নিলামে বিক্রিত সম্পত্তি নিলাম মূল্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রসংঙ্গে মতামত প্রদান সংক্রান্ত

আদালত প্রদত্ত সার্টিফিকেট বলে নিলামে বিক্রিত সম্পত্তি নিলাম মূল্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রসংঙ্গে মতামত প্রদান সংক্রান্ত।

Last Updated on 09/02/2023 by সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

বিচার শাখা-৬

সরকারি পরিবহন পুল ভবন

সচিবালয় লিংক রোড, ঢাকা

স্মারক নং- আর-৬/১এম-২০/২০০৯/৯৭                                           তারিখঃ ২৮-০২-২০১০ খ্রিঃ

বিষয়ঃ অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩(৫) ধারামতে আদালত প্রদত্ত সার্টিফিকেট বলে নিলামে বিক্রিত সম্পত্তি “নিলাম মূল্যে” দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রসংঙ্গে মতামত প্রদান সংক্রান্ত।

সুত্রঃ-নিবন্ধন পরিদপ্তরের স্মারক নং-নিপ/রেজিঃশাঃ-৫(বিবিধ)/১৮২৪২, তারিখঃ- ২৬/১১/২০০৯ খ্রিঃ

উপর্যুক্ত বিষয় ও সুত্রে নির্দেশিত হইয়া সোনালী ব্যাংক বা অন্য কোন তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ঋণ গ্রহীতার সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের পর নিলাম গ্রহীতা বরাবরে নিলাম মূল্যে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি করে দিলে বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০২ এর ৩ (২) নং বিধির সহিত সাংঘর্ষিক বা সামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে কিনা তৎবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুবিভাগের প্রদত্ত মতামত এর ফটোকপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হইল।

স্বাঃ
২৬/০২/১০
(এ, বি, এম জহিরুল গনি চৌধুরী)
সিনিয়র সহকারী সচিব।

সংযুক্তঃ- ১ (এক) ফর্দ।

মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন (চলতি দায়িত্ব),

নিবন্ধন পরিদপ্তর, ১৪ আব্দুল গণি রোড, ঢাকা।

স্মারক নং-নিপ/রেজিঃ শাখা-৫ (বিবিধ)/৭৩০০(৬১)                     তারিখঃ ১০/০৩/২০১০ ইং

অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণার্থে প্রেরণ করা হইলঃ

১। জেলা-রেজিস্ট্রার, ………………………. (সকল)। তাহার অধিনস্থ সকল সাব-রেজিস্ট্রারকে জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি অবহিত করিবার জন্য বলা হইল।

স্বাঃ
১০/০৩/১০
(মুন্সী নজরুল ইসলাম)
মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন (চলতি দায়িত্ব)
বাংলাদেশ, ঢাকা।

বিষয়ঃ অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩ (৫) ধারামতে আদালত প্রদত্ত সার্টিফিকেট বলে নিলাম বিক্রিত সম্পত্তি বাবদ নিলামমূল্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়ে মতামত প্রদান প্রসংগে।

সুত্রঃ নথি নং আর-৬/১এম-২০/২০০৯

৭। উপর্যুক্ত বিষয়ে স্মারকপত্র, নোটানুচ্ছেদ ১-৬ এবং নথি সংলগ্নী কাগজপত্র সদয় অবলোকন করা যেতে পারে।

৮। পটভূমিঃ- স্মারকপত্র, নোটানুচ্ছেদ ১- ৬ এবং নথি সংলগ্নী কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ঢাকার ১ নং অর্থঋণ আদালত অর্থঋণ মামলা নং ৫৭৬/২০০৪ এ বাদী সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ১,৩৬,২৮,৫০৯.৮০ টাকার প্রাথমিক ডিক্রী দিয়েছেন (পতাকা-ক)। উক্ত ডিক্রী মূলে প্রদানকারী আদালত হতে বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করা সম্ভব না হওয়ায় ডিক্রীদার সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩/(৫) ধারামতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সোনালী ব্যাংকের প্যানেল এডভোকেট জনাব কৃঞ্চপদ ভৌমিক, অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩ (৫) ধারা মতে ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বলে ঋণ গ্রহীতার বন্ধকী সম্পত্তি সোনালী ব্যাংক কর্তৃক নিলামে বিক্রি করার পর নিলাম ক্রেতা বরাবর সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০২ এর ৩ (২) বিধি মোতাবেক নিলাম মূল্যে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি করার অনুমতি প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন (পতাকা-খ)। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে মহা-পরিদর্শক, নিবন্ধন (চলতি দায়িত্ব) তার কার্যালয়ের স্মারক নং নিপ/রেজিঃ শাঃ-৫ (বিবিধ)/১৮২৪২, তারিখ- ২৬/১১/০৯ খ্রিঃ (পতাকা-গ) মূলে জানিয়েছেন যে, বিষয়টি বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০২ এর ৩(২) বিধির সাথে সাংঘর্ষিক বা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা তা স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন।

৯। বিবেচ্য বিষয়ঃ সোনালী ব্যাংক বা অন্য কোন তফসিলী ব্যাংক কর্তৃক ঋণ গ্রহীতার সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের পর নিলাম গ্রহীতা বরাবর নিলাম মূল্যে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি করে দিলে বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০২ এর ৩ (২) বিধির সাথে সাংঘর্ষিক বা সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা-তা স্পষ্টীকরণের জন্য অত্র মন্ত্রণালয়ের মতামত যাচনা করা হয়েছে।

১০। আইনগত মতামতঃ অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৩৩ ধারার (৫) উপ-ধারাটি হলোঃ

“(৫) কোন সম্পত্তি উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে বিক্রয় করা সম্ভব না হইলে, উক্ত সম্পত্তি, ডিক্রীকৃত দাবী পরিপূর্ণভাবে পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত দখল ও ভোগের অধিকারসহ ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত করা হইবে, এবং ডিক্রীদার উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া অপরিশোধিত ডিক্রীর দাবী আদায় করিতে পারিবে, এবং আদালত ঐ মর্মে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করিবে”।

উদ্বৃত আইনের বিধান অনুসারে আদালত প্রদত্ত সার্টিফিকেট মূলে ডিক্রীদার পক্ষ আইনের বিধান মোতাবেক ঋণ গ্রহীতার বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় করে ডিক্রীর দাবী আদায় করিতে অধিকারী।

অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর ৪ ধারায় আদালত প্রতিষ্ঠার বিধানটি হলোঃ

“৪। আদালত প্রতিষ্ঠা- (১) আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মামলার বিচার ও এই আইনের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে”।

উদ্বৃত আইনের বিধান অনুসারে দেশের সকল অর্থঋণ আদালত সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিচারিক প্রতিষ্ঠান।

এমতাবস্থায়, অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর- ৩৩ (৫) ধারা অনুযায়ী নিলামে বিক্রীত সম্পত্তির নিলাম দ্বারা নির্ধারিত মূল্যই বাজার মূল্য ধরে উক্ত মূল্যের ভিত্তিতে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে এবং তা সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০২ এর ৩ (২) বিধির সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।

১১। নোটানুচ্ছদ- ১০ এ প্রদত্ত মতামত সদয় অনুমোদিত হলে এর ছায়ালিপি রেখে নথিটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের নিবন্ধন পরিদপ্তরে প্রেরণ করা যেতে পারে।

স্বাক্ষর
আবু আহমেদ জমাদার
০৮/০২/১০
উপ-সচিব (মতামত-৪)
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

স্বাক্ষর
মোঃ মজনুল আহসান
০৮/০২/১০
যুগ্ম সচিব (মতামত)
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

         স্বাক্ষর
মোঃ আনোয়ারুল হক
০৯/০২/১০
সচিব (চঃ দাঃ)
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফিসমুক্ত দলিল সম্বন্ধে জানুন।

সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজাহান আলী বিপিএএ

Add comment

error: Content is protected !!