Last Updated on 09/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
নিবন্ধন পরিদপ্তর
প্রজ্ঞাপন
তারিখ, ১৯ অগ্রহায়ন, ১৪১৭ বঙ্গাব্দ / ৩ ডিসেম্বর, ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ
এস. আর. ও নং- ২৭২-আইন/২০০৭।- Registration Act, 1908 (Act No. XVI of 1908), এর ধারা ৬৯ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহা-পরিদর্শক, সরকারের অনুমোদনক্রমে নিম্নরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিলেন, যথাঃ-
১। বিধিমালার নাম ও প্রয়োগঃ-
- এই বিধিমালা পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ বিধিমালা, ২০০৭ নামে অভিহিত হইবে।
- মহা-পরিদর্শক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন কোন জেলা বা উপজেলায় এবং কখন হইতে এই বিধিমালা কার্যকর হইবে তাহা নির্ধারণ করিবেন।
২। সংজ্ঞা।- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়-
(ক) “আইন” অর্থ Registration Act, 1908 (Act No. XVI of 1908);
(খ) “ছক” অর্থ এই বিধিমালার ছক;
(গ) “রেজিস্ট্রেশন ফি” অর্থ এই বিধিমালার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার কর্তৃক জারীকৃত ২৬ জুন, ১৯৭৮ সনের প্রজ্ঞাপন নং- S.R.O-147-L/78 দ্বারা প্রণীত Table of Fees এর “1 Ordinary Fees” শিরোনামাধীন আইনের ধারা ৮০ এর অধীন দলিল নিবন্ধনের জন্য ২৪ (চব্বিশ) হাজার টাকার ঊর্ধে মূল্যের দলিলের A অংশের ফি এবং ক্ষেত্রমত, উক্ত ফি’র সহিত E, M(a), M(b) এবং N অংশের ফি;
(ঘ) “রেজিস্ট্রেশন বিধিমালা” অর্থ আইনের ধারা ৬৯ এর অধীন প্রণীত Bangladesh Registration Rule, 1973;
(খ) পে-অর্ডার প্রাপ্তির পরবর্তী কার্যদিবসে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে উক্ত পে-অর্ডার উপ-বিধি ৪(১) এর অধীন পে-অর্ডার ইস্যুকারী এবং ট্রেজারী দায়িত্বপালনকারী সোনালী ব্যাংকে জমা দিবেন;
(গ) দফা (খ) এর অধীন পে-অর্ডার জমা করিবার পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হইতে ট্রেজারী চালান নগদায়নপূর্বক উহার কপি সংগ্রহ করিবেন; এবং
(ঘ) দফা (খ) এর অধীন পে-অর্ডার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ট্রেজারীতে জমার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার উদ্দেশ্যে, যে মাসে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধিত রেজিস্ট্রেশন ফি ট্রেজারীতে জমা দেওয়া হইয়াছে উহার পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহে-
(অ) জেলা হিসাবরক্ষণ বা ক্ষেত্রমত, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস হইতে সি.টি.আর (Consolidated Treasury Receipt); এবং
(আ) যে ব্যাংকে পে-অর্ডার জমা দেওয়া হইয়াছে সে ব্যাংক হইতে ব্যাংক বিবরণী সংগ্রহ করিবেন।
৯। পে-অর্ডার নগদায়ন না হওয়া, ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধান।- (১) দফা ৮ (গ) এর অধীন পে-অর্ডার নগদায়ন করা না গেলে বা পে-অর্ডার জাল বলিয়া প্রমাণিত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক লিখিতভাবে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উক্ত বিষয় সাব-রেজিস্ট্রারকে অবহিত করিবে।
(২) সাব-রেজিস্ট্রার উপ-বিধি (১) এর অধীন ব্যাংক প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর আইন ও ইহার অধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান অনুসরণ করিয়া, দলিল গ্রহীতাকে নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) দিনের মধ্যে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
১০। কতিপয় ক্ষেত্রে দলিলের কপি হস্তান্তর নিষিদ্ধ, ইত্যাদি।- দফা ৮ (গ) অনুযায়ী পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি নগদায়ন বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বা উপ-বিধি ৯ (১) এর অধীন পে-অর্ডার জাল বলিয়া প্রমাণিত হইলে, সাব-রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দলিল গ্রহীতাকে কোন দলিলের অনুলিপি, প্রত্যায়িত কপি বা মূল দলিল সরবরাহ করিবেন না, এবং উক্ত ক্ষেত্রে উক্ত দলিল বাতিলের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
১১। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক পে-অর্ডার হেফাজত।- উপ-বিধি ৪ (১) এর অধীনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধিত রেজিস্ট্রেশন ফি বিধি ৮ (খ) এর অধীন ট্রেজারীতে জমা না দেওয়া পর্যন্ত সাব-রেজিস্ট্রার ব্যক্তিগতভাবে উহার নিরাপদ হেফাজতের জন্য দায়ী থাকিবেন।
১২। দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি মূল্যায়ন।- (১) সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নোটিশ বোর্ডে দলিলের ফি, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাতের কোডসমূহ ও প্রদেয় করের তালিকা এমনভাবে টাঙ্গাইতে হইবে, যাহাতে সহজে উহা সর্বসাধারণের দৃশ্যমান হয় এবং রেজিস্ট্রিতব্য দলিলের পক্ষগণ নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো ফি’র তালিকা দেখিয়া রেজিস্ট্রেশন ফি মূল্যায়নপূর্বক সাব-রেজিস্ট্রারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করিতে পারে।
(২) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি মূল্যায়ন করিতে না পারিলে দলিলের পক্ষগণ কোন প্রকারের ফি প্রদান না করিয়া সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট হইতে দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি মূল্যায়ন করাইয়া নিতে পারিবেন।
১৩। সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ।- (১) সাব-রেজিস্ট্রার পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধিত রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সম্পর্কে একটি মাসিক বিবরণী সংশ্লিষ্ট মাসের পরবর্তী মাসের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) উক্ত মাসিক বিবরণীর সহিত দফা ৮ (গ) এর অধীন সংগৃহীত ব্যাংক বিবরণীর কপি সংযুক্ত করিতে হইবে।
১৪। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক মাসিক বিবরণী প্রেরণ।- উপ-বিধি ১৩ (১) এর অধীন সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক প্রেরিত বিবরণীর ভিত্তিতে জেলা রেজিস্ট্রার একটি মাসিক বিবরণী প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে মহা-পরিদর্শক বরাবরে প্রেরণ করিবেন।
১৫। পরিদর্শন।- (১) এই বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে, মহা-পরিদর্শক, তৎকর্তৃক এতদুদ্দেশে ক্ষমতাবান নিবন্ধন পরিদপ্তরের কোন পরিদর্শক বা তাহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তা অথবা জেলা রেজিস্ট্রার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করিতে পারিবেন।
(২) মহা-পরিদর্শকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন পরিদর্শক, অন্য কোন কর্মকর্তা বা জেলা রেজিস্ট্রার প্রতি ৪ (চার) মাসে ন্যূনতম পক্ষে একবার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিদর্শন করিবেন।
“………………. সনের রেজিস্ট্রেশন ফি বহির …………………… নং ক্রমিকের দলিলের উপর প্রদেয় রেজিস্ট্রেশন বাবদ প্রদেয়………………….টাকা …………………. নং পে-অর্ডার এ …………………………. তারিখে …………………… ব্যাংকের…………………….. শাখায় পরিশোধিত।
তারিখঃ
সাব-রেজিস্ট্রার
নাম, দস্তখত ও সীল।”
মোঃ মাসদার হোসেন
মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন।
Add comment