Last Updated on 09/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা-৪৭ অনুসারে, কোন দলিলের কার্যকারিতার সাথে দলিলটির রেজিস্ট্রির তারিখের সম্পর্ক নেই। বরং কোন রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সেই সময় থেকে কার্যকর ধরা হয়, দলিলটি রেজিস্ট্রির প্রয়োজন না থাকলে যে সময় থেকে কার্যকর হতো। (A registered document shall operate from the time from which it would have commenced to operate if no registration thereof had been required or made, and not from the time of its registration.)
প্রকৃতপক্ষে একটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সম্পাদনের তারিখেই কার্যকর হয়, রেজিস্ট্রির তারিখে নয় ।
সম্পাদন রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ২৩ ধারা অনুসারে, (উইল বা অছিয়ত দলিল, বিদেশে সম্পাদিত কোন দলিল এবং বায়নাপত্র দলিল ব্যতিত প্রায় সকল দলিল) সম্পাদনের তারিখ থেকে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য দলিলটি রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হয়। অবশ্য ঐ আইনের ২৫ ধারা বিধান মোতাবেক জেলা রেজিস্ট্রার প্রকৃত রেজিস্ট্রেশন ফি এর ১০ (দশ) গুন পর্যন্ত জরিমানা আদায় করে সাব-রেজিস্ট্রারকে দলিলটি রেজিস্ট্রির জন্য আদেশ দিতে পারেন।
উইল/অছিয়ত দলিল সম্পাদনের পর যেকোন সময়ে রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করা যায়। রেজিস্ট্রেশন আইনের ১৭(এ) ধারা অনুসারে, বায়নাপত্র সম্পাদনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হয় এবং উক্ত আইনের ২৬ ধারা অনুসারে, বিদেশে সম্পাদিত কোন দলিল বাংলাদেশে প্রবেশের তারিখ থেকে ৪(চার) মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করা যায়।
দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়ে গেলে সম্পাদনের তারিখ থেকেই দলিলটি কার্যকরী হয়। দলিলটি স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হলে তা আইন অনুসারে অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হয়, রেজিস্ট্রি না করা হলে দলিলটির কার্যকরীতা থাকে না।
‘হেবার ঘোষনাপত্র’ বা ‘দানের ঘোষনাপত্র’ দলিলের ক্ষেত্রে কোন সম্পত্তির দাতা মৌখিকভাবে গ্রহিতার অনুকূলে সম্পত্তি দান করে থাকেন এবং গ্রহিতার অনুকূলে সম্পত্তির দখল অর্পণ করে থাকেন। মৌখিক দানের পরবর্তী কোন এক দিন গ্রহিতার অনুকূলে দলিল সম্পাদন করেন এবং রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করেন। গ্রহিতার অনুকূলে সম্পাদিত দলিলটি যে তারিখেই রেজিস্ট্রি হোক না কেন, মৌখিকভাবে দানের তারিখেই দান কার্যকর হবে, যদি গ্রহিতা উক্ত তারিখে দানকৃত সম্পত্তির দখল গ্রহন করে থাকে।
আমার একটি দলিল ১৯৯৯ সালে সম্পাদিত হয়। ঐ সময়ের ফটোকপি আছে। এখন এর নকল নিতে চাই। কী করতে হবে?
দলিলটি রেজিস্ট্রিকৃত হয়ে থাকলে মূল দলিলের শেষ পৃষ্ঠায় ‘দলিলটি কত সালের কত নম্বর বহির কত নম্বর থেকে কত নম্বর পৃষ্ঠায় কপি করা হয়েছে’ তা লেখা আছে। যে অফিসে দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়েছে সেখানে খোজ নিয়ে জানুন যে, দলিলটির বালাম বহি ঐ অফিসে আছে, নাকি জেলা সদরের রেকর্ড রূমে আছে। যেখানে দলিলটির বালাম বহি আছে, সেখানে আবেদনের মাধ্যমে নকল উঠাতে পারবেন।
রেজিস্টি করা দলিল কি কোন ভাবে বাদ করা যায় ?
বাদ দেয়া যায় মানে কি? আপনি কি রদ বা বাতিলের কথা বলছেন? হ্যা, রেজিস্ট্রি করা কিছু দলিল যেমন- উইল/অছিয়ত, বায়নাপত্র, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে রদ বা বাতিলকরণ দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বাতিল করা যায়।
খতিয়ান নাম্বার ভুল হলে এইটা ঠিক করতে কি কি করা লাগবে…?
জানালে উপকৃত হবো
দলিলে নাকি খতিয়ানে?
কোথায়, কিভাবে ভুল হয়েছে- বিস্তারিত লিখুন।
আমি এ কটি দান পত্র রেজিস্টি করেছেি ১ মাস হয়েছেে আমি কি আপাতত দান পত্রটা কিছু দিনের জন্য স্তগিত রাকতে পারবো ? দয়া করে জানাবেন কি ভাবে ?
গহিতা সম্পত্তি গ্রহণ করে থাকলে এবং দানপত্র দলিলটিতে কোন শর্ত না থাকলে আপনি আইনত তা কোনভাবেই স্থগিত করতে বা ফেরত দিতে বাধ্য করতে পারবেন না।
আমার নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি জাল পর্চা তৈরী করে বিক্রি দলিল রেজিস্ট্রি হইসে |দলিল এখনো ডেলিভার হয় নি |কোথায় অভিযোগ করলে প্রতি কার পাবো |দয়া করে একটু জানাবেন
জমির চেক মোলেম কি এটা কিভাবে পাব
আমার দাদার একটি জমির দাদাসহ চার শরীক এক শরীক কিছু জমি বিক্রি করছে পাশবিলি ছাড়া ১২ বছর আগে ক্রেতা আমার আব্বু।তাহার কয়েক বছর পরে বাকি অংশ বিক্রি করছে আমার আব্বুর ফুফাতো ভাইয়ের কাছে।উল্লেখ্য যে সেই জমিতে সকল দাদারা তাকে ( আব্বুর ফুফাতো ভাইকে) বসত করার জন্য দেওয়ার কারণে আমরা দখল করি নাই।এখন সে ওই জমি পাশবিলা করে অন্য জনের নিকট বিক্রি করেছে।আমরা চাচ্ছি ওই জমি দখল করতে সে ক্ষেত্রে ওই পাশবিলা কি কোনো প্রভাব ফেলবে?
পৈতৃকসম্পত্তি শরীকরা যদি অন্য শরীকের বিনাঅনুমতিতে পাশবিলি করে রেজিস্ট্রি করে দেয় তাহলে সেই পাশবিলির গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
আমার একটি জমি ৭৫ বছরধরে আমাদের দখলে এখনএকজন এসে বলতেছে তার ১৯৪৫ সালের দলিল আছে এই জমির। বি আর এস এ জমি আমাদের নামে এখন সে কোন ক্ষতি করতে পারবে দয়া করেজানাবেন।
আমার একটা জমি আমার অনুপস্থিতিতে স্হানীয় ভেন্ডার এবং প্রশাসনের সহযোগীতায় জাল দলিল করে, সেই দলিল বাতিল করার জন্য আমি কিভাবে সাহায্য পেতে পারি জানালে উপকৃত হব,
বর্তমানে স্হানীয় সালিসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে
আপনি এই লিংকে ক্লিক করে সমাধান জেনে নিন।
আপনার পরবর্তী প্রশ্ন নিচের ফেসবুক গ্রুপে লিখতে পারেন, উত্তর পাবেন।
https://www.facebook.com/groups/400165940533813/
স্যার,দলিল প্রাপ্তি ছিল সি এস খতিয়ানের উপর কিন্তু পরবর্তী রেকর্ড এক চালাক লোক তারনামে কিছু অংশ রেকর্ড করে নেয় এবং তাদের ভোগদখলে আছে জমি এখন কি এর কোন সমাধান করা সম্ভব।
দয়া করে যানাবেন
প্রতারণা করে আপনার ক্রয়কৃত সম্পত্তি অন্য কেউ রেকর্ড করে নিলে আইনে তার প্রতিকার আছে। আপনি দ্রুত একজন বিজ্ঞ আইনজীবী (উকিল) এর পরামর্শ নিন।
আপনার পরবর্তী প্রশ্ন নিচের ফেসবুক গ্রুপে লিখতে পারেন, উত্তর পাবেন।
https://www.facebook.com/groups/400165940533813/
আমার দাদা ১৯৪২ সালে ১৯ শতাংশ সম্পওি কিনেন আলমাছ আলীর কাছ হতে। আবার একি দাগের ৭.৫ শতাংশ ফরিদ করেন ১৯৪৮ সালে আসাব বানু এবং কফিল উদ্দিনের কাছ হতে আসাব বানু ও কফিল উদ্দিন এর পিতা আলমাছ আলীর কাছ হতে খরিদ সুত্রেে মালিক হয়। এভাবে আমার দাদা ২৬.৫ শতাংশ সম্পওির মালিক হয়। ১৯৯৩ সালে আলমাছ আলীর চাচার ছেলেরা বাড়ীতে এসে মারধর করে এবং বলে আলমাছ আলীর পিতা ১৯৬১ সনের বহু পূর্বে পিতার আগে পুত্র মারা গিয়েছে তার জন্য আলমাছ আলী সম্পওি পাবে না। এ নিয়ে আমার পিতার সাথে মামলা হয় আমার বাবাকেও ওরা অনেক মারধর করে। সে সময় নিন্ম আদালতে আমার বাবার পক্খে রায় আসে। ওরা আবার জর্জ কোর্টে আপিল করলে ওরা পায় আমার বাবা হাই কোর্টে আপিল দার করালে আপিল খাারিজ হয়। পুনরায় আমার বাবা সুপরিম কোর্টে আপিল দার করান ওখানেও মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাবস্হায় আমার বাবা মারা যায়। আমি দেশের বাইরে ছিলাম এসে দেখি সব শেষ হয়ে গেছে। তখন কি করব কিছুই বঝতে পারছি না আর আমিও মামলা সম্পর্কে কিছুই বুঝি না তারপর কয়েকজন উকিলের কাছে জাই তারা বলে এ বাড়ী ওরা কিভাবে রায় পায় তোমাদের উকিল ভাল ছিল না। প্রশ্ন হলো সি এস আলমাছ আলীর দাদা ছিল এস এ আমার দাদা/ আলমাছ আলী আর এস আমার দাদা বিআর এস মাঠ পর্যায়ে জরিপ আমার পিতার নাম মিউটিশন খাজনা আমার দাদার নামে। দখলি আমরা বাড়িটি রায় ওরা কি ভাবে পায়। বর্তমানে ওরা আমার বাড়ীতে উঠে গরুর ঘর দিছে খানকা করার জন্য দান করছে এমুহুর্তে চেয়ে দেখা ছারা কিছুই করতে পারছি না। বলতে গেলে হয়ত জীবনের উপর ঝুকি আসবে যা পূর্বে আমার দাদা ও বাবার সাথে হয়েছে। হয়ত আমার এ ঘটনা সংক্ষিপ্ত ভাবে লিখেছি আরও অনেক অবাক করা কিছু আছে যা লিখা হয় নাই। যাইহোক আপনাদের কাছে কোন সমাধান থাকলে জানাবেন হয়তো আপনার একটু সমাধানেই বেচে জেতে পারে ভূমিদস্যুদের কাছ হতে কয়েকটি পরিবার। আমার নাম্বার ০১৭৫৪০৬৪৫০৫, ০১৮৪৬৬৭২৯০৪
আমার এক দালিল সম্পাদন তারিক আগে রেজিষ্ট্রেশন তিন মাস পনের দিন পর আমি কি এই দালিলের জমি পাব? প্লিজ জানাবেন।
যদি জরিমানা প্রদান করে দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে তাহলে সেটি সঠিক আছে।
২০২৩ সালের আয়কর বিধিমালা অনুযায়ী হেবা দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে টিন নাম্বারের বিপরীতে দাতা ও গ্রহীতাকে কি কোন কর দেয়া লাগবে?
দলিল রেজিস্ট্রির সময় টিন নম্বরেরে বিপরীতে বিপরীতে কোন কর দিতে হয় না।