রসিদটির অপর পৃষ্ঠায় কার্যালয়ের তারিখযুক্ত সিলমোহরের ছাপ দিতে হইবে।

(খ) কোন দলিলে পরবর্তীতে কোন ফিস পরিশোধ করা হইলে পরিশিষ্ট ১ এর ১০ নং ফরমে একটি রসিদ প্রদান করিতে হইবে। ফিসের তালিকার যে দফার অধীন এই ফিস ধার্য করা হইয়াছে সেই দফা এবং পরিশোধের তারিখসহ ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত রসিদের মুড়িপত্রে এইরূপ পরিশোধের বিষয়ে। একটি মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

পৃষ্ঠাঙ্কন

৭০। ফিস পরিশোধের পৃষ্ঠাঙ্কন।-

(ক) নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিলে নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৪৪ এর অধীন ধার্যকৃত সকল ফিস এবং জরিমানা, দলিলের গ্রহণযোগ্যতার প্রত্যায়নের (যথা: ফরম। নং ১, পরিশিষ্ট ২) নিকটে নিম্ন পদ্ধতিতে লিখিতে হইবে।

“নিম্নরূপে ফিস প্রদত্ত .”

ফিসের তালিকার যে দফার অধীন ফিস ধার্য করা হইয়াছে এবং যে ধারার অধীন জরিমানা (যদি থাকে) পরিশোধ করা হইয়াছে তাহা যথাযথ অঙ্কের বাম পার্শ্বে লিখিতে হইবে।

(খ) ফিস মওকুফকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন।- নিবন্ধন ফিস রেহাইপ্রাপ্ত দলিলের ক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ২ এর ১ নং ফরমের “প্রদত্ত ফিস” শব্দগুলির পরিবর্তে “নিবন্ধন ফিস রেহাইপ্রাপ্ত” পৃষ্ঠাঙ্কন স্থলাভিষিক্ত হইবে।

৭১। ধারা ৫৮ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিবরণ পুনরাবৃত্তি করিবার প্রয়োজন নাই।- যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বলে এজেন্ট দ্বারা দলিল দাখিল করা হয়, সেই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিবরণী নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কনে লিপিবদ্ধ করা হইয়া থাকিলে, সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কনে তাহার পুনরাবৃত্তি করিবার প্রয়ােজন নাই। এইক্ষেত্রে পৃষ্ঠাঙ্কনটি হইবে নিম্নরূপ

“কখ এর পক্ষে তাহার উল্লিখিত এজেন্ট গঘ দ্বারা উপযুক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিবলে সম্পাদন স্বীকার করা হইয়াছে।”

৭২। ভিজিট প্রদানের পৃষ্ঠাঙ্কন।- যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ধারা ৩৮ এর অধীন প্রদত্ত ভিজিট প্রদানের বিষয়ে ধারা ৫৮ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনে লিপিবদ্ধ করেন, সেইক্ষেত্রে তিনি যতদূর প্রযোজ্য, পরিশিষ্ট ২ এর ৬ নং ফরম ব্যবহার করিবেন।

৭৩। কতিপয় সরকারি কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কন।- ১৯০৮ সনের ১৬ নং আইনের ধারা ৮৮ এর অধীন নিবন্ধন কার্যালয়ে ব্যক্তিগত উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরকারি। কর্মকর্তা এবং কতিপয় সরকারি পদাধিকারী কর্তৃক তাহাদের সরকারি পদ মর্যাদায় সম্পাদিত দলিলের। ক্ষেত্রে সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ৩ নং ফরমের ৪ নং টীকা অনুসারে লিপিবদ্ধ। করিতে হইবে।

৭৪। আদালতের দূত মারফত দাখিলকৃত দলিলে ধারা ৫২(১)(ক) এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কন।- (ক) পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লিখিত দলিলটি ৫ম অধ্যায়ের ৫০ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিতমতে সরকারি কর্মকর্তা। কর্তৃক প্রদত্ত পত্রসহ দূত মারফত প্রেরিত হইলে, দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ২ নং ফরমের ১ নং টীকা অনুসারে লিখিতে হইবে।

(খ) আদালত, ইত্যাদি হইতে ডাকযােগে প্রাপ্ত দলিলে ধারা ৫২(১)(ক) এর অধীন পঠা মামলার ক্ষেত্রে এইরূপ কোন দলিল ডাকযোগে, পত্রসহ, প্রেরিত হয়, সেইক্ষেত্রে ধারা ৫২(১) অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ২ নং ফরমের ২ নং টীকা অনুসারে লিখিতে হইবে।

৭৫। পণের টাকা পরিশোধের পৃষ্ঠাঙ্কন।- ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এর অধীন। পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ৩ নং ফরমের টীকা ৬(ক) বা, ক্ষেত্রমত, ৬(খ) অনুসারে নির্ধারিত হইবে।

৭৬। উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র সম্পাদন সংক্রান্ত পৃষ্ঠাঙ্কন।- উইলকারী বা দাতার মৃত্যর পর উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইলে সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কনের পরিবর্তে পরিশিষ্ট ২ এর ১১ নম্বর ফরমটি স্থলাভিষিক্ত হইবে। দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন অন্যান্য দলিলের। পৃষ্ঠাঙ্কনের মত একইরূপে হইবে।

৭৭। রেজিস্ট্রার বা দেওয়ানি আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশে নিবন্ধীকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন।- জেলা রেজিস্ট্রার বা দেওয়ানি আদালত কর্তৃক যে সকল দলিলের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের আদেশ প্রদান করা হয়, উহাদের পৃষ্ঠাঙ্কন পরিশিষ্ট ২ এর ১২ নং ফরম অনুসারে হইবে। দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কনটি স্বাভাবিক নিয়মে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৭৮। পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত ও এজেন্ট কর্তৃক স্বীকৃত দলিল এবং পাওয়ারদাতার এজেন্ট কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের ক্ষেত্রে ধারা ৫৮ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কন।- (ক) যেক্ষেত্রে এজেন্ট পাওয়ারদাতা। কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের সম্পাদন স্বীকার করে, সেইক্ষেত্রে ধারা ৫৮ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কন পরিশিষ্ট ২ এর ৩ নম্বর ফরমে ও তৎসহ সংযুক্ত ১ নং টীকা অনুসারে করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে এজেন্ট, পাওয়ারদাতার পক্ষে দলিল সম্পাদন করে, সেইক্ষেত্রে পৃষ্ঠাঙ্কন পরিশিষ্ট ২ এর ৩ নং ফরমের অধীন ৩ নং টীকা অনুসারে করিতে হইবে।

(খ) আদালতের রায় বা আদেশের নকলের ক্ষেত্রে, ধারা ৫৮ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনটির পরিবর্তে “নিবন্ধনের জন্য গৃহীত” শব্দাবলি স্থলাভিষিক্ত হইবে। প্রথম পৃষ্ঠাঙ্কনে সংশোধিত স্ট্যাম্প আইনের পরিবর্তে সংশোধিত কোর্ট ফি আইনের সঠিক দফা ও তফসিল উদ্ধত করিতে হইবে।

৭৯। যেক্ষেত্রে করণিকশ্রেণির কোন সদস্যের হস্তলিপিতে পৃষ্ঠাঙ্কন করা যাইবে।- কোন নিবন্ধন। কার্যালয়ে যেদিন দলিল দাখিলের সংখ্যা ১০ অতিক্রম করে, সেইদিন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা জেলা রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতিক্রমে গ্রহণযোগ্যতার প্রত্যায়ন, দাখিলকরণ ও সম্পূর্ণকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন তাহাদের উপস্থিতিতে কোন অধীনস্ত কর্মচারী দ্বারা লিপিবদ্ধ করাইতে পারেন। যে কোন অবস্থায় “নিবন্ধিত শব্দটি অবশ্যই স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত হইবে।

৮০। পৃষ্ঠাঙ্কনসমূহের বিধিবৎ অংশের সিলমোহর।- (ক) নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২ ধারা ৫৮ এবং ধারা ৬০ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনসমূহের বিধিবৎ অংশের জন্য এবং স্ট্যাম্প আইন ও প্রজাস্বত্ব আইনের। অধীন গ্রহণযোগ্যতার প্রত্যায়নপত্রের জন্য রবারের সিলমোহর ব্যবহার করা যাইতে পারে।

(খ) রেজিস্টারসমূহে নকলের জন্য সিলমােহরের ব্যবহার।- রেজিস্টার বহির মার্জিনে পষ্ঠাঙ্কনসমূহ। নকলের জন্য, যথাসম্ভব, রবারের সিলমোহর ব্যবহার করা যাইতে পারে।

(গ) নিবন্ধন কার্যালয়ে সাধারণত নিম্নবর্ণিত রবারের সিলমোহরসমূহ ব্যবহৃত হইবে:

(১)

ধারা ৫২ এর অধীন

কখ’ পিতা ‘গঘ’ (সম্পাদনকারী/সম্পাদনকারীগণের একজন বা গ্রহীতা/গ্রহীতাগণের একজন বা …. জেলা রেজিস্ট্রার/সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রমাণীকৃত ২০ …. সনের … নং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল দ্বারা সম্পাদনকারী/গ্রহীতার পক্ষে নিযুক্তীয় এজেন্ট/অ্যাটর্নি ‘ঙচ’) কর্তৃক ….. (ক) সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে (বা … স্থানে) ২০ ….. সনের ….. তারিখ সকাল বিকাল ….. সময়। নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়।

‘কখ’ (দাখিলকারী) এর স্বাক্ষর

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা
স্বাক্ষর ও পদবি।
তারিখ

(২)

ধারা ৫৮ এর অধীন

‘কখ’ পিতা ‘গঘ’ গ্রাম ……. থানা ….. জিলা …… পেশা …… ধর্ম …… কর্তৃক (খ) সম্পাদন স্বীকৃত হইয়াছে। – যাহাকে

‘ঙচ’ পিতা ‘ছজ’ গ্রাম ……. থানা ……. জিলা ……. পেশা …… ধর্ম ……. কর্তৃক (গ) সনাক্ত করা হইয়াছে।।

(৩)

২০ …. সনের …. মাসের ….. তারিখ।

(ঘ)………. সাব-রেজিস্ট্রার

প্রয়োজনীয় সংশোধনক্রমে উল্লিখিত সিলমোহর রেজিস্টার বহির মার্জিনে পৃষ্ঠাঙ্কনসমূহ নকল করিবার কাজে ব্যবহার করা হইবে। ফরমায়েশকৃত সিলমোহরসমূহ সুবিধাজনকভাবে রেজিস্টার বহির মার্জিনে ব্যবহারের লক্ষ্যে উহাদের প্রশস্ততা ৩ ইঞ্চির অধিক হইবে না।

টীকা: (ক) সিলমোহরের জন্য ফরমায়েশ প্রদানকালে, প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার তাহার কার্যালয়ের নাম পূরণ করিবেন। একই সঙ্গে দুইটি সিলমোহর ব্যবহৃত হইবে, একটি সাব-রেজিস্ট্রারের জন্য এবং অপরটি । রেজিস্টার বহিতে পৃষ্ঠাঙ্কনের নিমিত্ত নকলকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের জন্য।

(খ) যে সকল ভুক্তি যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তাহার নিজ হস্তে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে তাহা হইল, (১) সম্পাদন স্বীকৃত হইয়াছে এবং (২) যাহাকে সনাক্ত করা হইয়াছে। অন্যান্য শূন্যস্থান স্থায়ী কর্মচারীগণ কর্তৃক পূরণ করিতে হইবে। (গ) সিলমোহরের জন্য ফরমায়েশ দাখিলের পূর্বে যে জেলায় নিবন্ধন কার্যালয় অবস্থিত সেই জেলার নাম সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক পূরণ করিতে হইবে।। (ঘ) সিলমোহরের জন্য ফরমায়েশকালে কার্যালয়ের নাম সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক পূরণ করিতে হইবে।

৮১। স্বাক্ষরের জন্য সিলমোহর অনুমোদিত নহে।- প্রতিটি পৃষ্ঠাঙ্কন প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে। নিবন্ধন আইনের অধীন যে কোন কার্যে। স্বাক্ষরের পরিবর্তে সিলমােহর ব্যবহার করা অবৈধ। অতএব, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ অবশ্যই তাহাদের নাম নিজ হাতে স্বাক্ষর করিবেন।

৮২। সম্পাদনকারীগণের স্বাক্ষর।- (ক) আঙ্গুলের টিপছাপ গ্রহণ সত্ত্বেও স্বাক্ষর প্রদানে সক্ষম ব্যক্তি কর্তৃক তাহার প্রদত্ত কোন বিবৃতি-সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাঙ্কনের নিম্নভাগে তাহাকে স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে। (খ) যিনি দলিল সম্পাদনকালে স্বাক্ষর প্রদানে সক্ষম ছিলেন, কিন্তু কোন শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্বাক্ষর প্রদানে সক্ষম নহেন, তাহাকে স্বাক্ষরের পরিবর্তে বৃদ্ধাঙ্গুলের টিপছাপ প্রদান করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। উক্ত অক্ষমতা সম্পর্কে একটি বিবরণ দলিলের অপর পৃষ্ঠায় পৃষ্টাঙ্কনের নিয়ে। লিপিবদ্ধ করা যাইতে পারে যাহা পৃষ্ঠাঙ্কনের সহিত রেজিস্টার বহিতে নকল করিতে হইবে।

পর্দানশীন মহিলা সনাক্তকরণ

৮৩। পর্দানশীন মহিলাগণকে পরীক্ষাকরণ।- (ক) পর্দানশীন মহিলাগণের বিষয়ে বিধি ৪৬ এ বর্ণিত পদ্ধতি কঠোরভাবে অনুসরণ করিতে হইবে এবং তাহাদের সনাক্তকরণের জন্য বিশেষ যত্নবান হইতে হইবে। কোন আত্মীয় বা যাহার সহিত তিনি পর্দা রক্ষা করেন না এমন কোন ব্যক্তি তাহাকে সনাক্ত করিবেন।

(খ) পর্দানশীন মহিলার ক্ষেত্রে, আইনের অধীন তাহার পরীক্ষাকরণ দ্বারা ইহা বুঝায় না যে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা কমিশনারকে এইরূপ মহিলার মুখ দর্শন করিতে হইবে। তাহাকে পর্দান্তরালে রাখিয়া সাক্ষ্য প্রদান, পণের টাকা গ্রহণ বা পরিশােধ করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে। কিন্তু নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা কমিশনারকে, উক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদপূর্বক নিজে জবাব শ্রবণের মাধ্যমে সম্পাদন স্বীকার বা অস্বীকারকরণ বা পণের টাকা গ্রহণ বা পরিশােধের বিষয়ে সন্তুষ্ট হইতে হইবে।

টিপছাপ

৮৪। টিপছাপ সতর্কভাবে গ্রহণ করিতে হইবে।- টিপছাপ সর্বদাই সতর্কতার সহিত গ্রহণ করিতে হইবে, কারণ অপরিচ্ছন্নভাবে গৃহীত টিপছাপ, সনাক্তকরণের জন্য অর্থহীন। টিপছাপ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে এবং তাহার সম্মুখে প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী কর্মচারী কর্তৃক লইতে হইবে।

৮৫। বৃদ্ধাঙ্গুলের টিপছাপ গ্রহণের পদ্ধতি।- (ক) অল্প পরিমাণ মুদ্রণ কালি (যাহা মুদ্রণ ও মনিহারির নিয়ন্ত্রক কর্তৃক সরবরাহকত) অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ স্বাদু তৈলের সহিত মিশাইয়া রবারের বেলনা দ্বারা একটি টিনের ফলকে হালকা মসৃণ স্তর না পড়া পর্যন্ত অতি উত্তমরূপে ঘষিতে হইবে। বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠিমূল ভালভাবে মুছিয়া উক্ত কালির ফলকে স্থাপন করিতে হইবে এবং যথেষ্টরূপে কালিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উহা এক দিক হইতে অন্য দিকে আবর্তিত (ঘর্ষণ নহে) হইবে এবং তৎপর হালকাভাবে সতর্কতার সহিত টিপছাপ লইবার কাগজের উপর গড়াইয়া দিতে হইবে, যাহাতে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠির এক পার্শ্ব হইতে অপর পার্শ্বের সম্পূর্ণ নমুনা স্পষ্টভাবে ইহাতে অঙ্কিত হয়। ইহা বিশেষভাবে মনে রাখিতে হইবে। যে, আঙ্গুল স্থাপনের সময় বা অপসারণের সময় যে কোন পার্শ্ব সঞ্চালনে যদি দাগ পড়ে তবে উহা টিপছাপটিকে নষ্ট করিয়া ফেলিবে।

(খ) যদি কোন টিপছাপ ভাল না হয় এবং নষ্ট হইয়া যায় তবে ইহাকে রাখিয়া দিতে হইবে এবং একটি সঠিক টিপছাপ না গ্রহণ করা পর্যন্ত প্রথম টিপছাপের নীচের ঘরগুলিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা যে কয়টি প্রয়োজন ছাপ লইতে হইবে এবং সব কয়টি ছাপকে একটি ক্রমিক নম্বরের অধীন। বন্ধনীভুক্ত করিতে হইবে। কেবলমাত্র পরিচ্ছন্ন টিপছাপটিই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইবে।

(গ) স্পষ্ট এবং পৃথক টিপছাপ নিশ্চিত করিবার জন্য ফলকটি সম্পূর্ণরূপে দৈনিক পরিষ্কার করিতে হইবে এবং একটি হালকা আবরণ না পড়া পর্যন্ত যত্নের সহিত কালি গড়াইতে হইবে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা লক্ষ্য রাখিবেন যাহাতে এই কাজটি ব্যতিক্রমহীনভাবে করা হয়।

(ঘ) এমন কোন ব্যক্তি, যাহার ক্ষেত্রে বিধি ৪৮ প্রযোজ্য, টিপছাপ প্রদানে অস্বীকার করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এইরূপ অস্বীকৃতির বিষয়ে দলিলে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন।

(ঙ) বিধি ৪৮(৫) এর অধীন যে সকল ব্যক্তির টিপছাপ গ্রহণ অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে সে সকল। ব্যক্তির ক্ষেত্রে দলিলটির পশ্চাতে এই বিষয়ে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৮৬। ব্যক্তিগত পরিচয়ের অতিরিক্ত চিহ্ন।- টিপছাপ গৃহীত হইয়াছে এমন কোন ব্যক্তি যদি তাহার। পরিচয়ের ব্যক্তিগত কোন চিহ্ন বহন করেন, যেমন, প্রাকৃতিক বিকলাঙ্গতা বা অন্য কোন স্থায়ী বৈশিষ্ট্য যাহা তদন্ত ব্যতীত লিপিবদ্ধ করা যাইতে পারে, এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি উক্তরূপ পরিচয়ের অতিরিক্ত চিহ্ন হিসাবে উহা রেকর্ডভুক্ত করা বাঞ্ছনীয় মনে করেন, তাহা হইলে টিপছাপের বহিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের স্বাক্ষর বা নামের নীচে এইরূপ একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন।

নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণ

৮৭। দলিল গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন।- নিম্নবর্ণিত অবস্থাধীন নিবন্ধনের জন্য আনীত কোন দলিল গ্রহণ করা হইবে না:

(১) যদি ইহা এমন কোন ভাষায় লিখিত হয় যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বোধগম্য নহে এবং যাহা। জেলায় সাধারণভাবে প্রচলিত নহে এবং ইহার সহিত একটি সঠিক অনুবাদ ও তদুপরি একটি অবিকল নকল সংযুক্ত না থাকে (ধারা ১৯)।

(২) যদি ইহাতে সত্যায়নবিহীন পঙুক্তির মধ্যবর্তী লিখন, শূন্যস্থান, ঘষামাজা বা পরিবর্তন থাকে যাহা, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার মতে, সত্যায়িত হওয়া বা দলিলটির প্রান্তভাগে “কৈফিয়ত” আকারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আবশ্যক (ধারা ২০)।

(৩) যদি ইহাতে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তির বিবরণ ইহাকে সনাক্ত করিবার জন্য অপর্যাপ্ত হয় বা ইহাত সংবিধিবদ্ধ আদেশ নং ৬ অনুসারে আবশ্যকীয় তথ্যাদি না থাকে | ধারা ২১(১) হইতে (৩) ও ২২)।

(8) যদি দলিলে অন্তর্ভুক্ত কোন ম্যাপ বা প্ল্যানের এক বা একাধিক  প্রতিলিপি ইহার সহিত সংযুক্ত  না থাকে (ধারা ২১(৪)]।

(৫) যদি দলিলটিতে সম্পাদনের তারিখ উলেখ করা না হয় বা যদি সঠিক তারিখ নিরূপণযোগ্য না হয় (ধারা ১৭ ও ২৩)।

(৬) যদি ইহা নির্ধারিত সময়ের পর দাখিল করা হয় [ধারা ১৭ক, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ৭২(২), ৭৫(২) এবং ৭৭(১)]।

(৭) যদি ইহা যথার্থ কার্যালয়ে দাখিল করা না হয় [ধারা ২৮ এবং ২৯)।

(৮) যদি ইহা কোন নাবালক, নির্বোধ বা উনাদ অথবা এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিল করা হয় ধারা ৩২ বা ৪০ এর অধীন যাহার এইরূপ দাখিল করিবার কোন ক্ষমতা নাই।

(৯) যদি ইহাতে পক্ষগণের অভিপ্রায় প্রতিফলনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ। এবং হস্তান্তরের প্রকৃতি অন্তর্ভুক্ত না থাকে [ধারা ২২(১)]।

(১০) যদি ইহাতে সম্পাদনকারী ও গ্রহীতা উভয়ের সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি আঠা দ্বারা লাগানা এবং উহার উপর আড়াআড়িভাবে পক্ষগণের বাম বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপছাপ না থাকে [ধারা ২২ক(২)]।

(১১) যদি ইহা নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ২২ক এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন নমুনা। (Format) অনুসারে প্রস্তুত করা না হয়।

(১২) যদি ইহাতে নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫২ক এর অধীন কতিপয় প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশিত না থাকে।

৮৮। যথারীতি দাখিলকৃত দলিল অগ্রাহ্যকরণ।- নিম্নবর্ণিত অবস্থাধীন নিবন্ধনের জন্য যথাযথভাবে দাখিলকৃত দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইবে না:

(১) যদি সম্পাদনকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হইতে এবং সম্পাদন স্বীকার করিতে ব্যর্থ হন (ধারা ৩৪)।

(২) যদি সম্পাদনকারী সম্পাদন অস্বীকার করেন [ধারা ৩৫(৩)(ক)]।

(৩) যদি সম্পাদনকারী মর্মে দাবিকৃত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন এবং তাহার প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি উক্ত সম্পাদন অস্বীকার করেন [ধারা ৩৫(৩)(গ)]।

(৪) যদি সম্পাদনকারী মর্মে দাবিকৃত ব্যক্তি নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদ বলিয়া প্রতীয়মান হন [ধারা। ৩৫(৩)(খ)]।

(৫) যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার সম্মুখে উপস্থিত এবং দলিল সম্পাদনকারী মর্মে দাবিদার কোন ব্যক্তির পরিচয় সম্বন্ধে সন্তুষ্ট না হন [ধারা ৩৫(১)(ক)]।

(৬) যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কোন দলিল সম্পাদনকারীর মৃত্য সংক্রান্ত অভিযোগের সত্যতার। বিষয়ে সন্তুষ্ট না হন [ধারা ৩৫(১)(গ)]।

(৭) যদি সম্পাদন স্বীকারকারী এজেন্টের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন অনুযায়ী সৃষ্ট না হইয়া থাকে, বা যদি কথিত প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি তাহার আইনানুগ অবস্থান প্রমাণ করিতে ব্যর্থ হন [ধারা ৩৫(১)(খ)], [ধারা ৩৫(১)(গ)]।। (৮) যদি উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর দাখিলকৃত কোন উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রের সম্পাদনের বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সন্তুষ্ট না হন (ধারা ৪১)।।

(৯) যদি নির্ধারিত ফিস বা জরিমানা পরিশোধ না করা হয় (ধারা ২৫, ৩৪ এবং ৮০)।

(৫), (৬) ও (৭) নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষেত্রে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ধারা ৩৪ এর অধীন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আইনের উদ্দেশ্য পূরণে পক্ষগণকে সক্ষম করিবার জন্য তাহাদের অনুরোধে তাহার ব্যবস্থা গ্রহণ বিলম্বিত করিবেন।

৮৯। সম্পাদন অস্বীকারকরণের ব্যাখ্যা।- (ক) সম্পাদন অস্বীকারকরণ নিম্নবর্ণিতভাবে হইতে পারে, যথা

(১) প্রকাশ্য; অর্থাৎ বাস্তব, যেক্ষেত্রে সম্পাদনকারী, বা তাহার প্রতিনিধি, বা মনােনীত ব্যক্তি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদন অস্বীকার করেন, বা

(২) উহ্য বা পরোক্ষ; অর্থাৎ অনুমানসিদ্ধ বা কার্যত, যেক্ষেত্রে আইন মোতাবেক সমন জারির। পর সম্পাদন স্বীকার করিবার জন্য উপস্থিত হইবার বিষয়ে সম্পাদনকারীর অস্বীকৃতি বা অবহেলা সম্পর্কে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হন। এইরূপ সকল ক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদনের। মাধ্যমে গ্রহীতার প্রতিকার নিহীত আছে। (খ) নির্ধারিত সময় অতিক্রান্তের পর, সম্পাদনকারী গরহাজির থাকিবার সাধারণ কারণে, নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণের হেতু ধারা ৩৫ এর অধীন নহে, বরং ধারা ৩৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন উদ্ভব হয়। এবং ধারা ৭২ এর অধীন আপিলে ইহার প্রতিকার নিহীত আছে।

বিঃ দ্রঃ- ইহা সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, যদি পর্দানশীন সম্পাদনকারী উপযুক্ত ৮৩(খ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত পদ্ধতিতে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা কমিশনারের সম্মুখে উপস্থিত হইতে বা তাহার প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে পরিকল্পিতভাবে সম্পাদন অস্বীকৃতির কারণে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা যাইতে পারে। কিন্তু সম্পাদনকারীকে কমিশনের আবেদনে বর্ণিত স্থানে পাওয়া না গেলে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দাতার ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিতির বিষয়ে সন্তোষজনক প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত তাৎক্ষণিকভাবে দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন না।

৯০। প্রকৃত অস্বীকৃতিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ।- সম্পাদন, বাস্তব অস্বীকৃতিজ্ঞাপনের ঘটনাবলি জেলা রেজিস্ট্রারকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জ্ঞাত করিতে হইবে, যাহাতে তিনি দলিলের স্বাক্ষরটি জাল কিনা, বা সম্পাদনকারী নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করিয়াছেন কিনা, উহা। অনুসন্ধান করিতে পারেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাহার বিবেচনামত অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারেন।। জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরিত প্রতিটি প্রতিবেদনের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল সংযুক্ত করিতে হইবে ও প্রেরিত বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের নিকট দলিলটি ফেরত প্রদানের জন্য, জেলা রেজিস্ট্রারের আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত উহা পক্ষের নিকট ফেরত প্রদান করা যাইবে না।

৯১। দলিলে প্রতারণামূলক পরিবর্তন।- যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি কোন দলিলে তাহার প্রদত্ত স্বাক্ষর স্বীকারকরত উল্লেখ করেন যে, দলিলটির তারিখ, অর্থাৎ যে তারিখ হইতে দলিলে প্রত্যক্ষকৃত লেনদেনটি কার্যকর হইবে, উহা বা তথায় নিহীত অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ শর্ত প্রতারণামূলকভাবে সম্পাদনের পর পরিবর্তন করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলটি নিবন্ধন করিতে অস্বীকার করিবেন, কারণ কথিত সম্পাদনকারী প্রতারণামূলকভাবে পরিবর্তিত দলিলটির সম্পাদন অস্বীকার করিতেছেন এবং প্রদত্ত স্বাক্ষর স্বীকারকরণের বিষয়টি হইল মূল দলিল, অর্থাৎ পরিবর্তনবিহীন দলিলের সম্পাদন স্বীকৃতি, যাহাতে এইরূপ স্বাক্ষর প্রদান করা হইয়াছিল।

৯২। কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিল নিবন্ধন।- (ক) কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের। এক বা একাধিক সম্পাদনকারী সম্পাদন অস্বীকার করিয়াছেন বা নাবালক, নির্বোধ, উন্মাদ প্রতীয়মান। হইয়াছেন কিংবা মৃত্যুবরণ করিয়াছেন, কেবল এই কারণে দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে না, বরং পক্ষগণের অন্য যে কেহ সম্পাদন স্বীকার করিলে তাহার ক্ষেত্রে নিবন্ধন করা হইবে।

(খ) যেক্ষেত্রে একটি দলিলের সম্পাদনকারীগণ বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত হন, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সম্পাদনকারীর স্বীকারোক্তি বা অস্বীকৃতি দলিলে লিপিবদ্ধ করা যাইবে, কিন্তু সকল সম্পাদনকারী উপস্থিত হইয়া সম্পাদন স্বীকার বা, ক্ষেত্রমত, অস্বীকার না করা পর্যন্ত এবং উপস্থিতির জন্য আইন অনুমোদিত সর্বোচ্চ সময় অবসান না হওয়া পর্যন্ত, দলিলটি নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ বা ইহার নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণ, কোনটিই করা যাইবে না।

৯৩। কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি।- কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিল অগ্রাহ্যকরণের পদ্ধতি বিধি ৫০ এ বর্ণিত আছে। এইক্ষেত্রে সম্ভাব্য তিনটি অবস্থা রহিয়াছে, যথা :(১) যেক্ষেত্রে সকলেই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া কতক সম্পাদন স্বীকার করেন এবং একই সময়ে কতক অস্বীকার করেন। (২) যেক্ষেত্রে আইন মোতাবেক পরোনা জারি করা সত্ত্বেও কতক উপস্থিত হইয়া সম্পাদন স্বীকার করেন, পক্ষান্তরে অন্যরা হাজির হন না; এবং (৩) যেক্ষেত্রে কতক হাজির হইয়া সম্পাদন স্বীকার করেন, পক্ষান্তরে অন্যরা উপস্থিত হন না এবং শেষােক্তদের উপস্থিতকরণের বিষয়ে পক্ষগণ কর্তৃক কোন পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয় না। প্রথম ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে তাহা সুস্পষ্ট, অর্থাৎ যাহারা সম্পাদন অস্বীকার করেন, তাহাদের ক্ষেত্রে দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে এবং যাহারা স্বীকার করেন তাহাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন করা হইবে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, যদি, পরোয়ানা জারির পর সংশ্লিষ্ট সম্পাদনকারীগণ নির্ধারিত তারিখে বা তৎপূর্বে উপস্থিত না হন, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা অনুপস্থিত ব্যক্তিগণের ক্ষেত্রে রীতিসিদ্ধ অগ্রাহ্য আদেশ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অন্য যাহারা সম্পাদন স্বীকার করেন তাহাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন করিবেন; বৈধ পরোয়ানা জারির পর উপস্থিত না হওয়া তাহাদের দ্বারা সম্পাদন অস্বীকার করিবার শামিল। তৃতীয় ক্ষেত্রে, অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কারণে আইনে অনুমোদিত সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত। দলিলটি অপেক্ষমান রাখিতে হইবে এবং উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর তাহাদের ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিতে হইবে এবং যাহারা সম্পাদন স্বীকার করেন তাহাদের ক্ষেত্রে দলিলটি নিবন্ধন করিতে হইবে।

৯৪। কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত ও আংশিক অগ্রাহ্যকৃত দলিলের অগ্রাহ্যকরণের বিবরণ লিপিবদ্ধকরণ।- যেক্ষেত্রে কোন দলিল কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হয় এবং তাহাদের কাহারও ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হয়, সেইক্ষেত্রে অগ্রাহ্যকৃত” শব্দটির পরে “ক এর ক্ষেত্রে” শব্দাবলি বা অনুরূপ শব্দাবলি সংযোজন করিয়া লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৯৫। নাবালকের আনুমানিক বয়স এবং নির্বুদ্ধিতাজনিত অগ্রাহ্যকরণের কারণ ২ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।- সম্পাদনকারীগণের নাবালকত্বের দরুন নিবন্ধন অগ্রাহ্যের কারণ লিপিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে নাবালকের আনুমানিক বয়স সর্বদাই উল্লেখ করিতে হইবে। অনুরূপভাবে, নির্বুদ্ধিতাজনিত কারণে অগ্রাহ্যের ক্ষেত্রে, সম্পাদনকারীকে নির্বোধ বিবেচনা করিবার কারণসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করিতে হইবে।

৯৬। মূক ও বধির ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদিত দলিল।- মূক ও বধির ব্যক্তির দ্বারা সম্পাদিত দলিল নিবন্ধন করা যাইবে, যদি উক্ত ব্যক্তি কোন উপায়ে বা অন্যভাবে তাহার সম্পাদন স্বীকারের ইচ্ছা ব্যক্ত করিতে পারেন। এইরূপ ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, যে সকল প্রাসঙ্গিক বিষয় তাহাকে তাহার সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে সহায়তা করিয়াছে, তৎসম্পর্কে সম্পাদন স্বীকারের পৃষ্ঠাঙ্কনে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন। পক্ষান্তরে যদি সম্পাদনকারীকে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি উপলব্ধির ক্ষেত্রে তাহার সামর্থ্যের বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে তিনি নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৫(৩)। এর অধীন দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন।

৯৭। অগ্রাহ্যের আদেশ অবহিতকরণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার প্রদত্ত দলিল নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণের আদেশ দলিল দাখিলকারীর নিকট এবং যে সকল ক্ষেত্রে দাখিলকারী গ্রহীতা নহেন, সেইক্ষেত্রে গ্রহীতার নিকটও প্রমাণপত্রসহ ডাকযোগে প্রেরণ করিবেন, এবং এইরূপ কাজ সম্পন্নের বিষয়ে প্রেরণের তারিখ ও মাধ্যমের উল্লেখ করিয়া ২ নং রেজিস্টার বহিতে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন। যোগাযোগটি যদি মৌখিকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহা হইলে ২ নং রেজিস্টার বহিতে পক্ষের স্বাক্ষর, বা পক্ষ অশিক্ষিত হইলে, তাহার বৃদ্ধাঙ্গুলির টিপছাপ লইতে হইবে।

৯৮। রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণ ২ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।- কোন রেজিস্ট্রার কোন দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণের নির্দেশ প্রদানকালে অগ্রাহ্যের কারণসমূহ তাহার কার্যালয়ের ২ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন। এইরূপ বিষয় নিম্নে উল্লেখ করা হইল:

(১) রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৭২ এর অধীন আপিল বিবেচনাকালে প্রদত্ত। দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশ। এই অগ্রাহ্যকরণ ধারা ৭৬(১)(খ) এর অন্তর্গত।

৯৯। অনৈতিক বা আইনবিবর্জিত দলিল।- কোন দলিলের পণ বা অভীষ্ট লক্ষ্য অনৈতিক বা অন্য কোনভাবে আইনবিবর্জিত হওয়ার কারণে উহার নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা যাইবে না। এইসকল ক্ষেত্রে যাহাতে নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত কোন দলিলে একটি শিশু-বালিকাকে গণিকার নিকট হস্তান্তর বা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট অনৈতিক উদ্দেশ্যে হস্তান্তর করিবার বা কোন ব্যক্তির উপর অবৈধ কর বা বেআইনি শর্ত আরোপ করিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়, সাব-রেজিস্ট্রার কর্তক উহা জেলা রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে পারিপার্শ্বিক অবস্থা সন্দেহজনক হইলে, জেলা রেজিস্টার তদন্ত করিতে পারেন, এবং, প্রয়োজনে, অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারেন।

১০০। কালেক্টর কর্তৃক বিচারার্থে রক্ষিত দলিলে আইনের ধারা ১৭ক, ধারা ২৩ হইতে ২৬ ও ধারা ৩২ এর অধীন সময় গণনা।- বিধি নির্দেশকগণ (Logal Remembrancer) কতৃক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইয়াছে যে, স্ট্যাম্প শুল্ক নিরূপনের জন্য একটি আটককৃত দলিল যতদিন পর্যন্ত কালেক্টরের নিকট থাকিবে, নিবন্ধন আইনের ধারা ১৭ক, ধারা ২৩ হইতে ২৬ ও ধারা ৩৪ এর। এ ধারা ৩৪ এর অধীন সময় গণনাকালে উক্ত সময় বাদ দেওয়া যাইবে না।

১০১। নিবন্ধন সমাপ্তকরণের কোন সময়সীমা নাই।- যেহেত নিবন্ধীকরণ বা অগ্রাহ্যকরণের প্রকৃত বিষয়টির জন্য কোন সময়সীমা নাই, সেইহেতু যে সকল বিষয়ে সময়সীমা নিধারয়ের মধ্যে আইনের উক্ত সকল প্রয়োজনীয় শর্ত পরণ সাপেক্ষে দলিলটি আইন-অনুমোদিত সময়ের দাখিলকৃত এবং সম্পাদন স্বীকত হইয়া থাকিলে নির্ধারিত সময়সীমার পর, কালেক্টরের নিকট হই, ফেরতপ্রাপ্ত দলিলের নিবন্ধন সমাপ্ত করিতে কোন বাধা নাই।

১০২। আটককৃত দলিল কালেক্টরের নিকট প্রেরণের পদ্ধতি।- (ক) যেক্ষেত্রে কোন ব্যতিক্রমী অবস্থায়, সম্পাদনকারীর নিকট হইতে সম্পাদন স্বীকতি লাভের পর্বে কোন আটককত দলিল কালেক্টরের নিকট প্রেরণ করিতে হয়, সেইক্ষেত্রে যে পর্যায়ে দলিলটি আটক করা হইয়াছে তাহা দলিলের সহিত প্রেরত পত্রে উল্লেখ করিতে হইবে, এবং সম্পাদন স্বীকার করিতে পক্ষগণের উপস্থিতির জন্য নিধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে বিচারান্তে দলিলটি ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাইতে হইবে। কালেক্টরের নিকট প্রেরিত পত্রে ইহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে যে, যদি দলিলটি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে (সঠিকরূপে গণনার পর তারিখটি উল্লেখ করিতে হইবে যাহাতে বিধি ২৮ এর অধীন নোটিশ জারির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়) ফেরত পাওয়া না যায় তাহা হইলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষের ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও দলিলটির নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে।

(খ) দলিলটি একটি নিবন্ধিত ডাকে প্রেরণ করিতে হইবে এবং যদি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে দলিলটির প্রাপ্তিস্বীকারপত্র পাওয়া না যায়, তাহা হইলে তৎসম্পর্কে পত্র দ্বারা কালেক্টরকে স্মরণ করাইয়া দিতে হইবে। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে, সম্পাদন স্বীকার করিবার উদ্দেশ্যে সম্পাদনকারীগণের উপস্থিতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে সক্ষম করিবার জন্য ১০২(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রেরিত দলিলের বর্ণনা-সংবলিত পত্রের বিষয়েও সময়মত কালেক্টরের নিকট তাগিদপত্র প্রেরণ করিতে হইবে। যে তারিখে তাগিদপত্রটি প্রেরণ করা হইবে সেই তারিখটি উল্লিখিত দলিলের বর্ণনা-সংবলিত পত্র প্রেরণ করিবার সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রারের দিনপঞ্জির মন্তব্যের ঘরে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(গ) একটি দলিল আটক করাকালে নজিরের উদ্ধৃতিসহ, যদি থাকে, উহা আটক করিবার কারণসমহ। কালেক্টরের নিকট প্রেরিত পত্রে অথবা আটককৃত দলিলের সহিত সংযুক্ত ফরমে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(ঘ) আটককৃত দলিল কালেক্টরের নিকট প্রেরণ করাকালে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলের বর্ণনা সংবলিত পত্রে দলিল প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত ফর্দ সংখ্যা, সত্যায়নবিহীন ঘষামাজা বা পরিবর্তন ইত্যাদি বর্ণনা করিবেন। এইরূপ দলিল কালেক্টরের নিকট হইতে ফেরত আসিবার পর ফেরতপ্রাপ্ত দলিলটিতে কোনপ্রকার অনধিকারপূর্ণ হস্তক্ষেপ করা হইয়াছে কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক উহা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষিত হইবে।

কালেক্টরের নিকট হইতে দলিল ফেরত পাওয়ার পর বিধি ২৮ এ নিহিত নির্দেশসমূহ। কঠোরভাবে অনুসরণ করিতে হইবে। যে সকল ক্ষেত্রে দাখিলকারী দলিলের গ্রহীতা নহেন, সেই সকল ক্ষেত্রে দলিল নিবন্ধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার জন্য গ্রহীতার নিকট নােটিশ পাঠাইতে হইবে। এই নােটিশ এবং বিধি ২৮ এ উল্লেখিত নােটিশ ডাকবিভাগের প্রমাণপত্রসহ প্রেরণ করিতে হইবে, যাহা আটককৃত দলিলের রেজিস্টারে, যথাযথ ভুক্তিসমূহের বিপরীতে, লাগাইয়া রাখিতে হইবে।

১০৩। বিধি ৫১, ৫২ এবং ৫৪ এর সারাংশ।- (ক) সম্পাদন স্বীকারের জন্য অপেক্ষমান দলিল:

(১) যদি ধারা ১৭ক বা ধারা ২৩ এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করা।হয়, তাহা হইলে ধারা ১৭ক বা ধারা ২৩ এর অধীন নির্ধারিত সময়। অতিক্রান্তের চার মাস পর;

(২) যদি ধারা ২৫ অনুসারে বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিল করা হয়, তাহা হইলে। ধারা ১৭ক বা ধারা ২৩ এর

অধীন নির্ধারিত সময় অতিক্রান্তের আট মাস পর; এবং

(৩) যদি ধারা ২৬ এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করা হয়, তাহা । হইলে বাংলাদেশে আগমনের

তারিখ হইতে আট মাস পর উহার নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে।

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে সকল বা যে কোন পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত দলিল বাংলাদেশে আগমনের চার মাসের মধ্যে দাখিল না করা হইলে নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করা হইবে না।

১০৪। [ নিষ্প্রয়োজন ।

অধ্যায় ৯

শপথ পাঠ ও নথিভুক্তিকরণ

১০৫। সাধারণত শপথ পাঠ করানো হইবে না।- নিবন্ধন আইনের বিধানে কোন ব্যক্তিকে পরীক্ষা। করাকালে শপথ পাঠ করানো বাধ্যতামূলক নহে; ইহা আবশ্যক হইলে বা অন্যথায় উহা প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট ঘটনার বিষয়বস্তু দ্বারা নির্ধারণ হইবে। যেইক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে শপথ পাঠ করানো হয়, সেইক্ষেত্রে তাহার বক্তব্য একটি ভিন্ন কাগজের ফর্দে লিখিয়া রাখিতে হইবে এবং তাহাকে পড়িয়া। শুনাইতে হইবে, এবং উহাতে তাহার স্বাক্ষর গ্রহণের পর এইরূপ বক্তব্য পর্যায়ক্রমিকভাবে নম্বরযুক্ত হইবে এবং একটি নথিতে একত্রে বাঁধাই করিতে হইবে।

১০৬। সাক্ষ্য লিপিবদ্ধকরণের টীকা।- সাক্ষ্য রেকর্ড করা হইয়া থাকিলে দলিলে, এই মর্মে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং উহা রেজিস্টার বহির যে ভলিয়মে দলিলটি নকল করা হইয়াছে উহার ডান মার্জিনে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে; বা যদি নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে ২ নং রেজিস্টার বহিতে অনুরূপ একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

অধ্যায় ১০

নিবন্ধন-ভুক্তির জন্য দলিল গ্রাহ্য-পরবর্তী পদ্ধতি

১০৭। নকলকরণের ক্রম।- (ক) ধারা ৫২ এর বিধান অনুযায়ী দলিলসমূহ যে ক্রমানুসারে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছে, সেই ক্রমানুসারে নকল করিতে হইবে।

(খ) রেজিস্টার বহির ভূক্তিসমূহ পরীক্ষাকরণ।- (১) নকলনবিসগণ দিনের কাজ শুরু করিবার পূর্বে নিশ্চিত হইবেন যে, পূর্ববর্তী দিবসের সকল ভুক্তিসমূহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইয়াছে এবং পঙক্তির মধ্যবর্তী লিখন, ঘষামাজা ইত্যাদি সম্পর্কিত টীকা যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ এবং সত্যায়িত হইয়াছে। এই বিষয়ে কোন কিছু বাদ পড়িয়া থাকিলে উহাও অবিলম্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার গােচরে আনিতে হইবে।।

(২) রেজিস্টার বহিতে কোন দলিলের নকলে স্বাক্ষর প্রদান করিবার পূর্বে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। নিশ্চিত হইবেন যে, বিধি ৬৭ অনুসারে নকলটি নকলকারী, তুলনাকারী এবং পাঠকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইয়াছে।

(গ) দলিলের নম্বর ও সন রেজিস্টার বহির প্রতি পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কোন দলিলের নকল রেজিস্টার বহির একাধিক পৃষ্ঠায় ব্যাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে দলিলটির ক্রমিক নম্বর, কার্যালয়ের নাম এবং সন রেজিস্টার বহির প্রতি পাতার বাম মার্জিনে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, যাহাতে কোন একটি পাতা ছিড়িয়া গেলে বা ভুল জায়গায় রাখা হইলে দলিলের নম্বরটি সন্ধান করা যায়।

(ঘ) দলিলের ছকবদ্ধ বিবরণসমূহ রেজিস্টার বহিতে নকল করিবার পদ্ধতি। দলিলে ছকবদ্ধ বিবরণ। পাওয়া গেলে, নিবন্ধন প্রত্যাশী পক্ষগণের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশ্যে, বর্ধিত আকারে বিন্যাসের পরিবর্তে, প্রাপ্ত বিন্যাস অনুসারেই নকল করিতে হইবে, যাহাতে দলিলটির যথাযথ অর্থ ব্যাহত না হয়। নকলনবিসগণের পারিশ্রমিক ছকবদ্ধ ফরমে নকলকৃত প্রকৃত শব্দ সংখ্যা দৃষ্টে হিসাব করিতে হইবে, ছক দ্বারা আবদ্ধ লাইনসমূহের প্রতিটি লাইন ১৫ (পনের) শব্দ-বিশিষ্ট ১ (এক) লাইন হিসাবে নহে।।

(ঙ) দলিলে সম্পাদনকারী ও সাক্ষীগণের স্বাক্ষর একাধিকবার দৃষ্ট হইলে উহা নকল করিবার পদ্ধতি – কোন দলিলে সম্পাদনকারী, সাক্ষী ও লেখকের স্বাক্ষর যতবার দলিলে দৃষ্টিগােচর হইবে, রেজিস্টার বহিতে ততবার উহা নকল করিতে হইবে।

(চ) রেজিস্টার বহিতে দলিলের পৃষ্ঠাচিহ্ন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।- ১, ৩ ও ৪ নং রেজিস্টার বহিতে দলিল নকল করাকালে যেখানে উহার ১ম, ২য় বা ৩য় পৃষ্ঠা শেষ হয় এবং পরবর্তী পৃষ্ঠা শুরু হয় সেখানে তাহা নির্দেশ করিবার জন্য মূল দলিলের পৃষ্ঠা সংখ্যা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(ছ) একটি দলিল রেজিস্টার বহির একাধিক ভলিয়মে নকল করা হইলে সূত্র-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। সাধারণত একটি দলিলের নকলকরণ যে বহিতে আরম্ভ করা হয় সেই বহিতে উহা নকলপূর্বক সমাপ্ত করিতে হইবে। বিষয়টি নিশ্চিত করিবার জন্য একটি দলিলের নকল কার্য শুরু করিবার পূর্বে রেজিস্টার বহির কতটি পৃষ্ঠায় ইহা সংকুলান হইতে পারে সেই বিষয়ে সতর্কতার সহিত একটি হিসাব করিতে হইবে, এবং যদি চলতি রেজিস্টার বহির খালি পৃষ্ঠা সংখ্যা, নকলের জন্য প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা সংখ্যার তুলনায়, কম হয়, তাহা হইলে একটি নূতন বহি খুলিতে হইবে, এবং দলিলটি উহাতে নকল করিতে হইবে। দলিল অস্বাভাবিক দীর্ঘ হইলে যদি উহা নকল করিতে একাধিক পূর্ণ বহির প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে যত সংখ্যক বহিতে নকল করিবার প্রয়োজন হইবে তত সংখ্যক বহিতে উহার নকলকাজ সম্পন্ন করিতে হইবে।

এইরূপ ক্ষেত্রে বা যেক্ষেত্রে নকলনবিস কর্তৃক অপ্রণিধানবশত একটি দলিল একাধিক বহিতে নকল করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে নিম্নরূপ সূত্র-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে:

(১) পূর্ববর্তী বহিটির শেষ পৃষ্ঠায় –…. সনের ….. নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠায় অনুবর্তিত

(২) পরবর্তী বহিটির প্রথম পৃষ্ঠায় – ….. সনের … নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠা হইতে অনুবর্তিত।”

(জ) দুই বা ততােধিক পষ্ঠায় লিখিত দলিল।- যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক স্ট্যাম্প কাগজে একটি দলিল লেখা হয়, সেইক্ষেত্রে বিধি ৪ অনুসারে স্ট্যাম্পের মূল্য সংক্রান্ত ভুক্তি দ্বারা ফর্দ সংখ্যা এবং উহাদের স্ব-স্ব মূল্য নির্দেশ করিতে হইবে।

(ঝ) ঘষামাজা ইত্যাদি সংবলিত দলিল।- একটি দলিলের যে জায়গায় পঙক্তির মধ্যবর্তী লিখন, শুন্যস্থান বা ঘষামাজা ইত্যাদি বিদ্যমান, রেজিস্টার বহিতে উহার প্রতিলিপিতে একটি চিহ্ন বা সংখ্যা। দ্বারা তাহা নির্দেশ করিতে হইবে।

(ঞ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বোধগম্য নহে এমন ভাষায় দলিলে প্রদত্ত স্বাক্ষর।- যদি একটি দলিলে এমন কোন বর্ণে স্বাক্ষর থাকে যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা তাহার কোন কর্মচারীর বোধগম্য নহে, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কোন বর্ণে ইহা স্বাক্ষরিত হইয়াছে, পক্ষগণের নিকট হইতে তাহা। নিশ্চিত করিবেন এবং দলিলে উক্ত স্বাক্ষরের নীচে পেন্সিল দিয়া তৎসম্পর্কে একটি টীকা লিপিবদ্ধ। করিবেন। যখন দলিলটি রেজিস্টার বহিতে নকল করা হয়, তখন স্বাক্ষরটি ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং ইহার নিচে বন্ধনীর ভিতর টীকাটি সংযুক্ত করিতে হইবে, যথা – “মূল দলিলে ….. ভাষায় স্বাক্ষরিত”।

(ট) পৃষ্ঠাঙ্কনের আদলে সম্পাদিত দলিল।- যেক্ষেত্রে পূর্বে নিবন্ধিত কোন দলিলে আড়াআড়ি বা নীচে বা পিছনে পৃষ্ঠাঙ্কনের আদলে কোন দলিল, যেমন : ইজারা বরাদ্দপত্র, স্বার্থ হস্তান্তর পত্র, প্রাপ্তিস্বীকার পত্র, বা পণের টাকা প্রাপ্তি স্বীকারান্তে মুক্তকরণের নির্দেশপত্র বা নিবন্ধিত দলিলে টাকা পরিশােধের নিশ্চয়তাপত্র ইত্যাদি সম্পাদিত হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ পৃষ্ঠাঙ্কন নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইলে ইহা একটি ভিন্ন দলিল গণ্যে নম্বরযুক্তক্রমে নিবন্ধন করা হইবে এবং নিম্নের নিদর্শে রেজিস্টার বহিতে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে :

“… কার্যালয়ের ….. সনের …. নং বহির …. নং বালামে …. পৃষ্ঠা হইতে …. পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ । …. নং দলিলে আড়াআড়িভাবে (বা নিচে বা পিছনে) লিখিত।” (ঠ) মদিত বহিতে সম্পত্তির বিবরণ।- যেক্ষেত্রে বিধি ৭৩ এর অধীন মুদ্রিত বিশেষ বহিতে এই। উদ্দেশ্যে অভিপ্রেত পরিসরে সম্পত্তির বিবরণ সংকুচিতক্রমে লিপিবদ্ধ করা না যায়, সেইক্ষেত্রে উক্ত। বিবরণ মুদ্রিত বহির পরবর্তী পৃষ্ঠাসমূহে অনুবর্তিত হইবে এবং অব্যবহৃত মুদ্রিত অংশটুকু নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অনুস্বাক্ষরে কর্তন করা হইবে।

পুনঃনিবন্ধন।

১০৮। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত দলিল পুনঃনিবন্ধন।- (ক) একটি দলিল ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সম্পাদিত হইলে উহা প্রথম নিবন্ধনের পর পুনঃনিবন্ধন করা হবে। এইরূপ ক্ষেত্রে ধারা ২৪ এবং ৩৪ এর অধীন নির্ধারিত সময়সীমা, পরবর্তী প্রতিটি সম্পাদনের তারিখ হইতে গণনা করিতে হইবে। অতএব প্রত্যেক সম্পাদনকারীর সম্পাদনের তারিখ তাহার দ্বারাই লিখত হইবে। প্রতিবার এইরূপ নিবন্ধনের সময় নির্ধারিত ফিস আদায় করা হইবে এবং একটি নূতন ক্রমিক নম্বরসহ দলিলটি ফি বহিতে জমা করিতে হইবে।

(খ) আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধনের আদেশ প্রদত্ত দলিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি।- (১) নিবন্ধীকরণ সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্যকৃত কিন্তু পরবর্তীতে ধারা ৭১ বা ধারা ৭৫ বা ধারা ৭৭ এর অধীন নিবন্ধনের নির্দেশ প্রদত্ত দলিল নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হইলে পুনরায় নির্ধারিত ফিস আদায় করিতে হইবে। এবং উহাকে একটি নূতন ক্রমিক নম্বরের অধীন ফি বহিতে জমা করিতে হইবে।

(২) প্রথমবার আংশিক অগ্রাহ্যকত এবং ধারা ৭২ বা ধারা ৭৫ বা ধারা ৭৭ এর অধান পুনঃনিব। পশলের ক্ষেত্রে কোন নতুন ফিস আদায় করা হইবে না, কিন্তু দলিলটি একটি নতুন ক্রমিক নম্বরের।

অধীন ফি বহিতে জমা করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে দলিলটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিজ এলাকায় সমীপে অবস্থিত নহে এইরূপ, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হয়, সেইক্ষেত্রে প্রথমবার আংশিক নিবন্ধন। করাকালে দফা ‘ড’ এর অধীন নকল বা, ক্ষেত্রমত, স্মারকলিপি প্রেরণের জন্য ফিস আদায় করা সত্ত্বেও উক্ত দফার অধীন নতুন ফিস আদায় করিতে হইবে। বিধি ৬৫ অনুসারে দলিলটি রেজিস্টার বাহতে পুনঃ নকল করিতে হইবে। এই উভয় ক্ষেত্রে দাখিলকরণের জন্য ধারা ৫২ এর অধীন নির্ধারিত পৃষ্ঠাঙ্কনের ক্ষেত্রে (ফরম নং ২. পরিশিষ্ট ২) “দাখিলকৃত” শব্দের স্থলে “পুনঃদাখিলকৃত” শব্দাবলি লিখিতে হইবে এবং বিধি ৪৫ এর। অধীন পৃষ্ঠাঙ্কনের ক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ২ এর ১২ নং ফরম ব্যবহৃত হইবে। 

কতিপয় সাধারণ উপদেশ          

১০৯। উইল ইত্যাদির সংজ্ঞা।- (ক) (১) সর্বদা লক্ষ্য করিতে হইবে যে, উইলের সংজ্ঞার আওতাধীন। নহে, অর্থাৎ মৃত্যুর পর কার্যকরী হওয়ার শর্তে সম্পত্তি বন্টনের যে কোন দলিল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র অর্থাৎ মৃত্যুর পর দত্তক পুত্র গ্রহণের জন্য স্বামীর পক্ষ হইতে স্ত্রীকে লিখিত ক্ষমতাপত্র ব্যতীত অন্য কোন দলিল যাহাতে ৩ নং রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধন করা না হয়। দানপত্র দলিলকে। উইল, কিংবা দত্তকগ্রহণের চুক্তিপত্রকে দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র বলিয়া ভুল করা যাইবে না।

(২) যে দলিল কেবল দত্তক পুত্র গ্রহণের ঘোষণা প্রদান করে, তাহা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নহে, তবে নিবন্ধনযোগ্য দত্তকগ্রহণের দলিল ৪ নং বহিতে বা যদি তদ্বারা স্থাবর সম্পত্তিতে কোন অধিকার সৃষ্টি করা হয়, তাহা হইলে ১ নং বহিতে নিবন্ধনযোগ্য। (৩) দত্তকগ্রহণ একটি কার্য, যদ্বারা কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সন্তানকে তাহার উত্তরাধিকারী হিসাবে নিয়োগ করে। (৪) ‘ক’ কর্তৃক তাহার পুত্রকে দত্তকগ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করিয়া ‘খ’ এর অনুকলে সম্পাদিত দলিল, দত্তকগ্রহণের দলিল নহে, কারণ ইহা দত্তকগ্রহণ নির্দেশ করে না বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে না, তবে, ইহা অপর ব্যক্তি কর্তৃক তাহার সন্তানকে দত্তকগ্রহণের বিষয়ে পিতার সম্মতি মাত্র।

(খ) স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত ক্ষতিনিষ্কতিপত্র।- (১) যেক্ষেত্রে কোন ক্ষতিনিষ্কৃতিপত্র স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় সংক্রান্ত সম্পূরক লেনদেন সম্পর্কিত হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ধারা ৫১(২) এর অধীন। ইহা ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে সম্পত্তি চিহ্নিত করিবার জন্য সম্পত্তির প্রয়োজনীয় বিবরণাদি অবশ্যই উল্লেখ করিতে হইবে।

(২) খোয়াড় চাষীদের কবুলিয়ত ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।- খোয়াড় চাষীদের। কবুলিয়তকে স্থাবর সম্পত্তির ইজারা হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।

(৩) বন্ধকী ডিক্রির সমর্পণপত্ৰ ১ নং বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে।- বন্ধকী ডিক্রিতে স্বার্থের সমর্পণপত্র স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত বিধায় নিবন্ধন আইনের ধারা ৫১(২) এর অধীন ইহা ১ নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে, যদিও এই ডিক্রি খোদ কোন স্থাবর সম্পত্তি নহে। ধারা ২১ এর আবশ্যকতা অনুযায়ী ডিক্রিভূক্ত সম্পত্তির একটি বিবরণ দলিলে প্রদান করিতে হইবে।

(গ) [বিলুপ্ত]।

(ঘ) নকলবিহীন দলিল নিবন্ধীকরণ।- যেক্ষেত্রে প্রতারণা, ভ্রান্তি বা অন্য কোন প্রকারে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত কোন দলিল রেজিস্টার বহিতে নকলবিহীন সত্ত্বেও নিবন্ধিত বলিয়া প্রত্যায়ন করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনের প্রত্যায়নটি বাতিলপূর্বক পূর্ববর্তী অলীক প্রত্যায়নের স্থলে ধারা ৬০ এর অধীন নিবন্ধনের একটি নূতন প্রত্যায়ন দলিলে পৃষ্ঠাঙ্কিত করিয়া দলিলটি যথাযথ বহিতে নকল করিবার জন্য রেজিস্ট্রার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন। যদি ইতোমধ্যে দলিলটি সূচিবদ্ধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে সূচি বহিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে হইবে। ফি বহির ১২ এবং ১৩ নং কলামেও প্রয়োজনীয়। সংশোধন করিতে হইবে।

(ঙ) কোন দলিলকে একটি রেজিস্টার বহি হইতে অপর একটি রেজিস্টার বহিতে স্থানান্তরের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের প্রত্যায়ন।- যেক্ষেত্রে কোন দলিল অনুপযুক্ত রেজিস্টার বহি হইতে সঠিক রেজিস্টার বহিতে স্থানান্তরিত হয়, সেইক্ষেত্রে মূল দলিলটি সংগ্রহ করা না গেলেও নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৭০(২) অনুসারে নিবন্ধনের প্রত্যায়ন পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য নির্ধারিত, রেজিস্টার বহির বাম মার্জিনে লিপিবদ্ধ করা। হইবে।

(চ) মুদ্রিত, ইত্যাদি দলিলে দফা ‘ঢ’ এর অধীন ফিস ধার্যকরণ।- যেক্ষেত্রে বিধি ৭৩ এর অধীন মুদ্রিত বা লিথোগ্রাফিক ছাপানো দলিলের নিবন্ধন সংক্রান্ত নকলের কাজের পরিমাণ স্বল্প হয়, এবং হস্তলিখিত ভুক্তিসমূহ প্রকৃতপক্ষে রেজিস্টার বহির ২ (দুই) পৃষ্ঠার অধিক না হয়, সেইক্ষেত্রে ফিসের তালিকার দফা (ঢ) এর অধীন কোন ফিস ধার্য করা হইবে না। অতিরিক্ত ফি ছাপানো কাগজের উপর নহে, বরং নিবন্ধন বিভাগীয় প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারী বা নকলনবিস কর্তৃক ফরমের শূন্যস্থানে প্রকৃতপক্ষে নকলকৃত শব্দের ভিত্তিতে গণনা করিতে হইবে।

(ছ) যদি বিশেষ অবস্থাধীন কোন দলিল যে বৎসর নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছিল উহার পরবর্তী বৎসর সমাপ্ত করিতে হয়, তাহা হইলে উহা যে বৎসর গ্রাহ্য করা হইয়াছিল সেই বৎসরের সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বহিতে নকল করিতে হইবে। অতএব, কোন একটি বৎসরে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্যকৃত সকল দলিল নকলকৃত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বৎসরের চলতি বহিসমূহে বিধি ১৫ এর অধীন সমাপ্তির প্রত্যায়ন সংযুক্ত করা যাইবে না।

১১০। দলিল সমাপ্তকরণ।- ফরম ও রেজিস্টার বহিসমহের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে একটি দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবার তারিখ হইতে ন্যুনতম ১৫ (পনের) দিন এবং সর্বাধিক ১ (এক) মাসের মধ্যে নকলকরণের ও নিবন্ধীকরণের কার্য সমাপ্তকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখিতে হইবে।

১১১। রসিদ ও দলিল বিলিকরণ।- (ক) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং পক্ষগণের নিকট রসিদ ও দলিল। বিলি করিবেন, কিন্তু ব্যস্ত মৌসুমে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্বয়ং ইহা করিতে অসমর্থ হইলে, দলিল ফেরত প্রদানের জন্য তাহার লিখিত নির্দেশে একজন সহকারী বা মোহরারকে নিয়োগ করা যাইতে। পারে কিন্তু, সেইক্ষেত্রে সহকারী বা মােহরার নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে দলিল বিলি করিবেন। নিবন্ধন আইনের অধীন ফিসের তালিকার ‘ণ’ এবং ‘ত’ দফা অনুসারে ফিস আদায়ের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত। নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বিলির সময় দলিল ফেরত গ্রহণের জন্য তাহাদের নিকট দাখিলকৃত, ধারা ৫২ এর অধীন, রসিদের পৃষ্ঠে তারিখের সিলমােহরটি যুক্ত করিবেন, যাহাতে একবার প্রদত্ত তারিখটি সহজে বিনষ্ট বা প্রতারণামূলকভাবে পরিবর্তন করা না যায়। (খ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ধারা ৬১ এর অধীন রসিদের অনুমোদন পরীক্ষাকরণ।- কোন দলিলের নিবন্ধন কার্য সমাপ্তির পর ইহা দাখিলকারী অথবা ধারা ৫২ এর অধীন প্রদত্ত রসিদে। দাখিলকারী কর্তৃক তাহার পক্ষে ধারা ৬১ এর অধীন মোননীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট (যদি থাকে)। ফেরত প্রদান করিতে হইবে। কিন্তু দলিলটি ফেরত দেওয়ার পূর্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ব্যক্তি রসিদের অপর পৃষ্ঠার দস্তখতটি পরীক্ষা করিবেন এবং লক্ষ্য করিবেন যে, ইহার সহিত দলিলের দস্তখতটির সাদৃশ্য রহিয়াছে কিনা এবং ধারা ৬১ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে লিখিত বরাতের নির্দেশটি যথাযথ আছে কিনা। যেক্ষেত্রে দাখিলকারী লিখিতে পারেন, সেইক্ষেত্রে, সাধারণত সমুদয় বরাত তাহার দ্বারা লিখাইতে হইবে। যদি তিনি অশিক্ষিত হন, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহাকে পরামর্শ দিবেন যে, তাহার নিজ স্বার্থে রসিদের অপর পৃষ্ঠার সমুদয় বরাত যে ব্যক্তি দলিলে তাহার নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন তাহার দ্বারা লিখিত হওয়া উচিত। যাহা হউক, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি নিশ্চিত হন যে, রসিদটি দাখিলকারীর নিকট হইতে গোপনে প্রাপ্ত নহে বা তাহার সহিত কোন প্রতারণা করা হয় নাই, তাহা হইলে দলিলটির ফেরতপ্রদান স্থগিত রাখা যাইবে না। বিষয়টি অনেকাংশেই ইচ্ছাধীন বিধায় আশা করা যায়। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ বুদ্ধিমত্তার সহিত ইহা চর্চা করিবেন।। (গ) বৈধ প্রতিনিধির নিকট নিবন্ধিত দলিল ফেরত প্রদান।- যেক্ষেত্রে কোন দলিলের দাখিলকারী। নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (১) এর (খ) দফার অধীন প্রদত্ত রসিদ কাহারও পক্ষে বরাত প্রদান না করিয়া মৃত্যুবরণ করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা যদি নিশ্চিত হন যে, উহাতে। প্রতারণার সন্দেহ নাই, তাহা হইলে, রসিদ দাখিল করা হইলে, মৃত ব্যক্তির বৈধ প্রতিনিধির নিকট দলিলটি ফেরত দেওয়া যাইতে পারে, যদিও সর্বাধিক নিরাপদ ব্যবস্থা হইল দেওয়ানি আদালত হইতে আদেশপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিকট দলিলটি ফেরত প্রদান করা। (ঘ) মৃত মনোনীত ব্যক্তির প্রতিনিধির নিকট দলিল ফেরত প্রদান।- যেক্ষেত্রে দাখিলকারী দলিল নিবন্ধনের পর উহা ফেরত গ্রহণের জন্য অপর কাহাকেও মনােনীত করিয়া থাকেন এবং এইরূপ মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যুতে তাহার প্রতিনিধি দলিলটি দাবি করেন, সেইক্ষেত্রে, দাখিলকারীর লিখিত সম্মতি ব্যতীত, দলিলটি তাহার নিকট ফেরত দেওয়া যাইবে না।।

(ঙ) দেওয়ানি আদালতের নিষেধাজ্ঞা।- নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিল, দাখিলকারী বা তাহার দ্বারা রসিদে মনোনীত ব্যক্তির নিকট ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার আইনগত বাধ্যবাধকতা, দেওয়ানি আদালতের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করিবার বাধ্যবাধকতার নিকট গৌণ।

(চ) রসিদ হারাইয়া গেলে কার্যপদ্ধতি।

(১) রসিদ হারানোর অভিযোগ সহকারে দলিল ফেরত প্রদানের অনুরোধ সংবলিত প্রতিটি আবেদন লিখিত এবং মূল রসিদ যাহার নিকট প্রদান করা হইয়াছিল তাহার দ্বারা দাখিলকৃত হইবে। এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দাখিলকারীকে সনাক্তক্রমে রসিদ হারানোর বিষয়টি প্রমাণিত করাইয়া লইবেন। যেক্ষেত্রে দাখিলকারী গ্রহীতা নহেন, সেইক্ষেত্রে প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসহ একটি নোটিস গ্রহীতার নিকট প্রেরণ করা হইবে (যাহার খরচ আবেদনকারী বহন করিবেন) এবং রসিদ। হারানোর বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাহাকে যুক্তিসংগত সময় প্রদান করা হইবে। দলিলটি নিবন্ধিত না হইয়া থাকিলে, সাদা কাগজে রসিদের একটি প্রতিলিপি দেওয়া যাইবে; পক্ষান্তরে যদি দলিলটি নিবন্ধিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে দলিলটি ফেরত দেওয়া যাইবে। হারানো রসিদটির পরিবর্তে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এক খণ্ড সাদা কাগজের প্রথম পৃষ্ঠায় নিম্নের প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করিয়া মুড়িপত্রে লাগাইয়া রাখিবার ব্যবস্থা করিবেন :“প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, মূল রসিদ হারানোর বিষয়টি আমার নিকট প্রমাণিত হইয়াছে বিধায় দাখিলকারীকে যথাযথরূপে সনাক্তক্রমে অপর পৃষ্ঠায় প্রাপকের স্বাক্ষর অনুয়ায়ী দলিলটি ফেরত দেওয়া হইল।

তারিখ……………………..                                                                                                         নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা।”

(২) যেক্ষেত্রে আবেদনকারী দলিল দাখিলকারী নহেন, সেইক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

(অ) গ্রহীতা কর্তৃক রসিদ হারানোর অভিযোগ সহকারে দলিল ফেরত প্রদানের অনুরোধ সংবলিত লিখিত আবেদন দাখিলকৃত হইবে। (আ) আবেদনের সহিত স্থানীয় থানায় রসিদ হারানোর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির

ফটোকপি, আবেদনকারীর সাম্প্রতিক তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট আকারের। ফটো, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা জন্ম। নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সংলগ্নি আকারে প্রদান করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, গ্রহীতা সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, তফসিলভুক্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রহীতা হইলে সেইক্ষেত্রে উল্লিখিত

সংলগ্নির প্রয়োজন হইবে না। (ই) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উক্তরূপ আবেদন প্রাপ্ত হইয়া গ্রহীতার পরিচয় সম্পর্কে স্বয়ং সন্তুষ্ট হইবেন এবং ক্ষেত্রমত, দলিলের সহিত সংযুক্ত ফটো এবং জাতীয়। পরিচয়পত্রের নম্বর বা পাসপাের্ট বা জন্ম নিবন্ধন সনদের সহিত যাচাই করিবেন। এবং দলিলে সংগৃহীত স্বাক্ষরের সহিত আবেদনে প্রদত্ত স্বাক্ষর মিলাইবেন।। (ঈ) রসিদ হারানোর বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট হাজির হইয়া সাক্ষ্য প্রদানের। নিমিত্ত যুক্তিসঙ্গত সময় প্রদান করিয়া আবেদনকারীর ব্যয়ে দলিলের দাখিলকারী

এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য গ্রহীতাগণের বরাবর এত বাকারপত্রসহ বেছি ডাকযোগে একটি নােটিস প্রেরিত হইবে। (উ) দলিলের দাখিলকারী বা অন্যান্য গ্রহীতা হাজির হইলে বা নির্ধারিত সময়সীমা উত্তীর্ণ হইলে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দফা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতি, যতদূর প্রযোজ্য। অনুসরণ করিবেন এবং দলিলটির নিবন্ধন কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হইয়া। থাকিলে রসিদ হারানো সংক্রান্ত নিমরূপ প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন: “প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, মল রসিদ হারানোর বিষয়টি আমার নিকট প্রমাণিত হইয়াছে বিধায় দলিলের গ্রহীতাকে যথাযথরূপে সনাক্তক্রমে অপর পৃষ্ঠায় প্রাপকের স্বাক্ষর অনুয়ায়ী দলিলটি ফেরত প্রদান করা হইল।

তারিখ………………………….                                                                                                     নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা।”

(৩) ফিসের তালিকার দফা ‘চ(১)(অ) বা (আ) এর অধীন তল্লাশি ফিস আদায় করিতে হইবে এবং সাদা কাগজে উপযুক্ত (১) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত প্রত্যায়ন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, কিন্তু অপেক্ষমান বা অসম্পূর্ণ দলিলের ক্ষেত্রে দফা ‘চ(২) এর অধীন পরিদর্শন ফিস আদায় করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে তল্লাশী বা পরিদর্শন ফিস আদায়যােগ্য সেইক্ষেত্রে, নির্ধারিত ফরমে, আবেদনপত্র প্রযোজ্য। (ছ) রসিদ হারানোর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর টিপছাপ গ্রহণ করিতে হইবে।- রসিদ হারানোর অভিযোগে দলিল ফেরত প্রদানের আবেদনের ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত ভিন্ন টিপছাপ রেজিস্টারে। আবেদনকারীর টিপছাপ গ্রহণ করিতে হইবে। রেজিস্টারের ২ নং কলামের শিরােনামের স্থলে “আবেদনকারীর নাম, স্বাক্ষর ও দলিলে বর্ণিত তাহার সামাজিক বা পেশাগত অবস্থান” হাতে লিখিয়া পরিবর্তন করিতে হইবে।

দলিলটি ফেরত দেওয়ার পূর্বে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দলিলে বিদ্যমান পূর্বের টিপছাপের সহিত, যদি থাকে, বর্তমানে গৃহীত টিপছাপের তুলনা করিয়া স্বয়ং সন্তুষ্ট হইবেন যে, এইরূপ ক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।

অধ্যায় ১১

দলিলের নকল, স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট, আদেশ এবং নিদর্শনপত্র।

১১২। ধারা ৬৪ ও ৬৫ এর বিধানসমূহ কঠোরভাবে পালন করিতে হইবে।- নকল এবং স্মারকলিপি। প্রস্তুতকরণ এবং প্রেরণ সংক্রান্ত ধারা ৬৪ ও ৬৫ এর অধীন বিধানসমূহ কঠোরভাবে পালন করিতে । হইবে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখিতে হইবে যাহাতে কোন অবস্থায়ই অন্যান্য কার্যালয়ে এইরূপ কোন নকল এবং স্মারকলিপি প্রেরণ বাদ না পড়ে।

১১৩। নকল, ইত্যাদি প্রমাণীকরণ।- নকল এবং স্মারকলিপি নকলনবিস, তুলনাকারী এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রমাণীকৃত হইবে, এবং যে কার্যালয়ে প্রস্তুত করা হইয়াছে সেই কার্যালয়ের সিলমোহর দ্বারা মোহরাঙ্কিত হইবে।

১১৪। নকল, ইত্যাদি দ্রুত প্রেরণ।- (ক) যেক্ষেত্রে একটি দলিলের বহু সংখ্যক নকল প্রস্তুত করিতে হয়, সেক্ষেত্রে সব কয়টি নকল সম্পূর্ণ হইবার জন্য অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই, বরং প্রতিটি নকল প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেরণ করিতে হইবে।

(খ) যাহার দ্বারা ড(খ) ফিস আদায় করা হইবে।- যে সকল দলিলের নকল অন্য জেলায় প্রেরণ করা আবশ্যক, সেই সকল দলিলে ফিসের তালিকায় দফা ড(খ) এর অধীন ফিস নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। কর্তৃক আদায় করা হইবে।

(গ) বিধি ৭৭(১) এর অধীন কোন কার্যালয়ে প্রাপ্ত নকল বা নকলসমূহের বিষয়ে স্মারকলিপি প্রস্তুতকরণ সহজ করিবার জন্য সম্পত্তির নাম এবং বিবরণ সম্বলিত নকলের যে অংশ যে জেলায়। পাঠাইতে হইবে উহা নকলটির মার্জিনে লাল কালি দিয়া স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করিতে হইবে, যাহাতে উহা। অনায়াসে স্মারকলিপি প্রস্তুতকারী সহকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে। যাহা হউক, ইহা নকলটিকে সার্বিকভাবে মনােযােগের সহিত পরীক্ষা করিবার বিষয়ে স্মারকলিপি প্রস্তুতকারী সহকারীর দায়িত্ব ক্ষুন্ন। করিবে না।

১১৫। স্মারকলিপি প্রস্তুতকরণ।- স্মারকলিপি প্রস্তুতকালে নিম্নের নির্দেশনা অনুসরণ করিতে হইবে। (পরিশিষ্ট ১, ফরম নং ৬)।

(ক) ১ নং কলামে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে :

(১) দলিলের প্রকার অর্থাৎ বিক্রয়, বন্ধক ইত্যাদি।

(২) দলিল দাখিলের তারিখ।

(৩) নিবন্ধন সংক্রান্ত পৃষ্ঠাঙ্কনের নকল।

(খ) ২ এবং ৩ নং কলাম দুইটি স্বব্যাখ্যাত।

(গ) ৪ নম্বর কলাম দলিলে উল্লিখিত সম্পত্তির সাধারণ বিবরণাদি, অর্থাৎ জমিদারি, পত্তনি তালুক, নীল কারখানা ইত্যাদিসহ জমির অবস্থান, হস্তান্তরিত স্বার্থের পরিমাণ এবং অন্য কোন সংক্ষিপ্ত নাম যাহার দ্বারা সাধারণভাবে সম্পত্তিটি পরিচিত, ইত্যাদি বিষয় লিপিবদ্ধকরণের জন্য নির্দিষ্টকৃত। কালেক্টরেটের নামসহ তৌজি নম্বর ও সার্ভে নম্বর এবং যেক্ষেত্রে সম্ভব জরিপী দাগ নম্বরও দিতে হইবে, শহরের বাড়ি-ঘরের ক্ষেত্রে রাস্তার নাম এবং বাড়ির নম্বর দিতে হইবে।

(ঘ) যেক্ষেত্রে কোন রাজস্ব প্রদানকারী সম্পত্তি হস্তান্তরিত হয়, সেইক্ষেত্রে, সম্ভব হইলে, খাজনার পরিমাণ এবং সমুদয় সম্পত্তি হস্তান্তরিত হইয়াছে, না উহার অংশবিশেষ, তাহা উল্লেখ করিতে হইবে। এবং স্থায়ী স্বত্বের ক্ষেত্রে স্বত্বের প্রকার বর্ণনা করিতে হইবে; বন্ধকী দলিলের ক্ষেত্রে উহা খাইখালাসি, অন্য প্রকার, ইত্যাদি উল্লেখ করিতে হইবে।

১১৬। সংক্ষিপ্ত টীকা প্রেরণ।- যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবার তারিখে কোন দলিলের নকল প্রেরণ করিতে অসমর্থ হন, সেইক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ৫ এর ১৯ নং ফরমে একই দিন একটি সংক্ষিপ্ত টীকা প্রেরণ করিবেন। গ্রহণকারী কর্মকর্তা পরিশিষ্ট ১ এর ১২ নং ফরমে ইহার প্রাপ্তি। স্বীকার করিবেন।

১১৭। ডাক খরচ।- নকল এবং স্মারকলিপি প্রেরণের ডাক খরচ পক্ষগণের উপর ধার্য করা যাইবে না। খরচটি নিবন্ধন ফিস তালিকার ‘ড’ দফার অধীন একীভূত ফিস হইতে সংকুলানকৃত বিধায় আনুষঙ্গিক খরচ হিসাবে সরকার কর্তৃক নির্বাহিত হইবে।

১১৮। নকল, স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রেরণ পদ্ধতি।- (ক) অন্যান্য কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য নকল এবং স্মারকলিপি প্রস্তুতকালে, বিধি ৭৬(২) এ উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসৃত হইবে। (খ) অন্যান্য কার্যালয়ে প্রেরিত সকল নকল ও স্মারকলিপি সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে (ফরম নং ২৬, পরিশিষ্ট ১)।

১১৯। নকল, স্মারকলিপি ইত্যাদি প্রাপ্তির পর কার্যপদ্ধতি।- (ক) ধারা ৮৯ এর অধীন আদালত এবং রাজস্ব কার্যালয় হইতে প্রেরিত নিলাম বিক্রয়ের সার্টিফিকেট ও নিদর্শনপত্রের নকল ও আদেশের অনুলিপি এবং ধারা ৬৪ হইতে ধারা ৬৬ এর অধীন অন্যান্য নিবন্ধন কার্যালয় হইতে প্রেরিত নকল ও স্মারকলিপি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে গৃহীত, অনুস্বাক্ষরিত ও তারিখযুক্ত হইবে। অতঃপর, বিধি ৬(৫) এ নিহিত পদ্ধতিতে সেইগুলি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ক্রমানুসারে নম্বরযুক্ত, পৃষ্ঠা সংখ্যা চিহ্নিত, সুচিকরণ অন্তে নথিভুক্ত করা হইবে। এই সকল ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পৃষ্ঠাঙ্কনটি পরিশিষ্ট ২ এর ৪ নং ফরমে সম্পন্ন করিতে হইবে এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক নিবন্ধিত’ শব্দটির পরিবর্তে নথিভুক্ত (Filed)’ শব্দটি লিখিতে হইবে। (খ) নকল ও স্মারকলিপির প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ফেরৎ প্রাপ্তির পর, উহারা যে দলিল সম্পর্কিত সেই দলিলের ক্রমিক নম্বর অনুসারে নথিভুক্ত করিতে হইবে।

১২০। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি।- (ক) প্রতিটি মামলা গৃহীত হওয়ার শ্রেণি অনুযায়ী সকল। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপিতে বিক্রীত সম্পত্তির সঠিক বর্ণনা ও উহা সনাক্তকরণের নিমিত্ত পর্যাপ্ত তথ্য সন্নিবিষ্ট করিবার জন্য দেওয়ানি আদালতসমূহ হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত হইয়াছে। নিলামক্রেতার পূর্ণ পরিচিতি [ নিবন্ধন আইনের ধারা ২(১) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ] এবং যে সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের এলাকায় সম্পত্তির অংশসমূহ অবস্থিত উহাদের প্রত্যেকটির নাম আদালত কর্তৃক প্রত্যেক ক্ষেত্রে সন্নিবেশিত হইবে। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি যান্ত্রিকভাবে তৈরি মিডিয়াম কাগজে লিখিত হইবে। বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি নিয়মিত প্রেরণে বা উপযুক্ত নির্দেশসমূহ প্রতিপালনে দেওয়ানি : আদালতের ত্রুটিসমূহের বিষয় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ জেলা রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবেন। (খ) বক্ষাদি বিক্রয়ের নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি।- দেওয়ানি আদালত কর্তৃক প্রেরিত। বৃক্ষাদি বিক্রয়ের নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেটের অনুলিপি ১ নং রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধন করিতে হইবে, এই সকল ক্ষেত্রে অনুমান করিতে হইবে যে, দেওয়ানি আদালত বৃক্ষাদিকে স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।

১২১। যুগ কার্যালয়ের ক্ষেত্রে নিলাম বিক্রয় সার্টিফিকেট, ইত্যাদি প্রেরণ পদ্ধতি।- (ক) নিবন্ধন। আইনের ধারা ৮৯ এর অধীন বিক্রয় সার্টিফিকেট বা আদেশ বা নিদর্শনপত্রের অনুলিপিতে অন্তর্ভুক্ত। স্থাবর সম্পত্তির সাকুল্য বা কোন অংশ যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার এলাকায় অবস্থিত তাহার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, তাহার এলাকায় অবস্থিত নহে, এইরূপ স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত কোন বিক্রয় সার্টিফিকেট কোন আদালত হইতে প্রাপ্ত হন, সেইক্ষেত্রে তিনি

উহা সরাসরি উপযুক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবার অনুরােধসহ সংশ্লিষ্ট আদালতে ফেরত পাঠাইবেন। যদি একই নিবন্ধন অধিক্ষেত্রে একযােগে চলমান যুগ্ম-কার্যালয় অবস্থিত থাকে। তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আদালত বা রাজস্ব অফিসার কর্তৃক বিক্রয় সার্টিফিকেট বা আদেশ বা নিদর্শনপত্রের অনুলিপি বিধি ৭৭(৪) এর অধীন জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক নির্দেশিত যুগ সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে।

(খ) একই নিবন্ধন অধিক্ষেত্রে একযোগে চলমান যুগ্ম কার্যালয়সমূহের ক্ষেত্রে বিধি ৭৭(৪) এর অধীন। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত বিক্রয় সার্টিফিকেট প্রেরণ সংক্রান্ত আদেশ জেলার অন্তর্গত সকল দেওয়ানি ও রাজস্ব আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে। সাধারণত, যে থানা বা ফাড়ির অধীন। স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট, আদেশ বা নিদর্শনপত্র-সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত, সেই থানা বা ফাড়ির এলাকায় অবস্থিত যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি এবং বিক্রয় সার্টিফিকেট প্রেরণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার আদেশ প্রদান করিবেন।। (গ) যেক্ষেত্রে একই থানাধীন অধিক্ষেত্রে একাধিক যুগ্ম-কার্যালয় অবস্থিত হয়, সেইক্ষেত্রে সাধারণত রেজিস্ট্রার যে কার্যালয়ে বৎসরে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক দলিল নিবন্ধন হয়, সেই নির্দিষ্ট কার্যালয়ে আদেশ এবং বয়নামা, ইত্যাদির নকল প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।

১২২। নকল এবং স্মারকলিপির ভ্রম সংশোধনের পদ্ধতি।- (ক) অন্য কার্যালয় হইতে কোন স্মারকলিপির অনুলিপি পাওয়া গেলে ইহা নথিভুক্ত করিবার পূর্বে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উহার সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি তাহার এলাকায় অবস্থিত কিনা এবং সঠিকভাবে বর্ণিত হইয়াছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য ইহা পরীক্ষা করিবেন। তিনি আরও লক্ষ্য করিবেন যে, সকল সংশোধনী (যদি থাকে) সত্যায়িত হইয়াছে কিনা। অবশ্য, যদি কোন বিচ্যুতি বা ত্রুটি উদ্ঘাটিত হয়, তাহা হইলে তিনি উহা সংশোধন করিবার নিমিত্ত প্রেরণকারী কর্মকর্তার নিকট ফেরত পাঠাইবেন।।

(খ) প্রাপ্ত সকল নকল এবং স্মারকলিপি (ধারা ৬৪ হইতে ৬৬) এবং বিক্রয় সার্টিফিকেটের সকল অনুলিপি (ধারা ৮৯) ইত্যাদি, প্রত্যেক শ্রেণিতে ক্রমান্বয়ে নম্বরযুক্ত হওয়ার পর দলিলের নকল ও স্মারকলিপির রেজিস্টারে (ফরম নং ৩১, পরিশিষ্ট ১) অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। এইগুলি ধারাবাহিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। ৯ নম্বর কলামের ভুক্তি প্রতিটি দলিল পৃষ্ঠাযুক্ত এবং সূচিবদ্ধ হওয়ার পর পূরণ করা হইবে।

১২৩। স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত উইল।- উইল ব্যতীত অন্য প্রকার দলিল হইল নিবন্ধন আইনের ধারা ৬৪ হইতে ধারা ৬৬ এর কেবলমাত্র উপজীব্য বিষয়। অতএব, যেক্ষেত্রে কোন উইল-সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি। যে জেলায় বা উপ-জেলায় অবস্থিত উক্ত জেলা বা উপ-জেলা ব্যতীত অন্যত্র নিবন্ধিত হয়, সেইক্ষেত্রে। এইরূপ উইলের কোন নকল বা স্মারকলিপি উক্ত জেলা বা উপজেলার নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে না।

অধ্যায় ১২

সূচিকরণ।

১২৪। সূচিকাজ ত্বরিৎ সম্পন্ন করিতে হইবে।- (ক) একটি দলিল রেজিস্টার বহিতে নকলকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্টার বহির বিষয়বস্তু সচিভক্ত করিতে হইবে এবং মূল সূচিসমূহ কোনভাবেই বকেয়া পাড়তে দেওয়া যাইবে না। নকল, স্মারকলিপি, বিক্রয় সার্টিফিকেট ইত্যাদি সম্ভব হইলে, প্রাপ্তির দিনেই সূচিভুক্ত করিতে হইবে এবং সচিভক্ত করিবার পর্বে উহাদিগকে নথিভুক্ত করা যাইবে না।

(খ) অতএব, সুচিভুক্তির কাজ বকেয়া রাখা যাইবে না। যেক্ষেত্রে নিবন্ধন কার্যের ব্যাপক চাপের দরুন সহকারী উক্ত কাজ কুলাইতে পারেন না, সেইক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্মী নিয়ােগের অনুমতি প্রার্থনা করিয়া যথাসময়ে রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানাইতে হইবে।

(গ) যেক্ষেত্রে কোন দলিল যে সনে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছিল সেই সনের পরবর্তী সনে। সমাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে ইহা যে সনে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত হইয়াছিল সেই সনের সূচিবহিতে সূচিভুক্ত করিতে হইবে।

১২৫। নাম সূচিকরণের বিশেষ নিয়ম।- (ক) কোন দলিল সরকারের পক্ষে বা অনুকলে সম্পাদিত ২২লে ১ নং সূচি “জি” (G) গভর্ণমেন্ট- এর অধীন সচিবদ্ধ করিতে হইবে, সম্পাদনকারী কর্মকর্তার নাম ২ নম্বর কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যদি প্রতিপাল্য আদালতের (কোর্ট অব ওয়ার্ডস) পক্ষে বা অনুকূলে হয়, তবে “ডব্লিউ” (W) ওয়ার্ডস, কোর্ট অব- এর অধীন এবং অন্য কোন আদালতের ক্ষেত্রে “সি” (C) কোর্ট- এর অধীন সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। কোম্পানিসমূহের নাম যেভাবে গঠিত, সেইভাবে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, কেবলমাত্র ইংরেজি ‘দি’ আর্টিকেলটি বাদ যাইবে, যথা- দি ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, “এল” (L) এর অধীন, দি মেঘনা ষ্টিম নেভিগেশন। কোম্পানি লিমিটেড “এম” (M) এর অধীন। সমবায় সমিতিসমূহকে তাহাদের নিবন্ধিত নামানুসারে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, যথা- দি কালিয়াকৈর কো-অপারেটিভ সােসাইটি “সিও” (Co) এর পরিবর্তে “কে” (K) এর অধীন সূচিবদ্ধ হইবে।

(খ) যেক্ষেত্রে কোন দলিল এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বা রিসিভার, ট্রাস্টি শেরিফ কর্তৃক সম্পাদিত হয়, সেইক্ষেত্রে ১ নং সূচি এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ইত্যাদির অধীন সূচিবদ্ধ হইবে। (গ) কোন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুকূলে নিবন্ধিত দলিলসমূহ “Ca” (Chairman, … Zilla Parishad) এবং  “Ma” (Mayor, … City Corporation/ Pourashava) এর অধীন সূচিবদ্ধ হইবে, চেয়ারম্যান বা মেয়রের নাম ২ নং কলামে লিপিবদ্ধ করিতে। হইবে।

১২৬। সূচির পদসমূহ।- (ক) নিম্নবর্ণিত পদগুলি ১ নং সূচিবহির ৩ নম্বর কলামে ব্যবহার করিতে হইবে:

ইজারার ক্ষেত্রে- ইজারাদাতা “Lessor” এবং ইজারাদার (ইজারাগ্রহীতা) “Lessee”; পাট্টা সম্পাদনকারী- ইজারাদাতা “Lessor”, পাট্টা গ্রহীতা- ইজারাদার “Lessee”; কবুলিয়ত সম্পাদনকারী ইজারাদার “Lessee”, কবুলিয়ত গ্রহীতা- ইজারাদাতা “Lessor”;

এই সকল দলিলের প্রকৃতি ‘পি (P- Pattah)’ এবং ‘কে (K- Kabuliyat)’ উপসর্গ দ্বারা চিহ্নিত হইবে এবং স্থায়ী, অনির্দিষ্ট এবং মেয়াদি ইজারার জন্য ‘P (Perpetual) বা স্থায়ী, T’ (Indefinite) বা অনির্দিষ্ট এবং T’ (Term) বা মেয়াদি ইত্যাদি উপসর্গ ব্যবহার করিতে হইবে।

বিক্রয়ের ক্ষেত্রে- বিক্রেতা “Vendor” এবং ক্রেতা “Vendee”; বন্ধকের ক্ষেত্রে- বন্ধক দাতা “Mortgagor” এবং বন্ধক গ্রহীতা “Mortgagee”; খাইখালাসি বন্ধকের ক্ষেত্রে ‘U’ (Usufructuary) উপসর্গ সংযুক্ত করিতে হইবে। পুনঃহস্তান্তরপত্রের ক্ষেত্রে – পুনঃহস্তান্তরকারী “Reconveyor” এবং পুনঃহস্তান্তর

agot “Reconveyee”; মুক্তিপত্র বা নাদাবিপত্রের ক্ষেত্রে – দাতা “Releasor” এবং গ্রহীতা “Releasee”;} দানপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”; হেবা বা দানের ঘোষণার ক্ষেত্রে- হেবা বা দানের ঘোষণার দাতা “Donor of declarartion of heba or gift” এবং হেবা বা দানের ঘােষণার গ্রহীতার “Donee ofdeclarartion of heba or gift”;: বন্দোবস্তপত্রের ক্ষেত্রে- বন্দোবস্তপত্রের দাতা “Donor of Settlement” এবং

বন্দোবস্তপত্রের গ্রহীতা “Donee of Settlement”; বণ্টননামা দলিলের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বণ্টনকারী “Partitioner”; স্বত্ব-নিয়ােগপত্রের ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী “Assignor” এবং নিয়ােগপ্রাপ্ত

“Assignee”; – ডিক্রি এবং বয়নামার ক্ষেত্রে- ডিক্রিদার “Decree holder”, ডিক্রির দেনাদার

“Judgment debtor” 978

নিলাম খরিদ্দার “auction purchaser”; সমর্পণ দলিলের ক্ষেত্রে সমর্পণকারী “Surrenderer” এবং সমর্পণ দলিলের গ্রহীতা

“Surrenderee”; রােয়েদাদের ক্ষেত্রে- মধ্যস্থতাকারী “Arbitrator” এবং রােয়েদাদের পক্ষ “Party to

the Award”; পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে – পাওয়ারদাতা “Principal” এবং অ্যাটর্নি

“Attorney”. প্রতিনিধি বা অভিভাবকের ক্ষেত্রে- ইজারাপ-দাতা বা দানপত্র-দাতার প্রতিনিধি

“Representative” বা অভিভাবক। “Guardian” ইত্যাদি পদ ব্যবহার করিতে।

হইবে। (খ) ৩ নং সূচিবহির ৩ নং কলামে নিম্নবর্ণিত পদগুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে। উইলের ক্ষেত্রে উইল দাতা “Testator”, উইল দাত্রী “testatrix”, উইল জমাকারী।

“depositor”,

উইল দলিলের কার্যনির্বাহক “executor” উইল দলিলের কার্যনির্বাহিকা “executrix” শব্দগুলি কালাে কালিতে লিখিতে হইবে; দাবিদার “Claimant” এবং উত্তর দায়-গ্রাহক “Legatee” শব্দগুলি লাল কালি দিয়া লিখিতে হইবে। দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”.

(গ) ৪ নং সূচিবহির ৩ নং কলামে নিম্নবর্ণিত পদগুলি অন্তর্ভুক্ত হইবে:

বন্ড বা তমসুকের ক্ষেত্রে- বন্ডদাতা “Obligor” এবং বন্ড গ্রহীতা “Obligee”; এই পদগুলি কিস্তিখতের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়;

বিক্রয়ের ক্ষেত্রে- বিক্রেতা “Vendor” এবং ক্রেতা “Vendee”; রসিদের ক্ষেত্রে- অধমর্ণ “Debtor” এবং উত্তমর্ণ “Creditor”; দানপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Donor” এবং গ্রহীতা “Donee”; স্বত্বনিয়ােগপত্রের ক্ষেত্রে- নিয়ােগকারী “Assignor” এবং নিয়ােগপ্রাপ্ত “Assignee”; বিমাপত্রের ক্ষেত্রে- বিমাকারী “Insurer’ এবং বিমা গ্রহীতা “Insured”; বিনিময় বিল এবং প্রমিসরি নােট বা প্রত্যর্থপত্রের ক্ষেত্রে- বরাতপত্র দাতা “Drawer”, বরাতপত্র গ্রহীতা “drawee” এবং সত্যায়নকারী “endorser”; ডিক্রির ক্ষেত্রে- ডিক্রিদার “Decree holder” এবং ডিক্রির দেনাদার “Judgment

me debtor”; তালাকনামার ক্ষেত্রে- তালাক প্রদানকারী স্বামী/স্ত্রী “Divorcer” এবং তালাকপ্রাপ্ত

স্বামী/স্ত্রী “Divorcee”; ব্যক্তিগত চাকরির চুক্তিপত্রের ক্ষেত্রে- মনিব “Master” এবং ভৃত্য “Servant”; মুক্তি বা নাদাবিপত্রের ক্ষেত্রে- দাতা “Releasor” এবং গ্রহীতা “Releasee”; দত্তকগ্রহণের ক্ষেত্রে- দত্তক গ্রহীতা পিতা/মাতা “Adopter” এবং দত্তক বা দত্তক

গৃহীত পুত্র/কন্যা “Adopted”; প্রতিনিধি বা অভিভাবকের ক্ষেত্রে ১ নং সূচির অনুরূপ। (ঘ) উপরে সংস্থান হয় নাই এইরূপ অন্যান্য দলিলের সম্পাদনকারীর ক্ষেত্রে ৩ নং কলামে “ .. এর সম্পাদনকারী” (“executant of …… “) এবং গ্রহীতার ক্ষেত্রে “ …… অধীন গ্রহীতা” (“claimant under …… “) শব্দাবলি ব্যবহার করিতে হইবে। “এর” এবং “অধীন” শব্দ দুইটির পূর্বে দলিলের প্রকার লিখিতে হইবে।

১২৭। ২ নং সূচি বহিতে সম্পত্তি সূচিকরণ পদ্ধতি।- (ক) যদি কোন স্থাবর সম্পত্তির প্রতিটি তফসিলের নিজস্ব কোন স্বাতন্ত্র-সূচক নাম না থাকে, তাহা হইলে ২ নং সূচির ১ম কলামে মৌজার। নাম লিখিতে হইবে, এবং অন্য আরও কোন বর্ণনা থাকিলে তাহাও যুক্ত করিতে হইবে, যথা“ … কালেক্টরেটের অধীন দুই আনা হিস্যার ৫২১ নং তৌজি রসুলপুরের অন্তর্গত গাজীপুর মৌজার। ….. নং দাগে ৩০ বিঘা।”

(খ) সম্ভব হইলে ২ নং সূচির ১ম কলামের সংশ্লিষ্ট জমি তালুক, মধ্যস্বত্ব বা জোত কিনা এবং ইহা রাজস্ব বা খাজনাপ্রাপক, নাকি নিষ্কর তাহা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে। নিবন্ধিত দলিলমূলে যে সকল অধিকার ক্ষুন্ন হইয়াছে, উহা, যতদূর সম্ভব, একই কলামে উল্লেখ করিতে হইবে। ১ম কলামে গবাদি পশুর খোঁয়াড় কবুলিয়ত সংক্রান্ত ভুক্তির ক্ষেত্রে খেয়াড়টি যে নামে পরিচিত সেই নামটি অন্তর্ভুক্ত হইবে। এইরূপ দলিল শুল্ক ধার্যের অধিকার প্রদান করে, কিন্তু কোন অবস্থাতেই যে। জমিতে খোঁয়াড়টি সাময়িকভাবে অবস্থিত তাহার সহিত কোন সম্পর্ক বুঝায় না।

(গ) ১ম কলামে জমির জরিপি নম্বরও লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। একাধিক ভূমি খণ্ড বা দাগ থাকিলে সকল দাগ নম্বর লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে সমুদয় দাগ নম্বর ধারাবাহিকভাবে থাকে, যেমন : ১০৫৩, ১০৫৪, ১০৫৫, ১০৫৬, ১০৫৭, ১০৫৮, ১০৫৯ ও ১০৬০, সেইক্ষেত্রে নিম্নরূপভাবে সবকয়টি দাগ প্রদর্শন করা সুবিধাজনক হইবে, যথাদাগ নং ১০৫৩ হইতে ১০৬০ পর্যন্ত। (ঘ) জমির পরিমাণ বা জায়গার বিস্তৃতি ১ নং কলামে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

১২৮। ৩ নং সূচিবহিতে উইলকারী, কার্যনির্বাহক, জমাকারী ও গ্রহীতার নাম সূচিকরণ পদ্ধতি।– নিবন্ধন আইনের ধারা ৫৫ এর উপ-ধারা (৪) এবং বিধি ৮৬ এ ৩ নং সূচি প্রস্তুতকরণের পদ্ধতি বর্ণিত আছে। নিম্নবর্ণিত নির্দেশসমূহ যত্নসহকারে পালন করিতে হইবে :(ক) সিলমােহরযুক্ত খামভুক্ত উইলের জমাকারীর নাম কাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : জমাকারী অর্থ উইলকারী, যাহার উইল তিনি স্বয়ং জমা করেন বা এজেন্টের মাধ্যমে জমা করা। হয়। এজেন্টের নাম আলাদাভাবে সূচিবদ্ধ করিবার প্রয়ােজন নাই।। (খ) উইলকারী জীবিত থাকাকালীন উইলটি নিবন্ধন করা হইলে (ধারা ৪১(১)], কেবলমাত্র । উইলকারী এবং যদি উক্ত উইলের অধীন কার্য নির্বাহক কেহ নিযুক্ত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে।

কার্যনির্বাহকের নাম সূচিবদ্ধ হইবে, এবং ভুক্তিসমূহ কাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। | (গ) যদি উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলটি নিবন্ধন করা হয় [ধারা ৪১(২)], অথবা যদি একটি

সিলমােহরযুক্ত খাম উন্মুক্ত করা হয় এবং ৩ নং বহিতে নকল করা হয় [ধারা ৪৫(১) ও ৪৬], অথবা যদি উইলটি ৪৬ ধারার অধীন নিবন্ধন করা হয়, যাহা অবশ্যই উইলকারীর মৃত্যুর পর হইবে, তাহা হইলে, উইলকারীর এবং যদি উইলের অধীন কেহ নিযুক্ত হইয়া থাকেন উক্ত কার্যনির্বাহকের নাম, উপরন্তু উইলের গ্রহীতাগণের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, এবং উইলকারী। ও কার্যনির্বাহকের ভুক্তিসমূহ কাল কালিতে এবং গ্রহীতাগণের নাম লাল কালিতে সচিবদ্ধ।

করিতে হইবে। (ঘ) অনুরূপভাবে, জীবিত অবস্থায় দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধন করা হইলে (ধারা ৪১(১)]

কেবলমাত্র দাতার নাম লাল কালিতে সূচিবদ্ধ হইবে।। যদি দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রটি দাতার মৃত্যুর পর নিবন্ধন করা হয় [ধারা ৪১(২)], তাহা হইলে তাহার নাম কাল কালিতে সূচিবদ্ধ হইবে এবং দলিলটির অধীন দাবিদারগণ অর্থাৎ গ্রহীতা এবং দত্তকপুত্রের নাম লাল কালিতে সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।

১২৯। নকল ও স্মারকলিপি সচিকরণ।- (ক) দলিলের নকল এবং স্মারকলিপি সংক্রান্ত ভক্তিসমত লিপিবদ্ধ করিবার ক্ষেত্রে যে কার্যালয়ে নকল বা স্মারকলিপিটি নথিভুক্ত হইয়াছে সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে নিবন্ধিত হইয়াছে” শিরােনামযুক্ত কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

সভ করিতে হইবে। যে কার্যালয়ে মূল দলিলটি নিবন্ধন করা হইয়াছে তাহাও বন্ধনীর ভিতর লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। (খ) বিক্রয় সার্টিফিকেট, ইত্যাদির সূচিকরণ।- ধারা ৮৯ এর অধীন

* পাকা ৮৯ এর অধীন গৃহীত বিক্রয় সার্টিফিকেট, নিদর্শনপত্র বা আদেশের নকল সুচিকরণের ক্ষেত্রে বন্ধনীর মধ্যে প্রেরণকারী আদালতের নাম ও কর্মকর্তার পদবিসহ যে কার্যালয়ে নথিভুক্ত হইয়াছে, সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে

য নথিভক্ত হইয়াছে সেই কার্যালয়ের নাম “যেখানে নিবন্ধিত হইয়াছে” শিরােনামযুক্ত কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৩০। নাবালক, ইত্যাদির সহিত অভিভাবকের নাম সুচিকরণ।- (ক) পাওয়ার অব অ্যাটনিদাতার।

” ৭১, বা নাবালকের পক্ষে অভিভাবক বা নির্বোধ বা উনাদের পক্ষে কমিটি বা তত্তাবধায়ক (curator) কর্তৃক সম্পাদিত দলিলের ক্ষেত্রে পাওয়ারদাতা, অভিভাবক, কমিটি, ইত্যাদির নাম, অধিকন্তু এজেন্ট, নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে ১ম কলামের ভুক্তিসমূহ নিম্নরূপ হইবে :আ (A)- আবদুল হালিম : পাওয়ারদাতা বা নাবালক নিয়াজ আহমেদ এর এজেন্ট বা

অভিভাবক। ন (N)- নিয়াজ আহমেদ : পাওয়ারদাতা বা নাবালক … , তাহার এজেন্ট বা অভিভাবক।

আব্দুল হালিম দ্বারা। (খ) নামহীন নাবালক।- যেক্ষেত্রে নামহীন কোন নাবালক কোন দলিলের পক্ষ হয়, সেইক্ষেত্রে তাহার। অভিভাবকের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে, নাবালক যে নামহীন এই বিষয়টিও লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ১৩১। প্রতিলিপিসহ দলিল সূচিকরণ।- বিধি ৬২ এর অধীন কোন দলিল দ্বিলিপি, ত্রিলিপি ইত্যাদি পর্যন্ত নিবন্ধিত হইলে মূল দলিলটির সূচি সবিস্তারে সম্পন্ন করিতে হইবে, কিন্তু দ্বিলিপি, ত্রিলিপি বা অন্যান্য প্রতিলিপির ক্ষেত্রে ১ নং সূচির ১ম হইতে ৪র্থ কলাম, ২ নং সূচির ১ম হইতে ৫ম কলাম এবং ৪ নং সূচির ১ম হইতে ৩য় কলাম পূরণ করিতে হইবে না- “দ্বিলিপি”, “ত্রিলিপি” ইত্যাদি, যেখানে। যেমনটি প্রযােজ্য, ইহাদের উপর আড়াআড়িভাবে লিখিতে হইবে। শেষােক্ত প্রতিটি দলিলের ক্রমিক নম্বর, বহি নম্বর এবং যে পৃষ্ঠায় নকল করা হইয়াছে সেই পৃষ্ঠা নম্বর, অধিকন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রে মূল দলিলের ভুক্তিসমূহের নিম্নভাগে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৩২। যে সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়াছে তাহাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে না।- একাধিক সম্পাদনকারীর মধ্যে কোন একজনের ক্ষেত্রে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইলে, যাহার পক্ষে। নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়াছে তাহার নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে না।

১৩৩। পুনঃনিবন্ধনের ক্ষেত্রে সূচি।- কোন দলিল পুনঃনিবন্ধন করা হইলে কেবলমাত্র পনঃনিবন্ধনের সহিত সম্পৃক্তদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৩৪। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতায় সম্পাদনকারী ব্যক্তি।- কোন ব্যক্তি নিজের পক্ষে এবং প্রতিনিধি হিসাবে অন্য কাহারও পক্ষে কোন দলিল সম্পাদন করিলে সমিকরণের ক্ষেত্রে তাহার নাম দুইবার লিপিবদ্ধ। করিতে হইবে, একবার সম্পাদনকারী হিসাবে এবং অন্যবার অন্য কাহারও প্রতিনিধি হিসাবে।

১৩৫। ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীন রােয়েদাদ।- ভূমি অধিগ্রহণ আইনের অধীন রােয়েদাদের ক্ষেত্রে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সরকারি বিভাগ (কেবলমাত্র সরকার নহে) যাহাদের সুবিধার্থে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়, গ্রহীতা হিসাবে তাহাদের নাম সূচিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৩৬। বন্ধকী দলিলের পৃষ্ঠাঙ্কন।- বন্ধকী বা তমসুক, ইত্যাদি দলিলের পৃষ্ঠে লিখিত রসিদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রসিদে উল্লিখিত পরিশােধকারী এবং প্রাপকের নাম সুচিবদ্ধ করিতে হইবে, প্রথমােক্ত ব্যক্তি। গ্রহীতা হিসাবে এবং শেষােক্ত ব্যক্তি সম্পাদনকারী হিসাবে।

১৩৭। সূচিবহি রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিখুঁতকরণ।- (ক) কোন বৎসরের জন্য আবশ্যক সূচিবহিসমূহের ব্যবহার শুরু করিবার পূর্বে, পূর্ববর্তী বৎসরের অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করিয়া চলতি বৎসরে প্রতিটি বর্ণের অধীন সূচিভুক্তির জন্য কত সংখ্যক পৃষ্ঠা আবশ্যক হইতে পারে তাহার। একটি আনুমানিক হিসাব তৈয়ার করিতে হইবে। তদনুসারে প্রতিটি বর্ণের জন্য (A হইতে Z পর্যন্ত) বহির পৃষ্ঠাসমূহ বা সূচিবহিসমূহ আলাদা করিতে হইবে। বহির শেষে বা যেক্ষেত্রে একাধিক বহি ব্যবহৃত হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ বহির শেষটিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক খালি পৃষ্ঠা সংরক্ষণ করিতে হইবে। যদি হিসাবে কম পড়িবার কারণে কোন একটি বর্ণের জন্য আলাদাকৃত পৃষ্ঠাসমূহ অপর্যাপ্ত হয়, তাহা। হইলে অতিরিক্ত প্রয়ােজনে অপর একটি আনুমানিক হিসাব তৈয়ার করিতে হইবে এবং উক্ত বর্ণের। ভুক্তির জন্য আবশ্যক সংখ্যক পৃষ্ঠা সংরক্ষিত বহি হইতে সংকুলান করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রে। বহির এক অংশের সহিত অন্য অংশের নিম্নরূপ একটি প্রসঙ্গ-নির্দেশ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে:”(১) শেষ পৃষ্ঠার নিম্নভাগে যেখান হইতে ভুক্তিসমূহ অসমাপ্ত: “ এই বর্ণের অধীন আরও ভুক্তির

জন্য …… পৃষ্ঠা দেখুন। ” (২) প্রথম পৃষ্ঠার শীর্ষভাগে যেখান হইতে এই বর্ণের অধীন আরও ভুক্তিসমূহ আরম্ভ হয়:

…… পৃষ্ঠা হইতে চলমান। ” (খ) বিধি ১৫ এর অধীন নির্ধারিত প্রত্যায়নসমূহ, যতদূর প্রযােজ্য, সূচিবহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। (গ) সূচিসমূহ যে সন সম্পর্কিত সেই সনটি এই উদ্দেশ্যে প্রতিটি পৃষ্ঠার শীর্ষে সংরক্ষিত স্থানে অবশ্যই লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(ঘ) সূচিকরণের ক্ষেত্রে সকল সংশােধনী এই কার্যে নিয়ােজিত সহকারী কর্তৃক সূচিভুক্ত করিবার সময় অনুস্বাক্ষরিত হইবে। (ঙ) বৎসর সমাপনান্তে প্রতিটি বর্ণের ভুক্তির অধীন সুনির্দিষ্ট পৃষ্ঠা প্রদর্শনপূর্বক পরিচ্ছন্নভাবে একটি তালিকা তৈয়ার করিতে হইবে এবং উক্ত সনের সূচিবহির প্রথম পৃষ্ঠায় আঠা দিয়া উক্ত তালিকা। লাগাইয়া রাখিতে হইবে।

তালিকাটি নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে প্রস্তুত করিতে হইবে:

…………………………..সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ১, ২, ৩ বা ৪ নং সূচি

……………………..সনের জন্য

সূচিপত্র

বর্ণের অধীন ভূক্তিসমূহ

যে বহিতে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে

পৃষ্ঠাসমূহ

   

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এই তালিকার যথার্থতার বিষয় সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবেন এবং উক্ত মর্মে ইহার নীচে একটি প্রত্যায়ন রেকর্ডভুক্ত করিবেন। প্রত্যায়নটি তাহার দ্বারা পূর্ণ স্বাক্ষরযুক্ত ও তারিখযুক্ত হইবে।

অধ্যায় ১৩

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পর্কে বিশেষ বিধান।

১৩৮। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন ও প্রমাণীকরণের মধ্যে পার্থক্য।- অন্যান্য দলিলের মত যে কোন। বর্ণনার পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন করা যাইতে পারে, কিন্তু ধারা ৩৩ এর অধীন প্রমাণীকৃত না হওয়া পর্যন্ত পাওয়ারদাতা কর্তৃক বা তাহার অনুকূলে সম্পাদিত দলিল নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে দাখিল করা হইলে ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। সুতরাং যদি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক দাখিল করা হয়, যিনি সম্ভবত নিবন্ধন এবং প্রমাণীকরণের মধ্যে পার্থক্য অনুধাবন করিতে পারেন না এবং যদি ইহা এমন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি না হয় যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রমাণীকরণ করিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি তাহা নিবন্ধন করিবেন। যদি একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন ও প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে আনীত হয় তাহা হইলে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রথমে ইহা প্রমাণীকরণ করিবেন, অতঃপর স্বাভাবিক নিয়মে নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করিবেন, দুইটি কর্মপদ্ধতি ভিন্ন লেনদেন হিসাবে গণ্য হইবে এবং প্রত্যেকটির জন্য প্রচলিত ফিসাদি ধার্য করা হইবে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি ভিন্ন ক্রমিক নম্বরে ফি বহিতে জমা করা হইবে।

স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যতীত সকল পাওয়ার ৪নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত পাওয়ার ১ নং বহিতে নিবন্ধিত হইবে।

১৩৯। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন।- (ক) প্রমাণীকরণের জন্য প্রতিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩(১)(ক) এর অধীন অবশ্যই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত হইতে হইবে। এই বিধানের একমাত্র ব্যতিক্রম হইল উক্ত ধারার বিধানের অধীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের জন্য নিবন্ধন কার্যালয়ে উপস্থিতি হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার। (খ) নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১)(ক) এর প্রয়ােজনে দাখিল প্রদানের পূর্বে সম্পাদিত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে পুনঃ সম্পাদনের মাধ্যমে বহাল থাকিবে।।

১৪০। দলিল সম্পাদন ও দাখিল করিবার ক্ষমতাযুক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- দলিল সম্পাদন এবং নিবন্ধনের জন্য দাখিল করিবার ও সম্পাদন স্বীকার করিবার ক্ষমতাযুক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল, আইন অনুযায়ী প্রমাণীকরণের আবশ্যক নাই। এইরূপ পাওয়ার প্রমাণীকরণ করা হইবে না, কিন্তু পক্ষগণ চাহিলে নিবন্ধন করা যাইতে পারে।

১৪১। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনকারীগণের টিপছাপ গ্রহণ।– সম্পাদনকারীগণের সনাক্তকরণ এবং তাহাদের টিপছাপ গ্রহণ সংক্রান্ত বিধি ৪৬ এবং বিধি ৪৮ এর বিধান পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য হইবে।

১৪২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে পক্ষগণের পূর্ণ বিবরণ আবশ্যক।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়ে দাখিলকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল পক্ষগণের পূর্ণ তথ্যাদি (ঠিকানা, পেশা, জীবিকা ইত্যাদি) কিংবা তাহাদের সনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত বিবরণ সংবলিত হইতে হইবে। (খ) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ এইরূপ তথ্য বা বিবরণবিহীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসমূহে বিচ্যুতি সরবরাহ করিবার জন্য পক্ষগণের নিকট ফেরত প্রদান করিবেন।

১৪৩। বাংলাদেশে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- (ক) যেক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের সময় পাওয়ারদাতা বাংলাদেশের যে কোন অংশে বসবাস করেন যেখানে এই আইন বলবৎ, সেইক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত হইতে হইবে, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান ক্ষেত্রমত, প্রযােজ্য হইবে। যদি এইরূপ পাওয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রমাণীকৃত হয়, তাহা হইলে, ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে, ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। (খ) যদি পাওয়ারদাতা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদনের সময় বাংলাদেশের কোন অংশে বসবাস করেন, যেখানে এই আইন বলবৎ নহে, যথা- পার্বত্য চট্রগ্রাম, তাহা হইলে, এইরূপ পাওয়ার অবশ্যই কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত হইতে হইবে, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান ক্ষেত্রমত, প্রযােজ্য হইবে, অন্যথায় ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে ইহা গ্রাহ্য করা হইবে না। (গ) বাংলাদেশের বাহিরে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।- বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ উল্লিখিত কোন কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত এবং তৎকর্তৃক প্রমাণীকৃত, অধিকন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন, ২০১২ এর বিধান। ক্ষেত্রমত, প্রতিপালিত না হওয়া পর্যন্ত ধারা ৩২ এর প্রয়ােজনে, গ্রাহ্য করা হইবে না। যে সকল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পাওয়ারদাতার অনুপস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের হলফনামার উপর নােটারী। পাবলিক কর্তৃক প্রমাণীকৃত, তাহা নিবন্ধনের প্রয়ােজনে গ্রাহ্য করা হইবে না।

১৪৪। একটি দলিলে কতিপয় ক্ষমতা।- (ক) স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদান সাপেক্ষে, একই পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে কতিপয় ক্ষমতা সংযােজনে কোন আপত্তি নাই।।

(খ) দলিল সম্পাদন ও নিবন্ধনের জন্য দাখিলকরণ, স্ট্যাম্প শুল্কের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি লেনদেন। সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে যে, পাওয়ার অব অ্যাটনির স্ট্যাম্প শুল্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে দলিল। সম্পাদন এবং নিবন্ধনের জন্য উহা দাখিলকরণ একটি লেনদেন হিসাবে গণ্য হইবে।

১৪৫। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের জন্য দাখিল করিতে হইবে।- কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সম্পাদন স্বতঃস্ফূর্তভাবে হইয়াছে কিনা, সেই বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের নিমিত্ত, নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন, ভিজিট বা কমিশনের আবেদন লিখিত হইতে হইবে, এবং, সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তির পক্ষে ইহা দাখিলকত তাহার দ্বারা স্বাক্ষরিত হইতে হইবে। যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কমিশন ইস্য করিতে চাহেন, সেইক্ষেত্রে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৬৯ এর অধীন নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৩৪ এর বিধান অনুযায়ী পরিশিষ্ট ২ এর ৫ নং ফরমে কমিশনটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে রেকর্ডভক্ত করিতে হইবে। অতএব, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য ভিজিট বা কমিশনের আবেদনের সহিত সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি তাহার। সম্মুখে দাখিল করিতে হইবে, যাহাতে তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটিতে শুধু কমিশনের পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ *মতে সমর্থ হবেন, তাহা নহে বরং ইহার বিষয়বস্তু অবগত হইয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। “, “ধান আইনের ধারা ৩২ বা ধারা ৩৪ এর প্রয়ােজনে প্রকতপক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটনিটির প্রমাণীকরণ আবশ্যক কিনা।

যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হন যে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটির প্রমাণীকরণ আবশ্যক এবং কামশন ইস্যু করিবার পরিবর্তে স্বয়ং ভিজিট প্রদান করিতে মনস্থির করেন, তাহা হইলে তিনি ভিজিটে গমনের সময় পাওয়ার দলিলটি অবশ্যই সাথে নিবেন। অতএব, সাধারণভাবে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন ভিজিট বা কমিশনের প্রতিটি আবেদনের সহিত প্রমাণীকরণযােগ্য মূল পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি সংযুক্ত করিতে হইবে। স্ট্যাম্পের প্রত্যায়ন এবং দাখিলকরণের পৃষ্ঠাঙ্কন পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটিতে যথাযথ পরিবর্তনসহ রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে। ফি বহিতে প্রয়ােজনীয় ভূক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। বিধি ৪৪ এ নির্ধারিত মতে পরিশিষ্ট ১ এর ৮ নং ফরমে একটি রসিদ প্রদান করিতে হইবে।

যাহা হউক, এমন ঘটনাও ঘটিতে পারে যেক্ষেত্রে ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন উপস্থিতি। হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার ব্যক্তিগত আবাসস্থলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করিবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে পারেন এবং ভিজিটের সময় উক্ত ব্যক্তি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি সম্পাদন করিতে পারেন। ধারা ৩৩ এর অধীন বিধানটি এইরূপ কোন ঘটনার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে প্রত্যাশা করে না, কিন্তু পাশাপাশি এইরূপ সম্ভাবনা বাতিলও করে না। অধিকন্তু যেক্ষেত্রে, ইতােমধ্যে সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির স্বতঃপ্রবৃত্ত সম্পাদনের বিষয়ে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বয়ং সন্তুষ্ট হওয়া এবং এইরূপ সন্তুষ্টির সহিত ইহার প্রমাণীকরণ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে তিনি আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সেইক্ষেত্রে প্রকৃতই তাহার সম্মুখে সম্পাদিত হইলে তিনি ভজিটের সময় অধিকতর প্রত্যয়ের সহিত ইহার প্রমাণীকরণ সম্পন্ন করিতে পারিবেন; কারণ সম্পাদনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে এই ঘটনার চাইতে অধিকতর ভাল প্রমাণ আর হইতে পারে না; এবং এই সকল ব্যতিক্রমধর্মী ক্ষেত্রে ভিজিটের আবেদন গ্রহণে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ তাহাদের স্বীয় বিচক্ষণ ক্ষমতা প্রয়ােগ করিবেন। অবশ্য এই সকল ক্ষেত্রে বর্তমান বিধানের অধীন কোন কমিশন ইস্য করা যাইবে না। এইক্ষেত্রে পরিশিষ্ট ২ এর ৮ নং ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন করিতে হইবে, ভিজিটের স্থানটি পৃষ্ঠাঙ্কনে যুক্ত করিতে হইবে।

১৪৬। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ প্রস্তুতকরণ।- পাওয়ারদাতা, তাহার এজেন্ট এবং সনাক্তকারীর নাম এবং পূর্ণ পরিচিতি (ঠিকানা, পেশা, জীবিকা ইত্যাদি), প্রমাণীকরণের তারিখ এবং এজেন্টকে প্রদত্ত কতিপয় ক্ষমতার সার-সংক্ষেপ ইত্যাদি, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি প্রমাণীকরণের সঙ্গে সঙ্গে, বিধি ৭ দ্বারা নির্ধারিত পরিশিষ্ট ১ এর ১৭ নং ফরমে, রক্ষিত রেজিস্টারের যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টারে ভুক্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করিবার সময় নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ সতর্কতার সহিত অনুসরণ করিতে হইবে :

(ক) প্রতিটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপের উপরিভাগে পরিশােধকৃত স্ট্যাম্প শুল্ক লাল কালিতে লিখিতে হইবে।

(খ) সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ এজেন্টকে প্রদত্ত বিভিন্ন ক্ষমতার একটি সুস্পষ্ট সার সংকলন সংবলিত হইবে।

(গ) সম্পাদিতব্য বা নিবন্ধিতব্য কোন দলিল বা দলিলসমূহের বিবরণী, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে

যাহার উল্লেখ আছে (এবং এজেন্টকে প্রদত্ত স্বতন্ত্র ক্ষমতা যদি থাকে, উহার সার-সংকলনও)

বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপ ধারণ করিবে।

(ঘ) পূর্ববর্তী কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহারকরণের কোন শর্ত থাকিলে, সার-সংক্ষেপে তাহা

লিখিতে হইবে।

(ঙ) বিধি ৯১ এ নির্ধারিত টীকা প্রতিক্ষেত্রে রেজিস্টারে নকল করিতে হইবে।

রেজিস্টারের প্রতিটি সার-সংক্ষেপ প্রমাণীকরণের দিন বা যথাশীঘ্র সম্ভব প্রস্তুত করিতে হইবে। এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে, এবং তিনি রেজিস্টারের প্রতি কলামে ভুক্তির নিম্নভাগে তাহার অনুস্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

(ছ) সকল পাওয়ারদাতা এবং অ্যাটর্নিগণের নামের সূচিপত্র একই রেজিস্টারে বৎসরান্তে উক্ত সনের সর্বশেষ ভুক্তির পর নিম্নে প্রদত্ত ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে :

নামঠিকানা, জাতীয়তা, পেশা ইত্যাদিলেনদেনে স্বার্থপাওয়ার অব অ্যাটর্নিযে পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে
     

১৪৭। পাওয়ার প্রত্যাহারকরণ।- কোন পাওয়ারদাতা কোন প্রমাণীকৃত পাওয়ার প্রত্যাহার করিতে। চাহিলে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি, যদি উহা পাওয়া যায়, বাতিলকরণের নিমিত্ত একটি আবেদনপত্রসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থাপন করিবেন। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহারকরণ নথির ….. পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য” শব্দাবলি প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টারের মূল ভুক্তির উপরে এবং পাওয়ার দলিলেও, যদি উহা আবেদনপত্রের সহিত দাখিল করা হইয়া থাকে, লাল কালি দিয়া লিপিবদ্ধ করিবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও তারিখ অবশ্যই প্রদান করিতে হইবে।

১৪৮। পাওয়ার প্রত্যাহারকরণের আবেদন বা বিজ্ঞপ্তি গ্রহণ করিবার পদ্ধতি।- প্রত্যেক নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, তাহার কার্যালয়েই হউক বা অন্য কোন কার্যালয়ে, প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, প্রত্যাহারকরণের আবেদন বা বিজ্ঞপ্তি একটি নথিতে সংরক্ষণ করিবেন। বিজ্ঞপ্তির উপর আড়াআড়িভাবে উহা গ্রহণের তারিখ এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে এবং কার্যালয়ের নােটিশ বাের্ডে আবেদন বা বিজ্ঞপ্তির একটি অনুলিপি প্রদর্শন করিতে হইবে। কোন পাওয়ার অকার্যকর হইয়াছে কি না, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হইবার জন্য তাৎক্ষণিক প্রসঙ্গ-নির্দেশের জন্য সকল প্রত্যাহৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির একটি তালিকা তাহার সম্মুখে রাখিতে পারিবেন।।

১৪৯। দ্বিলিপি বা ত্রিলিপি বিশিষ্ট পাওয়ার।- (ক) প্রমাণীকরণের জন্য দাখিলকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দ্বিলিপি বা ত্রিলিপিকে ভিন্ন পাওয়ার হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং ইহার জন্য ভিন্ন। প্রমাণীকরণ ফিস ধার্য করিতে হইবে, কিন্তু পাওয়ার অব অ্যাটর্নির রেজিস্টারে একাধিকবার ইহার সারসংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করিবার প্রয়ােজন হইবে না। সংশ্লিষ্ট দ্বিলিপি বা ত্রিলিপির স্ট্যাম্পের মূল্যসহ উহাদের নম্বর যথাযথ স্থানে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, একই সঙ্গে সার-সংক্ষেপের কলামে নিম্নবর্ণিত ফরমে একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

“ইহা ….. নং পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দ্বিলিপি, ত্রিলিপি বা ….. লিপি, যাহার সার-সংক্ষেপ ….. নং পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ রহিয়াছে।”

(খ) একাধিক পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত বলিয়া প্রতীয়মান পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দাতাগণ, যাহারা ভিন্ন ভিন্ন সময় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হন এবং যাহাদের বাবদ ফিসের তালিকার (ঠ) দফার অধীন এইরূপ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণের জন্য ভিন্ন ফিস ধার্য করা হয়, সেই সকল পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে যতজন পাওয়ারদাতা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে। উপস্থিত হইবেন এবং পরীক্ষিত হইবেন, পাওয়ারটিতে ততটি নম্বর যুক্ত হইবে। তবে, পাওয়ার অব। অ্যাটর্নি রেজিস্টারে একাধিকবার ইহার সার-সংক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা আবশ্যক হইবে না।

১৫০। জেলা রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক পাওয়ার প্রমাণীকরণ।- জেলা রেজিস্ট্রারের অধিক্ষেত্রাধীন জেলার যে কোন অংশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জেলা রেজিস্ট্রার প্রমাণীকরণ করিতে পারিবেন। অতএব, একজন সাব-রেজিস্ট্রার তাহার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে। রেজিস্ট্রার হিসাবে এইরূপ পাওয়ার প্রমাণীকরণ করিতে পারিবেন।।

১৫১। মৃত সম্পাদনকারীর পক্ষে এজেন্ট সম্পাদন স্বীকার করিতে অধিকারপ্রাপ্ত নহে।- যেক্ষেত্রে কোন এজেন্ট কোন দলিলের সম্পাদন স্বীকার করিবার জন্য উপস্থিত হন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এজেন্টকে জিজ্ঞাসা করিয়া সন্তুষ্ট হইবেন যে, সম্পাদনকারী জীবিত আছেন। অধিকন্তু, যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, পাওয়ারদাতা মৃত, তাহা হইলে তিনি একটি জবানবন্দি রেকর্ডভুক্ত করিবেন, এবং যদি অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, তিনি মৃত, তাহা হইলে মৃতের প্রতিনিধি বা মনােনীত ব্যক্তি উপস্থিত হইয়া সম্পাদন স্বীকার না করা পর্যন্ত তিনি দলিলটি নিবন্ধন করিবেন না।

১৫২। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণীকরণে অসম্মতি।- যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৩ এর উপধারা (৩) এর অধীন পাওয়ারদাতা কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির। স্বতঃপ্রবৃত্ত সম্পাদনের বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তাহার আবাসস্থলে উপস্থিত হইয়া নিশ্চিত হইতে।

পারেন না যে, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি প্রকৃত পাওয়ারদাতা কর্তৃক স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। বা যেক্ষেত্রে তাহার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, পাওয়ারদাতা নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদ, সেইক্ষেত্রে। প্রমাণীকরণে তাহার অস্বীকৃতির বিষয়টি তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে রেকর্ডভক্ত করিবেন : “তাহার বাসস্থান পরিদর্শন এবং তাহাকে পরীক্ষা ইত্যাদি, করিয়া আমি নিশ্চিত নহি যে, এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তাহার দ্বারা স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে সম্পাদিত হইয়াছে (বা আমার মতে পাওয়ারদাতা আনুমানিক ….. বৎসর বয়সের নাবালক বা নির্বোধ বা উন্মাদ) এবং তদনুসারে আমি ইহার প্রমাণীকরণে আমার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতেছি।” দলিলটি অবিলম্বে ফেরত প্রদান করিতে হইবে এবং ভিজিট ও কমিশন রেজিস্টারের মন্তব্যের কলামে। নিম্নবর্ণিত ফরমে টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: “সম্পাদনকারীর সম্পাদন অস্বীকার, নাবালকত্ব, নির্বুদ্ধিতা বা, ক্ষেত্রমত, উন্মাদগ্রস্ততার কারণে। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির প্রমাণীকরণ অগ্রাহ্য করা হইল।”

১৫৩। [ বাতিলকৃত]।

অধ্যায় ১৪

উইল এবং দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রের বিষয়ে পদ্ধতি

১৫৪। উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের পদ্ধতি।- নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৫ এ নির্ধারিত পদ্ধতি উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য। নহে। ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২), এইরূপে দাখিলকৃত উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের বিষয় সম্পর্কিত।

১৫৫। উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিলকরণ।- যদি উইলকারী বা দাতার মৃত্যুর পর কোন উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, তাহা হইলে, যে ব্যক্তি এইরূপ উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিল করেন তিনি অবশ্যই, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে নিশ্চিত করিবেন যে, উইলকারী বা দাতা মৃত এবং উইল বা দত্তকগ্রহণের ক্ষমতাপত্রটি উইলকারী বা, ক্ষেত্রমত, দাতা কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছিল এবং তিনি উহা দাখিল করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বিশেষ ক্ষেত্রে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন অভিপ্রেত। অনুসন্ধানের জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য করিতে পারিবেন।

১৫৬। বিধি ৪২ক এর অধীন গ্রহণযােগ্যতার প্রত্যায়নপত্র।- উইলের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদেয় নহে। বিধায় বিধি ৪২ক এর অধীন গ্রহণযােগ্যতার প্রত্যায়ন নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে :“বিধি ২০ এর অধীন গ্রহণযােগ্য। ১৮৯৯ সনের স্ট্যাম্প আইনের অধীন স্ট্যাম্প শুল্কের আবশ্যকতা।

১৫৭। উইল ও সিলমােহরযুক্ত খাম উনাক্তকরণ।- ধারা ৪৫ এর অধীন উন্মুক্তকৃত উইলসহ সকল।- সিলমােহরযুক্ত খাম ক্ষয়-ক্ষতি বা অনিষ্ট হইতে সুরক্ষার জন্য শক্ত খামের অভ্যন্তরে রাখিতে হইবে। ধারা ৪২ এর অধীন জমাকৃত উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খামসমূহ নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ১০০ এর বিধান প্রতিপালনের নিমিত্ত প্রতিমাসে পরীক্ষা করিতে হইবে, এবং এইরূপ পরীক্ষকরণের বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারের দিনপঞ্জির “মন্তব্য” কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। সিলমােহরযুক্ত খামসমূহ এইরূপ পরীক্ষাকরণের পর দুষ্ট অবস্থা বিবরণী ‘ক’ এর বিবৃতি ‘ঘ’ এর নিম্ন ভবতি ‘ঘ’ এর নিম্নভাগে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৫৮। সিলমােহরযুক্ত খাম সংক্রান্ত পত্র যােগাযােগ।- সিলমােহরযুক্ত খাম সম্পর্কিত যােগাযােগ সংক্রান্ত পত্রাদি এবং প্রত্যাহৃত বা আদালতে প্রেরিত খামের প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসমূহ যত্নের সহিত ক্ত করিতে হইবে এবং লােহার সিন্ধকে রাখিতে হইবে, যাহাতে প্রয়ােজনের সময় এইগুলি অনায়াসে পেশ করা যায়। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসমহ ৫ নং রেজিস্টার বহিতে আঠা দ্বারা লাগাইতে হইবে। , তবে, সংশ্লিষ্ট ভুক্তিটির বিপরীতে, একটি টীকা লিপিবদ্ধ করা যাইবে।

১৫৯। নিবন্ধিত এবং অগ্রাহ্যকত দাবিবিহীন উইল।- নিবন্ধিত এবং অগ্রাহ্যকত দাবিবিহীন উহলসমূহ। অন্যান্য দাবিবিহীন দলিল হইতে পথক করিয়া রাখিতে হইবে এবং উহাদের নিবন্ধন বা, ক্ষেত্রমত, অগ্রাহ্যকরণ হওয়ার তারিখ হইতে ১ (দুই) বৎসর পর জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ কাম যিনি উহা সংশিষ্ট সদর কার্যালয়ে সংরক্ষণের নিমিত্ত প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এইম। ‘ প্রাপ্তির পর, সদর রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অবিলম্বে সদর কার্যালয়ে রক্ষিত দাবাবহান উইলের রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে।

১৬০। উইল উনাক্তকরণের সময় পৃষ্ঠাঙ্কন।- (ক) যেক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৫ এর অধীন উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খাম উনাক্ত করা হয়, সেইক্ষেত্রে বিধি ৯৮(১) অনুযায়ী ৫ নং রেজিস্টার। বহিতে আবশ্যকীয় টীকার অতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

“উইলকারীর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হইয়া অদ্য ২০ … সনের ….. মাসের …. তারিখ ….. এর (নাম ও ঠিকানা) আবেদনের প্রেক্ষিতে তাহার সম্মুখে এই উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খামটি উন্মুক্ত করা ইহল।

আবেদনকারীর স্বাক্ষর

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর।
সিল ও তারিখ

(খ) আদালতের আদেশে কোন উইল-সংবলিত কর্তৃক সিলমােহরযুক্ত খাম উন্মুক্ত করা হইলে উইলের। উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: ৫ আদালতের ….. তারিখের ….. নং আদেশ অনুসারে ….. সনের ….. নং খাম ….. তারিখে। উন্মুক্ত করা হইল।”

রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর।
সিল ও তারিখ।

উক্ত পৃষ্ঠাঙ্কনসহ উইলটি নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৬ এর অধীন ৩ নং রেজিস্টার বহিতে নকল করিতে হইবে, এবং বিষয়টি ৫ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, অধিকন্তু উইলের উপর নিম্নরূপ। পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিতে হইবে: * ২০ ….. সনের ….. নং হিসাবে ৩ নং বহির ….. নং ভলিয়মের ….. পৃষ্ঠায় নকলকৃত।”

রেজিস্ট্রার, ৩ নং বহিতে উইলটির অবিকল নকল স্বাক্ষর করিবার পর, উইলের উপর নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কন লিপিবদ্ধ করিয়া সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণ করিবেন:

” ….. আদালতের … তারিখের … নং আদেশ অনুসারে ….. আদালতে প্রেরণ করা হইল।”

উইলের উপর লিপিবদ্ধ সকল পৃষ্ঠাঙ্কন রেজিস্ট্রার কর্তৃক সিলমােহরযুক্ত, স্বাক্ষরিত এবং তারিখযুক্ত হইবে। অনুরূপভাবে উইলের প্রতিটি পৃষ্ঠা রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং সিলমােহরযুক্ত হইবে। ৫ নং রেজিস্টার বহির কলামসমূহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সতর্কতার সহিত পূরণ করা হইবে।।

১৬১। সিলমােহরযুক্ত উন্মুক্ত খাম সংরক্ষণ।- যে সকল কার্যালয় কর্তৃক জমাকারীর উপরিলেখ এবং রেজিস্ট্রারের পৃষ্ঠাঙ্কন সংবলিত খাম উইলের সহিত আদালতে প্রেরিত হয় নাই, সে সকল কার্যালয়ে। উক্ত খামসমূহ যত্নের সহিত ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে।

১৬২। উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলের অধীন নাবালক গ্রহীতার অভিভাবক কর্তৃক দাখিলকরণ।- অভিভাবক তাহার হেফাজতে থাকা নাবালকের উপকারার্থে যাবতীয় কার্য করিতে পারেন, আইনের এই সাধারণ নিয়মের অধীন উইলকারীর মৃত্যুর পর উইলের অধীন গ্রহীতা দাবিদার নাবালক হইলে তাহার অভিভাবকের নিকট হইতে উইল নিবন্ধনের জন্য গ্রহণ করা যাইতে পারে।

১৬৩। উইলকারীর এজেন্টকে ক্ষমতাযুক্ত করিবার পদ্ধতি।-  যেক্ষেত্রে কোন উইল-সংবলিত সিলমােহরযুক্ত খাম জমাকরণের জন্য ধারা ৪৩ এর অধীন দাখিল করা হয়, বা কোন সিলমােহরযুক্ত খাম প্রত্যাহার করিবার জন্য ধারা ৪৪ এর অধীন উইলকারীর এজেন্ট কর্তৃক আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে এজেন্টকে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইতে হইবে অর্থাৎ সাধারণ আইন অনুসারে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইতে হইবে, ধারা ৩৩ ধারায় সন্নিবিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার আবশ্যকতা নাই। 

অধ্যায় ১৫

সমন

১৬৪। সম্পাদনকারী বা সাক্ষীর সমন।- সম্পাদনকারী যিনি দলিল দাখিল করেন, কেবলমাত্র তাহার নিকট হইতেই নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৬ এর অধীন সমন গৃহীত হইবে না, বরং দলিলের গ্রহীতাও। দলিল নিবন্ধনের জন্য যে কোন ব্যক্তি যাহার উপস্থিতি বা সাক্ষ্য প্রয়ােজন তাহাকে উপস্থিত হইতে বাধ্য করিবার জন্য সমন প্রার্থনা করিতে পারিবেন।

১৬৫। কতিপয় ক্ষেত্রে গ্রহীতাও সমনের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।- কোন দলিলের গ্রহীতাও কোন সম্পাদনকারীর উপস্থিতি লাভের জন্য সমনের আবেদন করিতে পারিবেন, যেক্ষেত্রে অপর কোন সম্পাদনকারী কর্তৃক দলিলটি ইতােমধ্যে দলিলটি দাখিল করা হইয়াছে এবং প্রথমােক্ত সম্পাদনকারী হাজির হইতে ব্যর্থ হইয়াছেন।।

১৬৬। সমনের আবেদন।- (ক) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে কোন ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যকরণের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করিতে হইবে। (খ) বাঞ্ছিত ব্যক্তির উপস্থিতির খরচ যাহা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ১০৪(১) এর অধীন ধার্য করিবেন, উহা দেওয়ানি কার্যবিধি ও হাইকোর্ট বিধিমালার বিধানানুসারে নিয়ন্ত্রিত হইবে, যাহার প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতাংশ এই ম্যানুয়ালের ৭ম খণ্ডে পুনরুক্ত হইয়াছে। (গ) দেওয়ানি আদালতসমূহের রীতি এই যে, সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত অর্থ নাজির কর্তৃক তাহার। চূড়ান্ত নগদ (peremptory cash) এর সহিত গৃহীত হইয়া থাকে। তিনি, যথারীতি, সাক্ষীর প্রতি সমন জারির নিমিত্ত টাকা এবং সমন, পিয়নের নিকট হস্তান্তর করিয়া থাকেন; এবং তাহার নিকট এইরূপে হস্তান্তরিত টাকা বা ইহার অংশবিশেষ, অব্যয়িত অবস্থায় পিয়ন কর্তৃক ফেরত দেওয়া হইলে, যেহেতু উক্ত অর্থ সাক্ষীগণকে পরিশােধ করিবার জন্য প্রেরিত, সেইহেতু সমন ফেরত প্রাপ্তির পর, যথাশীঘ্র সম্ভব, প্রেরণকারী আদালতে উহা ফেরত প্রদান করা হইবে। যদি কোন টাকা ব্যয় করা না যায়, তাহা হইলে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, অনুরােধ জ্ঞাপনপূর্বক, আদালত হইতে উক্ত টাকা ফেরত পাইতে পারেন এবং উহা ফেরত প্রাপ্তির পর, উক্ত অর্থ উল্লিখিত কর্মকর্তার ক্যাশ বহিতে জমা করিতে হইবে এবং জমাদানকারী পক্ষের আবেদনক্রমে উক্ত টাকার বাবদ রসিদ গ্রহণ করিয়া ফেরত প্রদান করিতে হইবে। এইরূপে পরিশােধকৃত টাকা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার ক্যাশ বহির খরচের অংশে। লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

১৬৭। পরােয়ানা ফিস ধার্যকরণ।- বিধি ১০৪ এর অধীন পিয়নের ফিস ধার্য করাকালে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, সমন জারিকারী কর্মকর্তা বা আদালত যে বিধান দ্বারা অনুশাসিত, সেই বিধান দ্বারা পরিচালিত হইবেন। যদি উক্ত বিধিতে ফিস নগদে পরিশােধ করিবার নির্দেশ থাকে, তাহা হইলে উহা এইরূপে আদায় করিতে হইবে; যেক্ষেত্রে কোর্ট-ফি স্ট্যাম্প আকারে আদায়ের নির্দেশ থাকে, সেইক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদনের সহিত কোর্ট-ফি স্ট্যাম্প সংযুক্ত করিতে হইবে, এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক উহা ছিদ্র (Punched) করিতে হইবে।

১৬৮। পর্দানশীন মহিলাদের ক্ষেত্রে সমন।- (ক) ব্যক্তিগতভাবে বা এজেন্টের মাধ্যমে উপস্থিতি তলব করিয়া সমন জারি করিবার বিষয়ে একজন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে নিবন্ধন আইনের ধারা ৩৬ ক্ষমতা প্রদান করে। দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১৩২ এর সহিত পঠিত ধারা ৩৮ নির্দেশ করে যে, পর্দানশীন। মহিলাগণকে এইরূপে হাজির করিবার আবশ্যক হইবে না। অতএব, ইহা প্রতীয়মান হয় যে, পর্দানশীনের উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার জন্য সমন জারি করা যাইবে না। পর্দানশীন সম্পাদনকারীর বিষয়ে ধারা ৩৮(২) এ নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে, এবং যদি তিনি কমিশনার বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত হইতে বা তাহার প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে সম্পাদন কার্যত অস্বীকৃতির কারণে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিতে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ক্ষমতাবান।।

(খ) কতিপয় ক্ষেত্রে সমন অনুমতিযােগ্য নহে।- যেক্ষেত্রে একজন সম্পাদনকারী বা সাক্ষীর ব্যক্তিগত উপস্থিতির জন্য সমন প্রদান অনুমতিযােগ্য নহে, যথা: পর্দানশীন মহিলা, কয়েদি, শারীরিকভাবে অসমর্থ বা অসুস্থ ব্যক্তি এবং সরকার কর্তৃক অব্যাহতি প্রাপ্ত মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ, সেইক্ষেত্রে এইরূপ ব্যক্তিগণের পরীক্ষাকরণের জন্য কমিশন ইস্যু করিতে হইবে।

১৬৯। বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত ব্যক্তিগণের প্রতি সমন প্রযােজ্য হইবে না।- বাংলাদেশের সীমানার বাহিরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যকরণের জন্য সমনের প্রার্থনা পূরণ করা যাইবে না। তবে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা ডাক বিভাগীয় নিবন্ধিত নােটিশ প্রেরণ করিতে পারিবেন, এবং যদি সম্পাদনকারী যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হন, তাহা হইলে সম্পাদনকারীর অনুপস্থিতিকে সম্পাদন অস্বীকৃতি-তুল্য গণ্য করিয়া নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন।

১৭০। সমনে অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে পদ্ধতি।- ধারা ৩৭ এর অধীন প্রেরিত সমন যথাযথভাবে জারি হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতিক্রমে সাবরেজিস্ট্রার যে কর্মকর্তা বা আদালত সমন জারি করিয়াছে, সেই কর্মকর্তা বা আদালতকে তাহার গ্রেফতারের জন্য পরােয়ানা জারি করিবার, বা তাহার সম্পত্তি ক্রোকপূর্বক বিক্রয় করিবার অনুরােধ করিতে পারেন অথবা তাহাকে সাব-রেজিস্ট্রারের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার জন্য জামানত দাখিলের আদেশ দিতে পারেন। এইরূপ প্রতিটি ফরমায়েশনামার সহিত অবশ্যই উপযুক্ত ফিস দাখিল করিতে হইবে।

অধ্যায় ১৬ দলিলের প্রতিলিপি-সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার ও অন্যান্য রেকর্ড হইতে তথ্য সরবরাহ।

১৭১। অপেক্ষমান, অগ্রাহ্যকৃত বা আটককৃত দলিলের নকল মঞ্জুরকরণ।- যদি কোন দলিল একবার নিবন্ধনের জন্য অর্থাৎ প্রকাশ্য রেকর্ডভুক্তকরণের জন্য দাখিল করা হয়, তাহা হইলে উহাকে সরকারি দলিল হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং সেইহেতু, নিবন্ধন আইনের ধারা ৫৭ এর দফা (২) ও (৩) এর অধীন বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে কোন অপেক্ষমান, নিবন্ধন অগ্রাহ্যকৃত বা আটককৃত দলিলের নকল যে কোন আবেদনকারীকে দেওয়া যাইবে।

১৭২। স্ট্যাম্প কাগজে নকল প্রস্তুত করিতে হইবে।- নকল স্ট্যাম্প কাগজে প্রস্তুতপূর্বক প্রদান করিতে। হইবে এবং প্রতিক্ষেত্রে শুল্কের পরিমাণ স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল-১ এর অনুচ্ছেদ ২৪ দ্বারা। নিয়ন্ত্রিত হইবে।

১৭৩। তল্লাশ এবং পরিদর্শন না করিয়া কোন পক্ষ নকলের জন্য দরখাস্ত করিলে করণীয় পদ্ধতি।- (ক) কোন দলিলের নকলের জন্য আবেদনকারী পক্ষ যদি স্বয়ং সূচিবহি তল্লাশ এবং রেজিস্টার বহি পরিদর্শন করিতে না চাহেন, তাহা হইলে তল্লাশ এবং পরিদর্শনের জন্য আলাদা আবেদনের প্রয়ােজন। হইবে না, কিন্তু, নকলের আবেদনের ৯ম কলামে ফিসের তালিকার চ(১) এবং চ(২) দফায় প্রদত্ত ফিস লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এইরূপ ফিস প্রদানকে, দুইটি পৃথক আবেদন, যথা- একটি তল্লাশের জন্য এবং অপরটি পরিদর্শনের জন্য নথিভুক্ত করা হইলে যে ফিস প্রদান করিতে হইত, উহার সমপরিমাণ। প্রদেয় অর্থ ফিস হিসাবে গ্রহণ করিতে হইবে।

(খ) যেক্ষেত্রে সূচিবহি তল্লাশ এবং রেজিস্টারবহি পরিদর্শনের জন্য প্রয়ােজনীয় ফিসাদি পরিলে করিবার পর, এবং পক্ষ কর্তৃক প্রয়ােজনীয় তল্লাশ এবং পরিদর্শন সম্পন্ন করিবার পর, দলিলো নকলের জন্য আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে সচিবহি তল্লাশের জন্য নতুন কোন ফিস ধার্য করা হইবে , কিন্তু যদি কার্যালয় কর্তৃক এইরূপ কোন পরিদর্শন করা না হইয়া থাকে, তাহা হইলে আনুমানিক হিসাব গঠনের জন্য একটি পরিদর্শন ফিস ধার্য করিতে হইবে। নকলের আবেদনের সহিত তল্লাশের জন্য পরিশােধকৃত ফিসের রসিদ নথিভুক্ত করিতে হইবে।

(গ) তল্লাশ বা পরিদর্শনের আবেদন বাতিলকরণ।- তল্লাশ বা পরিদর্শনের আবেদনের তারিখ হইতে। ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে সূচিবহির তল্লাশ বা রেজিস্টার বহির পরিদর্শন সমাপ্ত করিতে হইবে। যদি কোন ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, রেজিস্টার বিবেচনা করেন যে, এই নিয়ম বলবৎ করিবার ফলে কষ্টকর। মাহতর উদ্ভব হইবে, তাহা হইলে তিনি তাহার স্বীয় বিচার-বিবেচনা অনুসারে আবেদনকারীর অনুকূলে নিয়মটি শিথিল করিতে পারেন।

(ঘ) যাহার দ্বারা তল্লাশ করাইতে হইবে। সাধারণতঃ স্বয়ং আবেদনকারীর দ্বারা তল্লাশ করাইতে খব, কিন্তু আবেদনকারী যেক্ষেত্রে নিরক্ষর, সেইক্ষেত্রে সম্ভব হইলে, আবেদনকারীর তত্তাবধানে ফাযালয় কতৃক তল্লাশ সম্পন্ন হইবে, অথবা তাহার দ্বারা নিয়ােজিত কোন সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বা আইনজীবী দ্বারা তল্লাশ করাইতে হইবে।

১৭৪। নকল মঞ্জুরকরণ।- (ক) আবেদন দাখিল ও ফিসের তালিকার (চ) ও (ছ) দফায় নির্ধারিত ফিস পরিশােধ করিবার পর ধারা ৫৭ এর বিধান সাপেক্ষে নিবন্ধিত দলিলের, এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নির। সার-সংক্ষেপের নকল, উহাতে প্রাধিকারপ্রাপ্ত যেকোন ব্যক্তিকে মঞ্জুর করা যাইবে।।

(খ) যেক্ষেত্রে নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ১০৮(৫) এর অধীন সদর রেকর্ডরুমে জমাকৃত রেজিস্টার। বহি হইতে নকলের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, সেইক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় | নকলের ফিস বা উহার প্রাপ্তিস্বীকারপত্রসহ আবেদন অনতিবিলম্বে নিবন্ধীকৃত ডাকযােগে | রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, যিনি আবেদনকারীর খরচে নিবন্ধীকৃত ডাকযােগে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট নকল প্রেরণ করিবেন।

(গ) কার্যালয়ের কর্মচারীগণ কর্তৃক ভুক্তিসমূহ পরিদর্শন করাইয়া নকল প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ফিসের তালিকায় ‘চ’ ও ‘ছ’ দফার অধীন তল্লাশ ও নকলের ফিস পরিশােধ এবং ধারা ৫৭ এর উপধারা (২) ও (৩) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে আবেদনকারীকে বিভাগীয়ভাবে নির্ধারিত ভক্তিসমূহ, যথা: দলিল ও তল্লাশের রসিদ, ইত্যাদি; সকল ধরনের প্রত্যায়নপত্র; গােপনীয় নহে এইরূপ কাগজাদি এবং আবেদন; এবং ধারা ৭২, ধারা ৭৩ ও ধারা ৭৪ এর অধীন মামলায় রেজিস্ট্রারের কার্যবিবরণীর নকল প্রদান করা যাইবে। এইরূপ নকলের স্ট্যাম্প শুল্ক স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল ১ এর অনুচ্ছেদ ২৪(১) অনুসারে নির্ধারিত হইবে।

(ঘ) স্বায়ী কর্মচারীগণ সরকারের সার্বক্ষণিক কর্মচারী বিধায় ম্যাপ বা প্ল্যানের নকল প্রস্তুতকরণ বাবদ তাহারা অতিরিক্ত কোন পারিশ্রমিক গ্রহণের অধিকারী নহে। সতরাং যেতে সক এবং প্ল্যানের নকল প্রস্তুতকরণের উপযুক্ত স্থায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারী নাই সেইক্ষেত্রে এতদুদ্দেশ্যে বিশেষভাবে নিয়ােজিত অস্থায়ী কর্মী দ্বারা সেইগুলি প্রস্তুত করাইতে হইবে এবং খরচ স্বরূপ পক্ষগণের নিকট হইতে আদায়কৃত অর্থ পারিশ্রমিক হিসাবে তাহাদিগকে পরিশােধ করিতে হইবে। এই কার্যের জন্য নির্ধারিত কোন ফিস-ক্রম না থাকায় নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। ব্যক্তিগতভাবে, প্রতিক্ষেত্রে, একটি যুক্তিসংগত খরচ ধার্য করিবেন।

১৭৫। সরকারের পক্ষে কত তল্লাশ।- (ক) সরকারি কর্মচারীগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাহাদিগকে গৃহ নিমাণ অগ্রিম মঞ্জুরের জন্য সরকারের পক্ষে কত তল্লাশ প্রকত সরকারি উদ্দেশ্যে বিধায় উহা বিনা। খরচে সম্পন্ন করিবার অনুমতি দেওয়া হইবে।। (খ) এইরূপ তল্লাশের জন্য আবশ্যক হইতেছে, সম্পত্তিটি যে গত ১২ বৎসর যাবত দায়মুক্ত সেই বিষয়ে স্বয়ং সন্তুষ্ট হওয়ার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় বা বিভাগের প্রধান, তাহার অধস্তন কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে (যথা: তত্ত্বাবধায়ক বা সহকারী তত্ত্বাবধায়ক অথবা নাজির কিংবা হিসাবরক্ষক বা অফিস সহকারী বা উক্তরূপ অন্যকোন দায়িত্বশীল কর্মচারী) নিবন্ধন কার্যালয়ের রেকর্ড পরীক্ষা। করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।

১৭৬। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্টার হইতে উদ্ধৃতাংশ।- পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সার-সংক্ষেপের। নকল সকল আবেদনকারীকে প্রদান করা হইবে, না কি কেবলমাত্র উহার অধীন সম্পাদনকারী বা দাবিদারকে প্রদান করা হইবে, এই বিষয়টি নিরূপিত হইবে উক্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দ্বারা স্থাবর। সম্পত্তি যেকোনভাবে হস্তান্তরিত হইয়াছে কিনা উহা বিবেচনা করিয়া। যদি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দ্বারা স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহাকে ধারা ৫৭ এর অধীন ১ নং রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধিত দলিল বলিয়া গণ্য করিতে হইবে। আর যদি তাহা না হয়, তাহা হইলে উহাকে ৪ নং রেজিস্টার বহির ভুক্তি বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, এবং সেইক্ষেত্রে কেবলমাত্র নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। প্রয়ােজনীয় তল্লাশ করিবেন।

১৭৭। তল্লাশ বা পরিদর্শন ফিসের রসিদ প্রদান।- তল্লাশ, পরিদর্শন বা নকলের জন্য জমাকৃত ফিসের রসিদ পরিশিষ্ট ১ এর ১৯ বা, ক্ষেত্রমত, ২০ নং ফরমে প্রদান করিতে হইবে। নকল সরবরাহের সময়, আবেদনকারীকে উক্ত রসিদ ফেরত প্রদান করিতে হইবে, এবং উহা কার্যালয়ে নথিভুক্ত থাকিবে।

১৭৮। আপিল, আবেদন, লিখিত বিবৃতি, জবানবন্দি ও বিবিধ কাগজাদির নকলের স্ট্যাম্প শুল্ক ।- (১) নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ এর অধীন আপিলের স্মারকলিপি বা ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন, (২) পক্ষগণ কর্তৃক দাখিলকৃত লিখিত বিবৃতি, (৩) সাক্ষীগণের জবানবন্দি এবং (৪) বিবিধ কাগজপত্র, যথা- পরােয়ানার আবেদনপত্র, ইত্যাদির নকল স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল ১ এর অনুচ্ছেদ ২৪(১) এর অধীন স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে।

১৭৯। রেজিস্ট্রারের রায়, নিবন্ধীকরণ, বা অগ্রাহ্যকরণের আদেশ এবং ২ নং রেজিস্টার বহিতে রেকর্ডভুক্ত অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল স্ট্যাম্পযুক্তকরণ।- (১) ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন মামলায় রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত রায়, (২) ধারা ৭২ বা ধারা ৭৫ এর অধীন নিবন্ধীকরণের আদেশ বা নিবন্ধন অগ্রাহ্যকরণের আদেশ এবং (৩) নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৬ এর অধীন ২নং রেজিস্টার বহিতে। রেকর্ডকৃত নিবন্ধন অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ (১৮৭০ সনের ৭নং আইন) এর তফসিল ১ এর অনুচ্ছেদ ৬ এর অধীন স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে। এইরূপ সকল প্রকার নকলের ক্ষেত্রে ফিসের তালিকার দফা (ছ) এর অধীন ফিস ধার্য করিতে হইবে।

১৮০। সাব-রেজিস্ট্রারের অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকলের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্ক ও নিবন্ধন আইনের। অধীন ফিস অব্যাহতি প্রদান।- সাব-রেজিস্ট্রারের অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল নিবন্ধন আইনের ধারা। ৭১(১) অনুযায়ী অর্থ পরিশােধ ব্যতিরেকে প্রদান করিতে হইবে। বিধিনির্দেশক (Legal Remembrancer) কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে যে, নিবন্ধন আইনের ধারা ৭১(১) এর অধীন নকলের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অর্থ বা স্ট্যাম্প শুল্ক দাবিযােগ্য নহে।। উপযুক্ত অব্যাহতি শুধুমাত্র কোন দলিলের সম্পাদনকারী ও গ্রহীতাকে মঞ্জুরকৃত নকলের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য।

১৮১। নকল পরীক্ষাকরণ। – সকল প্রকার নকল একজন মােহরার বা অতিরিক্ত মােহরার (নকলনবিস)। কর্তৃক যত্ন সহকারে তুলনাকৃত এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অবিকল নকল বলিয়া প্রত্যায়িত হইতে হইবে; প্রদান করিবার পূর্বে নকলসমূহ নিম্নবর্ণিত ফরমে পৃষ্ঠাঙ্কিত এবং স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে;

“প্রদত্ত ফিস :

দফা চ(১)(অ) ……………………………………….. টাকা।
দফা চ(১)(আ) ……………………………………….. টাকা।
দফা চ(২) ……………………………………….. টাকা।
দফা ছ(ক) (অ)……………………………………….. টাকা।
দফা ছ(ক)(আ)……………………………………….. টাকা।
দফা ছ(খ) ……………………………………….. টাকা।
সরবরাহকৃত স্ট্যাম্পের মূল্য ……………………………………….. টাকা।
সরবরাহকৃত কাট্রিজ কাগজের মূল্য ……………………………………….. টাকা।
নকলের মােট খরচ……………………………………….. টাকা।

নকল প্রস্তুতকৃত, স্বাক্ষরিত, সিলমােহরযুক্ত এবং ….. তারিখের ….. নং আদেশে ….. কে প্রদান করা হইল। ” উপযুক্ত পৃষ্ঠাঙ্কনটি মফঃস্বল কার্যালয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক এবং সদর কার্যালয়ে (সদর রেকর্ডরুমে) রেকর্ড কিপার কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।

১৮২। আদালতে রেজিস্টার বহি দাখিল বাবদ পরিদর্শন ফিস আদায়।- আদালত কর্তৃক কোন রেজিস্টার বহি তলব করা হইলে, যে পক্ষের অনুরােধে রেজিস্টার বহিটি তলব করা হয়, আদালত কর্তক সেই পক্ষের নিকট হইতে ফিসের তালিকার ‘চ(২) দফার অধীন পরিদর্শন ফিস আদায়পর্ব। যে কার্যালয় কর্তৃক রেজিস্টার বহি উপস্থাপিত হইয়াছে তথায় উক্ত ফিস প্রেরণ করিতে হইবে

১৮৩। আদালতে রেকর্ডপত্র উপস্থাপনকারী কর্মকর্তা।- নিবন্ধন রেকর্ডপত্র আদালতে উপস্থাপন করিবার জন্য প্রেরিত কর্মকর্তা বিধি মােতাবেক অনুমােদিত ভ্রমণভাতা ও দৈনিক ভাতা পাইবার। অধিকারপ্রাপ্ত। যদি উপস্থাপিত রেকর্ডপত্র আদালত কর্তৃক রাখিয়া দেওয়া হয়, তাহা হইলে উহার। বিপরীতে উপস্থাপনকারী কর্মকর্তাকে একটি রসিদ প্রদান করিতে হইবে।

১৮৪। আদালত কর্তৃক তলবকৃত দলিলের জন্য তল্লাশ ও নকলের ফিস।- আদালতের ফরমায়েশ প্রতিপালন করিবার পূর্বে, যদি উহা কোন দলিল সংক্রান্ত তল্লাশ বা দলিলের নকল প্রস্তুতকরণ সম্প হয়, তাহা হইলে আদালত কর্তৃক প্রয়ােজনীয় ফিসের টাকা ডাকযােগে প্রেরণের উদ্দেশ্যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উহার বাবদ পরিশােধযােগ্য ফিসের একটি স্মারকপত্র আদালতে প্রেরণ করিবেন।

১৮৫। তল্লাশ এবং পরিদর্শন ফিস পরিশােধ দ্বারা অর্জিত অধিকার।- (ক) তল্লাশের ফিস প্রদান করা। হইলে, যে ভুক্তির জন্য ফিস পরিশােধ করা হইয়াছে তাহা পড়িবার বা পড়াইয়া শুনিবার জন্য আবেদনকারী অধিকারপ্রাপ্ত হইবেন, কিন্তু ইহা তাহাকে ভুক্তিটির নকল লইবার অধিকার প্রদান করিবে। তবে, দলিলটি চিহ্নিত করিবার জন্য যে ধরনের টীকা প্রয়ােজন উহা তিনি সংগ্রহ করিতে পারিবেন। যদি কোন তল্লাশ নিষ্ফল হয়, তাহা হইলে কোন ফিস ফেরত প্রদান করা হইবে না।। (খ) কোন ব্যক্তিকে রেজিস্টার বহির কোন ভুক্তি পরীক্ষা করিতে দেওয়া হইলে, তিনি পরিদর্শনযােগ্য দলিল বা রেকর্ড সনাক্ত করিবার জন্য যে ধরনের তথ্য সংগ্রহ প্রয়ােজন উহা (চিরকুটে পেন্সিল দ্বারা লিখিতে হইবে) ব্যতীত অন্য কোন কিছু লিখিতে পারিবেন না। উক্ত টোকাসমূহ এইরূপ তথ্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে, যেমন- পক্ষগণের নাম, হস্তান্তরিত ভূ-সম্পত্তির পরিমাণ, দলিলে প্রদর্শিত পণ মূল্য (যদি থাকে), দলিলের নম্বর, রেজিস্টার বহির নম্বর, ভলিয়ম নম্বর, যে পৃষ্ঠায় নকল করা হইয়াছে। সেই পৃষ্ঠা নম্বর, নিবন্ধনের তারিখ ইত্যাদি তথ্য যাহা, দলিলটিকে সনাক্ত বা চিহ্নিত করিবার জন্য। যথেষ্ট বলিয়া ধারণা করা হয়। যদি রেকর্ড হইতে কোন উদ্ধৃতি সংগ্রহের প্রয়ােজন হয়, তাহা হইলে। উহা স্বাভাবিক নিয়মে ফিস তালিকার ‘ছ’ দফামতে ফিস পরিশােধক্রমে সংগ্রহ করা যাইবে।

১৮৬। যে সকল ক্ষেত্রে তল্লাশ ফিস ধার্যযােগ্য নহে।- (১) নিম্নবর্ণিত অবস্থাধীনে দলিলের নকল। সরবরাহের ক্ষেত্রে তল্লাশ বা পরিদর্শন ফি ধার্য করা যাইবে না

(ক) নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হইয়াছে, কিন্তু রেজিস্টার বহিতে নকল করা হয় নাই;

(খ) দাখিল করা হইয়াছে, কিন্তু এখনও নিবন্ধনের জন্য গ্রাহ্য করা হয় নাই; বা

(গ) যাহার নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইয়াছে, কিন্তু অগ্রাহ্য করিবার সময় আবেদন করা হইয়াছে। (২) পূর্বোক্ত (১) নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষেত্রে নকল প্রদানের জন্য ফিসের আনুমানিক হিসাব গঠন করিবার জন্য ফিসের তালিকার দফা ‘ছ’ এর অধীন ফিসের অতিরিক্ত ‘চ(২) দফার অধীন ফিস ধার্য করিতে হইবে।

১৮৭। পক্ষগণ কর্তৃক তল্লাশির ফলাফল সংক্রান্ত টীকা।- যেক্ষেত্রে কোন পক্ষ কর্তৃক তল্লাশি করা হয়, সেইক্ষেত্রে উহার ফলাফল তল্লাশ রেজিস্টারে (ফরম নং ১৮, পরিশিষ্ট ১) লিপিবদ্ধ করিবার নিমিত্ত। তল্লাশকারী পক্ষ দ্বারা তৎসম্পর্কে একটি টীকা দাখিল করিতে হইবে।

১৮৮। তল্লাশ এবং নকলের জন্য জমাকৃত ফিসের রসিদ হারাইলে পদ্ধতি।- তল্লাশ এবং নকলের।- জন্য জমাকৃত ফিসের রসিদ হারানাের ক্ষেত্রে, যাহার নিকট মূল রসিদ প্রদান করা হইয়াছিল তাহার। দ্বারা আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা, প্রথম আবেদনের তারিখ, দলিলের প্রকার, দলিলে দরখাস্তকারীর। স্বার্থ, দলিলটি সনাক্ত করিবার জন্য প্রথম আবেদনে তাহার দ্বারা সরবরাহকৃত বিবরণ এবং ফিসের । পরিমাণ নির্ধারণের জন্য তাহার দ্বারা দফা ‘চ’ এবং ‘ছ’ এর অধীন পরিশােধকৃত ফিসের পরিমাণ। উল্লেখ করিয়া এইরূপ রসিদ হারানাের অভিযােগ সংবলিত একটি লিখিত আবেদন দাখিল করা। যাইবে। এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা আবেদনকারীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত। হইবেন এবং তল্লাশ ও নকলের রেজিস্টারের প্রসঙ্গ-সূত্র দৃষ্টে তাহার আবেদনে প্রদত্ত বিবরণ যাচাই করিবেন।

যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নিশ্চিত হন যে বর্ণিত বিষয়সমূহ সঠিক তাহা হইলে, দলিলের প্রত্যায়িত নকল আবেদনকারীর নিকট অর্পণ করা যাইতে পারে। হারানাে রসিদাচর।

বসিদটির পরিবর্তে সাব-রেজিস্ট্রার এক খণ্ড সাদা কাগজে তাহার স্বাক্ষর ও তারিখ্যক্ত নিম্নবর্ণিত ফরমে প্রত্যায়নপত্রটি লিপিবদ্ধক্রমে নথিভুক্ত করিবেন: প্রত্যায়ন করা যাইতেছে যে, মূল রসিদ হারাইয়া যাওয়ার বিষয়টি আমার নিকট প্রমাণিত হইয়াছে, আবেদনকারীরকে সনাক্তক্রমে .. তারিখের নং দলিলের প্রত্যায়িত নকল অপর পৃষ্ঠার স্বাক্ষর অনুযায়ী আবেদনকারীর নিকট সরবরাহ করা হইয়াছে।

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। ”

অধ্যায় ১৭

সিলমোহর

১৮৯। পুরাতন সিলমােহরের পরিবর্তে নতন সিলমােহর সরবরাহকরণ।- কোন নিবন্ধন কার্যালয়ের সিলমােহর ব্যবহারের ফলে বা অন্য কোন কারণে অস্পষ্ট হইয়া পড়িলে নূতন সিলমােহর সরবরাহ করিবার জন্য অস্পষ্ট উত্তীর্ণ-লিপির নমুনাসহ তুরিত জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ফরমায়েশ প্রেরণ করিতে হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার সঙ্গে সঙ্গে আদেশের নিমিত্ত ইহা মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বরাবরে প্রেরণ করিবেন, এবং যদি মহা-পরিদর্শক যথােচিত বিবেচনা করেন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের। জন্য নুতন সিলমােহর সরবরাহের আদেশ প্রদান করিবেন। নূতন সিলমােহর প্রাপ্তির পর, পুরাতন সিলমােহরসমূহ ধ্বংস করিবার জন্য অবিলম্বে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

১৯০। সিলমোহর দ্বারা দলিল প্রমাণীকরণ।- সিলমোহরসমূহ নিম্নবর্ণিত প্রমাণীকরণের জন্য ব্যবহার করা হইবে|

  • নিবন্ধিত দলিলে ধারা ৬০ এর অধীন পৃষ্ঠাঙ্কিত প্রত্যায়নপত্র;
  • ধারা ৩৩ এর অধীন সত্যায়িত পাওয়ার অব অ্যাটর্নি;
  • ধারা ৩৩ ও ধারা ৩৮ এর অধীন ইস্যুকৃত কমিশন;
  • ধারা ৫৭ এর অধীন প্রত্যায়িত নকল; ।
  • ধারা ৬৪ হইতে ধারা ৬৬ ও বিধি ৭৭ এর অধীন প্রেরিত স্মারকলিপি ও নকল;
  • ধারা ৭১(১) বা ধারা ৭৬(১) এর অধীন পক্ষগণকে প্রদত্ত নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশের নকল;
  • উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত পক্ষগণকে প্রদত্ত অন্যান্য নকল;
  • বিধি ৭৮ এর অধীন প্রেরিত সংক্ষিপ্ত-টীকা;
  • আপিল এবং আবেদনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার প্রদত্ত রায়ের নকল;
  • পুরাতন রেজিস্টারসমূহের পুনঃলিখিত ভুক্তিসমূহ;
  • ধারা ৫২ এ উল্লিখিত রসিদসমূহ;
  • ধারা ৩১ বা ধারা ৩৩(৩) এর অধীন ফিস এবং ভ্রমণ-ভাতার রসিদ;
  • ধারা ৪২ এর অধীন নিরাপদ হেফাজতের উদ্দেশ্যে জমাকৃত সিলমােহরযুক্ত খাম;
  • উইলকারীর মৃত্যর পর নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৫ এর অধীন অথবা আদালতের আদেশে ধারা ৪৬ এর অধীন খােলা উইল প্রমাণীকরণ; । (ণ) “নিবন্ধন ফি পরিশােধ বিধিমালা, ২০০৭” এর অধীন পে-অর্ডার দ্বারা নিবন্ধন ফিস পরিশােধের প্রত্যায়ন; (ত) “স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশােধ (অতিরিক্ত পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০০১” এর অধীন নগদে বা পে অর্ডারে স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশােধের প্রত্যায়ন। স্পষ্ট ছাপ নিশ্চিত করিবার জন্য কার্যালয়ের সিলমােহর এবং পৃষ্ঠাঙ্কনের সিলমােহরসমূহ নিয়মিত বিরতিতে যত্ন সহকারে পরিষ্কার করিতে হইবে।

অধ্যায় ১৮

কার্যালয়ের কার্যপ্রণালী

১৯১। উপস্থিতির সময়সূচি।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এবং তাহার কার্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ, সময় সময়, সরকার নির্ধারিত সকল কার্যদিবসেও সময়ে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকিবেন।

১৯২। শ্রমসাধ্য কাজ আয়ত্তকরণের ব্যবস্থা।– নিবন্ধন কার্যালয়ে নিবন্ধন সংক্রান্ত কাজের পরিমাণ। বৎসরব্যাপী একরূপ না হওয়ায় বৎসরের ব্যস্ততম সময় সাব-রেজিস্ট্রার তাহার প্রতিষ্ঠানের। কর্মচারীবৃন্দসহ কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে উপস্থিত হইবেন এবং পরে শেষ করিবেন। এইরূপ কাজ আয়ত্তে রাখিবার জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীবৃন্দের প্রত্যেককে সকাল এবং বিকাল দুই বেলাতেই কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত কাজ করিতে হইবে। সহকারী অনুপস্থিত থাকিলে সাবরেজিস্ট্রার কর্তৃক নিয়ােজিত কোন স্থায়ী মােহরারের সম্মুখে অতিরিক্ত নকলনবিসগণ কাজ করিবেন। সহকারী মােহরারের নিকট দলিল সরবরাহ করিবেন এবং পরবর্তী দিন তিনি মােহরারের নিকট হইতে পূর্বে প্রদত্ত দলিলগুলি গণনা করিয়া বুঝিয়া লইবেন এবং কোন পরিবর্তন করা হইয়াছে কিনা তাহা দেখিবার জন্য দলিলগুলি পরীক্ষা করিবেন।

১৯৩। চাবির তত্ত্বাবধান।- রেকর্ডরুমের চাবি এবং রেকর্ডপত্র যে সকল আলমারিতে রক্ষিত হয় সেই সকল আলমারির চাবি, কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের পরে বা ছুটির দিনে, যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না সেইরূপক্ষেত্রে রেকর্ডকিপার বা সহকারীর নিকট অর্পণ করা যাইবে না। যে লােহার সিন্ধুকে সরকারি অর্থ রাখা হয় উহার চাবি স্বয়ং সাবরেজিস্ট্রার কর্তৃক রক্ষিত হইবে।

১৯৪। সাব-রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে রেজিস্টার বহি নামানাে-উঠানাে।- যদি সাব-রেজিস্ট্রার স্বয়ং কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকেন তাহা হইলে, কোন রেজিস্টার বহি উঠানাে-নামানাে যাইবে না, রেকর্ডরুম বা রেকর্ড রাখিবার অন্য কোন আলমারি খােলা যাইবে না, কিন্তু মাঝে মধ্যে যেক্ষেত্রে কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকিতে বাধ্য হন বা নৈমিত্তিক ছুটি। বা অন্য কোন কারণে অনুপস্থিত থাকেন, সেইক্ষেত্রে চলতি ১ ও ৪ নং রেজিস্টার বহি এবং চলতি সূচিবহি সহকারীর তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা যাইতে পারে, যাহাতে সাব-রেজিস্ট্রারের এইরূপ অনুপস্থিতির সময় সহকারীর ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে নকল ও সূচির কাজ অব্যাহত থাকে। সাব-রেজিস্ট্রারের। প্রত্যাবর্তনের পর, তাহার অনুপস্থিতির সময় কৃত নকল ও সূচির কাজ তিনি স্বয়ং এলােপাতাড়িভাবে পরীক্ষা করিবেন।

১৯৫। যে সকল বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করিতে হইবে।- প্রতিটি নিবন্ধন কার্যালয়ের দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে যেখানে জনসাধারণের সহজ প্রবেশাধিকার রহিয়াছে, সেখানে নিম্নবর্ণিত বিজ্ঞপ্তিসমূহ প্রদর্শন করিতে হইবে ।

  • নিবন্ধন ফিসের বিস্তারিত তালিকা (ধারা ৭৯)।
  • দলিল দাখিলের সময়-সূচির বিজ্ঞপ্তি (বিধি ১১৩)।/
  • রেজিস্ট্রার কর্তৃক অনুমােদিত দুরত্ব-তালিকা (উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ৫৭)।
  • সমাপ্তকৃত দলিলের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি (বিধি ১১৪)।
  • সকল প্রকার আবেদন সরাসরি সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা সম্পাদনকারীগণ কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইলে সনাক্তকরণ পদ্ধতি সম্বন্ধে উপদেশাবলি, দলিল প্রস্তুতকরণ ও সঠিক স্ট্যাম্প শুল্কের বিষয়ে বিনামূল্যে পরামর্শ প্রদান করিবেন – এই মর্মে একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি (ফরম নং ৩, পরিশিষ্ট ৭ দ্রষ্টব্য)।
  • পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবলিত বিজ্ঞপ্তি (ফরম নং ৪, পরিশিষ্ট ৭ দ্রষ্টব্য)।
  • প্রত্যাহৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির তালিকা।
  • উইল ব্যতীত অন্য সকল প্রকার দলিল যাহা দুই বৎসরের অধিককাল যাবত দাবিবিহীন অবস্থায়। নিবন্ধন কার্যালয়ে রহিয়াছে উহা বিনষ্টযােগ্য- এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি [উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ২৫(গ)]।
  • সাধারণত যে সময়ে তল্লাশ এবং নকলের আবেদন গ্রহণ করা হইবে উহা উল্লেখ করিয়া বিজ্ঞপ্তি। [উপদেশাবলির অনুচ্ছেদ ২৩৬(৪)]।
  • সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকগণের তালিকা [ দলিল লেখক (সনদ) বিধিমালা, ২০১৪ এর বিধি ৬]।
  • নাগরিক সেবার বিবরণ (Citizen Charter), অর্থাৎ নিবন্ধন কার্যালয় কর্তৃক যে সকল সেবা প্রদান করা হইয়া থাকে তৎসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি। [ দ্রষ্টব্য : নিবন্ধন। পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিধি/২০৫(৬১) তারিখ: ০৬.০১.২০০৮ইং ]

১৯৬। সমাপ্তকরণের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি।- (ক) সমাপ্তকরণের দৈনিক বিজ্ঞপ্তি বাংলাভাষায় প্রদান করিতে হইবে। জেলা সদর কার্যালয়সমূহে ইহা হইবে ইংরেজি ও বাংলাভাষায়। প্রতিদিন, পূর্ববর্তী দিনের বিজ্ঞপ্তিটি অপসারণ করিতে হইবে এবং যত্ন সহকারে নথিভুক্ত করিতে হইবে। দৈনিক নােটিশসমুহ পঞ্জিকা বৎসর অনুসারে নম্বরযুক্ত হইবে, যাহা পরিদর্শন নির্বিশেষে অব্যাহত থাকিবে অর্থাৎ প্রতি পরিদর্শনের পর কোন নতুন নম্বর অনুবৃত্ত হইবে না। (খ) দৈনন্দিন নিবন্ধনের জন্য গৃহীত দলিলের নিবন্ধন কার্য সমাপ্ত করিতে যে সময় লাগিয়াছে, উহা প্রদর্শন করিয়া পরিশিষ্ট ৬ এর ফরম নং ৯ অনুযায়ী একটি বিবরণী সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে রাখিতে হইবে। প্রতি মাস শেষে বিভিন্ন কলামসমূহ যােগ করিতে হইবে।

১৯৭। প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ কর্তৃক নিয়মবহির্ভূত তথ্য সরবরাহকরণ নিষিদ্ধ।- প্রতিষ্ঠানের সদস্যগণ, প্রয়ােজনীয় তল্লাশ ফিস পরিশােধ ব্যতীত, যাহাতে সাধারণের নিকট কোন প্রকার তথ্য সরবরাহ না করে সেই বিষয়ে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ যত্নবান হইবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের পূর্বানুমােদন ব্যতীত, কার্যালয়ের রেকর্ড হইতে তথ্য সরবরাহের কারণে কোন সদস্য দোষী সাব্যস্ত হইলে তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।

১৯৮। করণিকগণ কর্তৃক সমাপ্তকৃত রেজিস্টার বহি হইতে তথ্য সংগ্রহ নিষিদ্ধ।- রেজিস্টার বহিসমূহ, বিশেষ করিয়া তল্লাশি কিংবা নকল প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বাহির করিয়া দেওয়া ব্যতীত তালাবদ্ধ অবস্থায় রক্ষিত সম্পূর্ণ ও সমাপ্তকৃত বহিসমূহ হইতে করণিক/সহকারীগণকে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া যাইবে না।

১৯৯। নিরক্ষর সম্পাদনকারীদের নিকট দলিলের ব্যাখ্যাকরণ।- যে সকল সম্পাদনকারী লিখিতে বা পড়িতে পারেন না, তাহাদিগকে লেখক বা সাক্ষীগণ দ্বারা দলিলের ব্যাখ্যা করাইয়া লইবার জন্য নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উপদেশ দিবেন। উক্ত লেখক বা সাক্ষীগণ দলিলে নিম্নরূপ প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন:

“হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মূল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিল মুসাবিদা করিয়াছি/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগণকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি। দলিলটি … ফর্দে লিখিত।

কখ
লেখক/সাক্ষী”

যাহা হউক, এইরূপ প্রত্যায়নের অভাবে কোন দলিল অগ্রাহ্য করা যাইবে না বা উহা উচিত হইবে না।

২০০। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক সূচি পরীক্ষাকরণ ও নকল তুলনাকরণ।– প্রত্যেক নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার, মূল দলিলের সহিত রেজিস্টার বহিতে নকলকৃত নকলসমূহ তুলনা করিবেন, সুচির কাজ পরীক্ষা করিবেন এবং যে সকল দলিল তিনি তুলনা করিবেন বা যে সূচিভুক্তি পরীক্ষা করিবেন সেইগুলির নম্বর তাহার দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিবেন।

২০১। কোন কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণকালে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডপত্র পরীক্ষাকরণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ পরিশিষ্ট ৫ এর ২৪ নং ফরমে নির্ধারিত প্রত্যায়নপত্রকে নিছক ফরম হিসাবে গণ্য করিবেন না, কারণ প্রায়শ, দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মকর্তা সঠিক পরীক্ষা ব্যতীত, দায়িত্ব গ্রহণের প্রত্যায়নে স্বাক্ষর প্রদান করিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে একদিকে তালিকা বহি এবং ফি বহির সহিত, অপর দিকে বিদ্যমান রেকর্ডপত্রের অমিল পাওয়া গেলে দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ত্বরিত তাহা রেজিস্ট্রারের গােচরীভূত করিতে হইবে এবং, যথাশীঘ্র । সম্ভব, অমিলের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে হইবে। যদি এমন কোন বহি বা দলিল কার্যালয়ে পাওয়া। যায়, যাহা যথাক্রমে ফি বহিতে বা তালিকা বহিতে লিপিবদ্ধ করা হয় নাই, বা যদি কোন বহি বা দলিল। যথাক্রমে তালিকা বহি ও ফি বহিতে লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে, অথচ কার্যালয়ে পাওয়া যায় না, তাহা হইলে দায়িত্ব অর্পণকারী কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে এই অমিলের ব্যাখ্যা প্রদান করিবেন এবং তাহার প্রদত্ত ব্যাখ্যা দায়িত্ব গ্রহণ/অর্পণ প্রতিবেদনের সহিত জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করা। হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার তখন দায়িত্বপত্রটি তাহার মন্তব্য, যদি থাকে, সহকারে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয়ে প্রেরণ করিবেন।

অমিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রাপ্তির পর দায়িত্বপত্রটি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয়ে প্রেরণের পূর্বে জেলা রেজিস্ট্রার স্বয়ং ঘটনাস্থলে গমনকরত বিষয়টি তদন্ত করিবেন।

২০২। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ ব্যক্তিগতভাবে সকল ফিস গ্রহণ করিবেন।- দলিল নিবন্ধন সম্পর্কিত পরিশোধযােগ্য যাবতীয় ফিস ও জরিমানা, এবং উপরন্তু সিলমােহরযুক্ত খামে সংরক্ষিত উইল জমা অত্যাহার বা উন্মুক্তকরণের জন্য প্রদেয় ফিসসহ তলাশ এবং নকলের ফিস, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা। কতৃক ব্যক্তিগতভাবে গৃহীত হইবে এবং তাহার দ্বারাই রসিদ মঞ্জুর করা হইবে। নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৪৪(১) দ্বারা প্রত্যাশিত এই গুরুত্বপর্ণ কর্তব্যটি অত্যধিক পরিমাণে দলিল দাখিলের ক্ষেত্রে মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কোন স্থায়ী সদস্যের নিকট অর্পণ করা। যাইবে না এবং নগদে বা অন্যভাবে গৃহীত অর্থ ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি বা ব্যাংকে (যাহা প্রযােজ্য) জমা হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ উহার নিরাপত্তা বা কোন প্রকার ঘাটতি বা ক্ষতির জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন।

২০৩। চালানমূলে নিবন্ধন ফিস প্রেরণ। – যেক্ষেত্রে পিয়নের মাধ্যমে নিবন্ধন ফিস ট্রেজারি সার ট্রেজারি বা সােনালী ব্যাংকে প্রেরণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে অর্থ প্রেরণের সহিত ৩ (তিন) ফদ চালান। সংযুক্ত করিতে হইবে। এই চালানের একটি অংশ ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি বা ব্যাংক (যাহা প্রযােজ্য), রাখিয়া দিবে এবং অপর দুইটি অংশ সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট ফেরত দেওয়া হইবে। ফেরতপ্রাপ্ত দুইটি অংশের এক অংশ সাব-রেজিস্টার সদর নিবন্ধন কার্যালয়ে সাপ্তাহিক অথ প্রেরণ বিবরণীর সহিত প্রতিপাদনের জন্য প্রেরণ করিবেন এবং অবশিষ্ট অংশটি পরিদর্শনকারী কর্মকর্তার নিরীক্ষার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার তাহার কার্যালয়ে রাখিয়া দিবেন।

২০৪। সাপ্তাহিক অর্থ প্রেরণের বিবরণী নিয়মিত দাখিলকরণ ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় কর্তৃক উহাদের পরীক্ষাকরণ।- (ক) অর্থ প্রেরণকারী কর্মকর্তাগণ সাপ্তাহিক বিবরণীর ফরমের (ফরম নং ৩, পরিশিষ্ট ৬) ১ম ও ২য় কলামে নিবন্ধন ফিস প্রেরণের নম্বর ও চালানের তারিখ লিপিবদ্ধ করিবেন। ক্যাশ বহিতেও অর্থ প্রেরণের বিপরীতে এইগুলি প্রদর্শিত হইবে।

(খ) রেজিস্ট্রারের নিবন্ধন কার্যালয় ট্রেজারি হইতে জ্ঞাপন-পত্র (advice list) পাওয়ার পর উহার সহিত এবং যেক্ষেত্রে পিয়নের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করা হয় সেইক্ষেত্রে চালানের সহিত সাপ্তাহিক বিবরণীতে প্রদর্শিত নিবন্ধন ফিস বাবদ প্রেরিত অর্থ পরীক্ষা করিবেন। স্থিতির পরিমাণ অধিক হইলে, যদি বিবরণীতে কোন ব্যাখ্যা লিপিবদ্ধ না থাকে (যাহা সর্বদা থাকা উচিত), তাহা হইলে, জেলা কার্যালয় কর্তৃক প্রেরণকারী কর্মকর্তার নিকট হইতে অবিলম্বে ব্যাখ্যা তলব করা হইবে।

২০৫। অর্থ আত্মসাতের প্রতিবেদন।- বিভাগীয় রাজস্ব বা প্রাপ্ত-অর্থের আত্মসাৎ বা ক্ষতির বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার কর্তৃক অবিলম্বে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতিবেদন পাঠাইতে হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর এবং প্রয়ােজনবশত, উপযুক্ত তদন্ত সম্পন্নের পর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ বরাবর। প্রেরণ করিবেন।

২০৬। পত্র যােগাযােগ।- পত্র-যােগাযােগের ক্ষেত্রে, পত্র-প্রাপক কর্মকর্তার নাম ও পদবি পত্রের শীর্ষে। উলেখ করিতে হইবে। সদর দফতরে থাকাকালীন সময়ে রেজিস্ট্রারগণের পত্রসমূহ তাহাদের নিজ স্বাক্ষরযুক্ত হইবে। যেক্ষেত্রে কোন রেজিস্ট্রার পরিদর্শনরত বা নৈমিত্তিক ছুটিরত থাকাবস্থায় কোন পত্রের খসড়া অনুমােদন করেন এবং উক্ত পত্র যদি সদর কার্যালয় হইতে প্রেরিত হয়, সেইক্ষেত্রে, রেজিস্ট্রারের নির্দেশ অনুসারে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা সদর সাব-রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রারের পক্ষে পত্রটির পরিচ্ছন্ন কপিতে স্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

২০৭। পত্র যােগাযােগ সংরক্ষণ পদ্ধতি।- (ক) সদর কার্যালয়ের চিঠি-পত্র, যতদূর প্রযােজ্য, নিম্নে উদ্ধৃত ১৯৪৩ সনের বেঙ্গল রেকর্ড ম্যানুয়েলের বিধানানুসারে সংরক্ষণ করিতে হইবে, এবং, যতদূর সম্ভব, পরিশিষ্ট ৭ এর ৭ নং ফরমে উল্লিখিত সংকলন অনুসারে বিন্যাস করিতে হইবে।

(খ) অধীনস্থ কার্যালয়সমূহে চিঠি-পত্র তিনটি সংকলনে বিন্যাস করা যাইতে পারে, যথা: (১) সাধারণ, (২) হিসাব এবং (৩) পরিসংখ্যান। সাধারণ সংকলনের অধীন চিঠি-পত্ৰসমূহ তিনটি উপ-সংকলনে বিন্যাস করা যাইতে পারে, যথা: (১) সরকার, (২) মহা-পরিদর্শক নিবন্ধন ও (৩) জেলা রেজিস্ট্রার। | গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্রসমূহের জন্য একটি নিরাপত্তা নথি সংরক্ষণ করিতে হইবে।

(গ) সকল কার্যালয়ে কালানুক্রমিকভাবে বিন্যস্ত একটি স্বতন্ত্র নথিতে পরিদর্শন স্মারকসমূহ সংরক্ষণ করিতে হইবে।

রেকর্ড ম্যানুয়েল, ১৯৪৩ এর উদ্ধৃতাংশ।

প্রথম অধ্যায়।

ক- চলতি পত্রালাপ সম্পর্কিত

১। নিম্নবর্ণিত বিধানসমূহ একটি কার্যালয়ের চিঠি-পত্র শ্রেণি বিন্যাসকরণ, নিবন্ধন ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে সবিস্তারে ব্যবস্থা প্রদান করে। প্রথমত : বিভাগ (Departments) দ্বারা। দ্বিতীয়ত, প্রতি বিভাগে কাগজপত্রের সংকলন (Collections) দ্বারা, প্রতি সংকলন ইহার

পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা এবং স্বাতন্ত্র্যসূচক শিরােনাম দ্বারা। | তৃতীয়ত : প্রত্যেক সংকলনস্থিত নথিসমূহ (Files) দ্বারা, সংকলনের মধ্যে প্রতিটি নথি ইহার পর্যায়ক্রমিক সংখ্যা এবং ইহার বিষয়বস্তু যাহার দ্বারা স্পষ্টভাবে আখ্যায়িত হয়। প্রত্যেক নথিস্থিত কাগজ সাধারণত ফুলস্কেপ আয়তন-বিশিষ্ট এবং উন্নত মানের হইবে। এই আয়তনের না হইয়া ফুলস্ক্যাপ কাগজের তুলনায় আকারে বড় হইলে একই পরিসরে খাপ খাওয়ানাের জন্য এইগুলিকে ভাজ করিতে হইবে, পক্ষান্তরে, ছােট হইলে ফুলস্কেপ কাগজের ফর্দের সহিত আঠা দিয়া লাগাইতে হইবে।

২। একই বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক পত্র আদান-প্রদান চলাকালে প্রাপ্ত প্রতিটি চিঠি এবং প্রেরিত কোন চিঠি বা স্মারকলিপির প্রতিটি খসড়া সহকারে একটি একক নথি গঠিত হইবে। প্রতিটি কাগজ সােজাসুজিভাবে কালানুক্রমিক বিন্যাসে রাখিতে হইবে, অর্থাৎ, প্রেরিত বা প্রাপ্ত প্রথম পত্রটি সর্বনিমে, পরবর্তীটি ইহার উপরে এবং ইত্যাকার, সর্বশেষ তারিখের পত্রটি শীর্ষে থাকিবে।

৩। (১) পত্ৰসমূহ যে নথিতে অন্তর্ভুক্ত, সেই নথির মধ্যে প্রতিটি পত্রে ‘ক্রমিক সংখ্যা শিরােনামে। একটি সংখ্যা বরাদ্দ করা হইবে, যাহা এই উদ্দেশ্যে আদর্শ নমুনা অনুসারে রক্ষিত পরিসরে বড়। আকারে সন্নিবিষ্ট হইবে।।

(২) বিধি ২২৭ এ উল্লিখিত বিধান মােতাবেক পত্রের সহিত প্রাপ্ত অন্যান্য কাগজপত্রে ক্রমিক সংখ্যার সঙ্গে বর্ণানুক্রমিক চিহ্ন প্রদান করিতে হইবে, যথা : কোন পত্রের ক্রমিক সংখ্যা ১২ হইলে উহার সঙ্গে প্রাপ্ত অন্যান্য কাগজপত্রে ১২(ক), ১২(খ), ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় চিহ্ন প্রদান করিতে হইবে।

১৯। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয় একটি জবাবের খসড়া তৈয়ার করিবেন, নতুবা আবশ্যক নির্দেশ প্রদান করিবেন। খসড়া জবাবটি ফুলস্কেপ আয়তনের ভিন্ন কাগজে হইবে, খােদ চিঠিটির উপর নহে, বা পরবর্তীকালে কার্যালয় কর্তৃক ভিন্ন কাগজে নকলকৃত হইবে। যদি নির্দেশটি পৃথক কাগজে লিখিত হয়, তাহা হইলে কাগজটি ফুলস্কেপ আকার বিশিষ্ট হইবে এবং উপরে বর্ণিত বিধি ৪ অনুসারে চিঠির সহিত গাঁথিয়া রাখিতে হইবে। যদি নির্দেশটি সংক্ষিপ্ত হয়, তাহা হইলে ইহা চিঠির বাম মার্জিনের খালি অংশে লেখা যাইতে পারে এবং চিঠিটির শেষভাগের খালি জায়গায় চলমান রাখা যাইতে পারে। অবশ্য চিঠিটির উপরে কিছুই লেখা যাইবে না এবং অবশ্যই যত্ন নিতে হইবে যাহাতে এই ধরনের নির্দেশ বা মন্তব্য নিয়মিত পরম্পরায় অপরটিকে অনুসরণ করে, একটি অপরটির নীচে এবং শেষ পর্যন্ত প্রয়ােজনে পত্রটির সহিত সংযুক্ত ফুলস্কেপ কাগজে অনুবর্তিত হইবে।

২১। প্রাপ্ত তাগিদপত্রকে নূতন চিঠি হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, তবে যে চিঠির বিপরীতে উহা পাওয়া গিয়াছে, প্রাপ্ত চিঠি-পত্রের রেজিস্টারে ৫ম কলামে উহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এইগুলিকে। ‘গ’ শ্রেণির কাগজ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

২২। পত্রের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নূতন পত্র হিসাবে গণ্য করা যাইবে না, বরং ইহা ইস্যু রেজিস্টারে সংশ্লিষ্ট পত্রের ৮ম কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। যেক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রাপ্তিস্বীকারপত্র ইস্যু করা। হয়, সেইক্ষেত্রে উহা প্রাপ্তি রেজিস্টারের শেষ কলামে একইভাবে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ইহা ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত কাগজ হিসাবে গণ্য হইবে।

গ- প্রেরিত উত্তর সম্পর্কিত

২৩। একটি খসড়া লিখিত বা অনুমােদিত হইলে খসড়ার সকল পৃষ্ঠা, যদি একাধিক হয়, একত্রিত করিয়া উপরে বাম প্রান্তে সেলাই করিতে হইবে। খসড়ার সহিত সংলগ্নি থাকিলে ইহা খসড়ার সহিত রাখিতে হইবে এবং ইহাতে পৃথক ক্রমিক সংখ্যা দেওয়া হইবে না। যদি খসড়াটি পূর্বে গঠিত কোন নথির অন্তর্ভুক্ত না হয়, কিন্তু নূতন আদান-প্রদান সূচনা করে, তাহা হইলে ইহা একটি নতুন নথির মূল আধার গঠন করিবে, যাহাতে উক্ত সংকলনের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ক্রমিক নথি সংখ্যা বরাদ্দ করা হইবে এবং ইহা যে সংকলনের অন্তর্গত উহার অধীন সূচি রেজিস্টারে তৎক্ষণাৎ নথিটি তালিকাভুক্ত করিয়া একটি সঠিক বিষয় বা শিরােনাম উদ্ভাবন করিতে হইবে। প্রেরণের জন্য পরিচ্ছন্ন অনুলিপিটি নকলকারী নির্ধারিত ফরমে, যদি থাকে, প্রস্তুত করিবেন এবং স্বাক্ষরকরণের জন্য দাখিল করিবেন।। ২৪। প্রেরিতব্য পত্রটি চিঠি-পত্র প্রেরণ রেজিস্টার বহির ১ হইতে ৭ নং কলাম পূরণপূর্বক অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে এবং যদি আবশ্যক হয়, ৯ ও ১০ নং ঘরে তাগিদ সংক্রান্ত বিষয় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২৫। কার্যালয়ে রক্ষিত খসড়া পত্রে রেজিস্টারের সংখ্যা, সংগ্রহ সংখ্যা এবং পত্রটি যে নথির অন্তর্ভুক্ত উহার সংখ্যাসহ তারিখ প্রদান করিতে হইবে।

ঘ- তাগিদপত্র সম্পর্কিত।

৩৯। তাগিদপত্র প্রেরণকালে সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে যাহাতে প্রার্থিত বিষয়বস্তু বা কোন। তদন্তের বিষয়ে ইপ্সিত জবাব আবশ্যিকভাবে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদত্ত হয়, যাহাতে। পত্রগ্রহণকারী কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রসংগ ব্যতিরেকেই তৎক্ষণাৎ জানিতে পারেন কি চাওয়া হইয়াছে।

৪১। কোন জবাবের প্রয়ােজন না হইয়েল গেঠিত চিঠি-পত্র রেজিস্টার বাহির ৭ম কলামে ‘জ, না’। (জৰাৰ নাই) দ্বারা ইহা ব্যক্ত করিতে হইবে।

ছ- নথি বিন্যাস এবং পত্রাদি সংগ্রহ সম্পর্কিত

৬২। প্রতিটি নথির শুরুতে ৰা শেষে একটি সাদা পষ্ঠা রাখিতে হইবে অর্থাৎ যে চিঠিপত্র নথিটি গঠন করে উহাদের তালিকা, যেভাবে প্রতিটি চিঠি গ্রহণ এবং প্রেরণ করা হয়, সেইভাবে পূর্বের নির্দেশানুসারে এই তালিকাটির একটি সংযােজনী তৈয়ার করিতে হইবে।

৬৩। ইংরেজি চিঠিপত্র যােগাযােগের সাদা পৃষ্ঠাটি শক্ত কাগজে মুদ্রিত করিতে হইবে। ইহা। তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ করিৰে কোন নথিতে কোন প্রয়ােজনীয় কাগজ পাওয়া যাইবে বা ইহা বিনষ্ট করা হইয়াছে।

ঝ- রেকর্ডের শ্রেণিবিন্যাস, সংরক্ষণ এবং বিনষ্টিকরণ সম্পর্কিত

৯০। ইংরেজি রেকর্ডপত্র বাংলাভাষার কাগজপত্রের ন্যায় একই নিয়মে শ্রেণিবদ্ধ করা হইবে। “ক” | শ্রেণি স্থায়িভাবে সংরক্ষণীয় কাগজপত্র, ‘খ’ শ্রেণি বার বৎসর পর বিনষ্টযােগ্য কাগজপত্র এবং ‘গ’ শ্রেণি যে সকল কাগজপত্র দুই বৎসরের অধিককাল রাখিবার প্রয়ােজন নাই, সেই সকল কাগজপত্র ধারণ করিবে। কোন শ্রেণিতে একটি পত্র অন্তর্ভুক্ত হইবে, সাধারণভাবে তাহা তৎক্ষণাৎ নির্ধারণ করা সম্ভব। এতদ্ব্যতীত অযথা পুঞ্জীভূত করা এবং এই কাজের প্রতি অবহেলা প্রতিরােধ করিবার জন্য সকল চিঠি-পত্র তৎক্ষণাৎ ‘ক’, ‘খ’ বা ‘গ’ শ্রেণিতে পৃথক করা এবং উহাদিগকে সুস্পষ্টভাবে ক, খ। এবং গ ইত্যাদি মােহর দ্বারা চিহ্নিত করা বাঞ্ছনীয়।

৯৭। ইংরেজি চিঠি-পত্র আদান প্রদানের প্রাপ্তি এবং প্রেরণ রেজিস্টার ভবিষ্যতে স্থায়িভাবে সংরক্ষণ করা হইবে।

২০৮। সরকারি কার্যসংক্রান্ত আবেদন-নিবেদনের পদ্ধতি।- সরকারের নিকট আপিল এবং আবেদননিবেদন দাখিল, প্রাপ্তি ও প্রেরণের পদ্ধতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত যে সকল। আদেশ-নির্দেশ রহিয়াছে, উহা এই বিভাগের সকল কর্মচারীকে অনুসরণ করিতে হইবে।

২০৯। কোর্ট ফি স্ট্যাম্প বাতিলকরণ।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ (১৮৭০ সনের ৭ নং আইন) এর ধারা ৩০ এ বিধৃত অনুবিধি অনুসরণপূর্বক উক্ত আইনের অধীন ব্যবহৃত। স্ট্যাম্পসমূহ বাতিল করিবেন। উক্তরূপ স্ট্যাম্প যথাযথভাবে বাতিলের বিষয়টি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করিবেন।

২১০। বিশেষ ছুটির দিন।- জেলায় পালিত স্থানীয় ছুটির দিবসসমূহে জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে নিবন্ধন কাযালয় বন্ধ রাখা যাইতে পারে যাহার একটি তালিকা সদর কার্যালয় হইতে সংগ্রহ করা যাইতে পারে।

অধ্যায় ১৯

ধারা ৭২ এর অধীন আপিল, ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন এবং ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্ত।

২১১। আপিল বা আবেদন দাখিলকরণ।- যে অগ্রাহ্যের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হইয়াছে সেই আদেশের নকল ও যে দলিলের বিষয়ে অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদান করা হইয়াছে সেই মূল দলিলসহ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক অগ্রাহ্যের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রার বা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ এর অধীন আপিল বা ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন লিখিতভাবে দাখিল করিতে হইবে। মূল দলিল অনকলকৃত থাকিলে, উহার অবিকল নকল এতদুদ্দেশ্যে দাখিল করা যাইবে।

২১২। দলিল উপস্থাপন সাপেক্ষে আপিল বা আবেদন গ্রহণ।- যদি কোন দলিল, আপিলকারী বা আবেদনকারী ব্যতীত অন্য কাহারও অধিকারে আছে বলিয়া উল্লেখ হয় এবং শেষােক্তজন উহা সংগ্রহ করিয়া উপস্থাপন করিতে বা উপস্থাপনের জন্য সমন জারির পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে সময়ের আবেদন। করেন, তাহা হইলে অনুরােধটি রক্ষা করা যাইতে পারে এবং দলিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে আপিল বা আবেদনটি গ্রহণ করা যাইতে পারে।

২১৩। ধারা ৭২ এর অধীন আপিল এবং ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন নথিভুক্ত করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ।- (১) ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন আবেদনকারী বা ধারা ৩৩ দ্বারা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিবলে তাহার এজেন্ট কর্তৃক দাখিল করা যাইবে। (২) ধারা ৭২ এর অধীন আপিল সম্পাদনকারী বা গ্রহীতা বা তাহাদের যে কোন একজনের মনােনীত এজেন্ট কর্তৃক দাখিল করা যাইবে। (৩) কোন আপিল বা আবেদন ডাকযােগে প্রেরিত হইলে উহা গৃহীত হইবে না বা উহার উপর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।

২১৪। আপিল, আবেদন বা তদন্তে অনাদিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি।- নিবন্ধন আইনের ধারা ৪১(২) এর। অধীন উইল বা দত্তক গ্রহণের ক্ষমতাপত্রের সহিত সম্পৃক্ত কোন তদন্তে বা ধারা ৭২ এর অধীন কোন। আপিল বা ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন বা ধারা ৭৪ এর অধীন কোন মূল তদন্তে, লিগাল। প্র্যাকটিশনার্স এন্ড বার কাউন্সিল অর্ডার, ১৯৭২ (Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972) এর অধীন গ্রহণযােগ্য নহে এমন ব্যক্তিদেরকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া। যাইবে না। অবশ্য যথাযথরূপে প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিবলে প্রাধিকৃত হইলে এইরূপ। ব্যক্তিদেরকে এজেন্ট হিসাবে কার্য করা হইতে বিরত রাখা যাইবে না।

২১৫। ধারা ৭৩ ও ৭৪ এর অধীন আবেদনসমূহ তুরিত নিষ্পত্তিকরণ।- যে সকল সাব-রেজিস্ট্রার। নিবন্ধন আইনের ধারা ৭(২) এর অধীন রেজিস্ট্রারের কার্য সম্পাদন করিবার জন্য সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত হইয়াছেন, তাহাদিগকে নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৩ ও ৭৪ এর অধীন মামলাসমূহ তুরিত নিষ্পন্নকরণের প্রয়ােজনীয়তা স্মরণ রাখিতে হইবে। এই সকল ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হইল, দলিলটি কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছে কি না উহা নির্ধারণের জন্য সাক্ষীগণকে পরীক্ষা করিতে হইবে এবং যদি গ্রহীতা কর্তৃক উপস্থাপিত কোন প্রমাণ থাকে, তাহা হইলে, এই বিষয়ে প্রতিপক্ষকে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করিয়া অবিলম্বে উহা গ্রহণ করিতে হইবে কি । তদন্তকারী কর্মকর্তা সম্পাদনের বিষয়ে। সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য আইনত বাধ্য (নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৫) এবং অহেতুক বিলম্ব না। করিয়া হয় দলিলটি নিবন্ধীকরণের আদেশ দিবেন নতুবা উক্তরূপ নিবন্ধন অগ্রাহ্য করিবেন। অপর্যাপ্ত কারণের জন্য বারংবার মুলতবিকরণ অনুচিত। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে অবিলম্বে এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে হইবে যে, যে পক্ষ কর্তৃক দলিলটি কথিতরূপে সম্পাদিত মর্মে দাবি করা হইয়াছে, তাহার দ্বারা যথাযথরূপে উহা সম্পাদিত হইয়াছে কিনা বা হয় নাই। তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ ধারা ৭৩। ও ৭৪ এর অধীন রেকর্ডপত্র যত্ন সহকারে পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন যে মামলা নিষ্পত্তিতে অপ্রয়ােজনীয় বিলম্ব হইয়াছে কিনা। ভ্রমণজনিত কারণে সদর দফতরে জেলা রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিকালীন সময়ে যাহাতে পক্ষগণের এবং তাহাদের সাক্ষীগণের সাক্ষ্য প্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ স্থগিত না হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য কোন মােকদ্দমার শুনানীর তারিখ অগ্রবর্তী ভুক্তি হিসাবে তাহার দিনপঞ্জিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং জেলা রেজিস্ট্রারের ভ্রমণসূচি প্রস্তুত করিবার সময় উহা বিবেচনা করিতে হইবে।

২১৬। কেবল অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন বাদ দেওয়া যাইবে না।- (ক) পক্ষগণের অনুপস্থিতির কারণে নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদন জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক খারিজ করা যাইবে না। ধারা ৭৩ এর অধীন মামলায় আবেদনকারীর হাজির হইতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার নিজ উদ্যোগে স্থগিত না করিলে, প্রদেয়। সঠিক আদেশ হইবে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা।

(খ) পুনর্বিবেচনার আদেশ ।- (১) আবেদনকারীর ত্রুটির কারণে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন। কোন দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশ রেজিস্ট্রার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা এবং মামলাটি তাহার নথিতে পুনর্বহাল করা যাইবে না। (২) বিজ্ঞপ্তি জারির পর উপস্থিত হইতে ব্যর্থ প্রতিপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন কোন দলিলের নিবন্ধীকরণের নির্দেশ প্রদান করিয়া প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং মােকদ্দমাটি পুনর্বহাল করা যাইবে না।

২১৭। কেবল অনুপস্থিতির কারণে ধারা ৭২ এর অধীন আপিল।- সম্পাদনকারীর শুধু অনুপস্থিতির কারণে নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশের বিরুদ্ধে ধারা ৭২ এর অধীন কোন আপিলে, রেজিস্ট্রার কেবল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করিতে পারেন। ধারা ৭৩ এর অধীন আবেদনের ন্যায় তিনি সম্পাদন সংক্রান্ত ঘটনার বাহ্যিক প্রমাণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না, কিন্তু, যদি সম্পাদনকারী রেজিস্ট্রারের সম্মুখে হাজির হন এবং সংবিধিবদ্ধ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট অনুপস্থিতির জন্য প্রদর্শিত কারণ গৃহীত হয়, তাহা হইলে রেজিস্ট্রার সম্পাদনকারীর সম্পাদন। স্বীকার রেকর্ডভুক্ত করিতে পারেন এবং দলিলটি নিবন্ধনের নির্দেশ দিতে পারেন।

২১৮। আপিল মােকাদ্দমায় স্বেচ্ছায় উপস্থাপিত বা অন্য প্রকারে লভ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ।- ধারা ৭২ এর। অধীন আপিল মােকদ্দমায় দমনমূলক পদ্ধতিতে সাক্ষীগণের উপস্থিতি কার্যকর করা হইতে জেলা রেজিস্ট্রারকে নিবারিত করা হইয়াছে, তবে সাক্ষ্য পাওয়া গেলে বা পক্ষগণ কর্তৃক স্বেচ্ছায় উপস্থাপিত হইলে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে কোন বাধা নাই।

২১৯। নাবালকতু, নির্বুদ্ধিতা বা পাগলামি মিথ্যা প্রতিপাদিত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত।- সম্পাদনকারী নাবালক, নির্বোধ বা উন্মাদ এই অজুহাতে প্রদত্ত অগ্রাহ্য-আদেশের বিরুদ্ধে ধারা ৭২ এর অধীন। আপিলে আনীত অভিযােগে যদি রেজিস্ট্রার অবগত হন যে, সম্পাদনকারী সাবালক বা, ক্ষেত্রমত, সুস্থ মনের অধিকারী, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলিলটির সম্পাদনের ঘটনা তদন্ত করিবেন। যদি সম্পাদন স্বীকৃত হয়, তাহা হইলে তিনি উহা নিবন্ধীকরণের নির্দেশ দিবেন, পক্ষান্তরে যদি তাহা না হয়, তাহা হইলে নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হইবে।

২২০। কার্যত সম্পাদন অস্বীকার।- যেক্ষেত্রে সম্পাদনকারী নিবন্ধন পরিহার করিবার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে দৃষ্টির অগােচরে থাকে, বা কোন দুরবর্তী স্থানে চলিয়া যায় এবং সম্পাদন স্বীকার । করিবার জন্য প্রত্যাবর্তনের কোন সম্ভাবনা না থাকার কারণে তাহার অনুপস্থিতিকে সম্পাদন অস্বীকৃতির। শামিল গণ্যে কোন অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদত্ত হয়, সেইক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্ট্রার কর্তৃক আবেদনটি গ্রহণ করা যাইতে পারে, এবং সম্পাদনের ঘটনাটি এইভাবে তদন্ত করা হইবে যেন সম্পাদন সুনির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করা হইয়াছে।

২২১। [ বাতিলকৃত ]।

২২২। ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ পদ্ধতি।- (ক) ধারা ৭৪ এর অধীন তদন্তে রেজিস্ট্রার, যদি সাক্ষীগণকে পরীক্ষা করেন, তাহা হইলে তিনি দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এ। বর্ণিত পদ্ধতিতে তাহাদের সাক্ষ্য প্রমাণ লিপিবদ্ধ করিবেন। (খ) কোন সাক্ষীকে কমিশনে পরীক্ষা করিবার প্রয়ােজন হইলে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ ২৬ এ নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

২২৩। ধারা ৭২ ও ৭৩ এর অধীন সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ।- জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বয়ং অগ্রাহ্যকত আদেশ হইতে ধারা ৭২ বা ধারা ৭৩ এর অধীন উদ্ভূত মােকদ্দমায় কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা । জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সাক্ষ্যপ্রমাণ লিপিবদ্ধকরণ অবৈধ।

২২৪। ধারা ৭৫ এর অধীন ব্যয়।- ধারা ৭৫ এর অধীন রেজিস্ট্রারের আদেশবলে ডিক্রি প্রদত্ত ব্যয়। কালেক্টরেট সংস্থাপন কর্তৃক আদায় করা হইবে। এইরূপক্ষেত্রে প্রেরিত পরােয়ানায় রেজিস্ট্রারের পদবি। ব্যবহার করিবার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে। আদায় হওয়ার পর, উক্ত ব্যয় সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পরিশােধ করিতে হইবে কিংবা রাজস্ব জমা হিসাবে ট্রেজারিতে প্রেরণ করিতে হইবে।

১২৫। ধারা ৭২, ধারা ৭৩, ধারা ৭৫ ও ধারা ৭৭ এ ব্যবহৃত আদেশ প্রদান’ অভিব্যক্তির তাৎপর্য ও উহাতে সম্পৃক্ত কার্য পদ্ধতি।- (ক) নিবন্ধন আইনের ধারা ৭৭ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন ব্যবহৃত ‘আদেশ প্রদান’ অভিব্যক্তিটি দ্বারা “কেবলমাত্র লিখিত আকারে রেকর্ডভুক্ত করাকেই বুঝায় না, বরং সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ইহা অবহিত করানােও বুঝায় যাহাতে ইহা দ্বারা তাহাকে আবদ্ধ করা যায়, কারণ কোন আদেশ আদেশরূপে গণ্য হয় না, যদি না আদেশপ্রদানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক যে ব্যক্তির প্রতি আদেশ প্রদান করা হইয়াছে সেই ব্যক্তির চেতনায় এবং গােচরে আনিবার নিমিত্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা” বুঝানাে হয়।

(খ) “আদেশ প্রদান” এইরূপ একই অভিব্যক্তি নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৭৩ এর উপ-ধারা (১) ও ধারা ৭৫ এর উপ-ধারা (২) এ দুষ্ট হয় এবং ২২৫(ক) অনুচ্ছেদেবর্ণিত পদ্ধতিতে এইগুলি ব্যাখ্যা করিতে হইবে।

(গ) রেজিস্টার বা অর্পিত ক্ষমতাবলে সাব-রেজিস্ট্রারগণ ধারা ৭২, ধারা ৭৫ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা। ৭৬(খ) এর অধীন নিবন্ধীকরণ বা অগ্রাহ্যকরণের আদেশ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে অবহিত করিবেন এবং নিবন্ধনের আদেশ অবহিতকরণের তারিখ লেখ্যপ্রমাণে সংযুক্ত আদেশপত্রে এবং অগ্রাহ্যের আদেশ অবহিতকরণের তারিখ তাহাদের ২ নং রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন। একই সংগে তাহারা সংশ্লিষ্ট পক্ষকে উক্ত আদেশ অবহিতকরণের তারিখ উল্লেখপূর্বক দলিল নিবন্ধন বা অগ্রাহ্যকরণের নির্দেশনা সম্বলিত আদেশ যে সাব-রেজিস্ট্রার উহা নিবন্ধন করিবেন তাহাকে ডাকে প্রেরণের প্রত্যায়নপত্রের অধীন অবহিত করিবেন। যদি ঘটনাক্রমে আদেশটির। নকলে কোন পরিবর্তন সংঘটিত হইয়া থাকে তাহা হইলে তিনি ইহার দ্বারা যে ৩০ (ত্রিশ) দিন। সময়ের মধ্যে দলিলটি দাখিল করিতে হইবে উহা পরীক্ষা করিতে সক্ষম হইবেন।

২২৬। ধারা ৭২ এর আপিল যেভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে।- ধারা ৭২ এর অধীন আপিলের মূল। স্মারকলিপির স্ট্যাম্পশুল্ক কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ এর তফসিল ২ এর অধীন দফা ৯ অনুসারে ধার্য করা হইবে।

২২৭। ধারা ৭৩ এর আবেদন স্ট্যাম্পযুক্ত হইবে না।- ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিলকৃত আবেদনে কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ এর তফসিল ২ এর অধীন দফা ১(খ) অনুসারে বা একই আইনের তফসিল ২ এর অধীন দফা ৯ অনুসারে স্ট্যাম্প শুল্ক আরােপযােগ্য নহে। অতএব, কেবল সাদা কাগজে এইরূপ আবেদন করিতে হইবে।

২২৮। অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল পাইতে আবশ্যক সময় বাদ দেওয়া যাইবে না।- একটি দলিল নিবন্ধন করাইয়া লইবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিবন্ধন আইনের ধারা ৭২ ও ধারা ৭৩ এর অধীন রেজিস্টারের নিকট যে ৩০ (ত্রিশ) দিন সময়ের মধ্যে আবেদন করিতে হয়, সেই সময় গণনায়। অগ্রাহ্যের কারণসমূহের নকল পাইতে যে সময় প্রয়ােজন, উহা বাদ দেওয়া যাইবে না। অতএব, এইরূপ নকল প্রদানের ক্ষেত্রে অযথা কোন প্রকার বিলম্ব করা যাইবে না।

অধ্যায় ২০

রেকর্ডরুম ও নথিপত্র সংরক্ষণ পদ্ধতি

২২৯। আলাে ও বাতাস প্রবেশ এবং আর্দ্রতা নিবারণ।- (ক) প্রতিটি নিবন্ধন কার্যালয়ের রেকর্ডরুম। সর্বদা আর্দ্রতা মুক্ত রাখিতে হইবে। ছাদের সিলিং, দেওয়াল এবং মেঝে ঝকঝকে পরিষ্কার রাখিতে। হইবে। যতটা সম্ভব, আলাে প্রবেশ এবং বায়ু চলাচলের জন্য জানালাগুলি দৈনিক খােলা রাখিতে হইবে, আর যদি জানালাগুলি দেওয়ালের উপরিভাগে অবস্থিত হয়, তাহা হইলে, বৃষ্টির সময় ব্যতীত, সর্বদাই কার্যালয় চলাকালীন সময়ে খােলা রাখিতে হইবে।

(খ) বিশেষভাবে আর্দ্রতাপূর্ণ স্থানে, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের ছােট ছােট ঝুড়ি ছাদের সিলিং হইতে ঝুলাইয়া রাখিতে হইবে, যাহাতে যতটা সম্ভব, বায়ুমণ্ডলীয় বাষ্প শােষণ করিতে পারে।

২৩০। উই পােকা, ইত্যাদি হইতে কাঠের ব্ল্যাক রক্ষাকরণ– নথিপত্রের র্যাক এবং অন্যান্য কাঠের তৈরি জিনিসপত্রের অবনতি ঘটা হইতে রক্ষা করিবার জন্য ইহাদিগকে ৩ : ১ অনুপাতে কেরােসিন তৈল এবং ফিনাইল মিশ্রণ দ্বারা প্রতি ১ (এক) মাস অন্তর প্রলেপ দিতে হইবে। সম্ভব হইলে, র্যাকের পায়াগুলি সমপরিমাণ কেরােসিন তৈল ও ফিনাইল মিশ্রিত দ্রবণপুর্ণ পাত্রের উপর রাখিবার ব্যবস্থা করিতে হইবে।

২৩১। রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ, ধুলিমুক্তকরণ ও পরিচ্ছন্নকরণ।- রেজিস্টার বহি ও নথিপত্রের ভলিয়মসমূহ উইপােকা ও অন্যান্য পােকামাকড়ের উপদ্রব হইতে রক্ষা করিবার জন্য, যতটা সম্ভব, উহাদিগকে ধূলিমুক্ত এবং আর্দ্রতামুক্ত রাখা আবশ্যক। বহিগুলি তাকের পর তাক হইতে বাহির করিতে হইবে এবং পরিষ্কার করিবার পর পুনঃস্থাপন করিতে হইবে। প্রতিটি র্যাক এইরূপ কার্যকরণের আওতায় আসিবে এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে সমুদয় ব্ল্যাক শেষ হওয়ার পর, উপযুক্ত বিরতি দিয়া প্রথম ব্যাক হইতে বহিসমূহ পরিষ্কারকরণ পুনরায় আরম্ভ করিতে হইবে। বহিগুলিকে মাঝে মাঝে ক্ষয়িষ্ণু উর্ধ্বপাতন এবং ন্যাপথালিন চূর্ণ মিশ্রিত দ্রবণ দ্বারা ঝাড়া প্রয়ােজন। বহিগুলি যত্নের সহিত ঝাড়িতে হইবে, কাপড় দিয়া মলাটের শুধু বাহির নয়, ভিতর দিকও মুছিয়া দেওয়ার বিষয়ে যত্নবান হইতে হইবে। ভলিয়মের উপর ন্যাপথালিনের গুলি ছড়াইয়া দিতে হইবে, বিশেষভাবে এইগুলি যেক্ষেত্রে আলমারির ভিতর রাখা হয়।

২৩২। নথিপত্র পরিষ্কার করিবার তারিখের রেজিস্টার বহি।- প্রতিটি সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। পরিশিষ্ট ৫ এর ৩১ নং ফরমে কলাম সম্বলিত একটি রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং উহাতে তাকের উপ-কলামসহ প্রতিটি র্যাকের জন্য একটি করিয়া কলাম, এবং প্রতিমাসের জন্য একটি সারি থাকিবে, যাহাতে র্যাকের প্রতিটি অংশ কখন পরিষ্কার করা হইয়াছে ক্রমাগতভাবে উহার তারিখ প্রদর্শন করিতে হইবে।

২৩৩। অগ্নি প্রতিরােধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।- সর্বাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ব্যতীত, রেকর্ডরুমের | ভিতর কোন প্রকার বাতি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাইবে না।

২৩৪। রেকর্ডরুম সাপ্তাহিক পরিদর্শন।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সপ্তাহে অন্তত একবার রেকর্ডরুম পরিদর্শন করা অপরিহার্য। তিনি রেকর্ডরুমের ভিতরে প্রবেশ করিয়া সকল র্যাক এবং উহাতে রক্ষিত রেকর্ডসমূহ, বিশেষভাবে রেজিস্টার বহিসমূহ যথাস্থানে সংরক্ষিত আছে কিনা, এবং সাধারণভাবে এইগুলি ভাল অবস্থায় আছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় লক্ষ্য করিয়া পরিদর্শন করিবেন। তিনি পূর্বোক্ত ২৩২ নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত রেজিস্টার বহিতে, এবং মফঃস্বল কার্যালয়ের ক্ষেত্রে দিনপঞ্জির মন্তব্যের কলামে পরিদর্শনের তারিখ লিপিবদ্ধ করিবেন।

রেকর্ডরুমের ভিতরে নথিপত্র সুবিন্যস্তকরণ সংক্রান্ত নির্দেশাবলি

২৩৫। নথিপত্র সুবিন্যস্তকরণ।-

  1. কক্ষ এবং র্যাকসমূহ ধারাবাহিকভাবে সংখ্যাযুক্ত করিতে হইবে। প্রতিটি র্যাকের তাক উপর হইতে শুরু করিয়া সাদা রং দ্বারা সংখ্যাযুক্ত করিতে হইবে। সুবিধাজনক হইলে, রঙিন টিনের পাতও ব্যবহার করা যাইতে পারে। কার্যালয়ের নাম এবং নথিপত্রের সংশ্লিষ্ট সন প্রদর্শন করিয়া র্যাক এবং তাকের উপর লেবেলও লাগানাে যাইতে পারে বা রং করা (যাহা। সুবিধাজনক) যাইতে পারে।
  2. একইরূপে প্রত্যেকটি বহিতে কার্যালয়ের নাম, উহা যে সন সম্পর্কিত, সেই সন, সাধারণ তালিকাবহির যে অংশে উহা অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে সেই অংশে উহার বরাদ্দকৃত সংখ্যাযুক্ত লেবেল প্রতিটি বহিতে লাগাইতে হইবে।।
  3. বহিগুলি যাহাতে সহজে বাহির করা বা পুনরায় রাখা যায়, সেই জন্য এইগুলিকে র্যাকের উপর। খাড়াভাবে রাখিতে হইবে, সমতলভাবে নহে।।
  4. কাজিদের দীর্ঘদিনের পুরাতন নথিপত্র, যদি থাকে, প্রথমে তালিকাভুক্ত করিতে হইবে। এইগুলি যথাযথভাবে বাছাই এবং কালানুক্রমিকভাবে সজ্জিতকরণের পর, কাগজপত্রের একটি তালিকাসহ বস্তায় বাঁধিয়া র্যাকের সর্বোচ্চ তাকের মধ্যে রাখিতে হইবে। স্থান সংকুলানের জন্য এইগুলিকে ‘ট্যাক’ শীর্ষক পদ্ধতিতে রাখা যাইবে।।
  5. গৃহীত পদ্ধতি যাহাতে আগা-গােড়া চালু রাখা যায়, এই শর্তে, প্রতি বৎসরের সূচিবহি বাৎসরিক প্রতিবেদনে যেভাবে সজ্জিত আছে তদনুসারে, অথবা অন্য কোন সুবিধাজনক পদ্ধতিতে কালানুক্রমিকভাবে ভিন্ন র্যাকে রাখিতে হইবে।
  6. (৬) ১, ৩ ও ৪ নং রেজিস্টার বহি অনুরূপভাবে সজ্জিত হইবে এবং সচিবহি হইতে আলাদা রাখিতে হইবে।
  7. সকল বিনষ্টযােগ্য বহি এবং রেজিস্টার বহি পৃথক তাকে একসংগে রাখিতে হইবে।
  8. মুসলিম বিবাহ নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্টার বহি এবং তৎসম্পর্কিত সূচিবহি একইভাবে ভিন্ন। র্যাকে রাখিতে হইবে। পর্যাপ্ত জায়গা থাকিলে জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ নিবন্ধন আইন এবং বিশেষ। বিবাহ আইনের অধীন নথিপত্রও এই র্যাকে রাখা যাইবে। যে সকল জেলার নথিপত্রের পরিমাণ অধিক নহে, সেই সকল জেলায় একটি র্যাকের কতিপয় তাক এই সকল রেজিস্টার বহি মজুদ করিবার জন্য আলাদা করিয়া রাখা যাইবে।
  9. প্রতি র্যাকের মধ্যে রক্ষিত নথিপত্রের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী লিপিবদ্ধপূর্বক এবং সুবিধাজনক আকারের পিচবাের্ডের উপর লাগাইয়া প্রতিটি র্যাকে ঝুলাইয়া রাখা যাইবে।

জেলা নিবন্ধন কার্যালয়ে রেকর্ডরুমের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশনা।

২৩৬। রেকর্ডরুমের ব্যবস্থাপনা।-

  1. জেলা রেকর্ডরুমে দুইটি মজবুত তালা সরবরাহ করিতে। হইবে, একটির চাবি থাকিবে রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার নিকট এবং অপরটি থাকিবে রেকর্ডকিপারের নিকট।
  2. প্রত্যেক সদর নিবন্ধন কার্যালয়ে রেজিস্ট্রার, স্থানীয় পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করিয়া, যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রারকে বা সদর সাব-রেজিস্ট্রারকে, ক্ষেত্রমতে, রেজিস্ট্রার যাহাকে যােগ্য মনে করিবেন তাহাকেই রেকর্ডরুমের সার্বিক দায়িত্বে এবং ইহার সহিত সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডে নিয়ােজিত করিবেন। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণের তথ্য-নির্দেশের জন্য রেজিস্ট্রারের আদেশ কার্যালয়ের। আদেশ বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। ছুটি বা অন্য কারণে স্থায়ী কর্মকর্তার অনুপস্থিতির সময় নিয়ােজিত কর্মকর্তার বিষয়েও অনুরূপ আদেশ জারি করা যাইতে পারে।
  3. বিশেষভাবে নির্বাচিত একজন সহকারী যাহাকে রেকর্ডকিপার বলা হইবে, তিনি নকল বা তল্লাশের জন্য বাহিরে আনীত রেজিস্টার বহিসমূহ সততার সহিত ব্যবহারের দায়িতে থাকিবেন।
  4. রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সাধারণত যে সময়ে তল্লাশ বা নকলের আবেদন গ্রহণ করা হইবে, প্রত্যেক সদর কার্যালয়ের জন্য জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক উহা নির্ধারিত হইবে। জনসাধারণের অবগতির জন্য এইরূপ নির্ধারিত সময় উল্লেখ করিয়া কার্যালয়ের প্রবেশ পথে দৃষ্টিগ্রাহ্য স্থানে একটি বিজ্ঞপ্তি ঝুলাইয়া রাখিতে হইবে।
  5. (ক) প্রতিটি আবেদন গৃহীত হওয়ার পর বা পর্যাপ্ত সংখ্যক (যেমন, ৫ বা ১০) আবেদন গৃহীত হওয়ার পর উহা তল্লাশ রেজিস্টার বহিতে জমা হইবে এবং জমা হওয়ার পর রেকর্ডরুমের। দায়িত্বে নিয়ােজিত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক উহার উপর প্রয়ােজনীয় আদেশ লিপিবদ্ধ। হইবে।
    (খ) ইহার পর এক বা একাধিক আবেদন রেকর্ডকিপারের নিকট হস্তান্তর করা হইবে, যিনি ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ডরুমে প্রবেশ করিবেন এবং রেকর্ডরুমের দপ্তরি বা, ক্ষেত্রমত, পিয়নের সাহায্যে আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়ােজনীয় রেজিস্টার বহি বা সূচিবহি বাহির করিয়া। আনিবেন। এই সংগে খালি জায়গাটিতে একটি অপসারণ-টোকা রাখিয়া দিবেন। সকল আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি করা যাইবে।।
  6. প্রত্যেক সদর কার্যালয়ে রেকর্ডকিপারের ইস্যুবহি নামে পরিশিষ্ট ৫ এর ৯ নং ফরমে একটি রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে, রেজিস্টার বহিসমূহ বাহির করামাত্র রেকর্ডকিপার কর্তৃক ১-৫ নং কলামসমূহ পূরণ করিতে হইবে।
  7. অতঃপর আবেদন অনুসারে রেকর্ডকিপার তল্লাশকারী এবং নকলনবিসগণের মধ্যে রেজিস্টার বহিসমূহ বিতরণ করিবেন এবং ৬ষ্ঠ কলামে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুস্বাক্ষর লইবেন।
  8. তল্লাশ বা নকল কার্য সম্পন্ন হওয়া মাত্র, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র রেকর্ডকিপারের নিকট অৰ্পণ করিতে হইবে, যিনি দিনের শেষে ৬ নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত রেজিস্টার বহির ১-৪ নং কলামের বরাতে। বিলিকৃত রেজিস্টার বহিসমূহ তাহার নিকট ফেরত প্রদান করা হইয়াছে কিনা, উহা সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবেন। এই কাজটি সমাপ্ত হওয়ার পর, তিনি নির্ধারিত রেজিস্টার বহির ৭ম ও ৮ম কলাম পুরণ করিয়া রেজিস্টার বহিগুলি রেকর্ডরুমের যথাযথ স্থানে তুলিয়া রাখিবেন।
  9.  যদি একদিনে নকলের কাজ শেষ না হয়, তাহা হইলে দিনের শেষে রেজিস্টার বহিটি পূর্বের জায়গায় রাখিয়া দিতে হইবে, পরবর্তী দিন আবারও ইহা বাহিরে আনা যাইবে, তবে, প্রতিদিনের কার্যবিবরণী ৬ নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত রেজিস্টার বহিতে ভিন্নভাবে প্রদর্শন করিতে হইবে। রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিনের কাজ শেষে তল্লাশ ও নকলের জন্য যে সকল রেজিস্টার। বহি বাহির করা হইয়াছিল তাহা যথাস্থানে রাখা হইয়াছে কিনা, উহা দেখিবার জন্য রেজিস্টার বহিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করিবেন।
  10. রেকর্ডকিপার রেকর্ডরুমের দরজার যতটা কাছে সম্ভব বসিবেন, যাহাতে কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়কালীন কার্যালয়ের কর্মচারীগণের কক্ষে প্রবেশের এবং বাহিরে যাওয়ার গতিবিধির উপর ব্যক্তিগতভাবে নজরদারি করিতে পারেন এবং প্রাধিকারবিহীন ব্যক্তিগণের প্রবেশ রােধ করিতে পারেন। রেকর্ডরুমের বাহিরে রেকর্ডকিপারের দষ্টিসীমার মধ্যে তল্লাশকারীদের ব্যবহারের জন্য একটি লম্বা টেবিল রাখা হইবে, যাহাতে রেকর্ডকিপার কর্মরত সকলের প্রতি দৃষ্টি রাখিতে পারেন।
  11. তল্লাশ করিবার জন্য তল্লাশের আবেদনকারীগণকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আবেদন করতে হইবে। রেকর্ডকিপার এবং যেক্ষেত্রে তাহার সহকারী আছে, সেইক্ষেত্রে সহকারার প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে তল্লাশকার্য পরিচালিত হইবে। কর্মরত তল্লাশকারীদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার জন্য তাহাদের মধ্যে অন্তত একজনকে অবশ্যই কম ব্যস্ত রাখিতে হইবে।
  12. ১৮৫ নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত টীকা লিখিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য কোন তল্লাশকারীকে একটি পেন্সিল এবং এক টুকরা কাগজ ব্যতীত কোন লিখন সামগ্রীর অনুমতি দেওয়া যাইবে। না। কোন নােটবহি ভিতরে আনিবার জন্য অনুমতি দেওয়া যাইবে না। তল্লাশকারীগণ কর্তৃক কাগজে প্রস্তুতকৃত টীকাসমূহ মাঝে-মধ্যে পরীক্ষা করিতে হইবে।
  13. যে সকল মােহরার সমাপ্তকৃত দলিলের সত্যায়িত নকল প্রস্তুত করেন, তাহারা রেকর্ডকিপারের। তত্ত্বাবধানে কাজ করিবেন এবং সেই কারণে তাহার দৃষ্টিগােচর স্থানে বসিবেন।
  14. রেকর্ডরুমে নিয়ােজিত দপ্তরিগণ যাহাতে তল্লাশকারীদের উপর কোন অবৈধ সুযােগ গ্রহণ। করিতে না পারে বা তাহাদের নিকট হইতে কোন পারিতােষিক গ্রহণ করিতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা রেকর্ডকিপারের কর্তব্য।
  15. যেক্ষেত্রে রেজিস্টার বহি ইত্যাদি, বাঁধাই বা পুনঃবাঁধাইয়ের জন্য বাহিরে আনা হয়, সেইক্ষেত্রে রেকর্ড-কিপারের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে এবং নিরাপদ স্থানে যাহাতে কাজটি সম্পন্ন হয় উহা রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা লক্ষ্য রাখিবেন। বাহিরে আনীত রেজিস্টার বহিসমূহ উপরে বর্ণিত ৬ নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
  16. যে সকল চলতি বহিতে দলিল নকল করা হয়, সেইগুলি প্রতি দিনের কাজশেষে নিরাপত্তার। জন্য রেকর্ডরুমে জমা করিতে হইবে এবং পরের দিন বাহির করা হইবে, ইহার জন্য ইস্যু রেজিস্টার বহিতে কোন ভুক্তি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে না।। অবশ্য, যেক্ষেত্রে চলতি রেজিস্টার বহিসমূহ রেকর্ডরুমে রাখা সম্ভবপর নহে, সেইক্ষেত্রে। অবশ্যই জেলা রেজিস্ট্রারের আদেশ প্রাপ্ত হইতে হইবে এবং রেজিস্টার বহিসমূহ রেকর্ডরুমের। বাহিরে কোন নিরাপদ স্থানে তালাবদ্ধ রাখিতে হইবে। তবে কোন রেজিস্টার বহি সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে রেকর্ডরুমে স্থানান্তর করিতে হইবে।
  17. আদালত এবং রাজস্ব কার্যালয় কর্তৃক তলবকৃত রেকর্ডপত্রের জন্য পরিশিষ্ট ৫ এর ৩১ নং। ফরমে সদর রেকর্ডরুমসহ সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে হস্তলিখিত রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে, যাহাতে রেকর্ডরুম হইতে প্রেরিত, এবং রেকর্ডরুমে ফেরতপ্রাপ্ত, রেজিস্টার বহি বা। রেজিস্টার বহিসমূহের পূর্ণ ইতিবৃত্ত দৃষ্টে দ্রুত সন্ধান করা যাইতে পারে।

অধ্যায় ২১

সাময়িক বিবরণী ও প্রতিবেদনসমূহ।

২৩৭। জেলা কার্যালয়ের জন্য সাময়িক বিবরণীসমূহ।- (ক) নিম্নবর্ণিত বিবরণীসমূহ জেলা রেজিস্ট্রার কতৃক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট দাখিল করিতে হইবে:

বিবরণী-ক

নিমের ৩ (তিন) টি বিবৃতি লইয়া বিবরণী-ক গঠিত হইবে, যথা :

(১) বিবৃতি-ক (১ নং বহিতে নিবন্ধিত স্থাবর সম্পত্তির দলিল এবং ফিসাদিসহ এইরূপ। নিবন্ধিত দলিল মূলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল্যের বিবরণ)।।

(২) বিবৃতি-খ (৪ নং বহিতে নিবন্ধিত অস্থাবর এবং ৩ নং বহিতে নিবন্ধিত উইল ও দত্তক গ্রহণের ক্ষমতাপত্র এবং ফিসাদিসহ এইরূপ নিবন্ধিত দলিলমূলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল্যের। বিবরণ ও যাবতীয় নিবন্ধীকরণের সর্বমােট যােগফল)।

(৩) বিবৃতি-গ (নকল এবং সূচির কাজের অগ্রগতি প্রদর্শন সংক্রান্ত বিবরণ)।

বিবরণী-খ

নিম্নের ৫ (পাঁচ) টি বিবৃতি লইয়া বিবরণী-খ গঠিত হইবে, যথা :

(১) বিবৃতি-ঘ (১, ৩ ও ৪ নং রেজিস্টার বহির নিবন্ধীকরণ ব্যতীত মুখ্য কার্যক্রমসমূহের এবং উহাদের অধীনে আদায়কৃত ফিস হইতে আয়ের বিবরণ)।

(২) বিবৃতি-৬ (আদায়কৃত ফিসের শ্রেণিবিন্যাসকৃত বিবরণ)। |

(৩) বিবৃতি-চ (মূল্যের আনুপাতিক ক্রমের অধীন আদায়কৃত ফিসের পূর্ণ বিবরণ)।

(৪) বিবৃতি-ছ (প্রকৃত ব্যয়িত অর্থ প্রদর্শন করিয়া বিবরণ)

(৫) বিবৃতি-জ (ফেরত প্রদত্ত এবং স্থিত ফিসের পরিমাণ প্রদর্শন করিয়া বিবরণ)।

বিবরণী-গ

বিবরণী-গ, বিবৃতি-ঝ (সমাপ্তকরণের তারিখ হইতে এক মাসের অধিককাল যাবত দাবিবিহীন থাকা নিবন্ধিত দলিলের বিস্তারিত বিবরণ) দ্বারা গঠিত হয়।

বিবরণী-ঘ

বিবরণী-ঘ, বিবৃতি-ঞ (সমাপ্তকরণের তারিখ হইতে একমাস সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফেরত প্রদত্ত নিবন্ধিত দলিলের বিস্তারিত বিবরণ) দ্বারা গঠিত হয়।

(খ) এই বিবরণীসমূহ ত্রৈমাসিকভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পরবর্তী মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে দাখিল করিতে হইবে। বিবরণীসমূহ সঠিকভাবে প্রস্তুতকরণ এবং সময়মত দাখিলকরণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারগণ। দায়ী থাকিবেন।

২৩৮। মফঃস্বল এবং সদর যুগ্ম কার্যালয়ের জন্য বিবরণীসমূহ।- (ক) নিম্নবর্ণিত বিবরণীসমূহ সাবরেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, যথা : বিবরণী নং-১, বিবৃতি ১-৭ (বিবৃতি ১, ২, ৩ ও ৪ যাহা বিবরণী-ক এর বিবৃতি ক হইতে ঘ এর অনুরূপ; বিবৃতি ৫, ৬ ও ৭ যাহা বিবরণী-খ এর বিবৃতি ঙ, চ ও জ এর অনুরূপ) লইয়া গঠিত হয়। বিবরণী নং- ২, বিবৃতি ৯ (যাহা বিবরণী-গ এর বিবৃতি ঝ এর অনুরূপ) দ্বারা গঠিত। বিবরণী নং- ৩, বিবৃতি ১০ (যাহা বিবরণী-ঘ এর বিবৃতি ঞ এর অনুরূপ) দ্বারা গঠিত।

(খ) বিবরণী নং-১ প্রতি মাসে এবং বিবরণী-১, ২ ও ৩ ত্রৈমাসিক-ভিত্তিতে, যথাক্রমে উহাদের সংশ্লিষ্ট মাস বা তিন মাস অন্তর পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে দাখিল করিতে হইবে।

(গ) প্রতি মাসের মাসিক আদায় এবং ব্যয়ের বিবরণ সাব-রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক পরবর্তী মাসের ৭ (সাত) তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার জেলার সমন্বিত বিবরণ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বরাবর প্রেরণ করিবেন।

(ঘ) সাব-রেজিস্ট্রারগণ ব্যক্তিগতভাবে বিবরণীসমূহের প্রস্তুতিকরণ তত্ত্বাবধান করিবেন, এবং তাহারা উহার সঠিক প্রস্তুতিকরণ ও যথা সময়ে দাখিলকরণের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দায়ী থাকিবেন।

২৩৯। জেলা রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক মাসিক কাজ, খরচ, নকল ও সূচি কাজের বকেয়া সংক্রান্ত বিবরণ দাখিলকরণ।- জেলা রেজিস্ট্রারগণ নিম্নবর্ণিত ফরমে তাহাদের কার্য সংক্রান্ত মাসিক বিবরণী মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন এর নিকট দাখিল করিবেন।

মাসিক বিবরণী ১

…জেলার ২০ ….. সনের ….. মাসের জন্য।

নম্বর…………………                                                                 তারিখ :………………….

কাজের বিবরণ :

ক্রমিক

বিবরণ

সংখ্যা

১, ২, ৩ ও ৪ নং বহিতে মাসব্যাপী গৃহীত দলিলের মোট সংখ্যা 
১, ৩ ও ৪ নং বহিতে মাসব্যাপী সমাপ্তকৃত দলিলের মোট সংখ্যা 
১, ৩ ও ৪ নং বহিতে মাসব্যাপী সূচিকৃত দলিলের মোট সংখ্যা। 
গৃহীত নকল, স্মারকলিপি ও বিক্রয় সার্টিফিকেটের মোট সংখ্যা 
নথিভুক্ত এবং সূচিকৃত নকল, স্মারকলিপি ও বিক্রয় সার্টিফিকেটের মােট সংখ্যা। 
যে সকল তারিখে (১) পরির্দশন উপলক্ষে এবং (২) নৈমিত্তিক ছুটি বা অন্য কোন কারণে জেলা রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত ছিলেন এবং এতদুপলক্ষে যে কর্মকর্তা কার্যরত ছিলেন তাহার নামসহ তারিখ 
দুই মাসের অধিককাল যাবত অনিষ্পন্ন থাকা আপিল এবং আবেদনের মোট সংখ্যা। 

প্রত্যয়ন

জেলার সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের মাসিক বিবরণী আমি ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা করিয়াছি এবং যে সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে বকেয়া কাজ রহিয়াছে সে সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের বকেয়া কাজ হাল নাগাদ করিবার জন্য আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করিতেছি।

জেলা রেজিস্ট্রার


মাসিক বিবরণী

নিম্নবর্ণিত খাতসমূহের হিসাবের সহিত তুলনাকৃত খরচের অগ্রগতি প্রদর্শ্ন করিয়া বিবরণ

খাতসমূহমোট বরাদ্দগত মাসের শেষাবধি খরচগত বৎসরের অনুরূপ সময়ের খরচব্যাখ্যা
     

মাসিক বিবরণী

নিম্নবর্ণিত খাতসমূহের হিসাবের সহিত তুলনাকৃত খরচের অগ্রগতি প্রদর্শ্ন করিয়া বিবরণ

যে সকল কার্যালয়ে ১০০ দলিলের উপর বকেয়া রহিয়াছে উহাদের নামনকলকাজে বকেয়া দলিলের সংখ্যাসূচিকাজে বকেয়া দলিলের সংখ্যাবকেয়া থাকিবার কারণ
    

স্মারক নং ………………..                                            তারিখ …………..

অবগতির জন্য মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট প্রেরণ করা হইল।

রেজিস্ট্রার

২৪০।প্রাথমিক খসড়া (Rough draft) পূরণের পদ্ধতি।- বিবরণীসমূহ প্রস্তুতকরণের জন্য বিবরণীর অনুরূপ খসড়া দিনের কাজ শেষে ফিবহি এবং তল্লাশবহি হইতে পূরণ করিতে হইবে, এবং নিবন্ধনকারী কর্ম্কর্তাগণ কর্তৃক এইগুলি সতর্ক্-তার সহিত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষিত এবং স্বাক্ষরিত হইবে।

২৪১। বিবরণী।- শিরোনামসমূহ বিবরণীর ব্যাখ্যা প্রদান করে। এইগুলি প্রস্ত্তুতকরণের জন্য কতিপয় অতিরিক্ত নির্দেশ নিম্নে প্রদত্ত হইলঃ

কেবল নিবন্ধিত দলিলসমূহ (১) বিবৃতি-ক বা ১ এবং বিবৃতি-খ বা ২ এর প্রাথমিক খসড়ায়, (২) বিবরণী-১ এর অনুরূপ বিবৃতি-১ ও ২, এবং (৩) বিবরণী-ক এর বিবৃতি ক ও খ-তে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে। “নিবন্ধিত” শব্দটি ধারা ৫১ এর সহিত পঠিত ধারা ৬০ এর অধীন ব্যাখ্যা অনুসারে অনুধাবন করিতে হইবে। যে সকল দলিলের নিবন্ধীকরণ কোন মাসে বা ত্রৈমাসে অপেক্ষমান থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে নিবন্ধিত হয়, সেইগুলি যেই মাসে বা ত্রৈমাসে নিবন্ধিত হয় সেই মাস বা ত্রৈমাসের উপরোল্লিখিত বিবরণে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

২৪২। কতিপয় শ্রেণির বিবৃতি এবং বিবরণী লিপিবদ্ধ করিবার বিষয়ে নির্দেশ।- (ক) সাধারণ পদ্ধতিতে নিবন্ধিত বিক্রয় সার্টিফিকেটসমূহ বিক্রয় দলিলের সহিত অন্তর্ভূক্ত হইবে এবং বিবরণী- ক, বিবৃতি-ক এর ৪র্থ্-৬ষ্ঠ বা ৮ম-৯ম কলামের অধীন এবং ক্ষেত্রমত, বিবরণী-১, বিবৃতি ১, এর ২য় বা ৩য় কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(খ) সাধারণ পদ্ধতিতে নিবন্ধিত আদালতে রায় বা আদেশের সত্যায়িত নকল যদি স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হয়, তাহা হইলে বিবৃতি-ক এরে ৪০তম-৪২তম কলামে, বা বিবৃতি-১ এর ১৩তম কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে, পক্ষান্তরে ইহারা যদি অস্থাবর সম্পত্তি সম্পত্তি সংক্রান্ত হয় তাহা হইলে, বিবৃতি-খ এর ১০ম-১২তম কলামে বা বিবৃতি-২ এর ৪র্থ্ কলামের অধীন প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(গ) পুত্রদান বা পুত্রগ্রহণ সংক্রান্ত দলিল বা দত্তকগ্রহণের নিদর্শ্ন পত্র যাহার উপর দফা ‘চ’ অনুসারে ফিস ধার্য্ যোগ্য, তাহা বিবরণী-ক এর অধীন বিবৃতি-খ এর ১০ম-১২তম কলামে বা বিবৃতি-২ এর ৪র্থ্ কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(ঘ) যেক্ষেত্রে ইজারা হস্তান্তর দলিল নিবন্ধিত হয়, সেইক্ষেত্রে উহার সংখ্যা এবং ফিসাদি “অন্যান্য নিবন্ধিত দলিল” শিরোনামাধীন বিবৃতি-ক এরে ১৩তম-১৫তম বা ক্ষেত্রমত, ৩১তম-৩৩তম কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(ঙ) জামানত বন্ড, যেক্ষেত্রে উহা স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত না হয়, সেইক্ষেত্রে “অন্যান্য সকল নিবন্ধিত দলিল” শিরোনামাধীন বিবৃতি-খ এর ১০ম-১২তম কলামে বা বিবৃতি-২ এর ৪র্থ্ কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে। পক্ষান্তরে, যদি স্থাবর সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট হয়, তাহা হইলে ইহারা বিবৃতি-ক এর ১৩তম-১৫তম বা, ক্ষেত্রমত, ৩১তম-৩৩তম কলামে বা বিবৃতি-১ এর ৫ম বা ক্ষেত্রমত, ১০ম কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(চ) কেবলমাত্র নিবন্ধিত উইলসমূহ বিবৃতি-খ এর ১৬তম ও ১৭তম কলামে প্রদর্শিত হইবে। যেক্ষেত্রে উইলধারক কোন সিলমোহরযুক্ত খাম উন্মুক্ত করা হয় এবং ইহার বিষয়বস্তু ৩নং রেজিস্টার বহিতে নকল করা হয়, বা যেক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ধারা ৪৬ এর শর্তানুসারে ইহা আদালতে স্থানান্তরিত হয়, সেইক্ষেত্রে উইলটি বিবৃতি-খ এর ১৬তম ও ১৭তম কলামে প্রদর্শিত হইবে না, কিন্তু, বিবৃতি-ঘ এরে ২১তম ও ২২তম ও ২২তম বা, ক্ষেত্রমত, ২৭তম কলামে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(ছ) নিবন্ধন আইনের ৬৪ ও ৬৫ ধারার অধীন, ভিন্ন কার্যালয়ে প্রেরিতব্য দলিলের নকল বা স্মারকলিপির ফিস [ফিসের তালিকার দফা ‘ড(ক)’ এবং ‘ড(খ)’ এর অধীন ফিস], এবং রেজিস্টার বহিতে সুদীর্ঘ্ আকারের দলিল নকল করিবার জন্য দফা ‘ঢ’ এর অধীন ধার্য্-কৃত অতিরিক্ত ফিসকে নিবন্ধন ফিসের বাড়তি অংশ হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং বিবরণী-ক এর বিবৃতি-ক বা খ এর কলামে, বা বিবরণী-১ েএর বিবৃতি-১ বা ২ এর কলামে এবং নিবন্ধিত দলিলের শ্রেণি অনুসারে প্রাথমিক খসড়ায় প্রদর্শ্ন করিতে হইবে, যেমন- যদি একটি সাফ কাবালা দলিলের মূল্যানুযায়ী নিবন্ধন ফিস ‘অ’ টাকা, ফিসের তালিকার দফা ‘ড(ক)’ এর অধীন একই দলিলে ফিস ‘আ’ টাকা এবং দফা ‘ঢ’ এর অধীন ‘ই’ টাকা ধার্য্ করা হয়, তাহা হইলে, ৭ম কলামে অর্থাৎ প্রাথমিক খসড়ায় সাফ কবালা দলিলে জন্য নির্দিষ্টকৃত বিবৃতি-ক বা ১ম কলামে মোট ফিস ‘ঈ’ (=‘অ’+‘আ’+‘ই’) টাকা প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(জ) যেক্ষেত্রে একই জামির পাট্টা এবং কবুলিয়ত একত্রে নিবন্ধিত হয়, সেইক্ষেত্রে ইহাকে একটি লেনদেন হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং মূল্য অর্থাৎ বাৎসরিক ভাড়া, প্রাথমিক খসড়ার বিবৃতি- ক বা ১ এ কেবল প্রদর্শ্ন করিতে হইবে। অনুরূপভাবে, যেক্ষেত্রে কোন দলিল দ্বিলিপি, ত্রিলিপি, ইত্যাদিসহ, একই সংগে দাখিল করা হয়, সেইক্ষেত্রে প্রাথমিক খসড়ায় বিবৃতি-ক বা ১ এ কেবলমাত্র একবার মূল্য প্রদর্শন করিতে হইবে।

২৪৩। বিবরণী-খ সম্পর্কিত অতিরিক্ত নির্দেশনা।- নিবন্ধীকরণের জন্য দাখিলকৃত এবং ফি বহিতে অন্তর্ভূক্ত দলিলে ধার্য্ কৃত সকল ফিস (কেবলমাত্র নিবন্ধিত দলিলে ধার্য্-কৃত ফিস নহে) (১) প্রাথমিক খসড়ায় বিবৃতি-ঙ বা ৫ এবং বিবৃত-চ এ প্রদর্শ্ন করিতে হইবে। এইগুলি নিবন্ধন কার্যালয়ে গৃহীত প্রেরিত অর্থের সামঞ্জস্য বিধান করিবার জন্য উহা আবশ্যক হইবে।

২৪৪। বিবরণী-খ এর বিবৃতি-চ এ যে সকল সংখ্যা প্রদর্শ্ন করিতে হইবে- (ক) নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত এবং ফি বহিতে জমাকৃত দলিলাদির সকল বর্ণ্-নার মূল্যানুযায়ী ধার্য্-কৃত ফিস (কেবলমাত্র নিবন্ধিত দলিলে ধার্য্-কৃত ফিস নহে। (১) প্রাথমিক খসড়ার বিবৃতি-৬, (২) বিবরণী-১ এর বিবৃতি-৬, এবং (৩) বিবরণী-খ এর বিবৃতি-চ এ প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

প্রাথমিক খসড়ায় বিবৃতি-৫, বিবরণী-১ এর বিবৃতি-৫ এবং বিবরণী-খ এর বিবৃতি-ঙ এ অন্তর্ভূক্ত মূল্যানুযায়ী ফিসের বিস্তারিত তথ্য প্রদর্শ্ন করিবার জন্য এইগুলি অভিপ্রেত, যাহার মধ্যে নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত সকল দলিলে আদায়কৃত ফিস প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(খ) নিবন্ধনকারী কর্ম্কর্তাগণ বিবরণী-খ এর দফা ‘চ’-এর বিপরীতে বিবৃতি-ঙ, ভিন্নভাবে প্রদর্শ্ন করিবেন, যথা:

(১) ১ ও ২ নং রেজিস্টার বহি পরিদর্শ্ন এবং ১ নং সূচিবহির তল্লাশ বাবদ মোট ফিস, এবং

(২) ৩ ও ৪ নং রেজিস্টার বহি পরিদর্শ্ন এবং তৎসংক্রান্ত সূচি তল্লাশ বাবদ মোট ফিস।

(গ)নিবন্ধন ফিস ছাড়াও ফেরত প্রদত্ত তল্লাশ ও নকলের ফিস এবং উহাদের স্থিতি বিবৃতি-জ বা ৭ এ ভিন্নভাবে লাল কালিতে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

২৪৫। পরিসংখ্যানের উদ্দেশ্যে অভিপ্রেত তিনটি বিস্তারিত খাত- (ক) ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি বা ব্যাংকে মনি অর্ডার কুপন বা, ক্ষেত্রমত, চালানে, প্রেরিত নিবন্ধনজনিত সকল প্রকার প্রাপ্তি তিনটি খাতের অধীন যথা, (১) দলিল নিবন্ধনের ফিস, (২) নিবন্ধিত দলিলের নকলের ফিস এবং (৩) বিবিধ প্রাপ্তি পরিসংখ্যানের উদ্দেশ্যে, প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

(খ) নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ২৫ এবং ধারা ৩৪ এর অধীন আদায়যোগ্য জরিমানা “নিবন্ধিত দলিলের ফিস” শিরোনামের অধীন; তল্লাশ ফিস, প্রমাণীকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ফিস, পুরাতন মালামাল, যেমন- বাজে কাগজ, পুরাতন আসবাবপত্র, প্যাকিং-কেস বা পুরাতন বাক্স ইত্যাদি বিক্রয়লব্ধ অর্থ (২৩৭১- পুরাতন মওজুদ, ব্যবহৃত মালামাল, আবাঞ্ছিত কাগজ-পত্র) ব্যতীত বিবিধ প্রাপ্তিসমূহ (২৬৮১-বিবিধ প্রাপ্তি) “বিবিধ” শিরোনামের অধীন পৃথকভাবে প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

২৪৬। (বিলুপ্ত)

২৪৭। বিবরণী- গ ও ঘ।– বিবরণী-গ ও বিবরণী-ঘ তে শুধুমাত্র নিবন্ধিত দলিল নহে, বরং নিবন্ধন অগ্রাহ্যকৃত দলিলেসমূহও প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

সর্বশেষ বিনষ্টকরণের পর হইতে হাতে থাকা সকল দলিল বিবরণী-২, বিবৃতি-৯ এবং ত্রৈমাসিক বিবরণী-গ এ প্রদর্শ্ন করিতে হইবে।

২৪৮। বকেয়া থাকা এবং বিবরণী দাখিলে বিলম্বের ব্যাখ্যা।- যদি কোন কার্যালয়ে বকেয়া কাজ থাকে, তাহা হইলে উক্ত বকেয়া থাকিবার কারণ আবশ্যিকভাবে সাময়িক বিবরণীসমূহের সহিত ব্যাখ্যা করিতে হইবে। বিবরণী দাখিলে বিলম্ব ঘটিলে বিলম্বের ব্যাখ্যা সংযুক্ত হইতে হইবে। অধীনস্থ কার্যালয়সমূহের দীর্ঘ্-সূত্রিতার কারণে জেলার বিবরণীসমূহ প্রেরণে বিলম্ব ঘটিলে অধীনস্থ কার্যালয় হিইতে বিবরণীসমূহ প্রাপ্তির তারিখ, সংশোধনের জন্য ফেরত প্রদানের তারিখ এবং পুনঃপরীক্ষিত বিবরণী প্রাপ্তির তারিখ প্রদর্শ্ন করিয়া একটি লিখিত বিবৃতি প্রদান করিতে হইবে।

২৪৯। বকেয়া সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন- যেক্ষেত্রে পূর্ব্বর্তী বৎসরের বকেয়া বিদ্যমান, সেইক্ষেত্রে উহা হইতে অব্যাহতি লাভের জন্য সাধিত অগ্রগতি প্রদর্শ্ন করিয়া প্রতিটি বিবরণীর সহিত এই বিষয়ের উপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে

২৫০। রহিতকৃত- মহা-পরিদর্শ্ক, নিবন্ধন এর নং ৩০৫৯ (১৬) তারিখ: ১৩-৩-১৯৬৭ দ্রষ্টব্য।

২৫১। অর্থ্ প্রেরণের সাপ্তাহিক বিবরণী।- প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার, তিনি যে রেজিস্ট্রারের অধস্তন, তাহার নিকট অর্থ্ প্রেরণের একটি সাপ্তাহিত বিবরণী নিয়মিতভাবে দাখিল করিবেন (ফরম নং ৩, পরিশিষ্ট ৬)। রেজিস্ট্রার ট্রেজারি হইতে প্রাপ্ত চালান এবং মনি অর্ডার কুপনের সহিত এই সকল বিবরণী তুলনা করিয়া পরীক্ষা করিবেন।

২৫২। বিভাগীয় প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের সহিত মহা-হিসাব রক্ষকের হিসাবের সমন্বয়সাধন।- মহা-হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ, ঢাকা এর হিসাবভুক্ত লিখিত বিবরণে উল্লিখিত অংকের সহিত জেলার প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের সমন্বয় সাধনের সাধনের জন্য নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে:

(১) প্রত্যেক সাব-রেজিস্ট্রার প্রতি মাসের ২ তারিখে পূর্ব্বর্তী মাসে ট্রেজারিতে প্রেরিত বা ট্রেজারি হইতে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ প্রদর্শ্ন করিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট নিম্নবর্ণিত বিবরণ প্রেরণ করিবেন-

(ক) প্রাপ্তির বিবরণ: (নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের জন্য) (ফরম নং ৫, পরিশিষ্ট ৬)।

(খ) “বেতন, কমিশন, স্থায়ী কর্ম্চারী প্রতিষ্ঠান” খাতের অধীন ব্যয়ের বিবরণ: (নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের জন্য) (ফরম নং ৬, পরিশিষ্ট ৬)।

(গ) অন্যান্য খাতে ব্যয়ের বিবরণ: (এ.জি.বি ফরম নং ২৬০৫ বা ২৬০৬)।

(২) জেলা রেজিস্ট্রার এই সকল বিবরণ সংগ্রহ করিবেন এবং সদর ট্রেজারির ৮নং ফরমে এবং এ.জি.বি-র ২৬০৫ বা ২৬০৬ নং ফরমে প্রদর্শিত বিভিন্ন অর্থ্ প্রদানের রসিদের নম্বর ও তারিখ হইতে এবং যে তারিখ পর্য্ন্ত বিভিন্ন সাব-ট্রেজারির লেনদেন সদর ট্রেজারির হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হইয়াছে উহা নিশ্চিতক্রমে, উহাদের সংখ্যাসমূহ যথাক্রমে পরিশিষ্ট ৬ এর ৭,৮, ৮ক ও ৮খ নং ফরমে এবং এ.জি.বি-র ২৬০৫ বা ২৬০৬ নং ফরমে জেলার বিবরণীতে অন্তর্ভূক্ত করিবেন।

অতঃপর জেলা রেজিস্ট্রার ৭নং ফরমের বিবরণটি প্রতিপাদনান্তে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বরাবর প্রেরণের নিমিত্ত ট্রেজারি অফিসারের নিকট অগ্রায়ণ করিবেন। জেলা রেজিস্ট্রার স্বয়ং এই মর্মে বিবরণী-ছ এর নিম্নভাগে একটি প্রত্যায়ন সংযুক্ত করিবার জন্য ৮নং ফরমের সংখ্যাসমূহ ট্রেজারি হিসাবের সহিত যাচাই করিবেন।

বিবৃতি-৮ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট প্রেরণের প্রয়োজন নাই। জেলা রেজিস্ট্রার এ.জি.বি ফরম নং ২৬০৫ বা ২৬০৬ এর হিসাব বিবরণটি পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট প্রেরণ করিবেন। জুন মাসের সমুদয় হিসাব জুলাই মাসের ৭ম দিবসের মধ্যে দাখিল করিতে হইবে।

(৩) যদি কোন অধীনস্থ কার্যালয় কর্তৃক সাব-রেজিস্ট্রারের হিসাব সমাপনের পর সম্পন্ন হইয়াছে এমন কোন লেনদেন সংক্রান্ত হিসাব ৫ ও ৬ নং ফরমে এবং এ.জি.বি-র ২৬০৫ বা ২৬০৬ নং ফরমে লিপিবদ্ধ অঙ্কসমূহ সদর ট্রেজারি হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট অধীনস্থ কার্যালয়কে অবহিত করিতে হইবে।

(৪) ৭ ও ৮ নং ফরমে এবং এ.জি.বি-র ২৬০৫ বা ২৬০৬ নং ফরমে বিবরণসমূহ পাওয়ার পর মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন উহাতে উল্লিখিত অঙ্কসমূহ মহা-হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ এবং ট্রেজারি কর্মকর্তাগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত অঙ্কসমূহের সহিত যাচাই করিবেন। অসংগতির ক্ষেত্রে, সমন্বয় সাধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।

অঙ্কসমূহ চূড়ান্তভাবে প্রতিপাদিত হওয়ার পর মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন জেলা রেজিস্ট্রারগণকে এই মর্মে অবহিত করিবেন যে, “বেতন, কমিশন এবং স্থায়ী কর্মচারী প্রতিষ্ঠান” ব্যতীত অন্যান্য প্রাপ্তি এবং ব্যয়ন সংক্রান্ত হিসাব যাচাই করা হইয়াছে।

জেলা রেজিস্ট্রারগণ সম্পূরক বিবৃতি-ঙ ও বিবৃতি-ছ দাখিলপূর্বক সম্পূরক-ঙ এর নিম্নভাগে এই মর্মে প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন প্রদান করিবেন যে, প্রাপ্তির অঙ্কসমূহ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয় কর্তৃক প্রতিপাদিত হইয়াছে এবং সম্পূরক বিবৃতি-ছ এর নীচে এই মর্মে প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন যে, স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের বেতন ও মজুরি বাবদ ব্যয়ের অঙ্কসমূহ ট্রেজারি হিসাবের সহিত তিনি যাচাই করিয়াছেন এবং অন্যান্য খাতের অঙ্কসমূহ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক প্রতিপাদিত হইয়াছে।


২৫৩। প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তালিকা এ.জি.বি-র নিকট দাখিল করিতে হইবে।- সদর এবং অধীনস্থ কার্যালয়সমূহের প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিস্তারিত তালিকা প্রতি বৎসর ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২৪৪০ নং এ.জি.বি ফরমে মহা-হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ এর নিকট দাখিল করিতে হইবে।

২৫৪। মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় ও পদ্ধতি।- নিবন্ধ আইনের অধীন রুজুকৃত মামলা সমাপ্ত হওয়ার সংগে, পরিশিষ্ট ৬ এর ২ নং ফরমে রেজিস্ট্রার কর্তৃক মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে। গুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহের ক্ষেত্রে এবং যে সকল মামলায় প্রদত্ত সাজা বাহ্যত অপর্যাপ্ত সেইগুলির প্রতিবেদনের সহিত রায়ের নকল সংযুক্ত করিতে হইবে।

২৫৫। প্রাপ্ত সাপ্তাহিক অর্থ প্র্রেরণ সংক্রান্ত বিবরণী জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক পরীক্ষা করিতে হইবে।- জেলা রেজিস্ট্রারগণ তাহার কার্যালয়ে প্রাপ্ত সাপ্তাহিক অর্থ প্রেরণের বিবরণীসমূহ মফঃস্বল কার্যালয় পরিদর্শনের সময় তাহাদের সংগে লইয়া যাইবেন এবং প্রাথমিক খসড়া-ঙ বা ৫ এবং ক্যাশবহির সহিত এইগুলি মিলাইয়া পরীক্ষা করিবেন।

২৫৬। বিভাগীয় হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।- অধীনস্থ কার্যালয়সমূহ কর্তৃক বহনকৃত খরচের অগ্রগতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার নিমিত্ত বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাগণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত নিয়ম ও নির্দেশাবলি অনুসরণ করিবেন।

অধ্যায় ২২

স্থায়ী অগ্রিম এবং আনুষঙ্গিক ব্যয়

২৫৭। রেজিস্ট্রারগণের স্থায়ী অগ্রিম।- প্রত্যেক রেজিস্ট্রারের নিকট (১) চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক খরচ, (২) সরকারি ডাক খরচ ও (৩) প্রত্যর্পণ ব্যয় খাতে সাময়িকভাবে, ব্যয় নির্বাহ করিবার নিমিত্ত সমগ্র্র জেলরার একটি স্থায়ী অগ্রিম অনুমোদিত হইবে।

রেজিস্ট্রার চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক খরচ এবং প্রত্যর্পন ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা অনুমোদিত হইয়াছে কিনা, উহার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া অধীনস্থ কার্যালয়সমূহের প্রয়োজন অনুসারের প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করিবেন। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হইতে সাব-রেজিস্ট্রারগণের জন্য সরকারি ডাকটিকিট সরবরাহ করা হইবে।

২৫৮। বিলুপ্ত।

২৫৯। মহা-হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ এর নিকট স্থায়ী অগ্রিমের প্রাপ্তিস্বীকার।- প্রতি বৎসর ১৫ জুলাই, রেজিস্ট্রারগণ নির্ধারিত মুদ্রিত ফরমে মহ-হিসাবরক্ষক, বাংলাদেশ এর নিকট সমুদয় অগ্রিমের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রেরণ করিবেন।

২৬১। আনুষঙ্গিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বিধি- প্রতিটি খরচের বিষয়ে অডিট ম্যানুয়েল, ১৯৩৮ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত আনুষঙ্গিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধি অনুসরণ করিতে হইবে। এই বিধিমালার কতিপয় নিয়ম নিম্নে বর্ণিত হইল:

সকল বিভাগের আনুষঙ্গিক ব্যয়সমূহ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হইয়াছে, যথা:

(ক) চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্কিক ব্যয়;

(খ) নিয়মিত আনুষঙ্গিক ব্যয়; এবং

(গ) বিশেষ আনুষঙ্গিক ব্যয় (অডিট ম্যানুয়েলের অনুচ্ছেদ ৩৮২ দ্রষ্টব্য)।

(ক) চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়

(ক) (১) চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয় হইল এইরূপ ব্যয়, যাহার জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তাকে বাৎসরিক একটি থোক অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয় যাহা তিনি, অন্য কোন প্রকার অতিরিক্ত অনুমোদন ব্যতীত, বায় করিতে পারিবেন। ‘চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয় এর অধীন অন্তর্ভুক্ত কতিপয় বায় নিম্নে উল্লেখ করা হইল।

(১) (পালিশ ব্যতীত) ছোট-খাট নির্মাণ ও মেরামত (কাছারি প্রাঙ্গণ

উন্নয়ন খরচসহ) বায়।

………… ………. ……………………..

(৩) দেশীয় মনোহারি দ্রব্য বাবদ ব্যয়। (খ)

(১১) ডাক মাশুল এবং টেলিগ্রাম ব্যয়। (জ)

(১২) আসবাবপত্র খরিদ ও মেরামত বায়।

(১৩) গরম এবং শীতকালীন আবহাওয়ায় ব্যয়। (ক)

(১৪) কার্যালয় ব্যয়। (ট)

(১৫) অধস্তন কর্মচারীগণের বেতন। (ঙ)

(১৯) অর্থ প্রেরণ সংক্রান্ত বায়।

….. ……. ………… ………..

(২২) পাখা এবং বাতির জন্য বৈদ্যুতিক ব্যয়।

(২৩) টাইপ রাইটার মেরামত ব্যয়। (ণ)

(২৪) বিবিধ ব্যয়। (ত) (অডিট ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ ৪১৭ দ্রষ্টব্য)।

(ক) (২) প্রত্যেক বিভাগের জন্য চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয় পৃথক বিল (এ.জি.বি ফরম নং ২৪৫৯) ব্যবহারক্রমে ট্রেজারি হইতে বিশেষ পদ্ধতিতে আহরিত হইবে; কোন সাব ভাউচার বা উপ-প্রমাণকের আবশ্যক হইবে না, তবে, ব্যয়নকারী সরকারি কর্মকর্তাকে অবশ্যই অর্থ পরিশোধের স্বীকৃতিপত্র গ্রহণ করিতে হইবে এবং এই কার্যালয় কর্তৃক আদিষ্ট হইলে উপস্থাপন করা যায়, এইরূপে প্রস্তুত করিতে হইবে, এবং আদিষ্ট না হইলে মুদ্রিত শিরোনামের বিপরীতে, মোট অঙ্ক ব্যতীত, অন্য কোন বিস্তারিত বিবরণ প্রদানের প্রয়োজন হইবে না। যেক্ষেত্রে এমন কোন ব্যয় থাকে, মুদ্রিত শিরোনামে যাহার উল্লেখ নাই, সেইক্ষেত্রে হাতে লিখিয়া তাহা সন্নিবিষ্ট করা যাইতে পারে। (অডিট ম্যানুয়েল, ১৯৩৮ এর অনুচ্ছেদ ৪৩১ দ্রষ্টব্য)।

(ক)(৩) কোন বৎসরের প্রকৃত আনুষঙ্গিক ব্যয়ের সকল দায়ভার উক্ত বৎসরের মধ্যেই সমাপ্ত করিতে হইবে, এবং কোনভাবেই পরবর্তী বৎসরের উপযোজন হইতে মিটাইবার জন্য অপরিশোধিত অবস্থায় ফেলিয়া রাখা যাইবে না। চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়সীমার ঊর্ধ্বে কোন খরচের জন্য ব্যয়নকারী সরকারি কর্মকর্তা দায়ী থাকিবেন এবং ইহা সংকুলান করিবার জন্য তিনি কোন অতিরিক্ত উপযোজন সভাহ করিতে না পারিলে তাহার ব্যক্তিগত ভাতাদি হইতে আদায়যোগ্য হইবে। ইহা অবশ্যই পরিষ্কারভাবে অনুধাবন করিতে হইবে যে, অভিধিক উপযোজনের জন্য কোন আবেদন গৃহীত হইবে না, যদি না সরকারের সম্বটির সহিত প্রদর্শিত হয় যে, যে ব্য উপযোজন আবশ্যক সেইগুলি ছিল অস্বাভাবিক এবং ব্যয়নকারী সরকারি কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত, এবং অধিকতর সতর্ক ব্যবস্থাধীনেও উহা স্থগিত করা বা মিটাইয়া ফেলা যায় নাই।

পাদটীকা

খ) যেহেতু স্টেশনারি কার্যালয় কর্তৃক কালি, পেন্সিল, লেখা মুছিবার রবার, দোয়াত, আলপিন, আঠার বোতল ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়, সেইহেতু এইগুলি স্থানীয়ভাবে খরিদ করা নিষিদ্ধ। সকল বিভাগীয় প্রধান, জেলা কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সকল সরকারি কর্মকর্তা যাহাদের ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের বিধান প্রযোজ্য, তাহারা অবশ্য, স্থানীয় মনিহারি দ্রব্য বা রাবার স্ট্যাম্প, ইত্যাদি সাধারণ ক্রয়ের জন্য প্রতিক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা পর্যন্ত অনুমোদন দানে ক্ষমতাবান।

….. ……. ………… ………..

(জ) ডাকমাশুল এবং তারবার্তা বাবদ খরচ যেক্ষেত্রে নগদ অর্থে প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে উহা এইখানে প্রদর্শন করিতে হইবে। ডাকমাশুল এবং তারবার্তা বাবদ খরচ যাহা নগদ অর্থে প্রদান করা হয়, উহার খরচ বাবদ ব্যয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে যে, তারবার্তাটি রাষ্ট্রীয় কাজে প্রেরণ করা হইয়াছিল এবং নগদ পরিশোধ অপরিহার্য ছিল (বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল রুপ, ১৯৫৪ এর বিধি ২. পরিশিষ্ট ৪ দ্রষ্টব্য)।

….. ……. ………… ………..

(ঞ ) সাধারণ নিয়ম এই যে, পাখাচালকগণকে প্রতিবৎসর ১৫ই মার্চ হইতে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে, ব্যতিক্রম রহিয়াছে, যথাঃ

“বিভাগ এবং কার্যালয়ের প্রধানগণকে গেজেটেড কর্মকর্তাগণের জন্য প্রতি বৎসর ১লা মার্চ হইতে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত পাখা ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে। অধিকন্তু, ইহা স্পষ্টভাবে অনুধাবন করিতে হইবে যে, প্রকৃত প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় পাখাসমূহ ব্যবহার করা বা চালু রাখা যাইবে না এবং বিভাগ ও কার্যালয় প্রধানগণ অবশ্যই লক্ষ্য রাখিবেন যে ইহা বলবৎ হইয়াছে।”

এই আদেশ সরকারি ভবনে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলিবে না, কারণ মেরামত বা পরিষ্কারকরণের জন্য উপরে উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ে পাখা খুলিয়া নেওয়া হয় না কিংবা বিদ্যুতের সরবরাহও বন্ধ করা হয় না।
(ট) পানীয় জল সরবরাহ এবং অফিস ঝাড়ু দেওয়ার জন্য মাসিক স্বল্প পরিমাণ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে অফিস-প্রধানগণ ক্ষমতাবান, তবে শর্ত এই যে,

(ক) অর্থ পরিশোধের বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে আনুষঙ্গিক ব্যয় বৈশিষ্ট্যের, আনুষঙ্গিক খরচের বিলে আহরিত হইয়া থাকে, এবং অফিস প্রধানের ইচ্ছানুযায়ী যে কোন সময় প্রত্যাহার করা যাইতে পারে;

(খ) ভাতাকে ছুটির বেতন বা অবসর ভাতা হিসাবে গণ্য করা হইবে না;

এবং

(গ) মাসিক বেতনের হারে ইতঃপূর্বে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত নিম্নকর্মচারীর ক্ষেত্রে, প্রদত্ত অর্থ যে কোন একটি ক্ষেত্রে প্রতিমাসে কোনভাবেই ২ (দুই) টাকার অধিক হইবে না এবং এইরূপ কোন অর্থ অনুমোদনের সময় কার্যালয় প্রধানগণ উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং অবশ্যই স্বয়ং নিশ্চিত হইবেন যে,

(১) করণীয় কাজটি বাস্তবিকই প্রয়োজন;

(২) ইহা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণের নিয়মিত কর্তব্য-বহির্ভূত; এবং

(৩) কোন নূতন নিয়োগের চাইতে এইরূপ কর্মচারীকে অতিরিক্ত ভাতা

মঞ্জুরকরণ সুস্পষ্টভাবে অধিকতর সাশ্রয়ী ব্যবস্থা।

(ঘ) ফাইনান্সিয়াল রুল, ১৯৫৪ এর বিধি ২ক, পরিশিষ্ট ৪ এর অধীন কোন নন-গেজেটেড বা অধস্তন সরকারি কর্মকর্তাকে পরিবহন ভাড়া পরিশোধ করা হইলে আনুষঙ্গিক ব্যয় খাতে উহা নিম্নবর্ণিত শর্তে ধার্য করা যাইতে পারে:

(১) প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রত্যায়ন করিবেন যে, খরচটি প্রকৃত পক্ষে বহন করা হইয়াছিল, ইহা অপরিহার্য ছিল এবং ব্যবহৃত পরিবহনের জন্য নির্ধারিত ব্যয়-সীমার মধ্যে রহিয়াছে;

(২) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী ভ্রমণটির জন্য প্রচলিত নিয়মের অধীন কোন ভ্রমণভাতা আহরণ করিতে প্রাধিকারপ্রাপ্ত নহে, এবং তাহাকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করা হয় নাই এবং যে কর্তব্যটি সম্পাদনের জন্য ভ্রমণটি প্রয়োজন হইয়াছে, উহার জন্য অন্য কোন প্রকার বিশেষ পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন নাই বা করিবেন না।

(ঝ) আনুষঙ্গিক ব্যয় খাতের কর্মচারী যাহাদের চাকরি সরকার কর্তৃক পেনশনযোগ্য নহে বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে, তাহাদের বেতন আবর্তক আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

(ঢ) এই খাতের ব্যয়সমূহ একটি প্রত্যায়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে যে, ইহা আবাসিকগৃহে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করে না। আবাসিক উদ্দেশ্য ব্যবহৃত বাসভবনের প্রাঙ্গণের ক্ষেত্রে আলো এবং পাখার জন্য সরকার কর্তৃক ব্যবহৃত বিদ্যুতের উপর বিদ্যুৎ-ব্যয় ধার্যযোগ্য নহে।

(ন) যে সকল কার্যালয় বা বিভাগে চুক্তি পদ্ধতির প্রচলন নাই, সেইক্ষেত্রে বায়টি আনুষঙ্গিক ব্যয় খাতের অধীন “কার্যালয় খরচ ও বিবিধ রায়” এর কলামে লেখার যোগ্য।
(ত) উপরের তালিকায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় নাই এইরূপ অন্যান্য সাধারণ সামগ্রী বাবদ খরচ, যেগুলি নিয়মিত বা বিশেষ শ্রেণির* আনুষঙ্গিক বায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় না সেইগুলিকে “বিবিধ” হিসাব গণ্য করিতে হইবে।

(খ) নিয়মিত আনুষঙ্গিক ব্যয়

(খ) নিয়মিত আনুষঙ্গিক বায় হইল সেইসকল বায় যাহা, ব্যয়নকারী কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনবশত, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত নির্দিষ্ট মাত্রা অনুসারে বহন করিয়া থাকেন, যেমন- পৌরকর এবং খাজনাদি, কার্যালয় এবং ভূমির ভাড়া ইত্যাদি। পিয়নদের পোষাক খাতের জন্য ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আবশ্যক হইবে কারণ, এই পদটি বিশেষ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের আওতায় পড়ে। নিম্নবর্ণিত বায়সমূহকে “নিয়মিত আনুষঙ্গিক বাঘ” খাতের অধীন অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে এবং প্রতিটি পদের বিপরীতে লিখিত মাত্রা অনুসারে উক্ত ব্যয় বহন করা যাইতে পারে।

….. ……. ………… ………..

(২৫) পৌর কর এবং খাজনাদি।- (১) এই ব্যয়সমূহ পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত হারে পরিশোধযোগ্য। যদি ট্রেজারির সহিত পৌরসভার অর্থ আদান প্রদানের হিসাব থাকে, তাश হইলে শেষোক্তটির দাবি পরিশোধ করিতে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার অনুকূলে যথাযথভাবে প্রস্তুতকৃত ও অনুমোদিত একটি আনুষঙ্গিক ব্যয়ের বিল প্রদান করিতে হইবে। উক্ত বিলের সহিত পৌরসভা হইতে প্রাপ্ত বিলটি যথাযথভাবে সংযুক্ত করিয়া ট্রেজারিতে দাখিল করিতে হইবে (দ্রঃ ১৯০৫-০৬ সনের বিটিএম- ১০৫) এবং ট্রেজারি কর্মকর্তা কর্তৃক হস্তান্তর জমার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে বিলটি পরিশোধ করা হইবে।

(২) যে গৃহের বাবদ কর পরিশোধ করা হইয়াছে সেই গৃহটি যে সরকারি কর্মকর্তা দখল করিয়া রাখিয়াছেন তাহার দ্বারা ব্যয় পরিশোধযোগ্য।
(৩) যেক্ষেত্রে কোন নূতন গৃহের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় বা পুরাতন ভাড়া পরিবর্তন করা হয়, সেইক্ষেত্রে এই বিষয়ে প্রথম ভাড়াটি নিম্নো ব্যক্তিগণের প্রত্যায়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে।

(ক) যেক্ষেত্রে ভবনটি সদরে অবস্থিত এবং একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে অর্পিত, সেইক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী।
(খ) যেক্ষেত্রে কোন সরকারি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জেলা পরিষদের উপর অর্পিত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বা গণপূর্ত বিভাগের পরিদর্শক।
(গ) যেক্ষেত্রে ভবনটি সদরে অবস্থিত, কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ বা জেলা পরিষদের দায়িত্বাধীন অর্পিত নহে, সেইক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্থানীয় প্রতিনিধি, তবে তাহার প্রত্যায়নপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।

(ঘ) যেক্ষেত্রে ভবনটি সদরে অবস্থিত, সেইক্ষেত্রে জেলা কর্মকর্তা :

তবে শর্ত এই যে, তিনি তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী বা গণপূর্ত বিভাগের পরিদর্শককে ভাড়া নির্ধারণ বা পুনর্বিবেচনার নোটিশ প্রদান করিয়াছেন, এবং ইহাতে তার কোন আপত্তি নাই- মর্মে প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিবেন; এবং

(ঙ) সদর উপজেলার অন্তর্গত দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত ভবনের ক্ষেত্রে, জেলা কর্মকর্তা, এবং অন্য কোন উপজেলার   অন্তর্গত হইলে উক্ত উপজেলার কর্মকর্তা।

টীকা-১ : বিভাগীয় কমিশনারগণ এবং বিভাগের প্রধানগণ কর অনুমোদন দানে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কারণ স্থিরীকৃত করে পরিমাণ প্রথমত নির্বাহী প্রকৌশলী বা বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত হইয়া থাকে।

টীকা-২ : পৌরৈ কর বা সেনানিবাস করের পরিমাণ যাহাই হউক, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থিরীকৃত এবং উক্ত নির্ধারিত করের পরিমাণ বেঙ্গল ফাইনান্সিয়াল রুলের ১৮২ পৃষ্ঠার অনুচ্ছেদ ২১(গ) এর অধীন আবশ্যকমত প্রত্যায়িত হইলে সরকারের অনুমোদন আবশ্যক হয় না। যদি কোন ক্ষেত্রে কোন বিভাগীয় বা কার্যালয়- প্রধান বিবেচনা করেন যে, নির্ধারিত করের পরিমাণ অতিরিক্ত,, তাহা হইলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।

টীকা-৩ : ভবনটি ভাড়ায় বা বিনা ভাড়ায় যেভাবেই অধিকৃত হউক, অধিকারীকে উক্ত বিষয় নির্বিশেষে পৌরকর বাবদ তাহার অংশ পরিশোধ করিতে হইবে।

টীকা- ৪ : গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত সকল সামরিক ভবন বাবদ পৌরকরের অধিকারীর অংশ অধিকারকারীর বিভাগ কর্তৃক পরিশোধ করিতে হইবে।

(২৬) চৌকিদারি কর। বাদ

(২৭) ইউনিয়ন পরিষদ কর। বাদ

(২৮) অফিস এবং ভূমির ভাড়া। প্রথম পরিশোধ করিতে সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন। প্রতি বৎসর প্রথম ভাড়াটি নির্বাহী বা জেলা প্রকৌশলীর নিকট হইতে প্রত্যায়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে যে, প্রয়োজন উপযোগী কোন সরকারি ভাবন পাওয়া যায় নাই, তবে ইজারার ভিত্তিতে সরকারি কার্যালয়ের জন্য ভাড়া করা ভবনের ক্ষেত্রে এইরূপ প্রত্যায়নপত্রের আশ্যক নাই। এই ব্যয় প্রতি বিলে সরকারি অনুমোদনের উদ্বৃতিসহ স্বতন্ত্র বিলের মাধ্যমে আহরণ করিতে হইবে। সরকারের এক বিভাগ কর্তৃক অন্য বিভাগকে ভাড়া পরিশোধ করা অনুমোদনযোগ্য নহে।

টীকা-১ : গণপূর্ত বিভাগীয় ভূমির উপর নির্মিত বিভাগীয় ভবনের ক্ষেত্রে ভূমির মূল্য বাদে ভবন নির্মাণে ব্যয়িত মূলধনের উপর পৌরকর নির্ধারণ করা হয়, ভূমির মূল্য গণপূর্ত বিভাগীয় ভবনের সহিত একত্রে নির্ধারণ করা হইয়া থাকে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ পৌরসভাকে যাহাতে ভবনের কর নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে এবং পৌরসভাকে যাহাতে ভূমির মূল্য দুই বার নির্ধারণ করিতে না হয় তাহা নিশ্চিত করিবার জন্য পৌরসভা কর্তৃক কর নির্ধারণের বিস্তারিত তথ্যাদি পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীকে সরবরাহ করিতে হইবে। (দ্র: অডিট ম্যানুয়েল, ১৯৩৮, অধ্যায় ৬, পৃষ্ঠা ১৮২)।

টীকা-২ : বাদ

(২৯) টেলিফোন সংযোগ ভাড়া- মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ (ক) সরকারি কার্যালয়সমূহ এবং সরকারি টেলিফোন সংযোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের মধ্যে টেলিফোন সংযোগ প্রতিষ্ঠার এবং (খ) উত্তরূপ টেলিফোনের বাবদ বাৎসরিক ভাড়া বাবদ ব্যয় অনুমোদন করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

(৩০) অর্ডারলি পিয়নদের পোষাক ও গরম কাপড়- প্রতিটি সদর কার্যালয়ে একজন অর্ডারলি পিয়নকে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত মূল্যে, প্রতি দুই বৎসর অন্তর, পোষাক সরবরাহ করিতে হইবে।

(গ) বিশেষ আনুষঙ্গিক ব্যয়

(গ) বিশেষ আনুষঙ্গিক ব্যয় হেইল সেই সকল ব্যয় যাহা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বা সরকারের প্রাক-অনুমোদন ব্যতীত বহন করা যায় না।

নিম্নবর্ণিত ব্যয়সমূহ এই খাতের অন্তর্ভূক্ত কতিপয় ব্যয়:

(অ) সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়।

(৯) মহাফেজখানার র‍্যাক।

(আ) আনুষঙ্গিক ব্যয়।

(১১) লোহার সিন্দুক ক্রয়।

(১২) টাইপরাইটার ও ডুপ্লিকেটর যন্ত্র ক্রয় (চ)।

(১৩) বই এবং অন্যান্য প্রকাশনা ক্রয়।

(চ) যদি স্থানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রচলিত নিয়মে পরীক্ষাক্রমে সরকারি কার্যালয়ের টাইপরাইটার ব্যবহার অযোগ্য ঘোষণার জন্য সুপারিশকৃত হয়, তাহা হইলে প্রতিষ্ঠান প্রধান উক্ত সকল টাইপরাইটার পরিত্যাগ বা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিবেন।

সুতরাং যন্ত্রসমূহ পূর্বের মত মুদ্রণ, মনিহারি ও স্ট্যাম্প এর নিয়ন্ত্রকের নিকট প্রেরণ করিবার প্রয়োজন হইবে না। উক্তরূপ টাইপরাইটার বিক্রয়লব্ধ অর্থ বিভাগীয় আয়-ব্যয়ের হিসাবে প্রাপ্তির ঘরে জমা করিতে হইবে।

২৬২। নিয়মিত এবং বিশেষ আনুষঙ্গিক বিল আহরণের পদ্ধতি- নিয়মিত এবং বিশেষ আনুষঙ্গিক ব্যয় খাতের ব্যয়সমূহ ২৫ (পঁচিশ) টাকার অতিরিক্ত অঙ্কের জন্য উপ-প্রমাণক দ্বারা সমর্থিত আনুষঙ্কিক ব্যয় বিল ফরমের মাধ্যমে, ট্রেজারি হইতে আহরণ করিতে হইবে।

২৬৩। আনুষঙ্গিক ব্যয় সংক্রান্ত বিধান।- আনুষঙ্গিক বায় সংক্রান্ত নিম্নলিখিত বিধানসমূহ সকল সরকারি কর্মচারীকে মানিয়া চলিতে হইবে।

(১) সরকারি ডাক টিকিট ক্রয়। ব্যয়নকারী কর্মকর্তাগণ কর্তৃক ফরমায়েশকৃত ডাকটিকিট প্রাপ্তিস্বীকারপত্রের বিধান রাখিয়া বিশেষ ফর্মে একটি বিল প্রস্তুত করিতে হইবে এবং উহাকে ট্রেজারি হইতে নগদ অর্থ আহরণের বিলের ন্যায় একইরূপ গণ্য করিতে হইবে। যেহেতু ট্রেজারিতে কোন নগদ অর্থ প্রদান করা হয় না, সেহেতু বিলটি অন্তর্ভুক্তির জন্য কোন উপ প্রমাণক আবশ্যক হইবে না। (দ্রঃ এফ. আর ৮৫)

(২) নির্মাণ (ক্ষুদ্র) ও মেরামত। বেসামরিক কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নির্বাহিত নির্মাণ এবং মেরামতের ব্যয়কে বহনকারী বিভাগের আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাবে গণ্য করা যাইতে পারে এবং টাকার অঙ্কে ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা অতিক্রম না করিলে ইহাকে ‘নির্মাণ (ক্ষুদ্র) এবং মেরামত হিসাবে শ্রেণিভূক্ত করা যাইতে পারে। উক্ত অঙ্ক অতিক্রম করিলে ইহাতে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যয় সংক্রান্ত বিভাগীয় পূর্ত ব্যয় হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

(৩) স্থায়ী উপকরণ এবং ইহার মেরামত। গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক নির্মিত প্রত্যেক নূতন ভবনে, প্রাক্কলিত হইয়া থাকিলে প্রয়োজনে উক্ত বিভাগ কর্তৃক রেকর্ডরুনের র‍্যাক, তাক, টানাপাখা ইত্যাদিসহ স্থায়ী উপকরণ সরবরাহ করা হইবে, কিন্তু ভবনের সাধারণ মেরামত ব্যতীত এই সকল স্থায়ী উপকরণের মেরামত গণপূর্ত বিভাগের বরাদ্দে ধার্যযোগ্য নহে। ইহার ফলে, পূর্ববর্তী স্থায়ী উপকরণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় নাই এইরূপ আসবাবপত্র ক্রয় ও মেরামতসহ বিশেষ ধরনের মেরামত ব্যয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ হইতে পরিশোধ করিতে হইবে, এবং আনুষঙ্গিক বিলে ধার্য করিতে হইবে।

(৪) পোষাক এবং গরম কাপড়। অধস্তন কর্মীগণকে সরবরাহ করিবার জন্য পোষাক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যয় এই মর্মে একটি প্রত্যায়নপত্র দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে যে, অধস্তন পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিগণ, যাহাদের জন্য পোষাক, ইত্যাদি ধার্য করা আছে, তাহাদিগকে

বিগত দুই বৎসর যাবত কোন পোষাক সরবরাহ করা হয় নাই।

(৫) তালা-চাবি ক্রয়। প্রয়োজন হইলে কর্মকর্তাগণ তালা ক্রয় করিতে পারিবেন।

(৬) (ক) ডাক বিভাগীয় ব্যয়। মনি-অর্ডারের কমিশন এবং মূল্য পরিশোধযোগ্য পার্সেল এর বাবদ প্রদেয় অর্থ সাধারণ আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাবে মঞ্জুর করা যাইবে, যদি মুখ্য নিরীক্ষক ইহাতে সরকারের অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে বলিয়া মনে না করেন।

(খ) ছুটির আবেদনপত্রে ডাক মাশুল। ছুটির সকল আবেদনপত্র কিংবা ব্যক্তিগত বিষয়ের প্রাসংগিক পত্রাদি অবশ্যই সাধারণ ডাকটিকিটযুক্ত ঘামে দাখিল করিতে হইবে, সরকারি ডাকটিকিটযোগে নহে। এই বিধান সরকারি কর্মচারীদের শুধুমাত্র ছুটি বা তাহাদের নিজস্ব ভাতাদির সহিত সম্পর্কিত ব্যক্তিগত বিষয়ের তথ্য চাহিয়া প্রেরিত পত্রাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেক্ষেত্রে ছুটির আবেদন বা প্রাসঙ্গিক পত্রাদি উর্দ্ধতন সরকারি কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সরকারিভাবে প্রেরণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে পত্রটিকে অন্যান্য সরকারি চিঠিপত্রের মতই গণ্য করিতে হইবে। (দ্রঃ অনুচ্ছেদ ৪৮৩, নিরীক্ষা ম্যানুয়াল, ১৯৩৮)।

(৭) (ক) সরকারি বা রেলওয়ে তারবার্তা কার্যালয়, যেখান হইতেই প্রেরিত হউক, সরকারি ডাকটিকিট কেবলমাত্র সরকারি কার্যে প্রেরিত তারবার্তার জন্যই ব্যবহৃত হইবে।. সাময়িকভাবে সরকারি ডাকটিকিট না থাকাকালে যেক্ষেত্রে কোন সরকারি কর্মকর্তা কোন তারবার্তা পাঠাইতে বাধ্য হন, সেক্ষেত্রে ইহার জন্য তাহাকে নগদ অর্থ পরিশোধ করিতে হয়, এবং তাহাকে প্রদত্ত রসিদটি তখন টেলিগ্রামের খরচের প্রমাণ বহন করে, তবে ইহার উপর ‘রাষ্ট্র’ শব্দটি থাকে না। তারবার্তাটি রাষ্ট্রীয় কার্যে প্রেরণ করা হইয়াছিল এবং উহার খরচ নগদ পরিশোধ করা অপরিহার্য ছিল মর্মে অফিস প্রধানের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়নপত্র সংশ্লিষ্ট রসিদের সহিত সংযুক্ত করিয়া পরবর্তীতে সরকারের নিকট হইতে উত্তরূপ তারবার্তা প্রেরণ বাবদ নগদ পরিশোধকৃত খরচ ফেরত পাওয়া যাইতে পারে।

(খ) প্রেরকের ইচ্ছানুযায়ী রাষ্ট্রীয় বার্তা “দ্রুত” বা “সাধারণ” হিসাবে শ্রেণিভুক্ত করা যাইবে, সরকারি কর্মকর্তাগণের নির্দেশনার জন্য নিম্নবর্ণিত সাধারণ নীতিমালা নির্দেশিত হইল, যাহারা বায়, যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী রাখিবার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও স্মরণ রাখিবেন:

(১) যেক্ষেত্রে একটি পত্র প্রেরণ, সমভাবে একই উদ্দেশ্য সাধন করে, সেক্ষেত্রে তারবার্তা প্রেরণ করা যাইবে না।

(২) নিয়ম মোতাবেক, রাষ্ট্রীয় তারবার্তা “সাধারণ” শ্রেণিতে প্রেরণ করিতে হইবে।

(৩) বার্তাসমূহকে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কেবলমাত্র “দ্রুত” শ্রেণিভূক্ত করা যাইবে নিবন্ধ

(ক) গুরুত্বপূর্ণ জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে, এবং

(খ) যেক্ষেত্রে প্রেরণকারী সরকারি কর্মকর্তা অবগত আছেন যে, লাইনটিতে বিঘ্ন আছে এবং তাহার বার্তাটি সাধারণ বার্তার উপর অগ্রাধিকার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

(৪) যেক্ষেত্রে সর্বাধিক যথার্থ প্রয়োজনীয় সেইরূপ অবস্থা ব্যতীত, রাষ্ট্রীয় তারবার্তা যতটা সম্ভব স্বল্প সংখ্যক শব্দে বিবৃত করিতে হইবে; এবং নিছক সহায়ক বা সংযোগকারী শব্দসমূহ, যেইগুলি গ্রাহক কর্তৃক সহজে পূরণ করা যাইবে, সেইগুলি বাদ দিতে হইবে।

(খ) ছুটি, ছুটিকালীন বেতন, বেতন, পদোন্নতি বা নিয়োগ বা ব্যক্তিগত প্রকৃতির অন্যান্য বিষয় সম্বন্ধে তারবার্তার মাধ্যমে প্রেরিত বার্তার খরচ অবশ্যই প্রেরক বহন করিবেন, যদি না ইহা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট হয় যে, যদি উক্ত বার্তাটি তারবার্তার মাধ্যমে প্রেরিত না হয় তাহা হইলে, সরকারি কার্যের উপর ক্ষতিকররূপে ইহার প্রভাব পড়িবে। (দ্রঃ অনুচ্ছেদ ৪৮৪, নিরীক্ষা সারগ্রন্থ, ১৯৩৮)

(গ) বেসরকারি তারবার্তায় ব্যবহৃত সরকারি ডাকটিকিট।- আদায়কৃত অর্থ ‘চেক কাৰ্যালয় এর পরিবর্তে ট্রেজারিতে প্রেরণ করিতে হইবে এবং ট্রেজারি রসিদটি ‘চেক কার্যালয়ে’ পাঠাইতে হইবে, যাহা তখন পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে যে, আদায়যোগ্য অর্থ সরকারি হিসাবে জমা প্রদান করা হইয়াছে।

২৬৪। আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য উপ-প্রমাণক (Sub-voucher) সংরক্ষণ করিবার পদ্ধতি- এই উদ্দেশ্যে প্রত্যেক নিবন্ধন কার্যালয়ে মুড়িপত্রসহ একটি মুদ্রিত উপ-প্রমাণক বহি (ফরম নং ৩৩, পরিশিষ্ট ৫) সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং এই ফরমে সকল উপ-প্রমাণক প্রস্তুত করিতে হইবে । এই উপ-প্রমাণক বহি অবশ্যই সর্বদা নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত হেফাজতে থাকিবে। যখনই পাখা চালকের মজুরি, কোন দ্রব্য ক্রয়, ফিস প্রেরণের কমিশন, এবং ইত্যাকার কোন মূল্য পরিশোধ করিতে হইবে, তখন সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রতিটি দফার জন্য একটি উপ-প্রমাণক পূরণ করিবেন এবং ইহা সাব-রেজিস্ট্রার, ক্ষেত্রমতে, জেলা রেজিস্ট্রারের সম্মুখে পেশ করিবেন এবং প্রস্তুতকৃত ফরম অনুসারে পরিশোধের জন্য তাহার লিখিত আদেশ গ্রহন করিবেন । এইরূপ আদেশ প্রদান করিবার পর, স্থায়ী অগ্রিম হইতে টাকা পরিশোধ করা হইবে, যদি অকুস্থলে টাকা পরিশোধ করা হয়, তাহা হইলে ফরমের উপরে প্রাপকের রসিদ গ্রহণ করিতে হইবে । যদি টাকা মানি অর্ডার যোগে প্রেরণ করা হয়, তাহা হইলে ডাকঘরের প্রাপ্তিস্বীকারপত্রটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বাতিল হওয়ার পর উ-প্রমাণকের মুড়িপত্রের সহিত লাগাইয়া রাখিতে হইবে, যাহাতে ইহা পুনরায় ব্যবহার না হইতে পারে । ডাক-বিভাগ হইতে প্রাপকের প্রাপ্তিস্বীকারপত্রটি পাওয়া গেলে উহাও মুড়িপত্রের সহিত লাগাইয়া রাখিতে হইবে। সে সকল ক্ষেত্রে সাব-ট্রেজারির মাধ্যমে নগদ প্রদানের আদেশে টাকা প্রেরণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে নগদ প্রদানের আদেশের বিস্তারিত বিবরণসহ জেলা রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকপত্র মুড়িপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে এবং নগদ প্রদানের আদেশ সংক্রান্ত সাব-রেজিস্ট্রারের প্রাপ্তিস্বীকার পাওয়া গেলে উহাও মুড়িপত্রের সহিত লাগাইয়া রাখিতে হইবে । যে ব্যক্তি স্থায়ী অগ্রিম হইতে টাকা পরিশোধ করেন তিনি ফরমের উপর মুদ্রিত “পরিশোধ” শীর্ষক প্রত্যায়নপত্রটি তারিখ সহকারে অনুস্বাক্ষর করিবেন এবং যে সকল মন্তব্য প্রযোজ্য নহে তাহা কাটিয়া দিবেন

২৬৫ । চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্টার বহি যেভাবে লিখিত হইবে- (ক) সকল কার্যালয়ে নির্ধারিত ফরমে একটি চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে । এই রেজিস্ট্রারের পৃষ্ঠাসমূহ নম্বরযুক্ত হইবে । প্রতিটি দফার পরিশোধের তারিখের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুস্বাক্ষর প্রদত্ত হইবে । চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্ট্রার বহির অর্থ পরিশোধের ভুক্তিসমূহ অনুস্বাক্ষরকরণের এবং আনুষঙ্গিক বিলসমূহ স্বাক্ষরকরণের উদ্দেশ্যে মফঃস্বল কার্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান হইলেন সাব রেজিস্ট্রার এবং সদর কার্যালয়ের ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার প্রতিষ্ঠান-প্রধান ।

(খ) যে উপ-প্রমাণকের উপর টাকা পরিশোধ করা হইয়াছে উহার প্রতিটি টাকার অঙ্ক চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্ট্রার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং এই রেজিস্ট্রার বহির ভারপ্রাপ্ত সহকারী টাকা পরিশোধের প্রতিটি দফায় অনুস্বাক্ষর প্রদানের জন্য উপ-প্রমাণক বহি সহ উহা প্রতিষ্ঠান-প্রধানের নিকট উপস্থাপন করিবেন। এই অনুস্বাক্ষর প্রদানের কাজটি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ কর্তৃ্ক অবশ্যই গতানুগতিক বিষয় হিসাবে বিবেচিত হইবে না, অনুস্বাক্ষর প্রদানের পূর্বে তাহারা অবশ্যই নিশ্চিত হইবেন যে, প্রথমত টাকা প্রকৃতপক্ষে তাহাদের স্থায়ী অগ্রিম হইতে পরিশোধ করা হইয়াছে এবং দ্বিতীয়ত উপরোক্ত ২৬৪ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত নির্দেশসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণ করিয়া উপ-প্রমাণকসমূহ প্রস্তুত করা হইয়াছে ।

(গ) যেক্ষেত্রে স্থায়ী অগ্রিম নিঃশেষ হইয়া আসে, সেইক্ষেত্রে উহার স্থিতির অতিরিক্ত টাকার জন্য চাহিদা-পত্র দাখিল করা যাইবে। এই দফাটিও, রেজিস্ট্রার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে, এবং বিলে অন্তর্ভূক্ত করিতে হইবে, অর্থ পরিশোধের প্রাক্কালে উপ-প্রমাণকে উল্লিখিত নম্বরটি প্রদান করিতে হইবে। এইরূপ ক্ষেত্রেও, আনুষঙ্গিক ব্যয়ের উপ-প্রমাণক বহি হইতে একটি উপ-প্রমাণক প্রস্তুত করিতে হইবে এবং সম্ভব হইলে, উহাতে প্রাপকের রসিদ অগ্রিম গ্রহণ করিতে হইবে ।

(ঘ) সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের স্থায়ী অগ্রিম জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক দ্রুততার সহিত পূরণ করিতে হইবে, যাহাতে নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ১১৭(৩) অনুসারে নিবন্ধন ফিস প্রেরণ করা যায়।

২৬৬ । চুক্তিবন্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের বিল আহেরণের পদ্ধতি- সদর নিবন্ধন কার্যালয়ের ক্ষেত্রে বিলটি ২৪৫৯ নং ফরমে প্রস্তুত করিতে হইবে এবং যে সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক খরচের কোন স্বতন্ত্র বরাদ্দ নাই, কিন্তু যাহাদের বহনকৃত ব্যয় জেলা বরাদ্দের বিপরীতে যুক্ত হয়, তাহাদের ক্ষেত্রে বিলটি সাদা কাগজে প্রস্তুত করিতে হইবে। তাবে সাদা কাগজের বিলে দফাসমূহের বিবরণ, যতটা সম্ভব, ২৪৫৯ নম্বর ফরমের খরচের মুদ্রিত শিরোনামসমূহ অনুসরণ করিবে । মফঃস্বল সাব-রিজিস্ট্রারদের এই সকল বিল সাব-রেজিস্ট্রারদের এই সকল বিল সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক পূর্ণ স্বাক্ষরিত এবং তারিখযুক্ত এবং অবশ্যই উপ-প্রমাণক দ্বারা সমর্থিত হইবে।

২৬৭ । টাকা পুনঃপ্রাপ্তির জনন্য বিল প্রস্তুতকরণ- (ক) যেক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য ট্রেজারি ব্যয়ের জন্য ট্রেজারি হইতে টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হয়, উদাহরণস্বরূপ, যখন স্থায়ী অগ্রিম নিঃশেষ হইয়া আসে, সেইক্ষেত্রে এবং যেকোন প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট সহকারী রেজিস্ট্রার বা রেজিস্ট্রারসমূহের পৃষ্ঠায় এই প্রাপ্তি পর্যন্ত লাল কালির রেখা টানিবেন, বিভিন্ন কলামের যোগফল নির্ণয় করিবেন এবং ভিন্ন ভিন্ন শ্র্রেণির সমষ্টির প্র্রত্যেকটিকে আনুষঙ্গিক ব্যয়ের আলাদা বিলে লিপিবদ্ধ করিবেন । অতঃপর তিনি উপ-প্রমাণক এবং রেজিস্ট্রারসহ বিল প্রতিষ্ঠান-প্রধানের সম্মুখে উপস্থাপন করিবেন, যিনি আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্ট্রার বহির ভুক্তিসমূহ যত্ন সহকারে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করিয়া (যদি ইতোমধ্যে না হইয়া থাকে তবে) অনুস্বাক্ষর করিবেন এবং বিলসমূহ স্বাক্ষর করিবেন, সহকারী তখন উহাতে তারিখ ও নম্বর দিবেন এবং টাকা প্রাপ্তির জন্য ট্রেজারিতে দাখিল করিবেন ।

(খ) সাদা কাগজের উপর প্রস্তুতকৃত মফঃস্বল সাব রেজিস্ট্রারগণের বিল সদর কার্যালয়ে প্রাপ্তির পর, প্রথমে উহাদের সহিত সংযুক্ত মুদ্রিত উপ-প্রমাণকের সহিত বিলটি যত্নসহকারে পরীক্ষা করিতে হইবে েএবং যদি উহাদিগকে যথাযথ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাহা হইলে জেলা রেজিস্ট্রার বিলসমূহ পরিশোধ করিবার জন্য সম্মতি প্রদান করিবেন এবং সদর কার্যালয় কর্তৃক বহনকৃত ব্যয় সংক্রান্ত উপ-প্রমাণক সহকারে আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করিবেন, এবং সদর ট্রেজারিতে দাখিলের জন্য প্র্রতি পক্ষকালের সমুদয় টাকার জন্য একটি একীভূত বিল প্রস্তুত করিবেন, যাহাতে নগদ পরিশোধযোগ্য টাকা এবং এক বা এক বা একাধিক নগদ প্রদানের আদেশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সাব-ট্রেজারি বা সাব-ট্রেজারিসমূহের উপর পরিশোধযোগ্য টাকার অঙ্ক সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন ।

টাকা ট্রাপ্তির পর ভারপ্রাপ্ত সহকারী, যেসকল নিবন্ধন কার্যালয় সদর কার্যালয় কর্তৃক বহনকৃত খরচের টাকার জমা গ্রহণকারী সাব-ট্রেজারিসমূহের সুবিধাজনক কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত নহে, তাহাদের নিকট টাকা প্রেরণ করিবেন । যেসকল ক্ষেত্রে নগদ প্রদানের আদেশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত সহকারী নগদ প্রদানের আদেশের পূর্ণ বিবরণ প্রদান করিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে প্রতিটি বিলের সহিত একটি স্মারকলিপি সংযুক্ত করিবেন এবং উক্ত স্মারকলিপি পাওয়া গেলে, তৎসংগে সাব-রেজিস্ট্রারের প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটিও সংযুক্ত করিবেন । যেক্ষেত্রে ডাক বিভাগীয় মনি-অর্ডারযোগে টাক প্র্রেরিত হয়, সেই সকল ক্ষেত্রে তিনি সাব-রেজিস্ট্রারগণের নিকট হইতে ডাক বিভাগীয় প্রাপ্তিস্বীকারপত্রটি পাওয়া গেলে উহাও বিলের সহিত সংযুক্ত করিবেন । তিনি একই সংগে সাব-রেজিস্ট্রারের বিলের উপর টাকা পরিশোধের প্রত্যায়নপত্র প্রদান করিবেন।

২৬৮। আনুষঙ্গিক ব্যয়ের উপ-প্রমাণক সংরক্ষনের দায়িত্ব।– আবশ্যক হইবে, ব্যয়নকারী কমকর্তা ‘‘চুক্তি আনুষঙ্গিক  ব্যয়’’ খাতের অধীন তাহার ব্যয় সংক্রান্ত উপ-প্রমাণক সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের দায়িত্ব পালন করিবেন। সকল উপ-প্রমাণক বাতিলকরণের পর ৩(তিন) বৎসরের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে

২৬৯। সকল বিল প্রধান কার্যালয়ের বিল বহিতে জমা করিতে হইবে (ফরম নং ১০,পরিশিষ্ট৫)।– সাব-রেজিস্ট্রারগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল বিল প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণীয় বিল বহিতে জমা করিতে হইবে এবং এতদবিষয়ে গ্রহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে একই বহিতে  ও উপস্থাপনের দায়িত্ব পালন করিবেন।লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২৭০। আনুষঙ্গিক ব্যয়ের মুঞ্জ-সীমা অতিক্রম করা যাইবে না।– কোন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত –মঞ্জুরি পূর্ব –প্রাপ্ত না হইয়া,আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য প্রদেয় অর্থের অতিরিক্ত খরচ করিতে পারিবেন না, এবং যেক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা বাৎসরিক মঞ্জুরি-সীমা অতিক্রম করেন ,সেইক্ষেত্রে তিনি অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য সরকারি আদেশের অধীন দায়ী হইবেন।

২৭১।  সাব-রেজিস্ট্রারগণের নিকট টাকা প্রে জন্য ডাক খরচাদি।–নিষ্প্রয়োজন।

২৭১ক। দরপত্রের জন্য চুক্তি ।- (ক)(১) চুক্তির শর্তসমূহ অবশ্যই সংক্ষিপ্ত এবং সুনিদির্ষ্ট হইবে ,এবং সেখানে অবশ্যই অভিপ্রায়ের অস্পষ্টতা বা ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ থাকিবে না।

(২) চুক্তিপত্র্রের মুসাবিদা করিবার সময় এবং চুক্তিতে চূড়ান্ত ভাবে আবদ্ধ হওয়ার পূর্বে ,যতদূর সম্ভব ,আইনগত এর্বং অর্থনৈতিক পরামর্শ গ্রহণ করিতে হইবে।

(৩) চুক্তিসমূহ যখণই সম্ভব আদর্শ ফরম আকারে গৃহীত হইবে এবং শর্তসমূহ পর্যান্ত পূর্ব-পরীক্ষণ সাপেক্ষ হইতে হইবে।

(৪) একবার চুক্তিতে আবদ্ধ হইলে ,ইহার শর্তসমূহ  উপযুক্ত আর্থিক কর্তৃপক্ষের পূর্ব-অনুমতি ব্যতীত বস্তুগতভাবে পরিবর্তন করা যাইবে না।

(৫) উপযুক্ত আর্থিক কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোন অনিশ্চিত বা অনিদির্ষ্ট দায় বা অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের শর্তসম্বলিত কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া যাইবে না।

(৬) যেক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব এবং সুবিধাজনক ,সেইক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরপত্র গৃহীত হয় নাই,সেইক্ষেত্রে কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

অন্যথায় না হইলে ২৫০ টাকা বা তদতিরিক্ত মূল্যমানের নিদিষ্ট দ্রব্য –সামগ্রী সরবরাহ করিবার জন্য ,দরপত্র আহবান করিতে হইবে।প্রশাসনিক বিভাগসমূহ প্রয়োজন বোধ করিলে ২৫০ টাকার নিম্নে সীমা নির্ধারিত করিতে পারিবেন।

(৭) দরপত্র গ্রহণ করিবার জন্য বাছাইকালে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কারণসমূহের উপরন্তু দরপত্র দাখিলকারী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থান বিবেচনায় আনিতে হইবে।

(৮) এমনটি যেসকল ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক লিখিত চুক্তি করা হয় নাই ,সেই সকল ক্ষেত্রেও নিদেনপক্ষে মূল্যের বিষয়ে ,লিখিত চুক্তি ব্যতীত ,সরবরাহ ইত্যাদির জন্য কোন আদেশ প্রদান করা হইবে না।

(৯) ঠিকাদারের নিকট বিশ্বাসপূর্বক অর্পিত সরকারি সম্পদের নিরাপত্তার বিষয়ে চুক্তিতে অবশ্যই বিধান রাখিতে হইবে ।

(খ) নিরীক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক চুক্তি পরীক্ষাকরণ ।- নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের চুক্তি পরীক্ষা করিবার এবং যেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র যাচিত হয় নাই,বা যেক্ষেত্রে উচ্চ দরপত্র গ্রহণ করা হইয়াছে বা যেক্ষেত্রে পদ্ধতিগত অনিয়ম দৃষ্টিগোচর হইয়াছে এইরুপ যে কোন ঘটনা সরকারি হিসাবে সম্পর্কিত কমিটির আনয়নের ক্ষমতা আছে। পরিদর্শনকারী কমকর্তাগণের কর্তব্য হইবে যেক্ষেত্রে কোন দরপত্রকে অপর কো দরপত্রের অনুকূলে প্রত্যাখ্যান করা হইয়াছে,যাহা বাহ্যত করদাতার স্বার্থের চেয়ে কম সহায়ক ,সেইক্ষেত্রে উক্ত ঘটনার প্রকৃত অবস্থায় কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধীনস্ত করা ।

টীকা:

সরকারী ত্রয়ের নিমিত্ত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ,২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা,২০০৮ অনুসরণ করিতে হইবে ।এ বিষয়ে অর্থ  মন্ত্রনালয় ,অর্ত বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত মন্ত্রনালয় ,বিভাগ ,সংযুক্ত বিভাগি ,অধিদপ্তর ,অধস্তন সরকারি কার্যালয়সমূহের প্রধানকে সুনিদির্ষ্ট আর্থিক ক্ষমতা অর্পন ও পুনঃঅর্পন সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রণিধানযোগ্য।অধস্তন অফিসসমূহের প্রধানকে ক্যাটাগরি-১,ক্যাটাগরি-২,ক্যাটাগরি-৩ এই তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হইয়াছে।বিভাগীয়/আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসসমূহ ক্যাটাগরি-৩ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হইবেন ।কেবল আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্য এইরুপে শ্রেনী নির্ধারিত করা হইয়াছে ।ইহার সহিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পদমর্যাদার কোন সম্পর্কে নাই।

অর্থ মন্ত্রনালয় ,অর্থ বিভাগ,ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অধিশাখা-১ এর স্মারক নং-অম/অবি/ব্যঃনিঃ-১/ডিপি-১/২০০০/১৩ তারিখ: ০৩/০২/২০০৫ খ্রিঃ, নং –অম//অবি/ব্যঃনিঃ-১/ডিপি-১/২০০০/১৪০ তারিখ:০২/০৬/২০০৮ খ্রি: নং-/অবি/ব্যঃনিঃ-১/ডিপি-১/২০০০(অংশ-২)/২৪০তারিখ:১৬/১০/২০০৮খ্রি:নং-/অবি/ব্যঃনিঃ-১/ডিপি-১/২০০০/৯৭ তারিখ:২৬/০৪/২০১১ খ্রি:

প্রত্যর্পণ

২৭২। কতিপয় ক্ষেত্রে প্রত্যর্পন অনুমোদিত।- নিম্নবর্ণিত ফিস ফেরত প্রদানে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ ক্ষমতাপ্রাপ্ত।–

(ক) নিবন্ধন অগ্রাহ্যকৃত দলিলে ণির্ধারিত ফিসের তালিকার অধীন ধার্যকৃত সকল ফিস;

(খ) (বিলুপ্ত);

(গ) ভিজিট করিবার বা কমিশন নির্বাহ করিবার পূর্বেই ভিজিট বা কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার করা হইলে ভিজিট বা কমিশনের ফিস এবং ভ্রমণ ভাতা।

(ঙ) আবেদন দাখিল করিবার তারিখ হইতে ২০ (বিশ ) দিনের মধ্যে তল্লাশ বা পরিদর্শনের আবেদন প্রত্যাহার করা ইহল ,তল্লাশ বা পরিদর্শন ফিস ; কিন্তু আবেদনকারীর নিকট সূচিবহি বা রেজিস্টার বহি হস্তান্তর করা হইলে ,ফিস ফেরত প্রদান করা যাইবে না এবং

(চ) নকল প্রস্তুতকরণের কাজ শুরু করিবার পূর্বে নকলের আবেদন প্রত্যাহার করা হইলে, নকলের ফিস।

২৭৩। ফেরতযোগ্য নিবন্ধন ফিস হইতে ‘ত’ দফার অধীন দেয় ফিস বিয়োজন ।- কোন দলিলের নিবন্ধন অগ্র্রাহ্য হওয়ারি পর একমাত্রে অধিকাল দাবিবিহীন অবস্থায় পড়িয়া থাকিবারর ফলে,ফিসের তালিকা ‘ত’ দফার অধীন ফিসের প্রাপ্যতা হইলে এইরুপে ফিসের টাকা ফেরতযোগ্য নিবন্ধন ফিস হইবে বাদ দিতে হইবে ।

২৭৪।  জরিমানা এবং উপযুক্ত নিবন্ধন ফিসের প্রার্থক্য ফেরতযোগ্য নহে।–নিবন্ধন আইনের ধারা ২৫ বা ধারা ৩৪ এর অধীন জরিমানা নিবন্ধন বিধিমালার বিধি ৩৮ অনুসারে ধার্য করা হইয়া থাকে। উপযুক্ত নিবন্ধন ফিস বাদ দিয়া এই জরিমানা ধার্য করা হয় । অতএব ,যেক্ষেত্রে জরিমানা ধার্যকৃত দলিলের নিবন্ধন অগ্রাহ্য করা হয় সেইক্ষেত্রে উপরোক্ত ২৭২ অনুচ্ছেদের দফা(ক) এর অধীনে শুধুমাত্র প্রকৃত নিবন্ধন ফিস এবং নির্ধারিত ফিসের তালিকার অধীন ধার্যকৃত অপরাপর ফিস ফেরত প্রদান করিতে হইবে ।প্রকৃতপক্ষ রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রমার্জিত বিলম্বজনিত দন্ড বা জরিমানা প্রত্যর্পনযোগ্য নহে এবং ফেরত প্রদান করিতে হইবে না।

অধিকন্তু ,যদি মহা-পরিদর্শন ,নিবন্ধন কর্তৃক নিবন্ধন আইনের ধারা ৭০এর অধীন দন্ড মওকুফ করা হয় , তাহা হইলে ফেরত প্রদানের রেজিস্টার বহিতে প্রয়োজনীয় ভুক্তি লিপিবদ্ধ করিয়া উহা ফেরত দেওয়া যাইবে ।

২৭৫।  যে সময়সীমা মধ্যে প্রত্যপর্ন মঞ্জুর করা হইবে।- (ক) নিবন্ধন আইনের ধারা ৮৫ এর অধীন, বিনষ্টকৃত দলিলের ফেরতযোগ্য কোন অর্থের প্রত্যর্পন মঞ্জুর করা হইবে না ।

(খ) ফেরত দেওয়া হয় নাই, এইরুপে দলিল বিনষ্টকরণের নিমিত্ত মহা-পরিদর্শক,নিবন্ধন কর্তৃক অনুমোদনের জন্য প্রস্তুতকৃত তালিতায় ( বাংলাদেশ ফরম১৫৭৩ যাহা পরিশিষ্ট ৫ এর ফরম ১৬ অনুসারে পুনঃপ্রদর্শিত ) প্রত্যেক দলিলের বাবদ প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থের পরিমাণড যথাযথ কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(গ) ধারা ৮৫এর অধীন বিনষ্টকৃত দলিল ব্যতীত যে সকল দলিলের বাবদ অর্থ জমা দেওয়ার তারিখে হইতে ৩ (তিন) বৎসর যাবত অপ্রত্যর্পিত অবস্থায় রহিয়াছে তাহা সরকারের পক্ষে তামাদি হইয়া গিয়াছে বলিয়া গন্য হইবের এবং ফেরত প্রদান করিতে হইবে না।এই অর্থে একটি ভিন্ন তালিকায় (বাংলাদেশ ফরম নং ১৫৭৫ যাহা পরিশিষ্ট ৫ এর ফরম ১৮ অনুসারে পুনঃপ্রদর্শিত) প্রদর্শিত হইবে,যাহা ধারা ৮৫ এর অধীনে বিনষ্টযোগ্য অপ্রত্যর্পিত দলিলের তালিকার সহিত একই সংগে দাখিল করিতে হইবে ।

২৭৬। প্রত্যর্পন করিবার পদ্ধতি ।- নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২ এর অধীন প্রদও রশিদ উপস্থাপন সাপেক্ষে এবং প্রাপকের নিকট হইতে প্রত্যপিত অর্থ প্রাপ্তির পর ,নিবন্ধনকারী  কর্মকর্তাগণ তাহাদের স্থায়ী অগ্রিম হইতে প্রত্যর্পণযোগ্য ফিস ফেরত প্রদান করিবেন ।

২৭৭। যাহার নিকট  প্রত্যর্পণ করিতে হইবে।– দলিল দাখিলকারী বা নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২ এর অধিন রসিদে একই আইনের ধারা ৬১ এর অধীন যাহাকে বরাত দেওয়া হেইয়াছে তাহার নিকট ফেরতযোগ্য অর্থ প্রত্যপর্ণ করা যাইতে পারে বা দলিল  দাখিলকারীর নিকট মনিঅর্ডারযোগে প্রেরণ করা যাইতে পারে ।সরকারী আদেশ নং ১০৭৯ –রেজিঃ তারিখ : ১৮/৯/৫০ খ্রিঃ এর অনুগমনের মহা-পরিদর্শক ,নিবন্ধন কর্তৃক স্মারক নং ১৩৪৩২(১৮) তারিখ :১৪/১০/১৯৫০ খ্রিঃ অনুসারে জারি করা হইয়াছে।

২৭৮।- ফি বহিতে ফেরত প্রদানের টীকা লিখন।– মূল রসিদ জমার বিপরীতে প্রত্যপর্নযোগ্য অর্থ বা উহার অংশ বিশেষ ফেরত প্রদানের অব্যবহিত পর ফি বহি ,ভিজিট ও কমিশন রেজিস্টার বহি বা ক্ষেত্রমত ,তল্লাশ বহিতে নিবন্ধনকারী কমকর্তা কর্তৃক তারিখযুক্ত ও অনুস্বাক্ষরিত একটি টীকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

২৭৯। স্থায়ী অগ্রিম পূরণ ।- সাব-রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক প্রত্যয়ন বাবদ ব্যয়িত অর্থ পূরণ করিবার জন্য তাহারা ,রসিদ ম্বুপ প্রাপকের নিকট হইতে প্রাপ্ত প্রাপ্তি রসিদসহ বাংলাদেশ ফরম নং ২৪১৯ এর ১-৫,৭ ও৮ নং কলামসমূহ সর্তকতার সহিত পূরণ করিবেন এবং ফরমের নিম্নভাগে প্রতায়নপত্র স্বাক্ষরযুক করিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের নিকল বিল দাখিল করিবেন ।রেজিস্ট্রার রসিদসহ,বিল গ্রহনের পর উহারা যথাযথ অবস্থায় আছে কিনা তাহা যত্নসহকারে পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন এবং অতঃপর রসিদগুলি বাতিল করিবেন যাহাতে সেইগুলি পুনরায় ব্যবহার না হইতে পারে।যদি বিলগুলি যথাযথ অবস্থায় পাওয়া যায় তাহা হইল,রেজিস্ট্রার সেইগুলি মঞ্জুরর্পূর্বক ভাঙ্গানোর জন্য সংশ্লিষ্টি সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট ফেরত পাঠাইবেন।যে সকল বিল সাব-ট্রেজারিতে ভাঙ্গাইতে হইবে,সেইগুলি সাব-রেজিস্ট্রারগণের নিকট প্রেরণ করিবার পূর্বে ,সাব-ট্রেজারি হইতে পরিশোধ করিবার বিষয়ে রেজিস্ট্রারর ট্রেজারিতে মোকাবেলা  করিবেন।

অধ্যায় ২৪

ফরমায়েশ পত্র

২৮০। ফরমায়েশ –পত্রের বিধান।– যে সকল নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাকে মুদ্রিত ফরমের জন্য ফরমায়েশ-পত্র দাখিল করিতে হয় তাহাদিগকে ফরমসমূহের সরবরাহ ও তত্ত্বাবধানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত নিদেশাবলির প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান করিতে হইবে ।

২৮১। রেজিস্টার বহি এবং ফরমের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের ফরমায়েশ ।- প্রত্যক সাব রেজিস্ট্রার ফরমায়েশ-পত্র চক্রে (ফরম নং৬,পরিশিষ্ট ৭) প্রদর্শিত প্রত্যক শাখার ফরমের জন্য নিদির্ষ্টি তারিখে বা তৎপূর্বে তাহার জেলার রেজিস্ট্রারের ফরমায়েশ পত্র দাখিল করিবেন)।এক শাখার ফরম অন্য শাখার ফরমের ফরমায়েশ –পত্রের অন্তুভূক্ত হইবে না। ফরমায়েশ –পত্রের সহিত চালানের ফর্দ সংযক্তির প্রয়োজন নাই।

২৮২) রেজিস্টার বহি এবং ফরমের জন্য রেজিস্ট্রারের ফরমায়েশ।– (ক) রেজিস্ট্রার ফরমায়েশ চক্রে (ফরম নং ৬ ,পরিশিষ্ট ৭) নির্ধারিত তারিখে বা উহার পূর্বে তাহার অদীন্স্থ কার্যালয়সমূহের ফরমায়েশ –পত্রের সহিত তাহার কার্যালয়ের প্রত্যেক শাখার জন্য ফরমসমূহের ফয়মায়েশ –পত্র মহা-পরিদর্শক,নিবন্ধন বরাবর দাখিল করিবেন। মহা-পরিদর্শন,নিবদ্ধনের রবাবর ফরমায়েশ –পত্র প্রেরণের পূর্বে রেজিস্ট্রার লক্ষ্যে করিবেন যে, ফরমায়েশকৃত ফরমসমূহ বাস্তবিকেই প্রয়োজন এবং তিন বৎসরের গড় চাহিদার ভিত্তিতে প্রস্ততকৃত এবং ফরমায়েশকৃত ফরমসমূহের মূল্য এই উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত বাৎসরিক বরাদ্দ অতিক্রম করে নাই।

(খ) ফরমায়েশ পত্রসমূহ হস্তলিখিত রেজিস্টার বহিতে নথিভুক্ত করিতে হইবে।- রেজিস্ট্রার সকল ফরমায়েশ-পত্র প্রতিস্বাক্ষরক্রমে হস্তলিখিত রেজিস্টার বহিতে নথিভুক্ত করিবেন যাহাতে প্রত্যেক ফরমায়েশ পত্রের ফরমসমূহের মূল্য এবং ইহা মঞ্জুর করিবার পর প্রাপ্ত স্থিতি সযত্নে লিখিয়া রাখিতে হইবে।

২৮৩। ফরমায়েশ-পত্র সময়মত দাখিলকরণ)- (ক) যে সকল বাৎসরিক ফরমায়েশ পত্র ফরমায়েশ চক্রে প্রদর্শিত নির্দিষ্ট তারিখে মুদ্রণ ও ফরম বিভাগে পৌঁছে না- উহাদের বিষয়ে যেহেতু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না, সেইহেতু ইহা আবশাকীয়রূপে প্রয়োজন যে, সকল বাৎসরিক ফরমায়েশ যথাযথ সতর্কতা এবং পূর্ব পরিকল্পনা সহকারে প্রস্তুতকৃত এবং নির্দিষ্ট তারিখে দাখিলকৃত হইবে। (

খ) জরুরি এবং সম্পূরক ফরমায়েশ-পত্র গ্রহণ।- কোন জরুরি বা সম্পূরক ফরমায়েশ-পত্র বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতিরেকে, সরকারের অনুমোদন ব্যতীত, গ্রহণ করা হইবে না।

২৮৪। মনিহারি দ্রব্যের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের ফরমায়েশ।- (ক) প্রতি বৎসর ১লা মে-র পূর্বে রেজিস্ট্রার কর্তৃক নির্দেশিত তারিখে প্রত্যেক সাব রেজিস্ট্রার মনিহারি দ্রব্যের জন্য নির্ধারিত ফরমে, রেজিস্ট্রারের নিকট একটি ফরমায়েশ-পত্র দাখিল করিবেন, যাহা পরবর্তী ১লা সেপ্টেম্বর হইতে আরম্ভ হইয়া ৩১শে আগস্ট সমাপ্য বৎসরব্যাপী তাহার কার্যালয়ে আবশ্যক হইবে। (খ) আধা-সরকারি চিঠি-পত্র আদান-প্রদানের জন্য মনিহারি দ্রব্যের ফরমায়েশ পত্রে ছোট খাম অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।

দ্রষ্টব্য: সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ০৫.১২৩,০০০,০০,০০,০০১.২০০৫ (অংশ)-৩৫২ তারিখ: ৩০শে আগস্ট ২০১০ খ্রিঃ অনুসারে মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং ইহার আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিম্নবর্ণিত অফিস স্টেশনারির ব্যবহার পরিহারের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে। (ক) আলপিন, (খ) পিনকুশন ও (গ) কারেক্টিভ ফ্লুইড/হোয়াইট ফ্লুইড।

২৮৫। মনিহারি দ্রব্যের জন্য রেজিস্ট্রারের ফরমায়েশ।- রেজিস্ট্রার প্রতিবৎসর ১লা মে এর মধ্যে নির্ধারিত ফরমে চালান-ফর্দসহ সারা জেলার জন্য মনিহারি দ্রব্যের একটি সমন্বিত ফরমায়েশ-পত্র মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর নিকট প্রেরণ করিবেন।

২৮৬। রবার-স্ট্যাম্পের জন্য ফরমায়েশ।- রবার-স্ট্যাম্প এবং সিলমোহরের ফরমায়েশ-পত্র নির্ধারিত মুদ্রিত ফরমে নমুনার প্রতিলিপিসহ জেলা রেজিস্ট্রার এবং মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের মাধ্যমে মুদ্রণ, মনিহারি ও স্ট্যাম্পের নিয়ন্ত্রক বরাবরে দুই গ্রন্থাকারে দাখিল করিতে হইবে। সর্বশেষ সরবরাহের (যদি থাকে) তারিখ মন্তব্য কলামে উল্লেখ করিতে হইবে এবং ফরমের পাদটীকায় যে প্রত্যায়ন রহিয়াছে উহা সতর্কতার সহিত পূরণ করিতে হইবে।

টীকা : সাব-রেজিস্ট্রারগণ তাহাদের রবার-স্ট্যাম্পের ফরমায়েশ-পত্রে উক্ত স্ট্যাম্পে ব্যবহারের জন্য, কালি অন্তর্ভুক্ত করিবেন না, তবে, অন্যান্য মনিহারি দ্রব্যের সহিত ইহা তাহারা তাহাদের জেলা রেজিস্ট্রারের মওজুদ হইতে প্রাপ্ত হইবেন।

২৮৭। ফরম প্রাপ্তি ও খরচ, ইত্যাদির রেজিস্টার এবং মনিহারি দ্রব্যের মওজুদ বহি।- (ক) মুদ্রিত ফরমসমূহের প্রাপ্তি ও প্রেরণ রেজিস্টার বহি (ফরম নং ১৩. পরিশিষ্ট ৫) সঠিকভাবে রাখিতে হইবে এবং প্রেরণের সংগে সংগে স্থিতিতে সহকারী অনুস্বাক্ষর করিবেন। তবে, নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা প্রত্যেক প্রকারের ফরমের মওজুদ বৎসরে দুইবার প্রতিপাদন করিবেন, এবং এই মর্মে রেজিস্টারে একটি প্রত্যয়নপত্র সংযোজন করিবেন।

(খ) মুদ্রিত ফরমে প্রদত্ত নির্দেশ মোতাবেক মনিহারি দ্রব্যের জমার রেজিস্টার বহিটি (ফরম নং ১৪, পরিশিষ্ট ৫) সতর্কতার সহিত লিখিতে হইবে।

২৮৮। মুদ্রিত ফরমের প্রাপ্তি ও প্রেরণ রেজিস্টার, মনিহারি দ্রব্যের মওজুদ বহি নির্দিষ্ট সহকারী কর্তৃক রক্ষিত হইবে।- প্রত্যেক ফরমায়েশকারী কর্মকর্তা তাহার কার্যালয়ের মুদ্রিত ফরম, রেজিস্টার বহি ও মনিহারি দ্রব্যাদি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করিবার জন্য কোন বিশেষ সহকারীকে নিয়োজিত করিবেন। এই সহকারী মুদ্রিত ফরমের প্রাপ্তি ও বিতরণ রেজিস্টার এবং মনিহারি দ্রব্যের মওজুদ রেজিস্টার সামঞ্জস্যের জন্য দায়ী থাকিবেন।

অধ্যায় ২৫

পরিদর্শন

২৮৯। বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পরিদর্শন সময়সূচি – আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র নং-আম্যে/রেজিঃ-৬/নিঃপঃ/পদায়ন ০১/২০১০-৪৪৪ তারিখ: ০৫-০৭-২০১১ খ্রিঃ মূলে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নাসিক পরিদর্শনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হইয়াছে, যাহা নিম্নে বর্ণিত হইল। ১৪

২৯০। পরিদর্শকের কর্তব্য।- (ক) সরকার ঘোষিত আধুনিকায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও প্রশাসনে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শকগণের কর্মস্থল তাহাদের স্ব স্ব বিভাগীয় সদরে অবস্থিত হইবে এবং তাহারা তথায় অবস্থানকরত বিধি মোতাবেক তাহাদের দায়িত্ব পালন করিবেন। পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালীন সময়ে তাহাদের স্ব স্ব বিভাগীয় জেলার সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তদারকিসহ অনিয়ম এবং বিধি-বহির্ভূত কার্যক্রম, যদি থাকে, পরীক্ষা ও নিরীক্ষা করিবেন। তাহাদিগকে স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের জেলাধীন নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি কর্তৃক ৩য় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিগণের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অসদাচরণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বদলী বিষয়ক অনিয়ম, ইত্যাদি সরাসরি পরীক্ষাকরণে ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে। স্বীয় বিভাগের মধ্যে কর্মচারিদের আন্তঃজেলা বদলীর ক্ষমতাও তাহাদের উপর ন্যস্ত করা হইয়াছে। (দ্রষ্টব্য: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের আদেশ নং আর-৬/১ এম-০৫/২০১১-৩১৮ তারিখ: ২৬ ০৫-২০১১)।

(খ) পরিদর্শকগণ পরিদপ্তরে অবস্থানকালে, জেলা প্রশাসনের নথি এবং জেলা রেজিস্ট্রারগণের পরিদর্শন বিবরণী পরীক্ষা করিবেন এবং কর্মচারীগণের বদলি, নিয়োগ এবং পদোন্নতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অনিয়মসমূহ সংশোধিত হইয়াছে কিনা এবং পরিদর্শন বিবরণীতে উল্লিখিত ত্রুটিসমূহ সময়মত নিরসিত হইয়াছে কিনা, সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করিবেন। যে সকল গুরুতর অনিয়ম সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশাক, সেই সকল ক্ষেত্রে পরিদর্শক মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের অনুমোদন সাপেক্ষে আদেশসমূহ পরিবর্তন করিবার জন্য জেলা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।

(গ) সরকার কর্তৃক প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তৎকালীন ‘এনাম কমিটি’ কর্তৃক নির্ধারিত প্রাধিকার এবং মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক ইতিপূর্বে জারিকৃত আদেশ-নির্দেশের আলোকে নিবন্ধন পরিদপ্তরের নং ৩৬৬৬(৮৬) তারিখ: ২৮-০২-২০১২ খ্রিঃ অনুসারে পরিদর্শকগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিম্নরূপভাবে নির্ধারণ করা হইয়াছে।

(১) স্ব স্ব পরিদর্শকগণ নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি সম্পর্কে নিজ মতামতসহ অনুমোদনের নির্মিত্ত প্রস্তাবসমূহ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন বরাবরে উপস্থাপন করিবেন:

(অ) জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীগণের নিয়োগ ও অকালীন বদলির প্রস্তাব।

(আ) ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব,

(ই) জেলা রেজিস্ট্রারগণের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন ও মাসিক ভ্রমণসূচির প্রস্তাব এবং বিবাহ নিবন্ধকগণ কর্তৃক দামিনী ফরমের ফরমায়েশ-পত্রঃ

(ঈ) টি. সি. কর্মচারীগণের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, তদন্ত এবং তাহাদের ভবিষ্য তহবিলের দাবি ও চূড়ান্ত উত্তোলন।

(২) পরিদর্শকগণ তাহাদের অধিক্ষেত্রাধীন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহে প্রস্তুতকৃত স্থাবর সম্পত্তির বাজার মূল্য তালিকা পরীক্ষা ও যাচাই করিবেন এবং ক্ষেত্রমত বাজার মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির প্রয়োজন হইলে তাহাদের নিজস্ব মতামত প্রদান করিবেন।

(৩) খণ্ডকালীন দায়িত্ব রদ বদল/পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রারণণের প্রেরিত প্রস্তাব সম্পর্কে তাহাদের মতামত প্রদান করিবেন।

২৯১। নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শন।- মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর অনুমতিক্রমে নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শকগণ প্রতি মাসে ১০টি কার্যালয় পরিদর্শন করিবেন বলিয়া প্রত্যাশা করা যায়। তাহাদের প্রাথমিক কর্তব্য হইল জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরিদর্শনে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে সহায়তা প্রদান করা এবং জেলা রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা।

২৯১ক। পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শনকৃত প্রতিটি জেলা কার্যালয়ের অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ প্রতিবেদন লিপিবদ্ধকরণ।- (ক) প্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীগণের নিয়োগ এবং বদলি বা প্রশাসন সংক্রান্ত অন্য যে কোন বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের অনিয়ম বা অপশাসন, যদি থাকে, উহश পরিদর্শনকালে পরিলক্ষিত হইলে, পরিদর্শক কর্তৃক তাহা প্রতিবেদন আকারে পেশ করা যাইতে পারে। পরিদর্শক যথাক্রমে জেলা এবং মফঃস্বল কার্যালয়ের প্রয়োজনীয় মনিহারি দ্রব্য এবং কর্মচারী ব্যবহার করিতে প্রাধিকারপ্রাপ্ত।

(খ) পরিদর্শক একটি নোটবহি রাখিবেন যাহাতে নিবন্ধনের সহিত সম্পর্কযুক্ত যে কোন ঘটনা তাহার নজরে পড়িলে এবং এই বিষয়ে জনসাধারণের মতামত প্রতিবেদনভুক্ত করা উপযুক্ত বিবেচনা করিলে উহা লিপিবদ্ধ করিবেন। প্রতিমাসের শেষে ভুক্তিসমূহের একটি অনুলিপি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের অবগতির জন্য দাখিল করিবেন, তবে তাৎক্ষণিক দৃষ্টি আকর্ষণকারী কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকিলে অনতিবিলম্বে একটি ভিন্ন প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে।

(গ) পরিদর্শক কর্তৃক মাসিক ভ্রমণসূচি এবং সম্পাদিতব্য কার্যবিবরণীর দিনলিপি নিয়মিতভাবে মহা পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট পূর্ব অনুমোদনের জন্য দাখিল করিতে হইবে।

২৯২। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক পরিদর্শন।- (ক) যেক্ষেত্রে অধীনস্থ নিবন্ধন কার্যালয়ের সংখ্যা দশটির অধিক সেইক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার সাধারণত প্রতি মাসে পাঁচটি এবং যেক্ষেত্রে অধীনস্থ নিবন্ধন কার্যালয়ের সংখ্যা দশটির কম সেইক্ষেত্রে জেলা রেজিস্ট্রার তিন বা চারটি কার্যালয় পরিদর্শন করিবেন। তিনি তাহার জেলাধীন সাব-রেজিস্ট্রার এবং কর্মচারীগণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও সম্পন্ন করিবেন। তিনি ১০ রাত্র যাত্রাবিরতিসহ মাসে অন্তত ১৫ দিন ভ্রমণরত থাকিবেন। জেলা রেজিস্ট্রারগণের মাসিক ভ্রমণের সময়-সূচি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের পরিপত্র নং আঃমঃ/রেজিঃ-৬/ নিঃপঃ / পদায়ন -০১/২০১০-৪৪৪ তারিখ: ০৫-০৭ ২০১১ খ্রিঃ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হইবে যাহা এই ম্যানুয়ালের ২৮৯ নং অনুচ্ছেদে বিধৃত হইয়াছে।

(খ) উপস্থিতি, প্রস্থান এবং যাত্রাবিরতির সময় ও তারিখ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করিয়া জেলা রেজিস্ট্রারের ভ্রমণ-সূচি এবং বিস্তারিত কর্মসূচি পূর্ব অনুমোদনের জন্য মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট দাখিল করিতে হইবে।

২৯৩। পরিদর্শন ফরম।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শকগণ পরিদর্শন প্রতিবেদন ফরমে যে পদ্ধতি নির্দেশিত আছে, তাহা অনুসরণ করিবেন। তাহারা মুদ্রিত ফরমের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পূরণ করা প্রত্যাশিত নহে, তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতির সম্পর্কযুক্ত অপরাপর বিষয়সমূহ তদন্ত করিবেন।

(খ) জেলা রেজিস্ট্রার পরিদর্শন প্রতিবেদনের মুদ্রিত ফরম (বাংলাদেশ ফরম নং ১৫৩০) ব্যবহার করিবেন এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত ফরম ব্যবহার করিবেন। তাহাদের নিকট মুদ্রিত ফরমে নিহিত সকল প্রশ্নের সমন্বিত এবং বিস্তারিতভাবে জবাব প্রত্যাশা করা হইয়া থাকে।

২৯৪। পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রেরণ পদ্ধতি:- (ক) জেলা রেজিস্ট্রার প্রতিবেদনের এক গ্রন্থ সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট, এবং অপর গ্রন্থ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং তৎসঙ্গে তিনি সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দাখিলকৃত ব্যাখ্যার অনুলিপি এবং তদ্বিপত্রও প্রেরণ করিবেন। জেলা রেজিস্ট্রার অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রারের শুদ্ধিপত্রের ব্যাখ্যা এবং প্রাপ্ত ত্রুটিসমূহ সংশোধন করা হইয়াছে কিনা তাহার সত্যতা যাচাই করিবেন এবং সেই বিষয়ের উপর তাহার মন্তব্য প্রদান করিবেন। কোন একটি নির্দিষ্ট কার্যালয় অসন্তোষজনক অবস্থায় পাওয়া গেলে জেলা রেজিস্ট্রার পরিদর্শন রেজিস্টার বহিতে উহার বিশেষ উল্লেখ রাখিবেন এবং যথাশীঘ্র সম্ভব, কার্যালয়টি পরিদর্শন করিবেন।

(খ) নিবন্ধন কার্যালয়সমূহের পরিদর্শক তাহার পরিদর্শনের স্মারকলিপি সরাসরি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর নিকট প্রেরণ করিবেন যাহার কার্যালয় হইতে প্রয়োজনীয় মন্তব্যসহ অনুলিপি সরাসরি পরিদর্শনকৃত কার্যালয়ে প্রেরণ করা হইবে এবং একই সাথে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর ও অনুলিপি প্রেরিত হইবে।

(গ) পরিদর্শনের প্রতিবেদন দাখিলকরণ সাধারণত পরিদর্শন করিবার পর এক সপ্তাহের অধিক বিপতি হইবে না।

(ঘ) পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ কর্তৃক শুদ্ধিপত্র দাখিলকরণ সাধারণত এক পক্ষকালের অধিক বিলম্বিত হইবে না।

২৯৫। পরিদর্শক এবং জেলা রেজিস্ট্রারের জন্য অতিরিক্ত নির্দেশ। নিবন্ধন কার্যালয়সমূহ পরিদর্শনকালে পরিদর্শক ও জেলা রেজিস্ট্রারগণের অনুশাসনের/পথ-নির্দেশের জন্য নিম্নবর্ণিত বিশেষ নির্দেশাবলি প্রদত্ত হইল।

(ক) তাহারা রেজিস্টার বহির সহিত কোন মাসে নিয়োজিত প্রত্যেক স্থায়ী মোহরার এবং অতিরিক্ত নকলনবিদগণের হাজিরা বহির আনুপূর্বিক চুক্তিসমূহ পরীক্ষা করিবেন এবং পরিদর্শন বিবরণীর নির্ধারিত ফরম (নং ১৫৩০) এর ৩ নং কলামে ফলাফল লিপিবদ্ধ করিবেন। সাধারণত যে মাসে অধিক সংখ্যক অতিরিক্ত কর্মী নিয়োজিত হইয়াছিল সেইরূপ একটি মাস বাছিয়া লইতে হইবে।

(খ) তাহারা ১ নং বহিতে নিবন্ধিত অন্তত ২টি দলিল ও ৪নং বহিতে নিবন্ধিত ২টি দলিল রেজিস্টার বহিতে উহাদের নকলের সহিত তুলনা করিবেন, এবং ফলাফল, পরিদর্শন বিবরণীতে লিপিবদ্ধ করিবেন।

(গ) তাহারা অফিসে রক্ষিত রেকর্ড দৃষ্টে অন্তত ৫০টি দলিলের মৌজা-ওয়ারি বাজার মূলা এবং नশ্লষ্ট রেজিস্টার দৃষ্টে অন্তত ১০টি দলিলের স্ট্যাম্প শুল্ক, আয় করছিস কর, মূসক আদায় তুলনা ও যাচাই করিবেন।

(ঘ) সদর কার্যালয়ের খরচ বরাদ্দ অতিক্রম করিয়াছে কিনা উহা দেখিবার জন্য তাহারা স্থায়ী অগ্রিম পরীক্ষা করিবেন এবং অধীনস্থ কার্যালয়ে, হাতে থাকা টাকা এবং আনুষঙ্গিক বায়ের রেজিস্টার বহিতে পাওনা টাকা, ইত্যাদির বরাতে স্থায়ী অগ্রিম প্রতিপাদন করিবেন এবং ফলাফল পরিদর্শন বিবরণীতে লিপিবন্ধ করিবেন।

(ঙ) রেকর্ডরুমে সংরক্ষিত সকল নথিপত্রের সাধারণ অবস্থা সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিতে হইবে এবং ফলাফল লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(চ) তাহারা চিঠি-পত্র প্রাপ্তি ও প্রেরণ রেজিস্টার বহির কিছু সংখ্যক চুক্তি চিঠি-পত্রের নথির সহিত এলোপাতাড়িভাবে পরীক্ষা করিয়া ফলাফল লিপিবদ্ধ করিবেন।

(ছ) পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোর্ট-ফি স্ট্যাম্পসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত ও বাতিল করা হইয়াছে কিনা, উহা দেখিবার জন্য আবেদনসমূহ পরীক্ষা করিবেন।

(জ) ছুটির হিসাব সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় কিনা উহা দেখিবার জন্য পরিদর্শন কর্মকর্তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কতিপয় সদস্যের ছুটির হিসাব পরীক্ষা করিবেন।

(ঝ) বিধানাবলি অনুধাবন ও অনুসরণ করা হইয়াছে কিনা, উহা দেখিবার জন্য পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণ প্রত্যেক কার্যালয়ে সংরক্ষিত চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের রেজিস্টার বহি, আনুষঙ্গিক ব্যয়ের উপ-প্রমাণক বহি এবং কার্যালয়ে রক্ষিত চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের বিলের অনুলিপি সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবেন। অন্যথা হইলে, যে নির্দিষ্ট বিষয়ে নিয়ম লজ্জিত হইয়াছে সেই প্রসঙ্গে প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন।

(ঞ) অর্থ প্রেরণের সাপ্তাহিক বিবরণীর নথি সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে এইগুলি নিয়মিত দাখিল করা হইয়াছে কিনা। তাহারা সাপ্তাহিক অর্থ প্রেরণের নথি পরীক্ষা করিবেন এবং মুক্তিসমূহ ক্যাশৰছি, প্রাথমিক খসড়া এবং চালান বা অন্যান্য প্রাপ্তিস্বীকারপত্রের সহিত মিলাইয়া পরীক্ষা করিবেন এবং ফলাফল তাহাদের পরিদর্শন স্মারকে বিবৃত করিবেন।

চালান এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্র কার্যালয়ে পাওয়া না গেলে, পরিদর্শন বিবরণীতে উক্ত সভার বিষয়ে একটি ভিন্ন টাকা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। নিবন্ধন ফিস প্রেরণের ক্ষেত্রে কেবল ডাক বিভাগীয় বলি ক্যাশ বহিতে উল্লেখ করা হয়, কিন্তু রসিদগুলি স্থায়ী অগ্রিম পুরণের প্রমাণপত্র স্বরূপ সদরে প্রেরিত হওয়ার কারণে বা অন্য কোন কারণে কার্যালয়ে না পাওয়া গেলে, পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণ তাহাদের পরিদর্শন স্মারকে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ এবং ক্যাশ বহিতে প্রদর্শিত ডাক বিভাগীয় রসিদের নম্বর এবং তারিখ লিপিবদ্ধ করিবেন।

প্রধান কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর প্রেরিত অর্থ প্রতিপালনে তিনি কোন প্রকার কালক্ষেপন করিবেন না। যদি তিনি পরিদর্শক হন, তাহা হইলে এই সকল অর্থের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি টাকা প্রেরণ করিবেন, যাহা পাওয়ার পর, সদর কার্যালয় অবিলম্বে নির্দেশ তালিকার বরাত অনুসারে মিলাইয়া পরীক্ষা করিবে।

২৯৬। নিবন্ধন বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক স্ট্যাম্প পরিদর্শন।- মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এবং তাহার অধীনস্ত পরিদর্শকগণ সাধারণ কর্তব্যস্বরূপ জেলা এবং মফঃস্বল কার্যালয় পরিদর্শনকালীন সময় কোর্ট ফি স্ট্যাম্প বাতিলের বিধান সঙ্গতিপূর্ণভাবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পালিত হইতেছে কিনা, উহা নিশ্চিত করিবার জন্য সরকারি আদেশ অনুসারে সরকারি কার্যালয় এবং রাজস্ব, দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আদালতসমূহের রেকর্ডরুম পরিদর্শন করিবেন।

এইরূপ পরিদর্শনকালে নিবন্ধন বিভাগীয় কর্মকর্তাগণকে সকল রাজস্ব কর্মকর্তা সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করিবেন। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শনাধীন কার্যালয়ে বলবৎ কোন ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনপ্রকার অনাহুত হস্তক্ষেপের চর্চা অভিপ্রেত নহে। অতএব, নিয়ম অনুযায়ী, কোন পরামর্শ প্রদান করা সমীচীন মনে করিলে উহাসহ পর্যবেক্ষণসমূহের একটি টাকা লিপিবদ্ধ করিবার মধ্যে তাহার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকিবে। তিনি কোন আদালত বা কার্যালয়কে তাহার সহিত পত্র যোগাযোগে সম্পৃক্ত করিবেন না।

পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা লিপিবদ্ধ টিকাসমূহ আদালত বা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বা জেলা কার্যালয়ের ক্ষেত্রে, জেলার কালেক্টরের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং কোর্ট-ফি স্ট্যাম্প বাতিলকরণ বা অন্যভাবে বিনষ্ট করিবার বিষয়ে উদ্ঘাটিত কোন অনিয়ম, অতঃপর সংশ্লিষ্ট আদালত বা কার্যালয়ের প্রধান কর্তৃক ত্বরিত তদন্তের বিষয়ে পরিণত হইবে যাহাতে দায়ী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যাইতে পারে।

২৯৭। মফঃস্বল কার্যালয় পরিদর্শন সংক্রান্ত অনুসরণীয় নিয়ম। সাধারণত অস্তিত্ব থাকিতে পারে, এই ধরনের বিদ্যমান ত্রুটি মফঃস্বল কার্যালয়সমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় কর্মরত থাকিবার সময় যাহাতে আড়াল করিবার সুযোগ না পাওয়া যায় এইরূপ পন্থায় পরিদর্শনসমূহ বিচক্ষণতার সহিত বৎসরব্যাপী ব্যাপ্ত করিতে হইবে।

২৯৮। অবিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক পরিদর্শন।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়সমূহ পরিদর্শনের বিষয়ে নিম্নোক্ত অবিভাগীয় কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নিম্নবর্ণিত নির্দেশসমূহ পালন করিতে হইবে:

(১) জেলা প্রশাসক এবং

(২) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

(খ) জেলা প্রশাসকগণ বৎসরে অন্তত একবার জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় সংক্ষিপ্ত পরিবর্তন। করিবেন। এই পরিদর্শন, মুদ্রিত প্রশ্ন মাফিক বা এতদবিষয়ে নির্দেশিত ধারা মোটামুটি অনুসরণপূর্বক সম্পন্ন করিতে হইবে। সম্ভব হইলে, তিনি মফঃস্বল কার্যালয়সমূহও পরিদর্শন করিতে পারিবেন।

(গ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ তাহাদের পরিক্রমণকাপে নিজ নিজ এলাকার যে কয়টি নিয়ন কার্যালয় সম্ভব পরিদর্শন করিবেন। এই সকল কর্মকর্তাগণের কাহারও নিকট হইতে মুদ্রিত ফরমে অন্তর্ভুক্ত সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান প্রত্যাশিত নহে। তাহারা পরিদর্শন প্রতিবেদনের নথি এবং কা রেজিস্টার বহি তলব করিবেন এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পরিদর্শনের ত্রুটিসমূহ দূর করা হইয়াছে কিনা, তাহা নিশ্চিত হইবেন। বিশেষ করিয়া তাহারা নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ লিপিবদ্ধ করিবেন :

(১) জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সর্বশেষ পরিদর্শনের তারিখ এবং উদ্ঘাটিত ত্রুটিসমূহ দূর ক হইয়াছে কিনাঃ

(২) কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের উপস্থিতি;

(৩) কার্যালয় ভবন এবং রেকর্ডরুমের অবস্থা এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকারের পরামর্শ: (৪) বিভিন্ন প্রকারের দলিল নিবন্ধন সংখ্যা যাহার দ্বারা অর্থনৈতিক অবস্থার তথ্য প্রতিপাদ্য হয়। ১৪

(৫) নিবন্ধন সংখ্যার উল্লেখনীয় বৃদ্ধি বা হ্রাস প্রাপ্তি এবং তাহার কারণ;

(৬) দলিল সমাপ্তকরণ এবং ফেরত প্রদানে গৃহীত সময়;

(৭) রেজিস্টার বহি এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ফরম সরবরাহ।

(৮) মনোযোগ আকর্ষণকারী অন্য যে কোন বিষয়।

(ঘ) জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কর্তৃক জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় পরিদর্শন স্মারকলিপি যথাক্রমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে অনুলিপি প্রদানসহ সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর দাখিল করিতে হইবে।

২৯১। আকস্মিক পরিদর্শন। ইহা বাঞ্ছনীয় যে, পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণ পূর্বজ্ঞাত বিজ্ঞপ্তি প্রদান না করিয়া মাঝে-মধ্যে কার্যালয়সমূহে গমন ও পরিদর্শন করিবেন।

অধ্যায় ২৬

নিবন্ধন সংস্থাপন এবং পারিতোষিক

৩০০। নিবন্ধন বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের বেতনক্রম। [ বাতিলকৃত ]।

০১। পদাধিকারবলে নিয়োজিত সাব-রেজিস্ট্রারদের বেতনক্রম।- (বর্তমানে প্রচলন নাই)। ৩০২। পদাধিকারবলে নিয়োজিত সাব-রেজিস্ট্রারদের অনুপস্থিতিতে কর্তব্যরত কর্মকর্তাগণকে দেয় বেতনক্রম।- (বর্তমানে প্রচলন নাই)।

৩০৩। (বিলুপ্ত)।

৩০৪। পদাধিকারবলে নিয়োজিত সাব-রেজিস্ট্রারদের কমিশন বিল। – (বর্তমানে প্রচলন নাই)।

৩০৫। করণিক প্রতিষ্ঠানের বেতন বিল।- সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের স্থায়ী করণিক এবং মোহরার সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারী। তাহারা জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিয়োগ হইয়া থাকেন তাহাদের বেতন বিল বাংলাদেশ ফরম নং ২৪০২ এ আহরিত হইবে যে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার অধীন করণিক ও মোহরারগণ নিয়োজিত সেই নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্তৃক এইরূপ বিল স্বাক্ষরিত হইতে এবং উক্ত বিলে অন্য কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতিস্বাক্ষরের আবশ্যকতা নাই।

৩০৬। করণিক প্রতিষ্ঠানের বেতনক্রম।- বাতিলকৃত

৩০৭। নিবন্ধন কার্যালয়ের করণিক সংস্থাপন।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন কার্যালয়ের করণিক সংস্থাপন ১ (এক) জন অফিস সহকারী এবং ২ (দুই) জন স্থায়ী মোহরার সমন্বয়ে গঠিত। স্থানীয় সরকারের কর আদায়কারী ১ (এক) জন কর্মচারী রহিয়াছেন যিনি টি. সি মোহরার নামে অভিহিত। উক্ত টি. সি. দোহরারের পদমর্যাদা স্থায়ী মোহবারের সমমানের হইলেও তিনি স্থায়ী করণিক প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত নহেন। তাহার বেতন-ভাতাদি স্থানীয় সরকারের কর আদায়কারী কর্মচারীগণের ব্যয় মিটাইবার নিমিত্ত উক্ত আদায়কৃত করের অংশবিশেষ দ্বারা আছ ছি. আর তহবিল নামীয় একটি তহবিল গঠিত হইয়াছে, যাহার নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হইতেছেন মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন।

(খ) নিবন্ধন কার্যালয়ের অস্থায়ী বা অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান। সাধারণত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ অনুমোদিত সংখ্যক করণিক কর্মী সহকারে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিবেন ইহাই প্রত্যাশিত, কিন্তু অস্বাভাবিকরূপে অধিক সংখ্যক দলিল নিবন্ধনের নির্মিত দাখিল হইলে তাহারা তাহাদের বিচক্ষ যথাযথভাবে প্রয়োগ করিয়া নকলকাজ সম্পন্নের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষের পূর্ব-অনুমতি গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য অস্থায়িভাবে অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) নিয়োজিত করিতে পারিবেন।

(গ) অফিস সহকারীর পদশূন্যতা। স্থায়ী মোহরার ও টি. সি মোহরারের যৌথ ক্রমায়ন তালিকা (Gradation List) দৃষ্টে পদোন্নতির মাধ্যমে করণিক প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীর শূন্য পদ পূরণ করিতে হইবে। অফিস সহকারী পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্থায়ী মোহরার বা টি. সি. মোহরাবের জ্যেষ্ঠতাই হইতেছে প্রধান মান নির্ণায়ক।

(ঘ) স্থায়ী মোহরারের পদশূন্যতা। নিবন্ধন কার্যালয়ের করণিক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী মোহরারের শূন্যপদ সাধারণভাবে অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস)গণের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে। স্থায়ী মোহরার পদে নিয়োগের জন্য বাছাইকরণের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা প্রধান মানদণ্ড হইলেও নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ মোহরার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিবেচনা করিতে হইবে, যথা:- বয়স, শারীরিক যোগ্যতা, ব্যবহার, শিষ্টাচার, করণিকের কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, দ্রুত ও স্পষ্টভাবে লিখিবার সামর্থ্য, নকলকাজে শুদ্ধতা এবং অন্য কোন বিশেষ কারণ। কোন নকলনবীস পদোন্নতি পরিত্যাগ করিতে পারিবেন না এবং এইরূপ পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করা হইলে তিনি পদোন্নতি প্রাপ্ত পদে যোগদান করিতে বাধ্য। যদি উক্তরূপ পদোন্নতি না ঘটে তবে তিনি ৬০ বৎসর বয়স পূর্তিতে নকলনবিস হিসাবে নিয়োজিত থাকা হইতে বিরত হইবেন। | দ্রষ্টব্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আইন ও বিচার বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত আদেশ নং- আর-৬/১১/২০০১-০১ ১৩-১২-২০১১ ইং এর অনুগমনে নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/ রেজিঃ শাহ-৫/৮১৬(৭৭) র ২২-১-২০১২ /।

(ঙ) বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ।- যেক্ষেত্রে কোন সহকারী বা মোহরার তাহার পরিবারকে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন, সেইক্ষেত্রে মোহরার পদে কাজ করিবার উপযুক্ত হইলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে তাহার সন্তান বা স্ত্রী/স্বামী কাহাকেও মোহরার পদে নিয়োগ করা যাইবে। এইরূপ বিশেষ ক্ষেত্রে, জেলা রেজিস্ট্রারকে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের পূর্ব অনুমোদন লইতে হইবে।

(চ) বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি। সকল নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রচলিত সরকারি আদেশ-নির্দেশ অনুসারে এতদুদ্দেশ্যে গঠিত বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হইবে।

(ছ) সহকারী, মোহরার ও টি. সি. মোহরারগণের ক্রমায়ন তালিকা। প্রত্যেক কর্মচারীর পরবর্তী উচ্চতর পদে পদোন্নতির দাবির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব প্রদানের উদ্দেশ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের সুবিধার্থে সমগ্র জেলার জন্য সহকারীগণের এবং যৌথভাবে স্থায়ী মোহরার ও টি সি মোহরারগণের একটি ক্রমায়ন তালিকা সংরক্ষণ করা হইবে, যাহাতে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে সহকারী, মোহরার ও টি.সি মোহরারগণের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। দ্রষ্টব্য: নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক ১২/৪/৯০/জে.প/৪৬৮৭(৬১) তারিখঃ ১৬-৫-১৯৯৬ 7)

৩০৭ক। স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজের আদর্শ মান।- (ক) নিবন্ধন কার্যালয়ের ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক সদস্যের পূর্ণ দিবসের কাজের মান হইল :

(১) ২০০ সূচি পদ লিপিবদ্ধকরণ, বা

(২) ১২ পৃষ্ঠা নকলকরণ এবং ২৪ পৃষ্ঠা তুলনাকরণ, বা

(৩) দাখিলকৃত দলিলের সংখ্যা নির্বিশেষে ন্যূনপক্ষে ৫০টি দলিলের টিপস্থাপ গ্রহন ও রশিদ লিখন।

সহকারীগণ কর্তৃক দলিল পরীক্ষাকরণ কাঙ্খিত নহে, এই কার্যটি অবশ্যই স্বয়ং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা

কর্তৃক সম্পাদিত হইবে।

(খ) স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কাজের রেয়াতঃ

(১) নিবন্ধন কার্যালয়ের সহকারীকে তাহার মাসিক গড় কাজের মাত্রা অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত

রেয়াৎ মঞ্জুর করা যাইতে পারে : মাসিক বিবরণী প্রস্তুত করিবার জন্য- ১ দিন

ত্রৈমাসিক বিবরণী প্রস্তুত করিবার জন্য- ২ দিন,

অন্যান্য বিবিধ কাজের জন্য ৭ দিন।

(২) নিবন্ধন কার্যালয়ের মোহরারকে তাহার মাসিক গড় কাজের মাত্রা অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত রেয়াৎ মঞ্জুর করা যাইতে পারে :

অন্যান্য বিবিধ কাজের জন্য ৭ দিন।

(গ) ছুটিকালীন কাজ :- স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণকে নৈমিত্তিক ছুটিতে থাকাকালীন পূরণ করিবার আবশ্যক হইবে না।

৩০৮। অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান নিয়োজিতকরণ।- (ক) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান নিয়োজিতকরণের পূর্ব-শর্ত। যদি নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে সম্পূর্ণ কাজ আদায় করিতে ব্যর্থ হন, এবং যদি তাহার কার্যালয়কে বকেয়ামুক্ত রাখিবার জন্য যে সময় পর্যন্ত অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিতকরণ সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজন হইত তাহার চেয়ে অধিক সময় তাহাদিগকে কর্মরত রাখেন, তাহা হইলে তাহাকে একটি গুরুদায়িত্ব পালন করিতে হইবে। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণকে সতর্ক থাকিতে হইবে যে, কেবলমাত্র কোন বিশেষ দিনে অযৌক্তিকভাবে অধিক সংখ্যক দলিলের আগমন ঘটিতে পারে বিধায় অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানকে গ্রহণ করা যাইবে না। যেক্ষেত্রে ইহা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, স্থায়ী প্রতিষ্ঠান দলিল দাখিলের ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ সম্পূর্ণ করিতে পারিবে না, কেবল সেক্ষেত্রেই অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত করা যাইবে।

(খ) অনুমোদনের জন্য রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতিবেদন। যখনই অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করিবার প্রয়োজন হইবে তখনই সাব-রেজিস্ট্রার অতিরিক্ত সহায়তা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিস্তারিত মুক্তি উপস্থাপনপূর্বক অনুমোদনের জন্য একটি প্রতিবেদন জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিবেন। রেজিস্ট্রার কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত বিবরণাদিসহ উক্ত প্রতিবেদন পরিশিষ্ট ৫ এর ২১ নং ফরমে দাখিল করিতে হইবে। এই বিষয়ে অধিকতর নিরাপত্তা বিধানকল্পে রেজিস্ট্রার অস্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকালীন সময়ে স্থায়ী ও অতিরিক্ত নকলনবিদগণ কর্তৃক সম্পাদিত কাজের অগ্রগতি প্রদর্শন করিয়া সাপ্তাহিক বিবরণী তলব করিতে পারেন।

(গ) অতিরিক্ত নকলনবিসের যোগ্যতা। কোন নিবন্ধন কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রের এলাকাধীন প্রার্থীকে উক্ত কার্যালয়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে অতালিকাভুক্ত অতিরিক্ত মোহরার হিসাবে নিয়োজিত করা যাইতে পারে, যিনি কোন স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড হইতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, ১৮ বৎসরের কম এবং ৩০ বৎসরের বেশি বয়সধারী নহে, সুন্দর হস্তাক্ষর সম্পন্ন এবং যাহার স্পষ্ট ও দ্রুততার সহিত বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখার সামর্থ্য রহিয়াছে।

(ঘ) অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) এর তালিকাভুক্তি। অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস)গণ সাব রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিয়োজিত হওয়ার পর তাহার কাজ সম্পর্কে সাব-রেজিস্ট্রারের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক তালিকাভুক্ত হইবেন এবং কোন প্রার্থী যিনি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন নাই, তিনি অতিরিক্ত মোহরার হিসাবে তালিকাভুক্ত হইতে পারিবেন না। অতিরিক্ত মোহরার হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য পরিচ্ছন্ন এবং স্পষ্ট হাতের লেখা অপরিহার্য শর্ত।

(ঙ) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। একজন অতিরিক্ত নকলনবিসের প্রাথমিক দায়িত্ব হইতেছে রেজিস্টার বহিতে নিবন্ধনের জন্য গৃহীত দলিলের অবিকল নকল প্রস্তুতকরণ; কতিপয় আদেশ, বিক্রয় সার্টিফিকেট ও নিদর্শনপত্র নথিভুক্তকরণ; রেজিস্টার বহি, সূচি বহি এবং নথি হইতে অবিকল নকল প্রস্তুতকরণ। তাহাকে নকল কাজের দ্বিগুন সংখ্যক পৃষ্ঠা তুলনা করিতে হইবে এবং নকল ও তুলনাকরণ কাজের পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রদর্শন করিয়া তাহার দৈনন্দিন কাজের বিবরণ ডায়রিভুক্ত করিতে হইবে। অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্যকে যখন ও যেক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রারের প্রয়োজন হইবে, তাহার নিয়মিত কাজের অতিরিক্ত হিসাবে সূচি কাজ এবং অপেক্ষকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা যাইতে পারে।

(চ) অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস)গণের কাজের মান। প্রত্যেক নকলনবিসকে দৈনিক রেজিস্টার বহির ১২ পৃষ্ঠা নকলকরণ এবং ২৪ পৃষ্ঠা তুলনাকরণ, বা বাৎসরিক ১২০০ দলিল বা ৩৬০০ পৃষ্ঠা নকল করিতে হইবে। [ দ্রষ্টব্য। নিবন্ধন পরিদপ্তরের নং- ১/২-আই-২/ পরিদর্শন (৬) ০ ০৮-২০০১ খ্রিঃ।

(ছ) তালিকাভুক্ত নকলনবিসগণের রেজিস্টার। প্রত্যেক নিবন্ধন কার্যালয়ের তালিকভুক্ত অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিশিষ্ট ৫ এর ৪ নং ফরমে একটি রেজিস্টার সতর্কতার সহিত সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রতি বৎসর শেষে প্রত্যেক অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বৎসরের কার্যকাল, তাহার আচরণ এবং কাজের মান প্রদর্শন করিয়া এই রেজিস্টারের উদ্ধৃতাংশ সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। এই রেজিস্টার পুনর্লিখিত হইবে না ব প্রতিবৎসর সমাপ্ত হইবে না, কিন্তু স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণের চাকরির খতিয়ান বহির ন্যায়। বৎসরের পর বৎসর ধরিয়া সংরক্ষণ করিতে হইবে, যাহাতে উহা এই সকল প্রার্থীগণের প্রত্যেকের চাকরির অবিচ্ছিন্ন ইতিহাস হিসাবে কাজে লাগিতে পারে। অতএব, প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পৃষ্ঠা আলাদা করিয়া রাখিয়া দিতে হইবে। কার্যালয়ে পর্যাপ্ত কাজের অভাবে যদি এই সকল অতিরিক্ত নকলনবিদ্যানকে কর্মহীন থাকিতে হয়, তথাপিও এই রেজিস্টারের প্রয়োজনে তাহাদিগকে কার্যালয়ে সংযুক্ত হিসাবে প্রদর্শন করিতে হইবে, তবে মন্থর মাসগুলিতে কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হইবে না যদি না কাহাকেও নকলকাজের জন্য তলব করা হয়।

(জ) অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) এর সমন্বিত রেজিস্টার। সকল তালিকাভুক অ মোহরার (নকলনবিস) এর নাম জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে লিপিবদ্ধ করিয়া সমগ্র জেলার জন্য একটি সমন্বিত রেজিস্টার প্রত্যেক সদর কার্যালয়ে সংরক্ষণ করিতে হইবে। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃ প্রদত্ত বিবরণ মন্তব্যের কলামে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। এই সকল ভুক্তি জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সত্যায়িত হইবে। কোন অধীনস্থ কার্যালয় পরিদর্শনকালীন সময় ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে জেল রেজিস্ট্রার যে ধরনের মন্তব্য প্রদানে ইচ্ছা করেন, উহাও লিপিবদ্ধ করা যাইবে। পরবর্তীকালে এই রেজিস্টারটি এই বিভাগে নিয়োগকালীন সময়ে প্রত্যেক অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) কর্তৃক সম্পাদিত কাজের বিষয়ে পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করিবে, এবং সাধারণত স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের ভিত্তি রচনা করিবে। অধস্তন কার্যালয়সমূহের রেজিস্টারের মত সদর কার্যালয়ের সমন্বিত রেজিস্টার বহিটিও বৎসর শেষে সমাপ্ত করা হইবে না, বরং বৎসরের পর বৎসর ধরিয়া রক্ষা করা হইবে। ইহার সংরক্ষণ এবং অধস্তন কার্যালয়সমূহ হইতে প্রাপ্ত উদ্ধৃতি দ্বারা উহাতে প্রস্তুত ভুক্তিসমূহের সঠিকতার জন্য জেলা রেজিস্ট্রার ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকিবেন। স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের শূণ্যপদ পূরণের সময় সদরে রক্ষিত সমন্বিত রেজিস্টার বহিটি জেলা রেজিস্ট্রারের সম্মুখে উপস্থাপন করিতে হইবে।

৩০৯। (ক) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের দরখাস্তের ফরম পূরণ পদ্ধতি। (১) যে কোন মাসে নিয়োজিত অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিশোধ মঞ্জুরীর আবেদনপত্র, পরিশিষ্ট ৫ এর ২২ নং ফরমে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে এবং এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ অধিক সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য উক্ত আবেদনপত্র বেতন বিলসহ পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অবশ্যই জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে পৌছাইতে হইবে।

(২) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্রের ২ হইতে ৪ নং কলামে ‘এক পৃষ্ঠা’ অর্থে ‘৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বুঝাইবে। এই সকল কলামে প্রদর্শনযোগ্য সংখ্যায় উপনীত হওয়ার জন্য, স্থায়ী বা অতিরিক্ত মোহরারগণ কর্তৃক নকলকৃত মোট শব্দ সংখ্যা সতর্কতার সহিত নিরূপণ করিতে হইবে এবং ৩০০ দিয়া ভাগ করিতে হইবে।

(৩) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের আবেদনপত্রে ৫ নং কলামের শিরোনামে এবং বিলে “যে সময়ের জন্য নিয়োজিত” শীর্ষক কলামে সর্বদাই নিয়োজিতকরণের সময়কাল প্রদর্শন করিতে হইবে। অতিরিক্ত নকলনবিদগণকে প্রকৃতপক্ষে সাপ্তাহিক বা অন্যান্য ছুটির দিনে নিয়োজিত করিয়া। মারিলে সেইদিনগুলি বিলে অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে।

(৪) সাব-রেজিস্ট্রারগণ ব্যক্তিগতভাবে সতর্কতার সহিত পরীক্ষা করিবার পর আবেদনপত্রে প্রত্যয়ন প্রদান করিবেন যে, উপরে বর্ণিত নির্দেশনা অনুযায়ী এই সকল কলামে উল্লিখিত পরিসংখ্যানে উপনীত হইয়াছেন।

(খ) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের বিল- (১) অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের বিল, নির্ধারিত ফরমে, আহরিত হইবে যাহা প্রত্যেক মাসের শেষে পরিশিষ্ট ৫ এর ২২ না ফরমে আবেদনসহ জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে, যিনি যথাযথ পরীক্ষা এবং বরাদ উপযোজন করিবার পর বিলটি মঞ্জুর করিবেন।

(২) জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল হওয়ার পর অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের বিল পরীক্ষাকরণ এবং গতিবিধি সহজতর করিবার জন্য এইগুলিকে সদর কার্যালয়ে পরিশিষ্ট ৫ এর ৭নং ফরমে রক্ষি রেজিস্টার বহিতে জমা করিতে হইবে।

(৩)অতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতকরণের আবেদনপত্রের যে প্রতিলিপিটি নথিভুক্ত করিবার জন্য সর কার্যালয়ে রক্ষিত হয় উহা যাহাতে জাল বা ভুয়া বিলের সমর্থনে পুনঃদাখিল করিতে না পারা যায়, সেইজন্য ইহা ব্যতিক্রমহীনভাবে বাতিলকৃত এবং জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইবে। জেলা রেজিস্ট্রার উক্ত বিল মঞ্জুর করিবার পর ত্বরিত সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবেন, যাহারা নিজেদের উদ্যোগে উহা ভাঙাইবেন এবং উক্ত বিল তখনই সদর কার্যালয়ের কোন কর্মচারী দ্বারা ভাঙানো যাইবে না, যদি না জেলা রেজিস্ট্রার উক্ত অর্থ ভূরিত সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবার জন্য কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করিতে পারেন।

(৪) প্রকৃতই যদি কোন মূল বিল পাওয়া না যায় এবং ভাঙানো না হইয়া থাকে, তাহা হইলে জেলা রেজিস্ট্রার এই মর্মে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অধীনস্থ কার্যালয় হইতে কোন বিলের প্রতিলিপি গ্রহণ করা হইবে না।

(গ) অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস)গণের পারিশ্রমিকের হার।- প্রত্যেক কার্যালয়ে অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) গণকে তাহাদের দ্বারা সম্পাদিত প্রকৃত কাজের পারিশ্রমিক দেওয়া হইবে এবং তাহাদিগকে তাহাদের নকলকৃত পৃষ্ঠার দ্বিগুণ পরিমাণ পৃষ্ঠা তুলনা করিতে হইবে। কোন অতিরিক্ত মোহরার (নকলনবিস) নির্ধারিত তুলনাকাজের কম তুলনা করিলে, তাহার পারিশ্রমিক বিল হইতে আনুপাতিক হারে পারিশ্রমিক কর্তন করা হইবে। সময় সময় সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে মহা পরিদর্শক, নিবন্ধন নকলকাজের পারিশ্রমিকের হার নির্ধারণ করিবেন।

৩০৯৫। (ক) এস. এ. টি অ্যাক্ট মোহরার।- এস. এ. টি অ্যাক্ট (স্টেট অ্যাকুইজিশন এন্ড টিন্যান্সি (অ্যাক্ট) মোহরার হিসাবে গণ্য একজন জ্যেষ্ঠ ও অভিজ্ঞ তালিকাভুক্ত অতিরিক্ত নকলনবিসকে ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ধারা ৮৯ এর অধীন মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসারে প্রজাস্বত্বের নোটিসসমূহের কার্যাদি সম্পন্নের জন্য অস্থায়িভাবে নিয়োজিত করা হইবে। তিনি প্রজাস্বত্ব আইনের অধীন ফি বহি সংরক্ষণঃ ভূমি হস্তান্তরের নির্মিত প্রাপ্ত পরোয়ানা ফি ও ডাক টিকিটের হিসাব সংরক্ষণ, দৈনিক খসড়া হিসাব এবং উল্লিখিত আইনের ৮৯ ধারার অধীন কার্যক্রমের বিবরণী প্রস্তুতকরণ এবং সংশ্লিষ্ট রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট সপ্তাহে অন্তত একবার এইরূপভাবে নোটিস প্রেরণ, যাহাতে শেষ কার্যদিবস ব্যতীত প্রতি পঞ্জিকা মাসে প্রাপ্ত সকল নোটিস উক্তরূপ কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ সম্ভব হয়।

(খ) এস. এ. টি. অ্যাক্ট মোহরাবের পারিশ্রমিকের হার। এস. এ. টি অ্যার মোহরারা তাহাদের স্বাভাবিক কর্তব্য, অর্থাৎ নকল কাজের অতিরিক্ত হিসাবে পূর্বোক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত দায়িত্ব পালন করিবেন, তবে শর্ত এই যে, কর্মব্যস্ত কার্যালয়ে উক্ত অতিরিক্ত নকলনবিসকে নকল কাজ হইতে বান দেওয়া যাইতে পারে। এস. এ. টি অ্যাক্ট মোহরারের পারিশ্রমিকের হার সরকারের অনুমোদনক্রমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক নির্ধারণ করা হইবে।

৩১০। (ক) জেলা কার্যালয়ের প্রধান সহকারী।- রেজিস্ট্রারের কার্যালয়সমূহের প্রধান সহকারীগণের নিয়োগকারী এবং শাস্তিবিধানকারী কর্তৃপক্ষ হইলেন মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন। জনসেবা এবং সুদক্ষ প্রশাসনের স্বার্থে তিনি জেলা কার্যালয়ের প্রধান সহকারীকে বাংলাদেশের এক কার্যালয় হইতে অন্য যে কোন কার্যালয়ে বদলি করিতে ক্ষমতাবান।

(খ) প্রধান সহকারীর পদশূন্যতা। মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন জেলা রেজিস্ট্রারের সহিত পরামর্শক্রমে প্রধান সহকারী পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য সহকারীগণের একটি তালিকা সংরক্ষণ করিবেন এবং উক্ত তালিকা দৃষ্টে, যখন যেখানে প্রয়োজন হয়, নিয়োগ প্রদান করিবেন।

অধ্যায় ২৭

কর্মকর্তাগণের নিয়োগ, বদলি, ছুটি এবং দুর্ঘটনা

৩১১। নিবন্ধন বিভাগের নিয়োগ বিধিমালা- (১) নিয়োগ বিধি। গেজেটেড কর্মকর্তা (রেজিস্ট্রেশন বিভাগ) নিয়োগ বিধি, ১৯৭৯’ অনুযায়ী নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তাগণের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত হইবে। বাংলাদেশ গেজেটে এস.আর.ও নং ৩৩৩ এল /৭১ তারিখ ৪ঠা ডিসেম্বর ১৯৭৯ প্রজ্ঞাপনমূলে প্রকাশিত উক্ত নিয়োগ বিধি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এস, আর, ও নং ১৫৬ আইন/৯৬ তারিখ ২৭ শে আগস্ট, ১৯৯৬ প্রজ্ঞাপন দ্বারা অধিকতর সংশোধন করা হইয়াছে।

(২) শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রার।- চাকরিতে সাব-রেজিস্ট্রারগণের শিক্ষানবিসকাল হইবে দুই বৎসর এবং শিক্ষানবিসকালের মধ্যে বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে তাহাদিগকে চাকরিতে স্থায়ী করা হইবে। শিক্ষানবিস হিসাবে প্রথম বৎসরে প্রতি মাসে মাসিক মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আহরণ করিবেন এবং দ্বিতীয় বৎসরে মূল বেতনের সহিত ১ (এক)টি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিসহ উহার সমপরিমাণ অর্থ আহরণ করিবেন। বিভাগীয় পরীক্ষায় সম্পূর্ণরূপে উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে অতিরিক্ত কোন বাৎসরিক বর্ধিত বেতন প্রদান করা হইবে না। চাকরিতে স্থায়িকরণের পর একজন সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্ধারিত বেতনক্রম অনুসারে বেতগ্রহণ করিতে অনুমতি দেওয়া হইবে।

৩১২। বিভাগীয় পরীক্ষা বিধিমালা।- আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং ১১৫৩ বিচার-৩/৩ই-১/৬৯. তারিখ : ৮ জুলাই, ১৯৬৯ অনুসারে শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রারগণের বিভাগীয় পরীক্ষা বিধিমালা নিম্নরূপ:

(ক) সকল শিক্ষানসি সাব-রেজিস্ট্রারের শিক্ষানবিসকাল সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশাক, যথা

(অ) আইন, বিধিমালা এবং পদ্ধতিঃ

(আ) চাকরি ও হিসাব বিধিমালা এবং উহার প্রয়োগ।

(খ) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে ঢাকার একটি মাত্র কেন্দ্রে অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে।

(গ) প্রতি বৎসর ষান্মাসিক পরীক্ষার তফসিল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক প্রকৃ হইবে। পরীক্ষার তারিখের পর্যাপ্ত সময় পূর্বে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবার অনুরোধসহ কমিশন কর্তৃক মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন-কে উহা অবহিত করা হইবে।

(ঘ) প্রত্যেক জেলা রেজিস্ট্রার পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীগণের নাম মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বরাবর প্রেরণ করিবেন, যিনি উহা সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, ঢাকা-তে অবহিত করিবেন।

(ঙ) আইন, বিধিমালা ও পদ্ধতি এবং চাকরি ও হিসাব বিধিমালা এবং প্রয়োগ এই বিষয়গুলির পরীক্ষার জন্য নিম্নবর্ণিত তিনটি লিখিতপত্র হইবে, প্রত্যেক পত্রের মান ১০০ নম্বর হইবে।

(১) ১ম পত্র: আইন, বিধিমালা এবং পদ্ধতি (পুস্তকসহ)। এই পরের পাঠ্যসূচি

নিম্নরূপ হইবে।

(ক) নিবন্ধন ম্যানুয়ালের ১ম খণ্ডের অধীন নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর অংশ ৩, ৮, ৯, ১০, ১৪ ও ১৫:

(ঘ) ১৯৫০ সনের রাত্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ধারা ৮৯ এবং তদধীন প্রণীত দলিল নিবন্ধনের সহিত সম্পর্কযুক্ত বিধিমালাসমূহঃ নিবন্ধ

(গ) নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ের সহিত সম্পর্কিত স্ট্যাম্প ম্যানুয়ালের অধ্যায় ২.৩.৩৭ এবং স্ট্যাম্প ম্যানুয়াগের ২য় খণ্ডের বিধিমালা,

(ঘ) টাউট আইন, ১৯৪২ ও তদধীন প্রণীত বিধিমালাঃ (3) নিবন্ধন ম্যানুয়ালের ৭ম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধন আইনের সহিত সম্পর্কিত

অন্যান্য আইনের উদ্ধৃতাংশ

(চ) সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২।

(২) ২য় পত্রঃ আইন, বিধিমালা ও পদ্ধতি (পুস্তক ব্যতীত)। এই পত্রের পাঠ্যসূচি নিম্নরূপ হইবে :

(ক) নিবন্ধন ম্যানুয়ালের ১ম খণ্ডের অধীন নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর অংশ ১, ২, ৪ হইতে ৭, ১১, ১২, ১৩ (ঘ) নিবন্ধন ম্যানুয়াদের ৩য় খণ্ড সমগ্র।

(গ) নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১৪।

(ঘ) স্ট্যাম্প ম্যানুয়ালের অধ্যায় ১ হইতে ৪, এবং তফসিল ১ সম্পূর্ণ।

(৩) ৩য় পত্র। চাকরি ও হিসাব বিধিমালা এবং প্রয়োগসমূহ (পুস্তকসহ)। এই পরের পাঠ্যসূচি নিম্নরূপ হইবে।

(ক) বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালা, ১৯ মণ্ডের অধ্যায় ১,২,৩,৫০১১

(খ) বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালা, ২য় খণ্ডের মধ্য ৪, ৫, ৬, ৭, ৮,

(চ) অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষাসমূহের প্রতিটি পরের প্রশ্নপত্র বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত হইবে।

(ছ) উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হইবার জন্য ন্যূনতম নম্বর হইবে ৫০%)

(জ) বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন, ঢাকা কর্তৃক পরীক্ষার ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হইবে।

(ঝ) কর্মকর্তাগণকে শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের সম্রত্তি সাপেক্ষে বইয়ের সাহায্য ব্যতীত আইন, বিধিমালা ও পদ্ধতির বিষয়ে একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হইতে হইবে। এই পত্রের পাঠ্যসূচি ১ম ও ২য় পত্রের অনুরূপ হইবে।

ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রার্থীগণকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রদান করা হইবে

(১) স্ট্যাম্প শুল্ক, নিবন্ধন ফিস, জেলা পরিষদ কর, ও প্রজাস্বত্ব আইনের ফিস ধার্য করিবার 6 জন্য একটি দলিলের নমুনা।

(২) সার-সংক্ষেপ প্রস্তুত করিবার জন্য একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলের নমুনা।।

(৩) ১৯০৮ সনের নিবন্ধন আইনের যথাযথ ধারার অধীন নিবন্ধন অাহ্যের আদেশ লিপিবদ্ধ

করিবার জন্য কোন ঘটনার বিবরণ। ব্যবহারিক পরীক্ষাটি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক পরিচালিত হইবে এবং কৃতকার্য প্রার্থী যাহারা। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন, তাহাদের নাম উক্তরূপ পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে অবহিত করা হইবে।

(ঞ) বাংলাদেশ চাকরি বিধি, ১ম খণ্ডের ৩য় অধ্যায়ে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে চাকরির সাধারণ শর্তাবলি সংক্রান্ত বিধানাবলি শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রারগণের জন্য প্রযোজ্য হইবে।

(ট) বাংলাদেশ চাকরি বিধি, ২য় খণ্ডের ১০ম অধ্যায়ে বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রারগণকে ভ্রমণ ভাতা এবং দৈনিক ভাতা প্রদান করা হইবে।

(ঠ) এই বিধিমালা দ্বারা এতদবিষয়ের উপর প্রণীত পূর্ববর্তী সকল প্রজ্ঞাপনকে রহিত করা হইয়াছে।

৩১৩। ধারা ১২ এর অধীন অস্থায়ী নিয়োগের প্রতিবেদন।- নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ১২ এর অধীন যেক্ষেত্রে শিক্ষানবিস ব্যতীত কোন সরকারি কর্মকর্তাকে অস্থায়িভিত্তিতে কোন নিবন্ধন কার্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য নিয়োগ করা হয়, সেইক্ষেত্রে তাহাকে তাহার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দলিল নিবন্ধনের অনুমতি প্রদান করা হইয়াছে কিনা সেই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে হইবে।

৩১৪। জেলা রেজিস্ট্রারগণের অস্থায়ী নিয়োগ।- জেলা রেজিস্ট্রারের পদে শিক্ষানবিসগণকে নিয়োগ করা যাইবে না। বদলি বা ছুটির কারণে জেলা রেজিস্ট্রারের পদটি অনধিক ৬ (ছা) সপ্তাহের জন্য শূণ্য হইলে পার্শ্ববর্তী জেলার জেলা রেজিস্ট্রার বা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অস্থায়িভাবে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকিবেন। অনুপস্থিতি ৬ সপ্তাহের অধিক হইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আর্থিক ও প্রশাসনিক স ক্ষমতাসহ চলতি দায়িত্ব পালন করিবেন।

৩১৫। সদর সাব-রেজিস্ট্রার ব্যতীত অপর কাহাকেও রেজিস্ট্রারের পক্ষে নিয়োগ করা হইলে অস্থায়ী নিয়োগের প্রতিবেদন।- ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন সদর সাব-রেজিস্ট্রার স্থায়িভাবে জেলা নিবন্ধন কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণের কারণে প্রধান কর্মস্থলে সদর সাব-রেজিস্ট্রার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতির সময় দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ করা হইলেই কেবল অস্থায়ী নিয়োগের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা প্রয়োজন হইবে।

৩১৬। কর্মকর্তাগণের বদলি।- (১) জেলা রেজিস্ট্রারগণের বদলি জেলা কার্যালয়সমূহ ৩ (তিন) শ্রেণিতে বিভক্ত করা হইয়াছে, যথা (অ) বিভাগীয় জেলাসমূহ এবং ১ (নয়) বা ততোধিক উপ-জেলা সমন্বিত জেলাসমূহঃ (আ) ৫ (পাঁচ) হইতে ৮ (আট) উপ-জেলা সমন্বিত জেলাসমূহ এবং (ই) অপরাপর জেলাসমূহ। জেলা রেজিস্ট্রারগণকে কোন জেলায় অন্যূন ৩ (তিন) বৎসর দায়িত্ব পালন করিতে হইবে, তবে তাহার উক্তরূপ কর্মকাল পূর্ণ হইবার পূর্বেই প্রশাসনিক কারণে বা জনস্বার্থে তাহাকে বদলি করা যাইতে পারে। জেলা রেজিস্ট্রারগণের বদলি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নং- আর-৬/১এম-১৮/২০০১-১৪২ তারিখ: ২৯-০৪-২০০১ খ্রিঃ অনুযায়ী জারিকৃত পরিপত্রে বর্ণিত নীতিমালার আলোকে নিয়ন্ত্রিত হইবে।

(২) সাব-রেজিস্ট্রারগণের বদলি।- মানবিক এবং প্রশাসনিক কারণ ব্যতীত সাব-রেজিস্ট্রারগণ সাধারণত ২ (দুই) বৎসর অন্তর অন্তর এক কার্যালয় হইতে অন্য কার্যালয়ে বদলি হইবেন। দ্রষ্টব্য : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নং- আমঃ/রেজিঃ ৬/নিপ/ পদায়ন-০১/২০১০-১৫৯ তারিখ: ২২-০৩-২০১১ খ্রিঃ অনুযায়ী জারিকৃত পরিপত্র।

(৩) কার্যালয়সমূহের শ্রেণি বিভাগ। নিবন্ধনের জন্য দাখিলকৃত দলিলের সংখ্যা, বাৎসরিক সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ এবং জেলা সদরের সহিত যোগাযোগের ব্যবস্থা ইত্যাদি অনুযায়ী নিবন্ধন কার্যালয়সমূহ ৩ (তিন) টি শ্রেণিভুক্ত করা হইয়াছে, যথা- (ক), (খ) ও (গ) সাধারণত নব নিয়োগকৃত কর্মকর্তাগণকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত কার্যালয়ে পদায়ন করা হইয়া থাকে। সাব-রেজিস্ট্রারগণের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির কার্যালয় যেভাবে প্রযোজ্য হইবে উহা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নং- আর-৬/১এম-১৮/২০০১-১৪১ তারিখ: ২৯-০৪-২০০৯ খ্রিঃ অনুযায়ী জারিকৃত পরিপত্রে বর্ণিত নীতিমালার আলোকে নিয়ন্ত্রিত হইবে।

৩১৭। দায়িত্বভার সংক্রান্ত প্রতিবেদন।- (ক) নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ তাহাদের নিজ নিজ কার্যালয়ের দায়িত্বভার অর্পণ ও গ্রহণ কালে ২৪০৩ নং বাংলাদেশ ফরমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ ও মহা-হিসাব রক্ষক, বাংলাদেশকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করিবেন।

(খ) রেজিস্ট্রারগণের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ফরম নং ২৪০৩ এর অপর পৃষ্ঠায় পরিশিষ্ট ৫ এর ২৩ নং ফরমে একটি প্রত্যায়ন প্রদান করিতে হইবে।

(গ) সাব-রেজিস্ট্রারগণের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ফরম নং ২৪০৩ এর অপর পৃষ্ঠায় পরিশিষ্ট ৫ এর ২৪ নং ফরমে একটি প্রত্যায়নসহ দায়িত্বভার অর্পন বা গ্রহণের প্রতিবেদন, জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রেরণ করিতে হইবে।

(ঘ) শিক্ষানবিসগণ সাব-রেজিস্ট্রার হিসাবে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হইবার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়া কর্মস্থল ত্যাগ করিবার সময়, বা কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিয়া, পরিশিষ্ট ৫ এর ২৫ নং ফরমে জেলা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন-কে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করিবেন।

(ঙ) উপরে বর্ণিত (গ) এবং (ঘ) এর ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রেরিত প্রতিবেদনের অনুলিপির অতিরিক্ত একখানা অনুলিপি সরাসরি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(চ) কর্মকর্তাগণ নৈমিত্তিক ছুটিতে গমনের ক্ষেত্রে, সাময়িকভাবে অন্য কাহাকেও দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণীয় নহে বিধায় দায়িত্বভার অর্পণ বা গ্রহণ প্রতিবেদন প্রেরণের প্রয়োজন নাই।

৩১৮। কর্মস্থল ত্যাগের জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতির বিষয়ে প্রতিবেদন।- যেক্ষেত্রে কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা অনিবার্য কারণবশত তাহার করণিকের নিকট দায়িত্বভার অর্পণ করিয়া কর্মস্থল ত্যাগ করেন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা কর্মস্থল ত্যাগ করিবার জন্য রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি প্রাপ্ত হইয়াছেন কিনা, উহা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রেরিত দায়িত্বভার অর্পন ও গ্রহণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করিতে হইবে।

৩১৯। ছুটির আবেদন দাখিলকরণের পদ্ধতি।- ছুটির আবেদন সাধারণত বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালা, ১ম খণ্ড অনুসারে প্রকৃতপক্ষে ছুটি আবশ্যক হওয়ার ৩(তিন) মাস পূর্বে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে মহা পরিদর্শক, নিবন্ধনের নিকট দাখিল করিতে হইবে। এইরূপ সকল ছুটি সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হইবে।

৩২০। ছুটির আবেদন দাখিলের নির্দেশাবলি।- (১) বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালা, ১ম খণ্ডের বিধি ১৫১ এর অধীন অধিকারস্বরূপ ছুটি দাবি করা যাইবে না। অতএব, ছুটির আবেদনে পর্যাপ্ত কারণ নিহীত থাকিতে হইবে। বিবাহ বা অন্য কোন উৎসবের ক্ষেত্রে, এইরূপ উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখটি উল্লেখ করিতে হইবে। সাধারণত ৩ (তিন) মাস সময় হাতে রাখিয়া আবেদন দাখিল করিতে হয়।

(২) ছুটি বৃদ্ধির আবেদন এইরূপে দাখিল করিতে হইবে, যাহাতে উক্ত ছুটি অবসান হওয়ার অন্তত ১০ (দশ) দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছাইতে পারে।

(৩) প্রয়োজনীয় ছুটির কাল সতর্কতার সহিত গণনা করিতে হইবে, যাহাতে ছুটি বৃদ্ধির কোন কারণ না। ঘটে।

৩২১। ছুটির অনুমোদনের জন্য প্রতীক্ষা।- অত্যন্ত জরুরি ঘটনা ব্যতীত, সাধারণত, মঞ্জুর-সাপেক্ষে ছুটি অনুমোদন করা যাইবে না, তবে, বাংলাদেশ চাকরি বিধি ১ম খণ্ডের অধীন বেতনভুক্ত সাধ রেজিস্ট্রারগণ কর্তৃক আবেদন করা যাইবে এবং আবেদনের উপর আদেশের জন্য প্রতীক্ষা করিতে হইবে।

৩২২। কমিশনে নিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারগণের ছুটি। (বর্তমানে অকার্যকর)।

৩২৩। নৈমিত্তিক ছুটি। (F) –পরিদর্শক, নিবন্ধন কর্তৃক জেলা জেকে বসতে অনধিক ২ (বিশ) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে। জোলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক সাব-রেজিস্ট্রারগণকে বসবে অনধিক ২০ (বিশ) দিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে। রেজিস্ট্রারের এইরূপ দুটির অনুমোদন পরিশিষ্ট ৫ এর ৩ নং ফরমে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমতি ব্যতীত, কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করিতে পারিবেন না।

(খ) রেজিস্ট্রার কর্তৃক তাহার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণকে এবং সাব-রেজিস্টার কর্তৃক অধীনস্থ কর্মচারীগণকে বৎসরে অনধিক ২০ (বিশ) দিনের নৈমিতিক ছুটি কমাইতে পারে। এই ি নৈমিত্তিক ছুটির রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

(গ) কার্যত, নৈমিত্তিক ছুটি ভোগরত সরকারি কর্মচারীকে করবো অনুপস্থিত गा হন এবং তাহার বেতন বিঘ্নিত হয় না। তবে, নৈমিত্তি

(১) ভাতা গণনার তারিখ

(২) কার্যালয় পরিবর্তন

(৩) ছুটি শুরু সমাপ্তিঃ

(8) কর্তব্যে প্রত্যাবর্তন, বা বিধানে অনুমোদিত সময়তানার অতিরি বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদির বিধান এড়াইয়া যাওয়ার কারণ হইতে পারিবে না।

৩২৪। ছুটি শুরু ও সমাপ্তি।- ছুটি মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত অসুস্থতার ঘটনা ব্যতীত, কোন কর্মকর্তা চুি ভোগ করিবেন না, বা বর্ধিত করিবেন না, অধিক, ছুটি মঞ্জুর-সাপেক্ষ দায়িত্বভার অর্পণ করিবার বা ছুটির মেয়াদ অবসান হইবার পূর্বে, পূর্বানুমতি ব্যতীত, তাহার কর্তব্য-কর্মে যোগদান করিবার অবকাশ

৩২৫। ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে প্রত্যাবর্তন।- যেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা দীর্ঘকালীন ছুটিতে থাকেন এবং এইরূপ ছুটি অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে কাজে ফিরিয়া আসেন, সেইরূপ ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার ছুটি অবসান হওয়ার পূর্বে কর্তব্যে প্রত্যাবর্তন করিলে তাহার ছুটির অনিঃশেষিত অংশ বাতিল করিবার জন্য কোন আদেশের প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তনের তারিখ ও সময় জানাইয়া একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করিলেই যথেষ্ট হইবে।

৩২৬। যে সকল ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতার প্রত্যায়নপত্র আবশ্যক।- কোন সরকারি কর্মচারী চিকিৎসাজনিত ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করিলে তাহাকে বাংলাদেশ চাকরী বিধিমালা, ১ সন্নিবেশিত মতে যথাযথ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হইতে শারীরিক উপযুক্ততার একটি প্রত্যায়নপত্র দাখিল করিতে হইবে।

৩২৭। যে সকল ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতার প্রত্যায়নপত্র কর্তৃপক্ষের বিবেচনার উপর নির্ভর করে।- যে সরকারি কর্মচারীকে স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটি মঞ্জুর বা ছুটি বর্ধিত করা হইয়াছে, যদিও সেই ছুটি বা ছুটির বর্ধিতকরণ চিকিৎসা প্রত্যায়নপত্রের ভিত্তিতে মঞ্জুর করা হয় নাই, তথাপি ছুটি হইতে ফিরিয়া আসিয়া সরকারি কর্মচারী যে কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়োজিত হইবেন, সেই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী তাহার কাজে যোগদানের পূর্বে অনুরূপ শারীরিক উপযুক্ততার প্রত্যায়নপত্র দাখিল করা আবশ্যক হইবে।

৩২৮। ভারপ্রাপ্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রারগণের পূর্বস্বত্ত্ব।- কোন শিক্ষানবিস সাব রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন নৈমিত্তিক ছুটি ব্যতীত অন্য কোন প্রকারের ছুটিতে গমন করিলে ভারপ্রাপ্ত নিয়োগের উপর তাহার পূর্বস্বত্ব হারাইয়া ফেলেন, এবং বিপরীত কোন আদেশ না থাকিলে, ছুটি সমাপ্তির গল্প তিনি সর্বশেষ যে জেলার সহিত সংযুক্ত ছিলেন সেই জেলার শিক্ষানবিস সাব-রেজিস্ট্রার পদে প্রত্যাবর্তন করিবেন।

৩২৯। দুর্ঘটনা।- সাব-রেজিস্ট্রারগণের মৃত্যু এবং অবসরগ্রহণ সংঘটিত হওয়ার অব্যবহিত পরই তারিখ ও সময়সহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে।

৩৩০। অবসর।- অবসর ভাতা, ইত্যাদির ক্ষেত্রে বেসামরিক চাকুরিজীবীগণের পেনসন মঞ্জুরি ও পরিশোধ সংক্রান্ত বিধি/পদ্ধতি সহজীকরণ প্রসংগে অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের নং- অম্ল/অৰি/প্ৰবি ১/৩পি-২/২০০৫ (অংশ-১)/৫ তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০০৯ অনুসরণ করিতে হইবে।

অধ্যায় ২৮

বরখাস্তকরণ, অপসারণ ও সাময়িক কর্মচ্যুতকরণ

৩৩১। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এবং তাহার কর্মচারীদের বরখাস্তকরণ, অপসারণ ও সাময়িক কর্মচ্যুতিকরণ।- সরকারি কর্মচারীগণের বরখাস্তকরণ, সাময়িক কর্মচ্যুতকরণ বা বেতন হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুসরণ করিতে হইবে। নিবন্ধন ম্যান

৩৩২। বিলুপ্ত।

৩৩৩। বিলুপ্ত।

অধ্যায় ২৯

ভ্রমণ ভাতা

৩৩৪। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এবং তাহার কর্মচারীগণের ভ্রমণভাতা বিল।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা এবং তাহার কর্মচারীগণের ভ্রমণভাতা বিল দাবির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চাকরি বিধিমালা, ২য় খণ্ডে সন্নিবেশিত বিধানাবলি অনুসরণ করিতে হইবে।

৩৩৫। বিলুপ্ত।

৩৩৬। বিলুপ্ত।

৩৩৭। বিলুপ্ত।

৩৩৮। বিলুপ্ত।

৩৩৯(১)। বিলুপ্ত।

৩৩৯(২)। বিলুপ্ত।

৩৩৯(৩)। বিলুপ্ত।

৩৪০। বিলুপ্ত।

৩৪১। সাক্ষী হিসাবে তলবকৃত কমিশনে নিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারগণের ভ্রমণভাতা। (নিষ্প্রয়োজন)।

৩৪২। কমিশনে নিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারগণ স্থানীয় তদন্তের জন্য ভ্রমণভাতা পাওয়ার অধিকারপ্রাপ্ত নহেন।- (নিষ্প্রয়োজন)।

অধ্যায় ৩০

জামানত বন্ড

৩৪৩। প্রধান সহকারী, রেকর্ড-কিপার ও সহকারীগণের জামানত বড়।- (১) সদর নিবন্ধন কার্যালয়ের প্রধান সহকারীগণকে নির্ধারিত ফরমে (পরিশিষ্ট ৫. ফরম নং ২৬, দ্রব্য) জামানত সম্পাদনের অতিরিক্ত ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকার নগদ জামানত দাখিল করিতে হইবে।

(২) সকল রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের রেকর্ড-কিপারকে তাহাদের কর্তব্য যথাযথরূপে সম্পাদনের জন্য পরিশিষ্ট ৫ এর ২৭ নং ফরমে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকার জামানত রক্ত সম্পাদন করিতে হইবে।

(৩) সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের সহকারীগণ যাহাদিগকে সরকারি তহবিল নিয়ন্ত্রণ করিতে হয় না, তাহাদিগকেও বেঙ্গল বোর্ডস রুলস, ১৯১০ এর ২৩৭ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত ফরম ‘গ’ এ (পরিশিষ্ট ৫, ফরম নং ২৭ দ্রষ্টব্য) স্বচ্ছল জামিনসহ ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকার জামানত বড় দাখিল করিতে হইবে, কিন্তু কোন বিশেষ ক্ষেত্রে সম্পাদিত জামানত বন্ডের অতিরিক্ত নগন জামানত আবশ্যক বলিয়া জেলা রেজিস্ট্রার বিবেচনা করিলে সেইক্ষেত্রে আদেশের জন্য বিষয়টি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে অবহিত করিতে হইবে।

সচ্ছল হইলে, সাধারণত, একজন জামিনদারই যথেষ্ট।

৩৪৪। পিয়নদের বন্ড।- রেকর্ডরুমের দপ্তরি এবং সকল নিবন্ধন কার্যালয়ের পিয়ন, যাহাদিগকে ট্রেজারি, সাব-ট্রেজারি, পোস্ট অফিস বা, ক্ষেত্রমত ব্যাংকে টাকা বহন করিবার দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে, তাহাদিগকে পরিশিষ্ট ৫ এর নির্ধারিত ফরম নং ২৮ এ ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার জামানত বন্ড সম্পাদন করিতে হইবে।

৩৪৫। বক্তসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ।-এই সকল বড় নিবন্ধন করিতে হইবে এবং নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা রাখিতে হইবে। একটি জেলার সকল রেকর্ডরুমের দপ্তরি এবং সংশ্লিষ্ট পিয়নদের নিকট হইতে বস্তুসমূহ গৃহীত হওয়ার সংগে সংগে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে।

৩৪৬। জামানত বক্তসমূহ পরীক্ষাকরণ।- (১) জেলার সকল করণিক এবং অধস্তন কর্মচারীগণের জামানত বক্তসমূহ পরিশিষ্ট ৫ এর ১৫ নং ফরমে একটি রেজিস্টার বহিতে জমা করিতে হইবে, এবং প্রত্যেক অর্থ বৎসর শেষে এইগুলিকে পরীক্ষা করিতে হইবে, এবং যদি রেজিস্ট্রার বিবেচনা করেন যে, নূতন বন্ড সম্পাদন করিতে হইবে, তাহা হইলে, তিনি বিষয়টি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে অবহিত করিবেন।

(২) কোন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তার একই কার্যালয়ের অন্যজনের জামিন হওয়া নিষিদ্ধ।

(৩) জামানত হিসাবে গচ্ছিত প্রমিসরি নোট এবং সঞ্চয়ী ব্যাংকের আমানত, কার্যালয় পরিত্যাগ করিবার তারিখের পর হইতে ৬ (ছয়) মাস মেয়াদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ফেরত দেওয়া যাইবে না। কিন্তু জামানত বক্তসমূহ স্থায়িভাবে রাখিতে হইবে, বা এইগুলি রাখিবার প্রয়োজনীয়তা নাই বলিয়া নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে হইবে (বোর্ডের বিবিধ বিধিমালা, ১৯১৮ এর বিধি ১৩১ দুষ্টব্য)।

৩৪৭। জামিনদারের অবস্থার পরিবর্তন অবহিত করিতে হইবে।- নিবন্ধন বিভাগের যে কর্মকর্তার পক্ষে জামানত বন্ড সরবরাহ করা হইয়াছে, তাহাদের জামিনের অবস্থার কোনরূপ পরিবর্তন যাহা তাহাদের জামানতকে অকেজো বা অপর্যাপ্ত করিতে পারে বলিয়া অনুমিত হয়, তাহা কালক্ষেপন না করিয়া কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ তাহাদের অবশ্য কর্তব্য।

৩৪৮ ৷ নন-গেজেটেড কর্মকর্তার নিবন্ধিত জামানত বন্ড নূতনভাবে নিবন্ধন পদ্ধতি।- কোন নন, গেজেটেড কর্মকর্তার নিবন্ধিত জামানত বড়ের উপর যেক্ষেত্রে নাবিকৃত অতিরিক্ত জামানতের লিখিত বিবরণ অনুমোদন করা হয় এবং দলিলটি নূতনভাবে নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়, সেইক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার কার্যালয়ে রক্ষিত মূল দলিলের নকলে একটি টাকা লিপিবদ্ধ করিবেন যে, ইহা এইরূপে পরিবর্তন করা হইয়াছে। নিবন্ধন কার্যালয়ে সংরক্ষণীয় সংযোজনটিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে যে, ইহা মূল দলিলে লিপিবন্ধ একটি সংযোজন, মূল দলিলের নম্বর ও সন উহাতে উল্লেখ করিতে হইবে।

অধ্যায় ৩১

বিবিধ

৩৪৯। রেজিস্টার বহিসমূহ প্রেরণের পদ্ধতি।- রেজিস্টার বহি এবং বৃহদাকার রেকর্ডপত্রের নিরাপত্তা সাধনপূর্বক সর্বাধিক সুলভ পন্থায় রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রেরণ করিতে হইবে, অর্ধ‍ কার্যালয়সমূহের সমাপ্তকৃত রেজিস্টার বহিসমূহ সরকারি খরচে জেলা কার্যালয়ে স্থানান্তরিত হইবে।

৩৫০। বিলুপ্ত।

৩৫১। সিলমোহরযুক্ত ঘামের জন্য সিন্দুক।- সিলমোহরযুক্ত খাম জমাকরণের নির্মিত সদর নিবন্ধনকার্যালয়ের দেয়ালে সিন্দুক তৈরি করিতে হইবে। ৩৫২। দোকর-চাবি।- নিবন্ধন কার্যালয়ের সকল লোহার সিন্ধুকের দোকর-চাবি ট্রেজারি-ভিন্ন অন্যত্র ব্যবহৃত তালা চাবি এবং দোকর চাবি সংরক্ষণের বিধান অনুসারে রক্ষিত হইবে, যাহা নিয়ে পুনর

উদ্ধৃত হইল:

“১। প্রতিটি তালার উপর ধাতু বা অন্য কোন লেবেল দ্বারা একটি নম্বর ছাপাঙ্কিত বা সংযু হইবে, এবং একই নম্বর ইঁহার অধীন প্রতিটি চাবির উপর ছাপাঙ্কিত বা সংযুক্ত হইবে, এবং একই জেলার দুইটি তালা একই নম্বরযুক্ত হইবে না।

২। (ক) জেলার প্রধান কর্মস্থলে এবং জেলার দূরবর্তী কার্যালয়সমূহে ব্যবহৃত তালার দোকর চাবিসমূহ এবং চাবিসহ সকল অতিরিক্ত তালা নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য ট্রেজারি কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

(খ) নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য তালা এবং চাবি প্রেরণকালে তালা এবং চাবিসমূহের নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি পত্র ট্রেজারি কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(গ) ট্রেজারি কর্মকর্তা তাহার রেজিস্টারে প্রয়োজনীয় ভূক্তি প্রদানের পর প্রাপ্তিস্বীকারপত্র সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
৩। ট্রেজারি কর্মকর্তা নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য গৃহীত সকল তালা এবং চাবির জন্য নিম্নরূপ
একটি হস্তলিখিত রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিবেনঃ

৪। ট্রেজারি কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত সকল তালা এবং চাবি উক্ত ট্রেজারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ বাক্সে উক্ত ট্রেজারিতে রক্ষিত হইবে।
৫। (ক) ট্রেজারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রক্ষিত সকল তালা এবং উহাদের চাবিসমূহ এবং সকল দোকর চাবিসমূহ প্রতি তিনমাসে অন্তত একবার, এবং ট্রেজারি কর্মকর্তার দায়িত্ব স্থানান্তরকালে তাহার দ্বারা পরীক্ষিত হইবে, এবং এইগুলি সঠিক পাওয়া গিয়াছে মর্মে একটি প্রত্যায়নপত্র স্বাক্ষরিত হইবে।
(খ) কালেক্টর তাহার বাৎসরিক পরিদর্শনকালে ভুক্তিসমূহ পরীক্ষা করিবেন এবং প্রতিপাদন করিবেন।

৬। (ক) যদি ব্যবহার হইতেছে এইরূপ কোন চাবি হারাইয়া যায়, তাহা হইলে, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অন্যথা নির্দেশিত না হইলে, ট্রেজারি কর্মকর্তার নিকট হইতে প্রাপ্ত দোকর চাবি দ্বারা তালাটি খোলা হইবে, এবং ইহার পর তালা এবং চাবিটি ব্যবহারকরণ হইতে প্রত্যাহৃত হইবে।
(খ) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত চাহিদাপত্রের ক্ষেত্রে, ট্রেজারি কর্মকর্তা কর্তৃক একটি দোকর চাবি প্রদান করা হইবে।
(গ) প্রতিষ্ঠান প্রধানের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধান ব্যতীত, কোন স্থানীয় মেরামতকারীকে তালা মেরামতের অনুমতি দেওয়া যাইবে না। যেক্ষেত্রে এইরূপ স্থানীয় তত্ত্বাবধান সম্ভব নহে, বা যেক্ষেত্রে মেরামতকাজের নিরাপত্তার বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রহিয়াছে, সেইক্ষেত্রে একটি নতুন তালা-চাবি ব্যবহার করিতে হইবে। কোন অবস্থাতেই স্থানীয়ভাবে নতুন চাবি তৈয়ার করা যাইবে না।

বিঃদ্রঃ- এই বিধানে যে সকল জেলায় ট্রেজারি নাই সেখানে ট্রেজারি”র পরিবর্তে “নেচার শব্দটি এবং “ট্রেজারি কর্মকর্তা”র পরিবর্তে “নেজারত ডেপুটি কালেক্টর” শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে।

(বেঙ্গল গভর্নমেন্টের বাণিজ্য বিভাগ এর পত্র না ৩৮৩৯ – ৩৯২০ কম তারিখ: ২৩শে জুলা ১৯২৭ দ্রষ্টব্য)।

৩৫৩। ভবন এবং ভূমির রেজিস্টার বহি।- প্রত্যেক সদর কার্যালয়ে পরিশিষ্ট ৫ এর ১২ নং ফরমে একটি রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে যাহার মধ্যে নিবন্ধন বিভাগ কর্তৃক ক্রয়কৃত বা অর্জিত ভবনাদি এবং ভূমি যাহা গণপূর্ত বিভাগীয় কোন বহিতে রেকর্ডভুক্ত হয় নাই সেইগুলি লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

৩৫৪। ব্র্যাকের আদর্শ পরিমাপ।- নিবন্ধন রেকর্ডরুমের জন্য ব্র্যাকের ফরমায়েশ পত্র দাখিলকরণ এবং প্রস্তুতকরণের জন্য নিম্নলিখিত পরিমাপসমূহ অনুসরণ করিতে হইবে:

এই বিভাগের প্রধান রেজিস্টার বহি ১৮ × ১২” হওয়ায় (রেজিস্টার বহি বাহির করিবার জন্য ত জায়গা রাখিয়া) দুইটি তাকের মধ্যে ২১ ইঞ্চির একটি সহজ পরিসর থাকিবে, এবং ব্যাকটি যদি রেজিস্টার বহির দুই সারির জন্য অভিপ্রেত হয়, তাহা হইলে, (দুই সারির মধ্যে ৬ উন্মুক্ত রাখিয়া ) ডাকটির গ্রন্থ হইবে ৩০%। ভিত্তিমূল হইতে সর্বনিম্ন তাকটির উচ্চতা হইবে ১ ফুট। অবশ্য, র‍্যাকের মোট উচ্চতা এবং দৈর্ঘ্য রেকর্ডরুমের আকার অনুসারে কম বেশি হইবে।

৩৫৫। উন্নয়ন ও পূর্ত কাজের পদ্ধতি।- বিভাগীয় ভবনের প্রকল্প প্রস্তুতকরণ, প্রশাসনিক অনুমোদন, ভূমি হুকুমদখল, স্থান নির্বাচন, স্থান নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির গঠন ও অনুমোদন ইত্যাদি বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত বিদ্যমান বিধি-বিধান অবলম্বন করিতে হইবে।

৩৫৬। কৃষি ইজারার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্পশুঙ্ক।- নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণকে ইহা মনে রাখিতে হইবে যে, কোন ইজারাকে স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ (১৮৯৯ সনের ২নং আইন) এর অব্যাহতি দফা ৩৫ এর (ক) অনুচ্ছেদের আওতায় আনয়ন করিতে হইলে ইহাকে অবশ্যই কৃষকের ক্ষেত্রে চাষাবাদের জন্য (খাদ্য এবং পানীয় উৎপাদনের জন্য বৃক্ষের ইজারাসহ) সম্পাদিত হইতে হইবে এবং সেক্ষেত্রে কোন টাকা প্রদান বা জরিমানা বা অতিরিক্ত কোন অর্থ সরবরাহ করা হইবে না। মেয়াদ বা খাজনা যাহাই হউ এইগুলি হইল প্রাথমিক শর্ত, যাহা সকল কৃষি ইজারার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এই সকল শর্ত পূরণ করা হইলে দেখিতে হইবে দলিলে কোন মেয়াদ উল্লেখ করা হইয়াছে কিনা। যদি কোন মেয়াদ উল্লিখিত হয়। এবং উক্ত মেয়াদ এক বৎসরের অধিক না হয়, তাহা হইলে, খাজনা যাহাই হউক না কেন, ইজারাটিকে বেহাইপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি কোন সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ না থাকে, অর্থাৎ যদি ইজারাটি কোন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয় বা যদি ইজারাটি চিরস্থায়িভাবে মঞ্জুর করা হয়, বা উল্লিখিত মেয়াদ এক বৎসরের অধিক হয় তথাপিও ইজারাটিকে রেহাইপ্রাপ্ত বলিয়া গণ্য করিতে হইবে, যদি বাৎসরিক সংরক্ষিত গড় খাজনা ১০০ (একশত) টাকার অধিক না হয়। উদাহরণ:- কোন অর্থ পরিশোধ কিংবা জরিমানা বা কিস্তি বাবদ অর্থ প্রদান ব্যতীত কৃষকের ক্ষেত্রে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত ইজারা :

(ক) মেয়াদি ইজারা। বাৎসরিক ১০০০ (এক হাজার) টাকা খাজনায় (খাজনা যাহাই হউক না কেন) ৬ মাসের জন্য (এক বৎসরের অধিক নহে) । ইহা স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে রেহাইপ্রাপ্ত।

(খ) মেয়াদি ইজারা- বাৎসরিক ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা (১০০ টাকার অধিক নহে) খাজনায় দুই বৎসরের জন্য এক বৎসরের অধিক)। ইহা স্ট্যাম্প তঙ্ক হইতে রেহাইপ্রাপ্ত।
(গ) মেয়াদি ইজারা – বাৎসরিক ১০১ (একশত এক) টাকা (১০০০ টাকার অধিক নহে) খাজনায় দুই বৎসরের জন্য (এক বৎসরের অধিক)। ইহা স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে রেহাইপ্রাপ্ত নহে।

(ঘ) অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইজারা। বাসরিক ১৯ (নিরানব্বই) টাকা (১০০ টাকার অধিক নহে) খাজনায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য (অর্থাৎ দলিলে কোন সময়ের উল্লেখ নাই। ইহা স্ট্যাম্প তথ্য হইতে রেহাইপ্রাপ্ত।
(ঙ) অনির্দিষ্ট কালের জন্য ইজারা বাৎসরিক ১০১ (এক শত এক) টাকা (১০০ টাকার অধিক) খাজনায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য (অর্থাৎ দলিলে কোন সময়ের উল্লেখ নাই)। ইহা স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে রেহাইপ্রাপ্ত নহে।

(চ) চিরস্থায়ী ইজারা।- বাৎসরিক ৯৯ (নিরানব্বই) টাকা (অনধিক ১০০/- টাকা) যাজনায় চিরস্থায়ী মেয়াদে। ইহা স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে রেহাইপ্রাপ্ত।

(ছ) চিরস্থায়ী ইজারা- বাৎসরিক ১০১ (এক শত এক) টাকা টাকার অধিক) খাজনায় চিরস্থায়ী মেয়াদে। ইহা স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে রেহাইপ্ৰাপ্ত নহে।

৩৫৭। কতিপয় শ্রেণির দলিলে স্ট্যাম্প শুল্ক।-স্ট্যাম্প শুল্ক সম্বন্ধে নিম্নলিখিত নির্দেশাবলি স্মরণ রাখিতে হইবে

(১) একটি বিক্রয় কবলা দলিল সম্পাদন ও নিবন্ধনের নিমিত্ত দাখিলকরণ স্ট্যাম্প আইনের তফসিল ১ এর দফা ৪৮(খ) মোতাবেক একটি লেনদেন।

(২) স্ট্যাম্প আইনের ১ নং তফসিলের দফা ৪৮ এ বর্ণিত একটি একক লেনদেন’ অভিব্যক্তিটি, হয় একটি একক কার্যে, নতুবা পরস্পর এইরূপ সম্পর্কিত কার্যাবলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাহা বিচার সংক্রান্ত একটি লেনদেন গঠন করে, যেমন কোন বন্ধক বা কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তির বিক্রয় সুসম্পন্ন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাবলি। এই মতানুসারে যেক্ষেত্রে একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কোন ব্যক্তিকে একটি ডিক্রি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্য করিবার এবং সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করিবার ক্ষমতা প্রদান করে, সেইক্ষেত্রে ইহাকে একটি বিশেষ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হিসাবে গণ্য করিতে হইবে। করণীয় কার্যাবলি বিবিধ প্রকারের এবং অসংখ্য ধরনের হওয়া সত্ত্বেও ইহাদিগকে একটি একক লেনদেন গঠনকারী হিসাবে গণ্য করিতে হইবে।

(৩) পূর্বে নিবন্ধিত কবুলিয়ত দলিলে লিপিবদ্ধ। চৌহদ্দি সংশোধন করিবার জন্য সম্পূরক দলিলকে চুক্তিপত্র দলিল হিসাবে গণ্য করিতে হইবে এবং স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল ১ এর দফা ৫(গ) অনুসারে স্ট্যাম্প শুল্ক আনায়যোগ্য হইবে।

(৪) একটি মূল ইজারা দলিলের শর্তাবলি সংশোধনকারী কোন দলিল যাহা প্রাসঙ্গিকতা পরিবর্তনকারী নহে, উহা চুক্তিপত্র দলিল হিসাবে স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর ফসল ১ এর দফা ৫(গ) অনুসারে স্ট্যাম্প শুল্ক আদায়যোগ্য হইবে।

(৫) দৈনিক ২০০ (দুইশত) টাকা দোকানছাড়া পরিশোধের চুক্তি একটি মাসিক প্রজাস্বত্ব সৃষ্টি করে এবং স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর ১ এর (ক) () এর অধীন অর্থাৎ এক বৎসরের কম সময়ের জন্য অভিপ্রেত একটি ইজারা দলিলের আওতায় পড়ে।

(৬) গবাদি পশুর খোঁয়াড় সংক্রান্ত কবুলিয়তসমূহ স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল ১ এর দফা ৩৫(ক)(১) এর অধীন ইজারা হিসাবে স্ট্যাম্পযুক্ত করিতে হইবে।

(৭) স্ট্যাম্প আইনের ধারা ১৬ এর অধীন স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনার (denotation of Stamp duty) ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনপত্রসমূহ কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ এর তফসিল ২ এর দফা (খ) এর অধীন ধার্যকৃত কোর্টফিযুক্ত থাকিবে।

৩৫৮। স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কতিপয় আবেদনপত্র।- (ক) ধারা ২৫, ৩১, ৩০, ৩8 ৩৮ এর অধীন আবেদনসমূহ স্ট্যাম্প শুল্ক হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।

(খ) কোন মুসলমান কর্তৃক সম্পাদিত কাবিননামায় অন্তর্ভুক্ত অলঙ্কার দান করিবার জন্য কোন স্ট্যাম্প শুল্ক প্রদেয় নহে।

(গ) কাবিননামায় বর কর্তৃক ভরণ-পোষণের জন্য বার্ষিক খোরপোষ প্রদানের অঙ্গীকার, মোহরানার অংশবিশেষ বা যৌতুক অতএব, এইরূপ কাবিননামায় কোন স্ট্যাম্প তথ্য প্রদেয় নহে।

(ঘ) যদি কাবিননামায় যৌতুকের পরিবর্তে বা যৌতুক হিসাবে কনের বরাবরে ভূসম্পত্তি হস্তান্তরের কোন সফা থাকে, তাহা হইলে উহাতে কোন স্ট্যাম্প তথ্য প্রদেয় নহে, কারণ উহা স্বতন্ত্র সম্পর্কিত কোন দলিল হিসাবে গণ্য হইবে না।

৩৫৯। (বর্তমানে কার্যকর নহে)।

৩৬০। সাব-রেজিস্ট্রারের চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক ব্যয় বিলের টাকা প্রেরণের পদ্ধতি।- (বর্তমানে কার্যকর নহে )।

৩৬১। জেলা রেজিস্ট্রারগণের অনুমতি ব্যতীত সাব-রেজিস্ট্রারগণ কর্মস্থল ত্যাগ করিবেন না। -নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ যে কর্মস্থলে নিয়োগপ্রাপ্ত হইবেন সাধারণভাবে তিনি সেই কর্মস্থলের সদরে বসবাস করিতে বাধ্য এবং জেলা রেজিস্ট্রারের বিশেষ অনুমতি ব্যতীত তিনি উহার বাহিরে অবস্থান করিতে পারেন না। এইরূপ প্রতিক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার আবেদনের সমর্থনে, বিশেষ অবস্থার বর্ণনা করিয়া, অনুমতির জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট লিখিত আবেদন করিবেন, এবং যদি তাহার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার বাহিরে থাকিবার অনুমতি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে বিষয়টি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনকে অবহিত করিতে হইবে এবং নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা তাহার আবেদনের উপর প্রদত্ত আদেশের একটি অনুলিপি তাহার নিকট রাখিবেন, যাহাতে প্রয়োজন হইলে পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাকে তিনি উহা প্রদর্শন করিতে পারেন। এইরূপ অনুমতি কেবলমাত্র একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া যাইবে, তবে সময় নিঃশেষ হওয়ার পর প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাইতে পারে। উক্ত মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের অবগতির জন্য জানাইতে হইবে

৩৬২। কর্মস্থল হইতে সাব-রেজিস্ট্রারগণের অনুপস্থিতি।- সরকারি কর্মকর্তাগণ সরকারি ইশতেহারে প্রকাশিত ছুটির দিনে কর্মস্থল ত্যাগ করিবার ইচ্ছা করিলে, তাহাদিগকে জেলা রেজিস্ট্রারের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

৩৬৩। প্রতিষ্ঠান অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতে হইবে।- কার্যালয় ভবন এবং আসবাব-পত্র পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখিবার দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারগণের। কোন পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোন কার্যালয় অপরিষ্কার বা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় দেখিতে পাইলে তাহার পরিদর্শন নোটে ইহা বিশেষভাবে উল্লেখ করিবেন। কার্যালয় ফাতু দেওয়া এবং পরিষ্কার রাখিবার ব্যয় স্থায়ী অগ্রিম মঞ্জুরি হইতে নির্বাহ করিতে হইবে এবং চুক্তিবদ্ধ আনুষঙ্গিক মঞ্জুরির অধীন প্রতিষ্ঠান ব্যয় ও বিবিধ খাতে বহন করা হইবে।

৩৬৪। আইন সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কৌসুলির মতামত।- যেহেতু সরকারি কৌসুলি কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আইন সংক্রান্ত কোন বিষয়ে উহার প্রতিনিধিত্বকারী প্রধানকে, কোন প্রকার ফিস ব্যতীত পরামর্শ প্রদান করিতে বাধ্য, সেইহেতু ইহা যুক্তিযুক্ত যে, নিবন্ধন আইন বা পদ্ধতির উপর যেকোন প্রশ্নের বিষয়ে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধনের নির্দেশ প্রার্থনার পূর্বে জেলা রেজিস্ট্রার সরকারি কৌসুলির সহিত পরামর্শ করিবেন এবং এই বিষয়ে তাহার মতামত সংযুক্ত করিবেন।

৩৬৫। কোন কর্মকর্তা প্রয়োজনে যে সকল অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত হইতে পারেন।- (ক) মহা পরিদর্শক, নিবন্ধন, বাংলাদেশ এর নিয়ন্ত্রণ বা আদেশ সাপেক্ষে জেলা রেজিস্ট্রারের অনুমোদনক্রমে সাব-রেজিস্ট্রারগণের চাকরি প্রয়োজনে নিম্নলিখিত দায়িত্বে নিয়োজিত করা যাইতে পারে, যথা:

(১) প্রয়োজনে, ফৌজদারি মোকদ্দমার স্থানীয় তদন্ত করা;

(২) স্থানীয় খোঁয়াড় এবং খেয়াঘাট পরিদর্শন করাঃ

(৩) নূতন খোঁয়াড় প্রতিষ্ঠার উপর প্রতিবেদন প্রদান;

(৪) জনসাধারণ, গবাদিপশু, শস্য, পানি সরবরাহ, ব্যবসা, বাণিজ্য, উৎপাদন, রোগের বিস্তার, মহামারি এবং অন্যান্য বিষয় যাহা কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হওয়া দরকার বা যেসকল বিষয়ে তথ্য তলব করা যাইতে পারে, সেই সকল বিষয়ে স্থানীয় তথ্য সরবরাহ করা: নিবন্ধ

(৫) ঋণের আবেদনের উপর, এবং ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত ঋণ যথাযথভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে কিনা, সেই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ;

(৬) উইল প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে মূল্যের প্রতিবেদন প্রেরণঃ (৭) দেউলিয়া হিসাবে মোকদ্দমা করিবার আবেদনের উপর তদন্ত অনুষ্ঠানঃ

(৮) স্ট্যাম্প তঙ্ক এবং জরিমানা পুনরুদ্ধারে সহায়তা প্রদান এবং স্ট্যাম্প বিক্রেতার হিসাব পরীক্ষা করাঃ

(৯) যেসকল স্থানে স্ট্যাম্প বিক্রেতা পাওয়া যায় না, সেসকল স্থানে বিশেষভাবে অবিচারিক এবং রাজস্ব স্ট্যাম্প বিক্রয়ের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়া:

(১০) জনহিতকর কাজ পরীক্ষা করা;

(১১) সরকারি আদমশুমারির কার্যে সহায়তা করা:

(১২) ত্রাণ কার্য পরিচালনা করা;

(১৩) নির্বাচন কার্যের দায়িত্ব গ্রহণ:

(১৪) সরকারি গুদামে খাদ্য মওজুদের বাৎসরিক প্রতিপাদনের দায়িত্ব গ্রহণ (১৫) সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের সম্মতিক্রমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সরকারি বৈশিষ্ট্যের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা
(১৬) কৃষি সমিতি এবং সমবায় ঋণদান সমিতি গঠন করা;

(১৭) পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করা:

(১৮) সাম্মানিক ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করা

(১৯) সার্টিফিকেট অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করা।

(ঘ) সাব-রেজিস্ট্রারগণকে এমন কোন কাজে নিয়োজিত করা যাইবে না, যাহার ফলে তাহাদিগকে তাহাদের কার্যালয় হইতে দূরবর্তী স্থানে যাইতে হয়, বা তাহাদের নিয়মিত কার্যকালীন সময় ব্যাহত হয়।

৩৬৬-৩৭১।- বিলুপ্ত।

৩৭২। কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের অনুক্রম তালিকা।- প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকরিকাল পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করিবার জন্য সকল নিবন্ধন কার্যালয়ে পরিশিষ্ট ৫ এর ২৯ নং ফরমে একটি রেজিস্টার বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে।

৩৭৩। ডিক্রিদার ব্যাংক কর্তৃক বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ৫২ক ধারার প্রযোজ্যতা।- যেক্ষেত্রে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩ (৫) উপ-ধারা অনুসারে ডিক্রিদারকে ডিক্রিকৃত দাবি পরিপূর্ণভাবে পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত সম্পত্তির দখল ও ভোগের অধিকারসহ বিক্রয়ের অধিকার প্রদান করা হয় এবং আদালত তদ্বিষয়ে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে, সেইক্ষেত্রে ব্যাংক উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিতে পারে, তবে উক্ত ডিক্রির অধীন ডিক্রিকৃত সম্পত্তি বিক্রয়ের অধিকার ব্যাংককে প্রদান করা হইলেও নিরংকুশ মালিকানা প্রদান করা হয় না। বর্ণিত আইনের ৩৩ (৭) উপ-ধারায় সম্পত্তির মালিকানার স্বত্ব ব্যাংক কর্তৃক অর্জনের বিধান নিহিত রহিয়াছে এবং ৩৩(৫) উপ-ধারার অধীন ব্যাংক কর্তৃক ডিক্রিকৃত সম্পত্তি বিক্রয়ের অধিকার বিশেষ আইন কর্তৃক প্রদত্ত একটি বিশেষ অধিকার যাহা মালিকানার সহিত সম্পর্কিত নহে। এমতাবস্থায়, অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩(৫) উপ-ধারা অনুসারে ডিক্রিদার ব্যাংক কর্তৃক ডিক্রিকৃত সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিবন্ধন আইনের ৫২৯ ধারা প্রযোজ্য হইবে না। উল্লেখ্য আলোচ্য ক্ষেত্রে বন্ধকী সম্পত্তির যথাযথ কাগজ-পত্র ডিক্রির দেনাদারের নামে রহিয়াছে কিনা উহা যাচাই করিতে হইবে।

দ্রষ্টব্যঃ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নং- আর-৬/১ এম ১৯/২০০৭/১২৩ তারিখ: ১০-০৪ ২০০৭ খ্রিঃ এর অনুগমনে নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিবিধ/৪৪৭৪ (৬১) তারিখ ১৭-08-200খ্রিঃ]

৩৭৪। আদালতের নির্দেশে রেকর্ড সরবরাহের পদ্ধতি।- নকলের জন্য অপেক্ষমান দলিল কাহারও নিকট হস্তান্তর করা অবৈধ। বিজ্ঞ আদালত বা পুলিশ কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, নিবন্ধন কার্যালয়ের কোন দলিল বা নমি জব্দ করিতে পারেন, কিন্তু সেইক্ষেত্রে কথিত জব্দকৃত দলিল বা রেকর্ড অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের হেফাজতে থাকিবে। যদি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আদালতে বা অন্য কোন বিশেষজ্ঞের নিকট কোন দলিল বা রেকর্ড উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়, তাহা হইলে সাব রেজিস্ট্রার বা তাহার নিয়োজিত কর্মচারি উহা সিলগালাকৃত খামে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য যতবার প্রয়োজন হইবে ততবার উপস্থাপন করিবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রার নিবন্ধন বিধিমালার ১১০ নং বিধিতে নিহিত নির্দেশনা অনুসরণ করিবেন। দ্রষ্টব্যঃ নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- ৪৩৪১ তারিখ ১০-০৪-২০০০খ্রিঃ]

৩৭৫। মূল্য সংযোজন কর চালানে প্রদান সংক্রান্ত তথ্যাদি লিপিবদ্ধকরণ।- বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্লট, ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট বিক্রয় বা হস্তান্তরের দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা মূল্য সংযোজন কর বাবন প্রদেয় সরকারি রাজস্ব মূল চালানে সন্দেহাতীতভাবে যাহাতে আদায় হয় উহা নিশ্চিত করিবেন। অন্য দলিলে এইরূপ চালান পুনর্বার ব্যবহার রোধকল্পে দলিল দাখিলের সময় মূল্য সংযোজন করের চালানে বিক্রেতার নাম ও পরিচিতি, সম্পত্তির তফসিল, যথা: মৌজা, খতিয়ান, দাগ নং, হোল্ডিং নম্বর বা ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে। | দ্রষ্টব্যঃ নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিবিধ/১৭৭৬৪ (৬১) তারিখ: ০৬-১১-২০০৬ খ্রিঃ]

৩৭৬। ব্যাংক ঋণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তির অতিরিক্ত বন্ধক গ্রহণ/প্রদান প্রসঙ্গে।- ব্যাংক ঋণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তির বন্ধকী দলিল স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর তফসিল-১ এর দফা ৪০ (২) অনুযায়ী স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধক্রমে নিবন্ধিত হইয়া থাকে এবং উক্ত দফার সহিত একই তফসিলের ৩২ নং দফার কোন সংযোগ না থাকায় অতিরিক্ত/পুনঃ বন্ধকী দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করা হয় না। মূল বন্ধকী দলিলে দফা ৪০(১) অনুযায়ী স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ করা হইয়া থাকিলেই কেবল অতিরিক্ত/পুনঃ বন্ধকী দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দফা ৩২ অনুযায়ী স্ট্যাম্প তন্ত পরিশোধযোগ্য।

[ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিবিধ/ ৪০৫৫(৬১) তারিখ: ০৮-০৪-২০০২ খ্রিঃ]

৩৭৭। আদালত হইতে প্রাপ্ত নোটিস বা সমনের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি।- লক্ষ্য করা যায় যে, রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারগণ সরকারি দায়িত্ব পালনকালে সাক্ষী, বিবাদী বা পক্ষ হিসাবে মামলা মোকদ্দমা বা রীট পিটিশনের নোটিস প্রাপ্ত হইয়াও যথাসময়ে জবাব প্রদান বা সংশ্লিষ্ট মামলার কোন খোঁজ-খবর রাখিতে উৎসাহ বোধ করেন না। ফলে মামলা বা রীট পিটিশন নিষ্পত্তিতে সময়ক্ষেপনসহ নানাবিধ প্রশাসনিক জটিলতার সৃষ্টি হইয়া থাকে। এই অবস্থা নিরসন কল্পে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে আদালতের নোটিশ প্রাপ্তির সাথে সাথে বিষয়টি নিষ্পত্তিকল্পে ক্ষেত্রমতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জি.পি/ পি.পি/ সলিসিটর উইং বা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শাখায় যোগাযোগ করিতে হইবে এবং প্রতিটি যোগাযোগের অনুলিপি নিবন্ধন পরিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিতে হইবে। উক্তরূপ নোটিস বা সমনের বিষয়ে রেকর্ড সংরক্ষণের নিমিত্ত এতদুদ্দেশ্যে একটি রেজিস্টার সংরক্ষণপূর্বক উহাতে আদালত হইতে প্রাপ্ত নোটিশসমূহের মামলা নম্বর, তারিখ, বাদী-বিবাদীর নাম, বিষয়বস্তু এবং এই বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

| দ্রষ্টব্য: নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং- নিপ/বিবিধ/ ৪৫৫০ (৫৬৯) তারিখ: ১৯-০৫-২০১৪খ্রিঃ]

৩৭৮। ভূমি হুকুমদখল কার্যালয়ের কর্মচারীগণ কর্তৃক বিক্রয় পরিসংখ্যান সংগ্রহ।- স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (১৯৮২ সনের ২ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ৮ এর অধীন হুকুম দখলকৃত সম্পত্তির বাজার মূল্য, অনুরূপ বর্ণনা সম্বলিত গুরুত্ববাহী এবং উক্ত আইনের ৩ ধারার অধীন নোটিস জারির তারিখ হইতে পূর্ববর্তী ১২ মাসের মধ্যে অনুরূপ সুবিধা সম্বলিত পার্শ্ববর্তী এলাকার গড় মূল্যের ভিত্তিতে, নির্ধারণ করিতে হইবে। গড় বাজার মূল্যে পৌঁছিবার জন্য ডেপুটি কমিশনারের কর্মচারীগণ সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের বা জেলা সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হইতে বিক্রয় পরিসংখ্যান সংগ্রহ করিবেন। ইহা লক্ষ্য করা যায় যে, ১২ মাস সময়কাল সংশ্লিষ্ট সমুদয় বিক্রয়-পরিসংখ্যান প্রায়শই পাওয়া যায় না, উল্লিখিত সময়ের কিছু সাধাক বিক্রয় পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয় এবং কিছু সংখ্যক বাদ দেওয়া হয়, ফলে অবোধগম্য পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নির্মিত বাজার মূল্য অশুদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। উক্তরূপ পরিস্থিতির যাহাতে উদ্ভব না ঘটে এবং বিধি মোতাবেক যথাযথভাবে বাজার মূল্য নির্ণয় করা হয় উহার নিমিত্ত সাব-রেজিস্ট্রারের বা জেলা সদর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হইতে সংগৃহীত বিক্রয় পরিসংখ্যান বিশন হইতে হইবে।

এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে যে, এখন হইতে ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের সংগ্রহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যাহারা সাব-রেজিস্ট্রারের বা জেলা সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় হইতে বিক্রয় পরিসংখ্যান সংগ্রহ করিবেন তাহারা সংগৃহীত বিত্রনা পরিসংখ্যান বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন।

“এই মর্মে প্রত্যায়ন প্রদান করা যাইতেছে যে, আমি/আমরা সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (১৯৮২ সনের ২ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ৩ এর অধীন নোটিস জারির তারিখ হইতে পূর্ববর্তী সমুদয় ১২ মাস সময়কালের মধ্যে অনুরূপ বর্ণনা সম্বলিত গুরুত্ববাহী এবং অনুরূপ সুবিধা সম্বলিত সংলগ্ন এলাকার বিএনা পরিসংখ্যান সাব-রেজিস্ট্রার/ জেলা রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় হইতে সংগ্রহ করিয়াছি এবং আরও প্রত্যায়ন করিতেছি যে, সংগৃহীত সকল বি পরিসংখ্যান যথার্থ ও সঠিক।”

সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারও বিক্রয় পরিসংখ্যান বিবরণীর উপরিভাগে নিম্নবর্ণিত প্রত্যায়ন প্রদান করিবেন:

“প্রত্যায়ন প্রদান করা যাইতেছে যে, ডেপুটি কমিশনার। ……….এর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। ……..তারিখে এই কার্যালয়ে যথার্থই হাজির হইয়াছিলেন এবং তাহাদিগকে চাহিদা মোতাবেক রেকর্ড-পত্র সরবরাহ করা হইয়াছে।”

[ দ্রষ্টব্য: মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর স্মারক নং- ৫৮৪৩(১৮) তারিখ: ২৯/৬/১৯৭৪ খ্রিঃ টাকা। সংশোধিত আকারে খদ্য।]

৩৭৯। নকলনবিসগণের মধ্যে নকলের নিমিত্ত দলিল বিতরণ।- নকলবিহীন দলিল নকলকরণের উদ্দেশ্যে নকলনবিসগণের মধ্যে বিতরণের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারগণ আদেশ-বহিতে সরকারিভাবে আদেশ লিপিবদ্ধ করিয়া একজন স্থায়ী কর্মচারীকে এই দায়িত্বে নিয়োজিত করিবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী বিতরণ বহিতে বিতরণের তারিখ ও সময়, দলিল নম্বর, গ্রহণকারীর নাম, গ্রহণকারীর স্বাক্ষর, ফেরত গ্রহণের তারিখ ও সময় ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ করিবেন। দিনান্তে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ ব্যতিক্রমহীনভাবে বিতরণ রেজিস্টার পরীক্ষা ও যাচাইপূর্বক প্রত্যায়ন করিবেন। অপর পক্ষে দলিল গ্রহণকারী প্রত্যেক নকলনবিস অনুরূপ ধরনের স্ব স্ব রেজিস্টার সংরক্ষণপূর্বক উহাতে দলিল গ্রহণের তারিখ ও সময়, দলিল নম্বর, ফেরত প্রদানের তারিখ ও সময়, ফেরত গ্রহণকারীর।

স্বাক্ষর ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। গ্রহণকারী নকলনবিসগণ কর্তৃক তাহার নিকট রক্ষিত উত্তরূপ রেজিস্টার প্রয়োজনবোধে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ প্রত্যায়ন করিতে পারেন। তবে কোনক্রমেই একদিনে যে সংখ্যক দলিল নকল করিতে সক্ষম ইহার অধিক দলিল একজন নকলনবিদের নিকট বিতরণ করা যাইবে না এবং দিনান্তে বিলিকৃত দলিল তাহাদের নিকট হইতে অবশ্যই ফেরত গ্রহণ করিয়া রেকর্ডরুমে পুনরায় সংরক্ষণ করিতে হইবে। । দ্রষ্টব্যঃ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর স্মারক নং- ১৩০২৪(২১) তারিখ: ০৮/১০/১৯৮৬ খ্রিঃ।

৩৮০। খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও জমির পরিমাণ অংকে লেখার পাশাপাশি কথায় লিখিত হইবে।- দলিলের যেখানেই খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর ও জমির পরিমাণ অংকে লেখা হউক, উহারা অংকের পাশে বন্ধনী সহকারে কথায় লিখিত হইবে। দলিল নকলের সময়ও অনুরূপভাবে অংক ও কথায় যাহাতে জমির তফসিল সম্পূর্ণভাবে রেজিস্টার বহিতে লিপিবদ্ধ হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নকলনবিসগণ যত্নশীল থাকিবেন। নিবন্ধনকারী কর্মকর্তাগণ দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রহণের সময় এতদবিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করিবেন। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাগণ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় পরিদর্শনকালে বিষয়টি পরিদর্শন বিবরণীতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন। | দ্রষ্টব্যঃ মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন এর স্মারক নং- ৭১৫২ (৪৯) তারিখ: ৩০/৭/১৯৯৪খ্রিঃ ।

৩৮১। নিবন্ধন আইনের ৬৮(২) ধারার অধীন উপযুক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তার বরাবর দলিল প্রেরণ পদ্ধতি।- যেক্ষেত্রে কোন দলিল নিবন্ধন আইনের ৬৮(২) ধারার অধীন উপযুক্ত কার্যালয়ে নিবন্ধনের জন্য আদিষ্ট হয় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ ৭১(৪) বিধির অধীন বর্ণিতমতে নির্দেশপ্রাপ্ত হন, সেইক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা, দলিলটির ফর্ম সংখ্যা, এবং প্রত্যায়নবিহীন ঘষা-মাজা বা পরিবর্তনসমূহ, যদি থাকে, উল্লেখপূর্বক উহার বর্ণনা সংবলিত একটি পত্রসহকারে সিলমোহরযুক্ত থামে উপযুক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করিবেন। উপযুক্ত নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা উক্ত দলিল নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইবেন যে প্রাপ্ত দলিলটিতে কোনওভাবে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ করা হয় নাই।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

Add comment

error: Content is protected !!