Last Updated on 28/06/2024 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ
আইন অনুসারে, জীবন স্বত্ব (life estate) সম্পত্তির এমন এক ধরনের মালিকানা যা কেবল কোন ব্যক্তির জীবিত থাকাকালীন সময়ের জন্য বলবত থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তিতে তার বা তার জীবিত ওয়ারিশের মালিকানা সৃষ্টি হয় না। বরং সম্পত্তিটি প্রকৃত মালিকের নিকট বা অন্য কারো নিকট ফিরে যায়।
রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা।
দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ জমা করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ৫৮ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ জমা করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
স্হানিয় সরকার করঃ সিটি কর্পোরেশন এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অধীন সম্পত্তি না হলে, হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা, সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত সম্পত্তির হলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অধীন সম্পত্তি হলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের হলে ২% টাকা।
(স্থানীয় সরকার করের পরিমাণ ১০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ১০০ টাকার বেশি হলে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।)
উৎস করঃ স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা বা সন্তানের মধ্যকার দান বা হেবা দলিলে উৎস কর (১২৫ ধারা) প্রযোজ্য নয়। এছাড়া অন্য যেকোন সম্পর্কের মধ্যে হেবা বা দানের ক্ষেত্রে উৎস কর (১২৫ ধারা) পরিশোধ করতে হবে।
উৎস কর (১২৫ ধারা) নিম্নরূপ:
উৎস কর নির্ধারণ কিছুটা জটিল প্রক্রিয়া। উৎস কর সকল স্থানের জমি, প্লট, বাড়ি বা ফ্লাটের ক্ষেত্রে একরূপ নয়। সারা দেশের সকল স্থানকে তিনটি তফসিলে ভাগ করে প্রত্যেক এলাকার জন্য পৃথকভাবে উৎস কর নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই আপনার জমি, প্লট, বাড়ি বা ফ্লাট নিচের কোন তফসিলের অন্তর্ভুক্ত তা ভালভাবে পড়ে নিয়ে উৎস কর কত হবে তা নির্ধারণ করুন।
উৎসে কর বিধিমালা, ২০২৪ এর বিধি ৬ অনুসারে এই কর আদায় করা হয়ে থাকে। ৬ নং বিধিতে বলা হয়েছে, Registration Act, 1908 এর Section 17 এর Sub-section (1) এর Clauses (b), (c) বা (d) এর অধীন দলিল দস্তাবেজ নিবন্ধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন নিবন্ধন কর্মকর্তা নিম্ন-বর্ণিত হারে কর পরিশোধ ব্যতীত কোন দলিল দস্তাবেজ নিবন্ধন করিবেন না। সারা দেশের জমি/স্থাপনার দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে তিনটি তফসিল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উৎস কর হার নির্দিষ্ট করা হয়-
তফশিল-(ক):
নিম্ন-লিখিত বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত জমি বা জমিসহ বাড়ি এর জন্য প্রযোজ্য উৎসকর হার-
- ১। ঢাকাস্থ গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলখুশা, নর্থ-সাউথ রোড, মতিঝিল সম্প্রসারিত এলাকাসমূহ ও মহাখালী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা কাঠাপ্রতি ২০,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি। (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)
- ২। ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা কাঠাপ্রতি ১২,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৩। চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ ও সিডিএ এভিনিউ দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা কাঠাপ্রতি ৮,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা) ।
- ৪। নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা এবং গেন্ডারিয়ার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৮,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৫। ঢাকার উত্তরা, সোনারগাঁও, জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামোটর এবং কাকরাইল এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ১২,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৬। ঢাকাস্থ নবাবপুর ও ফুলবাড়িয়ার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী (১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
তবে শর্ত থাকে যে, জমিতে কোন স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস থাকলে উক্ত স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এর প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৮০০ টাকা হারে অথবা ঐ স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এর দলিল মূল্যের ৮% টাকা, এর মধ্যে যেটি বেশি সেই হারে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে।
তফশিল-(খ):
নিম্নলিখিত এলাকায় অবস্থিত জমি বা জমিসহ বাড়ি এর জন্য প্রযোজ্য করহার-
- ১। ঢাকার উত্তরা (সেক্টর ১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফুট রাস্তার পাশে), আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (বিশ্বরোডের পাশে) এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ ও মেহেদিবাগ এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ২। ঢাকার গুলশান, বনানী, বনানী ডিওএইচএস, ধানমন্ডি, বারিধারা ডিওএইচএস, মহাখালী ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (ব্লক এ থেকে জে পর্যন্ত), নিকেতন, বারিধারা এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ১০,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৩। ঢাকাস্থ রাজউক পূর্বাচল আবাসিক মডেল টাউন, বসুন্ধরা (ব্লক কে থেকে পি পর্যন্ত) এবং ঝিলমিল আবাসিক এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৪। ঢাকাস্থ কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রীনরোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার (মূল রাস্তার ১০০ ফুটের মধ্যে), তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরে বাংলানগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৫,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৫। ঢাকাস্থ কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রীনরোড, এলিফ্যান্ট রোড (মূল রাস্তার ১০০ ফিটের বাইরে) এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ২,৫০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৬। গ্রীনরোড ( ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নং রোড হতে ৮ নং রোড পর্যন্ত) দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৫,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৭। ঢাকার উত্তরা (সেক্টর ১০ থেকে ১৪), নিকুঞ্জ (দক্ষিণ), নিকুঞ্জ (উত্তর), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা ও টঙ্গী শিল্প এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,২০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৮। ঢাকার শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প এলাকা এবং জুরাইন শিল্প এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ৯। ঢাকার খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফুটের কম প্রশস্ত রাস্তার পাশে), রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (৪০ ফুট ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে) দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,৫০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
- ১০। ঢাকার গোড়ান (৪০ ফুট রাস্তার পাশে), হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৮% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সেটি (মন্তব্য ১.৬৫ শতাংশে ১ কাঠা)।
তবে শর্ত থাকে যে, জমিতে কোন স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস থাকলে উক্ত স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এর প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৮০০ টাকা হারে অথবা ঐ স্থাপনা (Structure), বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এর দলিল মূল্যের ৮% টাকা, এর মধ্যে যেটি বেশি সেই হারে অতিরিক্ত কর পরিশোধ করতে হবে।
তফশিল-(গ):
নিম্নলিখিত এলাকায় অবস্থিত জমি বা জমিসহ বাড়ির দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে উৎস কর হার নিম্নরূপ-
- ১। তফসিল (ক) এবং (খ)তে বর্ণিত নয় এমন এলাকা, যা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর আওতাধীন, এমন এলাকার জমি ও স্থাপনার দলিলমূল্যের মূল্যের উপর ৮% টাকা।
- ২। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা [রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ব্যতীত] এবং যে কোন সিটি কর্পোরেশন (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত) এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের উপর ৬% টাকা।
- ৩। জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভার অধীন জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের উপর ৬% টাকা।
- ৪। জেলা সদর ব্যতীত অন্যান্য যে কোন পৌরসভার অধীন জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা।
- ৫। (ক), (খ) এবং (গ) তফসিলে বর্ণিত হয় নাই এমন এলাকার জমি ও স্থাপনার দলিল মূল্যের উপর ২% টাকা।
উৎস করের অর্থ স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ জমা করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ
উদাহরণ- ০১
রাজউকের আওতাধীন গুলশান বাণিজ্যিক এলাকায় ৫ কাঠা জমি বিক্রয় করা হলে এবং উক্ত জমির দলিল মূল্য ৯ কোটি টাকা হলে দলিল রেজিস্ট্রেশন কালে 53H ধারায় আয়কর হবে-
- প্রতি কাঠার জন্য ১০,৮০,০০০ টাকা হারে ৫ কাঠার জন্য প্রদেয় কর ১০,৮০,০০০ টাকা * ৫ কাঠা= ৫৪,০০,০০০ টাকা।
- দলিল মূল্য ৯,০০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৩৬,০০,০০০ টাকা।
সুতরাং প্রদেয় করের পরিমান হবে (ক) ও (খ) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ৫৪,০০,০০০ টাকা।
উদাহরণ- ০২
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানীর নিকট থেকে ক্রয়কৃত ১/২(অর্ধেক) কাঠা জমিসহ ২,৫০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি আবাসিক ফ্লাটের দলিল মূল্য (জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকা এবং ফ্লাটের মূল্য ৩৭,৫০,০০০ টাকা) ৫৭,৫০,০০০ টাকা হলে, 53H ধারায় আয়কর হবে-
জমির জন্য প্রদেয় করঃ-
- কাঠা প্রতি ২,৪০,০০০ টাকা হারে ২,৪০,০০০ টাকা * ০.৫০ কাঠা = ১,২০,০০০ টাকা।
- জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৮০,০০০ টাকা।
সুতরাং জমির জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (১) এবং (২) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ১,২০,০০০ টাকা।
২৫০০ বর্গফুট ফ্লাটের জন্য প্রদেয় করঃ-
(১) প্রতি বর্গমিটার ৬০০ টাকা হারে (২৫০০*৬০০) ÷১০.৭৬ = ১,৩৯,৪০৫ টাকা।
সুতরাং ফ্লাটের জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (১) এবং (২) এর মধ্যে যেটি বেশি, অর্থাৎ ১,৫০,০০০ টাকা।
অতএব, জমি ও ফ্লাটের জন্য 53H ধারায় প্রদেয় করের পরিমাপ হবে (১,২০,০০০ টাকা + ২,২৭,০০০ টাকা) = ২,২৭,০০০ টাকা।
এছাড়া
৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
ই- ফিঃ- ১০০ টাকা।
ঢ- ফিঃ-
- দলিলের প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা
৪। (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) ঢঢ ফিসঃ-
- দলিলের প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৬ টাকা
৫। সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি।
মন্তব্যঃ-
- ঢ- ফি ও ই- ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে একত্রে জমা করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
- ঢঢ- ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে।
- সরকার নির্ধারিত হলফনামা ৩০০ টাকার স্টাম্পে প্রিন্ট করে মূল দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশের সকল দলিলের সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রি খরচসহ অন্যান্য তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন।
Add comment